< إِرْمِيَا 8 >

«فِي ذَلِكَ ٱلزَّمَانِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، يُخْرِجُونَ عِظَامَ مُلُوكِ يَهُوذَا وَعِظَامَ رُؤَسَائِهِ وَعِظَامَ ٱلْكَهَنَةِ وَعِظَامَ ٱلْأَنْبِيَاءِ وَعِظَامَ سُكَّانِ أُورُشَلِيمَ مِنْ قُبُورِهِمْ، ١ 1
“‘সদাপ্রভু বলেন, সেই সময় যিহূদার রাজা ও রাজকর্মচারীদের হাড়, যাজক ও ভাববাদীদের হাড় এবং জেরুশালেমের লোকদের হাড়, তাদের কবর থেকে অপসারিত করা হবে।
وَيَبْسُطُونَهَا لِلشَّمْسِ وَلِلْقَمَرِ وَلِكُلِّ جُنُودِ ٱلسَّمَاوَاتِ ٱلَّتِي أَحَبُّوهَا وَٱلَّتِي عَبَدُوهَا وَٱلَّتِي سَارُوا وَرَاءَهَا وَٱلَّتِي ٱسْتَشَارُوهَا وَالَّتِي سَجَدُوا لَهَا. لَا تُجْمَعُ وَلَا تُدْفَنُ، بَلْ تَكُونُ دِمْنَةً عَلَى وَجْهِ ٱلْأَرْضِ. ٢ 2
সেগুলি সূর্য, চাঁদ ও আকাশের সেইসব তারার সাক্ষাতে খোলা পড়ে থাকবে, যাদের তারা ভালোবাসত ও সেবা করত, যাদের অনুসারী হয়ে তারা তাদের সঙ্গে পরামর্শ করত ও উপাসনা করত। সেই হাড়গুলি আর একত্র সংগ্রহ করা হবে না বা কবর দেওয়া হবে না, কিন্তু আবর্জনার মতো মাটিতে পড়ে থাকবে।
وَيُخْتَارُ ٱلْمَوْتُ عَلَى ٱلْحَيَاةِ عِنْدَ كُلِّ ٱلْبَقِيَّةِ ٱلْبَاقِيَةِ مِنْ هَذِهِ ٱلْعَشِيرَةِ ٱلشِّرِّيرَةِ ٱلْبَاقِيَةِ فِي كُلِّ ٱلْأَمَاكِنِ ٱلَّتِي طَرَدْتُهُمْ إِلَيْهَا، يَقُولُ رَبُّ ٱلْجُنُودِ. ٣ 3
বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি যেখানেই তাদের নির্বাসিত করি, সেখানে এই মন্দ জাতির অবশিষ্ট জীবিত লোকেরা জীবনের চেয়ে মৃত্যুই বেশি পছন্দ করবে।’
«وَتَقُولُ لَهُمْ: هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: هَلْ يَسْقُطُونَ وَلَا يَقُومُونَ، أَوْ يَرْتَدُّ أَحَدٌ وَلَا يَرْجِعُ؟ ٤ 4
“তাদের বলো, ‘সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “‘মানুষ যখন পড়ে যায়, তখন তারা কি ওঠে না? কোনো মানুষ বিপথগামী হলে, সে কি ফিরে আসে না?
