< أعمال 9 >

أَمَّا شَاوُلُ فَكَانَ يَفُورُ بِالتَّهْدِيدِ وَالْقَتْلِ عَلَى تَلامِيذِ الرَّبِّ. فَذَهَبَ إِلَى رَئِيسِ الْكَهَنَةِ، ١ 1
শৌল তখনও প্রভুর শিষ্যদের ভয় দেখাতেন ও হত্যা করছিলেন, তিনি প্রধান মহাযাজকদের কাছে গিয়েছিলেন এবং,
وَطَلَبَ مِنْهُ رَسَائِلَ إِلَى مَجَامِعِ الْيَهُودِ فِي دِمَشْقَ لِتَسْهِيلِ الْقَبْضِ عَلَى أَتْبَاعِ هَذَا الطَّرِيقِ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ، حَيْثُمَا يَجِدُهُمْ، لِيَسُوقَهُمْ مُقَيَّدِينَ إِلَى أُورُشَلِيمَ. ٢ 2
দম্মেশকস্থ সমাজ সকলের জন্য চিঠি চাইলেন, যেন তিনি সেই পথে যাওয়া পুরুষ ও স্ত্রী যেসব লোককে পাবেন, তাদের বেঁধে যিরুশালেমে নিয়ে আসতে পারেন।
وَفِيمَا هُوَ مُنْطَلِقٌ إِلَى دِمَشْقَ، وَقَدِ اقْتَرَبَ مِنْهَا، لَمَعَ حَوْلَهُ فَجْأَةً نُورٌ مِنَ السَّمَاءِ، ٣ 3
যখন যাচ্ছিলেন, আর দম্মেশকের নিকটে যখন পৌঁছলেন, হঠাৎ আকাশ হতে আলো তার চারিদিকে চমকিয়ে উঠল।
فَوَقَعَ إِلَى الأَرْضِ وَسَمِعَ صَوْتاً يَقُولُ لَهُ: «شَاوُلُ! شَاوُلُ! لِمَاذَا تَضْطَهِدُنِي؟» ٤ 4
এবং তিনি মাটিতে পড়ে গেলেন আর এমন বাণী শুনলেন শৌল, শৌল, কেন আমাকে কষ্ট দিচ্ছ?
فَسَأَلَ: «مَنْ أَنْتَ يَا سَيِّدُ؟» فَجَاءَهُ الْجَوَابُ: «أَنَا يَسُوعُ الَّذِي أَنْتَ تَضْطَهِدُهُ، صَعْبٌ عَلَيْكَ أَنْ تَرْفُسَ الْمَنَاخِسَ». ٥ 5
তিনি বললেন, “প্রভু, তুমি কে?” প্রভু বললেন, আমি যীশু, যাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ;
فَقَالَ وَهُوَ مُرْتَعِدٌ وَمُتَحَيِّرٌ: «يَا رَبُّ مَاذَا تُرِيدُ أَنْ أَفْعَلَ؟» فَقَالَ لَهُ الرَّبُّ: «قُمْ، وَادْخُلِ الْمَدِينَةَ فَيُقَالَ لَكَ مَا يَجِبُ أَنْ تَفْعَلَهُ». ٦ 6
কিন্তু ওঠ, শহরে প্রবেশ কর, তোমাকে কি করতে হবে, তা বলা হবে।
وَأَمَّا مُرَافِقُو شَاوُلَ فَوَقَفُوا مَذْهُولِينَ لَا يَنْطِقُونَ، فَقَدْ سَمِعُوا الصَّوْتَ وَلَكِنَّهُمْ لَمْ يَرَوْا أَحَداً. ٧ 7
আর তাঁর সাথীরা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইল এবং ঐ বাণী তারা শুনল কিন্তু তারা কোনোও কিছুই দেখতে পেল না।
وَعِنْدَمَا نَهَضَ شَاوُلُ عَنِ الأَرْضِ، فَتَحَ عَيْنَيْهِ فَوَجَدَ أَنَّهُ لَا يُبْصِرُ، فَاقْتَادُوهُ بِيَدِهِ وَأَدْخَلُوهُ إِلَى دِمَشْقَ، ٨ 8
