< رُؤيا 10 >

ثُمَّ رَأَيْتُ مَلَاكًا آخَرَ قَوِيًّا نَازِلًا مِنَ ٱلسَّمَاءِ، مُتَسَرْبِلًا بِسَحَابَةٍ، وَعَلَى رَأْسِهِ قَوْسُ قُزَحَ، وَوَجْهُهُ كَٱلشَّمْسِ، وَرِجْلَاهُ كَعَمُودَيْ نَارٍ، ١ 1
এরপর আমি অন্য একজন শক্তিশালী দূতকে স্বর্গ থেকে নেমে আসতে দেখলাম। তাঁর পরনে ছিল মেঘের পোশাক ও তাঁর মাথায় ছিল এক মেঘধনু। তাঁর মুখমণ্ডল ছিল সূর্যের মতো ও তাঁর পা-দুটি ছিল আগুনের স্তম্ভের মতো।
وَمَعَهُ فِي يَدِهِ سِفْرٌ صَغِيرٌ مَفْتُوحٌ. فَوَضَعَ رِجْلَهُ ٱلْيُمْنَى عَلَى ٱلْبَحْرِ وَٱلْيُسْرَى عَلَى ٱلْأَرْضِ، ٢ 2
তাঁর হাতে ধরা ছিল ছোটো একটি পুঁথি, যা ছিল খোলা অবস্থায়। তিনি তাঁর ডান পা সমুদ্রের উপরে ও বাঁ পা শুকনো জমির উপরে রাখলেন।
وَصَرَخَ بِصَوْتٍ عَظِيمٍ كَمَا يُزَمْجِرُ ٱلْأَسَدُ. وَبَعْدَ مَا صَرَخَ تَكَلَّمَتِ ٱلرُّعُودُ ٱلسَّبْعَةُ بِأَصْوَاتِهَا. ٣ 3
আর তিনি সিংহের গর্জনের মতো প্রবল হুংকার দিলেন। তিনি চিৎকার করলে পর সাতটি বজ্রধ্বনি প্রত্যুত্তর করল।
وَبَعْدَ مَا تَكَلَّمَتِ ٱلرُّعُودُ ٱلسَّبْعَةُ بِأَصْوَاتِهَا، كُنْتُ مُزْمِعًا أَنْ أَكْتُبَ، فَسَمِعْتُ صَوْتًا مِنَ ٱلسَّمَاءِ قَائِلًا لِيَ: «ٱخْتِمْ عَلَى مَا تَكَلَّمَتْ بِهِ ٱلرُّعُودُ ٱلسَّبْعَةُ وَلَا تَكْتُبْهُ». ٤ 4
যখন সেই সাতটি বজ্রধ্বনি কথা বলল, আমি তা লিখতে উদ্যত হলাম; কিন্তু আমি স্বর্গ থেকে এক বাণী শুনতে পেলাম, তা আমাকে বলছিল, “সাত বজ্রধ্বনির বাণী সিলমোহরাঙ্কিত করো, কিন্তু তা লিপিবদ্ধ করবে না।”
وَٱلْمَلَاكُ ٱلَّذِي رَأَيْتُهُ وَاقِفًا عَلَى ٱلْبَحْرِ وَعَلَى ٱلْأَرْضِ، رَفَعَ يَدَهُ إِلَى ٱلسَّمَاءِ، ٥ 5
তখন সমুদ্র ও স্থলের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা যে স্বর্গদূতকে আমি দেখেছিলাম, তিনি স্বর্গের দিকে তাঁর ডান হাত তুলে ধরলেন।
وَأَقْسَمَ بِٱلْحَيِّ إِلَى أَبَدِ ٱلْآبِدِينَ، ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَاءَ وَمَا فِيهَا، وَٱلْأَرْضَ وَمَا فِيهَا، وَٱلْبَحْرَ وَمَا فِيهِ: أَنْ لَا يَكُونَ زَمَانٌ بَعْدُ! (aiōn g165) ٦ 6
