ԾՆՆԴՈՑ 3
1 Օձը երկրի վրայ Աստծու ստեղծած բոլոր գազաններից աւելի խորամանկ էր: Օձն ասաց կնոջը. «Ինչո՞ւ Աստուած ասաց, թէ դրախտում գտնուող բոլոր ծառերի պտուղներից չէք կարող ուտել»:
এখন সদাপ্রভু ঈশ্বরের নির্মিত যে কোনো বন্যপশুর মধ্যে সাপই ছিল সবচেয়ে ধূর্ত। সে নারীকে বলল, “সত্যিই কি ঈশ্বর বলেছেন, ‘তোমরা অবশ্যই বাগানের কোনও গাছের ফল খেয়ো না’?”
2 Կինն ասաց օձին. «Դրախտի ծառերի պտուղներից կարող ենք ուտել:
নারী সাপকে বললেন, “আমরা বাগানের গাছগুলি থেকে ফল খেতে পারি,
3 Սակայն դրախտի մէջտեղի ծառի պտղի համար Աստուած ասաց. «Դրանից չուտէք եւ չմօտենաք, որպէսզի չմեռնէք»:
কিন্তু ঈশ্বর বলেছেন, ‘বাগানের মাঝখানে যে গাছটি আছে, তার ফল তোমরা অবশ্যই খাবে না, আর এটি তোমরা ছোঁবেও না, এমনটি করলে তোমরা মারা যাবে।’”
4 Օձն ասաց կնոջը. «Չէք մահանայ,
“অবশ্যই তোমরা মরবে না,” সাপ নারীকে বলল।
5 որովհետեւ Աստուած գիտէր, որ այն օրը, երբ դրանից ուտէք, կը բացուեն ձեր աչքերը, եւ դուք կը լինէք աստուածների նման՝ կ՚իմանաք բարին ու չարը»:
“কারণ ঈশ্বর জানেন যে, যখন তোমরা এটি খাবে, তখন তোমাদের চোখ খুলে যাবে, ও তোমরা ভালোমন্দ জানার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের মতো হয়ে যাবে।”
6 Կինը տեսաւ, որ ծառի պտուղը լաւ է ուտելու համար, ակնահաճոյ է եւ գրաւիչ՝ ըմբռնելու համար: Նա առաւ նրա պտղից, կերաւ եւ տուեց իր մօտ կանգնած ամուսնուն, եւ նրանք կերան:
নারী যখন দেখলেন যে সেই গাছের ফলটি খাদ্য হিসেবে ভালো ও চোখের পক্ষে আনন্দদায়ক, এবং জ্ঞানার্জনের পক্ষেও কাম্য, তখন তিনি কয়েকটি ফল পেড়ে তা খেলেন। তিনি তাঁর সেই স্বামীকেও কয়েকটি ফল দিলেন, যিনি তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ও তিনিও তা খেলেন।
7 Երկուսի աչքերն էլ բացուեցին, եւ նրանք հասկացան, որ մերկ են: Նրանք թզենու տերեւներն իրար կարեցին եւ իրենց համար գոգնոց շինեցին:
তখন তাদের দুজনেরই চোখ খুলে গেল, এবং তারা অনুভব করলেন যে তারা উলঙ্গ; তাই তারা ডুমুর গাছের পাতা একসাথে সেলাই করে নিজেদের জন্য আচ্ছাদন তৈরি করলেন।
8 Երեկոյեան նրանք լսեցին Տէր Աստծու՝ դրախտում շրջագայելու ոտնաձայնը, եւ Ադամն ու իր կինը Տէր Աստծուց թաքնուեցին դրախտի ծառերի մէջ:
তখন সেই মানুষটি ও তাঁর স্ত্রী সেই সদাপ্রভু ঈশ্বরের হাঁটার আওয়াজ শুনতে পেলেন, যিনি দিনের পড়ন্ত বেলায় বাগানে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছিলেন, এবং তারা সদাপ্রভু ঈশ্বরকে এড়িয়ে বাগানের গাছগুলির আড়ালে লুকিয়ে পড়লেন।
9 Տէր Աստուած կանչեց Ադամին ու ասաց նրան. «Ո՞ւր ես»:
কিন্তু সদাপ্রভু ঈশ্বর সেই মানুষটিকে ডেকে বললেন, “তুমি কোথায়?”
