প্রথম রাজাবলি 8
1 ১ তখন রাজা শলোমন দায়ূদ শহর, অর্থাৎ সিয়োন থেকে সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকটি নিয়ে আসবার জন্য ইস্রায়েলের প্রাচীনেরা, গোষ্ঠী সর্দারদের ও ইস্রায়েলীয় বংশের প্রধান লোকদের যিরূশালেমে তাঁর কাছে উপস্থিত করলেন।
καὶ ἐγένετο ἐν τῷ συντελέσαι Σαλωμων τοῦ οἰκοδομῆσαι τὸν οἶκον κυρίου καὶ τὸν οἶκον ἑαυτοῦ μετὰ εἴκοσι ἔτη τότε ἐξεκκλησίασεν ὁ βασιλεὺς Σαλωμων πάντας τοὺς πρεσβυτέρους Ισραηλ ἐν Σιων τοῦ ἀνενεγκεῖν τὴν κιβωτὸν διαθήκης κυρίου ἐκ πόλεως Δαυιδ αὕτη ἐστὶν Σιων
2 ২ তাতে এথানীম মাসে, অর্থাৎ সপ্তম মাসে পর্বের দিনের ইস্রায়েলের ঐ সমস্ত লোক রাজা শলোমনের কাছে জড়ো হলেন।
ἐν μηνὶ Αθανιν
καὶ ἦραν οἱ ἱερεῖς τὴν κιβωτὸν
καὶ τὸ σκήνωμα τοῦ μαρτυρίου καὶ πάντα τὰ σκεύη τὰ ἅγια τὰ ἐν τῷ σκηνώματι τοῦ μαρτυρίου
5 ৫ রাজা শলোমন ও তাঁর কাছে জড়ো হওয়া সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সিন্দুকটির সামনে এত ভেড়া ও গরু উৎসর্গ করলেন যে, সেগুলোর সংখ্যা গোনা গেল না।
καὶ ὁ βασιλεὺς καὶ πᾶς Ισραηλ ἔμπροσθεν τῆς κιβωτοῦ θύοντες πρόβατα καὶ βόας ἀναρίθμητα
6 ৬ তারপর যাজকেরা সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকটি নির্দিষ্ট জায়গায়, উপাসনা ঘরের ভিতরের কামরায়, অর্থাৎ মহাপবিত্র স্থানে করূবদের ডানার নীচে নিয়ে রাখলেন।
καὶ εἰσφέρουσιν οἱ ἱερεῖς τὴν κιβωτὸν εἰς τὸν τόπον αὐτῆς εἰς τὸ δαβιρ τοῦ οἴκου εἰς τὰ ἅγια τῶν ἁγίων ὑπὸ τὰς πτέρυγας τῶν χερουβιν
ὅτι τὰ χερουβιν διαπεπετασμένα ταῖς πτέρυξιν ἐπὶ τὸν τόπον τῆς κιβωτοῦ καὶ περιεκάλυπτον τὰ χερουβιν ἐπὶ τὴν κιβωτὸν καὶ ἐπὶ τὰ ἅγια αὐτῆς ἐπάνωθεν
8 ৮ এই ডাণ্ডাগুলো এত লম্বা ছিল যে, সেগুলোর মাথা ভিতরের কামরার সামনের প্রধান কামরা, অর্থাৎ পবিত্র স্থান থেকে দেখা যেত, কিন্তু পবিত্র স্থানের বাইরে থেকে দেখা যেত না। সেগুলো আজও সেখানে রয়েছে।
καὶ ὑπερεῖχον τὰ ἡγιασμένα καὶ ἐνεβλέποντο αἱ κεφαλαὶ τῶν ἡγιασμένων ἐκ τῶν ἁγίων εἰς πρόσωπον τοῦ δαβιρ καὶ οὐκ ὠπτάνοντο ἔξω
9 ৯ ইস্রায়েলীয়েরা মিশর দেশ থেকে বের হয়ে আসবার পর সদাপ্রভু হোরেব পাহাড়ে তাদের জন্য যখন ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন তখন মোশি সিন্দুকের মধ্যে যে পাথরের ফলক দুটি রেখেছিলেন সেই দুটি ছাড়া আর কিছুই তার মধ্যে ছিল না।
οὐκ ἦν ἐν τῇ κιβωτῷ πλὴν δύο πλάκες λίθιναι πλάκες τῆς διαθήκης ἃς ἔθηκεν ἐκεῖ Μωυσῆς ἐν Χωρηβ ἃ διέθετο κύριος μετὰ τῶν υἱῶν Ισραηλ ἐν τῷ ἐκπορεύεσθαι αὐτοὺς ἐκ γῆς Αἰγύπτου
καὶ ἐγένετο ὡς ἐξῆλθον οἱ ἱερεῖς ἐκ τοῦ ἁγίου καὶ ἡ νεφέλη ἔπλησεν τὸν οἶκον
11 ১১ সেই মেঘের জন্য যাজকেরা সেবা কাজ করতে পারলেন না, কারণ সদাপ্রভুর মহিমায় তাঁর ঘরটা পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল।
καὶ οὐκ ἠδύναντο οἱ ἱερεῖς στῆναι λειτουργεῖν ἀπὸ προσώπου τῆς νεφέλης ὅτι ἔπλησεν δόξα κυρίου τὸν οἶκον
14 ১৪ এই বলে রাজা জড়ো হওয়া সমস্ত ইস্রায়েলীয়দের দিকে ঘুরে তাদের আশীর্বাদ করলেন। তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে ছিল।
