عِبرانِيّين 8

١ 1 وَخُلاصَةُ الْقَوْلِ، أَنَّ الْمَسِيحَ هُوَ رَئِيسُ كَهَنَتِنَا الَّذِي وَصَفْنَا كَهَنُوتَهُ هُنَا. إِنَّهُ الآنَ جَالِسٌ فِي السَّمَاءِ عَنْ يَمِينِ عَرْشِ اللهِ الْعَظِيمِ.

১আমাদের এই সব কথার বক্তব্য এই, আমাদের এমন এক মহাযাজক আছেন, যিনি স্বর্গে, মহিমা সিংহাসনের ডানদিকে বসে আছেন।

٢ 2 وَهُوَ يَقُومُ بِمُهِمَّتِهِ هُنَاكَ، فِي قُدْسِ الأَقْدَاسِ: فِي خَيْمَةِ الْعِبَادَةِ الْحَقِيقِيَّةِ الَّتِي نَصَبَهَا الرَّبُّ، لَا الإِنْسَانُ.

২তিনি পবিত্র স্থানের এবং যে মিলাপ তাঁবু মানুষের মাধ্যমে না, কিন্তু প্রভুর মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে, সেই প্রকৃত তাঁবুর দাস।

٣ 3 فَمُهِمَّةُ كُلِّ رَئِيسِ كَهَنَةٍ هِيَ أَنْ يُقَرِّبَ لِلهِ التَّقْدِمَاتِ وَالذَّبَائِحَ. وَعَلَيْهِ، فَمِنَ الضَّرُورِيِّ أَنْ يَكُونَ لِرَئِيسِ كَهَنَتِنَا مَا يُقَدِّمُهُ.

৩ফলে প্রত্যেক মহাযাজক উপহার ও বলি উৎসর্গ করতে নিযুক্ত হন, অতএব এরও অবশ্য কিছু উৎসর্গ আছে।

٤ 4 فَلَوْ أَنَّ الْمَسِيحَ كَانَ عَلَى هَذِهِ الأَرْضِ، لَمَا كَانَ كَاهِناً. إِذْ هُنَاكَ مَنْ يُقَدِّمُونَ الْقَرَابِينَ حَسَبَ الشَّرِيعَةِ، وَهُمْ مِنْ نَسْلِ لاوِي حَصْرِيًّا.

৪এখন খ্রীষ্ট যদি পৃথিবীতে থাকতেন, তবে একবারে যাজকই হতেন না; কারণ যারা আইন অনুসারে উপহার উৎসর্গ করে, এমন লোক আছে।

٥ 5 وَهَؤُلاءِ يَقُومُونَ بِخِدْمَةِ مَا يُشَكِّلُ رَمْزاً وَظِلًّا لِلأُمُورِ الَّتِي فِي السَّمَاءِ. وَهَذَا وَاضِحٌ مِنْ قَوْلِ اللهِ لِمُوسَى قَبْلَ أَنْ يَصْنَعَ خَيْمَةَ الْعِبَادَةِ. إِذْ أَوْحَى إِلَيْهِ قَائِلاً: «انْتَبِهْ! عَلَيْكَ أَنْ تَصْنَعَ الْخَيْمَةَ وَمَا فِيهَا وَفْقاً لِلْمِثَالِ الَّذِي أَظْهَرْتُهُ لَكَ عَلَى الْجَبَلِ!»

৫তারা স্বর্গীয় বিষয়ের নকল ও ছায়া নিয়ে আরাধনা করে, যেমন মোশি যখন তাঁবুর নির্মাণ করতে সতর্ক ছিলেন, তখন এই আদেশ পেয়েছিলেন, [ঈশ্বর] বলেন, “দেখ, পর্বতে তোমাকে যে আদর্শ দেখান গেল, সেইভাবে সবই করো।”

٦ 6 فَرَئِيسُ كَهَنَتِنَا، إِذَنْ، قَدْ حَصَلَ عَلَى خِدْمَةٍ أَفْضَلَ مِنْ خِدْمَةِ الْكَهَنُوتِ الأَرْضِيِّ، لِكَوْنِهِ الْوَسِيطَ الَّذِي أَعْلَنَ لَنَا قِيَامَ عَهْدٍ جَدِيدٍ أَفْضَلَ مِنَ الْعَهْدِ السَّابِقِ، وَلِكَوْنِ هَذَا الْعَهْدِ الْجَدِيدِ يَنْطَوِي عَلَى وُعُودٍ أَفْضَلَ.

৬কিন্তু এখন খ্রীষ্ট সেই পরিমাণে উৎকৃষ্টতর সেবকত্ব পেয়েছেন, যে পরিমাণে তিনি এমন এক নতুন নিয়মের মধ্যস্থ হয়েছেন, যা শ্রেষ্ঠ প্রতিজ্ঞার উপরে স্থাপিত হয়েছে।

٧ 7 فَلَوْ كَانَ الْعَهْدُ السَّابِقُ بِلا عَيْبٍ، لَمَا ظَهَرَتْ الْحَاجَةُ إِلَى عَهْدٍ آخَرَ يَحُلُّ مَحَلَّهُ.

