শমূয়েলের প্রথম বই 17
1 ১ পরে পলেষ্টীয়েরা যুদ্ধ করবার জন্য সৈন্য জড় করে যিহূদার অধীনে থাকা সোখোতে একত্র হল ও সোখোর এবং অসেকার মাঝে এফসদম্মীমে শিবির স্থাপন করলেন৷
Συνήθροισαν δε οι Φιλισταίοι τα στρατεύματα αυτών διά πόλεμον και ήσαν συνηθροισμένοι εν Σοκχώ, ήτις είναι του Ιούδα, και εστρατοπέδευσαν μεταξύ Σοκχώ και Αζηκά, εν Εφές-δαμμείμ.
2 ২ আর শৌল ও ইস্রায়েলের লোকেরা এক হয়ে এলার উপত্যকায় শিবির তৈরি করে পলেষ্টীয়দের বিরুদ্ধে সৈন্য সাজাল।
Ο δε Σαούλ και οι άνδρες Ισραήλ συνηθροίσθησαν, και εστρατοπέδευσαν εν τη κοιλάδι Ηλά, και παρετάχθησαν εις μάχην εναντίον των Φιλισταίων.
3 ৩ এই ভাবে পলেষ্টীয়েরা এক দিকের পাহাড়ে ও ইস্রায়েল অন্য দিকের পাহাড়ে দাঁড়ালো; দুই দলের মাঝে একটি উপত্যকা ছিল।
Και οι μεν Φιλισταίοι ίσταντο επί του όρους εντεύθεν, ο δε Ισραήλ ίστατο επί του όρους εκείθεν· η δε κοιλάς ήτο μεταξύ αυτών.
Και εξήλθεν ανήρ προμαχητής εκ του στρατοπέδου των Φιλισταίων ονομαζόμενος Γολιάθ, εκ της Γαθ, ύψους εξ πηχών και σπιθαμής·
5 ৫ তার মাথায় পিতলের শিরস্ত্রান ছিল এবং আঁশের মত বর্ম তার গায়ে ছিল; সেই বর্ম পিতলের, তার ওজন পাঁচ হাজার শেকল (ষাট কেজি)।
είχε δε περικεφαλαίαν χαλκίνην επί της κεφαλής αυτού και ήτο ενδεδυμένος θώρακα αλυσιδωτόν· και το βάρος του θώρακος ήτο πέντε χιλιάδες σίκλων χαλκού·
και κνημίδας χαλκίνας επί των σκελών αυτού και ασπίδα χαλκίνην μεταξύ των ώμων αυτού.
7 ৭ তার বর্শার লাঠিটা ছিল তাঁতীদের লম্বা লাঠির মত ও বর্শার লোহার ফলাটার ওজন ছিল ছয়শো শেকল (সাত কেজি দুশো গ্রাম) এবং তার ঢাল বহনকারী তার আগে আগে যেত।
Και το κοντάριον του δόρατος αυτού ήτο ως αντίον υφαντού· και η λόγχη του δόρατος αυτού εζύγιζεν εξακοσίους σίκλους σιδήρου· εις δε κρατών τον θυρεόν προεπορεύετο αυτού.
8 ৮ সে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে লক্ষ্য করে বলল, “তোমরা কেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজাতে বার হয়ে এসেছ? আমি কি পলেষ্টীয় না, আর তোমরা কি শৌলের দাস না? তোমাদের পক্ষ থেকে তোমরা এক জনকে বেছে নাও; সে আমার কাছে নেমে আসুক।
Και σταθείς εβόησε προς τας παρατάξεις του Ισραήλ και είπε προς αυτούς, Διά τι εξέρχεσθε να παραταχθήτε εις μάχην; δεν είμαι εγώ ο Φιλισταίος, και σεις δούλοι του Σαούλ; εκλέξατε εις εαυτούς άνδρα, και ας καταβή προς εμέ·
9 ৯ যদি সে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়লাভ করে, আমাকে মেরে ফেলতে পারে, তাহলে আমরা তোমাদের দাস হব; কিন্তু যদি আমি তাকে হারিয়ে দিয়ে মেরে ফেলতে পারি, তবে তোমরা আমাদের দাস হবে ও আমাদের দাসত্ব করবে।”
εάν μεν δυνηθή να πολεμήση μετ' εμού και με θανατώση, τότε ημείς θέλομεν είσθαι δούλοί σας· αλλ' εάν εγώ υπερισχύσω κατ' αυτού και θανατώσω αυτόν, τότε σεις θέλετε είσθαι δούλοι ημών και θέλετε δουλεύει ημάς.