καὶ ἀπέστρεψεν ὁ βασιλεὺς τὸ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ εὐλόγησεν ὁ βασιλεὺς πάντα Ισραηλ καὶ πᾶσα ἐκκλησία Ισραηλ εἱστήκει
15 ১৫ তারপর তিনি বললেন, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৌরব হোক। তিনি আমার বাবা দায়ূদের কাছে নিজের মুখে যা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তা নিজেই পূর্ণ করলেন। তিনি বলেছিলেন,
καὶ εἶπεν εὐλογητὸς κύριος ὁ θεὸς Ισραηλ σήμερον ὃς ἐλάλησεν ἐν τῷ στόματι αὐτοῦ περὶ Δαυιδ τοῦ πατρός μου καὶ ἐν ταῖς χερσὶν αὐτοῦ ἐπλήρωσεν λέγων
16 ১৬ ‘আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বের করে আনবার পর আমি ইস্রায়েলীয়দের কোনো গোষ্ঠীর শহর বেছে নিই নি যেখানে নিজেকে প্রকাশ করবার জন্য বাসস্থান হিসাবে একটা ঘর তৈরী করা যায়। কিন্তু আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের শাসন করবার জন্য আমি দায়ূদকে বেছে নিয়েছি।’
ἀφ’ ἧς ἡμέρας ἐξήγαγον τὸν λαόν μου τὸν Ισραηλ ἐξ Αἰγύπτου οὐκ ἐξελεξάμην ἐν πόλει ἐν ἑνὶ σκήπτρῳ Ισραηλ τοῦ οἰκοδομῆσαι οἶκον τοῦ εἶναι τὸ ὄνομά μου ἐκεῖ καὶ ἐξελεξάμην ἐν Ιερουσαλημ εἶναι τὸ ὄνομά μου ἐκεῖ καὶ ἐξελεξάμην τὸν Δαυιδ τοῦ εἶναι ἐπὶ τὸν λαόν μου τὸν Ισραηλ
καὶ ἐγένετο ἐπὶ τῆς καρδίας Δαυιδ τοῦ πατρός μου οἰκοδομῆσαι οἶκον τῷ ὀνόματι κυρίου θεοῦ Ισραηλ
18 ১৮ কিন্তু সদাপ্রভু আমার বাবা দায়ূদকে বলেছিলেন, ‘আমার নামের একটা ঘর তৈরী করবার ইচ্ছা যে তোমার অন্তরে আছে তা ভাল।
καὶ εἶπεν κύριος πρὸς Δαυιδ τὸν πατέρα μου ἀνθ’ ὧν ἦλθεν ἐπὶ τὴν καρδίαν σου τοῦ οἰκοδομῆσαι οἶκον τῷ ὀνόματί μου καλῶς ἐποίησας ὅτι ἐγενήθη ἐπὶ τὴν καρδίαν σου
19 ১৯ তবে ঘরটি তুমি তৈরী করবে না, করবে তোমার ছেলে, যে তোমার নিজের সন্তান। সেই আমার জন্য সেই ঘর তৈরী করবে।’
πλὴν σὺ οὐκ οἰκοδομήσεις τὸν οἶκον ἀλλ’ ἣ ὁ υἱός σου ὁ ἐξελθὼν ἐκ τῶν πλευρῶν σου οὗτος οἰκοδομήσει τὸν οἶκον τῷ ὀνόματί μου
20 ২০ সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেছেন। আমার বাবা যে পদে ছিলেন আমি সেই পদ পেয়েছি। সদাপ্রভুর প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমি ইস্রায়েলের সিংহাসনে বসেছি এবং ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের জন্য আমি এই ঘরটি তৈরী করেছি।
καὶ ἀνέστησεν κύριος τὸ ῥῆμα αὐτοῦ ὃ ἐλάλησεν καὶ ἀνέστην ἀντὶ Δαυιδ τοῦ πατρός μου καὶ ἐκάθισα ἐπὶ τοῦ θρόνου Ισραηλ καθὼς ἐλάλησεν κύριος καὶ ᾠκοδόμησα τὸν οἶκον τῷ ὀνόματι κυρίου θεοῦ Ισραηλ
21 ২১ আমি সেখানে সেই নিয়ম সিন্দুকটি রাখবার জায়গা ঠিক করেছি যার মধ্যে রয়েছে সদাপ্রভুর দেওয়া ব্যবস্থা, যা তিনি মিশর থেকে আমাদের পূর্বপুরুষদের বের করে আনবার পর তাঁদের জন্য স্থাপন করেছিলেন।”
καὶ ἐθέμην ἐκεῖ τόπον τῇ κιβωτῷ ἐν ᾗ ἐστιν ἐκεῖ διαθήκη κυρίου ἣν διέθετο κύριος μετὰ τῶν πατέρων ἡμῶν ἐν τῷ ἐξαγαγεῖν αὐτὸν αὐτοὺς ἐκ γῆς Αἰγύπτου
22 ২২ তারপর শলোমন সেখানে জড়ো হওয়া ইস্রায়েলীয়দের সামনে সদাপ্রভুর বেদির কাছে দাঁড়িয়ে স্বর্গের দিকে হাত তুললেন।
