< إِرْمِيَا 14 >

كَلِمَةُ ٱلرَّبِّ ٱلَّتِي صَارَتْ إِلَى إِرْمِيَا مِنْ جِهَةِ ٱلْقَحْطِ: ١ 1
ভারী অনাবৃষ্টির সময়ে যিরমিয় সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই বাক্য লাভ করেন:
«نَاحَتْ يَهُوذَا وَأَبْوَابُهَا ذَبُلَتْ. حَزِنَتْ إِلَى ٱلْأَرْضِ وَصَعِدَ عَوِيلُ أُورُشَلِيمَ. ٢ 2
“যিহূদা শোক করছে, তার নগরগুলি নিস্তেজ হয়ে পড়েছে; তার লোকেরা দেশের জন্য বিলাপ করছে, জেরুশালেম থেকে উঠে যাচ্ছে এক কান্নার রোল।
وَأَشْرَافُهُمْ أَرْسَلُوا أَصَاغِرَهُمْ لِلْمَاءِ. أَتَوْا إِلَى ٱلْأَجْبَابِ فَلَمْ يَجِدُوا مَاءً. رَجَعُوا بِآنِيَتِهِمْ فَارِغَةً. خَزُوا وَخَجِلُوا وَغَطَّوْا رُؤُوسَهُمْ ٣ 3
সম্ভ্রান্ত মানুষেরা জলের জন্য তাদের দাসদের পাঠায়; তারা জলাধারের কাছে যায়, কিন্তু জল পায় না। তারা শূন্য কলশি নিয়ে ফিরে আসে; আশাহত ও নিরুপায় হয়ে তারা নিজের নিজের মাথা ঢেকে ফেলে।
مِنْ أَجْلِ أَنَّ ٱلْأَرْضَ قَدْ تَشَقَّقَتْ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ مَطَرٌ عَلَى ٱلْأَرْضِ خَزِيَ ٱلْفَلَّاحُونَ. غَطَّوْا رُؤُوسَهُمْ. ٤ 4
জমি ফেটে চৌচির হয়েছে কারণ দেশে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি; কৃষকেরা আশাহত হয়ে তারাও নিজেদের মাথা ঢেকে ফেলেছে।
حَتَّى أَنَّ ٱلْإِيَّلَةَ أَيْضًا فِي ٱلْحَقْلِ وَلَدَتْ وَتَرَكَتْ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ كَلأٌ. ٥ 5
এমনকি, মাঠের হরিণীও, ঘাস নেই বলে তার নবজাত শাবককে ফেলে চলে যায়।
ٱلْفِرَا وَقَفَتْ عَلَى ٱلْهِضَابِ تَسْتَنْشِقُ ٱلرِّيحَ مِثْلَ بَنَاتِ آوَى. كَلَّتْ عُيُونُهَا لِأَنَّهُ لَيْسَ عُشْبٌ». ٦ 6
বন্য গর্দভেরা গাছপালাহীন উঁচু স্থানগুলিতে দাঁড়ায় ও শিয়ালের মতো হাঁপাতে থাকে; ঘাসের অভাবে তাদের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়।”
وَإِنْ تَكُنْ آثَامُنَا تَشْهَدُ عَلَيْنَا يَارَبُّ، فَٱعْمَلْ لِأَجْلِ ٱسْمِكَ. لِأَنَّ مَعَاصِيَنَا كَثُرَتْ. إِلَيْكَ أَخْطَأْنَا. ٧ 7
যদিও আমাদের পাপসকল আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়, হে সদাপ্রভু, তোমার শ্রীনামের জন্য তুমি কিছু করো। কারণ আমরা অনেকভাবে বিপথগামী হয়েছি; আমরা তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
يَا رَجَاءَ إِسْرَائِيلَ، مُخَلِّصَهُ فِي زَمَانِ ٱلضِّيقِ، لِمَاذَا تَكُونُ كَغَرِيبٍ فِي ٱلْأَرْضِ، وَكَمُسَافِرٍ يَمِيلُ لِيَبِيتَ؟ ٨ 8
ইস্রায়েলের আশাভূমি, তার বিভিন্ন দুর্দশার পরিত্রাতা, কেন তুমি দেশে এক অচেনা মানুষের মতো হয়েছ, সেই পথিকের মতো হয়েছ, যে এক রাত্রিমাত্র অবস্থান করে?