فَلِمَاذَا ٱرْتَدَّ هَذَا ٱلشَّعْبُ فِي أُورُشَلِيمَ ٱرْتِدَادًا دَائِمًا؟ تَمَسَّكُوا بِٱلْمَكْرِ. أَبَوْا أَنْ يَرْجِعُوا. ٥ 5
তাহলে কেন এসব লোক বিপথে গিয়েছে? কেন জেরুশালেম সবসময় বিপথগামী হয়? তারা ছলনার বাক্যকে আঁকড়ে ধরে, তারা ফিরে আসতে চায় না।
صَغَيْتُ وَسَمِعْتُ. بِغَيْرِ ٱلْمُسْتَقِيمِ يَتَكَلَّمُونَ. لَيْسَ أَحَدٌ يَتُوبُ عَنْ شَرِّهِ قَائِلًا: مَاذَا عَمِلْتُ؟ كُلُّ وَاحِدٍ رَجَعَ إِلَى مَسْرَاهُ كَفَرَسٍ ثَائِرٍ فِي ٱلْحَرْبِ. ٦ 6
আমি মনোযোগ দিয়ে শুনেছি, কিন্তু সঠিক বিষয় কি, তারা তা বলে না। কেউই তার দুষ্টতার জন্য অনুতাপ করে না, বলে, “আমি কী করেছি?” অশ্ব যেমন যুদ্ধের জন্য দৌড়ায়, তারা সবাই তেমনই নিজের নিজের পথে যায়।
بَلِ ٱللَّقْلَقُ فِي ٱلسَّمَاوَاتِ يَعْرِفُ مِيعَادَهُ، وَٱلْيَمَامَةُ وَٱلسُّنُوْنَةُ ٱلْمُزَقْزِقَةُ حَفِظَتَا وَقْتَ مَجِيئِهِمَا. أَمَّا شَعْبِي فَلَمْ يَعْرِفْ قَضَاءَ ٱلرَّبِّ! ٧ 7
এমনকি, আকাশের সারসও তার নির্ধারিত সময় জানে, এবং ঘুঘু, ফিঙে ও ময়না তাদের গমনকাল রক্ষা করে। কিন্তু আমার প্রজারা জানে না তাদের সদাপ্রভুর বিধিনিয়ম।
كَيْفَ تَقُولُونَ: نَحْنُ حُكَمَاءُ وَشَرِيعَةُ ٱلرَّبِّ مَعَنَا؟ حَقًّا إِنَّهُ إِلَى ٱلْكَذِبِ حَوَّلَهَا قَلَمُ ٱلْكَتَبَةِ ٱلْكَاذِبُ. ٨ 8
“‘তোমরা কীভাবে বলো, “আমরা জ্ঞানবান, কারণ আমাদের কাছে আছে সদাপ্রভুর বিধান,” যখন শাস্ত্রবিদদের মিথ্যা লেখনী, তা মিথ্যা করে লিখেছে?
خَزِيَ ٱلْحُكَمَاءُ. ٱرْتَاعُوا وَأُخِذُوا. هَا قَدْ رَفَضُوا كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ، فَأَيَّةُ حِكْمَةٍ لَهُمْ؟ ٩ 9
জ্ঞানবানেরা লজ্জিত হবে; তারা হতাশ হয়ে ফাঁদে ধরা পড়বে। তারা যেহেতু সদাপ্রভুর বাক্য অগ্রাহ্য করেছে, তাহলে তাদের কী ধরনের প্রজ্ঞা আছে?