শৌল পরে মাটি হইতে উঠলেন, কিন্তু যখন চোখ খুললে তিনি কিছুই দেখতে পেলেন না; আর তার সঙ্গীরা তাঁর হাত ধরে তাঁকে দম্মেশক শহরে নিয়ে গেল।
حَيْثُ بَقِيَ ثَلاثَةَ أَيَّامٍ لَا يُبْصِرُ وَلا يَأْكُلُ وَلا يَشْرَبُ. ٩ 9
আর তিনি তিনদিন অবধি কোনোও কিছুই দেখতে পেলেন না এবং কিছুই খেলেন না বা পান করলেন না।
وَكَانَ فِي دِمَشْقَ تِلْمِيذٌ لِلرَّبِّ اسْمُهُ حَنَانِيَّا، نَادَاهُ الرَّبُّ فِي رُؤْيَا: «يَا حَنَانِيَّا!» فَقَالَ: «لَبَّيْكَ يَا رَبُّ!» ١٠ 10
১০দম্মেশকে অননিয় নামে একজন শিষ্য ছিলেন। প্রভু তাঁকে দর্শনের মাধ্যমে বললেন, “অনণীয়।” তিনি বললেন, প্রভু, “দেখ আমি এখানে,”
فَقَالَ لَهُ الرَّبُّ: «اذْهَبْ إِلَى الشَّارِعِ الْمَعْرُوفِ بِالْمُسْتَقِيمِ وَاسْأَلْ فِي بَيْتِ يَهُوذَا، عَنْ رَجُلٍ مِنْ طَرْسُوسَ اسْمُهُ شَاوُلُ. إِنَّهُ يُصَلِّي هُنَاكَ الآنَ. ١١ 11
১১প্রভু তখন তাঁকে বললেন “উঠ এবং সরল নামক রাস্তায় গিয়ে যিহূদার বাড়িতে তার্স শহরে শৌল নামক এক ব্যক্তির খোঁজ কর; কারণ তিনি প্রার্থনা করছেন;”
وَقَدْ رَأَى فِي رُؤْيَا رَجُلاً اسْمُهُ حَنَانِيَّا يَدْخُلُ إِلَيْهِ وَيَضَعُ يَدَهُ عَلَيْهِ، فَيُبْصِرُ». ١٢ 12
১২শৌল দর্শন দেখলেন যে, “অননিয় নামে এক ব্যক্তি এসে তাঁর উপর হাত রাখলেন যেন সে পুনরায় দেখতে পায়।”
فَقَالَ حَنَانِيَّا لِلرَّبِّ: «وَلَكِنِّي، يَا رَبُّ، قَدْ سَمِعْتُ مِنْ كَثِيرِينَ بِالْفَظَائِعِ الَّتِي ارْتَكَبَهَا هَذَا الرَّجُلُ بِقِدِّيسِيكَ فِي أُورُشَلِيمَ، ١٣ 13
১৩অননিয় উত্তরে বললেন, প্রভু, আমি অনেকের কাছ থেকে এই ব্যক্তির বিষয় শুনেছি, সে যিরুশালেমে তোমার মনোনীত পবিত্র লোকদের প্রতি কত নির্যাতন করেছে;
وَقَدْ كَلَّفَهُ رُؤَسَاءُ الْكَهَنَةِ السُّلْطَةَ لِيُلْقِيَ الْقَبْضَ عَلَى كُلِّ مَنْ يَدْعُو بِاسْمِكَ». ١٤ 14
১৪এই জায়গাতেও যত লোক তোমার নামে ডাকে, সেই সব লোককে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সে প্রধান যাজকদের কাছ থেকে পেয়েছে।
فَأَمَرَهُ الرَّبُّ: «اذْهَبْ! فَقَدِ اخْتَرْتُ هَذَا الرَّجُلَ لِيَكُونَ إِنَاءً يَحْمِلُ اسْمِي إِلَى الأُمَمِ وَالْمُلُوكِ وَبَنِي إِسْرَائِيلَ. ١٥ 15
১৫কিন্তু প্রভু তাকে বললেন, তুমি যাও, কারণ অযিহুদিদের ও রাজাদের এবং ইস্রায়েল সন্তানদের মধ্যে আমার নাম বহন করার জন্য সে আমার মনোনীত ব্যক্তি;
