< لُوقا 1 >

إِذْ كَانَ كَثِيرُونَ قَدْ أَخَذُوا بِتَأْلِيفِ قِصَّةٍ فِي ٱلْأُمُورِ ٱلْمُتَيَقَّنَةِ عِنْدَنَا، ١ 1
যা কিছু ঘটে গেছে, আমাদের মধ্যে অনেকেই তার একটি বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
كَمَا سَلَّمَهَا إِلَيْنَا ٱلَّذِينَ كَانُوا مُنْذُ ٱلْبَدْءِ مُعَايِنِينَ وَخُدَّامًا لِلْكَلِمَةِ، ٢ 2
যাঁরা প্রথম থেকেই সবকিছু চাক্ষুষ দেখেছেন ও বাক্যের পরিচর্যা করেছেন, তাঁরাই সে সমস্ত আমাদের কাছে সমর্পণ করেছেন।
رَأَيْتُ أَنَا أَيْضًا إِذْ قَدْ تَتَبَّعْتُ كُلَّ شَيْءٍ مِنَ ٱلْأَوَّلِ بِتَدْقِيقٍ، أَنْ أَكْتُبَ عَلَى ٱلتَّوَالِي إِلَيْكَ أَيُّهَا ٱلْعَزِيزُ ثَاوُفِيلُسُ، ٣ 3
মহামান্য থিয়ফিল, সেইজন্য আমি প্রথম থেকে সবকিছু সযত্নে অনুসন্ধান করে আপনার জন্য একটি সুবিন্যস্ত বিবরণ রচনা করা সংগত বিবেচনা করলাম,
لِتَعْرِفَ صِحَّةَ ٱلْكَلَامِ ٱلَّذِي عُلِّمْتَ بِهِ. ٤ 4
যেন আপনি যে শিক্ষা লাভ করেছেন, সে বিষয়ে আপনার জ্ঞান সুনিশ্চিত হয়।
كَانَ فِي أَيَّامِ هِيرُودُسَ مَلِكِ ٱلْيَهُودِيَّةِ كَاهِنٌ ٱسْمُهُ زَكَرِيَّا مِنْ فِرْقَةِ أَبِيَّا، وَٱمْرَأَتُهُ مِنْ بَنَاتِ هارُونَ وَٱسْمُهَا أَلِيصَابَاتُ. ٥ 5
যিহূদিয়ার রাজা হেরোদের রাজত্বকালে সখরিয় নামে একজন যাজক ছিলেন। তিনি ছিলেন অবিয়ের পুরোহিত অধীনস্থ যাজক-সম্প্রদায়ভুক্ত। তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেতও ছিলেন হারোণ বংশীয়।
وَكَانَا كِلَاهُمَا بَارَّيْنِ أَمَامَ ٱللهِ، سَالِكَيْنِ فِي جَمِيعِ وَصَايَا ٱلرَّبِّ وَأَحْكَامِهِ بِلَا لَوْمٍ. ٦ 6
তাঁরা উভয়েই ছিলেন ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক। তাঁরা প্রভুর সমস্ত আজ্ঞা ও বিধিনিয়ম নির্দোষরূপে পালন করতেন।
وَلَمْ يَكُنْ لَهُمَا وَلَدٌ، إِذْ كَانَتْ أَلِيصَابَاتُ عَاقِرًا. وَكَانَا كِلَاهُمَا مُتَقَدِّمَيْنِ فِي أَيَّامِهِمَا. ٧ 7
কিন্তু তাঁরা ছিলেন নিঃসন্তান, কারণ ইলিশাবেত বন্ধ্যা ছিলেন এবং তাঁদের দুজনেরই বেশ বয়স হয়েছিল।
فَبَيْنَمَا هُوَ يَكْهَنُ فِي نَوْبَةِ فِرْقَتِهِ أَمَامَ ٱللهِ، ٨ 8
একদিন সখরিয়ের দলের পালা ছিল এবং তিনি ঈশ্বরের সামনে যাজকীয় পরিচর্যা করছিলেন।
حَسَبَ عَادَةِ ٱلْكَهَنُوتِ، أَصَابَتْهُ ٱلْقُرْعَةُ أَنْ يَدْخُلَ إِلَى هَيْكَلِ ٱلرَّبِّ وَيُبَخِّرَ. ٩ 9