καὶ ἔστη Σαλωμων κατὰ πρόσωπον τοῦ θυσιαστηρίου κυρίου ἐνώπιον πάσης ἐκκλησίας Ισραηλ καὶ διεπέτασεν τὰς χεῖρας αὐτοῦ εἰς τὸν οὐρανὸν
23 ২৩ তিনি বললেন, “হে সদাপ্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, উপরে স্বর্গে কিম্বা নীচে পৃথিবীতে তোমার মত ঈশ্বর আর কেউ নেই। তোমার যে দাসেরা মনে প্রাণে তোমার পথে চলে তুমি তাদের পক্ষে তোমার অটল ভালবাসার ব্যবস্থা রক্ষা করে থাক।
καὶ εἶπεν κύριε ὁ θεὸς Ισραηλ οὐκ ἔστιν ὡς σὺ θεὸς ἐν τῷ οὐρανῷ ἄνω καὶ ἐπὶ τῆς γῆς κάτω φυλάσσων διαθήκην καὶ ἔλεος τῷ δούλῳ σου τῷ πορευομένῳ ἐνώπιόν σου ἐν ὅλῃ τῇ καρδίᾳ αὐτοῦ
24 ২৪ তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে তা তুমি রক্ষা করেছ। তুমি মুখে যা বলেছ কাজেও তা করেছ, আর আজকে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি।
ἃ ἐφύλαξας τῷ δούλῳ σου Δαυιδ τῷ πατρί μου καὶ ἐλάλησας ἐν τῷ στόματί σου καὶ ἐν χερσίν σου ἐπλήρωσας ὡς ἡ ἡμέρα αὕτη
25 ২৫ এখন হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করেছিলে তা রক্ষা কর। তুমি বলেছিলে যদি কেবলমাত্র আমার সামনে তুমি যেমন চলেছ তেমনি তোমার বংশধরেরা আমার সামনে চলবার জন্য নিজের নিজের পথে সচেতন থাকে;
καὶ νῦν κύριε ὁ θεὸς Ισραηλ φύλαξον τῷ δούλῳ σου τῷ Δαυιδ τῷ πατρί μου ἃ ἐλάλησας αὐτῷ λέγων οὐκ ἐξαρθήσεταί σου ἀνὴρ ἐκ προσώπου μου καθήμενος ἐπὶ θρόνου Ισραηλ πλὴν ἐὰν φυλάξωνται τὰ τέκνα σου τὰς ὁδοὺς αὐτῶν τοῦ πορεύεσθαι ἐνώπιον ἐμοῦ καθὼς ἐπορεύθης ἐνώπιον ἐμοῦ
26 ২৬ তবে এখন, হে ইস্রায়েলের ঈশ্বর, যে প্রতিজ্ঞা তুমি তোমার দাস আমার বাবা দায়ূদের কাছে করেছিলে তা সফল হোক।
καὶ νῦν κύριε ὁ θεὸς Ισραηλ πιστωθήτω δὴ τὸ ῥῆμά σου τῷ Δαυιδ τῷ πατρί μου
27 ২৭ কিন্তু সত্যিই কি ঈশ্বর পৃথিবীতে বাস করবেন? মহাকাশে, এমন কি, মহাকাশের সমস্ত জায়গা জুড়েও যখন তোমার জায়গা কম হয় তখন আমার তৈরী এই ঘরে কি তোমার জায়গা হবে?
ὅτι εἰ ἀληθῶς κατοικήσει ὁ θεὸς μετὰ ἀνθρώπων ἐπὶ τῆς γῆς εἰ ὁ οὐρανὸς καὶ ὁ οὐρανὸς τοῦ οὐρανοῦ οὐκ ἀρκέσουσίν σοι πλὴν καὶ ὁ οἶκος οὗτος ὃν ᾠκοδόμησα τῷ ὀνόματί σου
28 ২৮ তবুও হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তোমার দাসের প্রার্থনা ও অনুরোধে তুমি কান দাও। তোমার দাস আজ তোমার কাছে কাকুতি মিনতি ও প্রার্থনা করছে তা তুমি শোন।
καὶ ἐπιβλέψῃ ἐπὶ τὴν δέησίν μου κύριε ὁ θεὸς Ισραηλ ἀκούειν τῆς τέρψεως ἧς ὁ δοῦλός σου προσεύχεται ἐνώπιόν σου πρὸς σὲ σήμερον
29 ২৯ যে জায়গার বিষয় তুমি বলেছ, ‘এই জায়গায় আমার বাসস্থান হবে,’ সেই জায়গার দিকে, অর্থাৎ এই উপাসনা ঘরের দিকে তোমার চোখ দিন রাত খোলা থাকুক; আর এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার দাস যখন প্রার্থনা করবে তখন তুমি তা শুনো।
τοῦ εἶναι ὀφθαλμούς σου ἠνεῳγμένους εἰς τὸν οἶκον τοῦτον ἡμέρας καὶ νυκτός εἰς τὸν τόπον ὃν εἶπας ἔσται τὸ ὄνομά μου ἐκεῖ τοῦ εἰσακούειν τῆς προσευχῆς ἧς προσεύχεται ὁ δοῦλός σου εἰς τὸν τόπον τοῦτον ἡμέρας καὶ νυκτός
