< مَرْقُس 3 >
ثُمَّ دَخَلَ أَيْضًا إِلَى ٱلْمَجْمَعِ، وَكَانَ هُنَاكَ رَجُلٌ يَدُهُ يَابِسَةٌ. | ١ 1 |
অন্য এক সময়ে যীশু সমাজভবনে গেলেন। সেখানে এক লোক ছিল, যার একটি হাত শুকিয়ে গিয়েছিল।
فَصَارُوا يُرَاقِبُونَهُ: هَلْ يَشْفِيهِ فِي ٱلسَّبْتِ؟ لِكَيْ يَشْتَكُوا عَلَيْهِ. | ٢ 2 |
কয়েকজন ফরিশী যীশুকে অভিযুক্ত করার সুযোগ খুঁজে বেড়াচ্ছিল। যীশু বিশ্রামদিনে লোকটিকে সুস্থ করেন কি না, দেখার জন্য তারা তাঁর উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখল।
فَقَالَ لِلرَّجُلِ ٱلَّذِي لَهُ ٱلْيَدُ ٱلْيَابِسَةُ: «قُمْ فِي ٱلْوَسْطِ!». | ٣ 3 |
যার হাত শুকিয়ে গিয়েছিল, তাকে যীশু বললেন, “তুমি সবার সামনে এসে দাঁড়াও।”
ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: «هَلْ يَحِلُّ فِي ٱلسَّبْتِ فِعْلُ ٱلْخَيْرِ أَوْ فِعْلُ ٱلشَّرِّ؟ تَخْلِيصُ نَفْسٍ أَوْ قَتْلٌ؟». فَسَكَتُوا. | ٤ 4 |
এরপর যীশু তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, “বিশ্রামদিনে কী করা ন্যায়সংগত, ভালো কাজ করা, না মন্দ কাজ করা; জীবন রক্ষা করা, না হত্যা করা?” কিন্তু তারা নীরব হয়ে রইল।
فَنَظَرَ حَوْلَهُ إِلَيْهِمْ بِغَضَبٍ، حَزِينًا عَلَى غِلَاظَةِ قُلُوبِهِمْ، وَقَالَ لِلرَّجُلِ: «مُدَّ يَدَكَ». فَمَدَّهَا، فَعَادَتْ يَدُهُ صَحِيحَةً كَٱلْأُخْرَى. | ٥ 5 |
যীশু ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাদের সকলের দিকে তাকালেন এবং তাদের হৃদয়ের তীব্র কাঠিন্যের জন্য তিনি গভীর বেদনায় লোকটিকে বললেন, “তোমার হাত বাড়িয়ে দাও।” লোকটি হাত বাড়িয়ে দিল, সঙ্গে সঙ্গে তার হাত আগের মতো সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেল।
فَخَرَجَ ٱلْفَرِّيسِيُّونَ لِلْوَقْتِ مَعَ ٱلْهِيرُودُسِيِّينَ وَتَشَاوَرُوا عَلَيْهِ لِكَيْ يُهْلِكُوهُ. | ٦ 6 |
এরপর ফরিশীরা বেরিয়ে গেল এবং হেরোদীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করতে শুরু করল যে, কীভাবে যীশুকে হত্যা করা যায়।
فَٱنْصَرَفَ يَسُوعُ مَعَ تَلَامِيذِهِ إِلَى ٱلْبَحْرِ، وَتَبِعَهُ جَمْعٌ كَثِيرٌ مِنَ ٱلْجَلِيلِ وَمِنَ ٱلْيَهُودِيَّةِ | ٧ 7 |
যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে গালীল সাগরের দিকে চলে গেলেন। গালীল থেকে অনেক লোক তাঁকে সেখানে অনুসরণ করল।
وَمِنْ أُورُشَلِيمَ وَمِنْ أَدُومِيَّةَ وَمِنْ عَبْرِ ٱلْأُرْدُنِّ. وَٱلَّذِينَ حَوْلَ صُورَ وَصَيْدَاءَ، جَمْعٌ كَثِيرٌ، إِذْ سَمِعُوا كَمْ صَنَعَ أَتَوْا إِلَيْهِ. | ٨ 8 |
তারা যখন যীশুর সমস্ত কীর্তির কথা শুনল, তখন যিহূদিয়া, জেরুশালেম, ইদুমিয়া, জর্ডনের অপর পারের অঞ্চল এমনকি টায়ার ও সীদোনের চারদিক থেকে অসংখ্য মানুষ তাঁর কাছে এসে জড়ো হল।
فَقَالَ لِتَلَامِيذِهِ أَنْ تُلَازِمَهُ سَفِينَةٌ صَغِيرَةٌ لِسَبَبِ ٱلْجَمْعِ، كَيْ لَا يَزْحَمُوهُ، | ٩ 9 |
এই বিপুল সংখ্যক লোক দেখে যীশু তাঁর শিষ্যদের বললেন, তাঁর জন্য একটি ছোটো নৌকা প্রস্তুত রাখতে, যেন এত ভিড়ের চাপ তাঁর উপরে এসে না পড়ে।
لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ شَفَى كَثِيرِينَ، حَتَّى وَقَعَ عَلَيْهِ لِيَلْمِسَهُ كُلُّ مَنْ فِيهِ دَاءٌ. | ١٠ 10 |
যেহেতু যীশু এর আগে বহু লোককে সুস্থ করেছিলেন, তাই অসংখ্য রোগী তাঁকে একবার স্পর্শ করার জন্য ঠেলাঠেলি করে সামনে এগোতে চাইছিল।
وَٱلْأَرْوَاحُ ٱلنَّجِسَةُ حِينَمَا نَظَرَتْهُ خَرَّتْ لَهُ وَصَرَخَتْ قَائِلَةً: «إِنَّكَ أَنْتَ ٱبْنُ ٱللهِ!». | ١١ 11 |
তাদের মধ্যে মন্দ-আত্মাগ্রস্ত ব্যক্তিরা তাঁকে দেখে তাঁর সামনে লুটিয়ে পড়ে চিৎকার করে বলছিল, “আপনিই সেই ঈশ্বরের পুত্র।”
وَأَوْصَاهُمْ كَثِيرًا أَنْ لَا يُظْهِرُوهُ. | ١٢ 12 |
যীশু কিন্তু তাদের কঠোর নির্দেশ দিলেন, তারা যেন কাউকে না বলে যে, আসলে তিনি কে।
ثُمَّ صَعِدَ إِلَى ٱلْجَبَلِ وَدَعَا ٱلَّذِينَ أَرَادَهُمْ فَذَهَبُوا إِلَيْهِ. | ١٣ 13 |
পরে যীশু এক পাহাড়ে উঠলেন ও তিনি যাদের ইচ্ছা করলেন তাঁদের কাছে আহ্বান করলেন, এবং তারা তাঁর কাছে এগিয়ে এলেন।
وَأَقَامَ ٱثْنَيْ عَشَرَ لِيَكُونُوا مَعَهُ، وَلِيُرْسِلَهُمْ لِيَكْرِزُوا، | ١٤ 14 |
তিনি বারোজন শিষ্যকে নিয়োগ করলেন ও তাঁদের “প্রেরিতশিষ্য” বলে ডাকলেন যেন তাঁরা তাঁর সঙ্গে সঙ্গে থাকেন ও তিনি যেন তাঁদের প্রচারের কাজে চারদিকে পাঠাতে পারেন
