< إرْمِيا 44 >

هَذِهِ هِيَ النُّبُوءَةُ الَّتِي أُوْحِيَ بِها إِلَى إِرْمِيَا عَنِ الْيَهُودِ الْمُقِيمِينَ فِي مِصْرَ، النَّازِلِينَ فِي مَجْدَلَ وَفِي تَحَفَنْحِيسَ وَمَمْفِيسَ وَفِي مِنْطَقَةِ جَنُوبِ مِصْرَ. ١ 1
মিশর দেশে বসবাসকারী, মিগদোল, তফনহেষ, নোফে ও পথ্রোষে বসবাসকারী ইহুদীদের বিষয়ে যিরমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর এই বাক্য এল,
«هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: قَدْ شَهِدْتُمْ كُلَّ مَا أَوْقَعْتُهُ مِنْ شَرٍّ بِأُورُشَلِيمَ وَبِكَافَّةِ مُدُنِ يَهُوذَا. هَا هِيَ الْيَوْمَ خَرِبَةٌ مَهْجُورَةٌ ٢ 2
“বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, ‘তুমি নিজে সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি দেখেছ, যা আমি যিরূশালেম ও যিহূদার সমস্ত শহরের উপর এনেছি। দেখ, তারা আজ ধ্বংসস্থান হয়ে আছে; সেখানে কেউ বাস করে না’।
لِشَرِّ أَهْلِهَا الَّذِي ارْتَكَبُوهُ لِيُثِيرُوا سُخْطِي، إِذْ ذَهَبُوا لِيُحْرِقُوا بَخُوراً وَيَعْبُدُوا آلِهَةً أُخْرَى مِنَ الأَصْنَامِ لَمْ يَعْرِفُوهَا هُمْ وَلا أَنْتُمْ وَلا آبَاؤُكُمْ. ٣ 3
এর কারণ হল তাদের দুষ্টতা, তারা দেবতাদের সামনে ধূপ জ্বালিয়ে ও তাদের ভজনা করে আমাকে অসন্তুষ্ট করেছে। সেই সমস্ত দেবতা, যাদের কথা তারা নিজেরাও জানত না, তুমি না বা তোমাদের পূর্বপুরুষেরাও জানত না।
وَقَدْ أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ مُنْذِراً مُنْذُ الْبَدْءِ جَمِيعَ عَبِيدِي الأَنْبِيَاءِ قَائِلاً: لَا تَقْتَرِفُوا رِجْساً مِثْلَ هَذَا لأَنِّي أَمْقُتُهُ، ٤ 4
তাই আমি বারে বারে আমার সমস্ত দাস ভাববাদীদের পাঠিয়েছি। আমি তাদের এই বলতে পাঠিয়েছি, ‘এইসব জঘন্য কাজ করা বন্ধ কর, আমি ঘৃণা করি’।
فَلَمْ يَرْتَدِعُوا وَلا سَمِعُوا لِيَتُوبُوا وَيَكُفُّوا عَنْ إِحْرَاقِ الْبَخُورِ لِتِلْكَ الأَصْنَامِ، ٥ 5
কিন্তু তারা শোনে নি, তারা মনোযোগ দিতে অস্বীকার করেছে এবং অন্য দেবতার কাছে ধূপ জ্বালানো থেকেও ফেরেনি।
فَانْصَبَّ غَيْظِي وَحَنَقِي، وَأَشْعَلا مُدُنَ يَهُوذَا وَشَوَارِعَ أُورُشَلِيمَ حَتَّى أَصْبَحَتْ جَمِيعاً أَطْلالاً وَخَرَاباً كَمَا هِيَ فِي هَذَا الْيَوْمِ. ٦ 6
তাই আমার জ্বলন্ত ক্রোধ ও আমার রোষ ঢালা হল; তা যিহূদার শহরে শহরে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় জ্বলে উঠল, তাতে আজকে সেগুলি যেমন রয়েছে, তেমনি জনশূন্য ও ধ্বংস হয়েছে।”