لِذَلِكَ أُعْطِي نِسَاءَهُمْ لِآخَرِينَ، وَحُقُولَهُمْ لِمَالِكِينَ، لِأَنَّهُمْ مِنَ ٱلصَّغِيرِ إِلَى ٱلْكَبِيرِ، كُلُّ وَاحِدٍ مُولَعٌ بِٱلرِّبْحِ. مِنَ ٱلنَّبِيِّ إِلَى ٱلْكَاهِنِ، كُلُّ وَاحِدٍ يَعْمَلُ بِٱلْكَذِبِ. ١٠ 10
সেই কারণে, আমি তাদের স্ত্রীদের নিয়ে অন্য লোকদের দেব, তাদের খেতগুলি নতুন সব মালিককে দেব। নগণ্যতম জন থেকে মহান ব্যক্তি পর্যন্ত, সকলেই লোভ-লালসায় লিপ্ত; ভাববাদী ও যাজকেরা সব এক রকম, তারা সকলেই প্রতারণার অনুশীলন করে।
وَيَشْفُونَ كَسْرَ بِنْتِ شَعْبِي عَلَى عَثَمٍ، قَائِلِينَ: سَلَامٌ، سَلَامٌ. وَلَا سَلَامَ. ١١ 11
তারা আমার প্রজাদের ক্ষত এভাবে নিরাময় করে, যেন তা একটুও ক্ষতিকর নয়। যখন কোনো শান্তি নেই, তখন “শান্তি, শান্তি,” বলে তারা আশ্বাস দেয়।
هَلْ خَزُوا لِأَنَّهُمْ عَمِلُوا رِجْسًا؟ بَلْ لَمْ يَخْزَوْا خِزْيًا، وَلَمْ يَعْرِفُوا ٱلْخَجَلَ! لِذَلِكَ يَسْقُطُونَ بَيْنَ ٱلسَّاقِطِينَ. فِي وَقْتِ مُعَاقَبَتِهِمْ يَعْثُرُونَ، قَالَ ٱلرَّبُّ. ١٢ 12
তাদের এই জঘন্য আচরণের জন্য তারা কি লজ্জিত? না, তাদের কোনও লজ্জা নেই; লজ্জাবনত হতে তারা জানেই না। তাই, পতিতদের মধ্যে তারাও পতিত হবে; আমি যখন তাদের শাস্তি দিই, তখন তাদেরও ভূপতিত করব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
«نَزْعًا أَنْزِعُهُمْ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. لَا عِنَبَ فِي ٱلْجَفْنَةِ، وَلَا تِينَ فِي ٱلتِّينَةِ، وَٱلْوَرَقُ ذَبُلَ، وَأُعْطِيهِمْ مَا يَزُولُ عَنْهُمْ». ١٣ 13
“‘আমি তাদের সব শস্য শেষ করে দেব, সদাপ্রভু এই কথা বলেন। তাদের দ্রাক্ষালতায় কোনো আঙুর থাকবে না। ডুমুর গাছে থাকবে না কোনো ডুমুর, তাদের পাতাগুলি শুকিয়ে যাবে। আমি যা কিছু তাদের দিয়েছিলাম, সব তাদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেব।’”
لِمَاذَا نَحْنُ جُلُوسٌ؟ اِجْتَمِعُوا فَلْنَدْخُلْ إِلَى ٱلْمُدُنِ ٱلْحَصِينَةِ وَنَصْمُتْ هُنَاكَ. لِأَنَّ ٱلرَّبَّ إِلَهَنَا قَدْ أَصْمَتَنَا وَأَسْقَانَا مَاءَ ٱلْعَلْقَمِ، لِأَنَّنَا قَدْ أَخْطَأْنَا إِلَى ٱلرَّبِّ. ١٤ 14
কেন আমরা এখানে বসে আছি? এসো, সবাই একত্র হই! এসো আমরা সুরক্ষিত নগরগুলিতে পালিয়ে যাই এবং সেখানে ধ্বংস হই! কারণ আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের ধ্বংস হওয়ার জন্য নিরূপণ করেছেন এবং আমাদের পান করার জন্য বিষাক্ত জল দিয়েছেন, কারণ আমরা তাঁর বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