وَيَكُونَ لَهُمْ سُلْطَانٌ عَلَى شِفَاءِ ٱلْأَمْرَاضِ وَإِخْرَاجِ ٱلشَّيَاطِينِ. | ١٥ 15 |
এবং তাঁরা যেন ভূত তাড়ানোর ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন।
وَجَعَلَ لِسِمْعَانَ ٱسْمَ بُطْرُسَ. | ١٦ 16 |
যে বারোজনকে তিনি প্রেরিতশিষ্য পদে নিয়োগ করলেন, তাঁরা হলেন: শিমোন (যাঁকে তিনি নাম দিয়েছিলেন পিতর),
وَيَعْقُوبَ بْنَ زَبْدِي وَيُوحَنَّا أَخَا يَعْقُوبَ، وَجَعَلَ لَهُمَا ٱسْمَ بُوَانَرْجِسَ أَيِ ٱبْنَيِ ٱلرَّعْدِ. | ١٧ 17 |
সিবদিয়ের পুত্র যাকোব ও তাঁর ভাই যোহন (তিনি যাঁদের নাম দিয়েছিলেন বোনেরগশ, এর অর্থ, বজ্রতনয়);
وَأَنْدَرَاوُسَ، وَفِيلُبُّسَ، وَبَرْثُولَمَاوُسَ، وَمَتَّى، وَتُومَا، وَيَعْقُوبَ بْنَ حَلْفَى، وَتَدَّاوُسَ، وَسِمْعَانَ ٱلْقَانَوِيَّ، | ١٨ 18 |
আন্দ্রিয়, ফিলিপ, বর্থলময়, মথি, থোমা, আলফেয়ের পুত্র যাকোব, থদ্দেয়, জিলট দলভুক্ত শিমোন,
وَيَهُوذَا ٱلْإِسْخَرْيُوطِيَّ ٱلَّذِي أَسْلَمَهُ. ثُمَّ أَتَوْا إِلَى بَيْتٍ. | ١٩ 19 |
এবং যিহূদা ইষ্কারিয়োৎ, যে যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।
فَٱجْتَمَعَ أَيْضًا جَمْعٌ حَتَّى لَمْ يَقْدِرُوا وَلَا عَلَى أَكْلِ خُبْزٍ. | ٢٠ 20 |
এরপর যীশু এক বাড়িতে প্রবেশ করলেন, কিন্তু সেখানেও আবার এত লোক ভিড় জমালো যে, তিনি ও তাঁর শিষ্যেরা খাওয়াদাওয়া করার সময়ই পেলেন না।
وَلَمَّا سَمِعَ أَقْرِبَاؤُهُ خَرَجُوا لِيُمْسِكُوهُ، لِأَنَّهُمْ قَالُوا: «إِنَّهُ مُخْتَلٌّ!». | ٢١ 21 |
এসব ঘটনার কথা শুনে যীশুর আত্মীয়পরিজনেরা বলল, “ওর বুদ্ধিভ্রম হয়েছে।” এই বলে তারা তাঁকে ধরে আনতে গেল।
وَأَمَّا ٱلْكَتَبَةُ ٱلَّذِينَ نَزَلُوا مِنْ أُورُشَلِيمَ فَقَالُوا: «إِنَّ مَعَهُ بَعْلَزَبُولَ! وَإِنَّهُ بِرَئِيسِ ٱلشَّيَاطِينِ يُخْرِجُ ٱلشَّيَاطِينَ». | ٢٢ 22 |
আর জেরুশালেম থেকে যেসব শাস্ত্রবিদ এসেছিল, তারা বলল, “ওর উপর বেলসবুল ভর করেছে। ভূতদের অধিপতির সাহায্যেই ও ভূতদের দূর করছে।”
فَدَعَاهُمْ وَقَالَ لَهُمْ بِأَمْثَالٍ: «كَيْفَ يَقْدِرُ شَيْطَانٌ أَنْ يُخْرِجَ شَيْطَانًا؟ | ٢٣ 23 |
যীশু তখন তাদের ডাকলেন ও রূপকের আশ্রয়ে তাদের বললেন, “শয়তান কীভাবে শয়তানকে দূর করতে পারে?
