< رُؤيا 17 >

ثُمَّ جَاءَ وَاحِدٌ مِنَ ٱلسَّبْعَةِ ٱلْمَلَائِكَةِ ٱلَّذِينَ مَعَهُمُ ٱلسَّبْعَةُ ٱلْجَامَاتُ، وَتَكَلَّمَ مَعِي قَائِلًا لِي: «هَلُمَّ فَأُرِيَكَ دَيْنُونَةَ ٱلزَّانِيَةِ ٱلْعَظِيمَةِ ٱلْجَالِسَةِ عَلَى ٱلْمِيَاهِ ٱلْكَثِيرَةِ، ١ 1
যাঁদের হাতে সাতটি বাটি ছিল ঐ সাতজন দূতের মধ্যে থেকে একজন দূত এসে আমাকে বললেন, এসো, “যে মহাবেশ্যা অনেক জলের ওপরে বসে আছে” আমি তোমাকে তার শাস্তি দেখাবো,
ٱلَّتِي زَنَى مَعَهَا مُلُوكُ ٱلْأَرْضِ، وَسَكِرَ سُكَّانُ ٱلْأَرْضِ مِنْ خَمْرِ زِنَاهَا». ٢ 2
“পৃথিবীর রাজারা যার সঙ্গে ব্যভিচার করেছে এবং যারা এই পৃথিবীতে বাস করে তারা তার ব্যাভিচারের আঙ্গুর রসে মাতাল হয়েছিল”।
فَمَضَى بِي بِٱلرُّوحِ إِلَى بَرِّيَّةٍ، فَرَأَيْتُ ٱمْرَأَةً جَالِسَةً عَلَى وَحْشٍ قِرْمِزِيٍّ مَمْلُوءٍ أَسْمَاءَ تَجْدِيفٍ، لَهُ سَبْعَةُ رُؤُوسٍ وَعَشَرَةُ قُرُونٍ. ٣ 3
সেই স্বর্গদূত আমাকে মরূপ্রান্তে নিয়ে গেলেন তখন আমি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ ছিলাম; এবং একটি লাল রঙের জন্তুটির ওপর এক স্ত্রীলোককে বসে থাকতে দেখলাম; সেই জন্তুটার গায়ে ঈশ্বরনিন্দা করার জন্য অনেক নাম লেখা ছিল এবং তার সাতটি মাথা ও দশটি শিং ছিল।
وَٱلْمَرْأَةُ كَانَتْ مُتَسَرْبِلَةً بِأُرْجُوانٍ وَقِرْمِزٍ، وَمُتَحَلِّيَةً بِذَهَبٍ وَحِجَارَةٍ كَرِيمَةٍ وَلُؤْلُؤٍ، وَمَعَهَا كَأْسٌ مِنْ ذَهَبٍ فِي يَدِهَا مَمْلُوَّةٌ رَجَاسَاتٍ وَنَجَاسَاتِ زِنَاهَا، ٤ 4
আর সেই স্ত্রীলোকটী বেগুনী ও লাল রঙের পোশাক পরেছিল এবং সোনার, দামী পাথর, মণি ও মুক্তা পরেছিল এবং তার হাতে অপবিত্র জিনিস ও ব্যভিচারের ময়লা ভরা একটা সোনার বাটি ছিল।
وَعَلَى جَبْهَتِهَا ٱسْمٌ مَكْتُوبٌ: «سِرٌّ. بَابِلُ ٱلْعَظِيمَةُ أُمُّ ٱلزَّوَانِي وَرَجَاسَاتِ ٱلْأَرْضِ». ٥ 5
আর তার কপালে এক গুপ্ত সত্যের নাম লেখা ছিল, “হে মহান ব্যাবিলন, পৃথিবীর বেশ্যাদের ও ঘৃণার জিনিসের মা।”
وَرَأَيْتُ ٱلْمَرْأَةَ سَكْرَى مِنْ دَمِ ٱلْقِدِّيسِينَ وَمِنْ دَمِ شُهَدَاءِ يَسُوعَ. فَتَعَجَّبْتُ لَمَّا رَأَيْتُهَا تَعَجُّبًا عَظِيمًا! ٦ 6
আর আমি দেখলাম যে, সেই স্ত্রীলোকটী ঈশ্বরের পবিত্র লোকদের রক্ত এবং যীশুর সম্বন্ধে সাক্ষী দিয়েছে যারা তাদের রক্ত খেয়ে মাতাল হয়ে আছে। আমি যখন তাকে দেখলাম খুব আশ্চর্য্য হলাম।