لِمَاذَا تَكُونُ كَإِنْسَانٍ قَدْ تَحَيَّرَ، كَجَبَّارٍ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يُخَلِّصَ؟ وَأَنْتَ فِي وَسْطِنَا يَارَبُّ، وَقَدْ دُعِينَا بِٱسْمِكَ. لَا تَتْرُكْنَا! ٩ 9
কেন তুমি বিভ্রান্ত এক মানুষের মতো, উদ্ধার করতে না পারা যোদ্ধার মতো হও? হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের মধ্যেই আছ, আর আমরা তোমার পরিচয় বহন করি; আমাদের পরিত্যাগ কোরো না!
هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ لِهَذَا ٱلشَّعْبِ: «هَكَذَا أَحَبُّوا أَنْ يَجُولُوا. لَمْ يَمْنَعُوا أَرْجُلَهُمْ، فَٱلرَّبُّ لَمْ يَقْبَلْهُمْ. اَلْآنَ يَذْكُرُ إِثْمَهُمْ وَيُعَاقِبُ خَطَايَاهُمْ». ١٠ 10
এই জাতির লোকদের সম্বন্ধে সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “তারা এরকমই বিপথগামী হতে ভালোবাসে; তারা তাদের চরণ সংযত করে না। সেই কারণে, সদাপ্রভু তাদের গ্রহণ করেন না; এবার তিনি তাদের দুষ্টতা স্মরণ করবেন, তাদের পাপসকলের জন্য তাদের শাস্তি দেবেন।”
وَقَالَ ٱلرَّبُّ لِي: «لَا تُصَلِّ لِأَجْلِ هَذَا ٱلشَّعْبِ لِلْخَيْرِ. ١١ 11
এরপর সদাপ্রভু আমাকে এই কথা বললেন, “এই লোকদের মঙ্গলের জন্য তুমি প্রার্থনা কোরো না।
حِينَ يَصُومُونَ لَا أَسْمَعُ صُرَاخَهُمْ، وَحِينَ يُصْعِدُونَ مُحْرَقَةً وَتَقْدِمَةً لَا أَقْبَلُهُمْ، بَلْ بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ وَٱلْوَبَإِ أَنَا أُفْنِيهِمْ». ١٢ 12
তারা যদিও উপবাস করে, আমি তাদের কান্না শুনব না; তারা যদিও হোমবলি ও শস্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করে, আমি সেগুলি গ্রাহ্য করব না। পরিবর্তে, আমি তাদের তরোয়াল, দুর্ভিক্ষ ও মহামারির দ্বারা ধ্বংস করব।”
فَقُلْتُ: «آهِ، أَيُّهَا ٱلسَّيِّدُ ٱلرَّبُّ! هُوَذَا ٱلْأَنْبِيَاءُ يَقُولُونَ لَهُمْ لَا تَرَوْنَ سَيْفًا، وَلَا يَكُونُ لَكُمْ جُوعٌ بَلْ سَلَامًا ثَابِتًا أُعْطِيكُمْ فِي هَذَا ٱلْمَوْضِعِ». ١٣ 13
কিন্তু আমি বললাম, “আহ্, সার্বভৌম সদাপ্রভু, ভাববাদীরা নিরন্তর তাদের বলে এসেছে, ‘তোমরা তরোয়ালের সম্মুখীন হবে না বা দুর্ভিক্ষেও কষ্ট পাবে না। প্রকৃতপক্ষে, আমি তোমাদের এই স্থানে চিরস্থায়ী শান্তি ভোগ করতে দেব।’”
