< يوحنَّا 14 >
«لَا تَضْطَرِبْ قُلُوبُكُمْ. أَنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِٱللهِ فَآمِنُوا بِي. | ١ 1 |
১“তোমাদের মন যেন অস্থির না হয়। তোমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস কর; আমাকেও বিশ্বাস কর।
فِي بَيْتِ أَبِي مَنَازِلُ كَثِيرَةٌ، وَإِلَّا فَإِنِّي كُنْتُ قَدْ قُلْتُ لَكُمْ. أَنَا أَمْضِي لِأُعِدَّ لَكُمْ مَكَانًا، | ٢ 2 |
২আমার পিতার বাড়িতে থাকার অনেক জায়গা আছে; যদি এরকম না হত, আমি তোমাদের বলতাম, সেইজন্য আমি তোমাদের জন্য থাকার জায়গা তৈরী করতে যাচ্ছি।
وَإِنْ مَضَيْتُ وَأَعْدَدْتُ لَكُمْ مَكَانًا آتِي أَيْضًا وَآخُذُكُمْ إِلَيَّ، حَتَّى حَيْثُ أَكُونُ أَنَا تَكُونُونَ أَنْتُمْ أَيْضًا، | ٣ 3 |
৩যদি আমি যাই এবং তোমাদের জন্য থাকার জায়গা তৈরী করি, আমি আবার আসব এবং আমার কাছে তোমাদের নিয়ে যাব যেন আমি যেখানে থাকি তোমরাও সেখানে থাকতে পার,
وَتَعْلَمُونَ حَيْثُ أَنَا أَذْهَبُ وَتَعْلَمُونَ ٱلطَّرِيقَ». | ٤ 4 |
৪আমি কোথায় যাচ্ছি সে পথ তোমরা জান।”
قَالَ لَهُ تُومَا: «يَا سَيِّدُ، لَسْنَا نَعْلَمُ أَيْنَ تَذْهَبُ، فَكَيْفَ نَقْدِرُ أَنْ نَعْرِفَ ٱلطَّرِيقَ؟». | ٥ 5 |
৫থোমা যীশুকে বললেন, “প্রভু, আমরা জানি না আপনি কোথায় যাচ্ছেন; আমরা কিভাবে পথটা জানব?”
قَالَ لَهُ يَسُوعُ: «أَنَا هُوَ ٱلطَّرِيقُ وَٱلْحَقُّ وَٱلْحَيَاةُ. لَيْسَ أَحَدٌ يَأْتِي إِلَى ٱلْآبِ إِلَّا بِي. | ٦ 6 |
৬যীশু তাঁকে বললেন, “আমিই পথ, আমিই সত্য এবং আমিই জীবন; আমাকে ছাড়া কেউ পিতার কাছে যেতে পারে না।
لَوْ كُنْتُمْ قَدْ عَرَفْتُمُونِي لَعَرَفْتُمْ أَبِي أَيْضًا. وَمِنَ ٱلْآنَ تَعْرِفُونَهُ وَقَدْ رَأَيْتُمُوهُ». | ٧ 7 |
৭যদি তোমরা আমাকে জানতে, তবে তোমরা আমার পিতা কেও জানতে; এখন থেকে তোমরা তাঁকে জেনেছ এবং তাঁকে দেখেছ।”
قَالَ لَهُ فِيلُبُّسُ: «يَا سَيِّدُ، أَرِنَا ٱلْآبَ وَكَفَانَا». | ٨ 8 |
৮ফিলিপ যীশুকে বললেন, “প্রভু, আমাদের পিতাকে দেখান এবং এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে।”
قَالَ لَهُ يَسُوعُ: «أَنَا مَعَكُمْ زَمَانًا هَذِهِ مُدَّتُهُ وَلَمْ تَعْرِفْنِي يَا فِيلُبُّسُ! اَلَّذِي رَآنِي فَقَدْ رَأَى ٱلْآبَ، فَكَيْفَ تَقُولُ أَنْتَ: أَرِنَا ٱلْآبَ؟ | ٩ 9 |
৯যীশু তাঁকে বললেন, “ফিলিপ, আমি এত দিন ধরে তোমাদের সঙ্গে আছি তবুও তুমি কি এখনো আমাকে চিনতে পারনি?” যে আমাকে দেখেছে সে পিতাকেও দেখেছে; তোমরা কিভাবে বলতে পারো, “পিতাকে আমাদের দেখান?”