ثُمَّ قَالَ لِي ٱلْمَلَاكُ: «لِمَاذَا تَعَجَّبْتَ؟ أَنَا أَقُولُ لَكَ سِرَّ ٱلْمَرْأَةِ وَٱلْوَحْشِ ٱلْحَامِلِ لَهَا، ٱلَّذِي لَهُ ٱلسَّبْعَةُ ٱلرُّؤُوسِ وَٱلْعَشَرَةُ ٱلْقُرُونِ: ٧ 7
আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি কেন অত্যন্ত বিষ্মিত হোচ্ছ? আমি ওই স্ত্রীলোকটীর এবং সেই জন্তুটি যে তাকে বয়ে নিয়ে যায়, যার সাতটি মাথা ও দশটি শিং আছে তাদের গোপন মানে বুঝিয়ে বলব।
ٱلْوَحْشُ ٱلَّذِي رَأَيْتَ، كَانَ وَلَيْسَ ٱلْآنَ، وَهُوَ عَتِيدٌ أَنْ يَصْعَدَ مِنَ ٱلْهَاوِيَةِ وَيَمْضِيَ إِلَى ٱلْهَلَاكِ. وَسَيَتَعَجَّبُ ٱلسَّاكِنُونَ عَلَى ٱلْأَرْضِ، ٱلَّذِينَ لَيْسَتْ أَسْمَاؤُهُمْ مَكْتُوبَةً فِي سِفْرِ ٱلْحَيَاةِ مُنْذُ تَأْسِيسِ ٱلْعَالَمِ، حِينَمَا يَرَوْنَ ٱلْوَحْشَ أَنَّهُ كَانَ وَلَيْسَ ٱلْآنَ، مَعَ أَنَّهُ كَائِنٌ. (Abyssos g12) ٨ 8
তুমি যে জন্তুকে দেখেছিলে, সে বর্তমানে নেই; কিন্তু সে অতল গর্ত থেকে উঠে এসে চিরকাল শাস্তি ভোগ করবে। আর পৃথিবীতে যত লোক বাস করে, যাদের নাম জগত সৃষ্টির প্রথম থেকে জীবন পুস্তকে লেখা নেই, তারা যখন সেই জন্তুটিকে দেখবে যে আগে ছিল কিন্তু এখন নেই অথচ আবার দেখা যাবে, তখন সবাই অবাক হয়ে যাবে। (Abyssos g12)
هُنَا ٱلذِّهْنُ ٱلَّذِي لَهُ حِكْمَةٌ! اَلسَّبْعَةُ ٱلرُّؤُوسِ هِيَ سَبْعَةُ جِبَالٍ عَلَيْهَا ٱلْمَرْأَةُ جَالِسَةً. ٩ 9
এটাকে বলে মন যার মধ্যে ঈশ্বরীয় জ্ঞান আছে। ওই সাতটি মাথা হলো সাতটি পাহাড় যার ওপর স্ত্রীলোকটী বসে আছে; আবার সেই সাতটা মাথা হলো সাতটি রাজা;
وَسَبْعَةُ مُلُوكٍ: خَمْسَةٌ سَقَطُوا، وَوَاحِدٌ مَوْجُودٌ، وَٱلْآخَرُ لَمْ يَأْتِ بَعْدُ. وَمَتَى أَتَى يَنْبَغِي أَنْ يَبْقَى قَلِيلًا. ١٠ 10
১০তাদের মধ্যে পাঁচ জন আগেই শেষ হয়ে গেছে, এখনও একজন আছে, আর অন্যজন এখনো আসেনি; যখন সে আসবে সে অল্প দিনের র জন্য থাকবে।
وَٱلْوَحْشُ ٱلَّذِي كَانَ وَلَيْسَ ٱلْآنَ فَهُوَ ثَامِنٌ، وَهُوَ مِنَ ٱلسَّبْعَةِ، وَيَمْضِي إِلَى ٱلْهَلَاكِ. ١١ 11
১১আর যে জন্তুটি ছিল, এখন সে নেই, সে নিজে হলো অষ্টত্বম রাজা কিন্তু সে সেই সাতজন রাজার মধ্যে একজন এবং সে চিরকালের জন্য ধ্বংস হবে।
وَٱلْعَشَرَةُ ٱلْقُرُونِ ٱلَّتِي رَأَيْتَ هِيَ عَشَرَةُ مُلُوكٍ لَمْ يَأْخُذُوا مُلْكًا بَعْدُ، لَكِنَّهُمْ يَأْخُذُونَ سُلْطَانَهُمْ كَمُلُوكٍ سَاعَةً وَاحِدَةً مَعَ ٱلْوَحْشِ. ١٢ 12