فَقَالَ ٱلرَّبُّ لِي: «بِٱلْكَذِبِ يَتَنَبَّأُ ٱلْأَنْبِيَاءُ بِٱسْمِي. لَمْ أُرْسِلْهُمْ، وَلَا أَمَرْتُهُمْ، وَلَا كَلَّمْتُهُمْ. بِرُؤْيَا كَاذِبَةٍ وَعِرَافَةٍ وَبَاطِلٍ وَمَكْرِ قُلُوبِهِمْ هُمْ يَتَنَبَّأُونَ لَكُمْ». ١٤ 14
তখন সদাপ্রভু আমাকে বললেন, “ভাববাদীরা আমার নামে মিথ্যা ভাববাণী বলে। আমি তাদের পাঠাইনি বা নিযুক্ত করিনি বা তাদের সঙ্গে কথা বলিনি। তারা তোমাদের কাছে মিথ্যা দর্শন, অসার দৈব বাক্য ও তাদের মনগড়া ভ্রান্তির কথা বলে।
«لِذَلِكَ هَكَذَا قَالَ ٱلرَّبُّ عَنِ ٱلْأَنْبِيَاءِ ٱلَّذِينَ يَتَنَبَّأُونَ بِٱسْمِي وَأَنَا لَمْ أُرْسِلْهُمْ، وَهُمْ يَقُولُونَ: لَا يَكُونُ سَيْفٌ وَلَا جُوعٌ فِي هَذِهِ ٱلْأَرْضِ: «بِٱلسَّيْفِ وَٱلْجُوعِ يَفْنَى أُولَئِكَ ٱلْأَنْبِيَاءُ. ١٥ 15
অতএব, যারা তাঁর নাম ব্যবহার করে ভাববাণী বলেছে, সদাপ্রভু সেইসব ভাববাদীর উদ্দেশে এই কথা বলেন, আমি তাদের পাঠাইনি, অথচ তারা বলছে, ‘কোনো যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ এই দেশকে স্পর্শ করবে না।’ ওই ভাববাদীরাই যুদ্ধে ও দুর্ভিক্ষে ধ্বংস হবে।
وَٱلشَّعْبُ ٱلَّذِي يَتَنَبَّأُونَ لَهُ يَكُونُ مَطْرُوحًا فِي شَوَارِعِ أُورُشَلِيمَ مِنْ جَرَى ٱلْجُوعِ وَٱلسَّيْفِ، وَلَيْسَ مَنْ يَدْفِنُهُمْ هُمْ وَنِسَاؤُهُمْ وَبَنَوُهُمْ وَبَنَاتُهُمْ، وَأَسْكُبُ عَلَيْهِمْ شَرَّهُمْ. ١٦ 16
আর যে লোকদের কাছে তারা ভাববাণী বলেছে, যুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের কারণে তাদের জেরুশালেমের পথে পথে নিক্ষেপ করা হবে। তাদের, কিংবা তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের কবর দেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না। তাদের প্রাপ্য যে দুর্দশা, তা আমি তাদের উপরে ঢেলে দেব।
وَتَقُولُ لَهُمْ هَذِهِ ٱلْكَلِمَةَ: لِتَذْرِفْ عَيْنَايَ دُمُوعًا لَيْلًا وَنَهَارًا وَلَا تَكُفَّا، لِأَنَّ ٱلْعَذْرَاءَ بِنْتَ شَعْبِي سُحِقَتْ سَحْقًا عَظِيمًا، بِضَرْبَةٍ مُوجِعَةٍ جِدًّا. ١٧ 17
“তুমি এসব কথা ওদের বলো: “‘আমার চোখের জল উপচে পড়ুক, রাতদিন না থেমে তা বয়ে যাক; কারণ আমার কুমারী কন্যাস্বরূপ আমার প্রজারা এক ভয়ংকর ক্ষত, এক চূর্ণকারী আঘাত পেয়েছে।
