< শমূয়েলের প্রথম বই 9 >

1 বিন্যামীন গোষ্ঠীর একজন লোক ছিলেন, তাঁর নাম কীশ। তিনি অবীয়েলের ছেলে, ইনি সরোরের ছেলে, ইনি বখোরতের ছেলে, ইনি অফীহের ছেলে। কীশ একজন বিন্যামীনীয় বলবান বীর ছিলেন৷
সেখানে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত বিন্যামীন বংশীয় একজন ব্যক্তি ছিলেন, যাঁর নাম কীশ। কীশ অবীয়েলের ছেলে, অবীয়েল সরোরের ছেলে, সরোর বখোরতের ছেলে, বখোরত বিন্যামীন বংশীয় অফিয়ের ছেলে ছিলেন।
2 আর শৌল নামে তাঁর একটি ছেলে ছিল; তিনি যুবক ও দেখতে সুন্দর ছিলেন; ইস্রায়েলীয়দের মধ্যে তাঁর থেকে বেশি সুন্দর আর কোন পুরুষ ছিল না, তিনি অন্য সমস্ত লোকদের থেকে লম্বা ছিলেন, সবাই তাঁর কাঁধ পর্যন্ত ছিল।
কীশের এক ছেলে ছিল, যাঁর নাম শৌল। তিনি এত সুদর্শন ছিলেন যে ইস্রায়েল দেশে কোথাও তাঁর মতো একজনও যুবক খুঁজে পাওয়ার উপায় ছিল না, এবং তিনি অন্য সবার চেয়ে বেশ কিছুটা লম্বা ছিলেন।
3 একদিন শৌলের বাবা কিসের যে সব গাধী ছিল সেগুলো হারিয়ে গেল, তাতে কীশ তাঁর ছেলে শৌলকে বললেন, “তুমি একজন চাকরকে সঙ্গে নাও, ওঠ ও গাধীগুলো খুঁজতে যাও।”
শৌলের বাবা কীশের কয়েকটি গাধি হারিয়ে গিয়েছিল, তাই কীশ তাঁর ছেলে শৌলকে বললেন, “দাসদের মধ্যে একজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে গাধিগুলির খোঁজ করো।”
4 তাতে তিনি ইফ্রয়িমের পাহাড়ী এলাকা দিয়ে ভ্রমণ করে শালিশা এলাকার মধ্য দিয়ে গিয়ে, শালীম প্রদেশ দিয়ে গেলেন, সেখানেও নেই। পরে তিনি বিন্যামীনীয়দের এলাকায় গেলেন, কিন্তু তাঁরা সেখানেও পেলেন না।
তাই তিনি ইফ্রয়িমের পার্বত্য এলাকা হয়ে শালিশা অঞ্চলে এক চক্কর ঘুরে এলেন, কিন্তু সেগুলির খোঁজ পেলেন না। তখন তাঁরা শালীম প্রদেশ পর্যন্ত গেলেন, কিন্তু গাধিগুলি সেখানেও ছিল না। পরে তিনি বিন্যামিনীয়দের এলাকাতেও গেলেন, কিন্তু সেগুলির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
5 পরে সূফ এলাকায় উপস্থিত হলে শৌল তাঁর সঙ্গী চাকরটিকে বললেন, “চল, আমরা ফিরে যাই; কি জানি আমার বাবা হয়তো গাধীগুলোর চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের জন্য দুশ্চিন্তা করবেন।”
তাঁরা যখন সূফ জেলায় পৌঁছালেন, শৌল তখন তাঁর সঙ্গে চলা দাসকে বললেন, “এসো, আমরা ফিরে যাই, তা না হলে আমার বাবা গাধিগুলির জন্য চিন্তা করা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের জন্যই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন।”
6 সে তাঁকে বলল, “দেখুন, এই শহরে ঈশ্বরের একজন লোক আছেন; তিনি খুবই সম্মানীয়; তিনি যা কিছু বলেন, সমস্ত কিছুই সফল হয়; চলুন, আমরা এখন সেখানে যাই; হয়তো তিনি আমাদের সঠিক রাস্তা বলে দিতে পারবেন।”
কিন্তু সেই দাস উত্তর দিল, “দেখুন, এই নগরে ঈশ্বরের একজন লোক আছেন; তাঁকে সবাই খুব সম্মান করে, এবং তিনি যা যা বলেন, সব সত্যি হয়। চলুন না, সেখানে একবার যাওয়া যাক। হয়তো তিনি আমাদের বলে দেবেন কোন পথে যেতে হবে।”
7 তখন শৌল তাঁর চাকরকে বললেন, “কিন্তু দেখ, যদি আমরা যাই তবে সেই ব্যক্তির কাছে কি নিয়ে যাব? আমাদের থলির মধ্যে যে খাবার ছিল তা তো শেষ হয়ে গেছে; ঈশ্বরের লোকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কাছে কোন উপহার নেই; আমাদের কাছে কি আছে?”
