لُوقا 23
| فَقَامَتْ جَمَاعَتُهُمْ كُلُّهَا، وَسَاقُوا يَسُوعَ إِلَى بِيلاطُسَ. | ١ 1 |
১পরে তারা সবাই উঠে যীশুকে পীলাতের কাছে নিয়ে গেল।
| وَبَدَأُوا يَتَّهِمُونَهُ قَائِلِينَ: «تَبَيَّنَ لَنَا أَنَّ هَذَا يُضَلِّلُ أُمَّتَنَا، وَيَمْنَعُ أَنْ تُدْفَعَ الْجِزْيَةُ لِلْقَيْصَرِ وَيَدَّعِي أَنَّهُ الْمَسِيحُ الْمَلِكُ!» | ٢ 2 |
২আর তারা তাঁর উপরে দোষ দিয়ে বলতে লাগল, আমরা দেখতে পেলাম যে, এই ব্যক্তি আমাদের জাতিকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে, কৈসরকে কর দিতে বারণ করে, আর বলে যে, আমি সেই খ্রীষ্ট রাজা।
| فَسَأَلَهُ بِيلاطُسُ: «أَأَنْتَ مَلِكُ الْيَهُودِ؟» فَأَجَابَهُ: «أَنْتَ قُلْتَ!» | ٣ 3 |
৩তখন পীলাত তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমিই কি ইহূদিদের রাজা? যীশু তাঁকে বললেন, তুমিই বললে।
| فَقَالَ بِيلاطُسُ لِرُؤَسَاءِ الْكَهَنَةِ وَالْجُمُوعِ: «لا أَجِدُ ذَنْباً فِي هَذَا الإِنْسَانِ!» | ٤ 4 |
৪তখন পীলাত প্রধান যাজকদের ও লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমি এই ব্যক্তির কোনো দোষ পাচ্ছি না।
| وَلَكِنَّهُمْ أَلَحُّوا قَائِلِينَ: «إِنَّهُ يُثِيرُ الشَّعْبَ، مُعَلِّماً فِي الْيَهُودِيَّةِ كُلِّهَا، ابْتِدَاءً مِنَ الْجَلِيلِ حَتَّى هُنَا!» | ٥ 5 |
৫কিন্তু তারা আরও জোর করে বলতে লাগল, এ ব্যক্তি সমস্ত যিহূদিয়ায় এবং গালীল থেকে এই জায়গা পর্যন্ত শিক্ষা দিয়ে লোকদের ক্ষেপিয়ে তুলছে।
| فَلَمَّا سَمِعَ بِيلاطُسُ ذِكْرَ الْجَلِيلِ، اسْتَفْسَرَ: «هَلِ الرَّجُلُ مِنَ الْجَلِيلِ؟». | ٦ 6 |
৬এই শুনে পীলাত জিজ্ঞাসা করলেন, এ ব্যক্তি কি গালীলীয়?
