ՄԱՏԹԷՈՍ 26
1 Երբ Յիսուս աւարտեց այս բոլոր խօսքերը, ըսաւ իր աշակերտներուն.
এসব বিষয় বলা শেষ করার পর যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন,
2 «Գիտէք թէ երկու օր ետք՝ Զատիկ պիտի ըլլայ, ու մարդու Որդին պիտի մատնուի՝ խաչուելու համար»:
“তোমরা জানো, আর দু-দিন পরে নিস্তারপর্ব আসছে, তখন মনুষ্যপুত্রকে ক্রুশার্পিত করার জন্য সমর্পণ করা হবে।”
3 Այն ատեն քահանայապետները, դպիրները եւ ժողովուրդին երէցները հաւաքուեցան գաւիթը քահանայապետին՝ որ Կայիափա կը կոչուէր,
সেই সময় প্রধান যাজকেরা ও লোকেদের প্রাচীনবর্গ কায়াফা নামক মহাযাজকের প্রাসাদে সমবেত হল।
4 ու խորհրդակցեցան նենգութեամբ բռնել Յիսուսը եւ սպաննել:
আর তারা কোনও ছলে যীশুকে গ্রেপ্তার করে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল।
5 Բայց կ՚ըսէին. «Ո՛չ տօնին ատենը, որպէսզի աղմուկ չըլլայ ժողովուրդին մէջ»:
তারা বলল, “কিন্তু পর্বের সময়ে নয়, তাতে লোকদের মধ্যে দাঙ্গা বেধে যেতে পারে।”
6 Երբ Յիսուս Բեթանիա էր, բորոտ Սիմոնի տունը,
যীশু যখন বেথানিতে কুষ্ঠরোগী শিমোনের বাড়িতে ছিলেন,
7 կին մը՝ որ ունէր թանկարժէք օծանելիքի ալապաստրէ շիշ մը՝ եկաւ անոր ու թափեց զայն անոր գլուխին վրայ, երբ ան սեղան նստած էր:
তখন একজন নারী একটি শ্বেতস্ফটিকের পাত্রে বহুমূল্য সুগন্ধি তেল নিয়ে তাঁর কাছে এল। যীশু যখন টেবিলে হেলান দিয়ে বসেছিলেন, সেই নারী তাঁর মাথায় তা উপুড় করে ঢেলে দিল।
8 Անոր աշակերտները տեսնելով՝ ընդվզեցան եւ ըսին. «Ինչո՞ւ այս վատնումը.
শিষ্যেরা এই দেখে ভীষণ রুষ্ট হলেন। তাঁরা বললেন, “এই অপচয় কেন?
9 քանի որ այդ օծանելիքը կրնար սուղ գինով ծախուիլ ու աղքատներուն տրուիլ»:
এই সুগন্ধি তেল তো অনেক টাকায় বিক্রি করে দরিদ্রদের দান করা যেত!”
10 Յիսուս հասկնալով՝ ըսաւ անոնց. «Ինչո՞ւ կ՚անհանգստացնէք կինը. ան լա՛ւ գործ մը ըրաւ ինծի:
একথা শুনে যীশু তাঁদের বললেন, “তোমরা কেন এই মহিলাকে বিরক্ত করছ? সে তো আমার জন্য এক ভালো কাজই করেছে।
11 Որովհետեւ ամէ՛ն ատեն ունիք աղքատները ձեզի հետ, բայց ամէն ատեն չունիք զիս:
দরিদ্রেরা তোমাদের সঙ্গে সবসময়ই থাকবে, কিন্তু আমাকে তোমরা সবসময় পাবে না।
12 Ա՛ն որ թափեց այդ օծանելիքը մարմինիս վրայ, ըրաւ իմ թաղումի՛ս համար:
সে আমার শরীরে এই সুগন্ধি তেল ঢেলে আমাকে সমাধির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করল।
13 Ճշմա՛րտապէս կը յայտարարեմ ձեզի. “Ամբողջ աշխարհի մէջ՝ ո՛ւր որ այս աւետարանը քարոզուի, ասոր ըրածն ալ պիտի պատմուի՝ իր յիշատակին համար”»:
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, সমস্ত জগতে যেখানেই এই সুসমাচার প্রচারিত হবে, সে যা করেছে, স্মৃতির উদ্দেশে তার সেই কাজের কথাও বলা হবে।”
14 Այն ատեն տասներկուքէն մէկը, որ կը կոչուէր Յուդա Իսկարիովտացի, գնաց քահանայապետներուն եւ ըսաւ.