30 ৩০ এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার দাস ও তোমার লোক ইস্রায়েলীয়েরা যখন অনুরোধ করবে তখন তাতে তুমি কান দিয়ো। তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তা তুমি শুনো এবং তাদের ক্ষমা কোরো।
καὶ εἰσακούσῃ τῆς δεήσεως τοῦ δούλου σου καὶ τοῦ λαοῦ σου Ισραηλ ἃ ἂν προσεύξωνται εἰς τὸν τόπον τοῦτον καὶ σὺ εἰσακούσῃ ἐν τῷ τόπῳ τῆς κατοικήσεώς σου ἐν οὐρανῷ καὶ ποιήσεις καὶ ἵλεως ἔσῃ
31 ৩১ কোনো লোককে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে পাপ করলে তার নিজের উপর অভিশাপ ডেকে আনবার জন্য যদি তাকে শপথ করতে বাধ্য করা হয় এবং সে গিয়ে তোমার এই ঘরের বেদির সামনে সেই শপথ করে,
ὅσα ἂν ἁμάρτῃ ἕκαστος τῷ πλησίον αὐτοῦ καὶ ἐὰν λάβῃ ἐπ’ αὐτὸν ἀρὰν τοῦ ἀρᾶσθαι αὐτόν καὶ ἔλθῃ καὶ ἐξαγορεύσῃ κατὰ πρόσωπον τοῦ θυσιαστηρίου σου ἐν τῷ οἴκῳ τούτῳ
32 ৩২ তবে তুমি স্বর্গ থেকে সেই কথা শুনো এবং সাড়া দাও। তখন তোমার দাসদের তুমি বিচার করে দোষীর কাজের ফল তার মাথায় চাপিয়ে দিয়ে তাকে দোষী বলে প্রমাণ কোরো আর ধার্ম্মিককে তার কাজ অনুসারে ফল দিয়ে তাকে ধার্মিক বলে প্রমাণ কোরো।
καὶ σὺ εἰσακούσει ἐκ τοῦ οὐρανοῦ καὶ ποιήσεις καὶ κρινεῖς τὸν λαόν σου Ισραηλ ἀνομηθῆναι ἄνομον δοῦναι τὴν ὁδὸν αὐτοῦ εἰς κεφαλὴν αὐτοῦ καὶ τοῦ δικαιῶσαι δίκαιον δοῦναι αὐτῷ κατὰ τὴν δικαιοσύνην αὐτοῦ
33 ৩৩ তোমার বিরুদ্ধে পাপ করবার দরুন যখন তোমার লোক ইস্রায়েলীয়েরা শত্রুর কাছে হেরে গিয়ে যদি আবার তোমার কাছে ফিরে আসে এবং এই উপাসনা ঘরে তোমার নাম স্বীকার করে তোমার কাছে প্রার্থনা ও অনুরোধ করবে,
ἐν τῷ πταῖσαι τὸν λαόν σου Ισραηλ ἐνώπιον ἐχθρῶν ὅτι ἁμαρτήσονταί σοι καὶ ἐπιστρέψουσιν καὶ ἐξομολογήσονται τῷ ὀνόματί σου καὶ προσεύξονται καὶ δεηθήσονται ἐν τῷ οἴκῳ τούτῳ
34 ৩৪ তখন স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো এবং নিজের লোক ইস্রায়েলীয়দের পাপ ক্ষমা করে যে দেশ তুমি তাদের পূর্বপুরুষদের দিয়েছ সেখানে আবার তাদের ফিরিয়ে নিয়ে এসো।
καὶ σὺ εἰσακούσῃ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ καὶ ἵλεως ἔσῃ ταῖς ἁμαρτίαις τοῦ λαοῦ σου Ισραηλ καὶ ἀποστρέψεις αὐτοὺς εἰς τὴν γῆν ἣν ἔδωκας τοῖς πατράσιν αὐτῶν
35 ৩৫ তোমার বিরুদ্ধে তোমার লোকদের পাপ করবার দরুন যখন আকাশ বন্ধ হয়ে বৃষ্টি পড়বে না, তখন তারা যদি এই জায়গার দিকে ফিরে তোমার গৌরব করে ও তোমার কাছে প্রার্থনা করে এবং তোমার কাছ থেকে কষ্ট পেয়ে পাপ থেকে ফেরে,
ἐν τῷ συσχεθῆναι τὸν οὐρανὸν καὶ μὴ γενέσθαι ὑετόν ὅτι ἁμαρτήσονταί σοι καὶ προσεύξονται εἰς τὸν τόπον τοῦτον καὶ ἐξομολογήσονται τῷ ὀνόματί σου καὶ ἀπὸ τῶν ἁμαρτιῶν αὐτῶν ἀποστρέψουσιν ὅταν ταπεινώσῃς αὐτούς
36 ৩৬ তবে তুমি স্বর্গ থেকে তা শুনো এবং তোমার দাসদের, অর্থাৎ তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের পাপ ক্ষমা করে দিয়ো। জীবনে ঠিক ভাবে সৎ পথে চলতে তাদের শিক্ষা দিয়ো এবং সম্পত্তি হিসাবে যে দেশ তুমি তাদের দিয়েছ সেই দেশের উপর বৃষ্টি দিয়ো।