যাজকীয় কাজের রীতি অনুসারে, প্রভুর মন্দিরে গিয়ে ধূপ জ্বালাবার জন্য তিনিই গুটিকাপাতের দ্বারা মনোনীত হয়েছিলেন।
وَكَانَ كُلُّ جُمْهُورِ ٱلشَّعْبِ يُصَلُّونَ خَارِجًا وَقْتَ ٱلْبَخُورِ. ١٠ 10
সেই ধূপ জ্বালাবার সময় যখন উপস্থিত হল, সমবেত উপাসকেরা তখন বাইরে প্রার্থনা করছিলেন।
فَظَهَرَ لَهُ مَلَاكُ ٱلرَّبِّ وَاقِفًا عَنْ يَمِينِ مَذْبَحِ ٱلْبَخُورِ. ١١ 11
সেই সময় প্রভুর এক দূত ধূপ জ্বালাবার বেদির ডানদিকে দাঁড়িয়ে তাঁর কাছে আবির্ভূত হলেন।
فَلَمَّا رَآهُ زَكَرِيَّا ٱضْطَرَبَ وَوَقَعَ عَلَيْهِ خَوْفٌ. ١٢ 12
তাঁকে দেখে সখরিয় বিস্ময়ে বিহ্বল ও ভীত হলেন।
فَقَالَ لَهُ ٱلْمَلَاكُ: «لَا تَخَفْ يَا زَكَرِيَّا، لِأَنَّ طِلْبَتَكَ قَدْ سُمِعَتْ، وَٱمْرَأَتُكَ أَلِيصَابَاتُ سَتَلِدُ لَكَ ٱبْنًا وَتُسَمِّيهِ يُوحَنَّا. ١٣ 13
কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “সখরিয়, ভয় পেয়ো না, ঈশ্বর তোমার প্রার্থনা শুনেছেন। তোমার স্ত্রী ইলিশাবেত তোমার জন্য এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেবেন। তুমি তার নাম রাখবে, যোহন।
وَيَكُونُ لَكَ فَرَحٌ وَٱبْتِهَاجٌ، وَكَثِيرُونَ سَيَفْرَحُونَ بِوِلَادَتِهِ، ١٤ 14
সে তোমার আনন্দ ও উল্লাসের কারণ হবে এবং তার জন্মে অনেক মানুষ উল্লসিত হবে,
لِأَنَّهُ يَكُونُ عَظِيمًا أَمَامَ ٱلرَّبِّ، وَخَمْرًا وَمُسْكِرًا لَا يَشْرَبُ، وَمِنْ بَطْنِ أُمِّهِ يَمْتَلِئُ مِنَ ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ. ١٥ 15
কারণ প্রভুর দৃষ্টিতে সে হবে মহান। সে কখনও দ্রাক্ষারস, বা অন্য কোনো উত্তেজক পানীয় গ্রহণ করবে না এবং জন্মমুহূর্ত থেকেই সে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হবে।
وَيَرُدُّ كَثِيرِينَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِهِمْ. ١٦ 16
ইস্রায়েলের বহু মানুষকে সে তাদের প্রভু ঈশ্বরের কাছে ফিরিয়ে আনবে।
وَيَتَقَدَّمُ أَمَامَهُ بِرُوحِ إِيلِيَّا وَقُوَّتِهِ، لِيَرُدَّ قُلُوبَ ٱلْآبَاءِ إِلَى ٱلْأَبْنَاءِ، وَٱلْعُصَاةَ إِلَى فِكْرِ ٱلْأَبْرَارِ، لِكَيْ يُهَيِّئَ لِلرَّبِّ شَعْبًا مُسْتَعِدًّا». ١٧ 17
ভাববাদী এলিয়ের আত্মা ও পরাক্রমে সে প্রভুর অগ্রগামী হবে; সকল পিতৃহৃদয়কে তাদের সন্তানের দিকে ফিরিয়ে আনবে, অবাধ্যদের ধার্মিকদের প্রজ্ঞাপথে নিয়ে আসবে—প্রভুর জন্য এক প্রজাসমাজকে প্রস্তুত করে তুলবে।”
