< يَعقُوب 2 >

يَا إِخْوَتِي، لَا يَكُنْ لَكُمْ إِيمَانُ رَبِّنَا يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ، رَبِّ ٱلْمَجْدِ، فِي ٱلْمُحَابَاةِ. ١ 1
হে আমার ভাইয়েরা, তোমরা আমাদের মহিমান্বিত প্রভু যীশু খ্রীষ্টেতে বিশ্বাসী, সুতরাং তোমরা পক্ষপাতিত্ব করো না।
فَإِنَّهُ إِنْ دَخَلَ إِلَى مَجْمَعِكُمْ رَجُلٌ بِخَوَاتِمِ ذَهَبٍ فِي لِبَاسٍ بَهِيٍّ، وَدَخَلَ أَيْضًا فَقِيرٌ بِلِبَاسٍ وَسِخٍ، ٢ 2
কারণ যদি তোমাদের সভাতে সোনার আংটি ও সুন্দর পোশাক পরা কোন ব্যক্তি আসে এবং ময়লা পোশাক পরা কোন দরিদ্র ব্যক্তি আসে,
فَنَظَرْتُمْ إِلَى ٱللَّابِسِ ٱللِّبَاسَ ٱلْبَهِيَّ وَقُلْتُمْ لَهُ: «ٱجْلِسْ أَنْتَ هُنَا حَسَنًا». وَقُلْتُمْ لِلْفَقِيرِ: «قِفْ أَنْتَ هُنَاكَ» أَوِ: «ٱجْلِسْ هُنَا تَحْتَ مَوْطِىءِ قَدَمَيَّ». ٣ 3
আর তোমরা সেই সুন্দর পোশাক পরা ব্যক্তির মুখের দিকে তাকিয়ে বল, আপনি এখানে ভালো জায়গায় বসুন, কিন্তু সেই দরিদ্রকে যদি বল, তুমি ওখানে দাঁড়াও, কিম্বা আমার পায়ের কাছে বস,
فَهَلْ لَا تَرْتَابُونَ فِي أَنْفُسِكُمْ، وَتَصِيرُونَ قُضَاةَ أَفْكَارٍ شِرِّيرَةٍ؟ ٤ 4
তাহলে তোমরা কি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছ না এবং মন্দ চিন্তাধারা নিয়ে বিচার করছ না?
ٱسْمَعُوا يَا إِخْوَتِي ٱلْأَحِبَّاءَ: أَمَا ٱخْتَارَ ٱللهُ فُقَرَاءَ هَذَا ٱلْعَالَمِ أَغْنِيَاءَ فِي ٱلْإِيمَانِ، وَوَرَثَةَ ٱلْمَلَكُوتِ ٱلَّذِي وَعَدَ بِهِ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَهُ؟ ٥ 5
হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, শোন, পৃথিবীতে যারা দরিদ্র, ঈশ্বর কি তাদেরকে মনোনীত করেননি, যেন তারা বিশ্বাসে ধনবান হয় এবং যারা তাঁকে ভালবাসে, তাদের কাছে যে রাজ্য প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে তার অধিকারী হয়?
وَأَمَّا أَنْتُمْ فَأَهَنْتُمُ ٱلْفَقِيرَ. أَلَيْسَ ٱلْأَغْنِيَاءُ يَتَسَلَّطُونَ عَلَيْكُمْ وَهُمْ يَجُرُّونَكُمْ إِلَى ٱلْمَحَاكِمِ؟ ٦ 6
কিন্তু তোমরা সেই দরিদ্রকে অসম্মান করেছ। এই ধনীরাই কি তোমাদের প্রতি অত্যাচার করে না? তারাই কি তোমাদেরকে টেনে বিচার সভায় নিয়ে যায় না?
أَمَا هُمْ يُجَدِّفُونَ عَلَى ٱلِٱسْمِ ٱلْحَسَنِ ٱلَّذِي دُعِيَ بِهِ عَلَيْكُمْ؟ ٧ 7
যে সম্মানিত নামে তোমাদের ডাকা হয়, তারা কি সেই খ্রীষ্টকে নিন্দা করে না?
