প্রথম রাজাবলি 22
καὶ ἐκάθισεν τρία ἔτη καὶ οὐκ ἦν πόλεμος ἀνὰ μέσον Συρίας καὶ ἀνὰ μέσον Ισραηλ
καὶ ἐγενήθη ἐν τῷ ἐνιαυτῷ τῷ τρίτῳ καὶ κατέβη Ιωσαφατ βασιλεὺς Ιουδα πρὸς βασιλέα Ισραηλ
3 ৩ ইস্রায়েলের রাজা তাঁর দাসদের বললেন, “আপনারা কি জানেন যে, রামোৎ গিলিয়দ আমাদের? অথচ আমরা অরামের রাজার কাছ থেকে সেটা ফিরিয়ে নেবার জন্য কিছুই করছি না।”
καὶ εἶπεν βασιλεὺς Ισραηλ πρὸς τοὺς παῖδας αὐτοῦ εἰ οἴδατε ὅτι ἡμῖν Ρεμμαθ Γαλααδ καὶ ἡμεῖς σιωπῶμεν λαβεῖν αὐτὴν ἐκ χειρὸς βασιλέως Συρίας
4 ৪ তখন তিনি যিহোশাফটকে বললেন, “আপনি কি যুদ্ধ করবার জন্য আমার সঙ্গে রামোৎ গিলিয়দে যাবেন?” উত্তরে যিহোশাফট ইস্রায়েলের রাজাকে বললেন, “আমি ও আপনি আমার লোক ও আপনার লোক সবাই এক, আর আমার ঘোড়া আপনারই ঘোড়া।”
καὶ εἶπεν βασιλεὺς Ισραηλ πρὸς Ιωσαφατ ἀναβήσῃ μεθ’ ἡμῶν εἰς Ρεμμαθ Γαλααδ εἰς πόλεμον καὶ εἶπεν Ιωσαφατ καθὼς ἐγὼ οὕτως καὶ σύ καθὼς ὁ λαός μου ὁ λαός σου καθὼς οἱ ἵπποι μου οἱ ἵπποι σου
καὶ εἶπεν Ιωσαφατ βασιλεὺς Ιουδα πρὸς βασιλέα Ισραηλ ἐπερωτήσατε δὴ σήμερον τὸν κύριον
6 ৬ কাজেই ইস্রায়েলের রাজা ভাববাদীদের ডেকে জড়ো করলেন। তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় চারশো। তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “রামোৎ গিলিয়দের বিরুদ্ধে কি আমি যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?” তারা বলল, “যান, কারণ প্রভু ওটা রাজার হাতেই তুলে দেবেন।”
καὶ συνήθροισεν ὁ βασιλεὺς Ισραηλ πάντας τοὺς προφήτας ὡς τετρακοσίους ἄνδρας καὶ εἶπεν αὐτοῖς ὁ βασιλεύς εἰ πορευθῶ εἰς Ρεμμαθ Γαλααδ εἰς πόλεμον ἢ ἐπίσχω καὶ εἶπαν ἀνάβαινε καὶ διδοὺς δώσει κύριος εἰς χεῖρας τοῦ βασιλέως
7 ৭ কিন্তু যিহোশাফট বললেন, “এখানে কি সদাপ্রভুর কোনো একটা ভাববাদী নেই যার কাছে আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি?”
