< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 18 >

1 যিহোশাফট প্রচুর ধনী ও সম্মানীয় হলেন, আর তিনি আহাবের সঙ্গে কুটুম্বিতা করলেন।
و یهوشافاط دولت و حشمت عظیمی داشت، و با اخاب مصاهرت نمود.۱
2 কয়েক বছর পরে তিনি শমরিয়াতে আহাবের কাছে গেলেন; আর আহাব তাঁর জন্য ও তাঁর সঙ্গী লোকদের জন্য অনেক ভেড়া ও বলদ মারলেন এবং রামোৎ-গিলিয়দে যেতে তাঁকে প্ররোচনা করলেন।
وبعد از چند سال نزد اخاب به سامره رفت و اخاب برای او و قومی که همراهش بودند گوسفندان وگاوان بسیار ذبح نمود و او را تحریض نمود که همراه خودش به راموت جلعاد برآید.۲
3 আর ইস্রায়েলের রাজা আহাব যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কি রামোৎ-গিলিয়দে আমার সঙ্গে যাবেন?” তিনি উত্তরে বললেন, “আমি ও আপনি এবং আমার লোক ও আপনার লোক, সবাই এক, আমরা আপনার সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেব।”
پس اخاب پادشاه اسرائیل به یهوشافاط پادشاه یهوداگفت: «آیا همراه من به راموت جلعاد خواهی آمد؟» او جواب داد که «من چون تو و قوم من چون قوم تو هستیم و همراه تو به جنگ خواهیم رفت.»۳
4 পরে যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “অনুরোধ করি, আজ সদাপ্রভুর বাক্যের খোঁজ করুন।”
و یهوشافاط به پادشاه اسرائیل گفت: «تمناآنکه امروز از کلام خداوند مسالت نمایی.»۴
5 তাতে ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদেরকে, চারশো জনকে, এক সাথে জড়ো করে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমরা রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, না আমি থেমে যাব?” তখন তারা বলল, “যান, ঈশ্বর ওটা মহারাজের হাতেই তুলে দেবেন।”
وپادشاه اسرائیل چهارصد نفر از انبیا جمع کرده، به ایشان گفت: «آیا به راموت جلعاد برای جنگ برویم یا من از آن باز ایستم؟» ایشان جواب دادند: «برآی و خدا آن را به‌دست پادشاه تسلیم خواهدنمود.»۵
6 কিন্তু যিহোশাফট বললেন, “এদের ছাড়া সদাপ্রভুর এমন কোনো ভাববাদী কি এখানে নেই যে, আমরা তার কাছেই খোঁজ করতে পারি?”
اما یهوشافاط گفت: «آیا در اینجا غیر ازاینها نبی‌ای از جانب یهوه نیست تا از او سوال نماییم؟»۶
7 ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমরা যার মধ্য দিয়ে সদাপ্রভুর খোঁজ করতে পারি, এমন আর একজন লোক আছে, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, কারণ সে আমার সম্বন্ধে কখনও মঙ্গলের নয়, সব দিন অমঙ্গলের কথাই বলে; সে ব্যক্তি যিম্লের ছেলে মীখায়।” যিহোশাফট বললেন, “মহারাজ, এমন কথা বলবেন না।”
و پادشاه اسرائیل به یهوشافاط گفت: «یک مرد دیگر هست که به واسطه او از خداوندمسالت توان کرد لیکن من از او نفرت دارم زیرا که درباره من به نیکویی هرگز نبوت نمی کند بلکه همیشه اوقات به بدی، و او میکایا ابن یملامی باشد.» و یهوشافاط گفت: «پادشاه چنین نگوید.»۷
8 তখন ইস্রায়েলের রাজা একজন কর্মচারীকে ডেকে আদেশ দিয়ে বললেন, “যিম্লের ছেলে মীখায়কে তাড়াতাড়ি নিয়ে এস।”
پس پادشاه اسرائیل یکی از خواجه‌سرایان خود را خوانده، گفت: «میکایا ابن یملا را به زودی حاضر کن.»۸