| وَإِذْ عَلِمَ أَنَّهُ تَابِعٌ لِسُلْطَةِ هِيرُودُسَ، أَحَالَهُ عَلَى هِيرُودُسَ، إِذْ كَانَ هُوَ أَيْضاً فِي أُورُشَلِيمَ فِي تِلْكَ الأَيَّامِ. | ٧ 7 |
৭পরে যখন তিনি জানতে পারলেন, ইনি হেরোদের রাজ্যের লোক, তখন তাঁকে হেরোদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন, কারণ সেই দিন তিনি যিরুশালেমে ছিলেন।
| وَلَمَّا رَأَى هِيرُودُسُ يَسُوعَ، فَرِحَ جِدّاً، لأَنَّهُ كَانَ يَتَمَنَّى مِنْ زَمَانٍ طَوِيلٍ أَنْ يَرَاهُ بِسَبَبِ سَمَاعِهِ الْكَثِيرَ عَنْهُ، وَيَرْجُو أَنْ يَرَى آيَةً تُجْرَى عَلَى يَدِهِ. | ٨ 8 |
৮যীশুকে দেখে হেরোদ খুব আনন্দিত হলেন, কারণ তিনি তাঁর বিষয়ে শুনেছিলেন, এই অনেকদিন থেকে তাঁকে দেখতে ইচ্ছা করেছিলেন এবং তাঁর অলৌকিক কোনো চিহ্ন দেখবার আশা করতে লাগলেন।
| فَسَأَلَهُ فِي قَضَايَا كَثِيرَةٍ، أَمَّا هُوَ فَلَمْ يُجِبْهُ عَنْ شَيْءٍ. | ٩ 9 |
৯তিনি তাঁকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করলেন, কিন্তু যীশু তাকে কোনো উত্তর দিলেন না।
| وَوَقَفَ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ وَالْكَتَبَةُ يَتَّهِمُونَهُ بِعُنْفٍ. | ١٠ 10 |
১০আর প্রধান যাজকরা ও ধর্মশিক্ষকেরা দাঁড়িয়ে প্রবলভাবে তাঁর উপরে দোষারোপ করছিল।
| فَاحْتَقَرَهُ هِيرُودُسُ وَجُنُودُهُ، وَسَخِرَ مِنْهُ، إِذْ أَلْبَسَهُ ثَوْباً بَرَّاقاً وَرَدَّهُ إِلَى بِيلاطُسَ. | ١١ 11 |
১১আর হেরোদ ও তাঁর সেনারা তাঁকে তুচ্ছ করলেন ও ঠাট্টা করলেন এবং দামী পোষাক পরিয়ে তাঁকে পীলাতের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
| وَصَارَ بِيلاطُسُ وَهِيرُودُسُ صَدِيقَيْنِ فِي ذَلِكَ الْيَوْمِ، وَقَدْ كَانَتْ بَيْنَهُمَا عَدَاوَةٌ سَابِقَةٌ. | ١٢ 12 |
১২সেই দিন থেকে হেরোদ ও পীলাত দুজনে বন্ধু হয়ে উঠলেন, কারণ আগে তাদের মধ্যে শত্রুতা ছিল।
| فَدَعَا بِيلاطُسُ رُؤَسَاءَ الْكَهَنَةِ وَالْقُوَّادَ وَالشَّعْبَ. | ١٣ 13 |
১৩পরে পীলাত প্রধান যাজকরা, তত্ত্বাবধায়ক ও লোকদের একসঙ্গে ডেকে তাদের বললেন,
| وَقَالَ لَهُمْ: «أَحْضَرْتُمْ إِلَيَّ هَذَا الإِنْسَانَ عَلَى أَنَّهُ يُضَلِّلُ الشَّعْبَ. وَهَا أَنَا، بَعْدَمَا فَحَصْتُ الأَمْرَ أَمَامَكُمْ، لَمْ أَجِدْ فِي هَذَا الإِنْسَانِ أَيَّ ذَنْبٍ مِمَّا تَتَّهِمُونَهُ بِهِ، | ١٤ 14 |
