< اَللَّاوِيِّينَ 5 >
«وَإِذَا أَخْطَأَ أَحَدٌ وَسَمِعَ صَوْتَ حَلْفٍ وَهُوَ شَاهِدٌ يُبْصِرُ أَوْ يَعْرِفُ، فَإِنْ لَمْ يُخْبِرْ بِهِ حَمَلَ ذَنْبَهُ. | ١ 1 |
“‘যদি কেউ নিজের চোখে দেখে অথবা নিজের কানে শুনেও তা প্রকাশ না করার জন্য পাপ করে, তাহলে সেই বিষয়ের জন্য সে দায়ী হবে।
أَوْ إِذَا مَسَّ أَحَدٌ شَيْئًا نَجِسًا: جُثَّةَ وَحْشٍ نَجِسٍ، أَوْ جُثَّةَ بَهِيمَةٍ نَجِسَةٍ، أَوْ جُثَّةَ دَبِيبٍ نَجِسٍ، وَأُخْفِيَ عَنْهُ، فَهُوَ نَجِسٌ وَمُذْنِبٌ. | ٢ 2 |
“‘যদি কোনো ব্যক্তি জানতে পারে যে সে দোষী—যদি সে অজান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে অশুচি কোনো জিনিস স্পর্শ করে (হতে পারে অশুচি পশুর মৃতদেহ, বন্য অথবা গৃহপালিত, অথবা কোনো অশুচি জীব যা মাটিতে চলে) এবং জানে না যে সে অশুচি, কিন্তু পরে উপলব্ধি করে যে সে অশুচি;
أَوْ إِذَا مَسَّ نَجَاسَةَ إِنْسَانٍ مِنْ جَمِيعِ نَجَاسَاتِهِ ٱلَّتِي يَتَنَجَّسُ بِهَا، وَأُخْفِيَ عَنْهُ ثُمَّ عُلِمَ، فَهُوَ مُذْنِبٌ. | ٣ 3 |
অথবা যদি সে মানুষের অশৌচ স্পর্শ করে (যা তাকে অশুচি করে) যদিও সে সেই বিষয় অবগত না হয়, কিন্তু পরে জানতে পারে এবং নিজের দোষ উপলব্ধি করে;
أَوْ إِذَا حَلَفَ أَحَدٌ مُفْتَرِطًا بِشَفَتَيْهِ لِلْإِسَاءَةِ أَوْ لِلْإِحْسَانِ مِنْ جَمِيعِ مَا يَفْتَرِطُ بِهِ ٱلْإِنْسَانُ فِي ٱلْيَمِينِ، وَأُخْفِيَ عَنْهُ، ثُمَّ عُلِمَ، فَهُوَ مُذْنِبٌ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ. | ٤ 4 |
অথবা যদি কেউ অবিবেচকের মতো ভালো বা মন্দ কোনো কিছু করার শপথ গ্রহণ করে (যে কোনো কিছু করতে অযত্নে শপথ গ্রহণ করে) যদিও সে সেই বিষয় অবগত না হয়, কিন্তু পরে জানতে পারে এবং নিজের দোষ উপলব্ধি করে।
فَإِنْ كَانَ يُذْنِبُ فِي شَيْءٍ مِنْ هَذِهِ، يُقِرُّ بِمَا قَدْ أَخْطَأَ بِهِ. | ٥ 5 |
এগুলির কোনো একটির দ্বারা যখন কেউ অপরাধী হয়, সে নিজের পাপ অবশ্যই স্বীকার করবে।
وَيَأْتِي إِلَى ٱلرَّبِّ بِذَبِيحَةٍ لِإِثْمِهِ عَنْ خَطِيَّتِهِ ٱلَّتِي أَخْطَأَ بِهَا: أُنْثَى مِنَ ٱلْأَغْنَامِ نَعْجَةً أَوْ عَنْزًا مِنَ ٱلْمَعْزِ، ذَبِيحَةَ خَطِيَّةٍ، فَيُكَفِّرُ عَنْهُ ٱلْكَاهِنُ مِنْ خَطِيَّتِهِ. | ٦ 6 |
তার কৃত পাপের দণ্ডরূপে এক পাপার্থক বলির জন্য একটি মেষবৎসা অথবা ছাগবৎসা সদাপ্রভুর উদ্দেশে সে নিবেদন করবে এবং তার পাপমোচনের জন্য তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে।
وَإِنْ لَمْ تَنَلْ يَدُهُ كِفَايَةً لِشَاةٍ، فَيَأْتِي بِذَبِيحَةٍ لِإِثْمِهِ ٱلَّذِي أَخْطَأَ بِهِ: يَمَامَتَيْنِ أَوْ فَرْخَيْ حَمَامٍ إِلَى ٱلرَّبِّ، أَحَدُهُمَا ذَبِيحَةُ خَطِيَّةٍ وَٱلْآخَرُ مُحْرَقَةٌ. | ٧ 7 |