καὶ εἶπεν Ιωσαφατ πρὸς βασιλέα Ισραηλ οὐκ ἔστιν ὧδε προφήτης τοῦ κυρίου καὶ ἐπερωτήσομεν τὸν κύριον δῑ αὐτοῦ
8 ৮ উত্তরে ইস্রায়েলের রাজা যিহূদার রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “এখনও এমন একজন লোক আছে যার মধ্য দিয়ে আমরা সদাপ্রভুর কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারি, সে হল যিম্লের ছেলে মীখায়, কিন্তু আমি তাকে ঘৃণা করি, কারণ সে আমার সম্বন্ধে মঙ্গলের কথা বলে না, শুধু অমঙ্গলের কথাই বলে।” উত্তরে যিহোশাফট বললেন, “রাজা যেন ঐ রকম কথা না বলেন।”
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς Ισραηλ πρὸς Ιωσαφατ ἔτι ἔστιν ἀνὴρ εἷς τοῦ ἐπερωτῆσαι τὸν κύριον δῑ αὐτοῦ καὶ ἐγὼ μεμίσηκα αὐτόν ὅτι οὐ λαλεῖ περὶ ἐμοῦ καλά ἀλλ’ ἢ κακά Μιχαιας υἱὸς Ιεμλα καὶ εἶπεν Ιωσαφατ βασιλεὺς Ιουδα μὴ λεγέτω ὁ βασιλεὺς οὕτως
9 ৯ তখন ইস্রায়েলের রাজা তাঁর একজন কর্মচারীকে আদেশ করলেন, “তুমি এখনই যিম্লের ছেলে মীখায়কে ডেকে নিয়ে এস।”
καὶ ἐκάλεσεν ὁ βασιλεὺς Ισραηλ εὐνοῦχον ἕνα καὶ εἶπεν τάχος Μιχαιαν υἱὸν Ιεμλα
10 ১০ ইস্রায়েলের রাজা ও যিহূদার রাজা যিহোশাফট রাজপোশাক পরে শমরিয়া শহরের ফটকের কাছে খোলা জায়গায় তাঁদের সিংহাসনের উপরে বসে ছিলেন আর ভাববাদীরা সবাই তাঁদের সামনে ভবিষ্যতের কথা বলছিল।
καὶ ὁ βασιλεὺς Ισραηλ καὶ Ιωσαφατ βασιλεὺς Ιουδα ἐκάθηντο ἀνὴρ ἐπὶ τοῦ θρόνου αὐτοῦ ἔνοπλοι ἐν ταῖς πύλαις Σαμαρείας καὶ πάντες οἱ προφῆται ἐπροφήτευον ἐνώπιον αὐτῶν
11 ১১ লোহার শিং তৈরী করে নিয়ে কনানার ছেলে সিদিকিয় এই কথা ঘোষণা করল, “সদাপ্রভু বলছেন যে, অরামীয়েরা শেষ হয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আপনি এগুলো দিয়েই তাদের গুঁতাতে থাকবেন।”
καὶ ἐποίησεν ἑαυτῷ Σεδεκιας υἱὸς Χανανα κέρατα σιδηρᾶ καὶ εἶπεν τάδε λέγει κύριος ἐν τούτοις κερατιεῖς τὴν Συρίαν ἕως συντελεσθῇ
12 ১২ অন্যান্য ভাববাদীরাও একই রকম কথা বলল। তারা বলল, “রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করে তা জয় করে নিন, কারণ সদাপ্রভু সেটা রাজার হাতে তুলে দেবেন।”
καὶ πάντες οἱ προφῆται ἐπροφήτευον οὕτως λέγοντες ἀνάβαινε εἰς Ρεμμαθ Γαλααδ καὶ εὐοδώσει καὶ δώσει κύριος εἰς χεῖράς σου καὶ τὸν βασιλέα Συρίας
13 ১৩ যে লোকটি মীখায়কে ডেকে আনতে গিয়েছিল সে তাঁকে বলল, “দেখুন, অন্যান্য ভাববাদীরা সবাই একমুখে রাজার সফলতার কথা বলছেন। আপনার কথাও যেন তাঁদের কথার মতই হয়। আপনি মঙ্গলের কথাই বলবেন।”
καὶ ὁ ἄγγελος ὁ πορευθεὶς καλέσαι τὸν Μιχαιαν ἐλάλησεν αὐτῷ λέγων ἰδοὺ δὴ λαλοῦσιν πάντες οἱ προφῆται ἐν στόματι ἑνὶ καλὰ περὶ τοῦ βασιλέως γίνου δὴ καὶ σὺ εἰς λόγους σου κατὰ τοὺς λόγους ἑνὸς τούτων καὶ λάλησον καλά
14 ১৪ কিন্তু মীখায় বললেন, “জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি যে, সদাপ্রভু আমাকে যা বলবেন আমি কেবল সেই কথাই বলব।”
καὶ εἶπεν Μιχαιας ζῇ κύριος ὅτι ἃ ἂν εἴπῃ κύριος πρός με ταῦτα λαλήσω
15 ১৫ পরে তিনি আসলে রাজা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, “মীখায়, আমরা কি রামোৎ গিলিয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাব, না যাব না?” উত্তরে মীখায় বললেন, “হ্যাঁ, যান, আক্রমণ করে জয়লাভ করুন, সদাপ্রভু তা মহারাজের হাতে দেবেন।”
καὶ ἦλθεν πρὸς τὸν βασιλέα καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ βασιλεύς Μιχαια εἰ ἀναβῶ εἰς Ρεμμαθ Γαλααδ εἰς πόλεμον ἢ ἐπίσχω καὶ εἶπεν ἀνάβαινε καὶ εὐοδώσει καὶ δώσει κύριος εἰς χεῖρα τοῦ βασιλέως
16 ১৬ রাজা তাঁকে বললেন, “সদাপ্রভুর নামে তুমি সত্যি কথা ছাড়া আর কিছু বলবে না কতবার আমি তোমাকে এই শপথ করতে বলব?”
καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ βασιλεύς ποσάκις ἐγὼ ὁρκίζω σε ὅπως λαλήσῃς πρός με ἀλήθειαν ἐν ὀνόματι κυρίου
17 ১৭ উত্তরে মীখায় বললেন, “আমি দেখলাম, ইস্রায়েলীয়েরা সবাই রাখালহীন ভেড়ার মত পাহাড়ের উপরে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সদাপ্রভু বললেন, ‘এদের কোনো প্রভু নেই, কাজেই তারা শান্তিতে যে যার বাড়িতে চলে যাক’।”
καὶ εἶπεν Μιχαιας οὐχ οὕτως ἑώρακα πάντα τὸν Ισραηλ διεσπαρμένον ἐν τοῖς ὄρεσιν ὡς ποίμνιον ᾧ οὐκ ἔστιν ποιμήν καὶ εἶπεν κύριος οὐ κύριος τούτοις ἀναστρεφέτω ἕκαστος εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ ἐν εἰρήνῃ
18 ১৮ তখন ইস্রায়েলের রাজা যিহোশাফটকে বললেন, “আমি কি আপনাকে আগেই বলি নি যে, সে আমার সম্বন্ধে অমঙ্গল ছাড়া মঙ্গলের কথা বলবে না?”
καὶ εἶπεν βασιλεὺς Ισραηλ πρὸς Ιωσαφατ βασιλέα Ιουδα οὐκ εἶπα πρὸς σέ οὐ προφητεύει οὗτός μοι καλά διότι ἀλλ’ ἢ κακά
19 ১৯ মীখায় বলতে লাগলেন, “আপনি সদাপ্রভুর কথা শুনুন। আমি দেখলাম, সদাপ্রভু তাঁর সিংহাসনে বসে আছেন এবং তাঁর ডান ও বাঁ দিকে সমস্ত স্বর্গদূতেরা রয়েছেন।
καὶ εἶπεν Μιχαιας οὐχ οὕτως οὐκ ἐγώ ἄκουε ῥῆμα κυρίου οὐχ οὕτως εἶδον τὸν κύριον θεὸν Ισραηλ καθήμενον ἐπὶ θρόνου αὐτοῦ καὶ πᾶσα ἡ στρατιὰ τοῦ οὐρανοῦ εἱστήκει περὶ αὐτὸν ἐκ δεξιῶν αὐτοῦ καὶ ἐξ εὐωνύμων αὐτοῦ
20 ২০ তখন সদাপ্রভু বললেন, ‘রামোৎ গিলিয়দ আক্রমণ করবার জন্য কে আহাবকে ভুলিয়ে সেখানে নিয়ে যাবে যাতে সে মারা যায়?’ তখন এক একজন এক এক কথা বললেন।
καὶ εἶπεν κύριος τίς ἀπατήσει τὸν Αχααβ βασιλέα Ισραηλ καὶ ἀναβήσεται καὶ πεσεῖται ἐν Ρεμμαθ Γαλααδ καὶ εἶπεν οὗτος οὕτως καὶ οὗτος οὕτως
καὶ ἐξῆλθεν πνεῦμα καὶ ἔστη ἐνώπιον κυρίου καὶ εἶπεν ἐγὼ ἀπατήσω αὐτόν καὶ εἶπεν πρὸς αὐτὸν κύριος ἐν τίνι
22 ২২ সদাপ্রভু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কেমন করে করবে?’ সে বলল, ‘আমি গিয়ে তার সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা হব।’ সদাপ্রভু বললেন, ‘তুমিই তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এখন যাও এবং তুমি গিয়ে তাই কর।’
καὶ εἶπεν ἐξελεύσομαι καὶ ἔσομαι πνεῦμα ψευδὲς ἐν στόματι πάντων τῶν προφητῶν αὐτοῦ καὶ εἶπεν ἀπατήσεις καί γε δυνήσει ἔξελθε καὶ ποίησον οὕτως
23 ২৩ এইজন্যই সদাপ্রভু এখন আপনার এই সব ভাববাদীদের মুখে মিথ্যা বলবার আত্মা দিয়েছেন। তোমার সর্বনাশ হবার জন্য সদাপ্রভু আদেশ দিয়েছেন।”
καὶ νῦν ἰδοὺ ἔδωκεν κύριος πνεῦμα ψευδὲς ἐν στόματι πάντων τῶν προφητῶν σου τούτων καὶ κύριος ἐλάλησεν ἐπὶ σὲ κακά
24 ২৪ তখন কনানার ছেলে সিদিকিয় গিয়ে মীখায়ের গালে চড় মেরে বলল, “সদাপ্রভুর আত্মা তোর সঙ্গে কথা বলবার জন্য আমার কাছ থেকে বেরিয়ে কোন পথে গিয়েছিলেন?”