أَلَسْتَ تُؤْمِنُ أَنِّي أَنَا فِي ٱلْآبِ وَٱلْآبَ فِيَّ؟ ٱلْكَلَامُ ٱلَّذِي أُكَلِّمُكُمْ بِهِ لَسْتُ أَتَكَلَّمُ بِهِ مِنْ نَفْسِي، لَكِنَّ ٱلْآبَ ٱلْحَالَّ فِيَّ هُوَ يَعْمَلُ ٱلْأَعْمَالَ. | ١٠ 10 |
১০তোমরা কি বিশ্বাস কর না যে আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমার মধ্যে আছেন? যে সব শিক্ষার কথা আমি তোমাদের বলছি সে সব আমার নিজের কথা নয়; কিন্তু পিতা আমার মধ্যে থেকে নিজের কাজ করছেন।
صَدِّقُونِي أَنِّي فِي ٱلْآبِ وَٱلْآبَ فِيَّ، وَإِلَّا فَصَدِّقُونِي لِسَبَبِ ٱلْأَعْمَالِ نَفْسِهَا. | ١١ 11 |
১১আমাকে বিশ্বাস কর যে, আমি পিতাতে আছি এবং পিতা আমার মধ্যে আছেন; নতুবা আমার কাজের জন্যই আমাকে বিশ্বাস কর।
اَلْحَقَّ ٱلْحَقَّ أَقُولُ لَكُمْ: مَنْ يُؤْمِنُ بِي فَٱلْأَعْمَالُ ٱلَّتِي أَنَا أَعْمَلُهَا يَعْمَلُهَا هُوَ أَيْضًا، وَيَعْمَلُ أَعْظَمَ مِنْهَا، لِأَنِّي مَاضٍ إِلَى أَبِي. | ١٢ 12 |
১২সত্য, সত্য, আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ আমাতে বিশ্বাস করে, আমি যে সব কাজ করি, সেও এই সব কাজ করবে; এবং সে এর থেকেও মহান মহান কাজ করবে কারণ আমি পিতার কাছে যাচ্ছি।
وَمَهْمَا سَأَلْتُمْ بِٱسْمِي فَذَلِكَ أَفْعَلُهُ لِيَتَمَجَّدَ ٱلْآبُ بِٱلِٱبْنِ. | ١٣ 13 |
১৩তোমরা আমার নামে যা কিছু চাইবে, আমি তা করব, যেন পিতা তাঁর পুত্রের মাধ্যমে মহিমান্বিত হন।
إِنْ سَأَلْتُمْ شَيْئًا بِٱسْمِي فَإِنِّي أَفْعَلُهُ. | ١٤ 14 |
১৪যদি তোমরা আমার নামে কিছু চাও, তা আমি করব।
«إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَنِي فَٱحْفَظُوا وَصَايَايَ، | ١٥ 15 |
১৫যদি তোমরা আমাকে ভালবাসো, তবে তোমরা আমার সব আদেশ পালন করবে।
وَأَنَا أَطْلُبُ مِنَ ٱلْآبِ فَيُعْطِيكُمْ مُعَزِّيًا آخَرَ لِيَمْكُثَ مَعَكُمْ إِلَى ٱلْأَبَدِ، (aiōn ) | ١٦ 16 |
