< ১ম করিন্থীয় 11 >

1 আমার অনুকারী হও, যেমন আমি খ্রীষ্টের অনুকারী।
فَاقْتَدُوا بِي كَمَا أَقْتَدِي أَنَا بِالْمَسِيحِ!١
2 আমি তোমাদেরকে প্রশংসা করছি যে, তোমরা সব বিষয়ে আমাকে স্মরণ করে থাক এবং তোমাদের কাছে শিক্ষামালা যে রকমের দিয়েছি, সেই ভাবেই তা ধরে আছ।
إِنِّي أَمْدَحُكُمْ لأَنَّكُمْ تَذْكُرُونَنِي فِي كُلِّ أَمْرٍ وَتُحَافِظُونَ عَلَى التَّعَالِيمِ كَمَا سَلَّمْتُهَا إِلَيْكُمْ.٢
3 কিন্তু আমার ইচ্ছা এই যে, যেন তোমরা জান যে, প্রত্যেক পুরুষের মাথা খ্রীষ্ট এবং স্ত্রীর মাথা পুরুষ, আর খ্রীষ্টের মাথা ঈশ্বর।
وَلَكِنِّي أُرِيدُ أَنْ تَعْلَمُوا أَنَّ الْمَسِيحَ هُوَ الرَّأْسُ لِكُلِّ رَجُلٍ؛ أَمَّا رَأْسُ الْمَرْأَةِ فَهُوَ الرَّجُلُ، وَرَأْسُ الْمَسِيحِ هُوَ اللهُ.٣
4 যে কোনো পুরুষ মাথা ঢেকে প্রার্থনা করে, কিংবা ভাববাণী বলে, সে নিজের মাথার অপমান করে।
فَكُلُّ رَجُلٍ يُصَلِّي أَوْ يَتَنَبَّأُ، وَعَلَى رَأْسِهِ غِطَاءٌ، يَجْلِبُ الْعَارَ عَلَى رَأْسِهِ.٤
5 কিন্তু যে কোনো স্ত্রী মাথা না ঢেকে প্রার্থনা করে, কিংবা ভাববাণী বলে, সে নিজের মাথার অপমান করে; কারণ সে ন্যাড়া মাথা মহিলার সমান হয়ে পড়ে।
وَكُلُّ امْرَأَةٍ تُصَلِّي أَوْ تَتَنَبَّأُ، وَلَيْسَ عَلَى رَأْسِهَا غِطَاءٌ، تَجْلِبُ الْعَارَ عَلَى رَأْسِهَا، لأَنَّ كَشْفَ الْغِطَاءِ كَحَلْقِ الشَّعْرِ تَمَاماً.٥
6 ভাল, স্ত্রী যদি মাথা ঢেকে না রাখে, সে চুলও কেটে ফেলুক; কিন্তু চুল কেটে ফেলা কি মাথা ন্যাড়া করা যদি স্ত্রীর লজ্জার বিষয় হয়, তবে সে মাথা ঢেকে রাখুক।
فَإِذَا كَانَتِ الْمَرْأَةُ لَا تُغَطِّي رَأْسَهَا، فَلْيُقَصَّ شَعْرُهَا! وَلَكِنْ، مَادَامَ مِنَ الْعَارِ عَلَى الْمَرْأَةِ أَنْ يُقَصَّ شَعْرُهَا أَوْ يُحْلَقَ، فَلْتُغَطِّ رَأْسَهَا.٦
7 বাস্তবিক মাথা ঢেকে রাখা পুরুষের উচিত না, কারণ, সে ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি ও তেজ; কিন্তু স্ত্রী পুরুষের গৌরব।
ذَلِكَ لأَنَّ الرَّجُلَ عَلَيْهِ أَلّا يُغَطِّيَ رَأْسَهُ، بِاعْتِبَارِهِ صُورَةَ اللهِ وَمَجْدَهُ. وَأَمَّا الْمَرْأَةُ فَهِيَ مَجْدُ الرَّجُلِ.٧
8 কারণ পুরুষ স্ত্রীলোক থেকে না, কিন্তু স্ত্রীলোক পুরুষ থেকে।
فَإِنَّ الرَّجُلَ لَمْ يُؤْخَذْ مِنَ الْمَرْأَةِ، بَلِ الْمَرْأَةُ أُخِذَتْ مِنَ الرَّجُلِ؛٨
9 আর স্ত্রীর জন্য পুরুষের সৃষ্টি হয়নি, কিন্তু পুরুষের জন্য স্ত্রীর।