শৌল তাঁর দাসকে বললেন, “আমরা সেখানে গিয়ে ভদ্রলোককে কী-ই বা দিতে পারব? আমাদের থলিতে রাখা সব খাবারদাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। ঈশ্বরের লোকের কাছে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো উপহারও আমাদের কাছে নেই। আমাদের কাছে কিছু আছে কি?”
8 তখন উত্তরে সেই চাকরটি শৌলকে বলল, “দেখুন, আমার হাতে শেকলের চার ভাগের একভাগ রূপা আছে; আমি ঈশ্বরের লোককে তাই দেব, আর তিনি আমাদের পথ বলে দেবেন।”
দাস আবার তাঁকে উত্তর দিল। সে বলল, “দেখুন, আমার কাছে এক শেকলের চার ভাগের এক ভাগ রুপো আছে। আমি সেটি ঈশ্বরের লোককে দিয়ে দেব যেন তিনি আমাদের বলে দেন, কোন পথে আমাদের যেতে হবে।”
9 আগেকার দিনের ইস্রায়েলের মধ্যে কোনো লোক যদি ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনো বিষয় জানতে চাইত তবে সে যাবার আগে বলত, “চল, আমরা দর্শকের কাছে যাই,” এখন যাঁকে ভাববাদী বলা হয় আগেকার দিনের তাঁকে দর্শক বলা হত।
(প্রাচীনকালে ইস্রায়েল দেশে, যদি কেউ ঈশ্বরের কাছে কোনো কিছুর খোঁজ নিতে যেত, তখন তারা বলত, “এসো, দর্শকের কাছে যাওয়া যাক,” কারণ বর্তমানে যাদের ভাববাদী বলা হয়, আগে তাদের দর্শক বলা হত।)
10 ১০ তখন শৌল তাঁর চাকরকে বললেন, “বেশ বলেছ; চল, আমরা যাই।” আর ঈশ্বরের লোক যেখানে ছিলেন সেই শহরে তাঁরা গেলেন।
শৌল তাঁর দাসকে বললেন, “ঠিক আছে, চলো, সেখানে যাওয়া যাক।” অতএব তাঁরা সেই নগরটির উদ্দেশে রওনা হয়ে গেলেন, যেখানে ঈশ্বরের লোক তখন ছিলেন।
11 ১১ যখন তাঁরা নগরের সেই পথ ধরে উঠে যাচ্ছিলেন তখন কয়েকজন যুবতী জল নেবার জন্য বেরিয়ে এসেছিল, তাঁরা তাদের দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, “দর্শক কি এখানে আছেন?”
পাহাড় পেরিয়ে যখন তাঁরা নগরটির দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁরা এমন কয়েকজন যুবতী মহিলার দেখা পেলেন যারা জল ভরতে যাচ্ছিল। তাঁরা তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “দর্শক কি এখানে আছেন?”
12 ১২ উত্তরে তারা বলল, “হ্যাঁ, আছেন; আর একটু সামনে এগিয়ে যান; আপনারা তাড়াতাড়ি যান। তিনি আজই শহরে এসেছেন, কারণ ঐ উঁচু স্থানে আজ লোকেদের একটি যজ্ঞ হবে।
তারা উত্তর দিল, “হ্যাঁ, তিনি আপনাদের থেকে একটু আগেই আছেন। তাড়াতাড়ি যান; তিনি একটু আগেই আমাদের নগরে এসেছেন, কারণ টিলার উপর আজ লোকেরা এক বলি উৎসর্গ করবে।
13 ১৩ আপনারা শহরে ঢুকলেই তাঁর সঙ্গে আপনাদের দেখা হবে, আপনারা দেখবেন তিনি পাহাড়ের উপরে খেতে যাচ্ছেন, কারণ তিনি না যাওয়া পর্যন্ত লোকেরা খাওয়া দাওয়া করবে না, কারণ তিনি যজ্ঞের জিনিসপত্র আশীর্বাদ করেন; তারপর নিমন্ত্রিতেরা খাওয়া দাওয়া করে, তাই আপনারা এখনই উঠে যান, এখনই তাঁর দেখা পাবেন।”
তিনি টিলায় ভোজনপান করতে যাচ্ছেন। তিনি সেখানে যাওয়ার আগে, নগরে প্রবেশ করলেই আপনারা তাঁর দেখা পাবেন। তিনি না আসা পর্যন্ত লোকেরা ভোজনপান শুরু করবে না, কারণ প্রথমে তাঁকেই বলির নৈবেদ্যটিতে আশীর্বাদ বর্ষণ করতে হবে; পরে নিমন্ত্রিত লোকেরা ভোজনপান করবে। এখনই চলে যান; অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর দেখা পেয়ে যাবেন।”