9 সেই দিন ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট নিজের নিজের রাজপোশাক পরে শমরিয়া শহরের দরজার কাছে খোলা জায়গায় তাঁদের সিংহাসনের উপরে বসে ছিলেন এবং তাঁদের সামনে ভাববাদীরা সবাই ভাববাণী করছিলেন।
و پادشاه اسرائیل ویهوشافاط پادشاه یهودا هر یکی لباس خود راپوشیده، بر کرسی خویش در جای وسیع نزددهنه دروازه سامره شسته بودند و جمیع انبیا به حضور ایشان نبوت می‌کردند.۹
10 ১০ আর কনানার ছেলে সিদিকিয় লোহার শিং তৈরী করে বলল, “সদাপ্রভু এই কথা বলছেন যে, ‘এটা দিয়েই আপনি অরামের ধ্বংসের দিন পর্যন্ত গুঁতাতে থাকবেন।’”
و صدقیا ابن کنعنه شاخهای آهنین برای خود ساخته، گفت: «یهوه چنین می‌گوید: ارامیان را با اینها خواهی زدتا تلف شوند.»۱۰
11 ১১ আর ভাববাদীরা সবাই একই রকম ভাববাণী করে বলল, “আপনি রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করুন, তা জয় করে নিন, কারণ সদাপ্রভু সেটা মহারাজের হাতে তুলে দেবেন।”
و جمیع انبیا نبوت کرده، می‌گفتند: «به راموت جلعاد برآی و فیروز شوزیرا که خداوند آن را به‌دست پادشاه تسلیم خواهد نمود.»۱۱
12 ১২ আর যে দূত মীখায়কে ডাকতে গিয়েছিল সে তাঁকে বলল, “দেখুন, সব ভাববাদীই একবাক্যে রাজার সফলতার কথা বলছে; তাই অনুরোধ করি, আপনার কথাও যেন তাঁদের কথার মতই হয়, আপনি মঙ্গলের কথা বলুন।”
و قاصدی که برای طلبیدن میکایا رفته بوداو را خطاب کرده، گفت: «اینک انبیا به یک زبان درباره پادشاه نیکو می‌گویند پس کلام تو مثل کلام یکی از ایشان باشد و سخن نیکو بگو.»۱۲
13 ১৩ মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমার ঈশ্বর যা বলেন, আমিও তাই বলব।”
میکایا جواب داد: «به حیات یهوه قسم که هر‌آنچه خدای من مرا گوید همان را خواهم گفت.»۱۳
14 ১৪ পরে তিনি রাজার কাছে এলে রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা কি রামোৎ-গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, নাকি থেমে যাব?” তিনি বললেন, “আপনারা যান, জয়লাভ করুন, সেখানকার লোকদের আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।”
پس چون نزد پادشاه رسید، پادشاه وی راگفت: «ای میکایا، آیا به راموت جلعاد برای جنگ برویم یا من از آن بازایستم.» او گفت: «برآیید و فیروز شوید، و به‌دست شما تسلیم خواهند شد.»۱۴
15 ১৫ রাজা তাঁকে বললেন, “তুমি সদাপ্রভুর নামে সত্যি কথা ছাড়া আর কিছু বলবে না, কতবার আমি তোমাকে এই শপথ করাবো?”
پادشاه وی را گفت: «من چندمرتبه تو را قسم بدهم که به اسم یهوه غیر از آنچه راست است به من نگویی.»۱۵
16 ১৬ তখন তিনি উত্তরে বললেন, “আমি সমস্ত ইস্রায়েলকে রাখালহীন ভেড়ার মত পাহাড়ের উপরে ছড়িয়ে পড়তে দেখলাম এবং সদাপ্রভু বললেন, ‘এদের কোনো মনিব নেই; তারা সবাই শান্তিতে নিজের বাড়িতে ফিরে যাক।’”
او گفت: «تمامی اسرائیل را مثل گوسفندانی که شبان ندارند برکوهها پراکنده دیدم و خداوند گفت اینها صاحب ندارند پس هر کس به سلامتی به خانه خودبرگردد.»۱۶
17 ১৭ তখন ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফট বললেন, “আমি কি আপনাকে আগেই বলি নি যে, এই ব্যক্তি আমার সম্বন্ধে অমঙ্গল ছাড়া মঙ্গলের কথা বলে না?”
