< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 30 >

1 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব্ব পালন করবার জন্য লোকেরা যাতে যিরূশালেমে সদাপ্রভুর ঘরে আসে সেইজন্য হিষ্কিয় সমস্ত ইস্রায়েলে ও যিহূদায় খবর পাঠালেন এবং ইফ্রয়িম ও মনঃশি-গোষ্ঠীর লোকদের চিঠি লিখলেন।
জেরুশালেমে সদাপ্রভুর মন্দিরে আসার ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করার নিমন্ত্রণ জানিয়ে হিষ্কিয় ইস্রায়েল ও যিহূদায় সকলের কাছে খবর পাঠালেন এবং ইফ্রয়িমের ও মনঃশির প্রজাদের কাছে চিঠিও লিখেছিলেন।
2 কারণ রাজা ও তাঁর কর্মচারীরা এবং যিরূশালেমের সমস্ত লোক ঠিক করল যে, দ্বিতীয় মাসে নিস্তারপর্ব্ব পালন করা হবে।
রাজা ও তাঁর কর্মকর্তারা এবং জেরুশালেমের সমগ্র জনসমাজ দ্বিতীয় মাসে নিস্তারপর্ব পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
3 এর কারণ হল, অনেক যাজক নিজেদের শুচি করেন নি আর লোকেরাও এসে যিরূশালেমে জড়ো হয়নি বলে নিয়মিত দিনের তারা এটা পালন করতে পারে নি।
নির্দিষ্ট সময়ে তারা সেটি পালন করতে পারেননি, কারণ যথেষ্ট পরিমাণ যাজক ঈশ্বরের উদ্দেশে তখন নিজেদের উৎসর্গ করেননি এবং প্রজারাও তখন জেরুশালেমে সমবেত হয়নি।
4 এই পরিকল্পনা রাজা ও সমস্ত জনতার কাছে উপযুক্ত বলে মনে হল।
রাজা ও সমগ্র জনসমাজ, উভয়ের কাছেই পরিকল্পনাটি সমুচিত বলে মনে হল।
5 ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে নিস্তারপর্ব্ব পালন করবার জন্য যাতে সবাই যিরূশালেমে আসে সেইজন্য তারা বের-শেবা থেকে দান পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমস্ত জায়গায় লোক পাঠিয়ে ঘোষণা করল। অনেক বছর ধরে তারা নিয়ম অনুসারে অনেক লোক একত্র হয়ে এই পর্ব পালন করে নি।
লোকজন যেন জেরুশালেমে এসে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে নিস্তারপর্ব পালন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে তারা বের-শেবা থেকে দান পর্যন্ত, ইস্রায়েলে সর্বত্র লোক পাঠিয়ে সেকথা ঘোষণা করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে যেমনটি লিখে রাখা হল, সেই নিয়মানুসারে, মানুষজনের পক্ষে একসাথে মিলিত হয়ে সেই পর্বটি পালন করা সম্ভব হয়নি।
6 রাজার আদেশে রাজা ও তাঁর কর্মচারীদের কাছ থেকে চিঠি নিয়ে লোকেরা ইস্রায়েল ও যিহূদার সব জায়গায় গিয়ে এই কথা ঘোষণা করল, “হে ইস্রায়েলীয়েরা, আপনারা অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ফিরে আসুন, তাতে যাঁরা অশূরের রাজার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তাঁদের কাছে, অর্থাৎ তোমাদের কাছে তিনিও ফিরে আসবেন।
রাজার আদেশে, রাজার ও তাঁর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চিঠিপত্র নিয়ে ডাকহরকরারা ইস্রায়েল ও যিহূদার সর্বত্র চলে গেল; সেই চিঠিপত্রের ভাষা ছিল এইরকম: “হে ইস্রায়েলী প্রজারা, অব্রাহাম, ইস্‌হাক ও ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে তোমরা ফিরে এসো, যেন তোমরা যারা অবশিষ্ট আছ, যারা আসিরিয়ার রাজাদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ, তোমাদের কাছে তিনিও ফিরে আসেন।