فَقَالَ زَكَرِيَّا لِلْمَلَاكِ: «كَيْفَ أَعْلَمُ هَذَا، لِأَنِّي أَنَا شَيْخٌ وَٱمْرَأَتِي مُتَقَدِّمَةٌ فِي أَيَّامِهَا؟». ١٨ 18
সখরিয় দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আমি কী করে এ বিষয়ে সুনিশ্চিত হব? কারণ আমি বৃদ্ধ, আমার স্ত্রীরও অনেক বয়স হয়েছে।”
فَأَجَابَ ٱلْمَلَاكُ وَقَالَ لَهُ: «أَنَا جِبْرَائِيلُ ٱلْوَاقِفُ قُدَّامَ ٱللهِ، وَأُرْسِلْتُ لِأُكَلِّمَكَ وَأُبَشِّرَكَ بِهَذَا. ١٩ 19
দূত উত্তর দিলেন, “আমি গ্যাব্রিয়েল, ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। এই শুভবার্তা ব্যক্ত করার জন্য ও তোমার সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাকে তোমার কাছে পাঠানো হয়েছে।
وَهَا أَنْتَ تَكُونُ صَامِتًا وَلَا تَقْدِرُ أَنْ تَتَكَلَّمَ، إِلَى ٱلْيَوْمِ ٱلَّذِي يَكُونُ فِيهِ هَذَا، لِأَنَّكَ لَمْ تُصَدِّقْ كَلَامِي ٱلَّذِي سَيَتِمُّ فِي وَقْتِهِ». ٢٠ 20
কিন্তু তুমি আমার কথা বিশ্বাস করলে না, যদিও সেকথা যথাসময়ে সত্য হয়ে উঠবে। এজন্য তুমি বোবা হয়ে যাবে এবং যতদিন না এই ঘটনা ঘটে, তুমি কথা বলতে পারবে না।”
وَكَانَ ٱلشَّعْبُ مُنْتَظِرِينَ زَكَرِيَّا وَمُتَعّجِّبِينَ مِنْ إِبْطَائِهِ فِي ٱلْهَيْكَلِ. ٢١ 21
এদিকে সখরিয়ের জন্য অপেক্ষায় লোকেরা অবাক হয়ে ভাবছিল, তিনি মন্দিরে কেন এত দেরি করছেন।
فَلَمَّا خَرَجَ لَمْ يَسْتَطِعْ أَنْ يُكَلِّمَهُمْ، فَفَهِمُوا أَنَّهُ قَدْ رَأَى رُؤْيَا فِي ٱلْهَيْكَلِ. فَكَانَ يُومِئُ إِلَيْهِمْ وَبَقِيَ صَامِتًا. ٢٢ 22
বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারলেন না। তারা উপলব্ধি করল, তিনি মন্দিরে কোনো দর্শন লাভ করেছেন, কারণ তিনি ক্রমাগত ইঙ্গিতে তাদের বোঝাচ্ছিলেন, কিন্তু কথা বলতে পারছিলেন না।
وَلَمَّا كَمِلَتْ أَيَّامُ خِدْمَتِهِ مَضَى إِلَى بَيْتِهِ. ٢٣ 23
তাঁর পরিচর্যার কাজ সম্পূর্ণ হলে তিনি ঘরে ফিরে গেলেন।
وَبَعْدَ تِلْكَ ٱلْأَيَّامِ حَبِلَتْ أَلِيصَابَاتُ ٱمْرَأَتُهُ، وَأَخْفَتْ نَفْسَهَا خَمْسَةَ أَشْهُرٍ قَائِلَةً: ٢٤ 24
এরপরে তাঁর স্ত্রী ইলিশাবেত অন্তঃসত্ত্বা হলেন এবং পাঁচ মাস গোপনে অবস্থান করলেন।
«هَكَذَا قَدْ فَعَلَ بِيَ ٱلرَّبُّ فِي ٱلْأَيَّامِ ٱلَّتِي فِيهَا نَظَرَ إِلَيَّ، لِيَنْزِعَ عَارِي بَيْنَ ٱلنَّاسِ». ٢٥ 25
তিনি বললেন, “প্রভু আমার জন্য এ কাজ করেছেন। এই সময়ে তিনি আমার প্রতি করুণা প্রদর্শন করেছেন, লোকসমাজ থেকে আমার অপবাদ দূর করেছেন।”