১৬এবং আমি পিতার কাছে প্রার্থনা করব এবং তিনি তোমাদের অন্য একজন সহায়ক দেবেন সুতরাং তিনি চিরকাল তোমাদের সঙ্গে থাকবেন, (aiōn )
رُوحُ ٱلْحَقِّ ٱلَّذِي لَا يَسْتَطِيعُ ٱلْعَالَمُ أَنْ يَقْبَلَهُ، لِأَنَّهُ لَا يَرَاهُ وَلَا يَعْرِفُهُ، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَتَعْرِفُونَهُ لِأَنَّهُ مَاكِثٌ مَعَكُمْ وَيَكُونُ فِيكُمْ. | ١٧ 17 |
১৭তিনি সত্যের আত্মা। জগত তাঁকে গ্রহণ করে না কারণ সে তাঁকে দেখেনি অথবা তাঁকে জানে না। তোমরা তাঁকে জান, তিনি তোমাদের সঙ্গে থাকেন এবং তোমাদের মধ্যে থাকবেন।
لَا أَتْرُكُكُمْ يَتَامَى. إِنِّي آتِي إِلَيْكُمْ. | ١٨ 18 |
১৮আমি তোমাদের একা রেখে যাব না; আমি তোমাদের কাছে ফিরে আসব।
بَعْدَ قَلِيلٍ لَا يَرَانِي ٱلْعَالَمُ أَيْضًا، وَأَمَّا أَنْتُمْ فَتَرَوْنَنِي. إِنِّي أَنَا حَيٌّ فَأَنْتُمْ سَتَحْيَوْنَ. | ١٩ 19 |
১৯কিছুদিন পরে জগত আর আমাকে দেখতে পাবে না, কিন্তু তোমরা আমাকে দেখতে পাবে। কারণ আমি জীবিত আছি, তোমরাও জীবিত থাকবে।
فِي ذَلِكَ ٱلْيَوْمِ تَعْلَمُونَ أَنِّي أَنَا فِي أَبِي، وَأَنْتُمْ فِيَّ، وَأَنَا فِيكُمْ. | ٢٠ 20 |
২০যে দিন তোমরা জানবে যে আমি আমার পিতার মধ্যে আছি এবং তোমরা আমার মধ্যে আছ এবং আমি তোমাদের মধ্যে আছি।
اَلَّذِي عِنْدَهُ وَصَايَايَ وَيَحْفَظُهَا فَهُوَ ٱلَّذِي يُحِبُّنِي، وَٱلَّذِي يُحِبُّنِي يُحِبُّهُ أَبِي، وَأَنَا أُحِبُّهُ، وَأُظْهِرُ لَهُ ذَاتِي». | ٢١ 21 |
২১যে আমার সব আদেশ জানে এবং পালন করে, সেই একজন যে আমাকে ভালবাসে; এবং যে আমাকে ভালবাসে আমার পিতাও তাকে ভালবাসবে এবং আমি তাকে ভালবাসব এবং আমি নিজেকে তার কাছে প্রকাশ করব।
قَالَ لَهُ يَهُوذَا لَيْسَ ٱلْإِسْخَرْيُوطِيَّ: «يَا سَيِّدُ، مَاذَا حَدَثَ حَتَّى إِنَّكَ مُزْمِعٌ أَنْ تُظْهِرَ ذَاتَكَ لَنَا وَلَيْسَ لِلْعَالَمِ؟». | ٢٢ 22 |
২২যিহূদা (ঈষ্করিয়োতীয় নয়) যীশুকে বললেন, “প্রভু, কি ঘটেছে, যে আপনি আমাদের কাছেই নিজেকে দেখাবেন জগতের কাছে নয়?”