7 তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষ ও ভাইদের মত হয়ো না। কারণ নিজের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হয়েছিল বলে তিনি তাদের ভীষণ শাস্তি দিয়েছিলেন। তোমরা যেমন দেখতে পাচ্ছ।
তোমরা তোমাদের সেই পূর্বপুরুষ ও সমগোত্রীয় ইস্রায়েলীদের মতো হোয়ো না, যারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রতি অবিশ্বস্ত হল, তাই তিনি তাদের প্রবল বিতৃষ্ণার পাত্রে পরিণত করলেন, যা তোমরা দেখতেই পাচ্ছ।
8 তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মত অবাধ্য হয়ো না কিন্তু সদাপ্রভুর হাতে নিজেদের দিয়ে দাও এবং তাঁর পবিত্র জায়গা এস, যে পবিত্র ঘরকে তিনি চিরকালের জন্য নিজের উদ্দেশ্যে আলাদা করেছেন এবং তোমাদের নিজেদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর যাতে তোমাদের উপর থেকে তাঁর সেই ভয়ঙ্কর ক্রোধ চলে যায়।
তোমাদের পূর্বপুরুষদের মতো তোমরা একগুঁয়ে হোয়ো না; সদাপ্রভুর হাতে নিজেদের সঁপে দাও। তাঁর পবিত্র সেই পীঠস্থানে এসো, যা তিনি চিরকালের জন্য পবিত্র করে দিয়েছেন। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা করো, যেন তাঁর ভয়ংকর ক্রোধ তোমাদের কাছ থেকে দূর হয়ে যায়।
9 কারণ তোমরা যদি সদাপ্রভুর কাছে আবার ফিরে আস তবে তোমাদের ভাই ও ছেলে মেয়েদের যারা বন্দী করে রেখেছে তারা তাদের প্রতি দয়া দেখাবে। তখন তারা এই দেশে ফিরে আসতে পারবে, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু দয়াময় ও করুণাময়। তোমরা যদি তাঁর কাছে ফিরে আসো তাহলে তিনি তাঁর মুখ ফিরিয়ে রাখবেন না।”
তোমরা যদি সদাপ্রভুর কাছে ফিরে আস, তবে তোমাদের সমগোত্রীয় ইস্রায়েলীদের ও তোমাদের সন্তানদের প্রতি তাদের বন্দিকারীরা করুণা দেখাবে এবং তারা এই দেশে ফিরে আসবে, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু অনুগ্রহকারী ও করুণাময়। তোমরা যদি তাঁর কাছে ফিরে আস, তবে তিনি তোমাদের দিক থেকে তাঁর মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।”
10 ১০ সংবাদ বহনকারীরা ইফ্রয়িম ও মনঃশির সমস্ত গ্রাম ও শহরে এবং সবূলূন পর্যন্ত গেল, কিন্তু সেখানকার লোকেরা তাদের প্রতি ঠাট্টা ও বিদ্রূপ করতে লাগল।
ডাকহরকরারা ইফ্রয়িম ও মনঃশির এক নগর থেকে অন্য নগর ঘুরে সবূলূন পর্যন্ত গেল, কিন্তু লোকেরা তাদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ করল।
11 ১১ তবুও আশের, মনঃশি ও সবূলূন গোষ্ঠীর কিছু লোক নিজেদের নম্র করে যিরূশালেমে এলো।
তা সত্ত্বেও, আশের, মনঃশি ও সবূলূন থেকে কেউ কেউ নিজেদের নত করল ও জেরুশালেমে গেল।
12 ১২ ঈশ্বরের হাত যিহূদার লোকদের উপরে আসলো, তাই সদাপ্রভুর বাক্য অনুযায়ী রাজা ও তাঁর কর্মচারীদের আদেশ পালন করবার জন্য তিনি তাদের মন এক করলেন।
এছাড়া যিহূদাতেও লোকজনের উপর ঈশ্বর হাত রেখে তাদের মনে একতা দিলেন, যেন তারা সদাপ্রভুর বাক্য অনুসারে, রাজার ও তাঁর কর্মকর্তাদের আদেশ পালন করতে পারে।
13 ১৩ দ্বিতীয় মাসে তাড়ীশূন্য রুটির পর্ব পালন করবার জন্য অনেক লোক, এক মহাজনতা যিরূশালেমে জড়ো হল।
দ্বিতীয় মাসে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করার জন্য বিশাল জনতা জেরুশালেমে সমবেত হল।