καὶ προσῆλθεν Σεδεκιου υἱὸς Χανανα καὶ ἐπάταξεν τὸν Μιχαιαν ἐπὶ τὴν σιαγόνα καὶ εἶπεν ποῖον πνεῦμα κυρίου τὸ λαλῆσαν ἐν σοί
25 ২৫ মীখায় বললেন, “দেখ, যেদিন তুমি নিজেকে লুকাবার জন্য ভিতরের ঘরে গিয়ে ঢুকবে সেই দিন তুমি তা জানতে পারবে।”
καὶ εἶπεν Μιχαιας ἰδοὺ σὺ ὄψῃ ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ ὅταν εἰσέλθῃς ταμίειον τοῦ ταμιείου τοῦ κρυβῆναι
26 ২৬ ইস্রায়েলের রাজা তখন এই বললেন, “মীখায়কে শহরের শাসনকর্ত্তা আমোন ও রাজপুত্র যোয়াশের কাছে আবার পাঠিয়ে দাও।
καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς Ισραηλ λάβετε τὸν Μιχαιαν καὶ ἀποστρέψατε αὐτὸν πρὸς Εμηρ τὸν ἄρχοντα τῆς πόλεως καὶ τῷ Ιωας υἱῷ τοῦ βασιλέως
27 ২৭ তাদের বল রাজা বলেছেন এই লোকটিকে যেন জেলে রাখা হয় এবং রাজা নিরাপদে ফিরে না আসা পর্যন্ত তাকে অল্প জল আর অল্প রুটি ছাড়া যেন আর কিছু দেওয়া না হয়।”
εἰπὸν θέσθαι τοῦτον ἐν φυλακῇ καὶ ἐσθίειν αὐτὸν ἄρτον θλίψεως καὶ ὕδωρ θλίψεως ἕως τοῦ ἐπιστρέψαι με ἐν εἰρήνῃ
28 ২৮ তখন মীখায় বললেন, “যদি আপনি সত্যিই নিরাপদে ফিরে আসেন তবে জানবেন সদাপ্রভু আমার মধ্য দিয়ে কথা বলেন নি।” তারপর তিনি আবার বললেন, “আপনারা সবাই আমার কথাটা শুনে রাখুন।”
καὶ εἶπεν Μιχαιας ἐὰν ἐπιστρέφων ἐπιστρέψῃς ἐν εἰρήνῃ οὐκ ἐλάλησεν κύριος ἐν ἐμοί
καὶ ἀνέβη βασιλεὺς Ισραηλ καὶ Ιωσαφατ βασιλεὺς Ιουδα μετ’ αὐτοῦ εἰς Ρεμμαθ Γαλααδ
30 ৩০ আহাব যিহোশাফটকে বললেন, “আমাকে যাতে লোকেরা চিনতে না পারে সেইজন্য আমি অন্য পোশাক পরে যুদ্ধে যোগ দেব, কিন্তু আপনি আপনার রাজপোশাকই পরুন।” এই বলে ইস্রায়েলের রাজা অন্য পোশাক পরে যুদ্ধ করতে গেলেন।
καὶ εἶπεν βασιλεὺς Ισραηλ πρὸς Ιωσαφατ βασιλέα Ιουδα συγκαλύψομαι καὶ εἰσελεύσομαι εἰς τὸν πόλεμον καὶ σὺ ἔνδυσαι τὸν ἱματισμόν μου καὶ συνεκαλύψατο ὁ βασιλεὺς Ισραηλ καὶ εἰσῆλθεν εἰς τὸν πόλεμον
31 ৩১ অরামের রাজা তাঁর রথগুলোর বত্রিশজন সেনাপতিকে এই আদেশ দিয়ে রেখেছিলেন, “একমাত্র ইস্রায়েলের রাজা ছাড়া আপনারা ছোট কি বড় আর কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবেন না।”
