1 بطرس 4
| فَبِمَا أَنَّ الْمَسِيحَ قَدْ تَحَمَّلَ الآلامَ الْجِسْمِيَّةَ لأَجْلِكُمْ، سَلِّحُوا أَنْفُسَكُمْ بِالاسْتِعْدَادِ دَائِماً لِتَحَمُّلِ الآلامِ. فَإِنَّ مَنْ يَتَحَمَّلُ الآلامَ الْجِسْمِيَّةَ، يَكُونُ قَدْ قَاطَعَ الْخَطِيئَةَ. | ١ 1 |
১অতএব খ্রীষ্ট দেহে কষ্ট সহ্য করেছেন বলে তোমরাও সেই একই মনোভাব নিয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত কর, কারণ দেহে যে কষ্ট সহ্য করেছে, সে পাপ থেকে দূরে আছে,
| وَغَايَتُهُ أَنْ يَعِيشَ بَقِيَّةَ عُمْرِهِ فِي الْجَسَدِ، مُنْقَاداً لَا لِشْهَوَاتِ النَّاسِ، بَلْ لإِرَادَةِ اللهِ. | ٢ 2 |
২এই মানুষটি মানুষের বাসনায় কখনো বেঁচে থাকতে পারে না, কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছায় মানুষের শরীরে বাকি দিন গুলি বসবাস কর।
| كَفَاكُمْ ذَلِكَ الزَّمَانُ الْمَاضِي مِنْ حَيَاتِكُمْ، لِتَكُونُوا قَدْ سَلَكْتُمْ سُلُوكَ الْوَثَنِيِّينَ، حِينَ كُنْتُمْ تَعِيشُونَ فِي الدَّعَارَةِ وَالشَّهْوَاتِ وَإِدْمَانِ الْخَمْرِ، وَحَفَلاتِ السُّكْرِ وَالْعَرْبَدَةِ، وَعِبَادَةِ الأَصْنَامِ الْمُحَرَّمَةِ. | ٣ 3 |
৩কারণ অইহূদিরা তাদের বাসনা পূরণ করে, কাম লালসা, বিলাসিতা, মদ পান করা, আনন্দে পরিপূর্ণ মদ পানের সভা ও মূর্তিপূজার পথে চলে যে দিন নষ্ট হয়েছে, তা যথেষ্ট।
| وَرِفَاقُكُمْ فِي تِلْكَ الْعِيشَةِ سَابِقاً يَسْتَغْرِبُونَ أَنَّكُمْ لَا تَرْكُضُونَ مَعَهُمْ إِلَى فَيْضِ هذِهِ الْخَلاعَةِ، وَيُجَرِّحُونَ سُمْعَتَكُمْ. | ٤ 4 |
৪এই বিষয়ে তোমরা তাদের সঙ্গে একই মন্দ কাজ কর না দেখে তারা আশ্চর্য্য হয় ও তোমাদের নিন্দা করে।
| لكِنَّهُمْ سَوْفَ يُؤَدُّونَ الْحِسَابَ أَمَامَ الْمُسْتَعِدِّ أَنْ يَدِينَ الأَحْيَاءَ وَالأَمْوَاتَ. | ٥ 5 |
৫যিনি জীবিত ও সমস্ত মৃতদের বিচার করার জন্য প্রস্তুত তাঁরই কাছে তাদেরকে হিসাব দিতে হবে।
| وَلِهَذَا أُبْلِغَتِ الْبِشَارَةُ إِلَى الأَمْوَاتِ أَيْضاً لِكَيْ يَكُونُوا دَائِماً أَحْيَاءَ بِالرُّوحِ عِنْدَ اللهِ، مَعَ أَنَّ حُكْمَ الْمَوْتِ قَدْ نُفِّذَ بِأَجْسَادِهِمْ، فَمَاتُوا كَغَيْرِهِمْ مِنَ النَّاسِ. | ٦ 6 |
৬কারণ এই উদ্দেশ্যের জন্যই মৃত শরীরের কাছেও সুসমাচার প্রচার করা হয়েছিল, যেন তাদেরও মানুষের মতই দেহে বিচার করা হয়, কিন্তু ঈশ্বরের মতো আত্মায় জীবিত থাকে।
