< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 9 >

1 আর শিবার রাণী শলোমনের সুনাম শুনে কঠিন বাক্য দিয়ে শলোমনের পরীক্ষা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে ঐশ্বর্য্য নিয়ে এবং প্রচুর সুগন্ধি মশলা, সোনা ও মণিবাহক উটদের সঙ্গে নিয়ে যিরূশালেমে আসলেন এবং শলোমনের কাছে এসে তাঁর মনে যা যা ছিল তা সবই তাঁকে বললেন।
শিবা দেশের রানি যখন শলোমনের নামডাক শুনতে পেয়েছিলেন, তখন কঠিন কঠিন সব প্রশ্ন সাথে নিয়ে তিনি তাঁকে পরীক্ষা করার জন্য জেরুশালেমে এলেন। বিশাল দলবল নিয়ে—উটের পিঠে মশলাপাতি চাপিয়ে, প্রচুর পরিমাণ সোনা, ও দামি মণিমুক্তো নিয়ে—তিনি শলোমনের কাছে এলেন এবং তাঁর মনে যা যা ছিল, সেসব বিষয়ে শলোমনের সাথে কথা বললেন।
2 আর শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন; শলোমনের কাছে কোনো কিছুই না বোঝার মত ছিল না, তিনি তাঁকে সবই বললেন।
শলোমন তাঁর সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন; রানিকে ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেওয়ার পক্ষে কোনো কিছুই তাঁর কাছে কঠিন বলে মনে হয়নি।
3 এই ভাবে শিবার রাণী শলোমনের জ্ঞান ও তাঁর তৈরী গৃহ
শিবার রানি যখন শলোমনের প্রজ্ঞা, তথা তাঁর নির্মিত প্রাসাদটি,
4 এবং তাঁর টেবিলের খাবার ও তাঁর কর্মচারীদের থাকবার জায়গা ও দাঁড়িয়ে থাকা চাকরদের শ্রেণী ও তাদের পোশাক এবং তাঁর পানীয় পরিবেশকদের ও তাদের পোশাক এবং সদাপ্রভুর গৃহে উঠার জন্য তাঁর তৈরী সিঁড়ি, এই সব দেখে অবাক হয়ে গেলেন।
তাঁর টেবিলে রাখা খাদ্যসম্ভার, তাঁর কর্মকর্তাদের বসার ব্যবস্থা, জমকালো পোশাক পরা সেবাকারী দাসেদের, জমকালো পোশাক পরা পানপাত্র বহনকারীদের এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে তাঁর উৎসর্গ করা হোমবলিগুলি দেখেছিলেন, তখন তিনি অভিভূত হয়ে গেলেন।
5 আর তিনি রাজাকে বললেন, “আমি আমার দেশে থেকে আপনার বাক্য ও জ্ঞানের বিষয়ে যে কথা শুনেছিলাম, তা সত্যি।
তিনি রাজাকে বললেন, “নিজের দেশে থাকার সময় আমি আপনার কীর্তির ও প্রজ্ঞার বিষয়ে যা যা শুনেছিলাম, সেসবই সত্যি।
6 কিন্তু আমি যতক্ষণ এসে নিজের চোখে না দেখলাম, ততক্ষণ লোকেদের সেই সব কথায় আমার বিশ্বাস হয়নি; আর দেখুন, আপনার জ্ঞানের অর্ধেকও আমাকে বলা হয়নি; আমি যে সুনাম শুনেছিলাম, তার থেকে আপনার গুণ অনেক বেশী।
কিন্তু যতক্ষণ না আমি এখানে এসে নিজের চোখে তা দেখলাম, লোকেরা যা বলল, আমি তাতে বিশ্বাস করিনি। সত্যি বলতে কি, আপনার যে বিশাল প্রজ্ঞা, তার অর্ধেকও আমাকে বলা হয়নি; যে খবর আমি শুনেছিলাম, আপনি তার অনেক ঊর্ধ্বে।
7 ধন্য আপনার লোকেরা এবং ধন্য আপনার এই দাসেরা, যারা সব দিন আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে আপনার জ্ঞানের কথা শোনে।
আপনার প্রজারা কতই না সুখী! আপনার সেই কর্মকর্তারাও কতই না সুখী, যারা অনবরত আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে ও আপনার প্রজ্ঞার কথা শোনে!