وَالآنَ هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: لِمَاذَا تَرْتَكِبُونَ هَذَا الشَّرَّ الْعَظِيمَ فِي حَقِّ أَنْفُسِكُمْ، لِيَنْقَرِضَ مِنْكُمُ الرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ وَالطِّفْلُ وَالرَّضِيعُ مِنْ بَيْنِ شَعْبِ يَهُوذَا وَلا تَبْقَى مِنْكُمْ بَقِيَّةٌ؟ ٧ 7
তাই এখন সদাপ্রভু, বাহিনীগণের ঈশ্বর, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, কেন তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে এত মন্দ কাজ করছ? কেন তোমরা পুরুষ, স্ত্রীলোক, ছেলেমেয়ে ও শিশুরা যিহূদা থেকে বের করে এনে নিজেদের ও তাদের সবাইকে ধ্বংস করে দিচ্ছ? তোমাদের কেউ অবশিষ্ট থাকবে না।
لِمَاذَا تُغِيظُونَنِي بِاقْتِرَافِ الإِثْمِ إِذْ تُحْرِقُونَ بَخُوراً لِآلِهَةِ أَصْنَامِ مِصْرَ الَّتِي هَاجَرْتُمْ إِلَيْهَا لِتَتَغَرَّبُوا فِيهَا، فَتَنْقَرِضُونَ وَتُصْبِحُونَ لَعْنَةً وَعَاراً بَيْنَ كُلِّ أُمَمِ الأَرْضِ؟ ٨ 8
তোমরা এই যে মিশর দেশে বসবাস করতে এসেছ, এখানে অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালিয়ে নিজেদের হাতের মন্দ কাজের মাধ্যমে কেন তোমরা আমাকে অসন্তুষ্ট করে তুলছ? তোমরা ধ্বংস হবে, অভিশপ্ত হবে এবং পৃথিবীর সমস্ত জাতির লোকেদের মধ্যে নিন্দার পাত্র হবে।
هَلْ نَسِيتُمْ شُرُورَ آبَائِكُمْ وَشُرُورَ مُلُوكِ يَهُوذَا وَشُرُورَ نِسَائِهِمْ، وَشُرُورَكُمْ وَشُرُورَ نِسَائِكُمْ الَّتِي ارْتُكِبَتْ فِي أَرْضِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ؟ ٩ 9
তোমাদের পূর্বপুরুষদের পাপ কাজ, যিহূদার রাজাদের পাপ কাজ, তাদের স্ত্রীদের পাপ কাজ, তোমাদের নিজেদের পাপ কাজ ও তোমাদের স্ত্রীদের পাপ কাজ; যা যিহূদা দেশে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় করা হত, সেগুলি কি তোমরা ভুলে গেছ?
إِنَّهُمْ لَمْ يَتَذَلَّلُوا إِلَى هَذَا الْيَوْمِ وَلا اتَّقُوا وَلا سَلَكُوا فِي شَرِيعَتِي وَفَرَائِضِي الَّتِي سَنَنْتُهَا لَكُمْ وَلِآبَائِكُمْ. ١٠ 10
১০এখনও পর্যন্ত, তারা নম্র হয়নি। তারা আমার ব্যবস্থা বা চুক্তিকে সম্মান করে না, যেগুলি আমি তাদের ও তাদের পূর্বপুরুষদের সামনে স্থাপন করেছি। তারা সেই মত চলে না।
لِذَلِكَ هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: هَا أَنَا أَتَرَصَّدُكُمْ لأُجَازِيَكُمْ شَرّاً لَا خَيْراً، لأَسْتَأْصِلَكُمْ مِنْ يَهُوذَا. ١١ 11
১১সেইজন্য বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, “দেখ, আমি তোমাদের অমঙ্গল করতে ও সমস্ত যিহূদাকে উচ্ছেদ করতে আমার মুখ তুললাম।