| إِنَّ نِهَايَةَ كُلِّ شَيْءٍ قَدْ صَارَتْ قَرِيبَةً. فَتَعَقَّلُوا إِذَنْ، وَكُونُوا مُتَنَبِّهِينَ لِرَفْعِ الصَّلاةِ دَائِماً. | ٧ 7 |
৭কিন্তু সমস্ত বিষয়ের শেষ দিন কাছে এসে গেছে, অতএব সংযত হও এবং প্রার্থনায় সবদিন সতর্ক থাক।
| لَكِنَّ أَهَمَّ شَيْءٍ هُوَ أَنْ تُبَادِلُوا بَعْضُكُمْ بَعْضاً الْمَحَبَّةَ الشَّدِيدَةَ. لأَنَّ الْمَحَبَّةَ تَسْتُرُ إِسَاءَاتٍ كَثِيرَةً. | ٨ 8 |
৮প্রথমে তোমরা একজন অন্য জনকে মন দিয়ে ভালবাসো, কারণ “ভালবাসা পাপকে প্রকাশ করে না।”
| وَمَارِسُوا الضِّيَافَةَ بَعْضُكُمْ نَحْوَ بَعْضٍ بِلا تَذَمُّرٍ. | ٩ 9 |
৯কোন অভিযোগ ছাড়াই একজন অন্য জনকে অতিথির মতো সেবা কর।
| وَعَلَى كُلِّ وَاحِدٍ مِنْكُمْ أَنْ يَخْدِمَ الآخَرِينَ بِالْمَوْهِبَةِ الَّتِي أَعْطَاهُ اللهُ إِيَّاهَا، بِاعْتِبَارِكُمْ وُكَلاءَ صَالِحِينَ مُؤْتَمَنِينَ عَلَى أَنْوَاعٍ مُتَعَدِّدَةٍ مِنَ الْمَوَاهِبِ الَّتِي يَمْنَحُهَا اللهُ بِالنِّعْمَةِ. | ١٠ 10 |
১০তোমরা যে যেমন অনুগ্রহ দান পেয়েছ, সেই অনুযায়ী ঈশ্বরের আরো অনেক অনুগ্রহ দানের ভালো তত্ত্বাবধায়কের মত একজন অন্য জনের সেবা কর।
| فَمَنْ يَتَكَلَّمُ، عَلَيْهِ أَنْ يَتَكَلَّمَ بِمَا يُوَافِقُ أَقْوَالَ اللهِ؛ وَمَنْ يَخْدِمُ، عَلَيْهِ أَنْ يَخْدِمَ بِمُوجِبِ الْقُوَّةِ الَّتِي يَمْنَحُهَا اللهُ. وَذَلِكَ لِكَيْ يَتَمَجَّدَ اللهُ فِي كُلِّ شَيْءٍ، بِيَسُوعَ الْمَسِيحِ، لَهُ الْمَجْدُ وَالسُّلْطَةُ إِلَى أَبَدِ الآبِدِينَ. آمِينَ! (aiōn g165) | ١١ 11 |
১১যদি কেউ কথা বলে, সে এমন বলুক, যেন ঈশ্বরের বাণী বলছে, যদি কেউ সেবা করে, সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তি অনুযায়ী করুক, যেন সমস্ত বিষয়ে যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে ঈশ্বর গৌরব পান। মহিমা ও পরাক্রম সমস্ত যুগ ধরে যুগে যুগে তাঁরই হোক। আমেন। (aiōn g165)
| أَيُّهَا الأَحِبَّاءُ، لَا تَسْتَغْرِبُوا نَارَ الاضْطِهَادِ الْمُشْتَعِلَةَ عِنْدَكُمْ لاِخْتِبَارِكُمْ وَكَأَنَّ أَمْراً غَرِيباً قَدْ أَصَابَكُمْ! | ١٢ 12 |
১২প্রিয়েরা, তোমাদের পরীক্ষার জন্য যে আগুন তোমাদের মধ্যে জ্বলছে, তা অদ্ভূত ঘটনা বলে আশ্চর্য্য হয়ো না,
| وَإِنَّمَا افْرَحُوا: لأَنَّكُمْ كَمَا تُشَارِكُونَ الْمَسِيحَ فِي الآلامِ الآنَ، لابُدَّ أَنْ تَفْرَحُوا بِمُشَارَكَتِهِ فِي الابْتِهَاجِ عِنْدَ ظُهُورِ مَجْدِهِ. | ١٣ 13 |