10 ১০ সেই পলেষ্টীয় আরও বলল, “আজ আমি ইস্রায়েলের সৈন্যদলকে টিটকারী দিয়ে বলছি, আমার সঙ্গে যুদ্ধ করবার জন্য তোমরা এক জনকে দাও।”
Και είπεν ο Φιλισταίος, Εγώ εξουθένησα τας παρατάξεις του Ισραήλ την ημέραν ταύτην· δότε εις εμέ άνδρα, διά να μονομαχήσωμεν.
Ότε ήκουσεν ο Σαούλ και πας ο Ισραήλ εκείνους τους λόγους του Φιλισταίου, εξέστησαν και εφοβήθησαν σφόδρα.
12 ১২ দায়ূদ বৈৎলেহম-যিহূদায় বসবাসকারী সেই ইফ্রাথীয় পুরুষের ছেলে যার নাম যিশয়; তাঁর আটটি ছেলে ছিল। শৌলের রাজত্বের দিনের তিনি বৃদ্ধ, লোকেদের মধ্য তিনি অনেক বয়ষ্ক ছিলেন।
Ήτο δε Δαβίδ ο υιός εκείνου του Εφραθαίου εκ Βηθλεέμ Ιούδα, ονομαζομένου Ιεσσαί· είχε δε οκτώ υιούς· και ο άνθρωπος εις τας ημέρας του Σαούλ είχε τάξιν γέροντος μεταξύ των ανθρώπων.
13 ১৩ সেই যিশয়ের বড় তিন ছেলে শৌলের সঙ্গে যুদ্ধে গিয়েছিল। যে তিনজন যুদ্ধে গিয়েছিল তাদের মধ্যে বড়টির নাম ইলীয়াব, দ্বিতীয়টির নাম অবীনাদব এবং তৃতীয়টির নাম শম্ম।
Και υπήγαν οι τρεις υιοί του Ιεσσαί οι μεγαλήτεροι ακολουθούντες τον Σαούλ εις την μάχην· και τα ονόματα των τριών υιών αυτού οίτινες υπήγαν εις την μάχην ήσαν Ελιάβ ο πρωτότοκος, και ο δεύτερος αυτού Αβιναδάβ, και ο τρίτος Σαμμά.
Ο δε Δαβίδ ήτο ο νεώτερος· και οι τρεις οι μεγαλήτεροι ηκολούθουν τον Σαούλ.
Και ανεχώρει ο Δαβίδ και επέστρεφεν από του Σαούλ, διά να ποιμαίνη τα πρόβατα του πατρός αυτού εν Βηθλεέμ.
Ο δε Φιλισταίος επλησίαζε πρωΐ και εσπέρας και εστηλόνετο τεσσαράκοντα ημέρας.
17 ১৭ আর যিশয় তাঁর ছেলে দায়ূদকে বললেন, “তুমি তোমার ভাইদের জন্য এক ঐফা ভাজা শস্য আর এই দশটা রুটি নিয়ে তাড়াতাড়ি শিবিরে ভাইদের কাছে যাও,
Και είπεν Ιεσσαί προς Δαβίδ τον υιόν αυτού, Λάβε τώρα διά τους αδελφούς σου εν εφά εκ τούτου του πεφρυγανισμένου σίτου και τους δέκα τούτους άρτους, και τρέξον εις το στρατόπεδον προς τους αδελφούς σου·
18 ১৮ আর এই দশ তাল পনীর তাদের হাজারপতিদের জন্য নিয়ে যাও এবং তোমার ভাইয়েরা কেমন আছে তা দেখে এস, আর তাদের কাছ থেকে কোনো একটা চিহ্ন নিয়ে এস।
και τα δέκα ταύτα νωπά τυρία φέρε προς τον χιλίαρχον, και ιδέ αν υγιαίνωσιν οι αδελφοί σου και λάβε σημείον παρ' αυτών.