তখন সেই বারোজনের মধ্যে একজন, যে যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ নামে আখ্যাত, সে প্রধান যাজকদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল,
15 «Ի՞նչ կ՚ուզէք տալ ինծի, որպէսզի մատնեմ զայն ձեզի»: Անոնք ալ խոստացան անոր երեսուն կտոր արծաթ:
“যীশুকে আপনাদের হাতে সমর্পণ করলে, আপনারা আমাকে কী দেবেন?” তারা তাকে ত্রিশটি রুপোর মুদ্রা গুনে দিল।
16 Այդ ատենէն ետք պատեհութիւն կը փնտռէր, որպէսզի մատնէր զայն անոնց:
সেই সময় থেকে যিহূদা তাঁকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার সুযোগ খুঁজতে লাগল।
17 Բաղարջակերքի առաջին օրը՝ աշակերտները եկան Յիսուսի ու ըսին անոր. «Ո՞ւր կ՚ուզես որ պատրաստենք քեզի պէտք եղածը՝ զատիկը ուտելու համար»:
খামিরবিহীন রুটির পর্বের প্রথম দিনে, শিষ্যেরা যীশুর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, “নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণের প্রস্তুতি আমরা কোথায় করব?”
18 Ան պատասխանեց. «Գացէ՛ք քաղաքը՝ այսինչ մարդուն, եւ ըսէ՛ք անոր. “Վարդապետը կ՚ըսէ. "Ժամանակս մօտ է, քո՛ւ քովդ պիտի կատարեմ Զատիկը՝ աշակերտներուս հետ"”»:
তিনি উত্তর দিলেন, “তোমরা নগরে জনৈক ব্যক্তির কাছে যাও ও তাকে বলো, ‘গুরুমহাশয় বলছেন, আমার জন্য নির্ধারিত সময় এসে গেছে। আমি তোমার গৃহে আমার শিষ্যদের নিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ গ্রহণ করতে চাই।’”
19 Աշակերտներն ալ ըրին՝ ինչպէս Յիսուս հրամայեց իրենց, ու պատրաստեցին զատիկը:
তাই শিষ্যেরা যীশুর নির্দেশমতো কাজ করলেন ও গিয়ে নিস্তারপর্বের ভোজ প্রস্তুত করলেন।
20 Երբ իրիկուն եղաւ՝ սեղան նստաւ տասներկուքին հետ:
সন্ধ্যা হলে, যীশু সেই বারোজনের সঙ্গে ভোজের টেবিলে হেলান দিয়ে বসলেন।
21 Մինչ կ՚ուտէին՝ ըսաւ. «Ճշմա՛րտապէս կը յայտարարեմ ձեզի թէ ձեզմէ մէկը պիտի մատնէ զիս»:
তারা খাওয়াদাওয়া করছেন, এমন সময়ে যীশু বললেন, “আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, তোমাদের মধ্যে একজন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।”
22 Չափազանց տրտմեցան եւ անոնցմէ իւրաքանչիւրը սկսաւ ըսել անոր. «Տէ՛ր, միթէ ե՞ս եմ»:
তাঁরা ভীষণ দুঃখিত হলেন ও একের পর এক তাঁকে বললেন, “প্রভু, সে নিশ্চয়ই আমি নই?”
