< ১ম করিন্থীয় 12 >

1 আর হে ভাইয়েরা, পবিত্র আত্মার দানের বিষয়ে তোমরা যে অজানা থাকো, আমি এ চাইনা।
ভাইবোনেরা, এখন আত্মিক বরদানগুলির ব্যাপারে তোমরা যে অজ্ঞ থাকো, তা আমি চাই না।
2 যখন তোমরা অযিহুদীয় ছিলে, তখন যেমন চলতে, তেমনি নির্বাক প্রতিমাদের দিকেই চলতে।
তোমরা জানো যে, যখন তোমরা পরজাতীয় ছিলে, তখন যে কোনোভাবে হোক তোমরা প্রভাবিত হয়ে নির্বাক প্রতিমাদের দিকে চালিত হয়েছিলে।
3 এই জন্য আমি তোমাদেরকে জানাচ্ছি যে, ঈশ্বরের আত্মায় কথা বললে, কেউ বলে না, যীশু শাপগ্রস্ত এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ছাড়া কেউ বলতে পারে না, যীশু প্রভু।
সেই কারণে, আমি তোমাদের বলছি যে, ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা কথা বললে, “যীশু অভিশপ্ত হোক,” কেউ বলতে পারে না এবং পবিত্র আত্মার আবেশ ছাড়া কেউ বলতে পারে না যে, “যীশুই প্রভু।”
4 অনুগ্রহ দান নানা ধরনের, কিন্তু পবিত্র আত্মা এক;
বিভিন্ন ধরনের বরদান আছে, কিন্তু আত্মা সেই একই।
5 এবং সেবা কাজ নানা ধরনের, কিন্তু প্রভু এক;
বিভিন্ন ধরনের সেবাকাজ আছে, কিন্তু প্রভু সেই একই।
6 এবং কাজের গুণ নানা ধরনের, কিন্তু ঈশ্বর এক; তিনি সব কিছুতে সব কাজের সমাধানকর্ত্তা।
বিভিন্ন ধরনের কাজ আছে, কিন্তু সেই একই ঈশ্বর সব মানুষের মধ্যে সেইসব কাজ করেন।
7 কিন্তু প্রত্যেক জনকে মঙ্গলের জন্য পবিত্র আত্মার দান দেওয়া।
এখন সবার মঙ্গলের জন্য প্রত্যেকের কাছে আত্মার প্রকাশ দেওয়া হয়েছে।
8 কারণ এক জনকে সেই আত্মার মাধ্যমে প্রজ্ঞার বাক্য দেওয়া হয়, আর এক জনকে সেই আত্মানুসারে জ্ঞানের বাক্য,
একজনকে আত্মার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে জ্ঞানের বাণী, অপর একজনকে সেই একই আত্মার দ্বারা প্রজ্ঞার বাণী,
9 আবার এক জনকে সেই আত্মাতে বিশ্বাস, আবার এক জনকে সেই একই আত্মাতে আরোগ্যের নানা অনুগ্রহ দান,
অপর একজনকে সেই আত্মার দ্বারা বিশ্বাস, অপর একজনকে সেই একই আত্মার দ্বারা সুস্থ করার বরদান,
10 ১০ আবার এক জনকে অলৌকিক কাজ করার গুণ, আবার এক জনকে ভাববাণী বলার, আবার এক জনকে আত্মাদেরকে চিনে নেবার শক্তি, আবার এক জনকে নানা ধরনের ভাষায় কথা বলবার শক্তি এবং আবার এক জনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার অর্থ করবার শক্তি দেওয়া হয়;
অপর একজনকে অলৌকিক কাজ করার পরাক্রম, অপর একজনকে ভাববাণী, আর একজনকে আত্মার মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের ক্ষমতা, অপর একজনকে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা এবং আরও অপরজনকে বিশেষ বিশেষ ভাষার তর্জমা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
