< ১ম তীমথি 6 >

1 যে সব লোক যোঁয়ালীর অধীনে দাস তাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হয়, তারা নিজের নিজের মনিবদের সম্পূর্ণ সম্মান পাবার যোগ্য বলে মনে করুক, যেন ঈশ্বরের নামের নিন্দা এবং শিক্ষার নিন্দা না হয়।
যারা ক্রীতদাসত্বের জোয়ালে আবদ্ধ, তারা তাদের প্রভুকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার যোগ্য বলে মনে করুক, যেন ঈশ্বরের নাম এবং আমাদের শিক্ষার নিন্দা না হয়।
2 আর যাদের বিশ্বাসী মনিব আছে তাদেরকে তুচ্ছ না করুক, কারণ তারা তাদের ভাই; বরং আরও যত্নে দাসের কাজ করুক, কারণ যারা সেই ভালো ব্যবহারে উপকার পাচ্ছেন, তারা বিশ্বাসী ও প্রিয়পাত্র।
যাদের মনিবরা বিশ্বাসী, প্রভুতে ভাই হওয়ার কারণে সেই মনিবদের প্রতি তাদের যেন শ্রদ্ধার অভাব না দেখা যায়। বরং, আরও ভালোভাবে তারা তাঁদের সেবা করবে, কারণ যাঁরা তাদের সেবার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে, তাঁরাও বিশ্বাসী এবং তাদের প্রিয়জন। এই সমস্ত বিষয় তুমি তাদের শিক্ষা দাও এবং অনুনয় করো।
3 এই সব শিক্ষা দাও এবং উপদেশ দাও। যদি কেউ অন্য বিষয়ে শিক্ষা দেয় এবং সত্য উপদেশ, অর্থাৎ আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বাক্য ও ভক্তির শিক্ষা স্বীকার না করে,
কেউ যদি ভ্রান্ত ধর্মশিক্ষা দেয় এবং আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের অভ্রান্ত নির্দেশ ও ঐশ্বরিক শিক্ষার সঙ্গে একমত না হয়,
4 তবে সে অহঙ্কারে অন্ধ, কিছুই জানে না, কিন্তু ঝগড়া ও তর্কাতর্কির বিষয়ে রোগাক্রান্ত হয়েছে; এসবের ফল হিংসা, দ্বন্দ্ব, ঈশ্বরনিন্দা,
তাহলে সে গর্বে অন্ধ ও নির্বোধ। ঝগড়া ও তর্কবিতর্কের প্রতিই তার অকারণ আগ্রহ, ফলে সৃষ্টি হয় ঈর্ষা, বিবাদ, বিদ্বেষপূর্ণ কথাবার্তা, হীন সন্দেহ;
5 কুসন্দেহ এবং নষ্ট বিবেক ও সত্য থেকে সরে গিয়েছে এ ধরনের লোকেরা ভক্তিকে লাভের উপায় বলে মনে করে।
এবং কলুষিতমনা লোকদের মধ্যে সৃষ্টি হয় অবিরত দ্বন্দ্ব। তারা সত্যভ্রষ্ট হয়েছে এবং ভক্তিকে তারা অর্থলাভের উপায় বলে মনে করে।
6 কিন্তু আসলে, পরিতৃপ্ত মনে ভক্তি নিয়ে চললে মহালাভ হয়
প্রকৃতপক্ষে ভক্তি মহালাভজনক, যদি তার সঙ্গে থাকে পরিতৃপ্তি;
7 কারণ আমরা জগতে কিছুই সঙ্গে করে আনিনি, কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারব না;
কারণ এ জগতে আমরা কিছুই আনিনি এবং এখান থেকে কিছু নিয়েও যেতে পারি না।
8 বদলে আমরা খাবার ও জামা কাপড়েই সন্তুষ্ট থাকব।
কিন্তু যদি আমাদের অন্নবস্ত্রের সংস্থান থাকে, তাহলে তাতেই আমরা সন্তুষ্ট থাকব।
9 কিন্তু যারা ধনী হতে চায়, তারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানা ধরনের বোকামি ও অনিষ্টকর ইচ্ছায় পড়ে যায়, সে সব মানুষদেরকে ধ্বংসে ও বিনাশে মগ্ন করে।
যারা ধনী হতে চায়, তারা প্রলোভনে পড়ে। তারা বহু অবোধ ও ক্ষতিকর বাসনার ফাঁদে পড়ে, যা মানুষকে বিনাশ ও ধ্বংসের গর্তে ছুঁড়ে দেয়।
10 ১০ কারণ টাকা পয়সায় প্রেমী হলো সব খারাপের একটা মূল; তাতে আসক্তি হওয়ায় কিছু লোক বিশ্বাস থেকে সরে গিয়েছে এবং অনেক যন্ত্রণার কাঁটায় নিজেরা নিজেদেরকে বিদ্ধ করেছে।
কারণ অর্থের প্রতি আসক্তি সকল প্রকার অনর্থের মূল। অর্থলোভী কিছু মানুষ বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হয়েছে ও গভীর দুঃখে নিজেদের বিদ্ধ করেছে।
11 ১১ কিন্তু তুমি, হে ঈশ্বরের লোক, এই সব থেকে পালিয়ে যাও এবং ধার্ম্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাসে, প্রেম, ধৈর্য্য, নরম স্বভাব, এই সবের অনুসরণ কর।
তুমি কিন্তু ঈশ্বরের লোক, এসব বিষয় থেকে পালিয়ে যাও এবং ধার্মিকতা, ভক্তি, বিশ্বাস, ভালোবাসা, ধৈর্য এবং মৃদুতার অনুসরণ করো।