“‘সে যদি মেষবৎসা আনতে অসমর্থ হয়, তাহলে তার কৃত পাপের জন্য দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক এক দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে সদাপ্রভুর কাছে আনবে—একটি পাপার্থক ও অন্যটি হোমবলি হবে।
يَأْتِي بِهِمَا إِلَى ٱلْكَاهِنِ، فَيُقَرِّبُ ٱلَّذِي لِلْخَطِيَّةِ أَوَّلًا. يَحُزُّ رَأْسَهُ مِنْ قَفَاهُ وَلَا يَفْصِلُهُ. | ٨ 8 |
সে যাজকের কাছে সেগুলি আনবে, তিনি পাপার্থক বলিরূপে প্রথমে একটি শাবক উৎসর্গ করবেন। যাজক ওই শাবকের মাথা থেকে গলা মোচড় দেবে, কিন্তু ছিঁড়ে ফেলবে না,
وَيَنْضِحُ مِنْ دَمِ ذَبِيحَةِ ٱلْخَطِيَّةِ عَلَى حَائِطِ ٱلْمَذْبَحِ، وَٱلْبَاقِي مِنَ ٱلدَّمِ يُعْصَرُ إِلَى أَسْفَلِ ٱلْمَذْبَحِ. إِنَّهُ ذَبِيحَةُ خَطِيَّةٍ. | ٩ 9 |
এবং পাপার্থক বলির কিছুটা রক্ত নিয়ে বেদির গায়ে ছিটাবে এবং অবশিষ্ট রক্ত বেদির মূলে ঢেলে দেবে। এটি পাপার্থক বলি।
وَأَمَّا ٱلثَّانِي فَيَعْمَلُهُ مُحْرَقَةً كَٱلْعَادَةِ، فَيُكَفِّرُ عَنْهُ ٱلْكَاهِنُ مِنْ خَطِيَّتِهِ ٱلَّتِي أَخْطَأَ، فَيُصْفَحُ عَنْهُ. | ١٠ 10 |
এবারে যাজক নির্ধারিত উপায়ে হোমবলিরূপে অন্য শাবকটি উৎসর্গ করবে এবং সেই ব্যক্তির কৃত পাপের জন্য তার পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং তার পাপের ক্ষমা হবে।
وَإِنْ لَمْ تَنَلْ يَدُهُ يَمَامَتَيْنِ أَوْ فَرْخَيْ حَمَامٍ فَيَأْتِي بِقُرْبَانِهِ عَمَّا أَخْطَأَ بِهِ عُشْرَ ٱلْإِيفَةِ مِنْ دَقِيقٍ، قُرْبَانَ خَطِيَّةٍ. لَا يَضَعُ عَلَيْهِ زَيْتًا، وَلَا يَجْعَلُ عَلَيْهِ لُبَانًا لِأَنَّهُ قُرْبَانُ خَطِيَّةٍ. | ١١ 11 |
“‘অন্যদিকে, যদি সে দুটি ঘুঘু অথবা দুটি কপোতশাবক জোগাড় করতে অসমর্থ হয়, তাহলে সে তার পাপের জন্য এক ঐফার দশমাংশ সূক্ষ্ম ময়দা পাপার্থক বলিরূপে উৎসর্গ করবে। সে তার নৈবেদ্যের উপরে জলপাই তেল অথবা সুগন্ধিদ্রব্য ঢালবে না, কারণ এটি পাপার্থক বলিদান।
يَأْتِي بِهِ إِلَى ٱلْكَاهِنِ فَيَقْبِضُ ٱلْكَاهِنُ مِنْهُ مِلْءَ قَبْضَتِهِ تَذْكَارَهُ، وَيُوقِدُهُ عَلَى ٱلْمَذْبَحِ عَلَى وَقَائِدِ ٱلرَّبِّ. إِنَّهُ قُرْبَانُ خَطِيَّةٍ. | ١٢ 12 |
সে এই বলিদান যাজকের কাছে আনবে যে এক স্মরণীয় অংশরূপে বলিদানের একমুঠো তুলে নিয়ে বেদিতে ভক্ষ্য-নৈবেদ্যের উপরে সদাপ্রভুর উদ্দেশে পোড়াবে। এটি পাপার্থক বলিদান।
فَيُكَفِّرُ عَنْهُ ٱلْكَاهِنُ مِنْ خَطِيَّتِهِ ٱلَّتِي أَخْطَأَ بِهَا فِي وَاحِدَةٍ مِنْ ذَلِكَ، فَيُصْفَحُ عَنْهُ. وَيَكُونُ لِلْكَاهِنِ كَٱلتَّقْدِمَةِ». | ١٣ 13 |