وَفِي ٱلشَّهْرِ ٱلسَّادِسِ أُرْسِلَ جِبْرَائِيلُ ٱلْمَلَاكُ مِنَ ٱللهِ إِلَى مَدِينَةٍ مِنَ ٱلْجَلِيلِ ٱسْمُهَا نَاصِرَةُ، ٢٦ 26
ছয় মাস পরে ঈশ্বর তাঁর দূত গ্যাব্রিয়েলকে গালীল প্রদেশের নাসরৎ-নগরে এক কুমারীর কাছে পাঠালেন।
إِلَى عَذْرَاءَ مَخْطُوبَةٍ لِرَجُلٍ مِنْ بَيْتِ دَاوُدَ ٱسْمُهُ يُوسُفُ. وَٱسْمُ ٱلْعَذْرَاءِ مَرْيَمُ. ٢٧ 27
তিনি দাউদ বংশের যোষেফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগদত্তা হয়েছিলেন। সেই কুমারী কন্যার নাম ছিল মরিয়ম।
فَدَخَلَ إِلَيْهَا ٱلْمَلَاكُ وَقَالَ: «سَلَامٌ لَكِ أَيَّتُهَا ٱلْمُنْعَمُ عَلَيْهَا! اَلرَّبُّ مَعَكِ. مُبَارَكَةٌ أَنْتِ فِي ٱلنِّسَاءِ». ٢٨ 28
দূত তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, “মহান অনুগ্রহের অধিকারিণী, তোমাকে অভিনন্দন! প্রভু তোমার সঙ্গে আছেন।”
فَلَمَّا رَأَتْهُ ٱضْطَرَبَتْ مِنْ كَلَامِهِ، وَفَكَّرَتْ: «مَا عَسَى أَنْ تَكُونَ هَذِهِ ٱلتَّحِيَّةُ!». ٢٩ 29
তাঁর কথা শুনে মরিয়ম অত্যন্ত বিচলিত হলেন এবং অবাক হয়ে ভাবলেন, এ কী ধরনের অভিবাদন হতে পারে!
فَقَالَ لَهَا ٱلْمَلَاكُ: «لَا تَخَافِي يَا مَرْيَمُ، لِأَنَّكِ قَدْ وَجَدْتِ نِعْمَةً عِنْدَ ٱللهِ. ٣٠ 30
কিন্তু দূত তাঁকে বললেন, “মরিয়ম, ভয় পেয়ো না। তুমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করেছ।
وَهَا أَنْتِ سَتَحْبَلِينَ وَتَلِدِينَ ٱبْنًا وَتُسَمِّينَهُ يَسُوعَ. ٣١ 31
তুমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে এক পুত্রের জন্ম দেবে, আর তুমি তাঁর নাম রাখবে যীশু।
هَذَا يَكُونُ عَظِيمًا، وَٱبْنَ ٱلْعَلِيِّ يُدْعَى، وَيُعْطِيهِ ٱلرَّبُّ ٱلْإِلَهُ كُرْسِيَّ دَاوُدَ أَبِيهِ، ٣٢ 32
তিনি মহান হবেন ও পরাৎপরের পুত্র নামে আখ্যাত হবেন। প্রভু ঈশ্বর তাঁর পিতা দাউদের সিংহাসন তাঁকে দেবেন
وَيَمْلِكُ عَلَى بَيْتِ يَعْقُوبَ إِلَى ٱلْأَبَدِ، وَلَا يَكُونُ لِمُلْكِهِ نِهَايَةٌ». (aiōn g165) ٣٣ 33
এবং তিনি যাকোব বংশে চিরকাল রাজত্ব করবেন। তাঁর রাজত্বের কখনও অবসান হবে না।” (aiōn g165)
فَقَالَتْ مَرْيَمُ لِلْمَلَاكِ: «كَيْفَ يَكُونُ هَذَا وَأَنَا لَسْتُ أَعْرِفُ رَجُلًا؟». ٣٤ 34
মরিয়ম দূতকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তা কী করে হবে? আমি যে কুমারী!”