اِنْتَظَرْنَا ٱلسَّلَامَ وَلَمْ يَكُنْ خَيْرٌ، وَزَمَانَ ٱلشِّفَاءِ وَإِذَا رُعْبٌ. ١٥ 15
আমরা শান্তির আশা করলাম কিন্তু কোনো মঙ্গল হল না, আমরা রোগনিরাময়ের অপেক্ষা করেছিলাম, কিন্তু কেবলমাত্র আতঙ্কের সম্মুখীন হলাম।
مِنْ دَانَ سُمِعَتْ حَمْحَمَةُ خَيْلِهِ. عِنْدَ صَوْتِ صَهِيلِ جِيَادِهِ ٱرْتَجَفَتْ كُلُّ ٱلْأَرْضِ. فَأَتَوْا وَأَكَلُوا ٱلْأَرْضَ وَمِلْأَهَا، ٱلْمَدِينَةَ وَٱلسَّاكِنِينَ فِيهَا. ١٦ 16
দান অঞ্চল থেকে শত্রুদের অশ্বের নাসারব শোনা যাচ্ছে; তাদের অশ্বগুলির হ্রেষারবে সমস্ত দেশ কম্পিত হচ্ছে। এই দেশ ও এর ভিতরের সবকিছু, এই নগর ও এর মধ্যে বসবাসকারী সবাইকে, তারা গ্রাস করার জন্য এসেছে।
«لِأَنِّي هَأَنَذَا مُرْسِلٌ عَلَيْكُمْ حَيَّاتٍ، أَفَاعِيَ لَا تُرْقَى، فَتَلْدَغُكُمْ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ». ١٧ 17
“দেখো, আমি তোমাদের মধ্যে বিষধর সাপ প্রেরণ করব, সেই কালসাপগুলিকে মন্ত্রমুগ্ধ করা যাবে না, আর তারা তোমাদের দংশন করবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
مَنْ مُفَرِّجٌ عَنِّي ٱلْحُزْنَ؟ قَلْبِي فِيَّ سَقِيمٌ. ١٨ 18
আমার দুঃখ নিরাময়ের ঊর্ধ্বে, আমার অন্তর ভগ্নচূর্ণ হয়েছে।
هُوَذَا صَوْتُ ٱسْتِغَاثَةِ بِنْتِ شَعْبِي مِنْ أَرْضٍ بَعِيدَةٍ: «أَلَعَلَّ ٱلرَّبَّ لَيْسَ فِي صِهْيَوْنَ، أَوْ مَلِكَهَا لَيْسَ فِيهَا؟» «لِمَاذَا أَغَاظُونِي بِمَنْحُوتَاتِهِمْ، بِأَبَاطِيلَ غَرِيبَةٍ؟» ١٩ 19
এক দূরবর্তী দেশ থেকে আমার প্রজাদের কান্না শ্রবণ করো: “সদাপ্রভু কি সিয়োনে নেই? তার রাজা কি আর সেখানে থাকেন না?” “তাদের দেবমূর্তিগুলির দ্বারা, তাদের সেই অসার বিজাতীয় দেবপ্রতিমাগুলির দ্বারা, তারা কেন আমার ক্রোধের উদ্রেক করেছে?”
«مَضَى ٱلْحَصَادُ، ٱنْتَهَى ٱلصَّيْفُ، وَنَحْنُ لَمْ نَخْلُصْ!» ٢٠ 20
“শস্যচয়নের কাল অতীত হয়েছে, গ্রীষ্মকাল শেষ হয়েছে, কিন্তু আমাদের উদ্ধারলাভ হয়নি।”
مِنْ أَجْلِ سَحْقِ بِنْتِ شَعْبِي ٱنْسَحَقْتُ. حَزِنْتُ. أَخَذَتْنِي دَهْشَةٌ. ٢١ 21
আমার জাতির লোকেরা যেহেতু চূর্ণ হয়েছে, আমিও চূর্ণ হয়েছি; আমি শোক করি, আতঙ্ক আমাকে ঘিরে ধরেছে।
أَلَيْسَ بَلَسَانٌ فِي جِلْعَادَ، أَمْ لَيْسَ هُنَاكَ طَبِيبٌ؟ فَلِمَاذَا لَمْ تُعْصَبْ بِنْتُ شَعْبِي؟ ٢٢ 22
গিলিয়দে কি কোনো ব্যথার মলম নেই? সেখানে কি কোনো চিকিৎসক নেই? তাহলে কেন আমার জাতির লোকেদের ক্ষত নিরাময় হয় না?

< إِرْمِيَا 8 >