< إِرْمِيَا 7 >

اَلْكَلِمَةُ ٱلَّتِي صَارَتْ إِلَى إِرْمِيَا مِنْ قِبَلِ ٱلرَّبِّ قَائِلًا: ١ 1
সদাপ্রভুর কাছ থেকে যিরমিয়ের কাছে এই বাক্য উপস্থিত হল:
«قِفْ فِي بَابِ بَيْتِ ٱلرَّبِّ وَنَادِ هُنَاكَ بِهَذِهِ ٱلْكَلِمَةِ وَقُلْ: اِسْمَعُوا كَلِمَةَ ٱلرَّبِّ يَا جَمِيعَ يَهُوذَا ٱلدَّاخِلِينَ فِي هَذِهِ ٱلْأَبْوَابِ لِتَسْجُدُوا لِلرَّبِّ. ٢ 2
“তুমি সদাপ্রভুর গৃহের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াও এবং সেখানে এই বার্তা ঘোষণা করো: “‘যিহূদার সমস্ত লোক, তোমরা যারা এসব দরজা দিয়ে সদাপ্রভুর উপাসনা করতে আস, তোমরা সদাপ্রভুর বাক্য শোনো।
هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: أَصْلِحُوا طُرُقَكُمْ وَأَعْمَالَكُمْ فَأُسْكِنَكُمْ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ. ٣ 3
ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমাদের আচার-আচরণ ও ক্রিয়াকলাপ সংশোধন করো, তাহলে আমি তোমাদের এই দেশে বসবাস করতে দেব।
لَا تَتَّكِلُوا عَلَى كَلَامِ ٱلْكَذِبِ قَائِلِينَ: هَيْكَلُ ٱلرَّبِّ، هَيْكَلُ ٱلرَّبِّ، هَيْكَلُ ٱلرَّبِّ هُوَ! ٤ 4
কোনো মিথ্যা কথাবার্তায় তোমরা বিশ্বাস কোরো না এবং বোলো না, “এই হল সদাপ্রভুর মন্দির, সদাপ্রভুর মন্দির, সদাপ্রভুর মন্দির!”
لِأَنَّكُمْ إِنْ أَصْلَحْتُمْ إِصْلَاحًا طُرُقَكُمْ وَأَعْمَالَكُمْ، إِنْ أَجْرَيْتُمْ عَدْلًا بَيْنَ ٱلْإِنْسَانِ وَصَاحِبِهِ، ٥ 5
তোমরা যদি প্রকৃতই ন্যায়পরায়ণতায় পরস্পরের সঙ্গে তোমাদের জীবনাচরণ, তোমাদের কার্যকলাপ ও আচার-আচরণের পরিবর্তন ঘটাও,
إِنْ لَمْ تَظْلِمُوا ٱلْغَرِيبَ وَٱلْيَتِيمَ وَٱلْأَرْمَلَةَ، وَلَمْ تَسْفِكُوا دَمًا زَكِيًّا فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ، وَلَمْ تَسِيرُوا وَرَاءَ آلِهَةٍ أُخْرَى لِأَذَائِكُمْ ٦ 6
যদি তোমরা বিদেশি, পিতৃহীন ও বিধবাদের প্রতি অত্যাচার না করো এবং এই স্থানে নির্দোষ মানুষদের রক্তপাত না করো, আর তোমরা যদি নিজেদেরই ক্ষতির জন্য অন্যান্য দেবদেবীর অনুসারী না হও,
فَإِنِّي أُسْكِنُكُمْ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ، فِي ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي أَعْطَيْتُ لِآبَائِكُمْ مِنَ ٱلْأَزَلِ وَإِلَى ٱلْأَبَدِ. ٧ 7
তাহলে আমি এই স্থানে তোমাদের বসবাস করতে দেব, যে দেশ আমি তোমাদের পিতৃপুরুষদের যুগে যুগে চিরকালের জন্য দান করেছি।
«هَا إِنَّكُمْ مُتَّكِلُونَ عَلَى كَلَامِ ٱلْكَذِبِ ٱلَّذِي لَا يَنْفَعُ. ٨ 8
কিন্তু দেখো, তোমরা প্রতারণামূলক কথাবার্তায় বিশ্বাস করছ, যা নিতান্তই অসার।
أَتَسْرِقُونَ وَتَقْتُلُونَ وَتَزْنُونَ وَتَحْلِفُونَ كَذِبًا وَتُبَخِّرُونَ لِلْبَعْلِ، وَتَسِيرُونَ وَرَاءَ آلِهَةٍ أُخْرَى لَمْ تَعْرِفُوهَا، ٩ 9
“‘তোমরা কি চুরি ও নরহত্যা করবে, ব্যভিচার ও ভ্রান্ত দেবদেবীর নামে শপথ করবে, বায়াল-দেবতার উদ্দেশে ধূপদাহ করবে এবং তোমাদের অপরিচিত দেবতাদের অনুসারী হবে,
ثُمَّ تَأْتُونَ وَتَقِفُونَ أَمَامِي فِي هَذَا ٱلْبَيْتِ ٱلَّذِي دُعِيَ بِٱسْمِي عَلَيْهِ وَتَقُولُونَ: قَدْ أُنْقِذْنَا. حَتَّى تَعْمَلُوا كُلَّ هَذِهِ ٱلرَّجَاسَاتِ؟ ١٠ 10
তারপর আমার নামে আখ্যাত এই গৃহে, আমার সামনে এসে দাঁড়াবে ও বলবে, “আমরা নিরাপদ,” এই সমস্ত ঘৃণ্য কাজগুলি করার জন্য নিরাপদ?