فَأَجَابَ ٱلْمَلَاكُ وَقَالَ لَها: «اَلرُّوحُ ٱلْقُدُسُ يَحِلُّ عَلَيْكِ، وَقُوَّةُ ٱلْعَلِيِّ تُظَلِّلُكِ، فَلِذَلِكَ أَيْضًا ٱلْقُدُّوسُ ٱلْمَوْلُودُ مِنْكِ يُدْعَى ٱبْنَ ٱللهِ. ٣٥ 35
উত্তর দিয়ে দূত তাঁকে বললেন, “পবিত্র আত্মা তোমার উপরে অবতরণ করবেন ও পরাৎপরের শক্তি তোমাকে আবৃত করবে। তাই যে পবিত্র পুরুষ জন্মগ্রহণ করবেন, তিনি ঈশ্বরের পুত্র বলে আখ্যাত হবেন।
وَهُوَذَا أَلِيصَابَاتُ نَسِيبَتُكِ هِيَ أَيْضًا حُبْلَى بِٱبْنٍ فِي شَيْخُوخَتِهَا، وَهَذَا هُوَ ٱلشَّهْرُ ٱلسَّادِسُ لِتِلْكَ ٱلْمَدْعُوَّةِ عَاقِرًا، ٣٦ 36
আর তোমার আত্মীয় ইলিশাবেতও বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের মা হতে চলেছেন। যাকে সকলে বন্ধ্যা বলে জানত, এখন তাঁর ছয় মাস চলছে।
لِأَنَّهُ لَيْسَ شَيْءٌ غَيْرَ مُمْكِنٍ لَدَى ٱللهِ». ٣٧ 37
কারণ ঈশ্বর যা বলেন তা সবসময় সত্যি হয়।”
فَقَالَتْ مَرْيَمُ: «هُوَذَا أَنَا أَمَةُ ٱلرَّبِّ. لِيَكُنْ لِي كَقَوْلِكَ». فَمَضَى مِنْ عِنْدِهَا ٱلْمَلَاكُ. ٣٨ 38
মরিয়ম উত্তর দিলেন, “আমি প্রভুর দাসী। আপনি যে রকম বললেন, আমার প্রতি সেরকমই হোক।” এরপর দূত তাঁকে ছেড়ে চলে গেলেন।
فَقَامَتْ مَرْيَمُ فِي تِلْكَ ٱلْأَيَّامِ وَذَهَبَتْ بِسُرْعَةٍ إِلَى ٱلْجِبَالِ إِلَى مَدِينَةِ يَهُوذَا، ٣٩ 39
তখন মরিয়ম যিহূদিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের এক নগরের দিকে দ্রুত বেরিয়ে পড়লেন।
وَدَخَلَتْ بَيْتَ زَكَرِيَّا وَسَلَّمَتْ عَلَى أَلِيصَابَاتَ. ٤٠ 40
সেখানে এসে তিনি সখরিয়ের বাড়িতে প্রবেশ করে ইলিশাবেতকে অভিনন্দন জানালেন।
فَلَمَّا سَمِعَتْ أَلِيصَابَاتُ سَلَامَ مَرْيَمَ ٱرْتَكَضَ ٱلْجَنِينُ فِي بَطْنِهَا، وَٱمْتَلَأَتْ أَلِيصَابَاتُ مِنَ ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ، ٤١ 41
ইলিশাবেত যখন মরিয়মের অভিনন্দন শুনলেন, তাঁর গর্ভে শিশুটি লাফ দিয়ে উঠল এবং ইলিশাবেত পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হলেন।
وَصَرَخَتْ بِصَوْتٍ عَظِيمٍ وَقَالَتْ: «مُبَارَكَةٌ أَنْتِ فِي ٱلنِّسَاءِ وَمُبَارَكَةٌ هِيَ ثَمَرَةُ بَطْنِكِ! ٤٢ 42
উচ্ছ্বসিত স্বরে তিনি বলে উঠলেন, “নারীকুলে তুমি ধন্য, আর যে শিশুকে তুমি গর্ভে ধারণ করবে, সেও ধন্য।
فَمِنْ أَيْنَ لِي هَذَا أَنْ تَأْتِيَ أُمُّ رَبِّي إِلَيَّ؟ ٤٣ 43
আর আমার প্রতিই বা এত অনুগ্রহের কারণ কী যে, আমার প্রভুর মা আমার কাছে এসেছেন?