καὶ εἰσακούσῃ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ καὶ ἵλεως ἔσῃ ταῖς ἁμαρτίαις τοῦ δούλου σου καὶ τοῦ λαοῦ σου Ισραηλ ὅτι δηλώσεις αὐτοῖς τὴν ὁδὸν τὴν ἀγαθὴν πορεύεσθαι ἐν αὐτῇ καὶ δώσεις ὑετὸν ἐπὶ τὴν γῆν ἣν ἔδωκας τῷ λαῷ σου ἐν κληρονομίᾳ
37 ৩৭ যদি দেশে দূর্ভিক্ষ কিম্বা মহামারী দেখা দেয়, যদি ফসল শুকিয়ে যাওয়া রোগ কিম্বা ছাতাপড়া রোগ হয়, যদি ফসলে শুঁয়াপোকা বা পঙ্গপাল লাগে, যদি শত্রু তাদের কোনো শহর ঘেরাও করে, যে কোনো রকম মহামারী কিম্বা রোগ দেখা দিক না কেন,
λιμὸς ἐὰν γένηται θάνατος ἐὰν γένηται ὅτι ἔσται ἐμπυρισμός βροῦχος ἐρυσίβη ἐὰν γένηται καὶ ἐὰν θλίψῃ αὐτὸν ἐχθρὸς αὐτοῦ ἐν μιᾷ τῶν πόλεων αὐτοῦ πᾶν συνάντημα πᾶν πόνον
38 ৩৮ তখন যদি তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের কেউ অনুতপ্ত হয়ে মনের কষ্টে এই উপাসনা ঘরের দিকে হাত বাড়িয়ে কোনো প্রার্থনা বা অনুরোধ করে,
πᾶσαν προσευχήν πᾶσαν δέησιν ἐὰν γένηται παντὶ ἀνθρώπῳ ὡς ἂν γνῶσιν ἕκαστος ἁφὴν καρδίας αὐτοῦ καὶ διαπετάσῃ τὰς χεῖρας αὐτοῦ εἰς τὸν οἶκον τοῦτον
39 ৩৯ তবে তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো। তুমি তাকে ক্ষমা কোরো ও সাড়া দিও; তার সব কাজ অনুসারে বিচার কোরো, কারণ তুমি তো তার হৃদয়ের অবস্থা জান, কেবল তুমিই সমস্ত মানুষের হৃদয় জান।
καὶ σὺ εἰσακούσῃ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ ἐξ ἑτοίμου κατοικητηρίου σου καὶ ἵλεως ἔσῃ καὶ ποιήσεις καὶ δώσεις ἀνδρὶ κατὰ τὰς ὁδοὺς αὐτοῦ καθὼς ἂν γνῷς τὴν καρδίαν αὐτοῦ ὅτι σὺ μονώτατος οἶδας τὴν καρδίαν πάντων υἱῶν ἀνθρώπων
40 ৪০ তুমি এটাই কোরো যাতে আমাদের পূর্বপুরুষদের তুমি যে দেশ দিয়েছ সেখানে সারা জীবন তোমার লোকেরা তোমাকে ভয় করে চলে।
ὅπως φοβῶνταί σε πάσας τὰς ἡμέρας ἃς αὐτοὶ ζῶσιν ἐπὶ τῆς γῆς ἧς ἔδωκας τοῖς πατράσιν ἡμῶν
καὶ τῷ ἀλλοτρίῳ ὃς οὐκ ἔστιν ἀπὸ λαοῦ σου οὗτος
42 ৪২ ও বাড়িয়ে দেওয়া হাতের কথা শুনে তোমার উপাসনার জন্য যখন দূর দেশ থেকে এসে এই উপাসনা ঘরের দিকে ফিরে প্রার্থনা করবে,
καὶ ἥξουσιν καὶ προσεύξονται εἰς τὸν τόπον τοῦτον
43 ৪৩ তখন তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তুমি তা শুনো। সে যা চায় তার জন্য তা কোরো যেন পৃথিবীর সমস্ত লোক তোমাকে জানতে পারে এবং তোমার নিজের লোক ইস্রায়েলীয়দের মত তারাও তোমাকে ভয় করতে পারে আর জানতে পারে যে, আমার তৈরী এই ঘর তোমারই ঘর।
καὶ σὺ εἰσακούσῃ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ ἐξ ἑτοίμου κατοικητηρίου σου καὶ ποιήσεις κατὰ πάντα ὅσα ἂν ἐπικαλέσηταί σε ὁ ἀλλότριος ὅπως γνῶσιν πάντες οἱ λαοὶ τὸ ὄνομά σου καὶ φοβῶνταί σε καθὼς ὁ λαός σου Ισραηλ καὶ γνῶσιν ὅτι τὸ ὄνομά σου ἐπικέκληται ἐπὶ τὸν οἶκον τοῦτον ὃν ᾠκοδόμησα
44 ৪৪ তুমি যখন তোমার লোকদের তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পাঠাবে তখন তারা যেখানেই থাকুক না কেন সেখান থেকে যদি তোমার বেছে নেওয়া এই শহরের দিকে ও তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে প্রার্থনা করে,
