ՂՈԻԿԱՍ 14

1 Երբ մի շաբաթ օր նա մտաւ փարիսեցիների իշխանաւորներից մէկի տունը հաց ուտելու, նրանք դիտում էին նրան:

১তিনি এক বিশ্রামবারে প্রধান ফরীশীদের একজন নেতার বাড়িতে ভোজনে গেলেন, আর তারা তাঁর ওপরে নজর রাখল।

2 Եւ ահա այնտեղ, նրա առաջ ջրգողով հիւանդ մի մարդ կար:

২আর দেখ, তাঁর সামনে ছিল একজন লোক ছিল, যে শরীরে জল জমে যাওয়া রোগে ভুগছিল।

3 Յիսուս պատասխանեց օրէնսգէտներին ու փարիսեցիներին եւ ասաց. «Շաբաթ օրով բժշկելը օրինաւո՞ր է, թէ՞՝ ոչ»:

৩যীশু ব্যবস্থার গুরু ও ফরীশীদের জিজ্ঞাসা করলেন, বিশ্রামবারে সুস্থ করা উচিত কি না? কিন্তু তারা চুপ করে থাকল।

4 Նրանք լուռ մնացին: Յիսուս նրան բռնելով՝ բուժեց եւ արձակեց:

৪তখন তিনি তাকে ধরে সুস্থ করে বিদায় দিলেন।

5 Եւ նրանց ասաց. «Ձեզնից ո՞ւմ եզը կամ էշը ընկնի ջրհորի մէջ, նա իսկոյն այն չի հանի շաբաթ օրով»:

৫আর তিনি তাদের বললেন, “তোমাদের মধ্যে কে আছে, যার সন্তান কিংবা বলদ বিশ্রামবারে কুয়োতে পড়ে গেলে সে তখনই তাকে তুলবে না?”

6 Եւ այդ մասին նրան պատասխան տալ չկարողացան:

৬তারা এই সব কথার উত্তর দিতে পারল না।

7 Հրաւիրուածներին էլ մի առակ ասաց՝ տեսնելով, թէ ինչպէս նրանք պատուոյ տեղերն էին ընտրում:

৭আর মনোনীত লোকেরা কীভাবে প্রধাণ প্রধাণ আসন বেছে নিচ্ছে, তা দেখে যীশু গল্পের মাধ্যমে তাদের একটি শিক্ষা দিলেন;

8 Նրանց ասաց. «Երբ մէկը քեզ հարսանիքի կամ հրաւէրքի կանչի, առաջին տեղը մի՛ նստիր, գուցէ քեզնից աւելի պատուական մէկը նրա կողմից կանչուած լինի:

৮তিনি তাদের বললেন, “যখন কেউ তোমাদের বিয়ের ভোজে নিমন্ত্রণ করে, তখন সম্মানিত জায়গায় বস না; কারণ, তোমাদের থেকে হয়তো অনেক সম্মানিত অন্য কোনো লোককে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে,

9 Եւ քեզ ու նրան կանչողը գայ ու քեզ ասի՝ «Սրան տե՛ղ տուր»: Եւ ապա սկսես ամօթով վերջին տեղը գրաւել:

৯আর যে ব্যক্তি তোমাকে ও তাকে নিমন্ত্রণ করেছে, সে এসে তোমাকে বলবে, এনাকে জায়গা দাও; আর তখন তুমি লজ্জিত হয়ে নীচু জায়গায় বসতে যাবে।

10 Այլ, երբ հրաւիրուես, գնա բազմի՛ր վերջին տեղը, որպէսզի, երբ քեզ կանչողը գայ եւ քեզ ասի՝ «Բարեկա՛մ, աւելի վե՛ր մօտեցիր», այն ժամանակ քո սեղանակիցների առաջ դու փառաւորուես.

১০কিন্তু তুমি যখন নিমন্ত্রিত হও তখন নীচু জায়গায় গিয়ে বস; তাতে যে ব্যক্তি তোমাকে নিমন্ত্রণ করেছে, সে যখন আসবে আর তোমাকে বলবে, বন্ধু, সম্মানিত জায়গায় গিয়ে বস; তখন যারা তোমার সাথে বসে আছে, তাদের সামনে তুমি সম্মানিত হবে।

11 որովհետեւ նա, ով ինքն իրեն բարձրացնում է, պիտի խոնարհուի, եւ նա, ով ինքն իրեն խոնարհեցնում է, պիտի բարձրանայ»:

১১কারণ যে কেউ নিজেকে উঁচু করে, তাকে নীচু করা হবে, আর যে কেউ নিজেকে নীচু করে, তাকে উঁচু করা হবে।”

12 Իրեն հրաւիրողին էլ ասաց. «Երբ ճաշ կամ ընթրիք ես տալիս, մի՛ կանչիր ո՛չ քո բարեկամներին, ո՛չ քո եղբայրներին, ո՛չ քո ազգականներին եւ ո՛չ էլ քո հարուստ հարեւաններին, որպէսզի նրանք էլ փոխարէնը քեզ չհրաւիրեն, եւ քեզ հատուցում լինի:

