< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 14 >

1 পরে অবিয়র মৃত্যু হলো এবং তাকে তাঁর পূর্বপুরুষদের স্থানে দায়ূদ নগরে তাকে কবর দেওয়া হলো। আর তাঁর ছেলে আসা তাঁর জায়গায় রাজা হলেন; তাঁর দিনের দশ বছর দেশে শান্তি ছিল।
অবিয় তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে চিরবিশ্রামে শায়িত হলেন এবং তাঁকে দাউদ-নগরে কবর দেওয়া হল। তাঁর ছেলে আসা রাজারূপে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন, এবং তাঁর রাজত্বকালে দশ বছর দেশে শান্তি বজায় ছিল।
2 আসা তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর চোখে যা ভাল ও সঠিক, তাই করতেন;
আসা, তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে যা যা ভালো ও উপযুক্ত, তাই করলেন।
3 তিনি অইহুদীদের যজ্ঞবেদি ও উঁচু জায়গা গুলি ধ্বংস করলেন, থামগুলি ভেঙে চুরমার করলেন ও আশেরা-মূর্তিগুলি কেটে ফেললেন;
তিনি বিজাতীয় যজ্ঞবেদি ও পূজার্চনার উঁচু স্থানগুলি উপড়ে ফেলেছিলেন, পবিত্র পাথরগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলেন এবং আশেরার খুঁটিগুলি কেটে নামিয়েছিলেন।
4 আর তিনি যিহূদার লোকেদেরকে তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলতে এবং তাঁর ব্যবস্থা ও আদেশ পালন করতে আদেশ দিলেন।
তিনি যিহূদার লোকজনকে আদেশ দিলেন, তারা যেন তাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করে এবং তাঁর বিধান ও আজ্ঞা মেনে চলে।
5 আর তিনি যিহূদার সব নগরের মধ্যে থেকে উঁচু জায়গা গুলি ও সূর্য্য প্রতিমাগুলি ধ্বংস করলেন; আর তাঁর অধীনে রাজ্যে শান্তি ছিল।
যিহূদার প্রত্যেকটি নগরে তিনি পূজার্চনার উঁচু স্থান ও ধূপবেদিগুলি উপড়ে ফেলেছিলেন, এবং তাঁর অধীনে রাজ্যে শান্তি বজায় ছিল।
6 আর তিনি যিহূদা দেশে প্রাচীরে ঘেরা কয়েকটি নগর গাঁথলেন, কারণ দেশে শান্তি ছিল এবং কয়েক বছর পর্যন্ত কেউ তাঁর সঙ্গে যুদ্ধ করল না, কারণ ঈশ্বর তাঁকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন।
যেহেতু দেশে শান্তি বজায় ছিল, তাই তিনি যিহূদায় কয়েকটি সুরক্ষিত নগর গড়ে তুলেছিলেন। সেই সময়, কয়েক বছর কেউ তাঁর সাথে যুদ্ধ করেননি, কারণ সদাপ্রভু তাঁকে বিশ্রাম দিলেন।
7 অতএব তিনি যিহূদাকে বললেন, “এস, আমরা এই নগরগুলি গাঁথি এবং তার চারপাশে প্রাচীর, দুর্গ, দরজা ও অর্গল তৈরী করি; দেশ তো এখনও আমাদের হাতে আছে, কারণ আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর ইচ্ছামত চলেছি, আমরা তাঁর ইচ্ছামত চলেছি, আর তিনি সব দিক থেকেই আমাদের বিশ্রাম দিয়েছেন।” এই ভাবে তারা নগরগুলি গাঁথার কাজ ভালো ভাবে শেষ করল।
“এসো, আমরা এই নগরগুলি গড়ে তুলি,” তিনি যিহূদার লোকজনকে বললেন, “আর সেগুলির চারপাশে দেয়াল গেঁথে দিই, এবং মিনার, দরজা ও খিলও গড়ে দিই। দেশ এখনও আমাদেরই অধিকারে আছে, যেহেতু আমরা আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর অন্বেষণ করেছি; আমরা তাঁর অন্বেষণ করেছি এবং সবদিক থেকেই তিনি আমাদের বিশ্রাম দিয়েছেন।” অতএব তারা নগরগুলি গড়ে তুলেছিল এবং সফলও হল।
8 আসার ঢাল ও বর্শাধারী অনেক সৈন্য ছিল, যিহূদার তিন লক্ষ ও বিন্যামীনের ঢাল ও ধনুকধারী দুই লক্ষ আশি হাজার; এরা সবাই বলবান বীর ছিল।
আসার কাছে যিহূদা গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা এমন তিন লাখ সৈন্য ছিল, যারা বড়ো বড়ো ঢাল ও বর্শায় সুসজ্জিত ছিল, এবং বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত এলাকা থেকে আসা এমন দুই লাখ আশি হাজার সৈন্য ছিল, যারা ছোটো ছোটো ঢাল ও ধনুকে সুসজ্জিত ছিল। এরা সবাই ছিল সাহসী যোদ্ধা।