Ο δε Σαούλ και αυτοί και πάντες οι άνδρες Ισραήλ ήσαν εν τη κοιλάδι Ηλά, μαχόμενοι μετά των Φιλισταίων.
20 ২০ দায়ূদ ভোরে উঠেই অন্য একজন রাখালের হাতে তাঁর ভেড়ার পালের ভার দিলেন এবং তারপর যিশয়ের আদেশ মত তিনি ঐ সব জিনিস নিয়ে চলে গেলেন। তিনি যখন ছাউনির কাছে পৌঁছালেন তখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা যুদ্ধে যাওয়ার জন্য বার হচ্ছিল এবং যুদ্ধের জন্য চিত্কার করছিল।
Και εξηγέρθη ο Δαβίδ ενωρίς το πρωΐ· και αφήσας τα πρόβατα εις φύλακα, έλαβε και υπήγε, καθώς προσέταξεν αυτόν ο Ιεσσαί· και ήλθεν εις το περιχαράκωμα, ενώ το στράτευμα εξήρχετο εις παράταξιν· και ηλάλαξαν προς την μάχην·
διότι παρετάχθησαν ο Ισραήλ και οι Φιλισταίοι, στράτευμα κατά πρόσωπον στρατεύματος.
22 ২২ তখন দায়ূদ তাঁর জিনিসগুলো মাল-রক্ষকের কাছে রেখে দৌড়ে সৈন্যদলের মধ্যে ঢুকে তাঁর ভাইদের মঙ্গল জিজ্ঞাসা করলেন।
Και ο Δαβίδ, αφήσας επάνωθεν αυτού τα σκεύη εις την χείρα του σκευοφύλακος, έδραμε προς το στράτευμα και ήλθε και ηρώτησε τους αδελφούς αυτού πως έχουσι.
23 ২৩ তিনি যখন তাঁদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই দিনের গাৎ-নিবাসী সেই পলেষ্টীয় বীর গলিয়াৎ তার সৈন্যদল থেকে বের হয়ে আগের মতই কথা বলতে লাগল, আর দায়ূদ তা শুনলেন।
Και ενώ ωμίλει μετ' αυτών, ιδού, ανέβαινεν ο προμαχητής, ο Φιλισταίος ο εκ της Γαθ, Γολιάθ το όνομα, εκ των στρατευμάτων των Φιλισταίων, και ελάλησε κατά τους αυτούς λόγους· και ήκουσεν ο Δαβίδ.
24 ২৪ কিন্তু ইস্রায়েলীয় সৈন্যেরা সবাই ঐ লোকটিকে দেখে তার সামনে থেকে পালিয়ে গেল কারণ তারা ভীষণ ভয় পেয়েছিল।
Πάντες δε οι άνδρες Ισραήλ, ως είδον τον άνδρα, έφυγον από προσώπου αυτού και εφοβήθησαν σφόδρα.
25 ২৫ আর ইস্রায়েলের লোকেরা বলাবলি করছিল, “ঐ যে লোকটা বার হয়ে আসে, ওকে তোমরা দেখেছ তো? সে ইস্রায়েলীয়দের টিটকারী দিতে আসে। ঐ একে যে মেরে ফেলতে পারবে রাজা তাকে প্রচুর ধন-সম্পত্তি দেবেন ও তাকে তাঁর মেয়ে দেবেন আর ইস্রায়েল দেশে তার পরিবারকে খাজনা থেকে মুক্তি দেবেন।”
Και έλεγον οι άνδρες Ισραήλ, Είδετε τον άνδρα τούτον τον αναβαίνοντα; βεβαίως ανέβη διά να εξουθενήση τον Ισραήλ· και όστις θανατώση αυτόν, τούτον θέλει πλουτίσει ο βασιλεύς με πλούτη μεγάλα, και την θυγατέρα αυτού θέλει δώσει εις αυτόν, και τον οίκον του πατρός αυτού θέλει κάμει ελεύθερον μεταξύ του Ισραήλ.