و پادشاه اسرائیل به یهوشافاط گفت: «آیا تو را نگفتم که درباره من به نیکویی نبوت نمی کند بلکه به بدی.»۱۷
18 ১৮ আর মীখায় বললেন, “তাই আপনারা সদাপ্রভুর কথা শুনুন; আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন, আর তাঁর ডান ও বাঁ দিকে সমস্ত বাহিনী দাঁড়িয়ে আছে।
او گفت: «پس کلام یهوه را بشنوید: من یهوه را بر کرسی خود نشسته دیدم، و تمامی لشکر آسمان را که به طرف راست و چپ وی ایستاده بودند.۱۸
19 ১৯ তখন সদাপ্রভু বললেন, ‘ইস্রায়েলের রাজা আহাব যেন রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করে সেখানে মারা যায়, এই জন্য কে তাকে মুগ্ধ করবে?’ তখন এক একজন এক এক রকম কথা বলল।
و خداوند گفت: “کیست که اخاب پادشاه اسرائیل را اغوا نماید تا برود و درراموت جلعاد بیفتد؟ یکی جواب داده به اینطورسخن راند و دیگری به آنطور تکلم نمود.۱۹
20 ২০ শেষে একটি আত্মা গিয়ে সদাপ্রভুর সামনে দাঁড়িয়ে বলল, ‘আমি তাকে মুগ্ধ করব।’
و آن روح (پلید) بیرون آمده، به حضور خداوندبایستاد و گفت: من او را اغوا می‌کنم و خداوندوی را گفت: به چه چیز؟۲۰
21 ২১ সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেমন করে করবে?’ সে বলল, ‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা হব।’ সদাপ্রভু বললেন, ‘তুমিই তাকে মুগ্ধ করতে সফল হবে; তুমি গিয়ে তাই কর।’
او جواب داد که من بیرون می‌روم و در دهان جمیع انبیایش روح کاذب خواهم بود. او فرمود: وی را اغوا خواهی کرد و خواهی توانست، پس برو و چنین بکن.۲۱
22 ২২ এইজন্যই সদাপ্রভু এখন তাঁর এই ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা দিয়েছেন; আর সদাপ্রভু আপনার অমঙ্গলের কথা বলেছেন।”
پس الان هان، یهوه روحی کاذب در دهان این انبیای تو گذاشته است و خداوند درباره تو سخن بد گفته است.»۲۲
23 ২৩ তখন কনানার ছেলে সিদিকিয়র কাছে গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরে বলল, “সদাপ্রভুর আত্মা তোর সঙ্গে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে কোনো পথে গিয়েছিলেন?”