23 Ան ալ պատասխանեց. «Ա՛ն որ ինծի հետ թաթխեց իր ձեռքը պնակին մէջ, անիկա՛ պիտի մատնէ զիս»:
যীশু উত্তর দিলেন, “যে আমার সঙ্গে খাবারের পাত্রে হাত ডুবালো, সেই আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে।
24 Ի՛րապէս մարդու Որդին կ՚երթայ՝ ինչպէս գրուած է իր մասին, բայց վա՜յ այն մարդուն՝ որուն միջոցով մարդու Որդին կը մատնուի: Այդ մարդուն լաւ պիտի ըլլար՝ որ ծնած չըլլար»:
মনুষ্যপুত্রের বিষয়ে যে রকম লেখা আছে, তেমনই তিনি চলে যাবেন, কিন্তু ধিক্ সেই ব্যক্তিকে, যে মনুষ্যপুত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে! তার জন্ম না হলেই বরং তার পক্ষে ভালো হত।”
25 Յուդա, որ պիտի մատնէր զայն, պատասխանեց. «Վարդապե՛տ, միթէ ե՞ս եմ»: Ըսաւ անոր. «Դո՛ւն ըսիր»:
তখন, যে তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সেই যিহূদা বলল, “রব্বি, সে নিশ্চয়ই আমি নই?” যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, তুমিই সে।”
26 Մինչ անոնք կ՚ուտէին, Յիսուս հաց առաւ, օրհնեց, կտրեց, տուաւ աշակերտներուն եւ ըսաւ. «Առէ՛ք, կերէ՛ք. ա՛յս է իմ մարմինս»:
তাঁরা যখন আহার করছিলেন, যীশু রুটি নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও তা ভাঙলেন। আর তিনি তাঁর শিষ্যদের দিলেন ও বললেন, “তোমরা নাও, এবং ভোজন করো; এ আমার শরীর।”
27 Նաեւ բաժակը առաւ, շնորհակալ եղաւ, տուաւ անոնց ու ըսաւ.
তারপর তিনি পানপাত্র নিলেন, ধন্যবাদ দিলেন ও শিষ্যদের তা দিয়ে বললেন, “তোমরা সবাই এর থেকে পান করো।
28 «Բոլո՛րդ ալ խմեցէ՛ք ասկէ. որովհետեւ ա՛յս է իմ արիւնս, նո՛ր ուխտին արիւնը, որ կը թափուի՝ շատերուն մեղքերու ներումին համար:
এ আমার রক্ত, সেই নতুন নিয়মের রক্ত, যা পাপক্ষমার উদ্দেশ্যে অনেকের জন্য পাতিত হচ্ছে।
29 Բայց կը յայտարարեմ ձեզի. “Ասկէ ետք բնա՛ւ պիտի չխմեմ որթատունկին բերքէն, մինչեւ այն օրը՝ երբ ձեզի հետ նո՛ր կերպով խմեմ զայն իմ Հօրս թագաւորութեան մէջ”»:
আমি তোমাদের বলছি, এখন থেকে আমি এই দ্রাক্ষারস আর কখনও পান করব না, যতদিন না আমি আমার পিতার রাজ্যে তোমাদের সঙ্গে নতুন দ্রাক্ষারস পান করি।”
30 Օրհներգելէ ետք՝ գացին Ձիթենիներու լեռը:
পরে তাঁরা একটি গান করে সেখান থেকে বের হয়ে জলপাই পর্বতে গেলেন।
31 Այն ատեն Յիսուս ըսաւ անոնց. «Դուք բոլորդ պիտի գայթակղիք այս գիշեր իմ պատճառովս, որովհետեւ գրուած է. “Հովիւը պիտի զարնեմ, ու հօտին ոչխարները պիտի ցրուին”:
তারপর যীশু তাঁদের বললেন, “এই রাত্রিতে তোমরা সবাই আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, কারণ এরকম লেখা আছে, “‘আমি পালরক্ষককে আঘাত করব, তাতে পালের মেষেরা ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।’