এইভাবে তাদের কৃত যে কোনো পাপের জন্য যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে এবং তাদের পাপের ক্ষমা হবে। অবশিষ্ট নৈবেদ্য যাজকের হবে, যেমন শস্য-নৈবেদ্যের ক্ষেত্রে হয়েছিল।’”
وَكَلَّمَ ٱلرَّبُّ مُوسَى قَائِلًا: | ١٤ 14 |
সদাপ্রভু মোশিকে বললেন,
«إِذَا خَانَ أَحَدٌ خِيَانَةً وَأَخْطَأَ سَهْوًا فِي أَقْدَاسِ ٱلرَّبِّ، يَأْتِي إِلَى ٱلرَّبِّ بِذَبِيحَةٍ لِإِثْمِهِ: كَبْشًا صَحِيحًا مِنَ ٱلْغَنَمِ بِتَقْوِيمِكَ مِنْ شَوَاقِلِ فِضَّةٍ عَلَى شَاقِلِ ٱلْقُدْسِ، ذَبِيحَةَ إِثْمٍ. | ١٥ 15 |
“যখন কোনও ব্যক্তি আজ্ঞা লঙ্ঘন করে এবং সদাপ্রভুর পবিত্র বিষয়গুলির কোনো একটি বিষয়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে, সে দণ্ডস্বরূপ মেষপাল থেকে একটি ত্রুটিমুক্ত মেষ সদাপ্রভুর উদ্দেশে আনবে ও ধর্মধামের শেকল অনুসারে নিরূপিত পরিমাণে রুপো রাখবে। এটি হবে দোষার্থক-নৈবেদ্য।
وَيُعَوِّضُ عَمَّا أَخْطَأَ بِهِ مِنَ ٱلْقُدْسِ، وَيَزِيدُ عَلَيْهِ خُمْسَهُ، وَيَدْفَعُهُ إِلَى ٱلْكَاهِنِ، فَيُكَفِّرُ ٱلْكَاهِنُ عَنْهُ بِكَبْشِ ٱلْإِثْمِ، فَيُصْفَحُ عَنْهُ. | ١٦ 16 |
পবিত্র বিষয়গুলির সম্বন্ধে তার ব্যর্থতা হেতু সে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেবে ও সামগ্রিক পরিমাণের পঞ্চমাংশ আনবে ও সমস্তই যাজককে দেবে। অপরাধের বলিদানরূপে একটি মেষ নিয়ে তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং পাপীকে ক্ষমা করা হবে।
«وَإِذَا أَخْطَأَ أَحَدٌ وَعَمِلَ وَاحِدَةً مِنْ جَمِيعِ مَنَاهِي ٱلرَّبِّ ٱلَّتِي لَا يَنْبَغِي عَمَلُهَا، وَلَمْ يَعْلَمْ، كَانَ مُذْنِبًا وَحَمَلَ ذَنْبَهُ. | ١٧ 17 |
“যদি কেউ পাপ করে ও সদাপ্রভুর আদেশগুলির মধ্যে কোনো একটি আদেশ লঙ্ঘন করে, নিজের অজান্তে ওই পাপ করলেও সে অপরাধী ও দায়ী হবে।
فَيَأْتِي بِكَبْشٍ صَحِيحٍ مِنَ ٱلْغَنَمِ بِتَقْوِيمِكَ، ذَبِيحَةَ إِثْمٍ، إِلَى ٱلْكَاهِنِ، فَيُكَفِّرُ عَنْهُ ٱلْكَاهِنُ مِنْ سَهْوِهِ ٱلَّذِي سَهَا وَهُوَ لَا يَعْلَمُ، فَيُصْفَحُ عَنْهُ. | ١٨ 18 |
দোষার্থক-নৈবেদ্যরূপে মেষপাল থেকে একটি মেষ সে যাজকের কাছে আনবে; মেষটি নিখুঁত সঠিক মূল্যের হবে। তার অনিচ্ছাকৃত অপরাধ হেতু তার পক্ষে যাজক প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং সে তার কৃত পাপের ক্ষমা পাবে।
إِنَّهُ ذَبِيحَةُ إِثْمٍ. قَدْ أَثِمَ إِثْمًا إِلَى ٱلرَّبِّ». | ١٩ 19 |
এটি দোষার্থক এক নৈবেদ্য। সদাপ্রভুর বিপক্ষে কৃত মন্দ কাজ হেতু সে অপরাধী হয়েছে।”