< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 28 >

1 আহসের বয়স কুড়ি বছর ছিল যখন তিনি রাজত্ব করতে শুরু করেছিলেন এবং তিনি যিরূশালেমে ষোল বছর রাজত্ব করেছিলেন। তিনি তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদ যেমন করেছিলেন তেমন সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল তা তিনি করতেন না।
আহস কুড়ি বছর বয়সে রাজা হলেন, এবং জেরুশালেমে তিনি ষোলো বছর রাজত্ব করলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ দাউদের মতো তিনি সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো, তা করেননি।
2 তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের মতই চলতেন এবং বাল দেবতার জন্য তিনি ছাঁচে ঢেলে মূর্ত্তি তৈরী করিয়েছিলেন।
তিনি ইস্রায়েলের রাজাদের পথে চলেছিলেন এবং বায়াল-দেবতাদের পূজার্চনার জন্য তিনি প্রতিমার মূর্তিও তৈরি করলেন।
3 তিনি বিন্‌-হিন্নোমের ছেলের উপত্যকাতে ধূপ জ্বালাতেন এবং সদাপ্রভু যে সব জাতিকে ইস্রায়েলীয়দের সামনে থেকে দূর করে দিয়েছিলেন তাদের জঘন্য কাজের মতই তিনিও তাঁর ছেলেদের আগুনে পুড়িয়ে হোম উৎসর্গ করলেন।
বিন-হিন্নোম উপত্যকায় তিনি পশুবলি দিয়ে সেগুলি জ্বালিয়ে দিতেন এবং সদাপ্রভু যে পরজাতিদের ইস্রায়েলীদের সামনে থেকে দূর করে দিলেন, তাদেরই ঘৃণ্য প্রথানুসারে তিনি তাঁর নিজের সন্তানদের বলিরূপে উৎসর্গ করলেন।
4 তিনি উঁচু জায়গা গুলোতে, পাহাড়ের উপরে ও প্রত্যেকটি ডালপালা ছড়ানো সবুজ গাছের নীচে পশু উৎসর্গ করতেন ও ধূপ জ্বালাতেন।
প্রতিমাপুজোর উঁচু উঁচু স্থানগুলিতে, পাহাড়ের চূড়ায় ও ডালপালা বিস্তার করা প্রত্যেকটি গাছের তলায় তিনি বলি উৎসর্গ করলেন ও ধূপ জ্বালিয়েছিলেন।
5 সেইজন্যই আহসের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে অরামের রাজার হাতে তুলে দিলেন। অরামীয়েরা তাঁকে হারিয়ে দিল এবং তাঁর অনেক লোককে বন্দী করে দামেশকে নিয়ে গেল। আবার তিনি ইস্রায়েলের রাজার হাতেও আহসকে তুলে দিল। ইস্রায়েলের রাজা তাঁর অনেক লোককে মেরে ফেললেন।
তাই তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁকে অরামের রাজার হাতে সঁপে দিলেন। অরামীয়েরা তাঁকে পরাজিত করল এবং তাঁর প্রজাদের মধ্যে অনেককে বন্দি করল ও তাদের দামাস্কাসে নিয়ে গেল। তাঁকে সেই ইস্রায়েলের রাজার হাতেও সঁপে দেওয়া হল, যিনি তাঁর অনেক লোকজনকে মেরে ফেলেছিলেন।
6 কারণ রমলিয়ের ছেলে ইস্রায়েলের রাজা পেকহ একদিনের র মধ্যে যিহূদায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার সাহসী সৈন্যকে মেরে ফেললেন, কারণ যিহূদার লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ত্যাগ করেছিল।
রমলিয়ের ছেলে পেকহ একদিনেই যিহূদায় 1,20,000 সৈন্যকে হত্যা করলেন—কারণ যিহূদা তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে পরিত্যাগ করল।
7 আর সিখ্রি নামে একজন ইফ্রয়িমীয় শক্তিশালী যোদ্ধা রাজার ছেলে মাসেয়কে ও রাজবাড়ীর ভার পাওয়া কর্মচারী অস্রীকামকে এবং রাজার পরে দ্বিতীয় জায়গা যিনি ছিলেন সেই ইলকানাকে মেরে ফেলল।
ইফ্রয়িমীয় এক যোদ্ধা সিখ্রি রাজপুত্র মাসেয়কে, প্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক কর্মকর্তা অস্রীকামকে, এবং রাজার পর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইল্‌কানাকে হত্যা করল।