14 ১৪ তাঁরা শহরের মধ্যে উপস্থিত হয়ে দেখলেন, শমূয়েল উঁচু স্থানে যাবার জন্য বের হয়েছেন ও তাঁদের সামনে উপস্থিত হলেন।
তাঁরা নগরটির দিকে যাচ্ছিলেনই, আর ঠিক যখন তাঁরা সেখানে প্রবেশ করবেন, শমূয়েল টিলায় চড়ার পথে তাঁদের দিকে এগিয়ে এলেন।
15 ১৫ আর শৌলের আসবার আগের দিন সদাপ্রভু শমূয়েলের কাছে এই কথা প্রকাশ করেছিলেন,
এদিকে শৌল আসার একদিন আগেই সদাপ্রভু শমূয়েলের কাছে একথা প্রকাশ করে দিয়েছিলেন:
16 ১৬ “আগামী কাল এই দিনের আমি বিন্যামীনের এলাকা থেকে একজন লোককে তোমার কাছে পাঠাব; তুমি আমার প্রজা ইস্রায়েলের রাজা হবার জন্য তুমি তাকে অভিষেক করবে; আর সে পলেষ্টীয়দের হাত থেকে আমার লোকদের উদ্ধার করবে; কারণ আমার লোকদের কান্না আমার কানে এসে পৌঁছেছে তাই আমি তাদের প্রতি মনোযোগ দিয়েছি।”
“আগামীকাল প্রায় এইসময়েই আমি তোমার কাছে বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত অঞ্চল থেকে একজন লোককে পাঠাব। তুমি তাকে আমার প্রজা ইস্রায়েলের উপর শাসনকর্তা পদে অভিষিক্ত করবে; সে ফিলিস্তিনীদের হাত থেকে তাদের মুক্ত করবে। আমি আমার প্রজাদের দিকে দৃষ্টিপাত করেছি, কারণ তাদের আর্তনাদ আমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে।”
17 ১৭ পরে শমূয়েল শৌলকে দেখলে সদাপ্রভু কে বললেন, “দেখ, এই সেই লোক, যার কথা আমি তোমাকে বলেছিলাম, এই আমার লোকদের উপরে কর্তৃত্ব করবে।”
শৌলের দিকে শমূয়েলের চোখ পড়ার সাথে সাথেই সদাপ্রভু তাঁকে বললেন, “এই লোকটির কথাই আমি তোমাকে বলেছিলাম; এই আমার প্রজাদের পরিচালনা করবে।”
18 ১৮ তখন শৌল ফটকের মধ্যে শমূয়েলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “দর্শকের বাড়িটা কোথায় দয়া করে আমাকে বলে দিন।”
সদর দরজায় গিয়ে শৌল শমূয়েলের কাছাকাছি পৌঁছে জিজ্ঞাসা করলেন, “দয়া করে আমায় জানাবেন কি, দর্শকের বাড়িটি কোথায়?”
19 ১৯ তখন শমূয়েল এর উত্তরে শৌলকে বললেন, “আমিই দর্শক, আমার আগে আগে উঁচু স্থানে যাও, কারণ আজ তোমরা আমার সঙ্গে খাবে; কাল সকালে আমি তোমাকে বিদায় দেব এবং তোমার মনের সমস্ত কথা তোমাকে জানাব।
শমূয়েল তাঁকে উত্তর দিলেন, “আমিই সেই দর্শক। আমার আগে আগে টিলায় চড়, কারণ আজ তোমরা আমার সঙ্গে ভোজনপান করবে, আর সকালবেলায় আমি তোমাদের বিদায় দেব ও তোমার মনে যা যা আছে সব বলে দেব।
20 ২০ আজ তিন দিন হল, তোমার যে গাধীগুলো হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য চিন্তা কোরো না; সেগুলো পাওয়া গেছে। আর ইস্রায়েল দেশের মধ্যে সমস্ত ভাল ভাল জিনিস কার জন্য? সে সমস্ত কি তোমার আর তোমার বাবার বংশের লোকদের নয়?”
তিন দিন আগে তোমাদের যে গাধিগুলি হারিয়ে গিয়েছিল, সেগুলির সম্বন্ধে দুশ্চিন্তা কোরো না; সেগুলির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। আর ইস্রায়েলের সব বাসনা কার দিকে ঘুরে গিয়েছে, সে কি তোমার ও তোমার সব পরিবার-পরিজনের দিকে নয়?”
21 ২১ এর উত্তরে শৌল বললেন, “আমি কি ইস্রায়েলীয়দের সমস্ত গোষ্ঠীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট বিন্যামীনীয় না? আবার বিন্যামীন বংশের মধ্যে আমার বংশ কি সব থেকে ছোট নয়? তবে আপনি কেন আমাকে এই সব কথা বলছেন?”