فَإِنْ كُنْتُمْ تُكَمِّلُونَ ٱلنَّامُوسَ ٱلْمُلُوكِيَّ حَسَبَ ٱلْكِتَابِ: «تُحِبُّ قَرِيبَكَ كَنَفْسِكَ»، فَحَسَنًا تَفْعَلُونَ. ٨ 8
যাই হোক, “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত ভালবাসবে।” এই শাস্ত্রের আদেশ অনুযায়ী যদি তোমরা এই রাজকীয় ব্যবস্থা পালন কর, তবে তা ভাল করছ।
وَلَكِنْ إِنْ كُنْتُمْ تُحَابُونَ، تَفْعَلُونَ خَطِيَّةً، مُوَبَّخِينَ مِنَ ٱلنَّامُوسِ كَمُتَعَدِّينَ. ٩ 9
কিন্তু যদি তোমরা কিছু লোকের পক্ষপাতিত্ব কর, তবে তোমরা পাপ করছ এবং ব্যবস্থাই তোমাদের আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী করে।
لِأَنَّ مَنْ حَفِظَ كُلَّ ٱلنَّامُوسِ، وَإِنَّمَا عَثَرَ فِي وَاحِدَةٍ، فَقَدْ صَارَ مُجْرِمًا فِي ٱلْكُلِّ. ١٠ 10
১০কারণ যে কেউ সমস্ত ব্যবস্থা পালন করে এবং একটি বিষয়ে না করে, সে সমস্ত আদেশ অমান্যকারী বলে দোষী হয়েছে।
لِأَنَّ ٱلَّذِي قَالَ: «لَا تَزْنِ»، قَالَ أَيْضًا: «لَا تَقْتُلْ». فَإِنْ لَمْ تَزْنِ وَلَكِنْ قَتَلْتَ، فَقَدْ صِرْتَ مُتَعَدِّيًا ٱلنَّامُوسَ. ١١ 11
১১কারণ ঈশ্বর যিনি বললেন, “ব্যভিচার করো না,” তিনিই আবার বলেছেন, “মানুষ হত্যা করো না,” ভাল, তুমি যদি ব্যভিচার না করে মানুষ হত্যা কর, তাহলে, তুমি ঈশ্বরের সমস্ত আদেশকে অমান্য করছ।
هَكَذَا تَكَلَّمُوا وَهَكَذَا ٱفْعَلُوا كَعَتِيدِينَ أَنْ تُحَاكَمُوا بِنَامُوسِ ٱلْحُرِّيَّةِ. ١٢ 12
১২তোমরা স্বাধীনতার ব্যবস্থা দিয়ে বিচারিত হবে বলে সেইভাবে কথা বল ও কাজ কর।
لِأَنَّ ٱلْحُكْمَ هُوَ بِلَا رَحْمَةٍ لِمَنْ لَمْ يَعْمَلْ رَحْمَةً، وَٱلرَّحْمَةُ تَفْتَخِرُ عَلَى ٱلْحُكْمِ. ١٣ 13
১৩কারণ যে ব্যক্তি দয়া করে নি, বিচারেও তার প্রতি দয়া দেখানো হবে না; দয়াই বিচারের উপর জয়লাভ করে।
مَا ٱلْمَنْفَعَةُ يَا إِخْوَتِي إِنْ قَالَ أَحَدٌ إِنَّ لَهُ إِيمَانًا وَلَكِنْ لَيْسَ لَهُ أَعْمَالٌ، هَلْ يَقْدِرُ ٱلْإِيمَانُ أَنْ يُخَلِّصَهُ؟ ١٤ 14
১৪হে আমার ভাইয়েরা, যদি কেউ বলে, আমার বিশ্বাস আছে, আর তার উপযুক্ত কাজ না করে, তবে তার কি ফলাফল হবে? সেই বিশ্বাস কি তাকে পাপ থেকে উদ্ধার করতে পারে?
إِنْ كَانَ أَخٌ وَأُخْتٌ عُرْيَانَيْنِ وَمُعْتَازَيْنِ لِلْقُوتِ ٱلْيَوْمِيِّ، ١٥ 15
১৫কোন ভাই অথবা বোনের পোশাক ও খাবারের প্রয়োজন হয়,
فَقَالَ لَهُمَا أَحَدُكُمُ: «ٱمْضِيَا بِسَلَامٍ، ٱسْتَدْفِئَا وَٱشْبَعَا»، وَلَكِنْ لَمْ تُعْطُوهُمَا حَاجَاتِ ٱلْجَسَدِ، فَمَا ٱلْمَنْفَعَةُ؟ ١٦ 16
১৬এবং তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি তাদেরকে বলল, “শান্তিতে যাও, উষ্ণ হও ও খেয়ে তৃপ্ত হও,” কিন্তু তোমরা যদি তাদেরকে শরীরের প্রয়োজনীয় বস্তু না দাও, তবে তাতে কি লাভ?
