বংশাবলির প্রথম খণ্ড 17

1 ১ নিজের বাড়িতে বাস করবার দিন একদিন দায়ূদ ভাববাদী নাথনকে বললেন, “আমি এখন এরস কাঠের ঘরে বাস করছি কিন্তু সদাপ্রভুর নিয়ম সিন্দুকটি রয়েছে একটা তাঁবুর মধ্যে।”

١ وَبَعْدَ أَنِ اسْتَقَرَّ الْمَقَامُ بِدَاوُدَ فِي قَصْرِهِ قَالَ لِنَاثَانَ النَّبِيِّ: «أَنَا أَسْكُنُ فِي قَصْرٍ مَبْنِيٍّ مِنْ خَشَبِ الأَرْزِ بَيْنَمَا تَابُوتُ عَهْدِ الرَّبِّ لَا يَزَالُ فِي خَيْمَةٍ».

2 ২ উত্তরে নাথন দায়ূদকে বললেন, “আপনার মনে যা আছে আপনি তাই করুন; কারণ ঈশ্বর আপনার সঙ্গে আছেন।”

٢ فَأَجَابَ نَاثَانُ: «اصْنَعْ مَا يُحَدِّثُكَ بِهِ قَلْبُكَ لأَنَّ الرَّبَّ مَعَكَ».

3 ৩ সেই রাতে ঈশ্বরের বাক্য নাথনের কাছে উপস্থিত হলো; তিনি বললেন,

٣ وَلَكِنْ فِي تِلْكَ اللَّيْلَةِ خَاطَبَ الرَّبُّ نَاثَانَ:

4 ৪ “তুমি গিয়ে আমার দাস দায়ূদকে বল যে, সদাপ্রভু বলছেন, ‘আমার থাকবার ঘর তুমি তৈরী করবে না।

٤ «تَوَجَّهْ إِلَى دَاوُدَ عَبْدِي وَبَلِّغْهُ هَذَا مَا يَقُولُهُ الرَّبُّ: لَسْتَ أَنْتَ الَّذِي تَبْنِي لِي بَيْتاً،

5 ৫ মিশর দেশ থেকে ইস্রায়েলীয়দের বের করে আনবার দিন থেকে আজ পর্যন্ত আমি কোনো ঘরে বাস করিনি। এক তাঁবু থেকে অন্য তাঁবুতে, এক বাসস্থান থেকে অন্য বাসস্থানে গিয়েছি।

٥ فَأَنَا لَمْ أَسْكُنْ فِي بَيْتٍ مُنْذُ أَنْ أَخْرَجْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى هَذَا الْيَوْمِ، بَلْ كُنْتُ أَنْتَقِلُ مِنْ خَيْمَةٍ إِلَى خَيْمَةٍ، وَمِنْ مَسْكَنٍ إِلَى مَسْكَنٍ.

6 ৬ যে সব নেতাদের উপর আমি আমার লোকদের পালন করবার ভার দিয়েছিলাম, বিভিন্ন জায়গায় ইস্রায়েলীয়দের সঙ্গে ঘুরে বেড়াবার দিন আমি সেই নেতাদের কি কোনো দিন বলেছি যে, তারা কেন আমার জন্য এরস কাঠের ঘর তৈরী করে নি?’

٦ فَهَلْ فِي أَثْنَاءِ مُرَافَقَتِي لإِسْرَائِيلَ طَالَبْتُ وَلَوْ بِكَلِمَةٍ وَاحِدَةٍ أَحَدَ قُضَاتِهِمِ الَّذِينَ أَوْكَلْتُ إِلَيْهِمْ رِعَايَةَ شَعْبِي، قَائِلاً: لِمَاذَا لَمْ تَبْنُوا لِي بَيْتاً مِنْ خَشَبِ الأَرْزِ؟

7 ৭ “এখন তুমি আমার দাস দায়ূদকে বল যে, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলছেন, ‘আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের শাসনকর্ত্তা হবার জন্য আমিই তোমাকে পশু চরাবার মাঠ থেকে, ভেড়ার পালের পিছন থেকে নিয়ে এসেছি।

٧ وَالآنَ هَذَا مَا تَقُولُهُ لِعَبْدِي دَاوُدَ: يَقُولُ لَكَ الرَّبُّ الْقَدِيرُ: لَقَدِ اخْتَرْتُكَ مِنَ الْمَرْبَضِ مِنْ وَرَاءِ الأَغْنَامِ لأَجْعَلَكَ مَلِكاً عَلى شَعْبِي إِسْرَائِيلَ،