14 ১৪ আর পূজা করবার জন্য পশু উৎসর্গের যে সব বেদী এবং যে সব ধূপদানী যিরূশালেমে ছিল তারা সেগুলো নিয়ে কিদ্রোণ উপত্যকায় ফেলে দিল।
জেরুশালেমে তারা বেদিগুলি সরিয়ে দিয়েছিল এবং ধূপবেদিগুলি পরিষ্কার করে সেখানে রাখা জিনিসপত্র কিদ্রোণ উপত্যকায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল।
15 ১৫ তারা দ্বিতীয় মাসের চৌদ্দ দিনের র দিন নিস্তারপর্ব্বের ভেড়ার বাচ্চা বলি দিল। এতে যাজক ও লেবীয়েরা লজ্জা পেয়ে নিজেদের শুচি করলেন এবং সদাপ্রভুর ঘরে হোম বলির জিনিস নিয়ে আসলেন।
দ্বিতীয় মাসের চতুর্দশতম দিনে তারা নিস্তারপর্বের মেষশাবকটি বধ করল। যাজক ও লেবীয়েরা লজ্জিত হয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করলেন এবং সদাপ্রভুর মন্দিরে হোমবলি নিয়ে এলেন।
16 ১৬ তারপর ঈশ্বরের লোক মোশির ব্যবস্থা অনুযায়ী তাঁরা তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গা গিয়ে দাঁড়ালেন। যাজকেরা লেবীয়দের হাত থেকে যে রক্ত পেয়েছিল তা নিয়ে ছিটিয়ে দিলেন।
পরে ঈশ্বরের লোক মোশির বিধান অনুসারে তারা তাদের নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। লেবীয়েরা যাজকদের হাতে যে রক্ত তুলে দিয়েছিল, তারা সেই রক্ত যজ্ঞবেদিতে ছিটিয়ে দিলেন।
17 ১৭ কারণ লোকদের মধ্যে অনেকে নিজেদের শুচি করে নি এমন লোক ছিল। সেইজন্য সব লোকদের হয়ে সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবার জন্য নিস্তার পর্বের মেষের বাচ্চা লেবীয়দেরই বলি দিতে হয়েছিল।
যেহেতু জনতার ভিড়ে অনেকেই ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করেননি, তাই প্রথাগতভাবে যারা শুচিশুদ্ধ ছিল না ও যারা তাদের আনা মেষশাবকগুলি সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পারেনি, তাদের হয়ে লেবীয়দেরই নিস্তারপর্বের মেষশাবকগুলি বধ করতে হল।
18 ১৮ কারণ ইফ্রয়িম, মনঃশি, ইষাখর ও সবূলূন গোষ্ঠীর থেকে আসা অনেক লোক আবার নিজেদের শুচি করে নি, তবুও তারা নিয়মের বিরুদ্ধে নিস্তার পর্বের ভোজ খেয়েছিল। কিন্তু হিষ্কিয় তাদের জন্য প্রার্থনা করে বললেন, “মঙ্গলময় ঈশ্বর যেন সবাইকে ক্ষমা করেন
যদিও যেসব লোকজন ইফ্রয়িম, মনঃশি, ইষাখর ও সবূলূন থেকে এসেছিল, তাদের মধ্যে অধিকাংশ জনই নিজেদের শুচিশুদ্ধ করেননি, তবু তারা লিখিত বিধিনিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ খেয়েছিল। কিন্তু হিষ্কিয় তাদের জন্য প্রার্থনা করে বললেন, “মঙ্গলময় সদাপ্রভু তাদের প্রত্যেককে ক্ষমা করুন,
19 ১৯ যদিও উপাসনা ঘরের ব্যবস্থা অনুযায়ী তারা শুচি হয়নি তবুও যারা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলবার জন্য নিজেদের হৃদয় স্থির করেছে মঙ্গলময় ঈশ্বর সদাপ্রভু যেন তাদের ক্ষমা করেন।”
যারা তাদের অন্তর ঈশ্বরের—তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর—অন্বেষণ করার জন্য ঠিক করেছে, এমনকি পবিত্র পীঠস্থানের নিয়মানুসারে তারা যদি শুচিশুদ্ধ নাও হয়, তাও যেন তিনি তাদের ক্ষমা করলেন।”
20 ২০ সুতরাং সদাপ্রভু হিষ্কিয়ের প্রার্থনা শুনে লোকদের সুস্থ করলেন।
সদাপ্রভু হিষ্কিয়ের প্রার্থনা শুনেছিলেন ও মানুষজনকে সুস্থ করলেন।