26 ২৬ তখন যে লোকেরা দায়ূদের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল, তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “যে এই পলেষ্টীয়কে মেরে ফেলে ইস্রায়েলীয়দের উপর থেকে এই অসম্মান দূর করবে তার প্রতি কি করা হবে? এই অচ্ছিন্নত্বক পলেষ্টীয়টা কে, যে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকারী দেয়?”
Και είπεν ο Δαβίδ προς τους άνδρας τους ισταμένους πλησίον αυτού, λέγων, Τι θέλει γείνει εις τον άνδρα, όστις πατάξη τον Φιλισταίον τούτον και αφαιρέση το όνειδος από του Ισραήλ; διότι τις είναι ο Φιλισταίος ούτος ο απερίτμητος, ώστε να εξουθενή τα στρατεύματα του Θεού του ζώντος;
27 ২৭ তাতে লোকেরা যা বলাবলি করছিল সেইমতই তাঁকে জানানো হল যে, ওকে যে মেরে ফেলবে সে কি কি পুরষ্কার পাবে।
Και απεκρίθη προς αυτόν ο λαός κατά τον λόγον τούτον, λέγων, ούτω θέλει γείνει εις τον άνδρα, όστις πατάξη αυτόν.
28 ২৮ সেই লোকদের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তার দিনের তাঁর বড় ভাই ইলীয়াব সব শুনলেন; তাই ইলীয়াব দায়ূদের উপর রাগে জ্বলে উঠে বললেন, “তুই কেন এখানে নেমে এসেছিস? মরু-এলাকায় ভেড়াগুলো কার কাছে রেখে এসেছিস? তোর অহঙ্কার ও তোর মনের দুষ্টতা আমি জানি। তুই যুদ্ধ দেখতে এসেছিস,”
Και ήκουσεν Ελιάβ ο αδελφός αυτού ο μεγαλήτερος, ενώ ελάλει προς τους άνδρας· και εξήφθη ο θυμός του Ελιάβ εναντίον του Δαβίδ, και είπε, Διά τι κατέβης ενταύθα; και εις ποίον αφήκες τα ολίγα εκείνα πρόβατα εν τη ερήμω; εγώ εξεύρω την υπερηφανίαν σου και την πονηρίαν της καρδίας σου· βεβαίως διά να ιδής την μάχην κατέβης.
Και είπεν ο Δαβίδ, Τι έκαμα τώρα; δεν είναι αιτία;
30 ৩০ পরে তিনি অন্য লোকের কাছে গিয়ে তাকে সেই একই কথা জিজ্ঞাসা করলেন আর লোকেরা তাঁকে আগের মতই উত্তর দিল।
Και εστράφη απ' αυτού προς άλλον και ελάλησε κατά τον αυτόν τρόπον· και ο λαός απεκρίθη πάλιν προς αυτόν κατά τον πρώτον λόγον.
31 ৩১ তখন দায়ূদ যা যা বলছিলেন তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল ও শৌলের কাছে তাঁর বিষয়ে জানান হল। তাতে তিনি তাঁকে ডেকে পাঠালেন।
Και ότε ηκούσθησαν οι λόγοι, τους οποίους ελάλησεν ο Δαβίδ, ανήγγειλαν προς τον Σαούλ· και παρέλαβεν αυτόν.
32 ৩২ তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “ওকে দেখে কারো হৃদয় হতাশ না হোক; আপনার এই দাস গিয়ে এই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করবে।”
Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Σαούλ, Μηδενός ανθρώπου η καρδία ας μη ταπεινόνηται διά τούτον· ο δούλός σου θέλει υπάγει και πολεμήσει μετά του Φιλισταίου τούτου.