১২আর তুমি যে দশটি শিং দেখেছিলে সেগুলি হলো দশ জন রাজা যারা এখনো পর্যন্ত কোনো রাজ্য পায়নি, কিন্তু সেই জন্তুটির সঙ্গে এক ঘন্টার জন্য রাজাদের মত রাজত্ব করার কর্তৃত্ব পাবে।
هَؤُلَاءِ لَهُمْ رَأْيٌ وَاحِدٌ، وَيُعْطُونَ ٱلْوَحْشَ قُدْرَتَهُمْ وَسُلْطَانَهُمْ. ١٣ 13
১৩এদের সবার মন এক এবং তাদের নিজেদের শক্তি ও কর্তৃত্ব সেই জন্তুটিকে দেবে।
هَؤُلَاءِ سَيُحَارِبُونَ ٱلْخَرُوفَ، وَٱلْخَرُوفُ يَغْلِبُهُمْ، لِأَنَّهُ رَبُّ ٱلْأَرْبَابِ وَمَلِكُ ٱلْمُلُوكِ، وَٱلَّذِينَ مَعَهُ مَدْعُوُّونَ وَمُخْتَارُونَ وَمُؤْمِنُونَ». ١٤ 14
১৪তারা মেষশিশুর সঙ্গে যুদ্ধ করবে, কিন্তু মেষ শিশু তাদেরকে জয় করবেন, কারণ “তিনি প্রভুদের প্রভু ও রাজাদের রাজা;” এবং যাঁরা মনোনীত হয়েছে যাদের বেছে নেওয়া হয়েছে ও বিশ্বস্ত, তারাই তাঁর সঙ্গে থাকবেন।
ثُمَّ قَالَ لِيَ: «ٱلْمِيَاهُ ٱلَّتِي رَأَيْتَ حَيْثُ ٱلزَّانِيَةُ جَالِسَةٌ، هِيَ شُعُوبٌ وَجُمُوعٌ وَأُمَمٌ وَأَلْسِنَةٌ. ١٥ 15
১৫আর সেই স্বর্গদূত আমাকে বললেন, তুমি যে জল দেখলে যেখানে ওই বেশ্যা বসে আছে, সেই জল হলো মানুষ, জনসাধারণ, জাতিবৃন্দ ও অনেক ভাষা।
وَأَمَّا ٱلْعَشَرَةُ ٱلْقُرُونِ ٱلَّتِي رَأَيْتَ عَلَى ٱلْوَحْشِ فَهَؤُلَاءِ سَيُبْغِضُونَ ٱلزَّانِيَةَ، وَسَيَجْعَلُونَهَا خَرِبَةً وَعُرْيَانَةً، وَيَأْكُلُونَ لَحْمَهَا وَيُحْرِقُونَهَا بِٱلنَّارِ. ١٦ 16
১৬আর যে দশটি শিং এবং জন্তুটি তুমি দেখলে তারা সবাই সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করবে এবং তাকে জনশূন্য ও উলঙ্গ করবে তার মাংস খাবে এবং তাকে সম্পূর্ণভাবে আগুনে দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে।
لِأَنَّ ٱللهَ وَضَعَ فِي قُلُوبِهِمْ أَنْ يَصْنَعُوا رَأْيَهُ، وَأَنْ يَصْنَعُوا رَأْيًا وَاحِدًا، وَيُعْطُوا ٱلْوَحْشَ مُلْكَهُمْ حَتَّى تُكْمَلَ أَقْوَالُ ٱللهِ. ١٧ 17
১৭এর কারণ হলো ঈশ্বর তাদের মনে এমন ইচ্ছা দিলেন, যেন তাঁরই বাক্য সফল হয় এবং একমনা হয়; আর যতক্ষণ না ঈশ্বরের বাক্য সম্পূর্ণ হয়, সেই পর্যন্ত নিজ নিজ রাজ্যের কর্তৃত্ব সেই জন্তুটিকে দেয়।
وَٱلْمَرْأَةُ ٱلَّتِي رَأَيْتَ هِيَ ٱلْمَدِينَةُ ٱلْعَظِيمَةُ ٱلَّتِي لَهَا مُلْكٌ عَلَى مُلُوكِ ٱلْأَرْضِ». ١٨ 18
১৮আর তুমি যে স্ত্রীলোককে দেখেছিলে সে হলো সেই নাম করা শহর যে পৃথিবীর রাজাদের ওপরে কর্তৃত্ব করছে।

< رُؤيا 17 >