10 Ադամը պատասխանեց. «Լսեցի քո ձայնն այստեղ՝ դրախտում, ամաչեցի, որովհետեւ մերկ էի, եւ թաքնուեցի»:
তিনি উত্তর দিলেন, “বাগানে আমি তোমার হাঁটার আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলাম, আর আমি ভয় পেয়েছিলাম কারণ আমি যে উলঙ্গ; তাই আমি লুকিয়ে পড়েছি।”
11 Աստուած ասաց նրան. «Ո՞վ յայտնեց քեզ, թէ մերկ ես: Արդեօք կերա՞ր այն ծառի պտղից, որից պատուիրել էի, որ չուտես»:
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর বললেন, “কে তোমাকে বলেছে যে তুমি উলঙ্গ? যে গাছের ফল না খাওয়ার আদেশ আমি তোমাকে দিয়েছিলাম, সেই গাছের ফল তুমি কি খেয়েছ?”
12 Ադամն ասաց. «Այս կինը, որ տուեցիր ինձ, նա՛ տուեց ինձ ծառի պտղից, եւ ես կերայ»:
মানুষটি বললেন, “আমার সঙ্গে তুমি যে নারীকে এখানে রেখেছ—সেই গাছটি থেকে কয়েকটি ফল আমায় দিয়েছিল এবং আমি তা খেয়ে ফেলেছি।”
13 Տէր Աստուած ասաց կնոջը. «Այդ ի՞նչ ես արել»: Կինն ասաց. «Օձը խաբեց ինձ, եւ ես կերայ»:
তখন সদাপ্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন, “তুমি এ কী করলে?” নারী বললেন, “সাপ আমাকে প্রতারিত করেছে, ও আমি খেয়ে ফেলেছি।”
14 Տէր Աստուած ասաց օձին. «Քանի որ այդ բանն արեցիր, անիծեալ լինես երկրի բոլոր անասունների ու գազանների մէջ: Քո լանջի ու որովայնի վրայ սողաս, ողջ կեանքումդ հող ուտես:
অতএব সদাপ্রভু ঈশ্বর সাপকে বললেন, “যেহেতু তুমি এমনটি করেছ, তাই, “সব গবাদি পশুর মধ্যে ও সব বন্যপশুর মধ্যে তুমিই হলে অভিশপ্ত! তুমি বুকে ভর দিয়ে চলবে আর সারা জীবনভর ধুলো খেয়ে যাবে।
15 Թշնամութիւն պիտի դնեմ քո եւ այդ կնոջ միջեւ, քո սերնդի ու նրա սերնդի միջեւ: Նա պիտի ջախջախի քո գլուխը, իսկ դու պիտի խայթես նրա գարշապարը»:
তোমার ও নারীর মধ্যে আর তোমার ও তার সন্তানসন্ততির মধ্যে আমি শত্রুতা জন্মাব; সে তোমার মাথা গুঁড়িয়ে দেবে আর তুমি তার পায়ের গোড়ালিতে আঘাত হানবে।”
16 Իսկ կնոջն ասաց. «Պիտի անչափ բազմացնեմ քո ցաւերն ու քո հառաչանքները: Ցաւերով երեխաներ պիտի ծնես, քո ամուսնուն պիտի ենթարկուես, եւ նա պիտի իշխի քեզ վրայ»:
সদাপ্রভু ঈশ্বর নারীকে বললেন, “আমি তোমার সন্তান প্রসবের ব্যথা খুব বাড়িয়ে দেব; প্রচণ্ড প্রসববেদনা সহ্য করে তুমি সন্তানের জন্ম দেবে। তোমার স্বামীর প্রতি তোমার আকুল বাসনা থাকবে, আর সে তোমার উপর কর্তৃত্ব করবে।”