8 ইস্রায়েলীয়েরা তাদের জাতি ভাইদের মধ্য থেকে স্ত্রীলোক ও ছেলে মেয়েদের বন্দী করে নিয়ে গেল। তাদের সংখ্যা ছিল দুই লক্ষ। তারা অনেক জিনিসও লুট করে শমরিয়াতে নিয়ে গেল।
ইস্রায়েলের লোকেরা যিহূদায় বসবাসকারী তাদেরই জাতভাই ইস্রায়েলীদের কাছ থেকে স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে মোট দুই লাখ লোককে বন্দি করল। এছাড়াও তারা প্রচুর পরিমাণে লুটসামগ্রীও দখল করে সেগুলি শমরিয়ায় বয়ে নিয়ে গেল।
9 কিন্তু সেখানে ওদেদ নামে সদাপ্রভুর একজন ভাববাদী ছিলেন। সৈন্যদল যখন শমরিয়াতে ফিরে আসছিল তখন তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন এবং তাদের বললেন, “আপনাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিহূদার উপর ভীষণ অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে তিনি তাদের আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু রাগের চোটে আপনারা তাদের যেভাবে মেরে ফেলেছেন সেই কথা স্বর্গ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কিন্তু ওদেদ নামে সদাপ্রভুর একজন ভাববাদী সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এবং সৈন্যদল যখন শমরিয়ায় ফিরে এসেছিল, তখন তিনি তাদের সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাদের বললেন, “যেহেতু তোমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যিহূদার উপর ক্রুদ্ধ হলেন, তাই তিনি তাদের তোমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু রাগের বশে তোমরা এমনভাবে তাদের কোতল করেছ যে তার রেশ স্বর্গ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে।
10 ১০ আর এখন আপনারা যিহূদা ও যিরূশালেমের লোকদের আপনাদের দাস দাসী করে রাখতে চাইছেন। কিন্তু আপনাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে কি আপনারাও দোষী নন?
এখন আবার তোমরা যিহূদা ও জেরুশালেমের পুরুষ ও মহিলাদের ক্রীতদাস-দাসী করতে চাইছ। কিন্তু তোমরাও কি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে করা পাপের দোষে দোষী নও?
11 ১১ এখন আপনারা আমার কথা শুনুন। আপনাদের জাতি ও ভাইদের মধ্য থেকে যাদের আপনারা বন্দী করে নিয়ে এসেছেন তাদের আপনারা ফেরত পাঠিয়ে দিন, কারণ সদাপ্রভুর ভয়ঙ্কর ক্রোধ আপনাদের উপরে রয়েছে।”
এখন আমার কথা শোনো! তোমাদের জাতভাই যেসব ইস্রায়েলীকে তোমরা বন্দি করে এনেছ, তাদের ফেরত পাঠিয়ে দাও, কারণ সদাপ্রভুর ভয়ংকর ক্রোধ তোমাদের উপর অবস্থান করছে।”
12 ১২ তখন ইফ্রয়িমের কয়েকজন নেতা যেমন সেই নেতারা হলেন যিহোহাননের ছেলে অসরিয়, মশিল্লেমোতের ছেলে বেরিখিয়, শল্লুমের ছেলে যিহিষ্কিয় ও হদ্‌লয়ের ছেলে অমাসা এরা যুদ্ধ থেকে যারা ফিরে আসছিল তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন।
তখন ইফ্রয়িমের নেতাদের মধ্যে কয়েকজন—যিহোহাননের ছেলে অসরিয়, মশিল্লোমোতের ছেলে বেরিখিয়, শল্লুমের ছেলে যিহিষ্কিয়, ও হদলয়ের ছেলে অমাসা—সেই লোকদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, যারা যুদ্ধ করে ফিরে এসেছিল।
13 ১৩ তাঁরা তাদের বললেন, “ঐ বন্দীদের তোমরা এখানে আনবে না কারণ আমাদের পাপ ও দোষ সবার থেকে বেশি; আনলে আমরা সদাপ্রভুর কাছে দোষী হব। আমাদের পাপ ও দোষের সঙ্গে কি তোমরা আরও কিছু যোগ দিতে চাও? আমরা তো ভীষণভাবে দোষী হয়েই রয়েছি আর সদাপ্রভুর ভয়ঙ্কর ক্রোধ ইস্রায়েলের উপর রয়েছে।”