১৩বরং যে পরিমাণে তোমরা খ্রীষ্টের দুঃখ সহ্যর সহভাগী হচ্ছো, সেই পরিমাণে আনন্দ কর, যেন তাঁর গৌরবের প্রকাশকালে উল্লাসের সঙ্গে আনন্দ করতে পার।
| فَإِذَا لَحِقَتْكُمُ الإِهَانَةُ لأَنَّكُمْ تَحْمِلُونَ اسْمَ الْمَسِيحِ، فَطُوبَى لَكُمْ! لأَنَّ رُوحَ الْمَجْدِ، أَيْ رُوحَ اللهِ، يَسْتَقِرُّ عَلَيْكُمْ. | ١٤ 14 |
১৪তোমরা যদি খ্রীষ্টের নামের জন্য অপমানিত হও, তবে তোমরা ধন্য, কারণ গৌরবের আত্মা, এমনকি, ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের উপরে অবস্থিত করছেন।
| لَا يَكُنْ بَيْنَكُمْ مَنْ يَتَأَلَّمُ عِقَاباً عَلَى شَرٍّ ارْتَكَبَهُ: كَالْقَتْلِ أَوِ السَّرِقَةِ، أَوْ غَيْرِهِمَا مِنَ الْجَرَائِمِ، أَوِ التَّدَخُّلِ فِي شُؤُونِ الآخَرِينَ. | ١٥ 15 |
১৫তোমাদের মধ্যে কেউ যেন খুনী, কি চোর, কি মন্দ কাজে লিপ্ত, কি অন্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপকারী বলে দুঃখ সহ্য না করে।
| وَلَكِنْ إِنْ تَأَلَّمَ أَحَدُكُمْ لأَنَّهُ «مَسِيحِيٌّ»، فَعَلَيْهِ أَلّا يَخْجَلَ، بَلْ أَنْ يُمَجِّدَ اللهَ لأَجْلِ هَذَا الاِسْمِ! | ١٦ 16 |
১৬কিন্তু যদি কেউ খ্রীষ্টান বলে দুঃখ সহ্য করে, তবে সে তার জন্য লজ্জিত না হোক, কিন্তু এই নামে ঈশ্বরের মহিমা করুক।
| حَقّاً إِنَّ الْوَقْتَ قَدْ حَانَ لِيَبْتَدِئَ الْقَضَاءُ بِأَهْلِ بَيْتِ اللهِ. فَإِنْ كَانَ الْقَضَاءُ يَبْدَأُ بِنَا أَوَّلاً، فَمَا مَصِيرُ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِإِنْجِيلِ اللهِ؟ | ١٧ 17 |
১৭কারণ ঈশ্বরের ঘরে বিচার আরম্ভ হওয়ার দিন হল, আর যদি তা প্রথমে আমাদের দিয়ে শুরু হয়, তবে যারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাদের পরিণাম কি হবে?
| وَإِنْ كَانَ الْبَارُّ يَخْلُصُ بِجَهْدٍ، فَمَاذَا يَحْدُثُ لِلشِّرِّيرِ وَالْخَاطِئِ؟ | ١٨ 18 |
১৮আর ধার্ম্মিকের উদ্ধার যদি কষ্টে হয়, তবে ভক্তিহীন ও পাপী কোথায় মুখ দেখাবে?
| إِذَنْ، عَلَى الَّذِينَ يَتَأَلَّمُونَ وَفْقاً لإِرَادَةِ اللهِ، أَنْ يُسَلِّمُوا أَنْفُسَهُمْ لِلْخَالِقِ الأَمِينِ، وَيُوَاظِبُوا عَلَى عَمَلِ الصَّلاحِ! | ١٩ 19 |
১৯তাই যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী দুঃখ সহ্য করে, তারা ভালো কাজ করতে করতে তাদের প্রাণকে বিশ্বস্ত সৃষ্টিকর্ত্তার হাতে সমর্পণ করুক।
