عِبرانِيّين 6
| لِذَلِكَ، فَلْنَتْرُكْ تِلْكَ الأُمُورَ الأَوَّلِيَّةَ عَنِ الْمَسِيحِ، وَنَتَقَدَّمْ إِلَى النُّضْجِ الْكَامِلِ. وَلا نَعُودُ إلَى تِلْكَ الأُسُسِ الَّتِي تَعَلَّمْنَاهَا سَابِقاً، وَهِيَ: التَّوْبَةُ مِنَ الأَعْمَالِ الْمُمِيتَةِ، وَالإِيمَانُ بِاللهِ، | ١ 1 |
১অতএব এস, আমরা খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রথম শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে সিদ্ধির চেষ্টায় অগ্রসর হই; পুনরায় এই ভিত্তিমূল স্থাপন না করি, মন্দ বিষয় থেকে মন ফেরানো, ও ঈশ্বরের উপরে বিশ্বাস রাখা,
| وَالنُّظُمُ الْمُخْتَصَّةُ بِطُقُوسِ الْمَعْمُودِيَّةِ، وَوَضْعُ الأَيْدِي، وَقِيَامَةُ الأَمْوَاتِ، وَالدَّيْنُونَةُ الأَبَدِيَّةُ. (aiōnios g166) | ٢ 2 |
২নানা বাপ্তিষ্ম ও হস্তার্পণের শিক্ষা, মৃতদের পুনরুত্থান ও অনন্তকালীন বিচারের শিক্ষা। (aiōnios g166)
| وَبِإِذْنِ اللهِ، سَنَفْعَلُ ذَلِكَ! | ٣ 3 |
৩ঈশ্বরের অনুমতি হলেই তা করব।
| ذَلِكَ لأَنَّ الَّذِينَ قَدْ تَعَرَّضُوا مَرَّةً لِنُورِ الإِيمَانِ بِالْمَسِيحِ، فَذَاقُوا الْعَطِيَّةَ السَّمَاوِيَّةَ، وَصَارُوا مِنْ شُرَكَاءِ الرُّوحِ الْقُدُسِ، | ٤ 4 |
৪কারণ এটা অসম্ভব যারা একবার সত্যের আলো পেয়েছে, ও স্বর্গীয় উপহার আস্বাদন করেছে, ও পবিত্র আত্মার সহভাগী হয়েছে,
| وَذَاقُوا كَلِمَةَ اللهِ الطَّيِّبَةَ، وَشَاهَدُوا مُعْجِزَاتِ «الْعَالَمِ الآتِي»، (aiōn g165) | ٥ 5 |
৫এবং ঈশ্বরের বাক্যের ও নতুন যুগের নানা পরাক্রম আস্বাদন করেছে, (aiōn g165)
| ثُمَّ ارْتَدُّوا، أُولَئِكَ يَسْتَحِيلُ عَلَيْهِمْ أَنْ يَتَجَدَّدُوا ثَانِيَةً فَيَعُودُوا إِلَى التَّوْبَةِ. فَهُمْ يَجْنُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ إِذْ يَصْلِبُونَ ابْنَ اللهِ مَرَّةً ثَانِيَةً وَيَجْعَلُونَهُ عُرْضَةً لِلْعَارِ. | ٦ 6 |
৬পরে খ্রীষ্ট থেকে দূরে সরে গিয়েছে, পুনরায় তাদেরকে মন পরিবর্তন করতে পারা অসম্ভব; কারণ তারা নিজেদের জন্য ঈশ্বরের পুত্রকে পুনরায় ক্রুশে দেয় ও প্রকাশ্যে নিন্দা করে।
| وَلا عَجَبَ، فَالتُّرْبَةُ الَّتِي تَشْرَبُ الأَمْطَارَ النَّازِلَةَ عَلَيْهَا مِرَاراً كَثِيرَةً، ثُمَّ تُنْتِجُ نَبَاتاً يَنْفَعُ الَّذِينَ حَرَثُوهَا، تَنَالُ الْبَرَكَةَ مِنَ اللهِ! | ٧ 7 |
৭কারণ যে ভূমি নিজের উপরে বার বার পতিত বৃষ্টি গ্রহণ করে, আর যারা সেই জমি চাষ করে, তাদের জন্য ভালো ফসল উৎপন্ন করে, সেই জমি ঈশ্বর থেকে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়;