“তোমরা এই বন্দিদের এখানে আনবে না,” তারা বললেন, “তা না হলে আমরাই সদাপ্রভুর কাছে দোষী হয়ে যাব। আমরা যত পাপ ও অপরাধ করেছি, তার সাথে কি তোমরা এই পাপটিও যোগ করতে চাইছ? কারণ আমাদের পাপের পরিমাণ ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গিয়েছে, আর ইস্রায়েলের উপর তাঁর ক্রোধ অবস্থান করে আছে।”
14 ১৪ তখন সৈন্যেরা সেই নেতাদের ও সমস্ত লোকদের সামনে সেই বন্দীদের ও লুটের জিনিসগুলো রাখল।
অতএব সৈনিকরা বন্দিদের ও লুটসামগ্রীগুলি কর্মকর্তাদের ও সমগ্র জনসমাজের সামনে এনে রেখেছিল।
15 ১৫ পরে সেই লোকেরা লুটের জিনিস থেকে কাপড় চোপড় নিয়ে বন্দীদের মধ্যে যারা উলঙ্গ ছিল তাদের সবাইকে কাপড় পরালেন। তাঁরা তাদের কাপড় চোপড়, জুতা ও খাবার দিলেন এবং তাদের আঘাতের উপর তেল ঢেলে দিলেন। এবং দুর্বলদের তাঁরা গাধার উপর চড়িয়ে যিরীহোতে, অর্থাৎ খেজুর শহরে তাদের নিজের লোকদের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন। পরে তাঁরা শমরিয়াতে ফিরে গেলেন।
যাদের নামোল্লেখ করা হয়েছে, তারা লুটসামগ্রী থেকে কাপড়চোপড় নিয়ে বন্দিদের মধ্যে যাদের পরনে কাপড় ছিল না, তাদের উলঙ্গতা ঢেকে দিলেন। তারা তাদের কাপড়চোপড়, চটিজুতো, খাবারদাবার, ও ব্যথা কমানোর মলম দিলেন। যারা যারা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল ছিল, তাদের গাধার পিঠে বসিয়ে দেওয়া হল। এইভাবে তারা খেজুর গাছের নগর যিরীহোতে, তাদের জাতভাই ইস্রায়েলীদের কাছে তাদের পৌঁছে দিলেন, এবং পরে শমরিয়ায় ফিরে এলেন।
16 ১৬ সেই দিন রাজা আহস সাহায্য চাইবার জন্য অশূর রাজার কাছে লোক পাঠালেন।
সেই সময় রাজা আহস সাহায্য চেয়ে আসিরিয়ার রাজাদের কাছে লোক পাঠালেন।
17 ১৭ এর কারণ হল, ইদোমীয়েরা আবার এসে যিহূদা আক্রমণ করে লোকদের বন্দী করে নিয়ে গিয়েছিল।
ইদোমীয়েরা আবার এসে যিহূদাকে আক্রমণ করল এবং লোকদের বন্দি করে নিয়ে গেল,
18 ১৮ এদিকে আবার পলেষ্টীয়েরা তখন নীচু পাহাড়ী এলাকার গ্রামগুলোতে এবং যিহূদার দক্ষিণে অঞ্চলের নগরগুলি আক্রমণ করে নেগেভে হানা দিয়েছিল বৈৎ-শেমশ, অয়ালোন, গদেরোৎ এবং আশেপাশের জায়গা সুদ্ধ সোখো, তিম্না ও গিম্‌সো অধিকার করে নিয়ে সেই সব জায়গায় বাস করছিল।
অন্যদিকে আবার ফিলিস্তিনীরা পাহাড়ের পাদদেশে ও যিহূদার নেগেভে অবস্থিত নগরগুলিতে হানা দিয়েছিল। তারা বেত-শেমশ, অয়ালোন ও গদেরোতের সাথে সাথে সোখো, তিম্না ও গিমসো এবং সেখানকার চারপাশের গ্রামগুলিও দখল করে সেগুলিতে বসবাস করতে শুরু করল।
19 ১৯ কারণ রাজা আহসের জন্য সদাপ্রভু যিহূদাকে নীচু করেছিলেন, কারণ আহস যিহূদায় মন্দতা বৃদ্ধি পেতে দিয়েছিলেন এবং নিজে সদাপ্রভুর প্রতি খুব বেশী পাপ করেছিলেন।
ইস্রায়েল-রাজ আহসের জন্যই সদাপ্রভু যিহূদাকে নত করলেন, কারণ যিহূদায় আহস অসদাচারের উদ্যোক্তা হলেন এবং সদাপ্রভুর প্রতি সবচেয়ে বেশি অবিশ্বস্ত হলেন।
20 ২০ আরে অশূর রাজা তিগ্লৎ পিলনেষর তাঁর কাছে এসেছিলেন কিন্তু তিনি শক্তি বৃদ্ধির বদলে আহসকে কষ্টই দিলেন।
আসিরিয়ার রাজা তিগ্লৎ-পিলেষর তাঁর কাছে এলেন, কিন্তু তিনি আহসকে সাহায্য না করে বরং তাঁকে কষ্টই দিলেন।
