< عِبرانِيّين 1 >
إِنَّ اللهَ، فِي الأَزْمِنَةِ الْمَاضِيَةِ، كَلَّمَ آبَاءَنَا بِلِسَانِ الأَنْبِيَاءِ (الَّذِينَ نَقَلُوا إِعْلانَاتٍ) بِطُرُقٍ عَدِيدَةٍ وَمُتَنَوِّعَةٍ. | ١ 1 |
১সর্বশক্তিমান ঈশ্বর অতীতে নানাভাবে ও অনেকবার ভাববাদীদের মাধ্যমে আমাদের পিতৃপুরুষদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন,
أَمَّا الآنَ، فِي هَذَا الزَّمَنِ الأَخِيرِ، فَقَدْ كَلَّمَنَا بِالابْنِ، الَّذِي جَعَلَهُ وَارِثاً لِكُلِّ شَيْءٍ، وَبِهِ قَدْ خَلَقَ الْكَوْنَ كُلَّهُ! (aiōn ) | ٢ 2 |
২আর এই দিনের ঈশ্বর পুত্রের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি তাঁর পুত্রকেই সব কিছুর উত্তরাধিকারী করেছেন এবং তাঁর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। (aiōn )
إِنَّهُ ضِيَاءُ مَجْدِ اللهِ وَصُورَةُ جَوْهَرِهِ. حَافِظُ كُلَّ مَا فِي الْكَوْنِ بِكَلِمَتِهِ الْقَدِيرَةِ. وَهُوَ الَّذِي بَعْدَمَا طَهَّرَنَا بِنَفْسِهِ مِنْ خَطَايَانَا، جَلَسَ فِي الأَعَالِي عَنْ يَمِينِ اللهِ الْعَظِيمِ. | ٣ 3 |
৩তাঁর পুত্রই হল তাঁর মহিমার প্রকাশ ও সারমর্মের চরিত্র এবং নিজের ক্ষমতার বাক্যের মাধ্যমে সব কিছু বজায় রেখেছেন। পরে তিনি সব পাপ পরিষ্কার করেছেন, তিনি স্বর্গে ঈশ্বরের মহিমার ডানদিকে বসলেন।
وَهَكَذَا، أَخَذَ مَكَاناً أَعْظَمَ مِنَ الْمَلائِكَةِ، بِمَا أَنَّ الاسْمَ الَّذِي وَرِثَهُ مُتَفَوِّقٌ جِدّاً عَلَى أَسْمَاءِ الْمَلائِكَةِ جَمِيعاً! | ٤ 4 |
৪তিনি স্বর্গ দূতদের থেকে শ্রেষ্ঠ, তেমনি তাঁদের নামের থেকে তিনি আরো মহান।
فَلأَيِّ وَاحِدٍ مِنَ الْمَلائِكَةِ قَالَ اللهُ مَرَّةً: «أَنْتَ ابْنِي، أَنَا الْيَوْمَ وَلَدْتُكَ!» أَوْ قَالَ أَيْضاً: «أَنَا أَكُونُ لَهُ أَباً، وَهُوَ يَكُونُ لِيَ ابْناً؟» | ٥ 5 |
৫কারণ ঈশ্বর ঐ দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ দিনের বলেছেন, “তুমি আমার পুত্র, আমি আজ তোমার পিতা হয়েছি,” আবার, “আমি তাঁর পিতা হব এবং তিনি আমার পুত্র হবেন”?