وَإِنِ ٱنْقَسَمَتْ مَمْلَكَةٌ عَلَى ذَاتِهَا لَا تَقْدِرُ تِلْكَ ٱلْمَمْلَكَةُ أَنْ تَثْبُتَ. | ٢٤ 24 |
কোনো রাজ্য যদি নিজের বিপক্ষে বিভক্ত হয়, তাহলে সেই রাজ্য টিকে থাকতে পারে না।
وَإِنِ ٱنْقَسَمَ بَيْتٌ عَلَى ذَاتِهِ لَا يَقْدِرُ ذَلِكَ ٱلْبَيْتُ أَنْ يَثْبُتَ. | ٢٥ 25 |
আবার একটি পরিবার যদি নিজেরই বিরোধিতা করে, তাহলে সেই পরিবারও টিকে থাকতে পারে না।
وَإِنْ قَامَ ٱلشَّيْطَانُ عَلَى ذَاتِهِ وَٱنْقَسَمَ لَا يَقْدِرُ أَنْ يَثْبُتَ، بَلْ يَكُونُ لَهُ ٱنْقِضَاءٌ. | ٢٦ 26 |
এভাবে শয়তান যদি নিজেরই বিরুদ্ধে যায় ও বিভক্ত হয়, তাহলে সেও আর টিকে থাকতে পারে না। অর্থাৎ তার সমাপ্তি সন্নিকট।
لَا يَسْتَطِيعُ أَحَدٌ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتَ قَوِيٍّ وَيَنْهَبَ أَمْتِعَتَهُ، إِنْ لَمْ يَرْبِطِ ٱلْقَوِيَّ أَوَّلًا، وَحِينَئِذٍ يَنْهَبُ بَيْتَهُ. | ٢٧ 27 |
বস্তুত, শক্তিশালী ব্যক্তির ধনসম্পত্তি লুট করতে হলে, প্রথমেই তাকে বেঁধে ফেলতে হয়, তা না হলে তার ঘরে ঢুকে তার সম্পত্তি লুট করা অসম্ভব।
اَلْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: إِنَّ جَمِيعَ ٱلْخَطَايَا تُغْفَرُ لِبَنِي ٱلْبَشَرِ، وَٱلتَّجَادِيفَ ٱلَّتِي يُجَدِّفُونَهَا. | ٢٨ 28 |
আমি তোমাদের সত্যিই বলছি, মানুষের সব পাপ ও ঈশ্বরনিন্দা ক্ষমা করা হবে,
وَلَكِنْ مَنْ جَدَّفَ عَلَى ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ فَلَيْسَ لَهُ مَغْفِرَةٌ إِلَى ٱلْأَبَدِ، بَلْ هُوَ مُسْتَوْجِبٌ دَيْنُونَةً أَبَدِيَّةً». (aiōn , aiōnios ) | ٢٩ 29 |
কিন্তু পবিত্র আত্মার নিন্দা যে করবে, তাকে কোনো কালেই ক্ষমা করা হবে না, বরং সে হবে অনন্ত পাপের অপরাধী।” (aiōn , aiōnios )
لِأَنَّهُمْ قَالُوا: «إِنَّ مَعَهُ رُوحًا نَجِسًا». | ٣٠ 30 |
তাঁর একথা বলার কারণ হল, শাস্ত্রবিদরা বলেছিল, “ওর মধ্যে মন্দ-আত্মা ভর করেছে।”
فَجَاءَتْ حِينَئِذٍ إِخْوَتُهُ وَأُمُّهُ وَوَقَفُوا خَارِجًا وَأَرْسَلُوا إِلَيْهِ يَدْعُونَهُ. | ٣١ 31 |
তখন যীশুর মা ও ভাইয়েরা সেখানে এসে পৌঁছালেন। তাঁরা ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে যীশুকে ডেকে আনার জন্য একজনকে ভিতরে পাঠালেন।
وَكَانَ ٱلْجَمْعُ جَالِسًا حَوْلَهُ، فَقَالُوا لَهُ: «هُوَذَا أُمُّكَ وَإِخْوَتُكَ خَارِجًا يَطْلُبُونَكَ». | ٣٢ 32 |
সেই সময় যীশুর চারপাশে বহু মানুষ ভিড় করে বসেছিল। তারা তাঁকে বলল, “আপনার মা ও ভাইয়েরা বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনার খোঁজ করছেন।”
فَأَجَابَهُمْ قَائِلًا: «مَنْ أُمِّي وَإِخْوَتِي؟». | ٣٣ 33 |
তিনি প্রশ্ন করলেন, “কে আমার মা? আর আমার ভাইয়েরাই বা কারা?”
ثُمَّ نَظَرَ حَوْلَهُ إِلَى ٱلْجَالِسِينَ وَقَالَ: «هَا أُمِّي وَإِخْوَتِي، | ٣٤ 34 |
তারপর, যারা তাঁর চারপাশে গোল করে বসেছিল, তাদের দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন, “এরাই হল আমার মা ও ভাইয়েরা!
لِأَنَّ مَنْ يَصْنَعُ مَشِيئَةَ ٱللهِ هُوَ أَخِي وَأُخْتِي وَأُمِّي». | ٣٥ 35 |
কারণ যে কেউ ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সেই আমার ভাই ও বোন এবং মা।”