فَهُوَذَا حِينَ صَارَ صَوْتُ سَلَامِكِ فِي أُذُنَيَّ ٱرْتَكَضَ ٱلْجَنِينُ بِٱبْتِهَاجٍ فِي بَطْنِي. ٤٤ 44
তোমার অভিনন্দন আমার কানে প্রবেশ করা মাত্র, আমার গর্ভের শিশুটি আনন্দে নেচে উঠল।
فَطُوبَى لِلَّتِي آمَنَتْ أَنْ يَتِمَّ مَا قِيلَ لَهَا مِنْ قِبَلِ ٱلرَّبِّ». ٤٥ 45
ধন্য সেই নারী, যে বিশ্বাস করেছে, প্রভুর প্রতিশ্রুতি তাঁর জীবনে সার্থক হয়ে উঠবে।”
فَقَالَتْ مَرْيَمُ: «تُعَظِّمُ نَفْسِي ٱلرَّبَّ، ٤٦ 46
তখন মরিয়ম বললেন, “আমার প্রাণ প্রভুর মহিমাকীর্তন করে,
وَتَبْتَهِجُ رُوحِي بِٱللهِ مُخَلِّصِي، ٤٧ 47
আমার পরিত্রাতা ঈশ্বরে আমার আত্মা উল্লাস করে।
لِأَنَّهُ نَظَرَ إِلَى ٱتِّضَاعِ أَمَتِهِ. فَهُوَذَا مُنْذُ ٱلْآنَ جَمِيعُ ٱلْأَجْيَالِ تُطَوِّبُنِي، ٤٨ 48
কারণ তিনি তাঁর এই দীনদরিদ্র দাসীর প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন। এখন থেকে পুরুষ-পরম্পরা আমাকে ধন্য বলে অভিহিত করবে।
لِأَنَّ ٱلْقَدِيرَ صَنَعَ بِي عَظَائِمَ، وَٱسْمُهُ قُدُّوسٌ، ٤٩ 49
কারণ যিনি পরাক্রমী, যিনি আমার জন্য কত মহৎ কাজ সাধন করেছেন— তাঁর নাম পবিত্র।
وَرَحْمَتُهُ إِلَى جِيلِ ٱلْأَجْيَالِ لِلَّذِينَ يَتَّقُونَهُ. ٥٠ 50
যারা তাঁকে ভয় করে, তাদেরই জন্য পুরুষ-পরম্পরায় তাঁর করুণার হাত প্রসারিত।
صَنَعَ قُوَّةً بِذِرَاعِهِ. شَتَّتَ ٱلْمُسْتَكْبِرِينَ بِفِكْرِ قُلُوبِهِمْ. ٥١ 51
তাঁর বাহু সব পরাক্রম কাজ সাধন করেছে; যারা অন্তরের গভীরতম ভাবনায় গর্বিত, তিনি তাদের ছত্রভঙ্গ করেছেন।
أَنْزَلَ ٱلْأَعِزَّاءَ عَنِ ٱلْكَرَاسِيِّ وَرَفَعَ ٱلْمُتَّضِعِينَ. ٥٢ 52
শাসকদের তিনি সিংহাসনচ্যূত করেছেন, কিন্তু বিনম্রদের উন্নত করেছেন।
أَشْبَعَ ٱلْجِيَاعَ خَيْرَاتٍ وَصَرَفَ ٱلْأَغْنِيَاءَ فَارِغِينَ. ٥٣ 53
তিনি উত্তম দ্রব্যে ক্ষুধার্তদের তৃপ্ত করেছেন, কিন্তু ধনীদের রিক্ত হাতে বিদায় করেছেন।
عَضَدَ إِسْرَائِيلَ فَتَاهُ لِيَذْكُرَ رَحْمَةً، ٥٤ 54
আপন করুণার কথা স্মরণ করে, তিনি তাঁর সেবক ইস্রায়েলকে সহায়তা দান করেছেন।
كَمَا كَلَّمَ آبَاءَنَا. لِإِبْراهِيمَ وَنَسْلِهِ إِلَى ٱلْأَبَدِ». (aiōn g165) ٥٥ 55
যেমন আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে বলেছিলেন, অব্রাহাম ও তাঁর বংশধরদের প্রতি চিরতরে করুণা প্রদান করেছেন।” (aiōn g165)
فَمَكَثَتْ مَرْيَمُ عِنْدَهَا نَحْوَ ثَلَاثَةِ أَشْهُرٍ، ثُمَّ رَجَعَتْ إِلَى بَيْتِهَا. ٥٦ 56
মরিয়ম প্রায় তিন মাস ইলিশাবেতের কাছে রইলেন, তারপর তিনি বাড়িতে ফিরে এলেন।
وَأَمَّا أَلِيصَابَاتُ فَتَمَّ زَمَانُهَا لِتَلِدَ، فَوَلَدَتِ ٱبْنًا. ٥٧ 57
প্রসবের সময় পূর্ণ হলে, ইলিশাবেত এক পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন।
وَسَمِعَ جِيرَانُهَا وَأَقْرِبَاؤُهَا أَنَّ ٱلرَّبَّ عَظَّمَ رَحْمَتَهُ لَهَا، فَفَرِحُوا مَعَهَا. ٥٨ 58
তাঁর প্রতিবেশী এবং আত্মীয়পরিজনেরা শুনল যে, প্রভু তাঁর প্রতি মহৎ করুণা প্রদর্শন করেছেন, আর তারাও তাঁর আনন্দের অংশীদার হল।
وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّامِنِ جَاءُوا لِيَخْتِنُوا ٱلصَّبِيَّ، وَسَمَّوْهُ بِٱسْمِ أَبِيهِ زَكَرِيَّا. ٥٩ 59
অষ্টম দিনে তারা শিশুটিকে সুন্নত করার জন্য এসে তার পিতার নাম অনুসারে শিশুটির নাম সখরিয় রাখতে চাইল।
فَأَجَابَتْ أمُّهُ وَقَالَتْ: «لَا! بَلْ يُسَمَّى يُوحَنَّا». ٦٠ 60
কিন্তু তার মা বলে উঠলেন, “না, ওর নাম হবে যোহন।”
فَقَالُوا لَهَا: «لَيْسَ أَحَدٌ فِي عَشِيرَتِكِ تَسَمَّى بِهَذَا ٱلِٱسْمِ». ٦١ 61
তারা তাঁকে বলল, “কেন? আপনার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে কারও তো এই নাম নেই!”
