শমূয়েলের প্রথম বই 25
1 ১ পরে শমূয়েলের মৃত্যু হল এবং সমস্ত ইস্রায়েল জড়ো হয়ে তাঁর জন্য শোক করল, আর রামায় তাঁর বাড়িতে তাঁর কবর দিল৷ পরে দায়ূদ উঠে পারণ মরুভূমিতে চলে গেলেন৷
καὶ ἀπέθανεν Σαμουηλ καὶ συναθροίζονται πᾶς Ισραηλ καὶ κόπτονται αὐτὸν καὶ θάπτουσιν αὐτὸν ἐν οἴκῳ αὐτοῦ ἐν Αρμαθαιμ καὶ ἀνέστη Δαυιδ καὶ κατέβη εἰς τὴν ἔρημον Μααν
2 ২ সেই দিনের মায়োনে এক লোক ছিল, কর্মিলে তার বিষয় সম্পত্তি ছিল; সে খুব বড় মানুষ; তার তিন হাজার ভেড়া ও এক হাজার ছাগী ছিল৷ সেই লোক কর্মিলে নিজের ভেড়াদের লোম কাটছিল৷
καὶ ἦν ἄνθρωπος ἐν τῇ Μααν καὶ τὰ ποίμνια αὐτοῦ ἐν τῷ Καρμήλῳ καὶ ὁ ἄνθρωπος μέγας σφόδρα καὶ τούτῳ ποίμνια τρισχίλια καὶ αἶγες χίλιαι καὶ ἐγενήθη ἐν τῷ κείρειν τὸ ποίμνιον αὐτοῦ ἐν τῷ Καρμήλῳ
3 ৩ সেই লোকটী নাম নাবল ও তার স্ত্রীর নাম অবীগল; ঐ স্ত্রী বুদ্ধিমতি ও সুন্দরী, কিন্তু ঐ লোকটি কঠিন ও দুষ্ট ছিল; সে কালেব বংশের সন্তান৷
καὶ ὄνομα τῷ ἀνθρώπῳ Ναβαλ καὶ ὄνομα τῇ γυναικὶ αὐτοῦ Αβιγαια καὶ ἡ γυνὴ αὐτοῦ ἀγαθὴ συνέσει καὶ καλὴ τῷ εἴδει σφόδρα καὶ ὁ ἄνθρωπος σκληρὸς καὶ πονηρὸς ἐν ἐπιτηδεύμασιν καὶ ὁ ἄνθρωπος κυνικός
καὶ ἤκουσεν Δαυιδ ἐν τῇ ἐρήμῳ ὅτι κείρει Ναβαλ ὁ Καρμήλιος τὸ ποίμνιον αὐτοῦ
5 ৫ পরে দায়ূদ দশ জন যুবককে পাঠালেন; দায়ূদ সেই যুবকদেরকে বললেন, “তোমরা কর্মিলে উঠে নাবলের কাছে যাও এবং আমার নামে তাকে অভিবাদন কর;
καὶ Δαυιδ ἀπέστειλεν δέκα παιδάρια καὶ εἶπεν τοῖς παιδαρίοις ἀνάβητε εἰς Κάρμηλον καὶ ἀπέλθατε πρὸς Ναβαλ καὶ ἐρωτήσατε αὐτὸν ἐπὶ τῷ ὀνόματί μου εἰς εἰρήνην
καὶ ἐρεῖτε τάδε εἰς ὥρας καὶ σὺ ὑγιαίνων καὶ ὁ οἶκός σου καὶ πάντα τὰ σὰ ὑγιαίνοντα
7 ৭ আমি শুনতে পেলাম যে, আপনার কাছে লোমছেদনকারীরা আছে; ইতিমধ্যে আপনার মেষপালকরা আমাদের সঙ্গে ছিল, আমরা তাদের অপকার করি নি এবং যতদিন তারা কর্মিলে ছিল, ততদিন তাদের কিছুই হারায়ও নি৷
καὶ νῦν ἰδοὺ ἀκήκοα ὅτι κείρουσίν σοι νῦν οἱ ποιμένες σου οἳ ἦσαν μεθ’ ἡμῶν ἐν τῇ ἐρήμῳ καὶ οὐκ ἀπεκωλύσαμεν αὐτοὺς καὶ οὐκ ἐνετειλάμεθα αὐτοῖς οὐθὲν πάσας τὰς ἡμέρας ὄντων αὐτῶν ἐν Καρμήλῳ