21 ২১ তখন আহস সদাপ্রভুর ঘর থেকে এবং রাজবাড়ী থেকে এবং নেতাদের কাছ থেকে কিছু দামী জিনিসপত্র নিয়ে অশূর রাজাকে উপহার দিলেন, কিন্তু তাতে কিছু লাভ হল না।
সদাপ্রভুর মন্দির থেকে এবং রাজপ্রাসাদ থেকে ও কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আহস বেশ কিছু জিনিসপত্র নিয়ে সেগুলি আসিরিয়ার রাজাকে উপহার দিলেন, কিন্তু তাতেও তাঁর কোনও লাভ হয়নি।
22 ২২ তাঁর এই কষ্টের দিনের এই একই রাজা আহস সদাপ্রভুর প্রতি আরও বেশী পাপ করলেন।
তাঁর এই কষ্টের সময় রাজা আহস সদাপ্রভুর প্রতি আরও বেশি অবিশ্বস্ত হয়ে গেলেন।
23 ২৩ কারণ দম্মেশকের যে দেবতারা তাঁকে হারিয়ে দিয়েছিল, তিনি সেই দেবতাদের কাছে পশু বলিদান করলেন। তিনি বললেন, “অরামের রাজাদের দেবতারা তাঁদের সাহায্য করে, আর আমি সাহায্য পাবার জন্য সেই দেবতাদের কাছে পশু বলি দেব।” আর তারা আমাকেও সাহায্য করবেন কিন্তু সেই দেবতারাই হল তাঁর ও সমস্ত ইস্রায়েলের সর্বনাশের কারণ।
তিনি দামাস্কাসের সেই দেবতাদের কাছে বলি উৎসর্গ করলেন, যারা তাঁকে পরাজিত করল; কারণ তিনি ভেবেছিলেন, “যেহেতু অরামের রাজাদের দেবতারা তাদের সাহায্য করেছে, তাই আমিও তাদের কাছে বলি উৎসর্গ করব, যেন তারা আমাকেও সাহায্য করে।” কিন্তু তারাই তাঁর ও সমগ্র ইস্রায়েলের পতনের কারণ হল।
24 ২৪ পরে আহস ঈশ্বরের ঘরের জিনিসপত্রগুলি একত্রে জড়ো করে কেটে কেটে টুকরো করলেন। তিনি সদাপ্রভুর ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে দিলেন এবং যিরূশালেমের সমস্ত জায়গায় তিনি নিজের জন্য বেদী তৈরী করলেন।
আহস ঈশ্বরের মন্দির থেকে আসবাবপত্রাদি সংগ্রহ করে সেগুলি কেটে টুকরো টুকরো করে দিলেন। সদাপ্রভুর মন্দিরের দরজা তিনি বন্ধ করে দিলেন এবং জেরুশালেমের প্রত্যেকটি রাস্তার কোনায় কোনায় তিনি যজ্ঞবেদি খাড়া করে দিলেন।
25 ২৫ আর অন্য দেব দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাবার জন্য তিনি যিহূদার প্রত্যেকটি শহর ও গ্রামে পূজার জন্য উঁচু বেদী তৈরী করলেন, এই ভাবে তাঁর নিজের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুললেন।
যিহূদার প্রত্যেকটি নগরে অন্যান্য দেবতাদের উদ্দেশে বলির পশু পোড়ানোর জন্য তিনি পূজার্চনার উঁচু উঁচু স্থান তৈরি করে দিলেন এবং তাঁর পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ক্রোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।
26 ২৬ দেখো, আহসের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর সমস্ত চাল চলনের কথা “যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস” নামক বইটিতে লেখা আছে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, তাঁর রাজত্বকালের অন্যান্য সব ঘটনা ও তাঁর সব কাজকর্মের বিবরণ যিহূদা ও ইস্রায়েলের রাজাদের পুস্তকে লেখা আছে।
27 ২৭ পরে আহস তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লেন এবং তারা যিরূশালেম শহরে তাঁকে কবর দিল, কিন্তু তারা তাঁকে ইস্রায়েলের রাজাদের কবরের জায়গা নিয়ে যায় নি। তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে হিষ্কিয় রাজা হলেন।
আহস তাঁর পূর্বপুরুষদের সাথে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে জেরুশালেম নগরেই কবর দেওয়া হল, কিন্তু ইস্রায়েলের রাজাদের কবরে তাঁকে রাখা হয়নি। তাঁর ছেলে হিষ্কিয় রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 28 >