إِذَا خَرَجْتُ إِلَى ٱلْحَقْلِ، فَإِذَا ٱلْقَتْلَى بِٱلسَّيْفِ. وَإِذَا دَخَلْتُ ٱلْمَدِينَةَ، فَإِذَا ٱلْمَرْضَى بِٱلْجُوعِ، لِأَنَّ ٱلنَّبِيَّ وَٱلْكَاهِنَ كِلَيْهِمَا يَطُوفَانِ فِي ٱلْأَرْضِ وَلَا يَعْرِفَانِ شَيْئًا». ١٨ 18
আমি যদি গ্রামে যাই, আমি তরোয়ালের আঘাতে নিহতদের দেখি; যদি আমি নগরে যাই, আমি দুর্ভিক্ষের ধ্বংসাত্মক পরিণাম দেখি। ভাববাদী ও যাজকেরা সকলেই, তাদের অপরিচিত এক দেশে চলে গেছে।’”
هَلْ رَفَضْتَ يَهُوذَا رَفْضًا، أَوْ كَرِهَتْ نَفْسُكَ صِهْيَوْنَ؟ لِمَاذَا ضَرَبْتَنَا وَلَا شِفَاءَ لَنَا؟ ٱنْتَظَرْنَا ٱلسَّلَامَ فَلَمْ يَكُنْ خَيْرٌ، وَزَمَانَ ٱلشِّفَاءِ فَإِذَا رُعْبٌ. ١٩ 19
তুমি কি সম্পূর্ণরূপে যিহূদাকে প্রত্যাখ্যান করেছ? তুমি কি সিয়োনকে অবজ্ঞা করো? তুমি কেন আমাদের এমন দুর্দশাগ্রস্ত করেছ যে আমাদের অবস্থার প্রতিকার হয় না? আমরা শান্তির আশায় ছিলাম, কোনো মঙ্গল আমাদের হয়নি, অবস্থার প্রতিকারের আশায় আমরা ছিলাম, কিন্তু কেবলমাত্র আতঙ্কেরই সম্মুখীন হয়েছি।
قَدْ عَرَفْنَا يَارَبُّ شَرَّنَا، إِثْمَ آبَائِنَا، لِأَنَّنَا قَدْ أَخْطَأْنَا إِلَيْكَ. ٢٠ 20
হে সদাপ্রভু, আমরা স্বীকার করি আমাদের দুষ্টতার কথা এবং আমাদের পিতৃপুরুষদের অপরাধের কথা; আমরা প্রকৃতই তোমার বিরুদ্ধে পাপ করেছি।
لَا تَرْفُضْ لِأَجْلِ ٱسْمِكَ. لَا تَهِنْ كُرْسِيَّ مَجْدِكَ. اُذْكُرْ. لَا تَنْقُضْ عَهْدَكَ مَعَنَا. ٢١ 21
তোমার নিজের নামের অনুরোধে, তুমি আমাদের ঘৃণা কোরো না; তোমার গৌরবের সিংহাসনকে অসম্মানিত কোরো না। আমাদের সঙ্গে কৃত তোমার চুক্তির কথা স্মরণ করো, এবং তা ভেঙে ফেলো না।
هَلْ يُوجَدُ فِي أَبَاطِيلِ ٱلْأُمَمِ مَنْ يُمْطِرُ، أَوْ هَلْ تُعْطِي ٱلسَّمَاوَاتُ وَابِلًا؟ أَمَا أَنْتَ هُوَ ٱلرَّبُّ إِلَهُنَا؟ فَنَرْجُوكَ، لِأَنَّكَ أَنْتَ صَنَعْتَ كُلَّ هَذِهِ. ٢٢ 22
কোনো জাতির অসার দেবমূর্তিরা কি বৃষ্টি আনতে পারে? আকাশমণ্ডল কি স্বয়ং বারিধারা বর্ষণ করে? না, কিন্তু তুমিই তা করতে পারো, হে সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর। সেই কারণে আমরা তোমার উপরে প্রত্যাশা রাখি, কারণ কেবলমাত্র তুমিই এসব করে থাকো।

< إِرْمِيَا 14 >