8 ৮ আপনার যুবকদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, তারা আপনাকে বলবে; অতএব এই যুবকদের প্রতি আপনি করুণার চোখে দেখুন, কারণ আমরা শুভ দিনের আসলাম৷ অনুরোধ করি, নিজের দাসদেরকে ও নিজের ছেলে দায়ূদকে, যা আপনার হাতে ওঠে, দান করুন৷’”
ἐρώτησον τὰ παιδάριά σου καὶ ἀπαγγελοῦσίν σοι καὶ εὑρέτωσαν τὰ παιδάρια χάριν ἐν ὀφθαλμοῖς σου ὅτι ἐφ’ ἡμέραν ἀγαθὴν ἥκομεν δὸς δὴ ὃ ἐὰν εὕρῃ ἡ χείρ σου τῷ υἱῷ σου τῷ Δαυιδ
καὶ ἔρχονται τὰ παιδάρια καὶ λαλοῦσιν τοὺς λόγους τούτους πρὸς Ναβαλ κατὰ πάντα τὰ ῥήματα ταῦτα ἐν τῷ ὀνόματι Δαυιδ καὶ ἀνεπήδησεν
10 ১০ নাবল উত্তর দিয়ে দায়ূদের দাসদেরকে বলল, “দায়ূদ কে? যিশয়ের ছেলে কে? এই দিনের অনেক দাস নিজের প্রভুর থেকে আলাদা হয়ে ঘুরছে৷
καὶ ἀπεκρίθη Ναβαλ τοῖς παισὶν Δαυιδ καὶ εἶπεν τίς ὁ Δαυιδ καὶ τίς ὁ υἱὸς Ιεσσαι σήμερον πεπληθυμμένοι εἰσὶν οἱ δοῦλοι ἀναχωροῦντες ἕκαστος ἐκ προσώπου τοῦ κυρίου αὐτοῦ
11 ১১ আমি কি নিজের রুটি, জল ও নিজের ভেড়ার লোম ছেদনকারীদের জন্য যে সব পশু মেরেছি, তাদের মাংস নিয়ে অজানা কোথাকার লোকদেরকে দেব?”
καὶ λήμψομαι τοὺς ἄρτους μου καὶ τὸν οἶνόν μου καὶ τὰ θύματά μου ἃ τέθυκα τοῖς κείρουσίν μου τὰ πρόβατα καὶ δώσω αὐτὰ ἀνδράσιν οἷς οὐκ οἶδα πόθεν εἰσίν
12 ১২ তখন দায়ূদের যুবকরা মুখ ফিরিয়ে নিজেদের পথে চলে আসল এবং তাঁর কাছে ফিরে এসে ঐ সমস্ত কথা তাঁকে বলল৷
καὶ ἀπεστράφησαν τὰ παιδάρια Δαυιδ εἰς ὁδὸν αὐτῶν καὶ ἀνέστρεψαν καὶ ἦλθον καὶ ἀνήγγειλαν τῷ Δαυιδ κατὰ τὰ ῥήματα ταῦτα
13 ১৩ তখন দায়ূদ নিজের লোকদেরকে বললেন, “তোমরা প্রত্যেক জন তলোয়ার বাঁধ৷” প্রত্যেকে নিজেদের তলোয়ার বাঁধলো এবং দায়ূদও নিজের তলোয়ার বাঁধলেন৷ পরে দায়ূদের সঙ্গে প্রায় চারশো লোক গেল এবং জিনিসপত্র রক্ষার জন্য দুশো লোক থাকলো৷
καὶ εἶπεν Δαυιδ τοῖς ἀνδράσιν αὐτοῦ ζώσασθε ἕκαστος τὴν ῥομφαίαν αὐτοῦ καὶ ἀνέβησαν ὀπίσω Δαυιδ ὡς τετρακόσιοι ἄνδρες καὶ οἱ διακόσιοι ἐκάθισαν μετὰ τῶν σκευῶν
14 ১৪ এর মধ্যে যুবকদের একজন নাবলের স্ত্রী অবীগলকে খবর দিয়ে বলল, “দেখুন, দায়ূদ আমাদের কর্তাকে অভিবাদন করতে মরুভূমি থেকে দূতদেরকে পাঠিয়েছিলেন, আর তিনি তাদেরকে অপমান করলেন৷