17 Աստուած Ադամին ասաց. «Քանի որ անսացիր քո կնոջ ձայնին եւ կերար այն ծառի պտղից, որի՛ց միայն քեզ պատուիրեցի չուտել, բայց կերար դրանից, թող անիծեալ լինի երկիրը քո արածի պատճառով: Տանջանքով հայթայթես քո սնունդը քո կեանքի բոլոր օրերին:
আদমকে তিনি বললেন, “যেহেতু তুমি তোমার স্ত্রীর কথা শুনে সেই গাছের ফল খেয়েছ, যেটির বিষয়ে আমি তোমাকে আদেশ দিয়েছিলাম, ‘তুমি এর ফল অবশ্যই খাবে না,’ তাই “তোমার জন্য ভূমি অভিশপ্ত হল; আজীবন তুমি কঠোর পরিশ্রম করে তা থেকে খাবার খাবে।
18 Փուշ ու տատասկ թող աճեցնի քեզ համար երկիրը, եւ դու դաշտային բոյսերով սնուես:
তা তোমার জন্য কাঁটাগাছ ও শিয়ালকাঁটা ফলাবে, আর তুমি ক্ষেতের লতাগুল্ম খাবে,
19 Քո երեսի քրտինքով ուտես հացդ մինչեւ հող դառնալդ, որից ստեղծուեցիր, որովհետեւ հող էիր եւ հող էլ կը դառնաս»:
যতদিন না তুমি মাটিতে ফিরে যাচ্ছ, ততদিন তুমি কপালের ঘাম ঝরিয়ে তোমার খাবার খাবে, যেহেতু সেখান থেকেই তোমাকে আনা হয়েছে; কারণ তুমি তো ধুলো, আর ধুলোতেই তুমি যাবে ফিরে।”
20 Եւ Ադամն իր կնոջ անունը դրեց Կեանք, որովհետեւ նա է բոլոր մարդկանց նախամայրը:
আদম তাঁর স্ত্রীর নাম দিলেন হবা, কারণ তিনি হবেন সব জীবন্ত মানুষের মা।
21 Տէր Աստուած Ադամի ու նրա կնոջ համար կաշուից զգեստներ պատրաստեց եւ հագցրեց նրանց:
সদাপ্রভু ঈশ্বর আদম ও তাঁর স্ত্রীর জন্য চামড়ার পোশাক বানিয়ে দিলেন এবং তাদের কাপড় পরিয়ে দিলেন।
22 Տէր Աստուած ասաց. «Ահա Ադամը դարձաւ մեզ նման մէկը, նա գիտի բարին եւ չարը: Արդ, գուցէ նա ձեռքը մեկնի, քաղի կենաց ծառից, ուտի եւ անմահ դառնայ»:
আর সদাপ্রভু ঈশ্বর বললেন, “মানুষ এখন ভালোমন্দের জ্ঞান পেয়ে আমাদের একজনের মতো হয়ে গিয়েছে। তাকে এই সুযোগ দেওয়া যাবে না, যেন সে তার হাত বাড়িয়ে আবার জীবনদায়ী গাছের ফল খেয়ে অমর হয়ে যায়।”
23 Եւ Տէր Աստուած արտաքսեց նրան բերկրութեան դրախտից, որպէսզի նա մշակի այն հողը, որից ստեղծուել էր:
তাই সদাপ্রভু ঈশ্বর তাঁকে এদন বাগান থেকে নির্বাসিত করে সেই ভূমিতে কাজ করার জন্য পাঠিয়ে দিলেন, যেখান থেকে তাঁকে তুলে আনা হয়েছিল।
24 Աստուած դուրս հանեց Ադամին, բնակեցրեց բերկրութեան դրախտի դիմաց եւ հրամայեց քերովբէներին ու բոցեղէն սրին շուրջանակի հսկել դէպի կենաց ծառը տանող ճանապարհները:
সেই মানুষটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর, এদন বাগানের পূর্বদিকে তিনি করূবদের মোতায়েন করে দিলেন এবং জীবনদায়ী গাছের কাছে পৌঁছানোর পথ রক্ষা করার জন্য ঘূর্ণায়মান জ্বলন্ত এক তরোয়ালও বসিয়ে দিলেন।