১৪তোমরা এ ব্যক্তিকে আমার কাছে এই বলে এনেছ যে, এ লোককে বিপথে নিয়ে যায়; আর দেখ, আমি তোমাদের সামনে বিচার করলেও, তোমরা এর উপরে যেসব দোষ দিচ্ছ, তার মধ্যে এই ব্যক্তির কোনো দোষ দেখতে পেলাম না।
| وَلا وَجَدَ هِيرُودُسُ أَيْضاً، إِذْ رَدَّهُ إِلَيْنَا. وَهَا إِنَّهُ لَمْ يَفْعَلْ شَيْئاً يَسْتَوْجِبُ الْمَوْتَ. | ١٥ 15 |
১৫আর হেরোদও পাননি, কারণ তিনি একে আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন; আর দেখ, এ ব্যক্তি প্রাণদণ্ডের যোগ্য কিছুই করে নি।
| فَسَأَجْلِدُهُ إِذَنْ وَأُطْلِقُهُ». | ١٦ 16 |
১৬অতএব আমি একে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেব।
| وَكَانَ عَلَيْهِ أَنْ يُطْلِقَ لَهُمْ فِي كُلِّ عِيدٍ سَجِيناً وَاحِداً. | ١٧ 17 |
১৭(ঐ পর্বের দিন তাদের জন্য এক জনকে ছেড়ে দিতেই হত।)
| وَلَكِنَّهُمْ صَرَخُوا بِجُمْلَتِهِمْ: «اقْتُلْ هَذَا، وَأَطْلِقْ لَنَا بَارَابَاسَ!» | ١٨ 18 |
১৮কিন্তু তারা দলবদ্ধ হয়ে সবাই চিৎকার করে বলল, একে দূর কর, আমাদের জন্য বারাব্বাকে ছেড়ে দাও।
| وَكَانَ ذَاكَ قَدْ أُلْقِيَ فِي السِّجْنِ بِسَبَبِ فِتْنَةٍ حَدَثَتْ فِي الْمَدِينَةِ وَبِسَبَبِ قَتْلٍ. | ١٩ 19 |
১৯শহরের মধ্যে দাঙ্গা ও মানুষ হত্যার দায়ে সেই ব্যক্তি কারাবদ্ধ হয়েছিল।
| فَخَاطَبَهُمْ بِيلاطُسُ ثَانِيَةً وَهُوَ رَاغِبٌ فِي إِطْلاقِ يَسُوعَ. | ٢٠ 20 |
২০পরে পীলাত যীশুকে মুক্ত করবার ইচ্ছায় আবার তাদের কাছে কথা বললেন।
| فَرَدُّوا صَارِخِينَ: «اصْلِبْهُ! اصْلِبْهُ!» | ٢١ 21 |
২১কিন্তু তারা চেঁচিয়ে বলতে লাগল, ক্রুশে দাও, ওকে ক্রুশে দাও।
| فَسَأَلَهُمْ ثَالِثَةً: «فَأَيَّ شَرٍّ فَعَلَ هَذَا؟ لَمْ أَجِدْ فِيهِ ذَنْباً عُقُوبَتُهُ الْمَوْتُ. فَسَأَجْلِدُهُ إِذَنْ وَأُطْلِقُهُ!» | ٢٢ 22 |
২২পরে তিনি তৃতীয় বার তাদের বললেন, কেন? এ কি অপরাধ করেছে? আমি মৃত্যু দণ্ডের যোগ্য কোনো দোষই পাইনি। অতএব একে শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেব।
| فَأَخَذُوا يُلِحُّونَ صَارِخِينَ بِأَصْوَاتٍ عَالِيَةٍ، طَالِبِينَ أَنْ يُصْلَبَ! فَتَغَلَّبَتْ أَصْوَاتُهُمْ، | ٢٣ 23 |
২৩কিন্তু তারা খুব জোরে বলতে লাগল, যেন তাকে ক্রুশে দেওয়া হয়; আর তারা আরো জোরে চিৎকার করল।
| وَحَكَمَ بِيلاطُسُ أَنْ يُنَفَّذَ طَلَبُهُمْ. | ٢٤ 24 |