শৌল উত্তর দিলেন, “আমি কি সেই বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত নই, যা ইস্রায়েলের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো গোষ্ঠী, এবং আমার বংশই কি বিন্যামীন গোষ্ঠীভুক্ত সব বংশের মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বংশ নয়? তবে কেন আপনি আমাকে এ ধরনের কথা বলছেন?”
22 ২২ পরে শমূয়েল শৌল ও তাঁর চাকরকে খাবার ঘরে নিয়ে গেলেন এবং প্রায় ত্রিশজন নিমন্ত্রিত লোকদের মধ্যে তাঁদের সবচেয়ে সম্মানিত জায়গায় বসালেন।
তখন শমূয়েল, শৌল ও তাঁর দাসকে বড়ো খাবার ঘরে নিয়ে এসে নিমন্ত্রিত—প্রায় ত্রিশজন অতিথির মধ্যে সম্মানজনক স্থানে তাঁদের বসিয়ে দিলেন।
23 ২৩ পরে শমূয়েল যে লোকটি রান্না করেছে তাকে বললেন, “যে মাংস আলাদা করে রাখবার জন্য তোমাকে দিয়েছিলাম সেটা নিয়ে এস।”
শমূয়েল রাঁধুনীকে বললেন, “মাংসের যে টুকরোটি আমি তোমায় সরিয়ে রাখতে বলেছিলাম, সেটি নিয়ে এসো।”
24 ২৪ তাতে সে গিয়ে ঊরু আর তার উপরে যা কিছু ছিল, তা এনে শৌলের সামনে রাখল। আর শমূয়েল শৌলকে বললেন, “দেখ এটা রাখা হয়েছিল; তুমি এটা তোমার সামনে রাখ, খাও; কারণ নির্দিষ্ট দিনের র অপেক্ষাতে এটা তোমার জন্য আলাদা করে রাখা হয়েছিল, আমিই বলেছিলাম যে, আমি লোকদের নিমন্ত্রণ করেছি।” তাতে সেই দিন শৌল শমূয়েলের সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করলেন।
অতএব রাঁধুনী রানের টুকরোটি ও সেটির সঙ্গে লেগে থাকা মাংস এনে শৌলের পাতে সাজিয়ে দিল। শমূয়েল বললেন, “এগুলি তোমারই জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। খাও, কারণ ‘আমি অতিথিদের নিমন্ত্রণ করেছি,’ একথা বলার সময় থেকে শুরু করে এখন এই উপলক্ষের জন্যই এগুলি সরিয়ে রাখা হয়েছে।” সেদিন শৌল শমূয়েলের সঙ্গে ভোজনপান করলেন।
25 ২৫ এর পর তাঁরা সেই উঁচু স্থান থেকে শহরের দিকে নেমে গেলেন, তারপর শমূয়েল তাঁর বাড়ির ছাদে শৌলের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন।
টিলা থেকে তাঁরা নগরে নেমে আসার পর, শমূয়েল তাঁর বাড়ির ছাদে উঠে শৌলের সঙ্গে কথাবার্তা বললেন।
26 ২৬ পরে তাঁরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠলেন, আলো হলে পর শমূয়েল বাড়ির ছাদের উপর শৌলকে ডেকে বললেন, “ওঠ, আমি তোমাকে এখন বিদায় দেব।” তখন শৌল উঠলেন, আর তিনি ও শমূয়েল দুইজনে বাইরে গেলেন।
ভোর প্রায় হয়ে আসছিল, তখনই তাঁরা উঠে পড়লেন, এবং শমূয়েল শৌলকে ছাদেই ডেকে বললেন, “তৈরি হয়ে নাও, আমি তোমাদের বাড়িতে ফেরত পাঠাব।” শৌল তৈরি হওয়ার পর তিনি ও শমূয়েল একসঙ্গেই বাইরে বের হলেন।
27 ২৭ পরে তাঁরা নেমে শহরের সীমানা দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন দিন শমূয়েল শৌলকে বললেন, “তোমার চাকরকে এগিয়ে যেতে বল, কিন্তু তুমি কিছুক্ষণের জন্য এখানে দাঁড়াও, আমি তোমাকে ঈশ্বর বাক্য শোনাব।” তাতে তাঁর চাকর এগিয়ে গেল।
তাঁরা নগরের প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই শমূয়েল শৌলকে বললেন, “দাসটিকে একটু এগিয়ে যেতে বলো,” আর দাসও তেমনটিই করল, “কিন্তু তুমি এখানে কিছুক্ষণ থেকে যাও, যেন আমি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা একটি বাণী তোমাকে দিতে পারি।”

< শমূয়েলের প্রথম বই 9 >