وَسَأُرِيهِ كَمْ يَنْبَغِي أَنْ يَتَأَلَّمَ مِنْ أَجْلِ اسْمِي!» ١٦ 16
১৬কারণ আমি তাঁকে দেখাবো, আমার নামের জন্য তাঁকে কত কষ্টভোগ করতে হবে।
فَذَهَبَ حَنَانِيَّا وَدَخَلَ بَيْتَ يَهُوذَا، وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى شَاوُلَ وَقَالَ: «أَيُّهَا الأَخُ شَاوُلُ، إِنَّ الرَّبَّ يَسُوعَ، الَّذِي ظَهَرَ لَكَ فِي الطَّرِيقِ الَّتِي جِئْتَ فِيهَا، أَرْسَلَنِي إِلَيْكَ لِكَيْ تُبْصِرَ وَتَمْتَلِئَ مِنَ الرُّوحِ الْقُدُسِ». ١٧ 17
১৭সুতরাং অননিয় চলে গেলেন এবং সেই বাড়িতে গিয়ে তাঁর উপর হাত রেখে বললেন, ভাই শৌল, প্রভু যীশু, যিনি তোমার আসবার পথে তোমাকে দেখা দিয়েছিলেন, তিনি আমাকে পাঠিয়েছেন, যেন তুমি আবার দৃষ্টি ফিরে পাও এবং পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হও।
وَفِي الْحَالِ تَسَاقَطَ مِنْ عَيْنَيْ شَاوُلَ مَا يُشْبِهُ الْقُشُورَ، فَأَبْصَرَ، ثُمَّ قَامَ وَتَعَمَّدَ. ١٨ 18
১৮আর সেই মূহুর্তে তাঁর চক্ষু থেকে যেন একটা মাছের আঁশ পড়ে গেল এবং তিনি দৃষ্টি ফিরে পেলেন এবং উঠে বাপ্তিষ্ম নিলেন;
وَتَنَاوَلَ طَعَاماً فَاسْتَعَادَ قُوَّتَهُ وَبَقِيَ بِضْعَةَ أَيَّامٍ مَعَ التَّلامِيذِ فِي دِمَشْقَ. ١٩ 19
১৯পরে তিনি খেলেন এবং শক্তি পেলেন। আর তিনি দম্মেশকের শিষ্যদের সাথে কিছুদিন থাকলেন;
وَفِي الْحَالِ بَدَأَ يُبَشِّرُ فِي الْمَجَامِعِ بِأَنَّ يَسُوعَ هُوَ ابْنُ اللهِ. ٢٠ 20
২০সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সমাজঘরে গিয়ে যীশুর বাণী প্রচার করতে লাগলেন, যে তিনিই ঈশ্বরের পুত্র।
وَأَثَارَ كَلامُهُ دَهْشَةَ السَّامِعِينَ، فَتَسَاءَلُوا: «أَلَيْسَ هَذَا هُوَ الَّذِي كَانَ يُبِيدُ جَمِيعَ الدَّاعِينَ بِهَذَا الاِسْمِ فِي أُورُشَليمَ؟ أَمَا جَاءَ إِلَى هُنَا لِيُلْقِيَ الْقَبْضَ عَلَيْهِمْ وَيَسُوقَهُمْ مُقَيَّدِينَ إِلَى رُؤَسَاءِ الْكَهَنَةِ؟» ٢١ 21
২১আর যারা তাঁর কথা শুনল, তারা সবাই আশ্চর্য্য হলো, বলতে লাগল, একি সেই লোকটি নয়, যে, যারা যিরুশালেমে যীশুর নামে ডাকত তাদের উচ্ছেদ করে দিতো? এবং সে এখানে এসেছেন যেন তাদের বেঁধে প্রধান যাজকদের কাছে নিয়ে যায়।
وَأَمَّا شَاوُلُ فَقَدْ صَارَ أَكْثَرَ حَمَاسَةً فِي وَعْظِهِ، فَكَانَ يُفْحِمُ الْيَهُودَ السَّاكِنِينَ فِي دِمَشْقَ بِبَرَاهِينِهِ الَّتيِ كَانَ يُبَيِّنُ بِها أَنَّ يَسُوعَ هُوَ الْمَسِيحُ. ٢٢ 22