καὶ βασιλεὺς Συρίας ἐνετείλατο τοῖς ἄρχουσι τῶν ἁρμάτων αὐτοῦ τριάκοντα καὶ δυσὶν λέγων μὴ πολεμεῖτε μικρὸν καὶ μέγαν ἀλλ’ ἢ τὸν βασιλέα Ισραηλ μονώτατον
32 ৩২ রথের সেনাপতিরা যিহোশাফটকে দেখে ভেবেছিলেন যে, “তিনি নিশ্চয়ই ইস্রায়েলের রাজা।” কাজেই তাঁরা ফিরে তাঁকে আক্রমণ করতে গেলেন কিন্তু যিহোশাফট চেঁচিয়ে উঠলেন।
καὶ ἐγένετο ὡς εἶδον οἱ ἄρχοντες τῶν ἁρμάτων τὸν Ιωσαφατ βασιλέα Ιουδα καὶ αὐτοὶ εἶπον φαίνεται βασιλεὺς Ισραηλ οὗτος καὶ ἐκύκλωσαν αὐτὸν πολεμῆσαι καὶ ἀνέκραξεν Ιωσαφατ
καὶ ἐγένετο ὡς εἶδον οἱ ἄρχοντες τῶν ἁρμάτων ὅτι οὐκ ἔστιν βασιλεὺς Ισραηλ οὗτος καὶ ἀπέστρεψαν ἀπ’ αὐτοῦ
34 ৩৪ কিন্তু একজন লোক লক্ষ্য স্থির না করেই তার ধনুকে টান দিয়ে ইস্রায়েলের রাজার বুক ও পেটের বর্মের মাঝামাঝি ফাঁকা জায়গায় আঘাত করে বসল। তখন রাজা তাঁর রথ চালককে বললেন, “রথ ঘুরিয়ে তুমি যুদ্ধের জায়গা থেকে আমাকে বাইরে নিয়ে চল। কারণ আমি আঘাত পেয়েছি।”
καὶ ἐνέτεινεν εἷς τὸ τόξον εὐστόχως καὶ ἐπάταξεν τὸν βασιλέα Ισραηλ ἀνὰ μέσον τοῦ πνεύμονος καὶ ἀνὰ μέσον τοῦ θώρακος καὶ εἶπεν τῷ ἡνιόχῳ αὐτοῦ ἐπίστρεψον τὰς χεῖράς σου καὶ ἐξάγαγέ με ἐκ τοῦ πολέμου ὅτι τέτρωμαι
35 ৩৫ সারা দিন ধরে ভীষণ যুদ্ধ চলল আর রাজাকে অরামীয়দের মুখোমুখি করে রথের মধ্যে বসিয়ে রাখা হল। তাঁর ক্ষত থেকে রক্ত ঝরে রথের মেঝের উপর পড়তে লাগল আর সন্ধ্যাবেলার দিকে তিনি মারা গেলেন।
καὶ ἐτροπώθη ὁ πόλεμος ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ καὶ ὁ βασιλεὺς ἦν ἑστηκὼς ἐπὶ τοῦ ἅρματος ἐξ ἐναντίας Συρίας ἀπὸ πρωὶ ἕως ἑσπέρας καὶ ἀπέχυννε τὸ αἷμα ἐκ τῆς πληγῆς εἰς τὸν κόλπον τοῦ ἅρματος καὶ ἀπέθανεν ἑσπέρας καὶ ἐξεπορεύετο τὸ αἷμα τῆς τροπῆς ἕως τοῦ κόλπου τοῦ ἅρματος
36 ৩৬ সূর্য্য ডুবে যাবার দিন সৈন্যদলের মধ্যে এই কথা ঘোষণা করা হল, “তোমরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের শহরে ও নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যাও।”
καὶ ἔστη ὁ στρατοκῆρυξ δύνοντος τοῦ ἡλίου λέγων ἕκαστος εἰς τὴν ἑαυτοῦ πόλιν καὶ εἰς τὴν ἑαυτοῦ γῆν
ὅτι τέθνηκεν ὁ βασιλεύς καὶ ἦλθον εἰς Σαμάρειαν καὶ ἔθαψαν τὸν βασιλέα ἐν Σαμαρείᾳ