8 ধন্য আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য রাজা করে তাঁর সিংহাসনে আপনাকে বসবার জন্য আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। ইস্রায়েলের লোকদেরকে চিরস্থায়ী করার জন্য আপনার ঈশ্বর তাদেরকে ভালবাসেন, এই জন্য সুবিচার ও ন্যায় রক্ষার জন্য আপনাকে রাজা করেছেন।”
আপনার ঈশ্বর সেই সদাপ্রভুর প্রশংসা হোক, যিনি আপনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে রাজারূপে আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর হয়ে রাজত্ব করার জন্য আপনাকে তাঁর সিংহাসনে বসিয়েছেন। ইস্রায়েলের প্রতি আপনার ঈশ্বরের প্রেমের ও চিরকাল তাদের সমর্থন করা সংক্রান্ত তাঁর যে এক বাসনা ছিল, তারই কারণে তিনি আপনাকে তাদের রাজা করেছেন, যেন ন্যায়বিচার ও ধার্মিকতা বজায় থাকে।”
9 পরে তিনি রাজাকে সাড়ে একশো কুড়ি তালন্ত সোনা, অনেক সুগন্ধি মশলা ও মণি উপহার দিলেন। শিবার রাণী রাজা শলোমনকে যে রকম সুগন্ধি মশলা দিলেন, সেই রকম সুগন্ধি মশলা আর হয়নি।
পরে তিনি রাজাকে 120 তালন্ত সোনা, প্রচুর পরিমাণ মশলাপাতি, ও দামি মণিমুক্তো দিলেন। শিবা দেশের রানি রাজা শলোমনকে এত মশলাপাতি দিলেন, যা এর আগে কখনও দেখা যায়নি।
10 ১০ আর হূরমের ও শলোমনের যে দাসরা ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত, তারা চন্দন কাঠ আর মণিও আনত।
(হীরমের দাসেরা ও শলোমনের দাসেরা ওফীর থেকে সোনা নিয়ে আসত; এছাড়াও তারা আলগুম কাঠ ও দামি মণিমুক্তোও নিয়ে আসত।
11 ১১ সেই সব চন্দন কাঠ দিয়ে সদাপ্রভুর রাজা গৃহের ও রাজবাড়ীর জন্য সিঁড়ি, গায়কদের জন্য বীণা ও নেবল তৈরী করালেন। এর আগে যিহূদা দেশে কেউ কখনও সেই রকম দেখে নি।
রাজা সেই আলগুম কাঠ সদাপ্রভুর মন্দিরের ও রাজপ্রাসাদের সিঁড়ি নির্মাণ করার কাজে ও বাদ্যকরদের জন্য বীণা ও খঞ্জনি তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। যিহূদা দেশে এর আগে এত কিছু দেখা যায়নি।)
12 ১২ আর শলোমন রাজা শিবার রাণীর ইচ্ছা অনুসারে চাওয়া সবই তাঁকে দিলেন, রাণী তাঁর জন্য যা এনেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশী উপহার তিনি তাঁকে দিলেন; পরে রাণী ও তাঁর দাসেরা নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
রাজা শলোমন শিবা দেশের রানিকে তাঁর বাসনা ও চাহিদামতোই সবকিছু দিলেন; রানি তাঁর কাছে যা কিছু এনেছিলেন, তিনি তার চেয়েও অনেক বেশি পরিমাণ জিনিসপত্র তাঁকে দিলেন। পরে রানি তাঁর লোকলস্কর সাথে নিয়ে নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
13 ১৩ এক বছরের মধ্যে শলোমনের কাছে ছশো ছেষট্টি তালন্ত পরিমাপের সোনা আসত।
প্রতি বছর শলোমন যে পরিমাণ সোনা সংগ্রহ করতেন তার ওজন 666 তালন্ত,
14 ১৪ এছাড়া বণিক ও ব্যবসায়ীরা সোনা নিয়ে আসত এবং আরবের সমস্ত রাজারা ও দেশের শাসনকর্তারা শলোমনের কাছে সোনা ও রূপা নিয়ে আসতেন।
এতে অবশ্য বণিক ও ব্যবসায়ীদের আনা রাজস্ব ধরা হয়নি। এছাড়াও আরবের সব রাজা ও বিভিন্ন প্রদেশের শাসনকর্তারাও শলোমনের কাছে সোনা ও রুপো নিয়ে আসতেন।