καὶ τῇ Αβιγαια γυναικὶ Ναβαλ ἀπήγγειλεν ἓν τῶν παιδαρίων λέγων ἰδοὺ Δαυιδ ἀπέστειλεν ἀγγέλους ἐκ τῆς ἐρήμου εὐλογῆσαι τὸν κύριον ἡμῶν καὶ ἐξέκλινεν ἀπ’ αὐτῶν
15 ১৫ কিন্তু সেই লোকেরা আমাদের জন্য খুব ভালই ছিল; যখন আমরা মাঠে ছিলাম, তখন যতক্ষণ তাদের সঙ্গে ছিলাম, ততক্ষণ আমাদের ক্ষতি হয়নি, কিছুই হারায়ও নি৷
καὶ οἱ ἄνδρες ἀγαθοὶ ἡμῖν σφόδρα οὐκ ἀπεκώλυσαν ἡμᾶς οὐδὲ ἐνετείλαντο ἡμῖν πάσας τὰς ἡμέρας ἃς ἦμεν παρ’ αὐτοῖς καὶ ἐν τῷ εἶναι ἡμᾶς ἐν ἀγρῷ
ὡς τεῖχος ἦσαν περὶ ἡμᾶς καὶ τὴν νύκτα καὶ τὴν ἡμέραν πάσας τὰς ἡμέρας ἃς ἤμεθα παρ’ αὐτοῖς ποιμαίνοντες τὸ ποίμνιον
17 ১৭ অতএব এখন আপনার কি করা উচিত, সেটা বিচার করে বুঝুন, কারণ আমাদের কর্তার ও তাঁর সমস্ত বংশের ক্ষতি নিশ্চিত; কিন্তু তিনি এমন অধার্মিক যে, তাঁকে কোন কথা বলতে পারা যায় না৷”
καὶ νῦν γνῶθι καὶ ἰδὲ τί σὺ ποιήσεις ὅτι συντετέλεσται ἡ κακία εἰς τὸν κύριον ἡμῶν καὶ εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ καὶ οὗτος υἱὸς λοιμός καὶ οὐκ ἔστιν λαλῆσαι πρὸς αὐτόν
18 ১৮ তখন অবীগল তাড়াতাড়ি দুশো রুটি, দু কুপা আঙুরের রস, পাঁচটা তৈরী ভেড়া, পাঁচ কাঠা ভাজা দানাশস্য, একশো গোছা শুকনো আঙুরফল ও দুশো ডুমুর-চাক নিয়ে গাধার উপরে চাপাল৷
καὶ ἔσπευσεν Αβιγαια καὶ ἔλαβεν διακοσίους ἄρτους καὶ δύο ἀγγεῖα οἴνου καὶ πέντε πρόβατα πεποιημένα καὶ πέντε οιφι ἀλφίτου καὶ γομορ ἓν σταφίδος καὶ διακοσίας παλάθας καὶ ἔθετο ἐπὶ τοὺς ὄνους
19 ১৯ আর সে নিজের চাকরদেরকে বলল, “তোমরা আমার আগে চল, দেখ, আমি তোমাদের পিছনে যাচ্ছি৷” কিন্তু সে তার স্বামী নাবলকে তা জানাল না৷
καὶ εἶπεν τοῖς παιδαρίοις αὐτῆς προπορεύεσθε ἔμπροσθέν μου καὶ ἰδοὺ ἐγὼ ὀπίσω ὑμῶν παραγίνομαι καὶ τῷ ἀνδρὶ αὐτῆς οὐκ ἀπήγγειλεν
20 ২০ পরে সে গাধাতে চড়ে পর্বতের ভিতরদিক দিয়ে নেমে যাচ্ছিল, এর মধ্যে দেখ, দায়ূদ নিজের লোকদের সঙ্গে তার সামনে নেমে আসলেন, তাতে তার সঙ্গে তাঁদের দেখা হল৷
καὶ ἐγενήθη αὐτῆς ἐπιβεβηκυίης ἐπὶ τὴν ὄνον καὶ καταβαινούσης ἐν σκέπῃ τοῦ ὄρους καὶ ἰδοὺ Δαυιδ καὶ οἱ ἄνδρες αὐτοῦ κατέβαινον εἰς συνάντησιν αὐτῆς καὶ ἀπήντησεν αὐτοῖς