33 ৩৩ তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “তুমি ঐ পলেষ্টীয়টার সঙ্গে গিয়ে যুদ্ধ করতে পারবে না, কারণ তুমি একটি ছোট ছেলে, আর ঐ পলেষ্টীয়টা অল্প বয়স থেকেই যোদ্ধা।”
Και είπεν ο Σαούλ προς τον Δαβίδ, Δεν δύνασαι να υπάγης εναντίον του Φιλισταίου τούτου διά να πολεμήσης μετ' αυτού· διότι συ είσαι παιδίον, αυτός δε ανήρ πολεμιστής εκ νεότητος αυτού.
34 ৩৪ দায়ূদ শৌলকে বললেন, “আপনার এই দাস তার বাবার ভেড়ার পাল রক্ষা করছিল তখন একটি সিংহ ও একটি ভাল্লুক এসে পাল থেকে ভেড়া ধরে নিল;
Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Σαούλ, Ο δούλός σου έβοσκε τα πρόβατα του πατρός αυτού, και ήλθε λέων και άρκτος και ήρπασε πρόβατον εκ του ποιμνίου·
35 ৩৫ তখন আমি তার পিছনে পিছনে দৌড়ে গিয়ে তাকে মেরে তার মুখ থেকে ভেড়াটাকে রক্ষা করেছি। পরে সে উঠে যখন আমাকে রুখে দাঁড়াত তখন আমি তার দাড়ি ধরে আঘাত করে সেটাকে মেরে ফেললাম।
και εξήλθον κατόπιν αυτού και επάταξα αυτόν και ηλευθέρωσα αυτό εκ του στόματος αυτού· και καθώς εσηκώθη εναντίον μου, ήρπασα αυτόν από της σιαγόνος και επάταξα αυτόν και εθανάτωσα αυτόν·
36 ৩৬ আপনার এই দাস সেই সিংহ, ভাল্লুক দুটোকেই মেরে ফেলেছে, আর এই অচ্ছিন্নত্বক পলেষ্টীয়টা ঐগুলোর মধ্য একটার মত হবে, কারণ সে জীবন্ত ঈশ্বরের সৈন্যদলকে টিটকারী দিয়েছে।”
επάταξεν ο δούλός σου και τον λέοντα και την άρκτον· και ο Φιλισταίος ούτος ο απερίτμητος θέλει είσθαι ως εν εκ τούτων, επειδή εξουθένησε τα στρατεύματα του Θεού του ζώντος.
37 ৩৭ দায়ূদ বললেন, “সদাপ্রভু, যিনি আমাকে সিংহ আর ভাল্লুকের থাবা থেকে রক্ষা করেছেন, তিনিই আমাকে ঐ পলেষ্টীয়টার হাত থেকেও রক্ষা করবেন।” তখন শৌল দায়ূদকে বললেন, “যাও, সদাপ্রভু তোমার সহবর্ত্তী হবেন।”
Και είπεν ο Δαβίδ, Ο Κύριος ο ελευθερώσας με εκ χειρός του λέοντος και εκ χειρός της άρκτου, ούτος θέλει με ελευθερώσει εκ χειρός του Φιλισταίου τούτου. Και είπεν ο Σαούλ προς τον Δαβίδ, Ύπαγε, και ο Κύριος ας ήναι μετά σου.
38 ৩৮ পরে শৌল তাঁর নিজের পোশাক দায়ূদকে পরিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর মাথায় পিতলের শিরস্ত্র আর গায়ে বর্ম্ম দিলেন।
Και ώπλισεν ο Σαούλ τον Δαβίδ με την πανοπλίαν αυτού και έβαλε χαλκίνην περικεφαλαίαν επί της κεφαλής αυτού· και ενέδυσεν αυτόν θώρακα.