15 ১৫ তাতে শলোমন রাজা পেটানো সোনা দিয়ে দুইশো বড় ঢাল তৈরী করলেন। প্রত্যেকটি ঢালে ছশো শেকল পরিমাপের পেটানো সোনা ছিল।
পিটানো সোনার পাত দিয়ে রাজা শলোমন 200-টি বড়ো বড়ো ঢাল তৈরি করলেন; প্রত্যেকটি ঢাল তৈরি করতে 600 শেকল করে পিটানো সোনা লেগেছিল।
16 ১৬ আর তিনি পেটানো সোনা দিয়ে তিনশো ছোট ঢাল তৈরী করলেন; তার প্রত্যেক ঢালে তিনশো শেকল পরিমাপের সোনা ছিল। পরে রাজা লিবানোন অরণ্যের বাড়িতে সেগুলি রাখলেন।
পিটানো সোনার পাত দিয়ে তিনি আরও তিনশোটি ছোটো ছোটো ঢাল তৈরি করলেন, এবং প্রত্যেকটি ঢালে তিনশো শেকল করে সোনা ছিল। রাজা সেগুলি লেবাননের অরণ্য-প্রাসাদে নিয়ে গিয়ে রেখেছিলেন।
17 ১৭ আর রাজা হাতির দাঁতের একটা বড় সিংহাসন তৈরী করিয়ে খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়লেন।
পরে রাজামশাই হাতির দাঁত দিয়ে একটি বড়ো সিংহাসন বানিয়ে, সেটি খাঁটি সোনা দিয়ে মুড়ে দিলেন।
18 ১৮ ঐ সিংহাসনের সিঁড়ির ছয়টা ধাপ, আর একটি সোনার পা রাখবার আসন সিংহাসনের সঙ্গে লাগানো ছিল এবং আসনের দুদিকে হাতল ছিল এবং সেই হাতলের পাশে দুটি সিংহমূর্তি দাঁড়ানো ছিল,
সিংহাসনে ওঠার জন্য সিঁড়ির ছয়টি ধাপ ছিল, ও সোনার একটি পাদানি সিংহাসনের সাথে জোড়া ছিল। বসার স্থানটির দুই দিকেই হাতল ছিল, এবং দুটিরই পাশে একটি করে সিংহমূর্তি দাঁড় করানো ছিল।
19 ১৯ আর সেই ছয়টা ধাপের উপরে দুপাশে বারোটি সিংহমূর্তি দাঁড়িয়ে ছিল; এই রকম সিংহাসন অন্য কোনো রাজ্যে তৈরী হয়নি।
বারোটি সিংহমূর্তি সিঁড়ির ছয়টি ধাপের উপরে দাঁড় করানো ছিল, এক-একটি মূর্তি প্রত্যেকটি ধাপের এক এক পাশে রাখা ছিল। অন্য কোনও রাজ্যে আগে কখনও এরকম কিছু তৈরি করা হয়নি।
20 ২০ শলোমন রাজার সমস্ত পানীয়ের পাত্রগুলো সোনার ছিল ও লিবানোন অরণ্যের বাড়ির সমস্ত পাত্র ছিল খাঁটি সোনার তৈরী; শলোমনের দনের রূপা কোনো কিছুর মধ্যে গণনা করা হত না।
রাজা শলোমনের কাছে থাকা ভিত থেকে ওঠা ডাঁটিযুক্ত হাতলবিহীন সব পানপাত্র ছিল সোনার, এবং লেবাননের অরণ্য-প্রাসাদে রাখা সব গৃহস্থালি জিনিসপত্র খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি হল। কোনো কিছুই রুপো দিয়ে তৈরি করা হয়নি, কারণ শলোমনের রাজত্বকালে রুপোকে দামি বলে গণ্যই করা হত না।
21 ২১ কারণ হূরমের দাসেদের সঙ্গে রাজার কতগুটি জাহাজ তর্শীশে যেত; সেই তর্শীশের জাহাজগুলি তিন বছরে একবার সোনা, রূপা, হাতির দাঁত, বানর ও ময়ূর নিয়ে আসত।
রাজার কাছে তর্শীশের বাণিজ্যতরির এক নৌবহর ছিল, যেটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল হীরমের দাসেরা। তিন বছরে একবার জাহাজগুলি সোনা, রুপো এবং হাতির দাঁত, বনমানুষ ও বেবুন নিয়ে ফিরে আসত।
22 ২২ এই ভাবে ঐশ্বর্য্য ও জ্ঞানে শলোমন রাজা পৃথিবীর সব রাজার মধ্যে প্রধান হলেন।
পৃথিবীর অন্য সব রাজার তুলনায় রাজা শলোমন ধনসম্পদে ও প্রজ্ঞায় বৃহত্তর হলেন।