وَآخُذُ بَقِيَّةَ يَهُوذَا الَّذِينَ وَطَّدُوا الْعَزْمَ عَلَى الرَّحِيلِ إِلَى مِصْرَ لِيَتَغَرَّبُوا فِيهَا، وَأُفْنِيهِمْ كُلَّهُمْ هُنَاكَ، فَيَهْلِكُونَ بِالسَّيْفِ وَالْجُوعِ مِنْ صَغِيرِهِمْ إِلَى كَبِيرِهِمْ، فَيَمُوتُونَ وَيُصْبِحُونَ سُبَّةً وَدَهْشَةً وَلَعْنَةً وَعَاراً. ١٢ 12
১২কারণ আমি যিহূদার অবশিষ্ট লোককে, যারা মিশরে দেশে বসবাস করতে যাবে বলে ঠিক করেছে, আমি তাদের ধরব। তারা সবাই বিনষ্ট হবে। মিশর দেশেই পতিত হবে। তারা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে। ছোট কিংবা মহান সবাই তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে। তারা মারা যাবে এবং মন্দ কথার, অভিশাপের, নিন্দার ও বিস্ময়ের পাত্র হবে।
وَأُعَاقِبُ الْمُقِيمِينَ فِي مِصْرَ كَمَا عَاقَبْتُ أَهْلَ أُورُشَلِيمَ بِالسَّيْفِ وَالْجُوعِ وَالْوَبَاءِ، ١٣ 13
১৩কারণ আমি মিশরে বসবাসকারীদের শাস্তি দেব, যেমন যিরূশালেমকে তরোয়াল, দূর্ভিক্ষ ও মহামারী দিয়ে শাস্তি দিয়েছিলাম।
فَلا يُفْلِتُ مِنْهُمْ نَاجٍ، وَلا يَسْلَمُ أَحَدٌ مِنْ بَقِيَّةِ يَهُوذَا الْمُرْتَحِلِينَ لِيَتَغَرَّبُوا هُنَاكَ فِي مِصْرَ، لِيَرْجِعَ إِلَى أَرْضِ يَهُوذَا الَّتِي يَتُوقُ لِلْعَوْدَةِ إِلَيْهَا وَالإِقَامَةِ فِيهَا، لأَنَّهُ لَنْ يَرْجِعَ إِلَيْهَا إِلا قِلَّةٌ مِنَ الطَّرِيدِينَ». ١٤ 14
১৪তাতে যিহূদার অবশিষ্ট যে সব লোকেরা মিশরে বাস করতে এসেছে, তাদের মধ্যে কেউ সফল হবে না বা রক্ষা পাবে না; সেই যিহূদা দেশেও ফিরে যেতে পারবে না, সেখানে বাস করার জন্য ফিরে যেতে ইচ্ছা করবে, কিছু লোক ছাড়া অন্য কেউই ফিরে যেতে পারবে না।”
غَيْرَ أَنَّ جَمِيعَ الرِّجَالِ الَّذِينَ يَعْرِفُونَ أَنَّ نِسَاءَهُمْ يُحْرِقْنَ بَخُوراً لآلِهَةِ الأَصْنَامِ، وَكَذَلِكَ النِّسَاءَ الْحَاضِرَاتِ، وَسَائِرَ الْمُقِيمِينَ فِي الْمِنْطَقَةِ الْجَنُوبِيَّةِ فِي مِصْرَ، وَهُمْ عَدَدٌ كَبِيرٌ قَالُوا لإِرْمِيَا: ١٥ 15
১৫তখন যে সব লোকেরা জানত যে, তাদের স্ত্রীরা অন্য দেবতাদের উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালায়, তারা এবং সেখানে উপস্থিত সমস্ত স্ত্রীলোকেরা, মহান মণ্ডলী, মিশরের পথ্রোষ এলাকায় বাসকারী সব লোক যিরমিয়কে বলল,
«لَنْ نُطِيعَكَ فِي مَا خَاطَبْتَنَا بِهِ مِنْ كَلامٍ بِاسْمِ الرَّبِّ، ١٦ 16
১৬“তুমি সদাপ্রভুর নাম করে যে সব কথা আমাদের বলেছ, তোমার সেই কথা আমরা শুনব না।