آنگاه صدقیا ابن کنعنه نزدیک آمده، به رخسار میکایا زد و گفت: «به کدام راه روح خداوند از نزد من به سوی تو رفت تا با تو سخن گوید؟»۲۳
24 ২৪ মীখায় বললেন, “দেখ, যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য একটি ভিতরের কুঠরীতে যাবে, সেদিন তা জানবে।”
میکایا جواب داد: «اینک در روزی که به حجره اندرونی داخل شده، خود را پنهان کنی آن را خواهی دید.»۲۴
25 ২৫ পরে ইস্রায়েলের রাজা বললেন, “মীখায়কে ধরে পুনরায় নগরের শাসনকর্ত্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে নিয়ে যাও।
و پادشاه اسرائیل گفت: «میکایا را بگیرید و او را نزد آمون، حاکم شهر ویوآش، پسر پادشاه ببرید.۲۵
26 ২৬ আর বল, রাজা বলেছেন, ‘একে জেলে আটকে রাখ এবং যতক্ষণ আমি নিরাপদে ফিরে না আসি, ততক্ষণ একে খাওয়ার জন্য অল্প জল ও অল্প খাবার দিও’।”
و بگویید پادشاه چنین می‌فرماید: این شخص را در زندان بیندازیدو او را به نان تنگی و آب تنگی بپرورانید تا من به سلامتی برگردم.»۲۶
27 ২৭ মীখায় বললেন, “যদি আপনি কোনো ভাবে নিরাপদে ফিরে আসেন, তবে জানবেন সদাপ্রভু আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “লোকেরা, তোমরা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখ।”
میکایا گفت: «اگر فی الواقع به سلامتی مراجعت کنی، یهوه با من تکلم ننموده است؛ و گفت‌ای قوم همگی شما بشنوید.»۲۷
28 ২৮ পরে ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রামোৎ-গিলিয়দ আক্রমণ করতে গেলেন।
پس پادشاه اسرائیل و یهوشافاط پادشاه یهودا به راموت جلعاد برآمدند.۲۸
29 ২৯ আর ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি ছদ্দবেশে যুদ্ধে যোগ দেব, আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” পরে ইস্রায়েলের রাজা ছদ্মবেশে যুদ্ধ করতে গেলেন।
و پادشاه اسرائیل به یهوشافاط گفت: من خود را متنکرساخته، به جنگ می‌روم اما تو لباس خود رابپوش.» پس پادشاه اسرائیل خویشتن را متنکرساخت و ایشان به جنگ رفتند.۲۹
30 ৩০ অরামের রাজা তাঁর রথগুলির সেনাপতিদের এই আদেশ দিয়েছিলেন, “তোমরা একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া ছোট কি বড় আর কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবে না।”
و پادشاه ارام سرداران ارابه های خویش را امر فرموده، گفت: «نه با کوچک و نه با بزرگ بلکه با پادشاه اسرائیل فقط جنگ نمایید.»۳۰
31 ৩১ পরে রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে তিনি নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের রাজা, এই বলে তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ঘুরে এলেন; তখন যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন, আর সদাপ্রভু তাঁকে সাহায্য করলেন এবং ঈশ্বর তার কাছ থেকে চলে গেল।
و چون سرداران ارابه هایهوشافاط را دیدند گمان بردند که این پادشاه اسرائیل است، پس مایل شدند تا با او جنگ نمایند و یهوشافاط فریاد برآورد و خداوند او رااعانت نمود و خدا ایشان را از او برگردانید.۳۱
32 ৩২ ফলে সেনাপতিরা যখন দেখলেন, তিনি ইস্রায়েলের রাজা নন, তখন তাঁরা আর তাঁর পিছনে তাড়া না করে ফিরে আসলেন।
وچون سرداران ارابه‌ها را دیدند که پادشاه اسرائیل نیست، از تعاقب او برگشتند.۳۲
33 ৩৩ কিন্তু একজন লোক লক্ষ্য স্থির না করেই তার ধনুকে টান দিয়ে ইস্রায়েলের রাজার বুক ও পেটের বর্মের মাঝামাঝি জায়গায় আঘাত করল; তাতে তিনি তাঁর রথচালককে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে সৈন্যদলের মধ্যে থেকে আমাকে নিয়ে যাও, আমি খুব আঘাত পেয়েছি।”
اما کسی کمان خود را بدون غرض کشیده، پادشاه اسرائیل را میان وصله های زره زد، و او به ارابه ران خود گفت: «دست خود را بگردان و مرا از لشکر بیرون ببرزیرا که مجروح شدم.»۳۳
34 ৩৪ সেই দিন ভীষণ যুদ্ধ হল; আর ইস্রায়েলের রাজা অরামীয়দের মুখোমুখি সন্ধ্যা পর্যন্ত রথের মধ্যে বসে থাকলেন, কিন্তু সূর্য্য ডুবে যাবার দিন তিনি মারা গেলেন।
و در آن روز جنگ سخت شد و پادشاه اسرائیل را در ارابه‌اش به مقابل ارامیان تا وقت عصر برپا داشتند و در وقت غروب آفتاب مرد.۳۴

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 18 >