وَعِنْدَمَا يُعِيدُ اللهُ ابْنَهُ الْبِكْرَ إِلَى الْعَالَمِ، يَقُولُ: «وَلْتَسْجُدْ لَهُ مَلائِكَةُ اللهِ جَمِيعاً!» | ٦ 6 |
৬পুনরায়, যখন ঈশ্বর প্রথমজাতকে পৃথিবীতে আনেন, তখন বলেন, “ঈশ্বরের সব স্বর্গদূত তাঁর উপাসনা করুক।”
وَعَنِ الْمَلائِكَةِ يَقُولُ: «قَدْ جَعَلَ مَلائِكَتَهُ رِيَاحاً، وَخُدَّامَهُ لَهِيبَ نَارٍ!» | ٧ 7 |
৭আর স্বর্গীয় দূতের বিষয়ে ঈশ্বর বলেন, “ঈশ্বর নিজের দূতদের আত্মার তৈরী করে, নিজের দাসদের আগুনের শিখার মত করে।”
وَلَكِنَّهُ يُخَاطِبُ الابْنَ قَائِلاً: «إِنَّ عَرْشَكَ، يَا اللهُ، ثَابِتٌ إِلَى أَبَدِ الآبِدِينَ، وَصَوْلَجَانَ حُكْمِكَ عَادِلٌ وَمُسْتَقِيمٌ. (aiōn ) | ٨ 8 |
৮কিন্তু পুত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, “হে ঈশ্বর, তোমার সিংহাসন চিরকাল স্থায়ী; আর সত্যের শাসনদন্ডই তাঁর রাজ্যের শাসনদন্ড। (aiōn )
إِنَّكَ أَحْبَبْتَ الْبِرَّ وَأَبْغَضْتَ الإِثْمَ. لِذَلِكَ مَسَحَكَ اللهُ إِلَهُكَ مَلِكاً، إِذْ صَبَّ عَلَيْكَ زَيْتَ الْبَهْجَةِ أَكْثَرَ مِنْ رُفَقَائِكَ!» | ٩ 9 |
৯তুমি ন্যায়কে ভালবেসেছ ও অধর্মকে ঘৃণা করেছ; এই কারণ ঈশ্বর, তোমার ঈশ্বর, তোমাকে অভিষিক্ত করেছেন, তোমার অংশীদারদের থেকে বেশি পরিমাণে আনন্দিত করেছে।”
كَمَا يَقُولُ: «أَنْتَ، يَا رَبُّ، وَضَعْتَ أَسَاسَ الأَرْضِ فِي الْبَدَايَةِ. وَالسَّمَاوَاتُ هِيَ صُنْعُ يَدَيْكَ. | ١٠ 10 |
১০আর, “হে প্রভু, তুমিই আদিতে পৃথিবীর ভিত্তিমূল স্থাপন করেছ, স্বর্গও তোমার হাতের সৃষ্টি।
هِيَ تَفْنَى، وَأَنْتَ تَبْقَى. فَسَوْفَ تَبْلَى كُلُّهَا كَمَا تَبْلَى الثِّيَابُ، | ١١ 11 |
১১তারা বিনষ্ট হবে, কিন্তু তুমিই নিত্যস্থায়ী; তারা সব পোশাকের মত পুরানো হয়ে যাবে,
فَتَطْوِيهَا كَالرِّدَاءِ، ثُمَّ تُبَدِّلُهَا. وَلَكِنَّكَ أَنْتَ الدَّائِمُ الْبَاقِي، وَسِنُوكَ لَنْ تَنْتَهِيَ!» | ١٢ 12 |
১২তুমি পোশাকের মত সে সব জড়াবে, পোশাকের মত জড়াবে, আর সে সবের পরিবর্তন হবে; কিন্তু তুমি যে, সেই আছ এবং তোমার বছর সব কখনও শেষ হবে না।”
فَهَلْ قَالَ اللهُ مَرَّةً لأَيِّ وَاحِدٍ مِنَ الْمَلائِكَةِ مَا قَالَهُ لِلابْنِ: «اجْلِسْ عَنْ يَمِينِي حَتَّى أَجْعَلَ أَعْدَاءَكَ مَوْطِئاً لِقَدَمَيْكَ؟» | ١٣ 13 |
১৩কিন্তু ঈশ্বর দূতদের মধ্যে কাকে কোন্ দিনের বলেছেন, “তুমি আমার ডানদিকে বস, যতক্ষণ না আমি তোমার শত্রুদেরকে তোমার পদানত না করি”?
لا! فَلَيْسَ الْمَلائِكَةُ إِلّا أَرْوَاحاً خَادِمَةً تُرْسَلُ لِخِدْمَةِ الَّذِينَ سَيَرِثُونَ الْخَلاصَ. | ١٤ 14 |
১৪সব দূতের আত্মাকে কি আমাকে আরাধনা করতে পাঠানো হয়নি? যারা পরিত্রানের অধিকারী হবে, ওরা কি তাদের পরিচর্য্যার জন্য প্রেরিত না?