২৪তখন পীলাত তাদের বিচার অনুসারে করতে আদেশ দিলেন;
| فَأَطْلَقَ الَّذِي كَانَ قَدْ أُلْقِيَ فِي السِّجْنِ بِسَبَبِ الْفِتْنَةِ وَالْقَتْلِ، ذَاكَ الَّذِي طَلَبُوا إِطْلاقَهُ. وَأَمَّا يَسُوعُ فَسَلَّمَهُ بِيلاطُسُ إِلَى إِرَادَتِهِمْ. | ٢٥ 25 |
২৫দাঙ্গা ও মানুষ হত্যার দায়ে কারাবদ্ধ যে ব্যক্তিকে তারা চাইল, তিনি তাকে ছেড়ে দিলেন, কিন্তু যীশুকে তাদের ইচ্ছায় সমপর্ন করলেন।
| وَفِيمَا هُمْ يَسُوقُونَهُ (إِلَى الصَّلْبِ)، أَمْسَكُوا رَجُلاً مِنَ الْقَيْرَوَانِ اسْمُهُ سِمْعَانُ، كَانَ رَاجِعاً مِنَ الْحَقْلِ، وَوَضَعُوا عَلَيْهِ الصَّلِيبَ لِيَحْمِلَهُ خَلْفَ يَسُوعَ. | ٢٦ 26 |
২৬পরে তারা তাঁকে নিয়ে যাচ্ছে, এর মধ্যে শিমোন নামে একজন কুরীনীয় লোক গ্রাম থেকে আসছিল, তারা তাকে ধরে তার কাঁধে ক্রুশ রাখল, যেন সে যীশুর পিছন পিছন তা নিয়ে যায়।
| وَقَدْ تَبِعَهُ جَمْعٌ كَبِيرٌ مِنَ الشَّعْبِ وَمِنْ نِسَاءٍ كُنَّ يُوَلْوِلْنَ وَيَنْدُبْنَهُ. | ٢٧ 27 |
২৭আর অনেক লোক তাঁর পিছন পিছন চলল; এবং অনেকগুলি স্ত্রীলোক ছিল, তারা তাঁর জন্য হাহাকার ও কান্নাকাটি করছিলেন।
| فَالْتَفَتَ إِلَيْهِنَّ يَسُوعُ، وَقَالَ: «يَا بَنَاتِ أُورُشَلِيمَ، لَا تَبْكِينَ عَلَيِّ، بَلِ ابْكِينَ عَلَى أَنْفُسِكُنَّ وَعَلَى أَوْلادِكُنَّ! | ٢٨ 28 |
২৮কিন্তু যীশু তাদের দিকে ফিরে বললেন, “ওগো যিরুশালেমের মেয়েরা, আমার জন্য কেঁদো না, বরং নিজেদের এবং নিজের নিজের সন্তানদের জন্য কাঁদ।”
| فَهَا إِنَّ أَيَّاماً سَتَأْتِي فِيهَا يَقُولُ النَّاسُ: طُوبَى لِلْعَوَاقِرِ اللَّوَاتِي مَا حَمَلَتْ بُطُونُهُنَّ وَلا أَرْضَعَتْ أَثْدَاؤُهُنَّ! | ٢٩ 29 |
২৯কারণ দেখ, এমন দিন আসছে যেদিন লোকে বলবে, ধন্য সেই স্ত্রীলোকেরা, যারা বন্ধ্যা, যাদের গর্ভ কখনো সন্তান প্রসব করে নি, যাদের স্তন কখনো শিশুদের পান করায়নি।
| عِنْدَئِذٍ يَقُولُونَ لِلْجِبَالِ: اسْقُطِي عَلَيْنَا، وَلِلتِّلالِ: غَطِّينَا! | ٣٠ 30 |
৩০সেই দিন লোকেরা পর্বতগণকে বলতে শুরু করবে, আমাদের উপরে পড়; এবং পাহাড়গুলোকে বলবে, আমাদের ঢেকে রাখো।
| فَإِنْ كَانُوا قَدْ فَعَلُوا هَذَا بِالْغُصْنِ الأَخْضَرِ، فَمَاذَا يَجْرِي لِلْيَابِسِ؟» | ٣١ 31 |
৩১কারণ লোকেরা সরস গাছের প্রতি যদি এমন করে, তবে শুকনো গাছে কি না ঘটবে?
