< ১ম করিন্থীয় 6 >

1 তোমাদের মধ্য কি কারও সাহস আছে যে, আর এক জনের বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে তার বিচার পবিত্র ভাইদের কাছে নিয়ে না গিয়ে অধার্ম্মিক নেতাদের কাছে নিয়ে যায়?
তোমাদের মধ্যে কারও যদি অন্যজনের সঙ্গে বিবাদ থাকে, সে কি তা বিচারের জন্য পবিত্রগণের কাছে না নিয়ে গিয়ে অবিশ্বাসীদের কাছে নিয়ে যাওয়ার সাহস দেখায়?
2 অথবা তোমরা কি জান না যে, ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা জগতের বিচার করবেন? আর জগতের বিচার যদি তোমরা কর, তবে তোমরা কি সামান্য বিষয়ের বিচার করতে যোগ্য নও?
তোমরা কি জানো না যে, পবিত্রগণেরা জগতের বিচার করবেন? আর যদি তোমরা জগতের বিচার করতে যাচ্ছ, তাহলে তোমরা কি এই সামান্য বিষয়গুলিও বিচার করার যোগ্য নও?
3 তোমরা কি জান না যে, আমরা স্বর্গ দূতদের বিচার করব? তাহলে এই জীবনের বিষয়গুলো তো সামান্য বিষয়।
তোমরা কি জানো না যে, আমরা স্বর্গদূতদেরও বিচার করব? তাহলে, এই জীবন সংক্রান্ত বিষয়ের বিচার আরও কতই না বেশি করব!
4 অতএব তোমরা যদি দৈনন্দিন জীবন সংক্রান্ত বিষয়ের বিচার কর, তবে মণ্ডলীতে যারা কিছুরই মধ্যে গণ্য নয়, তাদেরকেই কেন বিচারে বসাও?
অতএব, এই সমস্ত বিষয়ে যদি তোমাদের মধ্যে বিবাদ থাকে, তাহলে মণ্ডলীতে যারা কিছুরই মধ্যে গণ্য নয়, তাদেরই কি বিচারকের আসনে বসিয়ে থাকো?
5 আমি তোমাদের লজ্জার জন্য এই কথা বলছি। এটা কেমন? তোমাদের মধ্যে কি এমন জ্ঞানী একজনও নেই যে, ভাইয়েদের মধ্য ঝগড়া হলে তার বিচার করতে পারে?
তোমাদের লজ্জা দেওয়ার উদ্দেশে আমি একথা বলছি। বিশ্বাসীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে নিষ্পত্তি করার মতো যথেষ্ট বিচক্ষণ ব্যক্তি তোমাদের মধ্যে কেউ নেই, এও কি সম্ভব?
6 কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে ভাই বিচার স্থানে ঝগড়া করে, তা আবার অবিশ্বাসীদের (জগতের লোকদের) কাছে।
কিন্তু এর পরিবর্তে, এক ভাই অপর এক ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হচ্ছে—তাও আবার অবিশ্বাসীদের সামনেই!
7 তোমরা যে পরস্পরের বিরুদ্ধে বিচার চাও, এতে বরং তোমাদেরই বিশেষ ক্ষতি হচ্ছে। বরং অন্যায় সহ্য কর না কেন? বরং বঞ্চিত হও না কেন?
তোমাদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা থাকার অর্থ, তোমরা ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছ। এর চেয়ে বরং অন্যায় সহ্য করো বা প্রতারিত হও।
8 কিন্তু তোমরাই অন্যায় করছ, ঠকাচ্ছ, আর তা ভাইয়েদের সঙ্গেই করছ।
কিন্তু তার পরিবর্তে, তোমরা নিজেরাই প্রতারণা ও অন্যায় করছ, আবার এসব তোমাদের সহ-বিশ্বাসীদের বিরুদ্ধেই করছ।
9 অথবা তোমরা কি জান না যে, অধার্মিকেরা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না? নিজেদের ঠকিও না; যারা ব্যভিচারী, যারা প্রতিমা পূজারী, কি পুরুষ বেশ্যা, কি সমকামী,
তোমরা কি জানো না, যে যারা অধার্মিক, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার লাভ করবে না? তোমরা বিভ্রান্ত হোয়ো না। কারণ যারা বিবাহ-বহির্ভূত সংসর্গকারী, বা প্রতিমাপূজক, বা ব্যভিচারী, বা সমকামী
10 ১০ কি চোর, কি লোভী, কি মাতাল, কি কটুভাষী, কি ঠক, তারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাবে না।
বা চোর বা লোভী বা মদ্যপ বা কুৎসা-রটনাকারী বা পরধনগ্রাহী, তারা কেউই ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার লাভ করবে না।