32 Բայց յարութիւն առնելէս ետք՝ ձեզմէ առաջ պիտի երթամ Գալիլեա»:
কিন্তু আমি উত্থিত হলে পর, আমি তোমাদের আগেই গালীলে পৌঁছাব।”
33 Պետրոս պատասխանեց անոր. «Թէեւ բոլորն ալ գայթակղին քու պատճառովդ, ես բնա՛ւ պիտի չգայթակղիմ»:
পিতর উত্তর দিলেন, “সবাই আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও, আমি কিন্তু কখনও যাব না।”
34 Յիսուս ըսաւ անոր. «Ճշմա՛րտապէս կը յայտարարեմ քեզի. “Այս գիշեր՝ դեռ աքաղաղը չկանչած՝ երե՛ք անգամ պիտի ուրանաս զիս”»:
প্রত্যুত্তরে যীশু বললেন, “আমি তোমাকে সত্যিই বলছি, আজ রাত্রে, মোরগ ডাকার আগেই, তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।”
35 Պետրոս ըսաւ անոր. «Նոյնիսկ եթէ պէտք ըլլայ որ քեզի հետ մեռնիմ՝ բնա՛ւ պիտի չուրանամ քեզ»: Այսպէս կ՚ըսէին նաեւ բոլոր աշակերտները:
কিন্তু পিতর তাঁকে বললেন, “আপনার সঙ্গে যদি আমাকে মৃত্যুবরণও করতে হয়, তাহলেও আমি আপনাকে কখনোই অস্বীকার করব না।” অন্য সব শিষ্যও একই কথা বললেন।
36 Այն ատեն Յիսուս գնաց անոնց հետ վայր մը՝ որ Գեթսեմանի կը կոչուէր, եւ ըսաւ աշակերտներուն. «Հո՛ս նստեցէք, մինչ ես կ՚երթամ հոն՝ աղօթելու»:
তারপর যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে গেৎশিমানি নামে এক স্থানে গেলেন। তিনি তাদের বললেন, “আমি যতক্ষণ ওখানে প্রার্থনা করি তোমরা ততক্ষণ এখানে বসে থাকো।”
37 Իրեն հետ առնելով Պետրոսն ու Զեբեդէոսի երկու որդիները, սկսաւ տրտմիլ եւ շատ վշտանալ:
তিনি পিতর ও সিবদিয়ের দুই পুত্রকে তাঁর সঙ্গে নিলেন। তিনি ক্রমেই দুঃখার্ত ও ব্যাকুল হতে লাগলেন।
38 Այն ատեն ըսաւ անոնց. «Իմ անձս չափազանց տրտում է՝ մեռնելու աստիճան: Հո՛ս մնացէք եւ արթո՛ւն կեցէք ինծի հետ»:
তারপর তিনি তাঁদের বললেন, “আমার প্রাণ মৃত্যু পর্যন্ত দুঃখার্ত হয়েছে। তোমরা এখানে থাকো, এবং আমার সঙ্গে জেগে থাকো।”
39 Ու քիչ մը առջեւ երթալով՝ ինկաւ իր երեսին վրայ, եւ աղօթեց՝ ըսելով. «Իմ հա՜յրս, եթէ կարելի է՝ այս բաժակը թող անցնի ինձմէ. բայց ո՛չ թէ ինչպէս ե՛ս կ՚ուզեմ, հապա՝ ինչպէս դո՛ւն կ՚ուզես»:
আরও কিছু দূর এগিয়ে, তিনি ভূমিতে উবুড় হয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা, যদি সম্ভব হয়, এই পানপাত্র আমার কাছ থেকে দূর করে দাও। তবুও আমার ইচ্ছামতো নয়, কিন্তু তোমারই ইচ্ছামতো হোক।”
40 Երբ եկաւ աշակերտներուն, քնացած գտաւ զանոնք ու ըսաւ Պետրոսի. «Այդպէս մէ՞կ ժամ ալ չկրցաք արթուն կենալ ինծի հետ:
তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে এসে দেখলেন, তাঁরা ঘুমিয়ে পড়েছেন। তিনি পিতরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমরা কি এক ঘণ্টাও আমার সঙ্গে জেগে থাকতে পারলে না?