21 ২১ দায়ূদ বলেছিলেন, “মরুপ্রান্তে অবস্থিত ওর সব জিনিস আমি বৃথাই রক্ষা করেছি, ওর সব জিনিসের মধ্যে কিছুই হারায় নি; আর সে উপকারের বদলে আমার অপকার করেছে৷
καὶ Δαυιδ εἶπεν ἴσως εἰς ἄδικον πεφύλακα πάντα τὰ αὐτοῦ ἐν τῇ ἐρήμῳ καὶ οὐκ ἐνετειλάμεθα λαβεῖν ἐκ πάντων τῶν αὐτοῦ οὐθέν καὶ ἀνταπέδωκέν μοι πονηρὰ ἀντὶ ἀγαθῶν
22 ২২ যদি আমি ওর সম্পর্কীয় পুরুষদের মধ্যে এক জনকেও রাত সকাল হওয়া পর্যন্ত অবশিষ্ট রাখি, তবে ঈশ্বর দায়ূদের শত্রুদের প্রতি সেই রকম ও তার থেকেও বেশি শাস্তি দিন ৷”
τάδε ποιήσαι ὁ θεὸς τῷ Δαυιδ καὶ τάδε προσθείη εἰ ὑπολείψομαι ἐκ πάντων τῶν τοῦ Ναβαλ ἕως πρωὶ οὐροῦντα πρὸς τοῖχον
23 ২৩ পরে অবীগল দায়ূদকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তাড়াতাড়ি গাধা থেকে নেমে দায়ূদের সামনে উপুড় হয়ে পরে ভূমিতে প্রণাম করলেন৷
καὶ εἶδεν Αβιγαια τὸν Δαυιδ καὶ ἔσπευσεν καὶ κατεπήδησεν ἀπὸ τῆς ὄνου καὶ ἔπεσεν ἐνώπιον Δαυιδ ἐπὶ πρόσωπον αὐτῆς καὶ προσεκύνησεν αὐτῷ ἐπὶ τὴν γῆν
24 ২৪ আর তাঁর পায়ে পড়ে বললেন, “হে আমার প্রভু, আমার উপরে, আমারই উপরে এই অপরাধ পড়ুক৷ অনুরোধ করি, আপনার দাসীকে আপনার কাছে কথা বলবার অনুমতি দিন; আর আপনি আপনার দাসীর কথা শুনুন৷
ἐπὶ τοὺς πόδας αὐτοῦ καὶ εἶπεν ἐν ἐμοί κύριέ μου ἡ ἀδικία λαλησάτω δὴ ἡ δούλη σου εἰς τὰ ὦτά σου καὶ ἄκουσον τῆς δούλης σου λόγον
25 ২৫ অনুরোধ করি, আমার প্রভু সেই অধার্মিককে অর্থাৎ নাবালকে গণনার মধ্যে ধরবেন না; তার যেমন নাম, সেও তেমন৷ তার নাম নাবল [মূর্খ], তার মনের মধ্যে মূর্খতা৷ কিন্তু আপনার এই দাসী আমি আমার প্রভুর পাঠানো যুবকদেরকে দেখি নি৷
μὴ δὴ θέσθω ὁ κύριός μου καρδίαν αὐτοῦ ἐπὶ τὸν ἄνθρωπον τὸν λοιμὸν τοῦτον ὅτι κατὰ τὸ ὄνομα αὐτοῦ οὕτως ἐστίν Ναβαλ ὄνομα αὐτῷ καὶ ἀφροσύνη μετ’ αὐτοῦ καὶ ἐγὼ ἡ δούλη σου οὐκ εἶδον τὰ παιδάριά σου ἃ ἀπέστειλας
26 ২৬ অতএব হে আমার প্রভু, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি ও আপনার জীবিত প্রাণের দিব্যি, সদাপ্রভুই আপনাকে রক্তপাতে জড়িয়ে পড়তে ও নিজের হাতে প্রতিশোধ নিতে বারণ করেছেন, কিন্তু নিজের শত্রুরা ও যারা আমার প্রভুর ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তারা নাবলের মত হক৷