| وَسِيقَ إِلَى الْقَتْلِ مَعَ يَسُوعَ أَيْضاً اثْنَانِ مِنَ الْمُجْرِمِينَ. | ٣٢ 32 |
৩২আরও দুজন অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেবার জন্য তাঁর সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
| وَلَمَّا وَصَلُوا إِلَى الْمَكَانِ الَّذِي يُدْعَى الْجُمْجُمَةَ، صَلَبُوهُ هُنَاكَ مَعَ الْمُجْرِمَيْنِ، وَاحِدٌ عَنِ الْيَمِينِ وَالآخَرُ عَنِ اليَسَارِ. | ٣٣ 33 |
৩৩পরে মাথার খুলি নামে জায়গায় নিয়ে গিয়ে তারা সেখানে তাঁকে এবং সেই দুজন অপরাধীকে ক্রুশে দিল, এক জনকে তার ডান পাশে ও অপর জনকে বাম পাশে রাখল।
| وَقَالَ يَسُوعُ: «يَا أَبِي، اغْفِرْ لَهُمْ، لأَنَّهُمْ لَا يَدْرُونَ مَا يَفْعَلُونَ!» وَاقْتَسَمُوا ثِيَابَهُ مُقْتَرِعِينَ عَلَيْهَا. | ٣٤ 34 |
৩৪তখন যীশু বললেন, পিতা, এদের ক্ষমা কর, কারণ এরা কি করছে, তা জানে না। পরে তারা তাঁর জামা-কাপড়গুলি নিজেদের মধ্যে ভাগ করল।
| وَوَقَفَ الشَّعْبُ هُنَاكَ يُرَاقِبُونَهُ، وَكَذلِكَ الرُّؤَسَاءُ يَتَهَكَّمُونَ قَائِلِينَ: «خَلَّصَ آخَرِينَ! فَلْيُخَلِّصْ نَفْسَهُ إِنْ كَانَ هُوَ الْمَسِيحَ الْمُخْتَارَ عِنْدَ اللهِ!» | ٣٥ 35 |
৩৫লোকেরা দাঁড়িয়ে দেখছিল। ইহূদি শাসকেরা তাঁকে ব্যঙ্গ করে বলতে লাগল, ওই ব্যক্তি অন্য লোককে রক্ষা করত, যদি তিনি ঈশ্বরের সেই মনোনীত খ্রীষ্ট, তবে নিজেকে রক্ষা করুক,
| وَسَخِرَ مِنْهُ الْجُنُودُ أَيْضاً، فَكَانُوا يَتَقَدَّمُونَ إِلَيْهِ وَيُقَدِّمُونَ لَهُ خَلًّا، | ٣٦ 36 |
৩৬আর সেনারাও তাঁকে ঠাট্টা করল, তাঁর কাছে অম্লরশ নিয়ে বলতে লাগল,
| قَائِلِينَ: «إِنْ كُنْتَ أَنْتَ مَلِكَ الْيَهُودِ، فَخَلِّصْ نَفْسَكَ» | ٣٧ 37 |
৩৭তুমি যদি ইহূদিদের রাজা হও, তবে নিজেকে রক্ষা কর,
| وَكَانَتْ فَوْقَهُ لافِتَةٌ كُتِبَ فِيهَا: «هَذَا هُوَ مَلِكُ الْيَهُودِ». | ٣٨ 38 |
৩৮আর তাঁর উপরে ফলকে এই লেখা ছিল, “এ ইহূদিদের রাজা।”
| وَأَخَذَ وَاحِدٌ مِنَ الْمُجْرِمَيْنِ الْمَصْلُوبَيْنِ يُجَدِّفُ عَلَيْهِ فَيَقُولُ: «أَلَسْتَ أَنْتَ الْمَسِيحَ؟ إِذَنْ خَلِّصْ نَفْسَكَ وَخَلِّصْنَا!» | ٣٩ 39 |
৩৯আর যে দুজন অপরাধীকে ক্রুশে ঝোলানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজন খ্রীষ্টকে নিন্দা করে বলতে লাগল, তুমি নাকি সেই খ্রীষ্ট? নিজেকে ও আমাদের রক্ষা কর।