أَجَابَ يَسُوعُ وَقَالَ لَهُ: «إِنْ أَحَبَّنِي أَحَدٌ يَحْفَظْ كَلَامِي، وَيُحِبُّهُ أَبِي، وَإِلَيْهِ نَأْتِي، وَعِنْدَهُ نَصْنَعُ مَنْزِلًا. | ٢٣ 23 |
২৩যীশু উত্তর করলেন এবং তাঁকে বললেন, “কেউ যদি আমাকে ভালবাসে, সে আমার কথা পালন করবে। আমার পিতা তাকে ভালবাসবেন এবং আমরা তাঁর কাছে আসব এবং তাঁর সঙ্গে আমাদের বাস করার জায়গা তৈরী করবেন।
اَلَّذِي لَا يُحِبُّنِي لَا يَحْفَظُ كَلَامِي. وَٱلْكَلَامُ ٱلَّذِي تَسْمَعُونَهُ لَيْسَ لِي بَلْ لِلْآبِ ٱلَّذِي أَرْسَلَنِي. | ٢٤ 24 |
২৪যে কেউ আমাকে ভালবাসে না আমার কথা পালন করে না। যে কথা তোমরা শুনছ সেটা আমার নয় কিন্তু পিতার যিনি আমাকে পাঠিয়েছেন।”
بِهَذَا كَلَّمْتُكُمْ وَأَنَا عِنْدَكُمْ. | ٢٥ 25 |
২৫আমি তোমাদের এই সব বিষয় বলেছি, যখন আমি তোমাদের মধ্যে ছিলাম।
وَأَمَّا ٱلْمُعَزِّي، ٱلرُّوحُ ٱلْقُدُسُ، ٱلَّذِي سَيُرْسِلُهُ ٱلْآبُ بِٱسْمِي، فَهُوَ يُعَلِّمُكُمْ كُلَّ شَيْءٍ، وَيُذَكِّرُكُمْ بِكُلِّ مَا قُلْتُهُ لَكُمْ. | ٢٦ 26 |
২৬যখন সহায়ক, পবিত্র আত্মা, যাঁদের পিতা আমার নামে পাঠাবেন, তাঁরা তোমাদের সব বিষয়ে শিক্ষা দেবেন এবং আমি তোমাদের যা বলেছি সে সব মনে করিয়ে দেবেন।
«سَلَامًا أَتْرُكُ لَكُمْ. سَلَامِي أُعْطِيكُمْ. لَيْسَ كَمَا يُعْطِي ٱلْعَالَمُ أُعْطِيكُمْ أَنَا. لَا تَضْطَرِبْ قُلُوبُكُمْ وَلَا تَرْهَبْ. | ٢٧ 27 |
২৭আমি তোমাদের জন্য শান্তি রেখে যাচ্ছি; আমার শান্তি তোমাদের দান করছি। জগত যেভাবে দেয় আমি সেভাবে দিই না। তোমাদের মন যেন অস্থির না হয় এবং মনে ভয় না থাকে।
سَمِعْتُمْ أَنِّي قُلْتُ لَكُمْ: أَنَا أَذْهَبُ ثُمَّ آتِي إِلَيْكُمْ. لَوْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَنِي لَكُنْتُمْ تَفْرَحُونَ لِأَنِّي قُلْتُ أَمْضِي إِلَى ٱلْآبِ، لِأَنَّ أَبِي أَعْظَمُ مِنِّي. | ٢٨ 28 |
২৮তোমরা শুনেছ যে, আমি তোমাদের বলেছি, আমি চলে যাচ্ছি এবং আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসব। যদি তোমরা আমাকে ভালবাসতে, তবে তোমরা আনন্দ করতে কারণ আমি বাবার কাছে যাচ্ছি, কারণ বাবা আমার চেয়ে মহান।
وَقُلْتُ لَكُمُ ٱلْآنَ قَبْلَ أَنْ يَكُونَ، حَتَّى مَتَى كَانَ تُؤْمِنُونَ. | ٢٩ 29 |
২৯এখন ঐ সব ঘটবার আগে আমি তোমাদের বলছি, যখন এটা ঘটবে তোমরা বিশ্বাস করবে।
لَا أَتَكَلَّمُ أَيْضًا مَعَكُمْ كَثِيرًا، لِأَنَّ رَئِيسَ هَذَا ٱلْعَالَمِ يَأْتِي وَلَيْسَ لَهُ فِيَّ شَيْءٌ. | ٣٠ 30 |
৩০আমি তোমাদের সঙ্গে আর বেশি কথা বলব না, কারণ জগতের শাসনকর্ত্তা আসিতেছে। আমার উপরে তাঁর কোনো ক্ষমতা নেই,
وَلَكِنْ لِيَفْهَمَ ٱلْعَالَمُ أَنِّي أُحِبُّ ٱلْآبَ، وَكَمَا أَوْصَانِي ٱلْآبُ هَكَذَا أَفْعَلُ. قُومُوا نَنْطَلِقْ مِنْ هَهُنَا. | ٣١ 31 |
৩১কিন্তু জগত যেন জানে যে, আমি পিতাকে ভালবাসি, পিতা আমাকে যা আদেশ করেন আমি সেই রকম করি। ওঠ, আমরা এ জায়গা ছেড়ে চলে যাই।