39 ৩৯ তখন দায়ূদ তাঁর পোশাকের উপরে শৌলের তলোয়ারটা বেঁধে হাঁটতে চেষ্টা করলেন, কারণ আগে তিনি তা কখনও অভ্যাস করেন নি। তখন দায়ূদ শৌলকে বললেন, “এই সব পরে আমি যেতে পারব না, কারণ এর আগে আমি তা কখনও অভ্যাস করিনি।” পরে দায়ূদ সেগুলো খুলে ফেললেন।
Και εζώσθη ο Δαβίδ την ρομφαίαν αυτού επάνωθεν της πανοπλίας αυτού και ηθέλησε να περιπατήση· διότι δεν είχε δοκιμάσει. Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Σαούλ, Δεν δύναμαι να περιπατήσω με ταύτα· διότι δεν εδοκίμασα ποτέ. Και εξεδύθη ο Δαβίδ αυτά επάνωθεν αυτού.
40 ৪০ তারপর তিনি তাঁর লাঠিখানা হাতে নিলেন এবং নদীর স্রোতের মধ্য থেকে পাঁচটা মসৃণ পাথর বেছে নিয়ে রাখালের অর্থাৎ তাঁর চামড়ার থলির মধ্যে রাখলেন। তারপর তাঁর ফিংগাটা নিয়ে তিনি সেই পলেষ্টীয়ের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন,
Και έλαβε την ράβδον αυτού εν τη χειρί αυτού, και εξέλεξεν εις εαυτόν πέντε λίθους ομαλούς εκ του χειμάρρου, και θέσας αυτούς εις το ποιμενικόν αυτού σακκίον και θυλάκιον, την δε σφενδόνην αυτού εις την χείρα αυτού, επλησίαζε προς τον Φιλισταίον.
41 ৪১ আর সেই পলেষ্টীয়ও দায়ূদের দিকে এগিয়ে আসতে লাগল। তার ঢাল বহনকারী ঢাল নিয়ে তার সামনে সামনে আসছিল।
Ο δε Φιλισταίος ήρχετο προχωρών και επλησίαζε προς τον Δαβίδ· και ο ανήρ ο ασπιδοφόρος έμπροσθεν αυτού.
42 ৪২ সেই পলেষ্টীয় দায়ূদের দিকে ভাল করে তাকিয়ে দেখে তাকে তুচ্ছ করল, কারণ দায়ূদের বয়স অল্প ছিল। তাঁর গায়ের রং লালচে এবং চেহারা সুন্দর ছিল।
Και ότε περιέβλεψεν ο Φιλισταίος και είδε τον Δαβίδ, κατεφρόνησεν αυτόν· διότι ήτο παιδίον και ξανθός και ώραίος την όψιν.
43 ৪৩ পরে ঐ পলেষ্টীয় দায়ূদকে বলল, “আমি কি কুকুর যে, তুই লাঠি নিয়ে আমার কাছে আসছিস?” আর সেই পলেষ্টীয় তার দেব-দেবতার নাম করে দায়ূদকে অভিশাপ দিতে লাগল।
Και είπεν ο Φιλισταίος προς τον Δαβίδ, Κύων είμαι εγώ, ώστε έρχεσαι προς εμέ με ράβδους; Και κατηράσθη ο Φιλισταίος τον Δαβίδ εις τους θεούς αυτού.
44 ৪৪ পলেষ্টীয় দায়ূদকে আরও বলল, “তুই আমার কাছে আয়; আমি তোর মাংস আকাশের পাখী আর বুনো পশুদের খেতে দিই।”
Και είπεν ο Φιλισταίος προς τον Δαβίδ, Ελθέ προς εμέ, και θέλω παραδώσει τας σάρκας σου εις τα πετεινά του ουρανού και εις τα θηρία του αγρού.