هَلْ صَارَ هَذَا ٱلْبَيْتُ ٱلَّذِي دُعِيَ بِٱسْمِي عَلَيْهِ مَغَارَةَ لُصُوصٍ فِي أَعْيُنِكُمْ؟ هَأَنَذَا أَيْضًا قَدْ رَأَيْتُ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. ١١ 11
এই গৃহ, যা আমার নামে আখ্যাত, তোমাদের কাছে কি দস্যুদের গহ্বরে পরিণত হয়েছে? আমি কিন্তু সব লক্ষ্য করে যাচ্ছি! সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
لَكِنِ ٱذْهَبُوا إِلَى مَوْضِعِي ٱلَّذِي فِي شِيلُوهَ ٱلَّذِي أَسْكَنْتُ فِيهِ ٱسْمِي أَوَّلًا، وَٱنْظُرُوا مَا صَنَعْتُ بِهِ مِنْ أَجْلِ شَرِّ شَعْبِي إِسْرَائِيلَ. ١٢ 12
“‘এখন তোমরা শীলোতে যাও, যেখানে আমি প্রথমে আমার নামের জন্য একটি আবাস তৈরি করেছিলাম, আর দেখো, আমার প্রজা ইস্রায়েলের দুষ্টতার জন্য, আমি তার প্রতি কী করেছি।
وَٱلْآنَ مِنْ أَجْلِ عَمَلِكُمْ هَذِهِ ٱلْأَعْمَالَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَقَدْ كَلَّمْتُكُمْ مُبَكِّرًا وَمُكَلِّمًا فَلَمْ تَسْمَعُوا، وَدَعَوْتُكُمْ فَلَمْ تُجِيبُوا، ١٣ 13
সদাপ্রভু বলেন, তোমরা যখন এসব কাজ করছিলে, আমি তোমাদের সঙ্গে বারবার কথা বলেছি, কিন্তু তোমরা শুনতে চাওনি; আমি তোমাদের ডাকলেও তোমরা উত্তর দাওনি।
أَصْنَعُ بِٱلْبَيْتِ ٱلَّذِي دُعِيَ بِٱسْمِي عَلَيْهِ ٱلَّذِي أَنْتُمْ مُتَّكِلُونَ عَلَيْهِ، وَبِالْمَوْضِعِ ٱلَّذِي أَعْطَيْتُكُمْ وَآبَاءَكُمْ إِيَّاهُ، كَمَا صَنَعْتُ بِشِيلُوهَ. ١٤ 14
সেই কারণে, আমি শীলোর প্রতি যা করেছিলাম, এখন আমার নামে আখ্যাত এই গৃহের প্রতি, যে মন্দিরে তোমরা আস্থা রাখো, যা আমি তোমাদের ও তোমাদের পিতৃপুরুষদের দিয়েছিলাম, তার প্রতিও সেরকমই করব।
وَأَطْرَحُكُمْ مِنْ أَمَامِي كَمَا طَرَحْتُ كُلَّ إِخْوَتِكُمْ، كُلَّ نَسْلِ أَفْرَايِمَ. ١٥ 15
যেমন আমি তোমাদের ভাইদের, ইফ্রয়িমের সব লোকের প্রতি করেছি, তেমনই তোমাদেরও আমার উপস্থিতি থেকে দূর করে দেব।’
وَأَنْتَ فَلَا تُصَلِّ لِأَجْلِ هَذَا ٱلشَّعْبِ وَلَا تَرْفَعْ لِأَجْلِهِمْ دُعَاءً وَلَا صَلَاةً، وَلَا تُلِحَّ عَلَيَّ لِأَنِّي لَا أَسْمَعُكَ. ١٦ 16
“তাই এসব লোকের জন্য প্রার্থনা কোরো না, এদের জন্য কোনো অনুনয় বা আবেদন আমার কাছে কোরো না; আমার কাছে কোনো অনুরোধ কোরো না, কারণ আমি তোমার কথা শুনব না।
«أَمَا تَرَى مَاذَا يَعْمَلُونَ فِي مُدُنِ يَهُوذَا وَفِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ؟ ١٧ 17
যিহূদার গ্রামগুলিতে এবং জেরুশালেমের পথে পথে তারা কী করছে, তুমি কি তা দেখতে পাও না?