καὶ νῦν κύριε ζῇ κύριος καὶ ζῇ ἡ ψυχή σου καθὼς ἐκώλυσέν σε κύριος τοῦ μὴ ἐλθεῖν εἰς αἷμα ἀθῷον καὶ σῴζειν τὴν χεῖρά σού σοι καὶ νῦν γένοιντο ὡς Ναβαλ οἱ ἐχθροί σου καὶ οἱ ζητοῦντες τῷ κυρίῳ μου κακά
καὶ νῦν λαβὲ τὴν εὐλογίαν ταύτην ἣν ἐνήνοχεν ἡ δούλη σου τῷ κυρίῳ μου καὶ δώσεις τοῖς παιδαρίοις τοῖς παρεστηκόσιν τῷ κυρίῳ μου
28 ২৮ অনুরোধ করি, আপনার দাসীর অপরাধ ক্ষমা করুন, কারণ সদাপ্রভু নিশ্চয়ই আমার প্রভুর বংশ ধরে রাখবেন; কারণ সদাপ্রভুরই জন্য আমার প্রভু যুদ্ধ করছেন, সারাজীবন আপনার কোন ক্ষতি দেখা যাবে না৷
ἆρον δὴ τὸ ἀνόμημα τῆς δούλης σου ὅτι ποιῶν ποιήσει κύριος τῷ κυρίῳ μου οἶκον πιστόν ὅτι πόλεμον κυρίου ὁ κύριός μου πολεμεῖ καὶ κακία οὐχ εὑρεθήσεται ἐν σοὶ πώποτε
29 ২৯ মানুষ উঠে আপনাকে তাড়না ও হত্যার চেষ্টা করলেও আপনার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে আমার প্রভুর প্রাণ জীবন-বোচকাতে সুরক্ষিত থাকবে, কিন্তু আপনার শত্রুদের প্রাণ তিনি ফিঙ্গার জালে দিয়ে হত্যা করবেন৷
καὶ ἀναστήσεται ἄνθρωπος καταδιώκων σε καὶ ζητῶν τὴν ψυχήν σου καὶ ἔσται ἡ ψυχὴ κυρίου μου ἐνδεδεμένη ἐν δεσμῷ τῆς ζωῆς παρὰ κυρίῳ τῷ θεῷ καὶ ψυχὴν ἐχθρῶν σου σφενδονήσεις ἐν μέσῳ τῆς σφενδόνης
30 ৩০ সদাপ্রভু আমার প্রভুর বিষয়ে যে সব মঙ্গলের কথা বলেছেন, তা যখন পূরণ করবেন, আপনাকে ইস্রায়েলের উপরে শাসনকর্তাপদে নিযুক্ত করবেন,
καὶ ἔσται ὅτι ποιήσει κύριος τῷ κυρίῳ μου πάντα ὅσα ἐλάλησεν ἀγαθὰ ἐπὶ σέ καὶ ἐντελεῖταί σοι κύριος εἰς ἡγούμενον ἐπὶ Ισραηλ
31 ৩১ তখন বিনাকারণে রক্তপাত করাতে কিংবা নিজে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমার প্রভুর শোক বা হৃদয়ে বাধা সৃষ্টি হবে না৷ যখন সদাপ্রভু আমার প্রভুর মঙ্গল করবেন, তখন আপনার এই দাসীকে মনে করবেন৷”
καὶ οὐκ ἔσται σοι τοῦτο βδελυγμὸς καὶ σκάνδαλον τῷ κυρίῳ μου ἐκχέαι αἷμα ἀθῷον δωρεὰν καὶ σῶσαι χεῖρα κυρίου μου αὐτῷ καὶ ἀγαθώσει κύριος τῷ κυρίῳ μου καὶ μνησθήσῃ τῆς δούλης σου ἀγαθῶσαι αὐτῇ