45 ৪৫ তখন দায়ূদ সেই পলেষ্টীয়কে বললেন, “তুমি আমার কাছে এসেছ তলোয়ার, বর্শা আর ছোরা নিয়ে, কিন্তু আমি তোমার কাছে যাচ্ছি বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলীয় সৈন্যদলের ঈশ্বরের নাম নিয়ে, যাঁকে তুমি টিটকারী দিয়েছ।
Και είπεν ο Δαβίδ προς τον Φιλισταίον, Συ έρχεσαι εναντίον μου με ρομφαίαν και δόρυ και ασπίδα· εγώ δε έρχομαι εναντίον σου εν τω ονόματι του Κυρίου των δυνάμεων, του Θεού των στρατευμάτων του Ισραήλ, τα οποία συ εξουθένησας·
46 ৪৬ আজ সদাপ্রভু তোমাকে আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি তোমাকে আঘাত করব আর তোমার মাথা কেটে নেব। আজকেই আমি পলেষ্টীয় সৈন্যদের মৃতদেহ আকাশের পাখী ও পৃথিবীর পশুদের খেতে দেব। তা দেখে পৃথিবীর সবাই জানতে পারবে যে, ইস্রায়েলীয়দের পক্ষে একজন ঈশ্বর আছেন।
την ημέραν ταύτην θέλει σε παραδώσει ο Κύριος εις την χείρα μου· και θέλω σε πατάξει και αφαιρέσει από σου την κεφαλήν σου· και θέλω παραδώσει τα πτώματα του στρατοπέδου των Φιλισταίων την ημέραν ταύτην εις τα πετεινά του ουρανού, και εις τα θηρία της γής· διά να γνωρίση πάσα η γη ότι είναι Θεός εις τον Ισραήλ·
47 ৪৭ যে সমস্ত লোক আজ এখানে রয়েছে তারাও জানতে পারবে যে, সদাপ্রভু কোন তলোয়ার বা বর্শা দিয়ে উদ্ধার করেন না, কারণ এই যুদ্ধ সদাপ্রভুর; আর তিনি আমাদের হাতে তোমাদের তুলে দেবেন।”
και θέλει γνωρίσει παν το πλήθος τούτο ότι ο Κύριος δεν σώζει με ρομφαίαν και δόρυ· διότι του Κυρίου είναι η μάχη, και αυτός θέλει σας παραδώσει εις την χείρα ημών.
48 ৪৮ ঐ পলেষ্টীয় যখন দায়ূদকে আক্রমণ করবার জন্য এগিয়ে আসতে লাগল তখন দায়ূদও তার কাছে যাবার জন্য বিপক্ষের সৈন্যদলের দিকে দৌড়ে গেলেন,
Και ότε εσηκώθη ο Φιλισταίος και ήρχετο και επλησίαζεν εις συνάντησιν του Δαβίδ, ο Δαβίδ έσπευσε και έδραμε προς μάχην εναντίον του Φιλισταίου.
49 ৪৯ আর তাঁর থলি থেকে একটা পাথর নিয়ে ফিংগাতে বসিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে সেই পলেষ্টীয়ের কপালে সেটা ছুঁড়ে মারলেন। পাথরটা তার কপালে বসে গেলে সে মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল।
Και εκτείνας ο Δαβίδ την χείρα αυτού εις το σακκίον, έλαβεν εκείθεν λίθον και εσφενδόνησε και εκτύπησε τον Φιλισταίον κατά το μέτωπον αυτού, ώστε ο λίθος ενεπήχθη εις το μέτωπον αυτού· και έπεσε κατά πρόσωπον εις την γην.