وَالرَّجُلُ لَمْ يُوجَدْ لأَجْلِ الْمَرْأَةِ، بَلِ الْمَرْأَةُ وُجِدَتْ لأَجْلِ الرَّجُلِ.٩
10 ১০ এই কারণে স্ত্রীর মাথায় কর্তৃত্বের চিহ্ন রাখা কর্তব্য দূতদের জন্য।
لِذَا يَجِبُ عَلَى الْمَرْأَةِ أَنْ تَضَعَ عَلَى رَأْسِهَا عَلامَةَ الْخُضُوعِ، مِنْ أَجْلِ الْمَلائِكَةِ.١٠
11 ১১ তা সত্বেও প্রভুতে স্ত্রীও পুরুষ ছাড়া না, আবার পুরুষও স্ত্রী ছাড়া না।
غَيْرَ أَنَّهُ فِي الرَّبِّ لَيْسَتِ الْمَرْأَةُ مِنْ دُونِ الرَّجُلِ، وَلا الرَّجُلُ مِنْ دُونِ الْمَرْأَةِ.١١
12 ১২ কারণ যেমন পুরুষ থেকে স্ত্রী, তেমনি আবার স্ত্রী দিয়ে পুরুষ হয়েছে, কিন্তু সবই ঈশ্বর থেকে।
فَكَمَا أَنَّ الْمَرْأَةَ أُخِذَتْ مِنَ الرَّجُلِ، فَإِنَّ الرَّجُلَ يَكْتَمِلُ بِالْمَرْأَةِ، وَإِنَّمَا كُلُّ شَيْءٍ هُوَ مِنَ اللهِ.١٢
13 ১৩ তোমরা নিজেদের মধ্যে বিচার কর, মাথা না ঢেকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা কি স্ত্রীর উপযুক্ত?
فَاحْكُمُوا إِذَنْ بِأَنْفُسِكُمْ: أَمِنَ اللّائِقِ أَنْ تُصَلِّيَ الْمَرْأَةُ إِلَى اللهِ وَهِيَ مَكْشُوفَةُ الرَّأْسِ؟١٣
14 ১৪ প্রকৃতি নিজেও কি তোমাদেরকে শিক্ষা দেয় না যে, পুরুষ যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তা তার অপমানের বিষয়;
أَمَا تُعَلِّمُكُمُ الطَّبِيعَةُ نَفْسُهَا أَنَّ إِرْخَاءَ الرَّجُلِ شَعْرَهُ عَارٌ عَلَيْهِ،١٤
15 ১৫ কিন্তু স্ত্রীলোক যদি লম্বা চুল রাখে, তবে তা তার গৌরবের বিষয়; কারণ সেই চুল আবরণের জন্য তাকে দেওয়া হয়ছে।
فِي حِينِ أَنَّ إِرْخَاءَ الْمَرْأَةِ لِشَعْرِهَا مَفْخَرَةٌ لَهَا، لأَنَّ الشَّعْرَ أُعْطِيَ لَهَا بِمَثَابَةِ حِجَابٍ.١٥
16 ১৬ কেউ যদি এই বিষয়ে তর্ক করতে চায়, তবে এই ধরনের ব্যবহার আমাদের নেই এবং ঈশ্বরের মণ্ডলীদের মধ্যেও নেই।
أَمَّا إِذَا رَغِبَ أَحَدٌ فِي إِظْهَارِ الْمُشَاكَسَةِ، فَلَيْسَ لَنَا نَحْنُ مِثْلُ هَذِهِ الْعَادَةِ وَلا لِكَنَائِسِ اللهِ!١٦
17 ১৭ এই নির্দেশ দেবার জন্য আমি তোমাদের প্রশংসা করি না, কারণ তোমরা যে সমবেত হয়ে থাক, তাতে ভাল না হয়ে বরং খারাপই হয়।
عَلَى أَنِّي، إِذْ أَنْتَقِلُ الآنَ لأُوصِيَكُمْ بِهَذَا، لَسْتُ أَمْدَحُكُمْ، لأَنَّ اجْتِمَاعَاتِكُمْ تَضُرُّ أَكْثَرَ مِمَّا تَنْفَعُ.١٧
18 ১৮ কারণ প্রথমে, শুনতে পাচ্ছি, যখন তোমরা মণ্ডলীতে একত্র হও, তখন তোমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়ে থাকে এবং এটা কিছুটা বিশ্বাস করেছি।