9 পরে কূশ দেশের সেরহ দশ লক্ষ সৈন্য ও তিনশো রথ সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বের হয়ে মারেশা পর্যন্ত এলেন।
কূশীয় সেরহ তাদের বিরুদ্ধে দশ লাখ সৈন্য এবং তিনশো রথ নিয়ে কুচকাওয়াজ করে বেরিয়ে এসেছিল, ও একেবারে মারেশা পর্যন্ত পৌঁছে গেল।
10 ১০ তাতে আসা তাঁর বিরুদ্ধে বের হলেন। তারা মারেশার কাছে সফাথা উপত্যকায় সৈন্য সাজালেন।
আসা তার সাথে সম্মুখসমরে নেমেছিলেন, এবং মারেশার কাছে সফাথা উপত্যকায় যুদ্ধক্ষেত্রে তারা নিজের নিজের অবস্থান নিয়েছিলেন।
11 ১১ তখন আসা তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “হে সদাপ্রভু, তুমি ছাড়া এমন আর কেউ নেই, যে বলবানের ও বলহীনের মধ্যে সাহায্য করে; হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমাদের সাহায্য কর; কারণ আমরা তোমার উপরেই নির্ভর করি এবং তোমারই নামে এই বিশাল সৈন্যদলের বিরুদ্ধে এসেছি। হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের ঈশ্বর, তোমার বিরুদ্ধে মানুষকে জয়লাভ করতে দিয়ো না।”
তখন আসা তাঁর ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ডেকে বললেন, “হে সদাপ্রভু, শক্তিশালীর বিরুদ্ধে শক্তিহীনকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তোমার মতো আর কেউ নেই। হে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি আমাদের সাহায্য করো, কারণ আমরা তোমারই উপর নির্ভর করে আছি, এবং এই বিশাল সৈন্যদলের বিরুদ্ধে আমরা তোমার নামেই এগিয়ে এসেছি। হে সদাপ্রভু, তুমিই আমাদের ঈশ্বর; নিছক মরণশীল মানুষ যেন তোমার বিরুদ্ধে জিততে না পারে।”
12 ১২ তখন সদাপ্রভু আসার ও যিহূদার সামনে কূশীয়দেরকে আঘাত করলেন, আর কূশীয়েরা পালিয়ে গেল।
আসা ও যিহূদার সামনে সদাপ্রভু সেই কূশীয়দের আঘাত করলেন। কূশীয়েরা পালিয়ে গেল,
13 ১৩ আর আসা ও তাঁর সঙ্গীরা গরার পর্যন্ত তাদের তাড়া করে নিয়ে গেলেন, তাতে এত কূশীয় মারা পড়ল যে, তারা আর শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারল না; কারণ সদাপ্রভুর ও তাঁর সৈন্যদলের সামনে তারা শেষ হয়ে গেল এবং লোকেরা প্রচুর লুটের জিনিস নিয়ে আসল।
এবং আসা ও তাঁর সৈন্যদল একেবারে গরার পর্যন্ত তাদের পিছু ধাওয়া করে গেলেন। এত বেশি সংখ্যায় কূশীয়েরা মারা পড়েছিল, যে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি; তারা সদাপ্রভুর ও তাঁর সৈন্যদলের সামনে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল। যিহূদার লোকজন প্রচুর পরিমাণে লুটসামগ্রী তুলে নিয়ে এসেছিল।
14 ১৪ আর তারা গরারের চারপাশের সমস্ত নগরকে আঘাত করল, কারণ সদাপ্রভুকে তারা ভীষণ ভয় করেছিল; আরও তারা এই সব নগর লুট করল, কারণ সেখানে লুট করবার মত অনেক জিনিস ছিল।
গরারের চারপাশের সব গ্রাম তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল, কারণ সদাপ্রভুর আতঙ্ক তাদের উপর এসে পড়েছিল। তারা সেইসব গ্রামে লুটপাট চালিয়েছিল, যেহেতু সেখানে প্রচুর লুটসামগ্রী পড়েছিল।
15 ১৫ আর তারা পশুপালকদের তাঁবুগুলিও আঘাত করল এবং প্রচুর পরিমাণে ভেড়া, ছাগল ও উট নিয়ে যিরূশালেমে ফিরে এল।
এছাড়া তারা রাখালদের শিবিরগুলিতেও আক্রমণ চালিয়েছিল এবং পালে পালে মেষ, ছাগল ও উট তুলে নিয়ে এসেছিল। পরে তারা জেরুশালেমে ফিরে গেল।

< বংশাবলির দ্বিতীয় খণ্ড 14 >