ٱلْأَبْنَاءُ يَلْتَقِطُونَ حَطَبًا، وَٱلْآبَاءُ يُوقِدُونَ ٱلنَّارَ، وَٱلنِّسَاءُ يَعْجِنَّ ٱلْعَجِينَ، لِيَصْنَعْنَ كَعْكًا لِمَلِكَةِ ٱلسَّمَاوَاتِ، وَلِسَكْبِ سَكَائِبَ لِآلِهَةٍ أُخْرَى لِكَيْ يُغِيظُونِي. ١٨ 18
ছেলেমেয়েরা কাঠ সংগ্রহ করে, বাবারা আগুন জ্বালায় এবং স্ত্রীলোকেরা ময়দা মাখায় ও আকাশ-রানির উদ্দেশে পিঠে তৈরি করে। আমার ক্রোধ উদ্রেক করার জন্য তারা অন্য সব দেবদেবীর উদ্দেশে পেয়-নৈবেদ্য উৎসর্গ করে।
أَفَإِيَّايَ يُغِيظُونَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ؟ أَلَيْسَ أَنْفُسَهُمْ لِأَجْلِ خِزْيِ وُجُوهِهِمْ؟ ١٩ 19
কিন্তু তারা কি কেবলমাত্র আমাকেই ক্রুদ্ধ করছে? সদাপ্রভু এই কথা বলেন। তারা কি নিজেদেরই লজ্জার জন্য নিজেদের ক্ষতি করছে না?
لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ: هَا غَضَبِي وَغَيْظِي يَنْسَكِبَانِ عَلَى هَذَا ٱلْمَوْضِعِ، عَلَى ٱلنَّاسِ وَعَلَى ٱلْبَهَائِمِ وَعَلَى شَجَرِ ٱلْحَقْلِ وَعَلَى ثَمَرِ ٱلْأَرْضِ، فَيَتَّقِدَانِ وَلَا يَنْطَفِئَانِ. ٢٠ 20
“‘অতএব, সার্বভৌম সদাপ্রভু এই কথা বলেন: আমার ক্রোধ ও আমার রোষ এই স্থানের উপরে, মানুষ ও পশুর উপরে, মাঠের গাছপালার উপরে এবং ভূমির ফসলের উপরে ঢেলে দেওয়া হবে। তা অগ্নিদগ্ধ হবে, আগুন নিভে যাবে না।
«هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: ضُمُّوا مُحْرَقَاتِكُمْ إِلَى ذَبَائِحِكُمْ وَكُلُوا لَحْمًا. ٢١ 21
“‘ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমরা যাও, তোমাদের অন্যান্য বলিদানের সঙ্গে তোমাদের হোমবলিও মিশিয়ে দাও ও সেই মাংস তোমরাই খেয়ে ফেলো!