فَأَوَّلاً، سَمِعْتُ أَنَّكُمْ، حِينَ تَجْتَمِعُ جَمَاعَتُكُمْ، يَكُونُ بَيْنَكُمْ شِقَاقٌ. وَأَكَادُ أُصَدِّقُ ذَلِكَ،١٨
19 ১৯ আর বাস্তবিক তোমাদের মধ্যে দল বিভাগ হওয়া আবশ্যক, যেন তোমাদের সামনে যারা প্রকৃত তাদের চেনা যায়।
لأَنَّهُ لابُدَّ مِنْ وُجُودِ خِلافَاتٍ بَيْنَكُمْ، حَتَّى يَبْرُزَ الْفَاضِلُونَ فِيكُمْ.١٩
20 ২০ যাইহোক, তোমরা যখন এক জায়গায় একত্র হও, তখন প্রভুর ভোজ খাওয়া হয় না, কারণ খাওয়ার দিন
فَحِينَ تَجْتَمِعُونَ مَعاً فِي مَكَانٍ وَاحِدٍ، لَا تَجْتَمِعُونَ لأَكْلِ عَشَاءِ الرَّبِّ،٢٠
21 ২১ প্রত্যেক জন অন্যের আগে তার নিজের খাবার খায়, তাতে কেউ বা ক্ষুধিত থাকে, আবার কেউ বা বেশি খায় হয়। এ কেমন?
لأَنَّ كُلَّ وَاحِدٍ يَسْبِقُ غَيْرَهُ لِيَتَنَاوَلَ عَشَاءَهُ الْخَاصَّ، فَيَظَلُّ الْوَاحِدُ جَائِعاً، وَيَشْرَبُ الآخَرُ حَتَّى يَسْكَرَ!٢١
22 ২২ খাওয়া-দাওয়ার জন্য কি তোমাদের বাড়ি নেই? অথবা তোমরা কি ঈশ্বরের মণ্ডলীকে অমান্য করছ এবং যাদের কিছুই নেই, তাদেরকে লজ্জা দিচ্ছ? আমি তোমাদেরকে কি বলব? কি তোমাদের প্রশংসা করব? এ বিষয়ে প্রশংসা করি না।
أَفَلَيْسَ عِنْدَكُمْ بُيُوتٌ تَأْكُلُونَ وَتَشْرَبُونَ فِيهَا؟ أَمْ إِنَّكُمْ تَحْتَقِرُونَ كَنِيسَةَ اللهِ وَتُهِينُونَ الَّذِينَ لَا يَمْلِكُونَ شَيْئاً؟ فَمَاذَا أَقُولُ لَكُمْ؟ أَأَمْدَحُكُمْ؟ عَلَى هَذَا لَسْتُ أَمْدَحُكُمْ!٢٢
23 ২৩ কারণ আমি প্রভুর থেকে এই শিক্ষা পেয়েছি এবং তোমাদেরকেও দিয়েছি যে, প্রভু যীশু যে রাত্রিতে সমর্পিত হন, সেই রাত্রিতে তিনি রুটি নিলেন এবং ধন্যবাদ দিয়ে ভাঙলেন,
فَإِنِّي قَدْ تَسَلَّمْتُ مِنَ الرَّبِّ مَا سَلَّمْتُكُمْ إِيَّاهُ. وَهُوَ أَنَّ الرَّبَّ يَسُوعَ، فِي اللَّيْلَةِ الَّتِي أُسْلِمَ فِيهَا، أَخَذَ خُبْزاً،٢٣
24 ২৪ ও বললেন, “এটা আমার শরীর, এটা তোমাদের জন্য; আমাকে স্মরণ করে এটা কর।”
وَشَكَرَ، ثُمَّ كَسَّرَ الْخُبْزَ وَقَالَ: «هَذَا هُوَ جَسَدِي الَّذِي يُكْسَرُ مِنْ أَجْلِكُمْ اعْمَلُوا هَذَا لِذِكْرِي».٢٤
25 ২৫ সেইভাবে তিনি খাওয়ার পর পানপাত্রও নিয়ে বললেন, “এই পানপাত্র আমার রক্তের নতুন নিয়ম; তোমরা যত বার পান করবে, আমাকে স্মরণ করে এটা কর।”
وَكَذَلِكَ أَخَذَ الْكَأْسَ بَعْدَ الْعَشَاءِ، وَقَالَ: «هَذِهِ الْكَأْسُ هِيَ الْعَهْدُ الْجَدِيدُ بِدَمِي اعْمَلُوا هَذَا، كُلَّمَا شَرِبْتُمْ، لِذِكْرِي».٢٥