بَلْ نَعْمَلَ بِمُقْتَضَى مَا تَعَهَّدْنَا بِهِ، فَنُحْرِقُ بَخُوراً لِمَلِكَةِ السَّمَاءِ وَنُقَرِّبُ لَهَا السَّكَائِبَ كَمَا سَبَقَ أَنْ فَعَلْنَا نَحْنُ وَآبَاؤُنَا وَمُلُوكُنَا وَرُؤَسَاؤُنَا فِي مُدُنِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ، فَكَانَتْ لَنَا وَفْرَةٌ مِنَ الطَّعَامِ وَتَمَتَّعْنَا بِالْخَيْرِ وَلَمْ يُصِبْنَا شَرٌّ. ١٧ 17
১৭কারণ আমরা যা বলেছি, সেই সমস্ত কিছু আমরা নিশ্চয় করব। আকাশের রাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাব এবং পেয় নৈবেদ্য ঢালবো; আমরা, আমাদের পূর্বপুরুষেরা, আমাদের রাজারা ও আমাদের নেতারা যেভাবে যিহূদার শহরে শহরে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় তা করতেন। তখন আমাদের প্রচুর খাবার থাকবে ও আমরা তৃপ্ত হব, কোনো ক্ষয়ক্ষতির অভিজ্ঞতা ছাড়াই।
وَلَكِنْ مُنْذُ أَنْ أَهْمَلْنَا إِحْرَاقَ الْبَخُورِ لِمَلِكَةِ السَّمَاءِ وَتَقْرِيبَ السَّكَائِبِ لَهَا، افْتَقَرْنَا إِلَى كُلِّ شَيْءٍ، وَفَنِينَا بِالسَّيْفِ وَالْجُوعِ». ١٨ 18
১৮কিন্তু যখন থেকে আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালানো ও পেয় নৈবেদ্য ঢালা বন্ধ করলাম, তখন থেকে আমাদের অভাব হচ্ছে এবং আমরা তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে ধ্বংস হচ্ছি।”
وَقَالَتِ النِّسَاءُ: «عِنْدَمَا أَحْرَقْنَا الْبَخُورَ لِمَلِكَةِ السَّمَاءِ وَقَرَّبْنَا لَهَا السَّكَائِبَ وَعَمِلْنَا أَقْرَاصاً مُمَاثِلَةً لِصُورَتِهَا، وَقَرَّبْنَا السَّكَائِبَ لَهَا، هَلْ فَعَلْنَا ذَلِكَ بِغَيْرِ عِلْمِ أَزْوَاجِنَا؟». ١٩ 19
১৯স্ত্রীলোকেরা বলল, “আমরা যখন আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাতাম ও পেয় নৈবেদ্য ঢালতাম, তখন কি আমাদের স্বামীরা সেই কথা জানতেন না?”
فَقَالَ إِرْمِيَا لِلْقَوْمِ مِنْ رِجَالٍ وَنِسَاءٍ وَسَائِرِ الشَّعْبِ الَّذِينَ أَجَابُوهُ بِهَذَا الْكَلامِ: ٢٠ 20
২০তখন যিরমিয় সমস্ত লোককে পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা, যারা তাঁকে উত্তর দিয়েছিল তাদের কাছে ঘোষণা করলেন ও বললেন,
«أَلَيْسَ مَا أَحْرَقْتُمُوهُ مِنْ بَخُورٍ فِي مُدُنِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ أَنْتُمْ وَآبَاؤُكُمْ وَمُلُوكُكُمْ وَرُؤَسَاؤُكُمْ وَسُكَّانُ الأَرْضِ، هُوَ الَّذِي ذَكَرَهُ الرَّبُّ وَخَطَرَ عَلَى بَالِهِ؟ ٢١ 21
২১“যিহূদার শহরগুলিতে ও যিরূশালেমের রাস্তায় রাস্তায় তোমরা, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা, তোমাদের রাজারা ও তোমাদের নেতারা এবং দেশের অন্যান্য লোকেরা যে ধূপ জ্বালাতে তা কি সদাপ্রভুর স্মরণে নেই, তা কি তাঁর মনে পরে নি?