32 ৩২ পরে দায়ূদ অবীগলকে বললেন, “ধন্য ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, যিনি আজ আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য তোমাকে পাঠালেন৷
καὶ εἶπεν Δαυιδ τῇ Αβιγαια εὐλογητὸς κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ ὃς ἀπέστειλέν σε σήμερον ἐν ταύτῃ εἰς ἀπάντησίν μου
33 ৩৩ আর ধন্য তোমার সুবিচার এবং ধন্যা তুমি, কারণ আজ তুমি রক্তপাত ও নিজের হাতে প্রতিশোধ নিতে আমাকে আটকালে৷
καὶ εὐλογητὸς ὁ τρόπος σου καὶ εὐλογημένη σὺ ἡ ἀποκωλύσασά με σήμερον ἐν ταύτῃ μὴ ἐλθεῖν εἰς αἵματα καὶ σῶσαι χεῖρά μου ἐμοί
34 ৩৪ কারণ তোমার হিংসা করতে যিনি আমাকে বারণ করেছেন, ইস্রায়েলের ঈশ্বর সেই জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, আমার সঙ্গে দেখা করতে যদি তুমি তাড়াতাড়ি না আসতে, তবে নাবলের সম্পর্কীয় পুরুষদের মধ্যে একজনও অবশিষ্ট থাকত না৷”
πλὴν ὅτι ζῇ κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ ὃς ἀπεκώλυσέν με σήμερον τοῦ κακοποιῆσαί σε ὅτι εἰ μὴ ἔσπευσας καὶ παρεγένου εἰς ἀπάντησίν μοι τότε εἶπα εἰ ὑπολειφθήσεται τῷ Ναβαλ ἕως φωτὸς τοῦ πρωὶ οὐρῶν πρὸς τοῖχον
35 ৩৫ পরে দায়ূদ নিজের জন্য আনা ঐ সকল জিনিস তার হাত থেকে গ্রহণ করে তাকে বললেন, “তুমি নিশ্চিন্তে ঘরে যাও; দেখ, আমি তোমার কথা শুনে তোমাকে গ্রহণ করলাম৷”
καὶ ἔλαβεν Δαυιδ ἐκ χειρὸς αὐτῆς πάντα ἃ ἔφερεν αὐτῷ καὶ εἶπεν αὐτῇ ἀνάβηθι εἰς εἰρήνην εἰς οἶκόν σου βλέπε ἤκουσα τῆς φωνῆς σου καὶ ᾑρέτισα τὸ πρόσωπόν σου
36 ৩৬ পরে অবীগল নাবলের কাছে আসল; আর দেখ, রাজভোজের মত তার বাড়িতে খাওয়াদাওয়া হচ্ছিল এবং নাবলের মনে আনন্দ ছিল, সে খুব মাতাল হয়েছিল; এই জন্য অবীগল রাত থেকে সকাল হওয়ার আগে ঐ বিষয়ের কম কি বেশি কিছুই তাকে বলল না৷
καὶ παρεγενήθη Αβιγαια πρὸς Ναβαλ καὶ ἰδοὺ αὐτῷ πότος ἐν οἴκῳ αὐτοῦ ὡς πότος βασιλέως καὶ ἡ καρδία Ναβαλ ἀγαθὴ ἐπ’ αὐτόν καὶ αὐτὸς μεθύων ἕως σφόδρα καὶ οὐκ ἀπήγγειλεν αὐτῷ ῥῆμα μικρὸν ἢ μέγα ἕως φωτὸς τοῦ πρωί
37 ৩৭ কিন্তু সকালে নাবলের মত্ততা দূর হলে তার স্ত্রী তাকে ঐ সমস্ত ঘটনা বলল; তখন সে হৃদরোগে আক্রান্ত হল এবং সে পাথরের মতো হয়ে পড়ল৷
