< إِرْمِيَا 16 >

ثُمَّ صَارَ إِلَيَّ كَلَامُ ٱلرَّبِّ قَائِلًا: ١ 1
এরপর সদাপ্রভুর বাক্য আমার কাছে এসে উপস্থিত হল:
«لَا تَتَّخِذْ لِنَفْسِكَ ٱمْرَأَةً، وَلَا يَكُنْ لَكَ بَنُونَ وَلَا بَنَاتٌ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ. ٢ 2
“তুমি এই স্থানে বিয়ে কোরো না এবং এখানে তোমার ছেলেমেয়েও যেন না হয়।”
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ عَنِ ٱلْبَنِينَ وَعَنِ ٱلْبَنَاتِ ٱلْمَوْلُودِينَ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ، وَعَنْ أُمَّهَاتِهِمِ ٱللَّوَاتِي وَلَدْنَهُمْ، وَعَنْ آبَائِهِمِ ٱلَّذِينَ وَلَدُوهُمْ فِي هَذِهِ ٱلْأَرْضِ: ٣ 3
কারণ এখানে জন্ম নেওয়া ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে এবং তাদের মায়েদের ও বাবাদের সম্পর্কে সদাপ্রভু এই কথা বলেন:
مِيتَاتِ أَمْرَاضٍ يَمُوتُونَ. لَا يُنْدَبُونَ وَلَا يُدْفَنُونَ، بَلْ يَكُونُونَ دِمْنَةً عَلَى وَجْهِ ٱلْأَرْضِ، وَبِالسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ يَفْنَوْنَ، وَتَكُونُ جُثَثُهُمْ أُكْلًا لِطُيُورِ ٱلسَّمَاءِ وَلِوُحُوشِ ٱلْأَرْضِ. ٤ 4
“তারা মারাত্মক রোগে মারা যাবে। তাদের জন্য শোকবিলাপ করা হবে না ও তাদের কবর দেওয়া হবে না, কিন্তু আবর্জনার মতো তাদের মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকবে। তারা তরোয়ালের আঘাতে ও দুর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে এবং তাদের মৃতদেহ আকাশের পাখিদের ও বুনো পশুদের আহার হবে।”
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ: لَا تَدْخُلْ بَيْتَ ٱلنَّوْحِ وَلَا تَمْضِ لِلنَّدْبِ وَلَا تُعَزِّهِمْ، لِأَنِّي نَزَعْتُ سَلَامِي مِنْ هَذَا ٱلشَّعْبِ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، ٱلْإِحْسَانَ وَٱلْمَرَاحِمَ. ٥ 5
কারণ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তুমি মৃতদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভোজ খেতে কোনো গৃহে প্রবেশ কোরো না; সেখানে শোক করতে বা সহানুভূতি দেখাতে যেয়ো না, কারণ এই লোকদের উপর থেকে আমি আমার আশীর্বাদ, আমার ভালোবাসা ও আমার অনুকম্পা তুলে নিয়েছি,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
فَيَمُوتُ ٱلْكِبَارُ وَٱلصِّغَارُ فِي هَذِهِ ٱلْأَرْضِ. لَا يُدْفَنُونَ وَلَا يَنْدُبُونَهُمْ، وَلَا يَخْمِشُونَ أَنْفُسَهُمْ وَلَا يَجْعَلُونَ قَرَعَةً مِنْ أَجْلِهِمْ. ٦ 6
“উঁচু বা নীচ নির্বিশেষে সবাই এই দেশে মারা যাবে। তাদের কবর দেওয়া কিংবা তাদের জন্য শোক করা হবে না, কেউ নিজের শরীরে কাটাকুটি বা তাদের মস্তক মুণ্ডন করবে না।
وَلَا يَكْسِرُونَ خُبْزًا فِي ٱلْمَنَاحَةِ لِيُعَزُّوهُمْ عَنْ مَيِّتٍ، وَلَا يَسْقُونَهُمْ كَأْسَ ٱلتَّعْزِيَةِ عَنْ أَبٍ أَوْ أُمٍّ. ٧ 7
যারা মৃতদের উদ্দেশ্যে বিলাপ করে, তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেউ খাবার পাঠাবে না—এমনকি, তাদের কারও মা বা বাবার জন্যও নয়—কিংবা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেউ কোনো পানীয়ও দেবে না।