8 ৮ তুমি যে সব জায়গায় গিয়েছ আমিও সেখানে তোমার সঙ্গে গিয়েছি এবং তোমার সামনে থেকে তোমার সমস্ত শত্রুদের শেষ করে দিয়েছি। আমি তোমার নাম পৃথিবীর মহান লোকদের নামের মত বিখ্যাত করব।

٨ وَرَافَقْتُكَ حَيْثُمَا تَوَجَّهْتَ، وَأَفْنَيْتُ جَمِيعَ أَعْدَائِكَ مِنْ أَمَامِكَ، وَجَعَلْتُ اسْمَكَ يَتَعَظَّمُ مِثْلَ عُظَمَاءِ الأَرْضِ،

9 ৯ আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের জন্য আমি একটা জায়গা ঠিক করে সেখানেই গাছের মত তাদের লাগিয়ে দেব যাতে তারা নিজেদের জায়গায় শান্তিতে বাস করতে পারে

٩ وَخَصَّصْتُ لِشَعْبِي إِسْرَائِيلَ أَرْضاً يَسْتَقِرُّ فِيهَا، فَاسْتَوْطَنَهَا لَا يَتَزَحْزَحُ مِنْهَا، وَلَمْ يَكُنْ فِي وُسْعِ أَبْنَاءِ الإِثْمِ اضْطِهَادُهُ كَمَا حَدَثَ سَابِقاً.

10 ১০ এবং আমার লোক ইস্রায়েলীয়দের উপর শাসনকর্ত্তা নিযুক্ত করবার পর থেকে দুষ্ট লোকেরা তাদের উপর যে অত্যাচার করে আসছে তারা যেন আর তা করতে না পারে। আমি তোমার সব শত্রুদেরও দমন করব। আমি আরও বলছি যে, আমি সদাপ্রভু তোমার বংশকে গড়ে তুলব।

١٠ وَمُنْذُ أَنْ أَقَمْتُ قُضَاةً يَحْكُمُونَ شَعْبِي. لَقَدْ قَهَرْتُ جَمِيعَ أَعْدَائِكَ؛ وَالآنَ أُخْبِرُكَ أَنَّ الرَّبَّ سَيَجْعَلُ ذُرِّيَّتَكَ مُلُوكاً لإِسْرَائِيلَ.

11 ১১ তোমার আয়ু শেষ হলে পর যখন তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে চলে যাবে তখন আমি তোমার জায়গায় তোমার বংশের এক জনকে, তোমার নিজের বংশধরদেরকে বসাব এবং তার রাজ্য স্থির রাখব।

١١ فَعِنْدَمَا يَحِينُ الأَوَانُ لِتَلْتَحِقَ بِآبَائِكَ، أَخْتَارُ مِنْ بَعْدِكَ ابْناً مِنْ نَسْلِكَ لِيَخْلُفَكَ، وَأُرَسِّخُ مَمْلَكَتَهُ.

12 ১২ তোমার সেই ছেলেই আমার জন্য একটা ঘর তৈরী করবে, আর তার সিংহাসন আমি চিরকাল স্থায়ী করব।

١٢ وَهُوَ الَّذِي يُشَيِّدُ لِي بَيْتاً، وَأَنَا أُرَسِّخُ عَرْشَهُ إِلَى الأَبَدِ.

13 ১৩ আমি তার বাবা আর সে হবে আমার ছেলে। আমার ভালবাসা আমি কখনও তার উপর থেকে তুলে নেব না, যেমন করে আমি তুলে নিয়েছিলাম তোমার আগে যে ছিল তার উপর থেকে।

١٣ أَنَا أَكُونُ لَهُ أَباً وَهُوَ يَكُونُ لِيَ ابْناً، وَلَنْ أَحْرِمَهُ مِنْ رَحْمَتِي كَمَا حَرَمْتُ مِنْهَا شَاوُلَ،

14 ১৪ আমার ঘরের ও আমার রাজ্যের উপরে আমি তাকে চিরকাল স্থির রাখব এবং তার সিংহাসন চিরস্থায়ী হবে’।”

١٤ بَلْ أُثَبِّتُهُ فِي بَيْتِي وَمَلَكُوتِي، وَلا يَتَزَعْزَعُ عَرْشُهُ إِلَى الأَبَدِ».