২২কিন্তু শৌল দিন দিন শক্তি পেলেন এবং দম্মেশকে বসবাসকারী ইহুদীদের উত্তর দেবার পথ দিলেন না এবং প্রমাণ দিতে লাগলেন যে ইনিই সেই খ্রীষ্ট।
وَبَعْدَ عِدَّةِ أَيَّامٍ، حَاكَ الْيَهُودُ فِي دِمَشْقَ مُؤَامَرَةً لِقَتْلِ شَاوُلَ، ٢٣ 23
২৩আর অনেকদিন পার হয়ে গেলে, ইহুদীরা তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো;
فَعَلِمَ بِها. وَكَانُوا يُرَاقِبُونَ أَبْوَابَ الْمَدِينَةِ نَهَاراً وَلَيْلاً لِيَقْتُلُوهُ وَهُوَ يَخْرُجُ مِنْهَا. ٢٤ 24
২৪কিন্তু শৌল তাদের চালাকি পরিকল্পনা জানতে পারলেন। আর তারা যেন তাঁকে মেরে ফেলতে পারে সেজন্য দিন রাত নগরের দরজায় পাহারা দিতে লাগল।
فَأَخَذَهُ بَعْضُ التَّلامِيذِ لَيْلاً وَوَضَعُوهُ فِي سَلٍّ، وَأَنْزَلُوهُ بِالْحِبَالِ مِنْ عَلَى سُورِ الْمَدِينَةِ. ٢٥ 25
২৫কিন্তু তাঁর শিষ্যরা রাতে তাঁকে নিয়ে একটি ঝুড়িতে করে পাঁচিলের উপর দিয়ে বাইরে নামিয়ে দিল।
وَلَمَّا وَصَلَ شَاوُلُ إِلَى أُورُشَلِيمَ، حَاوَلَ أَنْ يَنْضَمَّ إِلَى التَّلامِيذِ هُنَاكَ، فَخَافُوا مِنْهُ، إِذْ لَمْ يُصَدِّقُوا أَنَّهُ صَارَ تِلْمِيذاً لِلرَّبِّ. ٢٦ 26
২৬পরে তিনি যখন যিরুশালেমে পৌঁছে শিষ্যদের সঙ্গে যোগ দিতে চেষ্টা করলেন, সকলে তাঁকে ভয় করলো, তিনি যে শিষ্য তা বিশ্বাস করল না।
فَتَوَلَّى بَرْنَابَا أَمْرَهُ وَأَحْضَرَهُ إِلَى الرُّسُلِ، وَحَدَّثَهُمْ كَيْفَ ظَهَرَ الرَّبُّ لَهُ فِي الطَّرِيقِ وَكَلَّمَهُ، وَكَيْفَ بَشَّرَ بِجُرْأَةٍ بِاسْمِ يَسُوعَ فِي دِمَشْقَ. ٢٧ 27
২৭তখন বার্ণবা তার হাত ধরে প্রেরিতদের কাছে নিয়ে গেলেন এবং পথের মধ্যে কীভাবে প্রভুকে দেখতে পেয়েছিলেন, ও প্রভু যে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং কিভাবে তিনি দম্মেশকে যীশুর নামে সাহসের সঙ্গে প্রচার করেছিলেন, এসব তাঁদের কাছে বললেন।
فَأَخَذَ يَذْهَبُ وَيَجِيءُ مَعَهُمْ فِي أُورُشَلِيمَ، مُبَشِّراً بِاسْمِ الرَّبِّ بِجُرْأَةٍ. ٢٨ 28
২৮আর শৌল যিরুশালেমে তাঁদের সঙ্গে থাকতেন এবং ভিতরে ও বাইরে যাওয়া আসা করতেন, প্রভুর নামে সাহসের এর সঙ্গে প্রচার করলেন,
وَكَانَ يُخَاطِبُ الْيَهُودَ الْيُونَانِيِّينَ وَيُجَادِلُهُمْ، فَحَاوَلُوا أَنْ يَقْتُلُوهُ. ٢٩ 29
২৯আর তিনি গ্রীক ভাষাবাদী ইহুদীদের সঙ্গে কথাবার্তা ও তর্ক করতেন; কিন্তু তারা তাঁকে মেরে ফেলার জন্য চেষ্টা করতে লাগল।