41 Արթո՛ւն կեցէք եւ աղօթեցէ՛ք, որպէսզի չմտնէք փորձութեան մէջ. արդարեւ հոգին յօժար է, բայց մարմինը՝ տկար»:
জেগে থাকো ও প্রার্থনা করো, যেন তোমরা প্রলোভনে না পড়ো। আত্মা ইচ্ছুক, কিন্তু শরীর দুর্বল।”
42 Դարձեալ երկրորդ անգամ գնաց աղօթեց՝ ըսելով. «Իմ հա՜յրս, եթէ կարելի չէ որ այս բաժակը անցնի ինձմէ՝ առանց խմելու անկէ, քու կամքդ թող ըլլայ»:
তিনি দ্বিতীয়বার গিয়ে প্রার্থনা করলেন, “পিতা আমার, আমি পান না করলে যদি এই পাত্র দূর না হয়, তাহলে তোমার ইচ্ছাই পূর্ণ হোক।”
43 Երբ եկաւ՝ դարձեալ քնացած գտաւ զանոնք, որովհետեւ անոնց աչքերը ծանրացած էին:
যখন তিনি ফিরে এলেন, তিনি আবার তাঁদের ঘুমাতে দেখলেন, কারণ তাঁদের চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠেছিল।
44 Թողուց զանոնք ու դարձեալ գնաց, երրորդ անգամ աղօթեց՝ նո՛յն խօսքը ըսելով:
তাই তিনি পুনরায় তাদের ছেড়ে এগিয়ে গেলেন ও একই কথা বলে তৃতীয়বার প্রার্থনা করলেন।
45 Այն ատեն եկաւ իր աշակերտներուն եւ ըսաւ անոնց. «Ասկէ ետք քնացէ՛ք ու հանգստացէ՛ք. ահա՛ ժամը մօտեցաւ, եւ մարդու Որդին պիտի մատնուի մեղաւորներուն ձեռքը:
তারপর তিনি শিষ্যদের কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “তোমরা কি এখনও ঘুমিয়ে আছ ও বিশ্রাম করছ? দেখো, সময় হয়েছে। মনুষ্যপুত্রকে পাপীদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
46 Ոտքի՛ ելէք, երթա՛նք ասկէ. ահա՛ մօտեցաւ ա՛ն՝ որ պիտի մատնէ զիս»:
ওঠো, চলো আমরা যাই! দেখো, আমার বিশ্বাসঘাতক এসে পড়েছে!”
47 Մինչ ան դեռ կը խօսէր, Յուդա՝ տասներկուքէն մէկը՝ եկաւ, եւ իրեն հետ մեծ բազմութիւն մը՝ սուրերով ու բիրերով, քահանայապետներէն եւ ժողովուրդին երէցներէն:
তিনি তখনও কথা বলছেন সেই সময় বারোজনের অন্যতম যিহূদা সেখানে এসে উপস্থিত হল। তার সঙ্গে ছিল একদল সশস্ত্র লোক, তাদের হাতে ছিল তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা। প্রধান যাজকেরা ও লোকসমূহের প্রাচীনবর্গ তাদের পাঠিয়েছিল।
48 Զայն մատնողը նշան մը տուեր էր անոնց՝ ըսելով. «Ո՛վ որ համբուրեմ՝ ա՛ն է, բռնեցէ՛ք զայն»:
সেই বিশ্বাসঘাতক তাদের এই সংকেত দিয়ে রেখেছিল, “যাকে আমি চুম্বন করব, সেই ওই ব্যক্তি; তাকে গ্রেপ্তার কোরো।”
49 Եւ իսկոյն մօտենալով Յիսուսի՝ ըսաւ. «Ողջո՜յն, Վարդապե՛տ», ու համբուրեց զայն:
সেই মুহূর্তেই যীশুর কাছে গিয়ে যিহূদা বলল, “রব্বি, নমস্কার!” আর তাঁকে চুম্বন করল।
50 Յիսուս ըսաւ անոր. «Ընկե՛ր, ըրէ՛ ի՛նչ բանի համար որ եկար»: Այն ատեն մօտեցան, ձեռք բարձրացուցին Յիսուսի վրայ ու բռնեցին զայն:
যীশু উত্তর দিলেন, “বন্ধু, যা করতে এসেছ, তুমি তাই করো।” তখন সেই লোকেরা এগিয়ে এসে যীশুকে ধরল ও তাঁকে গ্রেপ্তার করল।
51 Յիսուսի հետ եղողներէն մէկը՝ երկարեց ձեռքը, եւ քաշելով իր սուրը՝ զարկաւ քահանայապետին ծառային ու խլեց անոր ականջը:
তাই দেখে যীশুর সঙ্গীদের একজন তাঁর তরোয়াল বের করে মহাযাজকের দাসকে আঘাত করে তার কান কেটে ফেললেন।
52 Այն ատեն Յիսուս ըսաւ անոր. «Վերադարձո՛ւր սուրդ իր տեղը, որովհետեւ բոլոր սուր առնողները՝ սուրո՛վ պիտի կորսուին:
যীশু তাঁকে বললেন, “তোমার তরোয়াল পুনরায় স্বস্থানে রাখো, কারণ যারাই তরোয়াল ধারণ করে তারাই তরোয়ালের দ্বারা মৃত্যুবরণ করবে।
53 Կը կարծես թէ չե՞մ կրնար հի՛մա աղաչել իմ Հօրս, որ հասցնէ ինծի տասներկու լեգէոնէն աւելի հրեշտակներ:
তুমি কি মনে করো? আমি কি আমার পিতাকে ডাকতে পারি না, আর তিনি সঙ্গে সঙ্গে কি আমার অধীনে বারোটি বাহিনীরও বেশি দূত পাঠিয়ে দেবেন না?
54 Բայց ի՞նչպէս պիտի իրագործուին գրուածները, թէ ա՛յսպէս պէտք է ըլլայ»:
তাহলে শাস্ত্রবাণী কীভাবে পূর্ণ হবে, যা বলে যে, এসব এভাবেই ঘটবে?”
55 Այդ ժամուն Յիսուս ըսաւ բազմութիւններուն. «Իբր թէ աւազակի՞ դէմ ելաք՝ սուրերով ու բիրերով բռնելու զիս: Ամէ՛ն օր տաճարին մէջ կը նստէի ձեզի հետ եւ կը սորվեցնէի, ու չբռնեցիք զիս:
সেই সময় যীশু লোকদের বললেন, “আমি কি কোনও বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিচ্ছি যে, তোমরা তরোয়াল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাকে ধরতে এসেছ? প্রতিদিন আমি মন্দির চত্বরে বসে শিক্ষা দিয়েছি, তখন তো তোমরা আমাকে গ্রেপ্তার করোনি।
56 Բայց այս ամէնը կատարուեցաւ, որպէսզի մարգարէներուն գրածները իրագործուին»: Այն ատեն բոլոր աշակերտները թողուցին զայն եւ փախան:
কিন্তু এ সমস্ত এজন্যই ঘটছে, যেন ভাববাদীদের লিখিত বচনগুলি পূর্ণ হয়।” তখন সব শিষ্য তাঁকে ত্যাগ করে পালিয়ে গেলেন।
57 Անոնք որ բռնեցին Յիսուսը՝ տարին Կայիափա քահանայապետին, ուր դպիրներն ու երէցները հաւաքուած էին:
যারা যীশুকে গ্রেপ্তার করেছিল, তারা তাঁকে মহাযাজক কায়াফার কাছে নিয়ে গেল। সেখানে সব শাস্ত্রবিদ ও লোকদের প্রাচীনবর্গ সমবেত হয়েছিল।
58 Պետրոս հեռուէն հետեւեցաւ անոր՝ մինչեւ քահանայապետին գաւիթը, ներս մտաւ եւ նստաւ սպասաւորներուն հետ, որպէսզի տեսնէ վախճանը:
কিন্তু পিতর দূর থেকে, মহাযাজকের উঠান পর্যন্ত যীশুকে অনুসরণ করলেন। তিনি প্রবেশ করে শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা দেখার জন্য রক্ষীদের কাছে গিয়ে বসলেন।
59 Քահանայապետներն ու երէցները եւ ամբողջ ատեանը կը փնտռէին սուտ վկայութիւն մը Յիսուսի դէմ, որպէսզի մեռցնեն զայն.