15 ১৫ এই দর্শনের সমস্ত কথা নাথন দায়ূদকে বললেন।

١٥ فَأَبْلَغَ نَاثَانُ دَاوُدَ كُلَّ الْكَلامِ الَّذِي سَمِعَهُ فِي الرُّؤْيَا.

16 ১৬ এই সব কথা শুনে রাজা দায়ূদ তাঁবুর ভিতরে গেলেন এবং সদাপ্রভুর সামনে বসে বললেন, হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমিই বা কি, আর আমার বংশই বা কি যে, তুমি আমাকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে এসেছ?

١٦ فَمَثَلَ الْمَلِكُ دَاوُدُ أَمَامَ الرَّبِّ وَقَالَ: «مَنْ أَنَا أَيُّهَا الرَّبُّ الإِلَهُ، وَمَا هِيَ مَكَانَةُ عَائِلَتِي، حَتَّى رَفَعْتَنِي إِلَى هَذَا الْمُسْتَوَى؟

17 ১৭ আর হে ঈশ্বর, এটাও তোমার চোখে যথেষ্ট হয়নি; এর সঙ্গে তোমার দাসের বংশের ভবিষ্যতের কথাও তুমি বলেছ। হে ঈশ্বর সদাপ্রভু, আমি যেন একজন মহান লোক সেই চোখেই তুমি আমাকে দেখেছ।

١٧ وَكَأَنَّ مَا اسْبَغْتَهُ عَلَيَّ قَلَّ فِي عَيْنَيْكَ، فَتَحَدَّثْتَ عَنْ مُسْتَقْبَلِ ذُرِّيَّةِ عَبْدِكَ، وَعَامَلْتَنِي أَيُّهَا الرَّبُّ الإِلَهُ وَكَأَنَّنِي أَعْظَمُ الرِّجَالِ شَأْناً!

18 ১৮ তোমার দাসের প্রতি যে সম্মান দেখালে তাতে আমি তোমার কাছে আর বেশী কি বলতে পারি? তুমি তো তোমার দাসকে জান।

١٨ فَمَاذَا يُمْكِنُ لِدَاوُدَ عَبْدِكَ أَنْ يُضِيفَ مِنْ عِبَارَاتِ الشُّكْرِ لَكَ عَلَى مَا أَكْرَمْتَهُ بِهِ، وَأَنْتَ تَعْرِفُ عَبْدَكَ عَلَى حَقِيقَتِهِ؟

19 ১৯ হে সদাপ্রভু, তোমার দাসের জন্য তোমার ইচ্ছা অনুসারে এই মহৎ কাজ তুমি করেছ আর তোমার দাসকে তা জানিয়েছ।

١٩ يَا رَبُّ، لَقَدْ صَنَعْتَ كُلَّ هَذِهِ الْعَظَائِمِ مِنْ أَجْلِ عَبْدِكَ وَبِمُقْتَضَى إِرَادَتِكَ لِتُعْلِنَ عَجَائِبَكَ.

20 ২০ হে সদাপ্রভু, তোমার মত আর কেউ নেই এবং তুমি ছাড়া কোনো ঈশ্বর নেই; আমরা নিজের কানেই এই কথা শুনেছি।

٢٠ يَا رَبُّ لَيْسَ لَكَ نَظِيرٌ وَلا إِلَهَ سِوَاكَ بِمُوْجِبِ مَا سَمِعْنَاهُ بِآذَانِنَا.

21 ২১ তোমার ইস্রায়েল জাতির মত পৃথিবীতে আর কোনো জাতি নেই, যাকে তুমি তোমার নিজের লোক করবার জন্য মুক্ত করেছ। তুমি তাদের মিশর দেশ থেকে মুক্ত করে তাদের সামনে থেকে অন্যান্য জাতিদের দূর করে দিয়েছ। তোমার নিজের গৌরব প্রকাশের জন্য মহৎ ও ভয়ঙ্কর কাজের মধ্য দিয়ে তুমি তা করেছ।