هَكَذَا ٱلْإِيمَانُ أَيْضًا، إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ أَعْمَالٌ، مَيِّتٌ فِي ذَاتِهِ. ١٧ 17
১৭একইভাবে যদি শুধু বিশ্বাস থাকে এবং তা কাজ বিহীন হয়, তবে তা মৃত।
لَكِنْ يَقُولُ قَائِلٌ: «أَنْتَ لَكَ إِيمَانٌ، وَأَنَا لِي أَعْمَالٌ. أَرِنِي إِيمَانَكَ بِدُونِ أَعْمَالِكَ، وَأَنَا أُرِيكَ بِأَعْمَالِي إِيمَانِي». ١٨ 18
১৮কিন্তু কেউ যদি বলে, “তোমার বিশ্বাস আছে, আর আমার কাছে সৎ কাজ আছে,” তোমার কাজ বিহীন বিশ্বাস আমাকে দেখাও, আর আমি তোমাকে আমার কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস দেখাব।
أَنْتَ تُؤْمِنُ أَنَّ ٱللهَ وَاحِدٌ. حَسَنًا تَفْعَلُ. وَٱلشَّيَاطِينُ يُؤْمِنُونَ وَيَقْشَعِرُّونَ! ١٩ 19
১৯তুমি বিশ্বাস কর যে, ঈশ্বর এক, তুমি তা ঠিকই বিশ্বাস কর; ভূতেরাও তা বিশ্বাস করে এবং ভয়ে কাঁপে।
وَلَكِنْ هَلْ تُرِيدُ أَنْ تَعْلَمَ أَيُّهَا ٱلْإِنْسَانُ ٱلْبَاطِلُ أَنَّ ٱلْإِيمَانَ بِدُونِ أَعْمَالٍ مَيِّتٌ؟ ٢٠ 20
২০কিন্তু, হে নির্বোধ মানুষ, তুমি কি জানতে চাও যে, কাজ বিহীন বিশ্বাস কোন কাজের নয়?
أَلَمْ يَتَبَرَّرْ إِبْرَاهِيمُ أَبُونَا بِٱلْأَعْمَالِ، إِذْ قَدَّمَ إِسْحَاقَ ٱبْنَهُ عَلَى ٱلْمَذْبَحِ؟ ٢١ 21
২১আমাদের পিতা অব্রাহাম কাজের মাধ্যমে, অর্থাৎ যজ্ঞবেদির উপরে তাঁর পুত্র ইসহাককে উৎসর্গ করার মাধ্যমেই, কি ধার্মিক বলে প্রমাণিত হলেন না?
فَتَرَى أَنَّ ٱلْإِيمَانَ عَمِلَ مَعَ أَعْمَالِهِ، وَبِٱلْأَعْمَالِ أُكْمِلَ ٱلْإِيمَانُ، ٢٢ 22
২২তুমি দেখতে পাচ্ছ যে, বিশ্বাস তাঁর কাজের সঙ্গে ছিল এবং কাজের মাধ্যমে বিশ্বাস পূর্ণ হল;
وَتَمَّ ٱلْكِتَابُ ٱلْقَائِلُ: «فَآمَنَ إِبْرَاهِيمُ بِٱللهِ فَحُسِبَ لَهُ بِرًّا»، وَدُعِيَ خَلِيلَ ٱللهِ. ٢٣ 23
২৩তাতে এই শাস্ত্র বাক্যটি পূর্ণ হল, “অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করলেন এবং তা তাঁর পক্ষে ধার্ম্মিকতা বলে প্রমাণিত হল,” আর তিনি “ঈশ্বরের বন্ধু” এই নাম পেলেন।
تَرَوْنَ إِذًا أَنَّهُ بِٱلْأَعْمَالِ يَتَبَرَّرُ ٱلْإِنْسَانُ، لَابِٱلْإِيمَانِ وَحْدَهُ. ٢٤ 24
২৪তোমরা দেখতে পাচ্ছ, কাজের মাধ্যমেই মানুষ ধার্মিক বলে প্রমাণিত হয়, শুধু বিশ্বাস দিয়ে নয়।
كَذَلِكَ رَاحَابُ ٱلزَّانِيَةُ أَيْضًا، أَمَا تَبَرَّرَتْ بِٱلْأَعْمَالِ، إِذْ قَبِلَتِ ٱلرُّسُلَ وَأَخْرَجَتْهُمْ فِي طَرِيقٍ آخَرَ؟ ٢٥ 25
২৫আবার রাহব বেশ্যাও কি সেই একইভাবে কাজের মাধ্যমে ধার্মিক বলে প্রমাণিত হলেন না? তিনি তো দূতদের সেবা করেছিলেন এবং অন্য রাস্তা দিয়ে তাঁদের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
لِأَنَّهُ كَمَا أَنَّ ٱلْجَسَدَ بِدُونَ رُوحٍ مَيِّتٌ، هَكَذَا ٱلْإِيمَانُ أَيْضًا بِدُونِ أَعْمَالٍ مَيِّتٌ. ٢٦ 26
২৬তাই যেমন আত্মা ছাড়া দেহ মৃত, তেমনি কাজ ছাড়া বিশ্বাসও মৃত।

< يَعقُوب 2 >