১২আবার যে ব্যক্তি তাকে নিমন্ত্রণ করেছিল, তাকেও তিনি বললেন, “তুমি যখন দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবার তৈরী কর, তখন তোমার বন্ধুদের, বা তোমার ভাইদের, বা তোমার আত্মীয়দের কিংবা ধনী প্রতিবেশীকে ডেকো না; কারণ তারাও এর বদলে তোমাকে নিমন্ত্রণ করবে, আর তুমি প্রতিদান পাবে।

13 Այլ, երբ ընդունելութիւն անես, կանչի՛ր աղքատներին, խեղանդամներին, կաղերին ու կոյրերին

১৩কিন্তু যখন ভোজ প্রস্তুত কর, তখন গরিব, খোঁড়া, বিকলাঙ্গ ও অন্ধদের নিমন্ত্রণ করো;

14 եւ երանելի կը լինես, որովհետեւ փոխարէնը քեզ հատուցելու ոչինչ չունեն: Եւ դրա փոխարէն քեզ կը հատուցուի արդարների յարութեան օրը»:

১৪তাতে ধন্য হবে, কারণ তারা তোমার সেই নিমন্ত্রণের প্রতিদান দিতে পারবে না, তাই ধার্ম্মিকদের পুনরুত্থানের দিনে তুমি এর প্রতিদান পাবে।”

15 Երբ սեղանակիցներից մէկը այս լսեց, ասաց նրան. «Երանի՜ նրան, ով ճաշ կ՚ուտի Աստծու արքայութեան մէջ»:

১৫এই সব কথা শুনে, যারা বসেছিল, তাদের মধ্যে এক ব্যক্তি তাকে বলল, “যে ঈশ্বরের রাজ্যে ভোজে বসবে, সেই ধন্য।”

16 Եւ Յիսուս ասաց. «Մի մարդ ընթրիք սարքեց եւ հրաւիրեց շատերին:

১৬তিনি তাকে বললেন, “কোনো এক ব্যক্তি বড় ভোজের আয়োজন করে অনেককে নিমন্ত্রণ করলেন।

17 Եւ ընթրիքի ժամին իր ծառային ուղարկեց՝ կանչելու հրաւիրուածներին, թէ՝ «Եկէ՛ք, որովհետեւ ահա ամէն ինչ պատրաստ է»:

১৭পরে ভোজের দিনের নিজের দাসদের দিয়ে নিমন্ত্রিত লোকদের ডাকার জন্য বললেন, আসুন, এখন সবই প্রস্তুত হয়েছে।

18 Եւ ամէնքը մէկ-մէկ սկսեցին հրաժարուել: Առաջինն ասաց. «Ագարակ գնեցի եւ պէտք է, որ գնամ տեսնեմ. խնդրում եմ քեզ, ինձ հրաժարուա՛ծ համարիր»:

১৮কিন্তু তারা সবাই একমত হয়ে ক্ষমা চাইতে লাগল। প্রথম জন তাকে বলল, আমি একটা জমি কিনেছি, তা দেখতে যেতে হবে; দয়া করে আমাকে ক্ষমা কর।

19 Եւ միւսն ասաց. «Հինգ լուծ եզներ գնեցի. գնում եմ դրանք փորձելու. խնդրում եմ քեզ, ինձ հրաժարուա՛ծ համարիր»:

১৯আর একজন বলল, আমি পাঁচ জোড়া বলদ কিনেছি, তাদের পরীক্ষা করতে যাচ্ছি; দয়া করে, আমাকে ক্ষমা কর।

20 Իսկ միւսն ասաց. «Կին եմ առել, դրա համար էլ չեմ կարող գալ»:

২০আর একজন বলল, আমি বিয়ে করেছি, এই জন্য যেতে পারছি না।

21 Եւ ծառան եկաւ ու իր տիրոջը պատմեց այս: Այդ ժամանակ, բարկանալով, տանտէրն իր ծառային ասաց. «Իսկոյն դո՛ւրս եկ քաղաքի հրապարակներն ու փողոցները եւ աղքատներին, խեղանդամներին, կաղերին ու կոյրերին բեր մտցրո՛ւ այստեղ»:

২১পরে সেই দাস এসে তার প্রভুকে এই সব কথা জানাল। তখন সেই বাড়ির মালিক রেগে গিয়ে নিজের দাসকে বললেন, এখনই বাইরে গিয়ে শহরের রাস্তায় রাস্তায় ও গলিতে গলিতে যাও, গরিব, খোঁড়া ও অন্ধদের এখানে আন।

22 Եւ ծառան ասաց. «Տէ՛ր, ինչ հրամայեցիր՝ կատարուեց եւ էլի տեղ կայ»:

২২পরে সেই দাস বলল, প্রভু, আপনার আদেশ মতো তা করা হয়েছে, আর এখনও জায়গা আছে।

23 Եւ տէրը ծառային ասաց. «Դո՛ւրս եկ ճանապարհներն ու ցանկապատների առաջ եւ մարդկանց այստեղ մտցրո՛ւ, որպէսզի տունս լցուի»:

২৩তখন প্রভু দাসকে বললেন, বাইরে গিয়ে বড় রাস্তায় রাস্তায় ও পথে পথে যাও এবং আসবার জন্য লোকদেরকে মিনতি কর, যেন আমার বাড়ি ভরে যায়।

24 Ասում եմ ձեզ, որ այդ հրաւիրուածներից ոչ ոք իմ ընթրիքից չի ճաշակի»:

২৪কারণ আমি তোমাদের বলছি, ঐ নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনও আমার এই ভোজের স্বাদ পাবে না।”

25 Եւ նրա հետ շատ ժողովուրդ էր գնում. նա դարձաւ եւ ասաց նրանց.

২৫একবার প্রচুর লোক যীশুর সঙ্গে যাচ্ছিল; তখন তিনি মুখ ফিরিয়ে তাদের বললেন,

26 «Եթէ մէկը ինձ մօտ գայ եւ չնախընտրի ինձ իր հօրից ու մօրից, կնոջից ու որդիներից, եղբայրներից ու քոյրերից, նոյնիսկ իր անձից անգամ, չի կարող իմ աշակերտը լինել.

২৬“যদি কেউ আমার কাছে আসে, আর নিজের বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও বোনদের এমনকি, নিজ প্রাণকেও প্রিয় বলে মনে করে, তবে সে আমার শিষ্য হতে পারে না।

27 որովհետեւ, ով որ չվերցնի իր խաչը եւ իմ յետեւից չգայ, չի կարող իմ աշակերտը լինել:

২৭যে কেউ নিজের ক্রুশ বয়ে নিয়ে আমার পিছনে না আসে, সে আমার শিষ্য হতে পারে না।

28 Ձեզնից ո՞վ, եթէ կամենայ աշտարակ շինել, նախ նստելով չի հաշուի իր ծախսերը, թէ աւարտելու համար բաւական դրամ ունի՞,

২৮তোমাদের মধ্যে যদি কারোর উঁচু ঘর তৈরি করতে ইচ্ছা হয়, সে আগে বসে খরচের হিসাব কি করে দেখবে না, শেষ করবার টাকা তার আছে কি না?

29 որպէսզի, գուցէ, երբ հիմը դնի եւ չկարողանայ աւարտել, բոլոր նրանք, որ տեսնեն, չսկսեն նրան ծաղրել

২৯কারণ ভিত গাঁথবার পর যদি সে শেষ করতে না পারে, তবে যত লোক তা দেখবে, সবাই তাকে ঠাট্টা করতে শুরু করবে, বলবে,

30 եւ ասել, թէ՝ «Այս մարդը սկսեց կառուցել եւ չկարողացաւ աւարտել»:

৩০এ ব্যক্তি তৈরি করতে শুরু করেছিল, কিন্তু শেষ করতে পারল না।

31 Կամ ո՞ր թագաւորը, եթէ գնայ պատերազմելու մի այլ թագաւորի դէմ, նախ չի նստի եւ խորհի, թէ տասը հազարով կը կարողանա՞յ դիմադրել նրան, որ իր վրայ քսան հազարով է գալիս:

৩১অথবা কোনো রাজা অন্য রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধে করতে যাবার আগে বসে কি বিবেচনা করবেন না, যে কুড়ি হাজার সেনা নিয়ে যুদ্ধ করতে আসছে তার বিরুদ্ধে কি দশ হাজার সেনা নিয়ে তার সামনে যেতে পারি?

32 Ապա թէ ոչ, մինչ սա դեռ հեռու է, պատգամաւորութիւն ուղարկելով՝ խաղաղութիւն կը խնդրի:

৩২যদি না পারেন, তবে শত্রু দূরে থাকতেই তিনি বার্তাবাহক পাঠিয়ে তিনি তার সাথে শান্তির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করবেন।

33 Արդ, այսպէս էլ՝ ձեզնից ով որ իր ամբողջ ունեցուածքից չհրաժարուի, չի կարող իմ աշակերտը լինել»:

৩৩ভালো, সেইভাবে তোমাদের মধ্যে যে কেউ নিজের সব কিছু ত্যাগ না করে, সে আমার শিষ্য হতে পারে না।

34 «Աղը լաւ բան է, բայց եթէ աղն էլ անհամանայ, ինչո՞վ այն պիտի համեմուի:

৩৪লবণ তো ভালো; কিন্তু সেই লবণের যদি স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়, তবে তা আবার কি করে নোনতা করা যাবে?

35 Ո՛չ հողի համար է պիտանի եւ ո՛չ էլ՝ պարարտանիւթի, այլ՝ դուրս թափելու: Ով որ ականջ ունի լսելու, թող լսի»:

৩৫তা না মাটির, না সারের ঢিবির উপযুক্ত; লোকে তা বাইরে ফেলে দেয়। যার শুনবার কান আছে সে শুনুক।”