আর যিনি যুগে যুগে চিরকাল জীবন্ত, যিনি আকাশমণ্ডল ও তার মধ্যস্থিত সবকিছু, পৃথিবী ও তার মধ্যস্থিত সবকিছু এবং সমুদ্র ও তার মধ্যস্থিত সবকিছু সৃষ্টি করছেন, তাঁরই নামে তিনি এই শপথ করে বললেন, “আর দেরি হবে না! (aiōn g165)
بَلْ فِي أَيَّامِ صَوْتِ ٱلْمَلَاكِ ٱلسَّابِعِ مَتَى أَزْمَعَ أَنْ يُبَوِّقَ، يَتِمُّ أَيْضًا سِرُّ ٱللهِ، كَمَا بَشَّرَ عَبِيدَهُ ٱلْأَنْبِيَاءَ. ٧ 7
কিন্তু যখন সেই সপ্তম স্বর্গদূত তাঁর তূরী বাজাতে উদ্যত হবেন, ঠিক তখনই ঈশ্বরের রহস্য পরিপূর্ণতা লাভ করবে যেমন তিনি তাঁর দাস ভাববাদীদের কাছে ঘোষণা করেছিলেন।”
وَٱلصَّوْتُ ٱلَّذِي كُنْتُ قَدْ سَمِعْتُهُ مِنَ ٱلسَّمَاءِ كَلَّمَنِي أَيْضًا وَقَالَ: «ٱذْهَبْ خُذِ ٱلسِّفْرَ ٱلصَّغِيرَ ٱلْمَفْتُوحَ فِي يَدِ ٱلْمَلَاكِ ٱلْوَاقِفِ عَلَى ٱلْبَحْرِ وَعَلَى ٱلْأَرْضِ». ٨ 8
তারপর যে কণ্ঠস্বর স্বর্গ থেকে আমার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তিনি আমার সঙ্গে আবার কথা বললেন: “তুমি যাও, যে স্বর্গদূত সমুদ্র ও ভূমির উপরে দাঁড়িয়ে আছে, তাঁর হাত থেকে খোলা ওই পুঁথিটি গ্রহণ করো।”
فَذَهَبْتُ إِلَى ٱلْمَلَاكِ قَائِلًا لَهُ: «أَعْطِنِي ٱلسِّفْرَ ٱلصَّغِيرَ». فَقَالَ لِي: «خُذْهُ وَكُلْهُ، فَسَيَجْعَلُ جَوْفَكَ مُرًّا، وَلَكِنَّهُ فِي فَمِكَ يَكُونُ حُلْوًا كَٱلْعَسَلِ». ٩ 9
তাই আমি ওই স্বর্গদূতের কাছে গিয়ে, তাঁর কাছ থেকে ওই ছোটো পুঁথিটি চাইলাম। তিনি আমাকে বললেন, “এটি নাও ও খেয়ে ফেলো। এ তোমার পেটে গিয়ে টক হয়ে উঠবে, কিন্তু তোমার মুখে তা মধুর মতো মিষ্টি লাগবে।”
فَأَخَذْتُ ٱلسِّفْرَ ٱلصَّغِيرَ مِنْ يَدِ ٱلْمَلَاكِ وَأَكَلْتُهُ، فَكَانَ فِي فَمِي حُلْوًا كَٱلْعَسَلِ. وَبَعْدَ مَا أَكَلْتُهُ صَارَ جَوْفِي مُرًّا. ١٠ 10
আমি ওই স্বর্গদূতের হাত থেকে ছোটো পুঁথিটি নিয়ে তা খেয়ে ফেললাম। তা আমার মুখে মধুর মতো মিষ্টি স্বাদযুক্ত মনে হল, কিন্তু তা খেয়ে ফেলার পর আমার পেট টক হয়ে গেল।
فَقَالَ لِي: «يَجِبُ أَنَّكَ تَتَنَبَّأُ أَيْضًا عَلَى شُعُوبٍ وَأُمَمٍ وَأَلْسِنَةٍ وَمُلُوكٍ كَثِيرِينَ». ١١ 11
তখন আমাকে বলা হল, “তোমাকে আবার বহু জাতি, দেশ, ভাষাভাষী ও রাজাদের সম্পর্কে ভাববাণী বলতে হবে।”

< رُؤيا 10 >