| وَلكِنَّ الآخَرَ كَلَّمَهُ زَاجِراً فَقَالَ: «أَحَتَّى أَنْتَ لَا تَخَافُ اللهَ، وَأَنْتَ تُعَانِي الْعُقُوبَةَ نَفْسَهَا؟ | ٤٠ 40 |
৪০কিন্তু অন্যজন উত্তর দিয়ে তাকে ধমক দিয়ে বলল, তুমি কি ঈশ্বরকে ভয় কর না? তুমিও তো একই শাস্তি পাচ্ছ।
| أَمَّا نَحْنُ فَعُقُوبَتُنَا عَادِلَةٌ لأَنَّنَا نَنَالُ الْجَزَاءَ الْعَادِلَ لِقَاءَ مَا فَعَلْنَا. وَأَمَّا هَذَا الإِنْسَانُ، فَلَمْ يَفْعَلُ شَيْئاً فِي غَيْرِ مَحَلِّهِ!» | ٤١ 41 |
৪১আর আমরা যে শাস্তি পাচ্ছি তা ন্যায্য; কারণ যা যা করেছি, তারই যোগ্য শাস্তি পাচ্ছি; কিন্তু ইনি অন্যায় কাজ কিছুই করেননি।
| ثُمَّ قَالَ: «يَا يَسُوعُ، اذْكُرْنِي عِنْدَمَا تَجِيءُ فِي مَلَكُوتِكَ!» | ٤٢ 42 |
৪২পরে সে বলল, যীশু, আপনি যখন নিজের রাজ্যে আসবেন, তখন আমাকে মনে করবেন।
| فَقَالَ لَهُ يَسُوعُ: «الْحَقَّ أَقُولُ لَكَ: الْيَوْمَ سَتَكُونُ مَعِي فِي الْفِرْدَوْسِ!» | ٤٣ 43 |
৪৩তিনি তাকে বললেন, আমি তোমাকে সত্যি বলছি, আজই তুমি আমার সঙ্গে স্বর্গরাজ্যে যাবে।
| وَنَحْوَ السَّاعَةِ السَّادِسَةِ (الثَّانِيَةَ عَشْرَةَ ظُهْراً)، حَلَّ الظَّلامُ عَلَى الأَرْضِ كُلِّهَا حَتَّى السَّاعَةِ التَّاسِعَةِ (الثَّالِثَةِ بَعْدَ الظُّهْرِ). | ٤٤ 44 |
৪৪তখন বেলা প্রায় বারোটা আর তিনটা পর্যন্ত সারা দেশ অন্ধকারময় হয়ে থাকল।
| وَأَظْلَمَتِ الشَّمْسُ، وَانْشَطَرَ سِتَارُ الْهَيْكَلِ مِنَ الوَسَطِ. | ٤٥ 45 |
৪৫সূর্য্যের আলো থাকলো না, আর মন্দিরের পর্দাটা মাঝামাঝি চিরে ভাগ হয়ে গেল।
| وَقَالَ يَسُوعُ صَارِخاً بِصَوْتٍ عَظِيمٍ: «يَا أَبِي، فِي يَدَيْكَ أَسْتَوْدِعُ رُوحِي!» وَإِذْ قَالَ هَذَا، أَسْلَمَ الرُّوحَ. | ٤٦ 46 |
৪৬আর যীশু খুব জোরে চিৎকার করে বললেন, পিতা, তোমার হাতে আমার আত্মা সমর্পণ করলাম; আর এই বলে তিনি প্রাণ ত্যাগ করলেন।
| فَلَمَّا رَأَى قَائِدُ الْمِئَةِ مَا حَدَثَ، مَجَّدَ اللهَ قَائِلاً: «بِالْحَقِيقَةِ كَانَ هَذَا الإِنْسَانُ بَارّاً». | ٤٧ 47 |
৪৭যা ঘটল, তা দেখে শতপতি ঈশ্বরের গৌরব করে বললেন, সত্যিই, এই ব্যক্তি ধার্মিক ছিলেন।
| كَذلِكَ الْجُمُوعُ الَّذِينَ احْتَشَدُوا لِيُرَاقِبُوا مَشْهَدَ الصَّلْبِ، لَمَّا رَأَوْا مَا حَدَثَ، رَجَعُوا قَارِعِينَ الصُّدُورَ. | ٤٨ 48 |
৪৮আর যেসব লোক এই দৃশ্য দেখার জন্য এসেছিল, তারা এই সব দেখে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে ফিরে গেল।