23 ২৩ আর ঈশ্বর শলোমনের হৃদয়ে যে জ্ঞান দিয়েছিলেন, তাঁর সেই জ্ঞানের কথাবার্তা শুনবার জন্য পৃথিবীর সব রাজা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করতেন।
ঈশ্বর রাজা শলোমনের অন্তরে যে প্রজ্ঞা ভরে দিলেন, সেই প্রজ্ঞার কথা শোনার জন্য পৃথিবীর রাজারা সবাই তাঁর সাথে দেখা করতে চাইতেন।
24 ২৪ আর সবাই উপহার, সোনা-রূপার পাত্র, পোশাক, অস্ত্র ও সুগন্ধি মশলা, ঘোড়া আর খচ্চর আনতেন; প্রতি বছর এই রকম হত।
বছরের পর বছর, যে কেউ তাঁর কাছে আসত, সে কোনও না কোনো উপহার—রুপো ও সোনার তৈরি জিনিসপত্র, কাপড়চোপড়, অস্ত্রশস্ত্র ও মশলাপাতি, এবং ঘোড়া ও খচ্চর নিয়ে আসত।
25 ২৫ আর ঘোড়া ও রথের জন্য শলোমনের চার হাজার ঘর ছিল ও বারো হাজার ঘোড়াচালক ছিল; তিনি তাদের রথ রাখবার নগরগুলিতে এবং যিরূশালেমে রাজার কাছে রাখতেন।
ঘোড়া ও রথের জন্য শলোমনের 4,000 আস্তাবল ছিল, এবং তাঁর কাছে 12,000 ঘোড়া ছিল, যাদের তিনি রথ-নগরীগুলিতে এবং নিজের কাছে, অর্থাৎ জেরুশালেমেও রেখেছিলেন।
26 ২৬ আর তিনি ফরাৎ নদী থেকে পলেষ্টীয়দের দেশ ও মিশরের সীমানা পর্যন্ত সমস্ত রাজাদের উপরে রাজত্ব করতেন।
ইউফ্রেটিস নদীর পার থেকে শুরু করে মিশরের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ফিলিস্তিনীদের দেশ অবধি গোটা এলাকায়, সব রাজার উপর তিনি রাজত্ব করতেন।
27 ২৭ রাজা যিরূশালেমে রূপাকে পাথরের মত এবং এরস কাঠকে উপত্যকার ডুমুর গাছের মত অনেক করলেন।
জেরুশালেমে রাজা রুপোকে পাথরের মতো সাধারণ স্তরে নামিয়ে এনেছিলেন, এবং দেবদারু কাঠকে পর্বতমালার পাদদেশে উৎপন্ন ডুমুর গাছের মতো পর্যাপ্ত করে তুলেছিলেন।
28 ২৮ আর লোকেরা মিশর ও সব দেশ থেকে শলোমনের জন্য ঘোড়া আনত।
শলোমনের ঘোড়াগুলি মিশর থেকে ও অন্যান্য সব দেশ থেকে আমদানি করা হত।
29 ২৯ শলোমনের সমস্ত কাজের কথা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নাথন ভাববাদীর বইয়ে ও শীলোনীয় অহিয়ের ভাববাণীতে এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বিষয়ে ইদ্দো দর্শকের দর্শন নামক বইতে কি লেখা নেই?
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শলোমনের রাজত্বকালের সব ঘটনা কি ভাববাদী নাথনের রচনায়, শীলোনীয় অহিয়ের ভাববাণীতে এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের বিষয়ে লেখা দর্শক ইদ্দোর দর্শন-গ্রন্থে লেখা নেই?
30 ৩০ পরে শলোমন যিরূশালেমে চল্লিশ বছর ধরে সমস্ত ইস্রায়েলের উপরে রাজত্ব করলেন।
শলোমন জেরুশালেমে সমগ্র ইস্রায়েলের উপর চল্লিশ বছর রাজত্ব করলেন।
31 ৩১ তারপরে শলোমন তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন ও তাঁর বাবা দায়ূদের শহরে কবর দেওয়া হল এবং তাঁর ছেলে রহবিয়াম তাঁর জায়গায় রাজা হলেন।
পরে তিনি তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে তাঁর বাবা দাউদের নগরেই কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে রহবিয়াম রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 9 >