38 ৩৮ শমরিয়ার পুকুরের ধারে তাঁর রথটা ধোওয়া হল এবং সদাপ্রভুর ঘোষণা অনুসারে কুকুরেরা সেখানে তাঁর রক্ত চেটে খেল (বেশ্যারা সেই পুকুরে স্নান করল)।
καὶ ἀπένιψαν τὸ ἅρμα ἐπὶ τὴν κρήνην Σαμαρείας καὶ ἐξέλειξαν αἱ ὕες καὶ οἱ κύνες τὸ αἷμα καὶ αἱ πόρναι ἐλούσαντο ἐν τῷ αἵματι κατὰ τὸ ῥῆμα κυρίου ὃ ἐλάλησεν
39 ৩৯ আহাবের অন্যান্য সমস্ত কাজের কথা, অর্থাৎ তিনি যা কিছু করেছিলেন সেই সব কথা, হাতীর দাঁতের কাজ করা যে রাজবাড়ী তিনি তৈরী করেছিলেন তার কথা এবং যে শহরগুলো তিনি শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছিলেন সেগুলোর কথা ইস্রায়েলের রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
καὶ τὰ λοιπὰ τῶν λόγων Αχααβ καὶ πάντα ἃ ἐποίησεν καὶ οἶκον ἐλεφάντινον ὃν ᾠκοδόμησεν καὶ πάσας τὰς πόλεις ἃς ἐποίησεν οὐκ ἰδοὺ ταῦτα γέγραπται ἐν βιβλίῳ λόγων τῶν ἡμερῶν τῶν βασιλέων Ισραηλ
καὶ ἐκοιμήθη Αχααβ μετὰ τῶν πατέρων αὐτοῦ καὶ ἐβασίλευσεν Οχοζιας υἱὸς αὐτοῦ ἀντ’ αὐτοῦ
41 ৪১ ইস্রায়েলের রাজা আহাবের রাজত্বের চার বছরের দিন আসার ছেলে যিহোশাফট যিহূদা দেশের রাজা হয়েছিলেন।
καὶ Ιωσαφατ υἱὸς Ασα ἐβασίλευσεν ἐπὶ Ιουδα ἔτει τετάρτῳ τῷ Αχααβ βασιλέως Ισραηλ ἐβασίλευσεν
42 ৪২ যিহোশাফট পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে রাজত্ব শুরু করেন এবং পঁচিশ বছর যিরূশালেমে রাজত্ব করেন। তাঁর মায়ের নাম অসুরা, তিনি শিল্হিরের মেয়ে।
Ιωσαφατ υἱὸς τριάκοντα καὶ πέντε ἐτῶν ἐν τῷ βασιλεύειν αὐτὸν καὶ εἴκοσι καὶ πέντε ἔτη ἐβασίλευσεν ἐν Ιερουσαλημ καὶ ὄνομα τῇ μητρὶ αὐτοῦ Αζουβα θυγάτηρ Σελεϊ
43 ৪৩ যিহোশাফট সব ব্যাপারেই তাঁর বাবা আসার পথ ধরেই চলতেন, কখনও সেই পথ ছেড়ে যান নি। সদাপ্রভুর চোখে যা ঠিক তিনি তাই করতেন। উঁচু স্থানগুলো ধ্বংস করা হয়নি, লোকেরা সেখানে পশু উৎসর্গ করত ও ধূপ জ্বালাত।
καὶ ἐπορεύθη ἐν πάσῃ ὁδῷ Ασα τοῦ πατρὸς αὐτοῦ οὐκ ἐξέκλινεν ἀπ’ αὐτῆς τοῦ ποιῆσαι τὸ εὐθὲς ἐν ὀφθαλμοῖς κυρίου πλὴν τῶν ὑψηλῶν οὐκ ἐξῆρεν ἔτι ὁ λαὸς ἐθυσίαζεν καὶ ἐθυμίων ἐν τοῖς ὑψηλοῖς
καὶ εἰρήνευσεν Ιωσαφατ μετὰ βασιλέως Ισραηλ
45 ৪৫ যিহোশাফটের অন্যান্য বিবরণ এবং তিনি যে যে কাজ ও যে সব যুদ্ধ করেছিলেন, সে সব যিহূদার রাজাদের ইতিহাস বইটিতে কি লেখা নেই?