26 ২৬ কারণ যত বার তোমরা এই রুটি খাও এবং পানপাত্রে পান কর, তত বার প্রভুর মৃত্যু প্রচার কর, যে পর্যন্ত তিনি না আসেন।
إِذَنْ، كُلَّمَا أَكَلْتُمْ هَذَا الْخُبْزَ وَشَرِبْتُمْ هَذِهِ الْكَأْسَ، تُعْلِنُونَ مَوْتَ الرَّبِّ، إِلَى أَنْ يَرْجِعَ.٢٦
27 ২৭ অতএব যে কেউ অযোগ্যভাবে প্রভুর রুটি ভোজন কিংবা পানপাত্রে পান করবে, সে প্রভুর শরীরের ও রক্তের দায়ী হবে।
فَمَنْ أَكَلَ الْخُبْزَ، أَوْ شَرِبَ كَأْسَ الرَّبِّ بِغَيْرِ اسْتِحْقَاقٍ، يَكُونُ مُذْنِباً تُجَاهَ جَسَدِ الرَّبِّ وَدَمِهِ.٢٧
28 ২৮ কিন্তু মানুষ নিজের পরীক্ষা করুক এবং এই ভাবে সেই রুটি খাওয়া ও সেই পানপাত্রে পান করুক।
وَلكِنْ، لِيَفْحَصِ الإِنْسَانُ نَفْسَهُ، ثُمَّ يَأْكُلْ مِنَ الْخُبْزِ وَيَشْرَبْ مِنَ الْكَأْسِ.٢٨
29 ২৯ কারণ যে ব্যক্তি খায় ও পান করে, সে যদি তার দেহ না চেনে, তবে সে নিজের বিচার আজ্ঞায় ভোজন ও পান করে।
لأَنَّ الآكِلَ وَالشَّارِبَ يَأْكُلُ وَيَشْرَبُ الْحُكْمَ عَلَى نَفْسِهِ إِذْ لَا يُمَيِّزُ جَسَدَ الرَّبِّ.٢٩
30 ৩০ এই কারণ তোমাদের মধ্যে প্রচুর লোক দুর্বল ও অসুস্থ আছে এবং অনেকে মারা গেছে।
لِهَذَا السَّبَبِ فِيكُمْ كَثِيرُونَ مِنَ الضُّعَفَاءِ وَالْمَرْضَى، وَكَثِيرُونَ يَرْقُدُونَ.٣٠
31 ৩১ আমরা যদি নিজেদেরকে নিজেরা চিনতাম, তবে আমরা বিচারিত হতাম না;
فَلَوْ كُنَّا حَكَمْنَا عَلَى نُفُوسِنَا، لَمَا حُكِمَ عَلَيْنَا.٣١
32 ৩২ কিন্তু আমরা যখন প্রভুর মাধ্যমে বিচারিত হই, তখন শাসিত হই, যেন জগতের সাথে বিচারিত না হই।
وَلكِنْ، مَادَامَ قَدْ حُكِمَ عَلَيْنَا، فَإِنَّنَا نُؤَدَّبُ مِنْ قِبَلِ الرَّبِّ حَتَّى لَا نُدَانَ مَعَ الْعَالَمِ.٣٢
33 ৩৩ অতএব, হে আমার ভাইয়েরা তোমরা যখন খাওয়া-দাওয়ার জন্য একত্র হও, তখন একজন অন্যের জন্য অপেক্ষা কর।
فَيَا إِخْوَتِي، عِنْدَمَا تَجْتَمِعُونَ مَعاً لِلأَكْلِ، انْتَظِرُوا بَعْضُكُمْ بَعْضاً.٣٣
34 ৩৪ যদি কারও খিদে লাগে, তবে সে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করুক; তোমাদের একত্র হওয়া যেন বিচারের জন্য না হয়। আর সব বিষয়, যখন আমি আসব, তখন আদেশ করব।
وَإِنْ كَانَ أَحَدٌ جَائِعاً فَلْيَأْكُلْ فِي بَيْتِهِ، لِكَيْ لَا يَكُونَ اجْتِمَاعُكُمْ لِلْحُكْمِ عَلَيْكُمْ. أَمَّا الْمَسَائِلُ الأُخْرَى، فَعِنْدَمَا آتِي أُرَتِّبُهَا.٣٤

< ১ম করিন্থীয় 11 >