12 ১২ বিশ্বাসের জন্য যুদ্ধে প্রাণপন চেষ্টা কর; অনন্ত জীবন ধরে রাখ; তারই জন্য তোমাকে ডেকেছে এবং অনেক সাক্ষীর সামনে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করেছ। (aiōnios g166)
তুমি বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে সংগ্রাম করো। অনন্ত জীবনে প্রতিষ্ঠিত থাকো, কারণ এরই জন্য তোমাকে আহ্বান করা হয়েছে এবং বহু সাক্ষীর সামনে তোমার উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করেছ। (aiōnios g166)
13 ১৩ সবার প্রাণরক্ষার ঈশ্বরের সামনে এবং যিনি পন্তীয় পীলাতের কাছে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সেই খ্রীষ্ট যীশুর সামনে, আমি তোমাকে এই নির্দেশ দিচ্ছি,
যিনি সকলকে জীবন দান করেন, সেই ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ও খ্রীষ্ট যীশুর দৃষ্টিতে, যিনি পন্তীয় পীলাতের দরবারে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় উত্তম স্বীকারোক্তি করেছিলেন, আমি তোমাকে আদেশ দিচ্ছি,
14 ১৪ তুমি প্রভুর আদেশ পবিত্র ও ত্রূটিহীন রাখ; প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন না হওয়া পর্যন্ত,
আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের আগমনের পূর্ব পর্যন্ত এই আজ্ঞা নিষ্কলঙ্ক ও অনিন্দনীয়রূপে পালন করো,
15 ১৫ যা পরমধন্য ও একমাত্র পরাক্রমশালী রাজা যিনি রাজত্ব করেন এবং প্রভু যিনি শাসন করেন, উপযুক্ত দিনের প্রকাশ করবেন;
যা ঈশ্বর তাঁর উপযুক্ত সময়ে প্রদর্শন করবেন—যিনি পরমধন্য, একমাত্র সম্রাট, রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু,
16 ১৬ যিনি অমরতার একমাত্র অধিকারী, এমন আলোর নিবাসী, যাকে মানুষদের মধ্যে কেউ, কখনও দেখতে পায়নি, দেখতে পাবেওনা; তাঁরই সম্মান ও অনন্তকালস্থায়ী পরাক্রম হোক। আমেন। (aiōnios g166)
একমাত্র অমর, অগম্য জ্যোতির মাঝে যাঁর অবস্থান, যাঁকে কেউ কখনও দেখেনি এবং দেখতেও পারে না—তাঁরই প্রতি হোক সমাদর এবং চিরস্থায়ী পরাক্রম। আমেন। (aiōnios g166)
17 ১৭ যারা এই যুগে ধনবান তাদেরকে এই নির্দেশ দাও, যেন তারা অহঙ্কারী না হয় এবং অস্থায়ী ধনের উপরে নির্ভর করে নয়, কিন্তু যিনি ধনবানের মত সবই আমাদের প্রয়োজনের জন্য জুগিয়ে দেন, সেই ঈশ্বরের উপরে আশা কর; (aiōn g165)
এই বর্তমান জগতে যারা ধনবান, তাদের আদেশ দাও, তারা যেন উদ্ধত না হয়, তাদের অনিশ্চিত সম্পদের উপরে তারা যেন আশাভরসা না করে, কিন্তু ঈশ্বরের উপরে প্রত্যাশা রাখে, যিনি আমাদের উপভোগের জন্য সবকিছুই সম্পূর্ণরূপে জুগিয়ে দেন। (aiōn g165)
18 ১৮ যেন পরের উপকার করে, ভালো কাজের ধনে ধনবান হয়, দানশীল হয়, সমান ভাগ করতে প্রস্তুত হয়;
তাদের সৎকর্ম করতে আদেশ দাও, তারা যেন ভালো কাজে সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারে, দানশীল হয় এবং নিজেদের সম্পদ অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ইচ্ছুক হয়।
19 ১৯ এই ভাবে তারা নিজেদের জন্য ভবিষ্যৎ এর জন্য ভালো ভিত্তির মত একটা নিয়মাবলী প্রস্তুত করুক, যেন, যা সত্যিকারের জীবন, তাই ধরে রাখতে পারে।
এভাবে তারা নিজেদের জন্য ধন সঞ্চয় করে তাদের ভবিষ্যতে দৃঢ় ভিত্তিমূল স্থাপন করবে এবং যা প্রকৃতই জীবন, সেই জীবন ধরে রাখতে পারবে।
20 ২০ হে তীমথিয়, যা রক্ষা করার জন্য তোমাকে দেওয়া হয়েছে, তা সাবধানে রাখ; যা তথাকথিত বিদ্যা নামে আখ্যাত, তার ভক্তিহীন অসার কথাবার্তার ও তর্ক থেকে দূরে থাক;
তিমথি, তোমার তত্ত্বাবধানে যা দেওয়া হয়েছে, তা সযত্নে রক্ষা করো। অসার বাক্যালাপ এবং বিরুদ্ধ মতবাদ থেকে দূরে থেকো, যা ভ্রান্তিরূপে “জ্ঞান” বলে অভিহিত।
21 ২১ সেই বিদ্যা গ্রহণ করে কেউ কেউ বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেছে। অনুগ্রহ তোমাদের সঙ্গে থাকুক।
কিছু মানুষ তা স্বীকার করেছে, এর ফলে বিশ্বাস থেকে বিচ্যুত হয়েছে। অনুগ্রহ তোমাদের সহবর্তী হোক।

< ১ম তীমথি 6 >