| وَلَكِنَّهَا، إِنْ أَخْرَجَتِ الشَّوْكَ وَالعُشْبَ البَرِّيَّ، تَكُونُ مَرْفُوضَةً وَتَسْتَحِقُّ اللَّعْنَةَ، وَمَا نِهَايَتُهَا إِلّا الْحَرِيقُ. | ٨ 8 |
৮কিন্তু যদি এটা কাঁটাবন ও শ্যাকুল উৎপন্ন করে, তবে তা অকর্ম্মণ্য ও অভিশপ্ত হবার ভয় আছে এবং তা আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।
| أَيُّهَا الأَحِبَّاءُ، مَعَ أَنِّي قَصَدْتُ تَحْذِيرَكُمْ بِمَا قُلْتُهُ هُنَا، فَأَنَا مُقْتَنِعٌ بِأَنَّ خَلاصَكُمْ أَمْرٌ لَا شَكَّ فِيهِ. إِذْ قَدْ عَمِلْتُمْ أَعْمَالاً فُضْلَى، تُرَافِقُ هَذَا الخَلاصَ. | ٩ 9 |
৯প্রিয় বন্ধুরা, যদিও আমরা এরূপ বলছি, তবুও তোমাদের বিষয়ে এমন দৃঢ় বিশ্বাস করছি যে, তোমাদের অবস্থা এর থেকে ভাল এবং পরিত্রান সহযুক্ত।
| وَلَيْسَ اللهُ بِظَالِمٍ حَتَّى يَنْسَى عَمَلَكُمُ الْجَادَّ فِي إِظْهَارِ مَحَبَّتِكُمْ لَهُ عَنْ طَرِيقِ خِدْمَتِكُمْ لِلْقِدِّيسِينَ إِكْرَاماً لاسْمِهِ، الأَمْرُ الَّذِي قُمْتُمْ بِهِ قَبْلاً، وَتَقُومُونَ بِهِ الآنَ! | ١٠ 10 |
১০কারণ ঈশ্বর অন্যায়কারী নন; তোমাদের কাজ এবং তোমরা পবিত্রদের যে পরিষেবা করেছ ও করছ, তাঁর মাধ্যমে তাঁর নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের ভালবাসা, এই সব তিনি ভুলে যাবেন না।
| وَإِنَّمَا نَتَمَنَّى أَنْ يُظْهِرَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْكُمُ اجْتِهَاداً مُمَاثِلاً فِي الْمُحَافَظَةِ حَتَّى النِّهَايَةِ عَلَى الثِّقَةِ الْكَامِلَةِ بِالرَّجَاءِ. | ١١ 11 |
১১এবং আমাদের ইচ্ছা এই, যেন তোমাদের প্রত্যেক জন একই প্রকার যত্ন দেখায়, যাতে শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার পূর্ণতা থাকবে;
| وَذَلِكَ حَتَّى لَا تَتَكَاسَلُوا، بَلْ تَقْتَدُوا بِالَّذِينَ يَرِثُونَ مَا وَعَدَ اللهُ بِهِ، عَنْ طَرِيقِ الإِيمَانِ وَالصَّبْرِ. | ١٢ 12 |
১২আমরা চাই না যে তোমরা অলস হও, কিন্তু যারা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতার কারণে নিয়ম সমূহের অধিকারী, তাদের মতো হও।
| لِنَأْخُذْ وَعْدَ اللهِ لإِبْرَاهِيمَ مَثَلاً. فَلَمَّا قَطَعَ لَهُ ذَلِكَ الْوَعْدَ، أَقْسَمَ بِنَفْسِهِ، إِذْ لَيْسَ هُنَالِكَ مَنْ هُوَ أَعْظَمُ مِنْهُ حَتَّى يُقْسِمَ بِهِ. | ١٣ 13 |