৭কারণ ঐ প্রথম নিয়ম যদি নির্দোষ হত, তবে দ্বিতীয় এক নিয়মের জন্য জায়গার চেষ্টা করা যেত না।

٨ 8 وَالْوَاقِعُ أَنَّ اللهَ يَلُومُ شَعْبَهُ قَائِلاً: «لابُدَّ أَنْ تَأْتِيَ أَيَّامٌ، يَقُولُ الرَّبُّ، أُبْرِمُ فِيهَا عَهْداً جَدِيداً مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَبَنِي يَهُوذَا.

৮যখন ঈশ্বর দোষ খুঁজে পেয়ে লোকদেরকে বলেন, “প্রভু বলেন, দেখ, এমন দিন আসছে, যখন আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে ও যিহূদাদের সাথে এক নতুন নিয়ম তৈরী করব,

٩ 9 هَذَا الْعَهْدُ الْجَدِيدُ لَيْسَ كَالْعَهْدِ الَّذِي أَبْرَمْتُهُ مَعَ آبَائِهِمْ، حِينَ أَمْسَكْتُ بِأَيْدِيهِمْ وَأَخْرَجْتُهُمْ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ. فَبِمَا أَنَّهُمْ خَرَقُوا ذَلِكَ الْعَهْدَ، أَهْمَلْتُهُمْ، يَقُولُ الرَّبُّ!

৯সেই নিয়মানুসারে না, যা আমি সেই দিন তাদের পিতৃপুরুষদের সাথে করেছিলাম, যে দিন মিশর দেশ থেকে তাদেরকে হাত ধরে বের করে এনেছিলাম; কারণ তারা আমার নিয়মে স্থির থাকল না, আর আমিও তাদের প্রতি অবহেলা করলাম, একথা প্রভু বলেন।

١٠ 10 فَهَذَا هُوَ الْعَهْدُ الَّذِي أُبْرِمُهُ مَعَ بَنِي إِسْرَائِيلَ، بَعْدَ تِلْكَ الأَيَّامِ، يَقُولُ الرَّبُّ: أَضَعُ شَرَائِعِي دَاخِلَ ضَمَائِرِهِمْ، وَأَكْتُبُهَا عَلَى قُلُوبِهِمْ، وَأَكُونُ لَهُمْ إِلَهاً، وَهُمْ يَكُونُونَ لِي شَعْباً.

১০কিন্তু সেই দিনের র পর আমি ইস্রায়েলীয়দের সাথে এই নতুন নিয়ম তৈরী করব, একথা প্রভু বলেন; আমি তাদের মনে আমার নিয়ম দেব, আর আমি তাদের হৃদয়ে তা লিখিব এবং আমি তাদের ঈশ্বর হব, ও তারা আমার প্রজা হবে।

١١ 11 بَعْدَ ذَلِكَ، لَا يُعَلِّمُ أَحَدٌ مِنْهُمُ ابْنَ وَطَنِهِ وَلا أَخَاهُ قَائِلاً: تَعَرَّفْ بِالرَّبِّ! ذَلِكَ لأَنَّ الْجَمِيعَ سَوْفَ يَعْرِفُونَنِي، مِنَ الصَّغِيرِ فِيهِمْ إِلَى الْعَظِيمِ.

১১আর তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের প্রতিবেশীকে এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাইকে শিক্ষা দেবে না, বলবে না, ‘তুমি প্রভুকে জানো’; কারণ তারা ছোটো ও বড় সবাই আমাকে জানবে।

١٢ 12 لأَنِّي سَأَصْفَحُ عَنْ آثَامِهِمْ، وَلا أَعُودُ أَبَداً إِلَى تَذَكُّرِ خَطَايَاهُمْ وَمُخَالَفَاتِهِمْ!»

১২কারণ আমি তাদের সব অধার্মিকতার জন্য দয়া দেখাবো এবং আমি তাদের পাপ সব আর কখনও মনে করব না।”

١٣ 13 وَاللهُ بِكَلامِهِ عَنْ عَهْدٍ جَدِيدٍ، جَعَلَ الْعَهْدَ السَّابِقَ عَتِيقاً. وَطَبِيعِيٌّ أَنَّ كُلَّ مَا عَتَقَ وَشَاخَ، يَكُونُ فِي طَرِيقِهِ إِلَى الزَّوَالِ!

১৩নতুন নিয়ম বলাতে তিনি প্রথম চুক্তিকে পুরাতন করেছেন; কিন্তু যা পুরাতন ও জীর্ণ হচ্ছে, তা বিলীন হয়ে যাবে।