فَلَمَّا عَلِمَ الإِخْوَةُ بِذَلِكَ أَنْزَلُوهُ إِلَى مِينَاءِ قَيْصَرِيَّةَ. وَمِنْ هُنَاكَ أَرْسَلُوهُ إِلَى طَرْسُوسَ. ٣٠ 30
৩০যখন ভাইয়েরা এটা জানতে পারল, তাঁকে কৈসরিয়াতে নিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে তার্স নগরে পাঠিয়ে দিলেন।
فِي أَثْنَاءِ ذَلِكَ كَانَتِ الْكَنِيسَةُ فِي مَنَاطِقِ الْيَهُودِيَّةِ وَالْجَلِيلِ وَالسَّامِرَةِ تَتَمَتَّعُ بِالسَّلامِ. وَكَانَتْ تَنْمُو وَتَسِيرُ فِي تَقْوَى الرَّبِّ، بِمُسَانَدَةِ الرُّوحِ الْقُدُسِ. ٣١ 31
৩১সুতরাং তখন যিহূদীয়া, গালীল ও শমরিয়ার সব জায়গায় মণ্ডলী শান্তি ভোগ ও বৃদ্ধি পেতে লাগল এবং প্রভুর ভয়ে ও পবিত্র আত্মার সান্ত্বনায় চলতে চলতে মণ্ডলী সংখ্যায় অনেক হয়ে উঠল।
وَبَيْنَمَا كَانَ بُطْرُسُ يَنْتَقِلُ مِنْ مَكَانٍ إِلَى مَكَانٍ، زَارَ السَّاكِنِينَ فِي مَدِينَةِ لُدَّةَ، ٣٢ 32
৩২আর পিতর সব স্থানে ঘুরতে ঘুরতে লুদ্দা শহরে বসবাসকারী পবিত্র লোকদের কাছে গেলেন।
وَوَجَدَ هُنَاكَ مَشْلُولاً اسْمُهُ إِينِيَاسُ، مَضَتْ عَلَيْهِ ثَمَانِي سَنَوَاتٍ وَهُوَ طَرِيحُ الْفِرَاشِ. ٣٣ 33
৩৩সেখানে তিনি ঐনিয় নামে এক ব্যক্তির দেখা পান, সে আট বছর বিছানায় ছিল, কারণ তার পক্ষাঘাত (অবসাঙ্গতা) হয়েছিল।
فَقَالَ لَهُ: «يَا إِينِيَاسُ، شَفَاكَ يَسُوعُ الْمَسِيحُ. قُمْ وَرَتِّبْ سَرِيرَكَ بِنَفْسِكَ!» فَقَامَ فِي الْحَالِ. ٣٤ 34
৩৪পিতর তাকে বললেন, ঐনিয়, যীশু খ্রীষ্ট তোমাকে সুস্থ করলেন, ওঠ এবং তোমার বিছানা পাত। তাতে সে তখনই উঠল।
وَرَآهُ سُكَّانُ لُدَّةَ وَشَارُونَ جَمِيعاً، فَرَجَعُوا إِلَى الرَّبِّ. ٣٥ 35
৩৫তখন লুদ্দা ও শারণে বসবাসকারী সব লোক তাকে দেখতে পেল এবং তারা প্রভুর প্রতি ফিরল।
وَكَانَ فِي مَدِينَةِ يَافَا تِلْمِيذَةٌ اسْمُهَا طَابِيثَا، وَمَعْنَى اسْمِهَا: غَزَالَةُ، كَانَ يَشْغَلُهَا دَائِماً فِعْلُ الْخَيْرِ وَمُسَاعَدَةُ الْفُقَرَاءِ. ٣٦ 36
৩৬আর যোফা শহরে এক শিষ্যা ছিল তার নাম টাবিথা, অনুবাদ করলে এই নামের অর্থ দর্কা (হরিণী); তিনি গরিবদের জন্য নানান সৎ কাজ ও দান করতেন।
وَحَدَثَ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ أَنَّهَا مَرِضَتْ وَمَاتَتْ، فَغَسَّلُوهَا وَوَضَعُوهَا فِي غُرْفَةٍ بِالطَّبَقَةِ الْعُلْيَا. ٣٧ 37