ثُمَّ أَوْمَأُوا إِلَى أَبِيهِ، مَاذَا يُرِيدُ أَنْ يُسَمَّى. ٦٢ 62
তখন তারা তার পিতার কাছে ইশারায় জানতে চাইল, তিনি শিশুটির কী নাম রাখতে চান।
فَطَلَبَ لَوْحًا وَكَتَبَ قَائِلًا: «ٱسْمُهُ يُوحَنَّا». فَتَعَجَّبَ ٱلْجَمِيعُ. ٦٣ 63
তিনি একটি লিপিফলক চেয়ে নিলেন এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে লিখলেন, “ওর নাম যোহন।”
وَفِي ٱلْحَالِ ٱنْفَتَحَ فَمُهُ وَلِسَانُهُ وَتَكَلَّمَ وَبَارَكَ ٱللهَ. ٦٤ 64
সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মুখ খুলে গেল, জিভের জড়তা চলে গেল, আর তিনি কথা বলতে লাগলেন ও ঈশ্বরের প্রশংসায় মুখর হলেন।
فَوَقَعَ خَوْفٌ عَلَى كُلِّ جِيرَانِهِمْ. وَتُحُدِّثَ بِهَذِهِ ٱلْأُمُورِ جَمِيعِهَا فِي كُلِّ جِبَالِ ٱلْيَهُودِيَّةِ، ٦٥ 65
প্রতিবেশীরা সবাই ভীত হল এবং যিহূদিয়ার সমস্ত পার্বত্য অঞ্চলের লোকেরা এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে লাগল।
فَأَوْدَعَهَا جَمِيعُ ٱلسَّامِعِينَ فِي قُلُوبِهِمْ قَائِلِينَ: «أَتَرَى مَاذَا يَكُونُ هَذَا ٱلصَّبِيُّ؟». وَكَانَتْ يَدُ ٱلرَّبِّ مَعَهُ. ٦٦ 66
যারা শুনল, তারা প্রত্যেকেই বিস্মিত হয়ে বলাবলি করল, “এই শিশুটি তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে?” কারণ প্রভুর হাত ছিল তার সহায়।
وَٱمْتَلَأَ زَكَرِيَّا أَبُوهُ مِنَ ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ، وَتَنَبَّأَ قَائِلًا: ٦٧ 67
তখন তার পিতা সখরিয় পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হয়ে ভাববাণী করলেন। তিনি বললেন:
«مُبَارَكٌ ٱلرَّبُّ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ لِأَنَّهُ ٱفْتَقَدَ وَصَنَعَ فِدَاءً لِشَعْبِهِ، ٦٨ 68
“প্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বরের নাম প্রশংসিত হোক, কারণ তিনি এসে তাঁর প্রজাদের মুক্ত করেছেন।
وَأَقَامَ لَنَا قَرْنَ خَلَاصٍ فِي بَيْتِ دَاوُدَ فَتَاهُ. ٦٩ 69
তিনি তাঁর দাস দাউদের বংশে আমাদের জন্য এক ত্রাণশৃঙ্গ তুলে ধরেছেন,
كَمَا تَكَلَّمَ بِفَمِ أَنْبِيَائِهِ ٱلْقِدِّيسِينَ ٱلَّذِينَ هُمْ مُنْذُ ٱلدَّهْرِ، (aiōn g165) ٧٠ 70
(বহুকাল আগে তাঁর পবিত্র ভাববাদীদের মাধ্যমে তিনি যেমন বলেছিলেন), (aiōn g165)