ὅτι ἐξελεύσεται ὁ λαός σου εἰς πόλεμον ἐπὶ τοὺς ἐχθροὺς αὐτοῦ ἐν ὁδῷ ᾗ ἐπιστρέψεις αὐτούς καὶ προσεύξονται ἐν ὀνόματι κυρίου ὁδὸν τῆς πόλεως ἧς ἐξελέξω ἐν αὐτῇ καὶ τοῦ οἴκου οὗ ᾠκοδόμησα τῷ ὀνόματί σου
καὶ εἰσακούσει ἐκ τοῦ οὐρανοῦ τῆς δεήσεως αὐτῶν καὶ τῆς προσευχῆς αὐτῶν καὶ ποιήσεις τὸ δικαίωμα αὐτοῖς
46 ৪৬ তারা যখন তোমার বিরুদ্ধে পাপ করবে অবশ্য পাপ করে না এমন লোক নেই আর তুমি তাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে শত্রুর হাতে তাদের তুলে দেবে ও শত্রুরা তাদের বন্দী করে কাছে বা দূরে তাদের নিজেদের দেশে নিয়ে যাবে,
ὅτι ἁμαρτήσονταί σοι ὅτι οὐκ ἔστιν ἄνθρωπος ὃς οὐχ ἁμαρτήσεται καὶ ἐπάξεις ἐπ’ αὐτοὺς καὶ παραδώσεις αὐτοὺς ἐνώπιον ἐχθρῶν καὶ αἰχμαλωτιοῦσιν αὐτοὺς οἱ αἰχμαλωτίζοντες εἰς γῆν μακρὰν καὶ ἐγγύς
47 ৪৭ তখন বন্দী হয়ে থাকা সেই দেশে যদি তারা মন ফেরায় এবং অনুতপ্ত হয়ে তোমাকে অনুরোধ করে বলে, ‘আমরা পাপ করেছি, অন্যায় করেছি এবং মন্দভাবে চলেছি,’ তবে তুমি তাদের প্রার্থনা শুনো।
καὶ ἐπιστρέψουσιν καρδίας αὐτῶν ἐν τῇ γῇ οὗ μετήχθησαν ἐκεῖ καὶ ἐπιστρέψωσιν καὶ δεηθῶσίν σου ἐν γῇ μετοικίας αὐτῶν λέγοντες ἡμάρτομεν ἠνομήσαμεν ἠδικήσαμεν
48 ৪৮ ঐ দেশে যদি তারা মনে প্রাণে তোমার দিকে ফেরে এবং তাদের পূর্বপুরুষদের যে দেশ তুমি দিয়েছ সেই দেশের দিকে, তোমার বেছে নেওয়া শহরের দিকে, তোমার জন্য আমার তৈরী এই ঘরের দিকে ফিরে তোমার কাছে প্রার্থনা করে,
καὶ ἐπιστρέψωσιν πρὸς σὲ ἐν ὅλῃ καρδίᾳ αὐτῶν καὶ ἐν ὅλῃ ψυχῇ αὐτῶν ἐν τῇ γῇ ἐχθρῶν αὐτῶν οὗ μετήγαγες αὐτούς καὶ προσεύξονται πρὸς σὲ ὁδὸν γῆς αὐτῶν ἧς ἔδωκας τοῖς πατράσιν αὐτῶν τῆς πόλεως ἧς ἐξελέξω καὶ τοῦ οἴκου οὗ ᾠκοδόμηκα τῷ ὀνόματί σου
49 ৪৯ তবে তুমি তোমার বাসস্থান স্বর্গ থেকে তাদের প্রার্থনা ও অনুরোধ শুনো এবং তাদের বিষয়ে সাহায্য কর।
καὶ εἰσακούσῃ ἐκ τοῦ οὐρανοῦ ἐξ ἑτοίμου κατοικητηρίου σου
50 ৫০ আর তোমার যে লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছে সেই লোকদের তুমি ক্ষমা কোরো এবং তোমার বিরুদ্ধে করা তাদের সমস্ত দোষও ক্ষমা করো। তাদের যারা বন্দী করে নিয়ে গেছে সেই লোকদের মন এমন করো যাতে তারা তাদের প্রতি দয়া করে;
καὶ ἵλεως ἔσῃ ταῖς ἀδικίαις αὐτῶν αἷς ἥμαρτόν σοι καὶ κατὰ πάντα τὰ ἀθετήματα αὐτῶν ἃ ἠθέτησάν σοι καὶ δώσεις αὐτοὺς εἰς οἰκτιρμοὺς ἐνώπιον αἰχμαλωτευόντων αὐτούς καὶ οἰκτιρήσουσιν αὐτούς
51 ৫১ কারণ ইস্রায়েলীয়েরা তো তোমারই লোক, তোমারই সম্পত্তি যাদের তুমি মিশর থেকে উদ্ধার করে এনেছ, লোহা গলানো চুল্লীর ভিতর থেকে বের করে এনেছ।
ὅτι λαός σου καὶ κληρονομία σου οὓς ἐξήγαγες ἐκ γῆς Αἰγύπτου ἐκ μέσου χωνευτηρίου σιδήρου
52 ৫২ তোমার দাসের ও তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের অনুরোধের প্রতি তুমি মনোযোগ দিয়ো, আর যখন তারা তোমাকে ডাকবে তখন তুমি তাদের কথা শুনো।
καὶ ἔστωσαν οἱ ὀφθαλμοί σου καὶ τὰ ὦτά σου ἠνεῳγμένα εἰς τὴν δέησιν τοῦ δούλου σου καὶ εἰς τὴν δέησιν τοῦ λαοῦ σου Ισραηλ εἰσακούειν αὐτῶν ἐν πᾶσιν οἷς ἂν ἐπικαλέσωνταί σε