11 ১১ কিন্তু এই সব কাজ একমাত্র সেই আত্মা করেন; তিনি বিশেষভাবে ভাগ করে যাকে যা দিতে ইচ্ছা করেন, তাকে তা দেন।
এসবই সেই এক ও অদ্বিতীয় আত্মার কাজ, তিনি প্রত্যেকের জন্য যেমন নির্ধারণ করেন, তেমনই বরদান দিয়ে থাকেন।
12 ১২ কারণ যেমন দেহ এক, আর তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক এবং দেহের সমস্ত অঙ্গ, অনেক হলেও, এক দেহ হয়, খ্রীষ্টও সেই রকম।
দেহ যেমন এক, যদিও তা বহু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত; আর যদিও এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, সেগুলি এক দেহ গঠন করে। খ্রীষ্টের ক্ষেত্রেও সেই কথা।
13 ১৩ ফলে, আমরা কি যিহুদী কি গ্রীক, কি দাস কি স্বাধীন, সবাই এক দেহ হবার জন্য একই পবিত্র আত্মাতে বাপ্তিষ্ম নিয়েছি এবং সবাই এক আত্মা থেকে পান করেছি।
কারণ আমরা সবাই—ইহুদি বা গ্রিক, ক্রীতদাস বা স্বাধীন—এক আত্মার দ্বারা একই দেহে বাপ্তাইজিত হয়েছি, আবার আমাদের সবাইকে একই আত্মা পান করতে দেওয়া হয়েছিল।
14 ১৪ আর বাস্তবিক দেহ একটি অঙ্গ না, অনেক।
এখন দেহ কেবলমাত্র একটি অঙ্গ দিয়ে নয়, কিন্তু বহু অঙ্গের দ্বারা গঠিত।
15 ১৫ পা যদি বলে, আমি তো হাত না, তার জন্য দেহের অংশ নই, তবে তা যে দেহের অংশ না, এমন নয়।
পা যদি বলে, “যেহেতু আমি হাত নই, তাই দেহের অংশ নই,” সেই কারণে যে সে দেহের অংশ হবে না, তা নয়।
16 ১৬ আর কান যদি বলে, আমি তো চোখ না, তার জন্য দেহের অংশ নই, তবে তা যে দেহের অংশ না, এমন নয়।
আবার, কান যদি বলে, “আমি যেহেতু চোখ নই, তাই আমি দেহের অংশ নই,” এই কারণের জন্য তা যে দেহের অংশ হবে না, তা নয়।
17 ১৭ পুরো দেহ যদি চোখ হত, তবে কান কোথায় থাকত? এবং পুরো দেহ যদি কান হত, তবে নাক কোথায় থাকত?
সমস্ত দেহই যদি চোখ হত, তাহলে শোনার ক্ষমতা কোথায় থাকত? সমস্ত দেহই যদি কান হত, তাহলে গন্ধ পাওয়ার ক্ষমতা কোথায় থাকত?
18 ১৮ কিন্তু ঈশ্বর অঙ্গ সব এক করে দেহের মধ্যে যেমন ইচ্ছা করেছেন, সেইভাবে বসিয়েছেন।
কিন্তু ঈশ্বর প্রকৃতপক্ষে দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলির প্রত্যেকটিকে নিজের ইচ্ছামতো সাজিয়েছেন।
19 ১৯ এবং পুরোটাই যদি একটি অঙ্গ হত, তবে দেহ কোথায় থাকত?
সবই যদি এক অঙ্গ হত, তাহলে দেহ কোথায় থাকত?
20 ২০ সুতরাং এখন অঙ্গ অনেক বটে, কিন্তু দেহ এক।
আসলে, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক, কিন্তু দেহ একটাই।
21 ২১ আর চোখ হাতকে বলতে পারে না, তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই; আবার মাথাও পা দুটি কে বলতে পারে না, তোমাদেরকে আমার প্রয়োজন নেই;
চোখ হাতকে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই!” আবার মাথা পা-কে বলতে পারে না, “তোমাকে আমার প্রয়োজন নেই!”