خَلَاصٍ مِنْ أَعْدَائِنَا وَمِنْ أَيْدِي جَمِيعِ مُبْغِضِينَا. ٧١ 71
যেন আমরা আমাদের সব শত্রুর কবল থেকে উদ্ধার পাই, যারা আমাদের ঘৃণা করে, তাদের হাত থেকে রক্ষা পাই,
لِيَصْنَعَ رَحْمَةً مَعَ آبَائِنَا وَيَذْكُرَ عَهْدَهُ ٱلْمُقَدَّسَ، ٧٢ 72
আমাদের পিতৃপুরুষদের প্রতি করুণা প্রদর্শন এবং তাঁর পবিত্র নিয়ম স্মরণ করার জন্য,
ٱلْقَسَمَ ٱلَّذِي حَلَفَ لِإِبْرَاهِيمَ أَبِينَا: ٧٣ 73
আমাদের পিতা অব্রাহামের কাছে তিনি যা শপথ করেছিলেন:
أَنْ يُعْطِيَنَا إِنَّنَا بِلَا خَوْفٍ، مُنْقَذِينَ مِنْ أَيْدِي أَعْدَائِنَا، نَعْبُدُهُ ٧٤ 74
তিনি আমাদের সব শত্রুর হাত থেকে আমাদের নিস্তার করবেন, যেন নির্ভয়ে তাঁর সেবা করতে আমাদের সক্ষম করেন,
بِقَدَاسَةٍ وَبِرٍّ قُدَّامَهُ جَمِيعَ أَيَّامِ حَيَاتِنَا. ٧٥ 75
যেন তাঁর সামনে পবিত্রতায় ও ধার্মিকতায় আমরা তাঁর সেবা করে যাই।
وَأَنْتَ أَيُّهَا ٱلصَّبِيُّ نَبِيَّ ٱلْعَلِيِّ تُدْعَى، لِأَنَّكَ تَتَقَدَّمُ أَمَامَ وَجْهِ ٱلرَّبِّ لِتُعِدَّ طُرُقَهُ. ٧٦ 76
“আর তুমি, আমার শিশুসন্তান, তুমি পরাৎপরের ভাববাদী বলে আখ্যাত হবে, কারণ প্রভুর পথ প্রস্তুতির জন্য তুমি তাঁর অগ্রগামী হবে;
لِتُعْطِيَ شَعْبَهُ مَعْرِفَةَ ٱلْخَلَاصِ بِمَغْفِرَةِ خَطَايَاهُمْ، ٧٧ 77
তাঁর প্রজাবৃন্দকে, তাদের পাপসমূহ ক্ষমার মাধ্যমে পরিত্রাণের জ্ঞান দেওয়ার জন্য।
بِأَحْشَاءِ رَحْمَةِ إِلَهِنَا ٱلَّتِي بِهَا ٱفْتَقَدَنَا ٱلْمُشْرَقُ مِنَ ٱلْعَلَاءِ. ٧٨ 78
আমাদের ঈশ্বরের স্নেহময় করুণার গুণে, স্বর্গ থেকে আমাদের মাঝে স্বর্গীয় জ্যোতির উদয় হবে।
لِيُضِيءَ عَلَى ٱلْجَالِسِينَ فِي ٱلظُّلْمَةِ وَظِلَالِ ٱلْمَوْتِ، لِكَيْ يَهْدِيَ أَقْدَامَنَا فِي طَرِيقِ ٱلسَّلَامِ». ٧٩ 79
যারা অন্ধকারে, মৃত্যুচ্ছায়ায় বসবাস করছে, তাদের উপর আলো বিকীর্ণ করতে, আমাদের পা শান্তির পথে চালিত করতে।”
أَمَّا ٱلصَّبِيُّ فَكَانَ يَنْمُو وَيَتَقَوَّى بِٱلرُّوحِ، وَكَانَ فِي ٱلْبَرَارِي إِلَى يَوْمِ ظُهُورِهِ لِإِسْرَائِيلَ. ٨٠ 80
আর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই শিশু আত্মাতে বলীয়ান হয়ে উঠলেন এবং ইস্রায়েলের জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ না করা পর্যন্ত, তিনি মরুপ্রান্তরে বসবাস করলেন।

< لُوقا 1 >