53 ৫৩ হে প্রভু সদাপ্রভু, আমাদের পূর্বপুরুষদের মিশর থেকে বের করে আনবার দিন তোমার দাস মোশির মধ্য দিয়ে তোমার ঘোষণা অনুসারে তোমার নিজের সম্পত্তি হবার জন্য জগতের সমস্ত জাতির মধ্য থেকে তুমি ইস্রায়েলীয়দের আলাদা করে নিয়েছ।”
ὅτι σὺ διέστειλας αὐτοὺς σαυτῷ εἰς κληρονομίαν ἐκ πάντων τῶν λαῶν τῆς γῆς καθὼς ἐλάλησας ἐν χειρὶ δούλου σου Μωυσῆ ἐν τῷ ἐξαγαγεῖν σε τοὺς πατέρας ἡμῶν ἐκ γῆς Αἰγύπτου κύριε κύριε τότε ἐλάλησεν Σαλωμων ὑπὲρ τοῦ οἴκου ὡς συνετέλεσεν τοῦ οἰκοδομῆσαι αὐτόν ἥλιον ἐγνώρισεν ἐν οὐρανῷ κύριος εἶπεν τοῦ κατοικεῖν ἐν γνόφῳ οἰκοδόμησον οἶκόν μου οἶκον ἐκπρεπῆ σαυτῷ τοῦ κατοικεῖν ἐπὶ καινότητος οὐκ ἰδοὺ αὕτη γέγραπται ἐν βιβλίῳ τῆς ᾠδῆς
54 ৫৪ সদাপ্রভুর কাছে এই সব প্রার্থনা ও মিনতি শেষ করবার পর শলোমন সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদীর সামনে থেকে উঠলেন; এতক্ষণ তিনি হাঁটু পেতে স্বর্গের দিকে হাত বাড়িয়ে ছিলেন।
καὶ ἐγένετο ὡς συνετέλεσεν Σαλωμων προσευχόμενος πρὸς κύριον ὅλην τὴν προσευχὴν καὶ τὴν δέησιν ταύτην καὶ ἀνέστη ἀπὸ προσώπου τοῦ θυσιαστηρίου κυρίου ὀκλακὼς ἐπὶ τὰ γόνατα αὐτοῦ καὶ αἱ χεῖρες αὐτοῦ διαπεπετασμέναι εἰς τὸν οὐρανόν
καὶ ἔστη καὶ εὐλόγησεν πᾶσαν ἐκκλησίαν Ισραηλ φωνῇ μεγάλῃ λέγων
56 ৫৬ “ধন্য সদাপ্রভু, যিনি তাঁর নিজের প্রতিজ্ঞা অনুসারে তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের বিশ্রাম দিয়েছেন। তাঁর দাস মোশির মধ্য দিয়ে তিনি যে সব মঙ্গল করবার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তার একটা কথাও পতিত হয়নি।
εὐλογητὸς κύριος σήμερον ὃς ἔδωκεν κατάπαυσιν τῷ λαῷ αὐτοῦ Ισραηλ κατὰ πάντα ὅσα ἐλάλησεν οὐ διεφώνησεν λόγος εἷς ἐν πᾶσιν τοῖς λόγοις αὐτοῦ τοῖς ἀγαθοῖς οἷς ἐλάλησεν ἐν χειρὶ Μωυσῆ δούλου αὐτοῦ
57 ৫৭ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যেমন আমাদের পূর্বপুরুষদের সঙ্গে ছিলেন তেমনি তিনি আমাদের সঙ্গেও থাকুন। তিনি যেন কখনও আমাদের ছেড়ে না যান কিম্বা ছেড়ে না দেন।
γένοιτο κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν μεθ’ ἡμῶν καθὼς ἦν μετὰ τῶν πατέρων ἡμῶν μὴ ἐγκαταλίποιτο ἡμᾶς μηδὲ ἀποστρέψοιτο ἡμᾶς
58 ৫৮ আমরা তাঁর সব পথে চলবার জন্য এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে তিনি যে সব আদেশ, নিয়ম ও নির্দেশ দিয়েছিলেন তা মেনে চলবার জন্য তিনি আমাদের হৃদয় তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত রাখুন।
ἐπικλῖναι καρδίας ἡμῶν πρὸς αὐτὸν τοῦ πορεύεσθαι ἐν πάσαις ὁδοῖς αὐτοῦ καὶ φυλάσσειν πάσας τὰς ἐντολὰς αὐτοῦ καὶ προστάγματα αὐτοῦ ἃ ἐνετείλατο τοῖς πατράσιν ἡμῶν
59 ৫৯ আমি যে সব কথা বলে সদাপ্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছি তা দিন রাত আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে থাকুক যাতে তিনি তাঁর নিজের দাসের ও তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের প্রতিদিনের র প্রয়োজন অনুসারে ব্যবস্থা করেন।