καὶ τὰ λοιπὰ τῶν λόγων Ιωσαφατ καὶ αἱ δυναστεῖαι αὐτοῦ ὅσα ἐποίησεν οὐκ ἰδοὺ ταῦτα γεγραμμένα ἐν βιβλίῳ λόγων τῶν ἡμερῶν τῶν βασιλέων Ιουδα
46 ৪৬ তাঁর বাবা আসার রাজত্বের পরেও যে সব পুরুষ বেশ্যারা বাকি রয়ে গিয়েছিল তিনি দেশ থেকে তাদের দূর করে দিয়েছিলেন।
48 ৪৮ যিহোশাফট সোনা ওফীরে নিয়ে যাবার জন্য কতগুলো বড় বড় তর্শীশ জাহাজ তৈরী করলেন, কিন্তু সেগুলোর আর যাওয়া হল না, কারণ ইৎসিয়োন গেবরে সেগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
49 ৪৯ তখন আহাবের ছেলে অহসিয় যিহোশাফটকে বললেন, “আমার লোকেরা আপনার লোকদের সঙ্গে জাহাজে যাক।” কিন্তু যিহোশাফট রাজি হলেন না।
50 ৫০ পরে যিহোশাফট তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে নিদ্রায় গেলেন এবং তাঁকে তাঁর পূর্বপুরুষ দায়ূদের শহরে তাঁর পূর্বপুরুষদের সঙ্গে কবর দেওয়া হল; তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে যিহোরাম রাজা হলেন।
καὶ ἐκοιμήθη Ιωσαφατ μετὰ τῶν πατέρων αὐτοῦ καὶ ἐτάφη παρὰ τοῖς πατράσιν αὐτοῦ ἐν πόλει Δαυιδ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ καὶ ἐβασίλευσεν Ιωραμ υἱὸς αὐτοῦ ἀντ’ αὐτοῦ
51 ৫১ যিহূদার রাজা যিহোশাফটের রাজত্বের সতেরো বছরের দিন আহাবের ছেলে অহসিয় শমরিয়াতে ইস্রায়েলের রাজা হলেন। তিনি ইস্রায়েলের উপরে দুই বছর রাজত্ব করেছিলেন।
καὶ Οχοζιας υἱὸς Αχααβ ἐβασίλευσεν ἐπὶ Ισραηλ ἐν Σαμαρείᾳ ἐν ἔτει ἑπτακαιδεκάτῳ Ιωσαφατ βασιλεῖ Ιουδα καὶ ἐβασίλευσεν ἐν Ισραηλ ἔτη δύο
52 ৫২ সদাপ্রভুর চোখে যা মন্দ তিনি তাই করতেন। তিনি তাঁর বাবা ও মায়ের মত এবং নবাটের ছেলে যারবিয়ামের মত চলতেন। এই যারবিয়াম যেমন ইস্রায়েলের লোকদের দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন অহসিয়ও তাই করেছিলেন।
καὶ ἐποίησεν τὸ πονηρὸν ἐναντίον κυρίου καὶ ἐπορεύθη ἐν ὁδῷ Αχααβ τοῦ πατρὸς αὐτοῦ καὶ ἐν ὁδῷ Ιεζαβελ τῆς μητρὸς αὐτοῦ καὶ ἐν ταῖς ἁμαρτίαις οἴκου Ιεροβοαμ υἱοῦ Ναβατ ὃς ἐξήμαρτεν τὸν Ισραηλ
53 ৫৩ তিনি বাল দেবতার সেবা ও পূজা করতেন এবং তাঁর বাবা যেমন করেছিলেন তিনিও তেমনি করে ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছিলেন।
καὶ ἐδούλευσεν τοῖς Βααλιμ καὶ προσεκύνησεν αὐτοῖς καὶ παρώργισεν τὸν κύριον θεὸν Ισραηλ κατὰ πάντα τὰ γενόμενα ἔμπροσθεν αὐτοῦ