প্রধান যাজকেরা ও সমস্ত মহাসভা যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য-প্রমাণ খুঁজছিল।
60 բայց չգտան: Թէպէտ շատ սուտ վկաներ ալ եկան, ոչինչ գտան: Յետոյ երկու սուտ վկաներ եկան
বহু মিথ্যাসাক্ষী এগিয়ে এলেও তারা সেরকম কিছুই পেল না। শেষে দুজন এগিয়ে
61 ու ըսին. «Ասիկա ըսաւ. “Ես կրնամ քակել Աստուծոյ տաճարը եւ կառուցանել զայն երեք օրուան մէջ”»:
এসে বলল, “এই লোকটি বলেছিল, ‘আমি ঈশ্বরের মন্দির ভেঙে ফেলতে ও তিনদিনের মধ্যে তা পুনর্নির্মাণ করতে পারি।’”
62 Քահանայապետը կանգնելով՝ ըսաւ անոր. «Ոչի՞նչ կը պատասխանես. ի՞նչ կը վկայեն ասոնք քեզի դէմ»:
তখন মহাযাজক উঠে দাঁড়িয়ে যীশুকে বললেন, “তুমি কি উত্তর দেবে না? এই লোকেরা তোমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে এসেছে, এগুলি কী?”
63 Յիսուս լուռ կեցաւ: Ուստի քահանայապետը ըսաւ անոր. «Ապրո՛ղ Աստուծմով կ՚երդմնեցնեմ քեզ, որ ըսես մեզի թէ դո՞ւն ես Քրիստոսը՝ Աստուծոյ Որդին»:
যীশু তবুও নীরব রইলেন। মহাযাজক তাঁকে বললেন, “আমি জীবন্ত ঈশ্বরের নামে শপথ করে তোমাকে অভিযুক্ত করছি: আমাদের বলো দেখি, তুমিই কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র?”
64 Յիսուս ըսաւ անոր. «Դո՛ւն ըսիր: Բայց կը յայտարարեմ ձեզի. “Ասկէ ետք պիտի տեսնէք մարդու Որդին՝ բազմած Զօրութեան աջ կողմը, ու եկած երկինքի ամպերուն վրայ”»:
যীশু উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ, ঠিক তাই, যেমন তুমি বলেছ। কিন্তু আমি তোমাদের সবাইকে বলছি: ভাবীকালে তোমরা মনুষ্যপুত্রকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের ডানদিকে বসে থাকতে ও স্বর্গের মেঘে করে আসতে দেখবে।”
65 Այն ատեն քահանայապետը պատռեց իր հանդերձները եւ ըսաւ. «Հայհոյե՛ց. ա՛լ ի՞նչ պէտք ունինք վկաներու: Ահա՛ հիմա լսեցիք ատոր հայհոյութիւնը.