καὶ ἔστωσαν οἱ λόγοι οὗτοι οὓς δεδέημαι ἐνώπιον κυρίου θεοῦ ἡμῶν ἐγγίζοντες πρὸς κύριον θεὸν ἡμῶν ἡμέρας καὶ νυκτὸς τοῦ ποιεῖν τὸ δικαίωμα τοῦ δούλου σου καὶ τὸ δικαίωμα λαοῦ σου Ισραηλ ῥῆμα ἡμέρας ἐν ἡμέρᾳ αὐτοῦ
ὅπως γνῶσιν πάντες οἱ λαοὶ τῆς γῆς ὅτι κύριος ὁ θεός αὐτὸς θεὸς καὶ οὐκ ἔστιν ἔτι
61 ৬১ অতএব আজকে যেমন সদাপ্রভুর নিয়ম ও আদেশ মেনে চলবার জন্য তোমাদের হৃদয় সম্পূর্ণভাবে আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর দিকে আছে তেমনি সব দিন থাকুক।”
καὶ ἔστωσαν αἱ καρδίαι ἡμῶν τέλειαι πρὸς κύριον θεὸν ἡμῶν καὶ ὁσίως πορεύεσθαι ἐν τοῖς προστάγμασιν αὐτοῦ καὶ φυλάσσειν ἐντολὰς αὐτοῦ ὡς ἡ ἡμέρα αὕτη
καὶ ὁ βασιλεὺς καὶ πάντες οἱ υἱοὶ Ισραηλ ἔθυσαν θυσίαν ἐνώπιον κυρίου
63 ৬৩ সদাপ্রভুর জন্য শলোমন বাইশ হাজার গরু ও এক লক্ষ কুড়ি হাজার ভেড়া দিয়ে মঙ্গলার্থক বলিদান করলেন। এই ভাবে রাজা ও সমস্ত ইস্রায়েলীয় সদাপ্রভুর ঘর প্রতিষ্ঠা করলেন।
καὶ ἔθυσεν ὁ βασιλεὺς Σαλωμων τὰς θυσίας τῶν εἰρηνικῶν ἃς ἔθυσεν τῷ κυρίῳ βοῶν δύο καὶ εἴκοσι χιλιάδας καὶ προβάτων ἑκατὸν εἴκοσι χιλιάδας καὶ ἐνεκαίνισεν τὸν οἶκον κυρίου ὁ βασιλεὺς καὶ πάντες οἱ υἱοὶ Ισραηλ
64 ৬৪ সেই একই দিনের রাজা সদাপ্রভুর ঘরের সামনের উঠানের মাঝখানের অংশ সদাপ্রভুর উদ্দেশ্যে আলাদা করলেন। সেখানে তিনি হোমবলি ও শস্য উৎসর্গের বলিদান দিলেন এবং মঙ্গলার্থক বলির চর্বি উৎসর্গ করলেন, কারণ সদাপ্রভুর সামনে থাকা পিতলের বেদীটা এই সব উৎসর্গের অনুষ্ঠান করবার জন্য ছোট ছিল।
τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ ἡγίασεν ὁ βασιλεὺς τὸ μέσον τῆς αὐλῆς τὸ κατὰ πρόσωπον τοῦ οἴκου κυρίου ὅτι ἐποίησεν ἐκεῖ τὴν ὁλοκαύτωσιν καὶ τὰς θυσίας καὶ τὰ στέατα τῶν εἰρηνικῶν ὅτι τὸ θυσιαστήριον τὸ χαλκοῦν τὸ ἐνώπιον κυρίου μικρὸν τοῦ μὴ δύνασθαι τὴν ὁλοκαύτωσιν καὶ τὰς θυσίας τῶν εἰρηνικῶν ὑπενεγκεῖν
65 ৬৫ এই ভাবে শলোমন ও তাঁর সঙ্গে সমস্ত ইস্রায়েলীয়েরা সেই দিন আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সামনে সাত দিন ও আরও সাত দিন, মোট চৌদ্দ দিন ধরে একটা উৎসব করলেন। তারা ছিল এক বিরাট জনসংখ্যা; তারা হমাতের শহরে ঢোকার জায়গা থেকে মিশরের ছোট নদী পর্যন্ত সমস্ত এলাকা থেকে এসে যোগ দিয়েছিল।
καὶ ἐποίησεν Σαλωμων τὴν ἑορτὴν ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ καὶ πᾶς Ισραηλ μετ’ αὐτοῦ ἐκκλησία μεγάλη ἀπὸ τῆς εἰσόδου Ημαθ ἕως ποταμοῦ Αἰγύπτου ἐνώπιον κυρίου θεοῦ ἡμῶν ἐν τῷ οἴκῳ ᾧ ᾠκοδόμησεν ἐσθίων καὶ πίνων καὶ εὐφραινόμενος ἐνώπιον κυρίου θεοῦ ἡμῶν ἑπτὰ ἡμέρας
66 ৬৬ অষ্টম দিনের তিনি লোকদের বিদায় দিলেন। সদাপ্রভু তাঁর দাস দায়ূদ ও তাঁর লোক ইস্রায়েলীয়দের প্রতি যে সব মঙ্গল করেছেন তার জন্য আনন্দিত ও খুশী হয়ে লোকেরা রাজাকে ধন্যবাদ দিয়ে নিজের নিজের বাড়ি চলে গেল।
καὶ ἐν τῇ ἡμέρᾳ τῇ ὀγδόῃ ἐξαπέστειλεν τὸν λαὸν καὶ εὐλόγησεν αὐτόν καὶ ἀπῆλθον ἕκαστος εἰς τὰ σκηνώματα αὐτοῦ χαίροντες καὶ ἀγαθῇ καρδίᾳ ἐπὶ τοῖς ἀγαθοῖς οἷς ἐποίησεν κύριος τῷ Δαυιδ δούλῳ αὐτοῦ καὶ τῷ Ισραηλ λαῷ αὐτοῦ