১৩কারণ ঈশ্বর যখন অব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করলেন, তখন মহৎ কোনো ব্যক্তির নামে শপথ করতে না পারাতে নিজেরই নামে শপথ করলেন,
| وَقَدْ قَالَ لَهُ: «لأُبَارِكَنَّكَ وَأُعْطِيَنَّكَ نَسْلاً كَثِيراً!» | ١٤ 14 |
১৪তিনি বললেন, “আমি অবশ্যই তোমাকে আশীর্বাদ করব এবং তোমার বংশ অগণিত করব।”
| وَهَكَذَا، انْتَظَرَ إِبْرَاهِيمُ بِصَبْرٍ فَنَالَ مَا وُعِدَ بِهِ. | ١٥ 15 |
১৫আর এই ভাবে, আব্রাহাম ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলেন, তিনি প্রতিজ্ঞা প্রাপ্ত হলেন।
| فَالْوَاقِعُ أَنَّ النَّاسَ يُقْسِمُونَ بِالأَعْظَمِ، وَالْقَسَمُ عِنْدَهُمْ، يَضَعُ حَدّاً لِكُلِّ مُشَاجَرَةٍ لأَنَّهُ يَحْسُمُ الأُمُورَ. | ١٦ 16 |
১৬মানুষেরা তো মহৎ ব্যক্তির নাম নিয়ে শপথ করে; এবং এই শপথের মাধ্যমে তাদের সমস্ত তর্কবিতর্কের অবসান হয়।
| وَلِذَلِكَ، لَمَّا أَرَادَ اللهُ أَنْ يُؤَكِّدَ بِصُورَةٍ قَاطِعَةٍ لِوَارِثِي وَعْدِهِ أَنَّ قَرَارَهُ لَا يَتَغَيَّرُ أَبَداً، ثَبَّتَهُ بِالْقَسَمِ. | ١٧ 17 |
১৭এই ব্যাপারে ঈশ্বর প্রতিজ্ঞার উত্তরাধিকারীদেরকে নিজের মন্ত্রণার অপরিবর্তনীয়তা আরও স্পষ্টভাবে দেখাবার জন্য শপথের মাধ্যমে নিশ্চয়তা করলেন;
| فَاسْتِنَاداً إِلَى وَعْدِ اللهِ وَقَسَمِهِ، وَهُمَا أَمْرَانِ ثَابِتَانِ لَا يَتَغَيَّرَانِ وَيَسْتَحِيلُ أَنْ يَكْذِبَ اللهُ فِيهِمَا، نَحْصُلُ عَلَى تَشْجِيعٍ قَوِيٍّ، بَعْدَمَا الْتَجَأْنَا إِلَى التَّمَسُّكِ بِالرَّجَاءِ الْمَوْضُوعِ أَمَامَنَا. | ١٨ 18 |
১৮এই ব্যাপারে মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য, এমন অপরিবর্তনীয় দুই ব্যাপারের মাধ্যমে আমরা যারা প্রত্যাশা ধরবার জন্য তাঁর শরণার্থে ছুটে গিয়েছি যেন দৃঢ় আশ্বাস প্রাপ্ত হই।
| هَذَا الرَّجَاءُ هُوَ لَنَا بِمَثَابَةِ مِرْسَاةٍ أَمِينَةٍ ثَابِتَةٍ تَشُدُّ نُفُوسَنَا إِلَى مَا وَرَاءَ الْحِجَابِ السَّمَاوِيِّ. | ١٩ 19 |
১৯আমাদের সেই প্রত্যাশা আছে, তা প্রাণের নোঙরের মতো, অটল ও দৃঢ়। তা পর্দার আড়ালে স্বর্গীয় মন্দিরের পবিত্র স্থানে প্রবেশ করায়।
| فَلأَجْلِنَا دَخَلَ يَسُوعُ إِلَى هُنَاكَ سَابِقاً لَنَا. وَهُوَ هُنَاكَ يَقُومُ بِمُهِمَّتِهِ نِيَابَةً عَنَّا بَعْدَمَا صَارَ رَئِيسَ كَهَنَةٍ إِلَى الأَبَدِ عَلَى رُتْبَةِ مَلْكِيصَادَقَ! (aiōn g165) | ٢٠ 20 |
২০আর সেই জায়গায় আমাদের জন্য অগ্রগামী হয়ে যীশু প্রবেশ করেছেন, যিনি মল্কীষেদকের রীতি অনুযায়ী অনন্তকালীন মহাযাজক হয়েছেন। (aiōn g165)