৩৭সেই দিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মারা যান; সেখানকার লোকেরা তাঁকে স্নান করালেন এবং ওপরের ঘরে শুইয়ে রাখলেন।
وَسَمِعَ التَّلامِيذُ فِي يَافَا أَنَّ بُطْرُسَ فِي لُدَّةَ. وَإِذْ كَانَتْ يَافَا قَرِيبَةً مِنْ لُدَّةَ، أَرْسَلُوا إِلَيْهِ رَجُلَيْنِ يَطْلُبَانِ إِلَيْهِ قَائِلَيْنِ: «تَعَالَ إِلَيْنَا وَلا تَتَأَخَّرْ!» ٣٨ 38
৩৮আর লুদ্দা যাফোর কাছাকাছি হওয়াতে এবং পিতর লুদ্দায় আছেন শুনে, শিষ্যরা তাঁর কাছে দুই জন লোক পাঠিয়ে এই বলে অনুরোধ করলেন, “কোনোও দেরি না করে আমাদের এখানে আসুন।”
فَقَامَ وَذَهَبَ. وَلَمَّا وَصَلَ قَادُوهُ إِلَى الطَّبَقَةِ الْعُلْيَا، فَتَقَدَّمَتْ إِلَيْهِ جَمِيعُ الأَرَامِلِ بَاكِيَاتٍ، يَعْرِضْنَ بَعْضَ الأَقْمِصَةِ وَالثِّيَابِ مِمَّا كَانَتْ غَزَالَةُ تَخِيطُهُ وَهِيَ مَعَهُنَّ. ٣٩ 39
৩৯আর পিতর উঠে তাদের সঙ্গে চললেন। যখন তিনি পৌঁছলেন, তারা তাঁকে উপরের ঘরে নিয়ে গেল। আর সব বিধবারা তাঁর চারিদিকে দাঁড়িয়ে কাঁদতে থাকলো এবং দর্কা তাদের সঙ্গে থাকার দিন যে সমস্ত আঙরাখা ও বস্ত্র তৈরি করেছিলেন, সেই সমস্ত দেখাতে লাগলো।
فَطَلَبَ بُطْرُسُ إِلَى جَمِيعِ الْحَاضِرِينَ أَنْ يَخْرُجُوا مِنَ الْغُرْفَةِ، وَرَكَعَ وَصَلَّى، ثُمَّ الْتَفَتَ إِلَى الْجُثَّةِ وَقَالَ: «يَا طَابِيثَا، قُومِي!» فَفَتَحَتْ عَيْنَيْهَا. وَلَمَّا رَأَتْ بُطْرُسَ جَلَسَتْ، ٤٠ 40
৪০তখন পিতর সবাইকে ঘরের বাইরে বের করে দিলেন, হাঁটু পাতলেন এবং প্রার্থনা করলেন, তারপর সেই মৃতদেহের দিকে ফিরে তিনি বললেন, “টাবিথা ওঠ।” তাতে তিনি চোখ খুললেন এবং পিতরকে দেখে উঠে বসলেন।
فَمَدَّ يَدَهُ إِلَيْهَا وَسَاعَدَهَا عَلَى النُّهُوضِ، ثُمَّ دَعَا الْقِدِّيسِينَ وَالأَرَامِلَ، وَرَدَّهَا إِلَيْهِمْ حَيَّةً. ٤١ 41
৪১তখন পিতর হাত দিয়ে তাকে ওঠালেন এবং বিশ্বাসীদের ও বিধবাদের ডেকে তাকে জীবিত দেখালেন।
وَانْتَشَرَ خَبَرُ هَذِهِ الْمُعْجِزَةِ فِي يَافَا كُلِّهَا، فَآمَنَ بِالرَّبِّ كَثِيرُونَ. ٤٢ 42
৪২এই ঘটনা যাফোর সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল এবং অনেক লোক প্রভুকে বিশ্বাস করলো।
وَبَقِيَ بُطْرُسُ فِي يَافَا عِدَّةَ أَيَّامٍ عِنْدَ دَبَّاغٍ اسْمُهُ سِمْعَانُ. ٤٣ 43
৪৩আর পিতর অনেকদিন যাবৎ যাফোতে শিমন নামে একজন চর্ম শিল্পীর বাড়িতে ছিলেন।

< أعمال 9 >