| أَمَّا جَمِيعُ مَعَارِفِهِ، بِمَنْ فِيهِمِ النِّسَاءُ اللَّوَاتِي تَبِعْنَهُ مِنَ الْجَلِيلِ، فَقَدْ كَانُوا وَاقِفِينَ مِنْ بَعِيدٍ يُرَاقِبُونَ هذِهِ الأُمُورَ. | ٤٩ 49 |
৪৯আর তাঁর পরিচিত সবাই এবং যে স্ত্রীলোকেরা তাঁর সঙ্গে গালীল থেকে এসেছিলেন তারা দূরে এই সব দেখছিলেন।
| وَكَانَ فِي الْمَجْلِسِ الأَعْلَى إِنْسَانٌ اسْمُهُ يُوسُفُ، وَهُوَ إِنْسَانٌ صَالِحٌ وَتَقِيٌّ | ٥٠ 50 |
৫০আর দেখ, যোষেফ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন, তিনি মন্ত্রী, এক সৎ ধার্মিক লোক,
| لَمْ يَكُنْ مُوَافِقاً عَلَى قَرَارِ أَعْضَاءِ الْمَجْلِسِ وَفِعْلَتِهِمْ، وَهُوَ مِنَ الرَّامَةِ إِحْدَى مُدُنِ الْيَهُودِ، وَكَانَ مِنْ مُنْتَظِرِي مَلَكُوتِ اللهِ. | ٥١ 51 |
৫১এই ব্যক্তি ওদের পরিকল্পনাতে ও কাজে সম্মত ছিলেন না; তিনি অরিমাথিয়া ইহূদি শহরের লোক; তিনি ঈশ্বরের রাজ্যের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
| فَإِذَا بِهِ قَدْ تَقَدَّمَ إِلَى بِيلاطُسَ وَطَلَبَ جُثْمَانَ يَسُوعَ. | ٥٢ 52 |
৫২এ ব্যক্তি পীলাতের কাছে গিয়ে যীশুর মৃতদেহ চাইলেন;
| ثُمَّ أَنْزَلَهُ (مِنْ عَلَى الصَّلِيبِ) وَكَفَّنَهُ بِكَتَّانِ، وَوَضَعَهُ فِي قَبْرٍ مَنْحُوتٍ (فِي الصَّخْرِ) لَمْ يُدْفَنْ فِيهِ أَحَدٌ مِنْ قَبْلُ. | ٥٣ 53 |
৫৩পরে তা নামিয়ে ঐ চাদরে জড়ালেন এবং পাথর দিয়ে তৈরী এক কবরের মধ্যে তাকে রাখলেন, যাতে কখনো কাউকে রাখা হয়নি।
| وَكَانَ ذَلِكَ النَّهَارُ يَوْمَ الإِعْدَادِ لِلسَّبْتِ الَّذِي كَانَ قَدْ بَدَأَ يَقْتَرِبُ. | ٥٤ 54 |
৫৪সেই দিন আয়োজনের দিন এবং বিশ্রামবার প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছিল।
| وَتَبِعَتْ يُوسُفَ النِّسَاءُ اللَّوَاتِي خَرَجْنَ مِنَ الْجَلِيلِ مَعَ يَسُوعَ، فَرَأَيْنَ الْقَبْرَ وَكَيْفَ وُضِعَ جُثْمَانُهُ. | ٥٥ 55 |
৫৫আর যে স্ত্রীলোকেরা তাঁর সাথে গালীল থেকে এসেছিলেন, তারা পিছন পিছন গিয়ে সেই কবর এবং কীভাবে তাঁর মৃতদেহ রাখা যায়, তা দেখলেন;
| ثُمَّ رَجَعْنَ وَهَيَّأْنَ حَنُوطاً وَطِيباً، وَاسْتَرَحْنَ يَوْمَ السَّبْتِ حَسَبَ الْوَصِيَّةِ. | ٥٦ 56 |
৫৬পরে ফিরে গিয়ে সুগন্ধি দ্রব্য ও তেল প্রস্তুত করলেন। তখন তাঁরা ঈশ্বরের আদেশ অনুযায়ী বিশ্রামবারে বিশ্রাম নিলেন।