٢١ وَأَيَّةُ أُمَّةٍ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ مِثْلُ شَعْبِكَ إِسْرَائِيلَ، هَذِهِ الأُمَّهُ الَّتِي خَرَجْتَ بِنَفْسِكَ لِتَفْتَدِيَهَا، لِتُذِيعَ اسْمَكَ بِفَضْلِ مَا تُجْرِيهِ مِنْ آيَاتٍ وَعَجَائِبَ مُذْهِلَةٍ، إِذْ طَرَدْتَ أُمَماً مِنْ أَمَامِهِمْ، بَعْدَ أَنِ افْتَدَيْتَهُمْ مِنْ دِيَارِ مِصْرَ،

22 ২২ তোমার লোক ইস্রায়েলীয়দের তুমি নিজের উদ্দেশ্যে চিরকাল তোমার নিজের লোক করেছ, আর তুমি, হে সদাপ্রভু, তুমি তাদের ঈশ্বর হয়েছ।

٢٢ وَجَعَلْتَ إِسْرَائِيلَ شَعْباً لَكَ إِلَى الأَبَدِ، وَصِرْتَ أَنْتَ أَيُّهَا الرَّبُّ إِلَهاً لَهُمْ.

23 ২৩ এখন হে সদাপ্রভু, আমার ও আমার বংশের বিষয়ে তুমি যে প্রতিজ্ঞা করেছ তা চিরকাল রক্ষা কর। তোমার প্রতিজ্ঞা অনুসারেই তা কর।

٢٣ وَالآنَ يَا رَبُّ لِيَتِمَّ وَعْدُكَ الَّذِي وَعَدْتَ بِهِ عَبْدَكَ وذُرِّيَّتَهُ، وَحَقِّقْهُ كَمَا تَعَهَّدْتَ.

24 ২৪ এতে আমার বংশ স্থায়ী হবে এবং চিরকাল তোমার গৌরব হবে। তখন লোকে বলবে, সর্বক্ষমতার অধিকারী সদাপ্রভুই ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর, সত্যিই ইস্রায়েলীয়দের ঈশ্বর! আর তোমার দাস দায়ূদের বংশ তোমার সামনে স্থির থাকবে।

٢٤ وَلْيَثْبُتِ اسْمُكَ وَيَتَعَظَّمْ إِلَى الأَبَدِ حَتَّى يُقَالَ: إِنَّ الرَّبَّ الْقَدِيرَ إِلَهَ إِسْرَائِيلَ هُوَ حَقّاً اللهُ مَعْبُودُ إِسْرَائِيلَ، وَلْتَدُمْ ذُرِّيَّةُ عَبْدِكَ أَمَامَكَ،

25 ২৫ হে আমার ঈশ্বর, তুমিই আমার কাছে এই বিষয় প্রকাশ করে বলেছ যে, তুমি আমার মধ্য দিয়ে একটা বংশ গড়ে তুলবে। তাই তোমার কাছে এই প্রার্থনা করতে আমার মনে সাহস হয়েছে।

٢٥ لأَنَّكَ يَا إِلهِي أَعْلَنْتَ لِي عَزْمَكَ عَلَى تَثْبِيتِ ذُرِّيَّتِي عَلَى عَرْشِ الْمُلْكِ، لِهَذَا ارْتَأَى عَبْدُكَ أَنْ يَتَضَرَّعَ إِلَيْكَ مُصَلِّياً.

26 ২৬ হে সদাপ্রভু, তুমিই ঈশ্বর। এই মঙ্গলের প্রতিজ্ঞা তুমিই তোমার দাসের কাছে করেছ।

٢٦ نَعَمْ أَيُّهَا الرَّبُّ أَنْتَ هُوَ اللهُ، وَقَدْ وَعَدْتَ عَبْدَكَ بِإِغْدَاقِ كُلِّ هَذَا الْخَيْرِ عَلَيْهِ.

27 ২৭ আমার বংশকে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে আশীর্বাদ করেছ যাতে এই বংশ চিরকাল তোমার সামনে থাকে; কারণ, হে সদাপ্রভু তুমিই আশীর্বাদ করেছ এবং তাই তা চিরকালের জন্য আশীর্বাদযুক্ত।

٢٧ لَقَدِ ارْتَضَيْتَ أَنْ تُبَارِكَ ذُرِّيَّةَ عَبْدِكَ فَتَظَلَّ مَاثِلَةً أَمَامَكَ إِلَى الأَبَدِ، لأَنَّ مَنْ بَارَكْتَهُ يَا رَبُّ تَمْكُثُ بَرَكَتُكَ عَلَيْهِ مَدَى الدَّهْرِ».