21 ২১ এই ভাবে যে সব ইস্রায়েলীয় যিরূশালেমে উপস্থিত হয়েছিল তারা খুব আনন্দের সঙ্গে সাত দিন ধরে তাড়ীশূন্য রুটির পর্ব পালন করল; আর এদিকে লেবীয় ও যাজকেরা প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে বাজনা বাজিয়ে প্রশংসা গান করলেন।
একদিকে, জেরুশালেমে উপস্থিত ইস্রায়েলীরা মহানন্দে সাত দিন ধরে খামিরবিহীন রুটির উৎসব পালন করছিল, অন্যদিকে যাজক ও লেবীয়েরা প্রতিদিন সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গীকৃত দারুণ সব বাজনা বাজিয়ে সদাপ্রভুর প্রশংসাগান করে যাচ্ছিলেন।
22 ২২ সদাপ্রভুর সেবাকাজে যে সব লেবীয়েরা দক্ষ ছিল হিষ্কিয় তাদের উৎসাহমূলক কথা বললেন। এই ভাবে তারা মঙ্গলার্থক বলি উৎসর্গের অনুষ্ঠান করে সাত দিন ধরে খাওয়া দাওয়া করল এবং তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব করল।
যেসব লেবীয় সদাপ্রভুর সেবাকাজে ভালো বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ করল, হিষ্কিয় তাদের উৎসাহ দিয়ে কথা বললেন। পর্বের সাত দিন ধরে তারা তাদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া খাবার খেয়েছিল এবং মঙ্গলার্থক-নৈবেদ্য উৎসর্গ করে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর প্রশংসা করল।
23 ২৩ তারপর সভার সমস্ত লোক আরও সাত দিন সেই পর্ব পালন করবে বলে ঠিক করল; এবং আরও সাত দিন তারা আনন্দের সঙ্গে সেই পর্ব পালন করল।
সমগ্র জনসমাজ তখন আরও সাত দিন উৎসব পালন করার বিষয়ে একমত হল; অতএব আনন্দ করতে করতে আরও সাত দিন ধরে তারা উৎসব পালন করল।
24 ২৪ পরে যিহূদার রাজা হিষ্কিয় সভার সমস্ত লোকের উপহারের জন্য এক হাজার ষাঁড় ও সাত হাজার মেষ দিলেন আর উঁচু পদের কর্মচারীরা দিলেন এক হাজার ষাঁড় ও দশ হাজার ভেড়া। আর যাজকদের মধ্যে অনেকে নিজেদের শুচি করলেন।
জনসমাজের জন্য যিহূদার রাজা হিষ্কিয় এক হাজার বলদ এবং সাত হাজার মেষ ও ছাগল দিলেন, এবং কর্মকর্তারা তাদের জন্য এক হাজার বলদ ও দশ হাজার মেষ ও ছাগল দিলেন। অনেক যাজক ঈশ্বরের উদ্দেশে নিজেদের উৎসর্গ করে দিলেন।
25 ২৫ যিহূদার সব সমাজের লোকেরা, যাজকেরা, লেবীয়েরা, ইস্রায়েল থেকে আসা সব লোকেরা এবং ইস্রায়েল ও যিহূদায় বাসকারী যে বিদেশীরা এসেছিল তারা সবাই আনন্দ করল।
যিহূদার সমগ্র জনসমাজ আনন্দ করল, ও তাদের সাথে সাথে যাজক ও লেবীয়েরা এবং ইস্রায়েল থেকে এসে সেখানে সমবেত হওয়া লোকজন ও ইস্রায়েল থেকে আসা তথা যিহূদায় বসবাসকারী বিদেশিরাও আনন্দ করল।
26 ২৬ এই ভাবে যিরূশালেমে খুব আনন্দ হল; ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের ছেলে শলোমনের পরে যিরূশালেমে আর এই ভাবে পর্ব পালন করা হয়নি।
জেরুশালেমে আনন্দের হাট বসে গেল, কারণ ইস্রায়েলের রাজা দাউদের ছেলে শলোমনের সময়ের পর থেকে, জেরুশালেমে এরকম আর কিছু কখনও হয়নি।
27 ২৭ পরে যে লেবীয়েরা যাজক ছিলেন তাঁরা দাঁড়িয়ে লোকদের আশীর্বাদ করলেন, আর তাঁদের প্রার্থনা শুনা গেল, কারণ তাঁদের প্রার্থনা স্বর্গে তাঁর পবিত্র জায়গা পৌঁছেছিল।
যাজক ও লেবীয়েরা প্রজাদের আশীর্বাদ করার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছিলেন, এবং ঈশ্বর তাদের কথা শুনেছিলেন, কারণ তাদের প্রার্থনা স্বর্গে, তাঁর সেই পবিত্র বাসস্থানে পৌঁছে গেল।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 30 >