فَلَمْ يُطِقِ الرَّبُّ بَعْدُ تَحَمُّلَ مَا ارْتَكَبْتُمْ مِنْ شَرٍّ وَمَا اقْتَرَفْتُمْ مِنْ أَرْجَاسٍ، فَصَارَتْ أَرْضُكُمْ أَطْلالاً وَمَثَارَ دَهْشَةٍ وَلَعْنَةٍ وَمَهْجُورَةً كَالْعَهْدِ بِها فِي هَذَا الْيَوْمِ. ٢٢ 22
২২তোমাদের মন্দ ও জঘন্য কাজ সদাপ্রভু যখন আর সহ্য করতে পারলেন না, তখন তোমাদের দেশ আজ যেমন রয়েছে, তেমন জনশূন্য, ভয়ঙ্কর ও অভিশপ্ত হয়েছে, যেখানে কোন বাসিন্দা নেই।
إِنَّ الْبَلاءَ الَّذِي حَلَّ بِكُمْ كَمَا فِي هَذَا الْيَوْمِ هُوَ عِقَابٌ لَكُمْ عَلَى إحْرَاقِكُمُ الْبَخُورَ وَتَعَدِّيكُمْ عَلَى الرَّبِّ وَعِصْيَانِكُمْ لِصَوْتِهِ، وَعَدَمِ سُلُوكِكُمْ فِي شَرِيعَتِهِ وَفَرَائِضِهِ وَشَهَادَاتِهِ.» ٢٣ 23
২৩কারণ তোমরা ধূপ জ্বালিয়েছ এবং সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে পাপ করেছ; তোমরা তাঁর কথা, তাঁর ব্যবস্থা, নিয়ম, তাঁর চুক্তি শোনো নি; সেইজন্য তোমাদের বিরুদ্ধে এই বিপদ ঘটেছে, যেমন আজও রয়েছে।”
وَالآنَ اسْمَعُوا قَضَاءَ الرَّبِّ يَا جَمِيعَ أَهْلِ يَهُوذَا الْمُقِيمِينَ فِي مِصْرَ: ٢٤ 24
২৪তারপর যিরমিয় সমস্ত পুরুষ ও স্ত্রীলোকদের বললেন, “মিশর দেশে বাসকারী সমস্ত যিহূদা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
هَذَا مَا يُعْلِنُهُ الرَّبُّ الْقَدِيرُ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: «قَدْ نَطَقْتُمْ بِأَفْوَاهِكُمْ أَنْتُمْ وَنِسَاؤُكُمْ، وَنَفَّذْتُمْ بِأَيْدِيكُمْ مَا نَطَقْتُمْ بِهِ قَائِلِينَ:’إِنَّنَا نَفِي بِنُذُورِنَا الَّتِي نَذَرْنَاهَا بِأَنْ نُحْرِقَ الْبَخُورَ لِمَلِكَةِ السَّمَاءِ، وَنُقَرِّبَ لَهَا السَّكَائِبَ‘، فَهَيَّا إِذاً أَوْفُوا نُذُورَكُمْ وَأَنْجِزُوهَا.» ٢٥ 25
২৫বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন, তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীরা উভয়ে মুখে যা বলেছ, হাত দিয়ে তা করেছ, তোমরা বলেছ, ‘আমরা আকাশরাণীর উদ্দেশ্যে ধূপ জ্বালাবার ও পেয় নৈবেদ্য ঢালার যে শপথ করেছি, আমরা তা নিশ্চয়ই পালন করব’। এখন তোমাদের প্রতিজ্ঞা পূরণ কর, সেগুলি সম্পূর্ণ কর।
لِذَلِكَ اسْمَعُوا كَلِمَةَ الرَّبِّ يَا جَمِيعَ شَعْبِ يَهُوذَا الْمُقِيمِينَ فِي مِصْرَ: «هَا أَنَا قَدْ أَقْسَمْتُ بِاسْمِي الْعَظِيمِ يَقُولُ الرَّبُّ، أَنْ لَا يَتَرَدَّدَ اسْمِي مِنْ بَعْدُ عَلَى فَمِ أَحَدٍ مِنْ شَعْبِ يَهُوذَا فِي كَافَّةِ دِيَارِ مِصْرَ قَائِلاً:’حَيٌّ هُوَ السَّيِّدُ الرَّبُّ‘. ٢٦ 26