وَلَا تَدْخُلْ بَيْتَ ٱلْوَلِيمَةِ لِتَجْلِسَ مَعَهُمْ لِلْأَكْلِ وَٱلشُّرْبِ. ٨ 8
“আবার কোনো ভোজ-উৎসবের গৃহে তুমি প্রবেশ করে, সেখানে ভোজন ও পান করার জন্য বসে পড়বে না।
لِأَنَّهُ هَكَذَا قَالَ رَبُّ ٱلْجُنُودِ إِلَهُ إِسْرَائِيلَ: هَأَنَذَا مُبَطِّلٌ مِنْ هَذَا ٱلْمَوْضِعِ، أَمَامَ أَعْيُنِكُمْ وَفِي أَيَّامِكُمْ، صَوْتَ ٱلطَّرَبِ وَصَوْتَ ٱلْفَرَحِ، صَوْتَ ٱلْعَرِيسِ وَصَوْتَ ٱلْعَرُوسِ. ٩ 9
কারণ ইস্রায়েলের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: তোমাদের চোখের সামনে ও তোমাদের জীবনকালেই আমি আনন্দ ও উল্লাসের রব, বর-কন্যার আনন্দরবের পরিসমাপ্তি ঘটাব।
«وَيَكُونُ حِينَ تُخْبِرُ هَذَا ٱلشَّعْبَ بِكُلِّ هَذِهِ ٱلْأُمُورِ أَنَّهُمْ يَقُولُونَ لَكَ: لِمَاذَا تَكَلَّمَ ٱلرَّبُّ عَلَيْنَا بِكُلِّ هَذَا ٱلشَّرِّ ٱلْعَظِيمِ، فَمَا هُوَ ذَنْبُنَا وَمَا هِيَ خَطِيَّتُنَا ٱلَّتِي أَخْطَأْنَاهَا إِلَى ٱلرَّبِّ إِلَهِنَا؟ ١٠ 10
“তুমি যখন লোকেদের এই সমস্ত কথা বলবে, আর তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘সদাপ্রভু কেন আমাদের জন্য এই ধরনের বিপর্যয়ের কথা ঘোষণা করেছেন? আমরা কি অন্যায় করেছি? আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে আমরা কি পাপ করেছি?’
فَتَقُولُ لَهُمْ: مِنْ أَجْلِ أَنَّ آبَاءَكُمْ قَدْ تَرَكُونِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَذَهَبُوا وَرَاءَ آلِهَةٍ أُخْرَى وَعَبَدُوهَا وَسَجَدُوا لَهَا، وَإِيَّايَ تَرَكُوا، وَشَرِيعَتِي لَمْ يَحْفَظُوهَا. ١١ 11
তাহলে তুমি তাদের বোলো, ‘এর কারণ হল, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমাকে ত্যাগ করেছে,’ সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘এবং অন্যান্য দেবদেবীর অনুসারী হয়ে তাদের সেবা করেছে ও তাদের উপাসনা করেছে। তারা আমাকে পরিত্যাগ করেছে ও আমার বিধান পালন করেনি।
وَأَنْتُمْ أَسَأْتُمْ فِي عَمَلِكُمْ أَكْثَرَ مِنْ آبَائِكُمْ. وَهَا أَنْتُمْ ذَاهِبُونَ كُلُّ وَاحِدٍ وَرَاءَ عِنَادِ قَلْبِهِ ٱلشِّرِّيرِ حَتَّى لَا تَسْمَعُوا لِي. ١٢ 12
এছাড়া তোমরা, তোমাদের পিতৃপুরুষদের চেয়েও বেশি দুষ্টতার কাজ করেছ। দেখো, তোমরা প্রত্যেকে আমার আদেশ পালন না করে কেমনভাবে নিজেদের মন্দ হৃদয়ের অনুসারী হয়েছ।
فَأَطْرُدُكُمْ مِنْ هَذِهِ ٱلْأَرْضِ إِلَى أَرْضٍ لَمْ تَعْرِفُوهَا أَنْتُمْ وَلَا آبَاؤُكُمْ، فَتَعْبُدُونَ هُنَاكَ آلِهَةً أُخْرَى نَهَارًا وَلَيْلًا حَيْثُ لَا أُعْطِيكُمْ نِعْمَةً. ١٣ 13
তাই, আমি এই দেশ থেকে তোমাদের এমন এক দেশে ছুঁড়ে ফেলে দেব, যে দেশের কথা তোমরা জানো না বা তোমাদের পিতৃপুরুষেরা জানত না। সেখানে তোমরা দিনরাত অন্যান্য দেবদেবীর সেবা করবে, কারণ আমি তোমাদের প্রতি কোনো কৃপা প্রদর্শন করব না।’
«لِذَلِكَ هَا أَيَّامٌ تَأْتِي، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَلَا يُقَالُ بَعْدُ: حَيٌّ هُوَ ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي أَصْعَدَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ أَرْضِ مِصْرَ، ١٤ 14