50 ৫০ এই ভাবে দায়ূদ শুধু একটা ফিংগা আর একটা পাথর দিয়ে সেই পলেষ্টীয়কে হারিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর হাতে কোন তলোয়ার না থাকলেও তিনি সেই পলেষ্টীয়কে আঘাত করেছিলেন এবং তাকে মেরে ফেলেছিলেন।
και υπερίσχυσεν ο Δαβίδ κατά του Φιλισταίου διά της σφενδόνης και διά του λίθου, και εκτύπησε τον Φιλισταίον και εθανάτωσεν αυτόν. Αλλά δεν ήτο ρομφαία εν τη χειρί του Δαβίδ·
51 ৫১ তখন দায়ূদ দৌড়ে গিয়ে সেই পলেষ্টীয়ের পাশে দাঁড়ালেন এবং তারই তলোয়ার খাপ থেকে টেনে বের করে নিয়ে তাকে মেরে ফেললেন এবং তার মাথাটা কেটে নিলেন। পলেষ্টীয়েরা যখন দেখল যে, তাদের প্রধান বীর মরে গেছে তখন তারা পালাতে শুরু করল।
όθεν ο Δαβίδ έδραμε και σταθείς επί τον Φιλισταίον, έλαβε την ρομφαίαν αυτού και έσυρεν αυτήν εκ της θήκης αυτής, και θανατώσας αυτόν, απέκοψε την κεφαλήν αυτού με αυτήν. Ιδόντες δε οι Φιλισταίοι, ότι απέθανεν ο ισχυρός αυτών, έφυγον·
52 ৫২ তখন ইস্রায়েল আর যিহূদার লোকেরা চিৎকার করে উঠল এবং গয় ও ইক্রোণের ফটক পর্যন্ত পলেষ্টীয়দের তাড়া করে নিয়ে গেল। পলেষ্টীয়দের আহত লোকেরা গাৎ ও ইক্রোণ পর্যন্ত শারয়িমের পথে পথে পড়ে রইল।
Τότε εσηκώθησαν οι άνδρες του Ισραήλ και του Ιούδα και ηλάλαξαν και κατεδίωξαν τους Φιλισταίους, έως της εισόδου της κοιλάδος, και έως των πυλών της Ακκαρών. Και έπεσον οι τραυματισμένοι των Φιλισταίων εν τη οδώ Σααραείμ, έως Γαθ και έως Ακκαρών.
Και επέστρεψαν οι υιοί Ισραήλ εκ της καταδιώξεως των Φιλισταίων και διήρπασαν τα στρατόπεδα αυτών.
54 ৫৪ পরে দায়ূদ সেই পলেষ্টীয় মাথাটা যিরূশালেমে নিয়ে গেলেন, আর তার অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধের পোশাক তিনি নিজের তাঁবুতে রাখলেন।
Ο δε Δαβίδ έλαβε την κεφαλήν του Φιλισταίου, και έφερεν αυτήν εις Ιερουσαλήμ· την δε πανοπλίαν αυτού έβαλεν εν τη σκηνή αυτού.
55 ৫৫ দায়ূদকে সেই পলেষ্টীয়ের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যেতে দেখে শৌল তাঁর সেনাপতি অব্নেরকে বলেছিলেন, “আচ্ছা অব্নের, এই যুবকটি কার ছেলে?” উত্তরে অবনের বলেছিলেন, “মহারাজ, আপনার প্রাণের দিব্য দিয়ে বলছি যে, আমি জানি না।”
Ότε δε είδεν ο Σαούλ τον Δαβίδ εξερχόμενον εναντίον του Φιλισταίου, είπε προς Αβενήρ, τον αρχηγόν του στρατεύματος, Αβενήρ, τίνος υιός είναι ο νέος ούτος; Και ο Αβενήρ είπε, Ζη η ψυχή σου, βασιλεύ, δεν εξεύρω.
Και είπεν ο βασιλεύς, Ερώτησον συ, τίνος υιός είναι ο νεανίσκος ούτος.
57 ৫৭ তারপর দায়ূদ যখন সেই পলেষ্টীয়কে মেরে ফিরে আসছিলেন তখন অব্নের তাঁকে নিয়ে শৌলের কাছে গেলেন। তাঁর হাতে ঐ পলেষ্টীয়ের মুণ্ডটা ছিল।
Και καθώς επέστρεψεν ο Δαβίδ, πατάξας τον Φιλισταίον, παρέλαβεν αυτόν ο Αβενήρ και έφερεν αυτόν ενώπιον του Σαούλ· και η κεφαλή του Φιλισταίου ήτο εν τη χειρί αυτού.
58 ৫৮ শৌল তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “যুবক, তুমি কার ছেলে?” দায়ূদ বললেন, “আমি আপনার দাস বৈৎলেহমীয় যিশয়ের ছেলে।”
Και είπε προς αυτόν ο Σαούλ, Τίνος υιός είσαι, νέε; και απεκρίθη ο Δαβίδ, Ο υιός του δούλου σου Ιεσσαί του Βηθλεεμίτου.