২৬তাই এখন, মিশর দেশে বাসকারী সমস্ত ইহুদীরা, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো। সদাপ্রভু বলেন, ‘দেখ, আমি আমার মহান নামে শপথ করে বলছি, জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি এই কথাটি বলে মিশর দেশে বাসকারী যিহূদার কোন লোক আমার নাম মুখে আনবে না।
هَا أَنَا أَتَرَصَّدُهُمْ لأُوْقِعَ بِهِمْ شَرّاً لَا خَيْراً، فَيَهْلِكُ كُلُّ رِجَالِ يَهُوذَا الَّذِينَ فِي أَرْضِ مِصْرَ بِالسَّيْفِ وَالْجُوعِ حَتَّى يَتِمَّ اسْتِئْصَالُهُمْ. ٢٧ 27
২৭দেখ, আমি অমঙ্গলের জন্য তাদের দিকে চেয়ে আছি, মঙ্গলের জন্য নয়। মিশর দেশে বাসকারী প্রত্যেক যিহূদী তরোয়াল ও দূর্ভিক্ষে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হবে।
وَتَرْجِعُ الْقِلَّةُ النَّاجِيَةُ مِنَ السَّيْفِ مِنْ مِصْرَ إِلَى أَرْضِ يَهُوذَا، فَتَعْلَمُ كُلُّ بَقِيَّةِ يَهُوذَا الَّذِينَ هَاجَرُوا إِلَى مِصْرَ لِيَتَغَرَّبُوا فِيهَا أَيَّ كَلامٍ يَتَحَقَّقُ: كَلامِي أَمْ كَلامُهُمْ؟» ٢٨ 28
২৮তরোয়াল থেকে রেহাই পাওয়া খুবই কম সংখ্যক লোক মিশর থেকে যিহূদা দেশে ফিরে যাবে। তারপর যিহূদার অবশিষ্ট লোকেরা, যারা মিশর দেশে বসবাস করতে এসেছে তারা জানতে পারবে কার কথা সত্যি হবে আমার না তাদের।
وَيَقُولُ الرَّبُّ: «وَهَذِهِ لَكُمْ عَلامَةٌ أَنَّنِي أُعَاقِبُكُمْ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ بِالذَّاتِ، لِتُدْرِكُوا أَنَّ قَضَائِي عَلَيْكُمْ بِالشَّرِّ حَتْماً يَتِمُّ. ٢٩ 29
২৯এটি তোমাদের জন্য একটি চিহ্ন হবে’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা ‘আমি এই জায়গায় তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিফল দেব, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আমার বাক্য ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে তোমাদের আক্রমণ করবে’।
هَا أَنَا أُسَلِّمُ فِرْعَوْنَ حَفْرَعَ مَلِكَ مِصْرَ إِلَى يَدِ أَعْدَائِهِ وَطَالِبِي نَفْسِهِ كَمَا أَسْلَمْتُ صِدْقِيَّا مَلِكَ يَهُوذَا إِلَى يَدِ نَبُوخَذْنَصَّرَ مَلِكِ بَابِلَ عَدُوِّهِ وَطَالِبِ نَفْسِهِ». ٣٠ 30
৩০সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি যেমন যিহূদার রাজা সিদিকিয়কে তার প্রাণের খোঁজ করে যে শত্রু, সেই বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরের হাতে সমর্পণ করেছি, তেমনি মিশরের রাজা ফরৌণ-হফ্রাকেও তার শত্রুদের হাতে তুলে দেব, যারা তার প্রাণের খোঁজ করে’।”

< إرْمِيا 44 >