لِأَنِّي لَمْ أُكَلِّمْ آبَاءَكُمْ وَلَا أَوْصَيْتُهُمْ يَوْمَ أَخْرَجْتُهُمْ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ مِنْ جِهَةِ مُحْرَقَةٍ وَذَبِيحَةٍ. ٢٢ 22
কারণ তোমাদের পিতৃপুরুষদের আমি যখন মিশর থেকে মুক্ত করে এনেছিলাম ও তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, আমি তাদের কেবলমাত্র হোমবলি ও অন্যান্য বলিদান উৎসর্গের আদেশ দিইনি,
بَلْ إِنَّمَا أَوْصَيْتُهُمْ بِهَذَا ٱلْأَمْرِ قَائِلًا: ٱسْمَعُوا صَوْتِي فَأَكُونَ لَكُمْ إِلَهًا، وَأَنْتُمْ تَكُونُونَ لِي شَعْبًا، وَسِيرُوا فِي كُلِّ ٱلطَّرِيقِ ٱلَّذِي أُوصِيكُمْ بِهِ لِيُحْسَنَ إِلَيْكُمْ. ٢٣ 23
কিন্তু আমি তাদের এই আদেশও দিয়েছিলাম, আমার কথা মেনে চলো, তাহলে আমি তোমাদের ঈশ্বর হব ও তোমরা আমার প্রজা হবে। আমি তোমাদের যে সমস্ত আদেশ দিই, তোমরা সেই অনুযায়ী জীবনযাপন কোরো, যেন এতে তোমাদের মঙ্গল হয়।
فَلَمْ يَسْمَعُوا وَلَمْ يُمِيلُوا أُذْنَهُمْ، بَلْ سَارُوا فِي مَشُورَاتِ وَعِنَادِ قَلْبِهِمِ ٱلشِّرِّيرِ، وَأَعْطَوْا ٱلْقَفَا لَا ٱلْوَجْهَ. ٢٤ 24
কিন্তু তারা শোনেনি ও আমার কথায় মনোযোগ করেনি; বরং তারা নিজেদের মন্দ হৃদয়ের একগুঁয়ে প্রবৃত্তির অনুসারী হয়েছে। তারা পিছিয়ে গিয়েছে, এগিয়ে যায়নি।
فَمِنَ ٱلْيَوْمِ ٱلَّذِي خَرَجَ فِيهِ آبَاؤُكُمْ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ إِلَى هَذَا ٱلْيَوْمِ، أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ كُلَّ عَبِيدِي ٱلْأَنْبِيَاءِ، مُبَكِّرًا كُلَّ يَوْمٍ وَمُرْسِلًا. ٢٥ 25
তোমাদের পিতৃপুরুষেরা যখন থেকে মিশর ত্যাগ করেছিল, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত, দিনের পর দিন, আমি বারবার আমার সেবক-ভাববাদীদের তোমাদের কাছে প্রেরণ করেছি।
فَلَمْ يَسْمَعُوا لِي وَلَمْ يُمِيلُوا أُذُنَهُمْ، بَلْ صَلَّبُوا رِقَابَهُمْ. أَسَاءُوا أَكْثَرَ مِنْ آبَائِهِمْ. ٢٦ 26
কিন্তু তারা আমার কথা শোনেনি, কোনো মনোযোগও দেয়নি। তারা একগুঁয়ে মনোবৃত্তি দেখিয়ে তাদের পিতৃপুরুষদের চেয়েও বেশি অন্যায় করেছে।’
فَتُكَلِّمُهُمْ بِكُلِّ هَذِهِ ٱلْكَلِمَاتِ وَلَا يَسْمَعُونَ لَكَ، وَتَدْعُوهُمْ وَلَا يُجِيبُونَكَ. ٢٧ 27
“তুমি যখন গিয়ে তাদের এসব কথা বলবে, তারা তোমার কথা শুনবে না। তুমি যখন তাদের ডাকবে, তারা কোনো সাড়া দেবে না।
فَتَقُولُ لَهُمْ: هَذِهِ هِيَ ٱلْأُمَّةُ ٱلَّتِي لَمْ تَسْمَعْ لِصَوْتِ ٱلرَّبِّ إِلَهِهَا وَلَمْ تَقْبَلْ تَأْدِيبًا. بَادَ ٱلْحَقُّ وَقُطِعَ عَنْ أَفْوَاهِهِمْ. ٢٨ 28