11 ১১ আর তোমরা কেউ কেউ সেই প্রকারের লোক ছিলে; কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ও আমাদের ঈশ্বরের আত্মায় নিজেদেরকে পরিষ্কার করেছ, পবিত্র্র হয়েছ, নির্দোষ বলে গণ্য হয়েছ।
আর তোমরাও কেউ কেউ সেইরকমই ছিলে, কিন্তু তোমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের নামে ও আমাদের ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা ধৌত হয়েছ, শুচিশুদ্ধ হয়েছ ও নির্দোষ প্রতিপন্ন হয়েছ।
12 ১২ সব কিছু করা আমার কাছে আইন সম্মত, কিন্তু সব কিছুই যে ভালোর জন্য তা নয়; সব কিছুই আমার জন্য আইন বিধেয়, কিন্তু আমি তাদের কোনো ক্ষমতার অধীন হব না।
“সবকিছু করা আমার পক্ষে নিয়মসংগত,” কিন্তু সবকিছুই আমার জন্য উপকারী নয়। “সবকিছু করা আমার পক্ষে নিয়মসংগত,” কিন্তু কোনো কিছুই আমার উপরে কর্তৃত্ব করবে না।
13 ১৩ খাবার পেটের জন্য এবং পেট খাবারের জন্য, কিন্তু ঈশ্বর এই সবকিছুরই শেষ করবেন। দেহ ব্যাভিচারের জন্য নয়, কিন্তু প্রভুর জন্য এবং প্রভু দেহের জন্য।
“পেটের জন্য খাদ্য এবং খাদ্যের জন্য পেট,” কিন্তু ঈশ্বর এই উভয়কেই ধ্বংস করবেন। দেহ অবৈধ সংসর্গের জন্য নয়, কিন্তু প্রভুর জন্য এবং প্রভু দেহের জন্য।
14 ১৪ আর ঈশ্বর নিজের শক্তিতে প্রভুকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছেন, আমাদেরকেও জীবিত করবেন।
ঈশ্বর তাঁর পরাক্রমের দ্বারা প্রভুকে মৃত্যু থেকে উত্থাপিত করেছেন এবং তিনি আমাদেরও উত্থাপিত করবেন।
15 ১৫ তোমরা কি জান না যে, তোমাদের শরীর খ্রীষ্টের অঙ্গ? তবে কি আমি খ্রীষ্টের অঙ্গ নিয়ে গিয়ে বেশ্যার অঙ্গ করব? তা দূরে থাকুক।
তোমরা কি জানো না যে, তোমাদের দেহ স্বয়ং খ্রীষ্টেরই অঙ্গ? তাহলে আমি কি খ্রীষ্টের অঙ্গগুলিকে নিয়ে কোনো বেশ্যার সঙ্গে সংযুক্ত করব? কখনোই নয়!
16 ১৬ অথবা তোমরা কি জান না, যে ব্যক্তি বেশ্যাতে সংযুক্ত হয়, সে তার সঙ্গে এক দেহ হয়? কারণ তিনি বলেন, “সে দুই জন এক দেহ হবে।”
তোমরা কি জানো না, যে নিজেকে বেশ্যার সঙ্গে সংযুক্ত করে, সে তার সঙ্গে এক দেহ হয়? কারণ এরকম বলা হয়েছে, “সেই দুজন একাঙ্গ হবে।”
17 ১৭ কিন্তু যে ব্যক্তি প্রভুতে যুক্ত হয়, সে তাঁর সঙ্গে এক আত্মা হয়।
কিন্তু যে নিজেকে প্রভুর সঙ্গে সংযুক্ত করে, সে তাঁর সঙ্গে একাত্ম হয়।
18 ১৮ তোমরা ব্যভিচার থেকে দূরে থাক। মানুষ অন্য যে কোন পাপ করে, তা তার দেহের বাইরে; কিন্তু যে ব্যভিচার করে, সে তার দেহের বিরুদ্ধে পাপ করে।
তোমরা অবৈধ সংসর্গ থেকে পালিয়ে যাও। কোনো মানুষ অন্য যেসব পাপাচারে লিপ্ত হয়, তার সঙ্গে দেহের কোনো সম্পর্ক নেই, কিন্তু যে যৌন-পাপ করে, সে তার নিজের দেহের বিরুদ্ধেই পাপ করে।
19 ১৯ অথবা তোমরা কি জান যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে থাকেন, যাকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ?
তোমরা কি জানো না যে, তোমাদের দেহ পবিত্র আত্মার মন্দির, যিনি তোমাদের অন্তরে বাস করেন, যাঁকে তোমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে পেয়েছ?
20 ২০ আর তোমরা নিজের না, কারণ মূল্য দিয়ে তোমাদের কেনা হয়েছে। অতএব তোমাদের দেহে ঈশ্বরের মহিমা কর।
তোমরা আর তোমাদের নিজের নও, তোমাদের মূল্য দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছে। অতএব, তোমাদের দেহ দিয়ে তোমরা ঈশ্বরের গৌরব করো।

< ১ম করিন্থীয় 6 >