তখন মহাযাজক তাঁর কাপড় ছিঁড়ে ফেলে বললেন, “ও ঈশ্বরনিন্দা করেছে! আমাদের আর সাক্ষ্য-প্রমাণের কী প্রয়োজন? দেখো, এখন তোমরা ঈশ্বরনিন্দা শুনলে।
66 ի՞նչ կը մտածէք»: Անոնք պատասխանեցին. «Մահապա՛րտ է»:
তোমাদের অভিমত কী?” তারা উত্তর দিল, “ও মৃত্যুরই যোগ্য।”
67 Այն ատեն թքնեցին անոր երեսը, ու կռփահարեցին զայն: Ոմանք ալ ապտակելով՝ ըսին.
তারা তখন তাঁর মুখে থুতু দিল ও তাঁকে ঘুসি মারল।
68 «Մարգարէացի՛ր մեզի, դո՛ւն՝ Քրիստո՛ս, ո՞վ է ան՝ որ զարկաւ քեզի»:
অন্যেরা তাঁকে চড় মেরে বলতে লাগল, “ওরে খ্রীষ্ট, আমাদের কাছে ভাববাণী বল দেখি, কে তোকে মারল?”
69 Երբ Պետրոս դուրսը՝ գաւիթը նստած էր, աղախին մը եկաւ անոր եւ ըսաւ. «Դո՛ւն ալ Գալիլեացի Յիսուսի հետ էիր»:
সেই সময় পিতর বাইরের উঠানে বসেছিলেন। একজন দাসী তাঁর কাছে এসে বলল, “তুমিও সেই গালীলীয় যীশুর সঙ্গে ছিলে।”
70 Բայց ան ուրացաւ բոլորին առջեւ՝ ըսելով. «Չեմ գիտեր ի՛նչ կը խօսիս»:
কিন্তু তিনি তাদের সবার সামনে সেকথা অস্বীকার করলেন। তিনি বললেন, “আমি জানি না, তুমি কী বলছ।”
71 Երբ դուրս ելաւ՝ նախագաւիթը, ուրիշ աղախին մը տեսաւ զայն ու ըսաւ հոն եղողներուն. «Ասիկա՛ ալ Յիսուս Նազովրեցիին հետ էր»:
তখন তিনি ফটকের কাছে গেলেন। সেখানে অন্য একজন দাসী তাঁকে দেখে, সেখানকার লোকজনকে বলল, “এই লোকটিও নাসরতীয় যীশুর সঙ্গে ছিল।”
72 Պետրոս դարձեալ երդում ընելով ուրացաւ. «Չեմ ճանչնար այդ մարդը»:
তিনি শপথ করে আবার তা অস্বীকার করলেন, বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনি না!”
73 Քիչ ետք՝ հոն կայնողները եկան եւ ըսին Պետրոսի. «Ճշմա՛րտապէս դո՛ւն ալ անոնցմէ ես, որովհետեւ խօսուածքդ ալ կը յայտնէ քեզ»:
আরও কিছুক্ষণ পরে, যারা সেখানে দাঁড়িয়েছিল, তারা পিতরের কাছে গিয়ে বলল, “নিশ্চিতরূপে তুমি তাদেরই একজন, কারণ তোমার উচ্চারণভঙ্গিই তা প্রকাশ করছে।”
74 Այն ատեն սկսաւ նզովել ու երդում ընել՝ ըսելով. «Չեմ ճանչնար այդ մարդը»: Իսկոյն աքաղաղը կանչեց:
তখন তিনি নিজের উপরে অভিশাপ ডেকে এনে তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “আমি ওই মানুষটিকে চিনিই না!” সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডেকে উঠল।
75 Պետրոս յիշեց Յիսուսի խօսքը՝ որ իրեն ըսեր էր. «Դեռ աքաղաղը չկանչած՝ երե՛ք անգամ պիտի ուրանաս զիս». եւ դուրս ելլելով՝ դառնապէս լացաւ:
তখন যীশু যে কথা বলেছিলেন, তা পিতরের মনে পড়ল, “মোরগ ডাকার পূর্বে তুমি তিনবার আমাকে অস্বীকার করবে।” আর তিনি বাইরে গিয়ে খুব কাঁদতে লাগলেন।