22 ২২ বরং দেহের যে সব অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল বলে মনে হয়, সেগুলি বেশি প্রয়োজনীয়।
তার পরিবর্তে, দেহের যেসব অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল মনে হয়, সেগুলিই অপরিহার্য
23 ২৩ আর আমারা দেহের যে সকল অঙ্গকে অপেক্ষাকৃত অনাদরণীয় বলে মনে করি, সেগুলিকে বেশি আদরে ভূষিত করি এবং আমাদের যে অঙ্গগুলি শ্রীহীন, সেইগুলি আরো বেশি সুশ্রী হয়;
এবং যে অঙ্গগুলিকে আমরা কম মর্যাদাপূর্ণ বলে মনে করি, সেগুলিকে আমরা বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকি। এছাড়া যেসব অঙ্গ সুশ্রী নয়, সেগুলি বিশেষ শালীনতার সঙ্গে যত্ন নিয়ে থাকি,
24 ২৪ আমাদের যে সকল অঙ্গ সুন্দর আছে, সেগুলির বেশি আদরের প্রয়োজন নেই। বাস্তবিক, ঈশ্বর দেহ সংগঠিত করেছেন, অসম্পূর্ণকে বেশি আদর করেছেন,
অথচ আমাদের সুশ্রী অঙ্গগুলির বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ঈশ্বর দেহের অঙ্গগুলিকে একত্র সংগঠিত করেছেন এবং যে অঙ্গগুলি শ্রীহীন, সেগুলিকে বেশি মর্যাদা দিয়েছেন,
25 ২৫ যেন দেহের মধ্যে বিচ্ছেদ না হয়, কিন্তু সব অঙ্গ যেন পরস্পরের জন্য সমানভাবে চিন্তা করে।
যেন দেহের মধ্যে কোনও বিভেদ সৃষ্টি না হয়, কিন্তু সব অঙ্গ পরস্পরের প্রতি সমান যত্নবান হয়।
26 ২৬ আর এক অঙ্গ দুঃখ পেলে তার সাথে সব অঙ্গই দুঃখ পায় এবং এক অঙ্গ মহিমান্বিত হলে তার সাথে সব অঙ্গই আনন্দ করে।
যদি কোনো একটি অঙ্গ কষ্টভোগ করে, তাহলে তার সঙ্গে প্রত্যেকটি অঙ্গই কষ্টভোগ করে। কোনো একটি অঙ্গ মর্যাদা লাভ করলে, তার সঙ্গে প্রত্যেক অঙ্গই আনন্দ করে।
27 ২৭ তোমরা খ্রীষ্টের দেহ এবং এক একজন এক একটি অঙ্গ।
এখন তোমরা হলে খ্রীষ্টের দেহ এবং এক একজন সেই দেহের এক-একটি অঙ্গ।
28 ২৮ আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে প্রথমে প্রেরিতদের, দ্বিতীয়তে ভাববাদীদেরকে, তৃতীয়তে শিক্ষকদেরকে স্থাপন করেছেন; তারপরে নানা ধরনের অলৌকিক কাজ, তারপরে সুস্থ করার অনুগ্রহ দান, উপকার, শাসনপদ, নানা ধরনের ভাষা দিয়েছেন।
আর ঈশ্বর মণ্ডলীতে নিয়োগ করেছেন, প্রথমত প্রেরিতশিষ্যদের, দ্বিতীয়ত ভাববাদীদের, তৃতীয়ত শিক্ষকদের। তারপরে, অলৌকিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সুস্থ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সাহায্য করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত, প্রশাসনিক বরদানপ্রাপ্ত, এবং বিভিন্ন ধরনের ভাষা বলার ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাদের নিয়োগ করেছেন।
29 ২৯ সবাই কি প্রেরিত? সবাই কি ভাববাদী? সবাই কি শিক্ষক? সবাই কি আশ্চর্য্য কাজ করতে পারে?
সবাই কি প্রেরিতশিষ্য? সবাই কি ভাববাদী? সবাই কি শিক্ষক? সবাই কি অলৌকিক কাজ সম্পাদন করে?
30 ৩০ সবাই কি সুস্থ করার অনুগ্রহ দান পেয়েছে? সবাই কি বিশেষ বিশেষ ভাষা বলে? সবাই কি ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয়?
সবারই কি সুস্থ করার বরদান আছে? সবাই কি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে? সবাই কি অর্থ ব্যাখ্যা করে?
31 ৩১ তোমরা শ্রেষ্ঠ দান পেতে প্রবল উত্সাহী হও। এবং আমি তোমাদেরকে আরও সম্পূর্ণ ভালো এক রাস্তা দেখাচ্ছি।
তোমরা বরং মহত্তর বরদান পাওয়ার জন্য আগ্রহভরে কামনা করো। তবে আমি এবার তোমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা দেখাতে চাই।

< ১ম করিন্থীয় 12 >