সেই কারণে তুমি তাদের বোলো, ‘এই হল সেই জাতি, যে তাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর কথা শোনেনি বা সংশোধনের জন্য সাড়া দেয়নি। সত্যের বিনাশ হয়েছে; তা তাদের ওষ্ঠাধর থেকে বিলুপ্ত হয়েছে।
«جُزِّي شَعْرَكِ وَٱطْرَحِيهِ، وَٱرْفَعِي عَلَى ٱلْهِضَابِ مَرْثَاةً، لِأَنَّ ٱلرَّبَّ قَدْ رَفَضَ وَرَذَلَ جِيلَ رِجْزِهِ. ٢٩ 29
“‘তোমার চুল কেটে ফেলে দাও; গাছপালাহীন পাহাড়ে গিয়ে বিলাপ করো, কারণ সদাপ্রভুর ক্রোধের অধীনে থাকা এই প্রজন্মকে তিনি অগ্রাহ্য ও পরিত্যাগ করেছেন।
لِأَنَّ بَنِي يَهُوذَا قَدْ عَمِلُوا ٱلشَّرَّ فِي عَيْنَيَّ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ. وَضَعُوا مَكْرَهَاتِهِمْ فِي ٱلْبَيْتِ ٱلَّذِي دُعِيَ بِٱسْمِي لِيُنَجِّسُوهُ. ٣٠ 30
“‘সদাপ্রভু বলেন, যিহূদার লোকেরা আমার চোখের সামনে পাপ করেছে। তারা আমার নামে আখ্যাত মন্দিরের মধ্যে তাদের ঘৃণ্য সব প্রতিমা স্থাপন করে তা কলুষিত করেছে।
وَبَنَوْا مُرْتَفَعَاتِ تُوفَةَ ٱلَّتِي فِي وَادِي ٱبْنِ هِنُّومَ لِيُحْرِقُوا بَنِيهِمْ وَبَنَاتِهِمْ بِٱلنَّارِ، ٱلَّذِي لَمْ آمُرْ بِهِ وَلَا صَعِدَ عَلَى قَلْبِي. ٣١ 31
তারা বিন-হিন্নোমে আবর্জনা ফেলার স্থান তোফতে মূর্তিপূজার পীঠস্থান নির্মাণ করেছে, যেন নিজেদের পুত্রকন্যাদের সেখানে অগ্নিদগ্ধ করে—যা আমি তাদের আদেশ দিইনি বা আমার মনেও আসেনি।
«لِذَلِكَ هَا هِيَ أَيَّامٌ تَأْتِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَلَا يُسَمَّى بَعْدُ تُوفَةُ وَلَا وَادِي ٱبْنِ هِنُّومَ، بَلْ وَادِي ٱلْقَتْلِ. وَيَدْفِنُونَ فِي تُوفَةَ حَتَّى لَا يَكُونَ مَوْضِعٌ. ٣٢ 32
তাই, সদাপ্রভু বলেন, সাবধান হও, এমন দিন আসছে যখন লোকেরা তাকে আর তোফৎ বা বিন-হিন্নোমের উপত্যকা বলবে না, কিন্তু হত্যালীলার উপত্যকা বলবে, কারণ সেখানে যে পর্যন্ত আর স্থান অবশিষ্ট না থাকে, তারা মৃতদের কবর দেবে।
وَتَصِيرُ جُثَثُ هَذَا ٱلشَّعْبِ أُكْلًا لِطُيُورِ ٱلسَّمَاءِ وَلِوُحُوشِ ٱلْأَرْضِ، وَلَا مُزْعِجَ. ٣٣ 33
তখন এই লোকেদের মৃতদেহ আকাশের পাখিদের এবং বুনো পশুদের আহার হবে, সেগুলিকে তাড়িয়ে দেওয়া জন্য কেউ আর থাকবে না।
وَأُبَطِّلُ مِنْ مُدُنِ يَهُوذَا وَمِنْ شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ صَوْتَ ٱلطَّرَبِ وَصَوْتَ ٱلْفَرَحِ، صَوْتَ ٱلْعَرِيسِ وَصَوْتَ ٱلْعَرُوسِ، لِأَنَّ ٱلْأَرْضَ تَصِيرُ خَرَابًا. ٣٤ 34
আমি যিহূদার সমস্ত গ্রাম ও জেরুশালেমের পথগুলি থেকে আনন্দ ও আমোদের শব্দ, বর ও কনের আনন্দরবের পরিসমাপ্তি ঘটাব, কারণ সেই দেশ জনমানবহীন স্থানে পরিণত হবে।

< إِرْمِيَا 7 >