“তবুও, এমন দিন আসন্ন,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যখন লোকেরা আর ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি ইস্রায়েলীদের মিশর থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন একথা বলবে না,’
بَلْ: حَيٌّ هُوَ ٱلرَّبُّ ٱلَّذِي أَصْعَدَ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ أَرْضِ ٱلشِّمَالِ وَمِنْ جَمِيعِ ٱلْأَرَاضِي ٱلَّتِي طَرَدَهُمْ إِلَيْهَا. فَأُرْجِعُهُمْ إِلَى أَرْضِهِمِ ٱلَّتِي أَعْطَيْتُ آبَاءَهُمْ إِيَّاهَا. ١٥ 15
বরং তারা বলবে, ‘জীবন্ত সদাপ্রভুর দিব্যি, যিনি উত্তরের দেশ থেকে এবং যে সমস্ত দেশে তিনি তাদের নির্বাসিত করেছিলেন, সেখান থেকে ইস্রায়েলীদের মুক্ত করে এনেছেন।’ কারণ তাদের পিতৃপুরুষদের আমি যে দেশ দিয়েছিলাম, সেখানেই তাদের আবার ফিরিয়ে আনব।
«هَأَنَذَا أُرْسِلُ إِلَى جَزَّافِينَ كَثِيرِينَ، يَقُولُ ٱلرَّبُّ، فَيَصْطَادُونَهُمْ، ثُمَّ بَعْدَ ذَلِكَ أُرْسِلُ إِلَى كَثِيرِينَ مِنَ ٱلْقَانِصِينَ فَيَقْتَنِصُونَهُمْ عَنْ كُلِّ جَبَلٍ وَعَنْ كُلِّ أَكَمَةٍ وَمِنْ شُقُوقِ ٱلصُّخُورِ. ١٦ 16
“কিন্তু এবারে আমি বহু জেলেকে পাঠাব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তারা তাদের ধরবে। তারপর আমি পাঠাব বহু শিকারিকে, যারা তাদের প্রত্যেক পাহাড় ও পর্বতের ফাটল ও বড়ো বড়ো পাথরের খাঁজ থেকে শিকার করে আনবে।
لِأَنَّ عَيْنَيَّ عَلَى كُلِّ طُرُقِهِمْ. لَمْ تَسْتَتِرْ عَنْ وَجْهِي، وَلَمْ يَخْتَفِ إِثْمُهُمْ مِنْ أَمَامِ عَيْنَيَّ. ١٧ 17
আমার চোখ তাদের সমস্ত জীবনাচরণের প্রতি নিবদ্ধ থাকবে, তাদের কোনো পাপ আমার কাছ থেকে গুপ্ত থাকবে না।
وَأُعَاقِبُ أَوَّلًا إِثْمَهُمْ وَخَطِيَّتَهُمْ ضِعْفَيْنِ، لِأَنَّهُمْ دَنَّسُوا أَرْضِي، وَبِجُثَثِ مَكْرُهَاتِهِمْ وَرَجَاسَاتِهِمْ قَدْ مَلَأُوا مِيرَاثِي». ١٨ 18
তাদের দুষ্টতা ও তাদের পাপের জন্য আমি তাদের দ্বিগুণ প্রতিফল দেব, কারণ তারা তাদের অসার সব দেবমূর্তির প্রাণহীন আকৃতির দ্বারা আমার দেশ অশুচি করেছে এবং তাদের জঘন্য সব প্রতিমার দ্বারা আমার অধিকারকে পূর্ণ করেছে।”
يَارَبُّ، عِزِّي وَحِصْنِي وَمَلْجَإِي فِي يَوْمِ ٱلضِّيْقِ، إِلَيْكَ تَأْتِي ٱلْأُمَمُ مِنْ أَطْرَافِ ٱلْأَرْضِ، وَيَقُولُونَ: «إِنَّمَا وَرِثَ آبَاؤُنَا كَذِبًا وَأَبَاطِيلَ وَمَا لَا مَنْفَعَةَ فِيهِ. ١٩ 19
হে সদাপ্রভু, আমার শক্তি ও আমার দুর্গ, দুর্দশার সময়ে আমার আশ্রয়স্থান, তোমার কাছেই সমস্ত জাতি আসবে, পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে এসে তারা বলবে, “মিথ্যা দেবতা ছাড়া আমাদের পিতৃপুরুষদের কাছে আর কিছুই ছিল না, অসার প্রতিমারা তাদের কোনো উপকারই করতে পারেনি।
هَلْ يَصْنَعُ ٱلْإِنْسَانُ لِنَفْسِهِ آلِهَةً وَهِيَ لَيْسَتْ آلِهَةً؟». ٢٠ 20
লোকেরা কি নিজেদের দেবদেবী তৈরি করতে পারে? হ্যাঁ পারে, কিন্তু আসলে তারা দেবতাই নয়!”
«لِذَلِكَ هَأَنَذَا أُعَرِّفُهُمْ هَذِهِ ٱلْمَرَّةَ، أُعَرِّفُهُمْ يَدِي وَجَبَرُوتِي، فَيَعْرِفُونَ أَنَّ ٱسْمِي يَهْوَهُ. ٢١ 21
“সেই কারণে, আমি তাদের শিক্ষা দেব, এবার আমার পরাক্রম ও আমার শক্তি সম্পর্কে তাদের শিক্ষা দেব। তখন তারা জানতে পারবে যে, আমার নাম সদাপ্রভু।”

< إِرْمِيَا 16 >