καὶ ἐγένετο πρωί ὡς ἐξένηψεν ἀπὸ τοῦ οἴνου Ναβαλ ἀπήγγειλεν αὐτῷ ἡ γυνὴ αὐτοῦ τὰ ῥήματα ταῦτα καὶ ἐναπέθανεν ἡ καρδία αὐτοῦ ἐν αὐτῷ καὶ αὐτὸς γίνεται ὡς λίθος
καὶ ἐγένετο ὡσεὶ δέκα ἡμέραι καὶ ἐπάταξεν κύριος τὸν Ναβαλ καὶ ἀπέθανεν
39 ৩৯ পরে নাবল মরেছে, এই কথা শুনে দায়ূদ বললেন, “ধন্য সদাপ্রভু, তিনি নাবলের হাতে আমার কলঙ্কজনক বিবাদ শেষ করলেন এবং নিজের দাসকে খারাপ কাজ করা থেকে রক্ষা করলেন; আর নাবলের হিংসা সদাপ্রভু তারই মাথায় দিলেন৷” পরে দায়ূদ লোক পাঠিয়ে অবীগলকে বিয়ে করবার প্রস্তাব তাকে জানালেন৷
καὶ ἤκουσεν Δαυιδ καὶ εἶπεν εὐλογητὸς κύριος ὃς ἔκρινεν τὴν κρίσιν τοῦ ὀνειδισμοῦ μου ἐκ χειρὸς Ναβαλ καὶ τὸν δοῦλον αὐτοῦ περιεποιήσατο ἐκ χειρὸς κακῶν καὶ τὴν κακίαν Ναβαλ ἀπέστρεψεν κύριος εἰς κεφαλὴν αὐτοῦ καὶ ἀπέστειλεν Δαυιδ καὶ ἐλάλησεν περὶ Αβιγαιας λαβεῖν αὐτὴν ἑαυτῷ εἰς γυναῖκα
40 ৪০ দায়ূদের দাসরা কর্মিলে অবীগলের কাছে গিয়ে তাকে বলল, “দায়ূদ আপনাকে বিয়ের জন্য নিয়ে যেতে আপনার কাছে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন৷”
καὶ ἦλθον οἱ παῖδες Δαυιδ πρὸς Αβιγαιαν εἰς Κάρμηλον καὶ ἐλάλησαν αὐτῇ λέγοντες Δαυιδ ἀπέστειλεν ἡμᾶς πρὸς σὲ λαβεῖν σε αὐτῷ εἰς γυναῖκα
41 ৪১ তখন সে উঠে উপুড় হয়ে ভূমিতে প্রণাম করে বলল, “দেখুন, আপনার এই দাসী আমার প্রভুর দাসদের পা ধোয়াবার দাসী৷”
καὶ ἀνέστη καὶ προσεκύνησεν ἐπὶ τὴν γῆν ἐπὶ πρόσωπον καὶ εἶπεν ἰδοὺ ἡ δούλη σου εἰς παιδίσκην νίψαι πόδας τῶν παίδων σου
42 ৪২ পরে অবীগল তাড়াতাড়ি উঠে গাধায় চড়ে নিজের পাঁচজন কুমারী যুবতীদের নিয়ে দায়ূদের দূতেদের সঙ্গে গেল, গিয়ে দায়ূদের স্ত্রী হল৷
καὶ ἀνέστη Αβιγαια καὶ ἐπέβη ἐπὶ τὴν ὄνον καὶ πέντε κοράσια ἠκολούθουν αὐτῇ καὶ ἐπορεύθη ὀπίσω τῶν παίδων Δαυιδ καὶ γίνεται αὐτῷ εἰς γυναῖκα
καὶ τὴν Αχινααμ ἔλαβεν Δαυιδ ἐξ Ιεζραελ καὶ ἀμφότεραι ἦσαν αὐτῷ γυναῖκες
44 ৪৪ কিন্তু শৌল মীখল নামে নিজের মেয়ে, দায়ূদের স্ত্রীকে নিয়ে গল্লীমলের লয়িশের ছেলে পলটিকে দিয়েছিলেন৷
καὶ Σαουλ ἔδωκεν Μελχολ τὴν θυγατέρα αὐτοῦ τὴν γυναῖκα Δαυιδ τῷ Φαλτι υἱῷ Λαις τῷ ἐκ Ρομμα
