< أفَسُس 4 >

فَأَطْلُبُ إِلَيْكُمْ، أَنَا ٱلْأَسِيرَ فِي ٱلرَّبِّ: أَنْ تَسْلُكُوا كَمَا يَحِقُّ لِلدَّعْوَةِ ٱلَّتِي دُعِيتُمْ بِهَا. ١ 1
অতএব প্রভুতে বন্দি আমি তোমাদেরকে আবেদন করছি, তোমরা যে ডাকে আহুত হয়েছ, তার উপযুক্ত হয়ে চল।
بِكُلِّ تَوَاضُعٍ وَوَدَاعَةٍ وَبِطُولِ أَنَاةٍ، مُحْتَمِلِينَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا فِي ٱلْمَحَبَّةِ. ٢ 2
সম্পূর্ণ ভদ্র ও ধীরস্থির ভাবে এবং ধৈর্য্যের সাথে চল; প্রেমে একে অন্যের প্রতি ক্ষমাশীল হও,
مُجْتَهِدِينَ أَنْ تَحْفَظُوا وَحْدَانِيَّةَ ٱلرُّوحِ بِرِبَاطِ ٱلسَّلَامِ. ٣ 3
শান্তির যোগবন্ধনে আত্মার ঐক্য রক্ষা করতে যত্নবান হও।
جَسَدٌ وَاحِدٌ، وَرُوحٌ وَاحِدٌ، كَمَا دُعِيتُمْ أَيْضًا فِي رَجَاءِ دَعْوَتِكُمُ ٱلْوَاحِدِ. ٤ 4
দেহ এক এবং আত্মা এক; যেমন তোমাদের ডাকের একই প্রত্যাশায় তোমরা আহুত হয়েছ।
رَبٌّ وَاحِدٌ، إِيمَانٌ وَاحِدٌ، مَعْمُودِيَّةٌ وَاحِدَةٌ، ٥ 5
প্রভু এক, বিশ্বাস এক, বাপ্তিষ্ম এক,
إِلَهٌ وَآبٌ وَاحِدٌ لِلْكُلِّ، ٱلَّذِي عَلَى ٱلْكُلِّ وَبِٱلْكُلِّ وَفِي كُلِّكُمْ. ٦ 6
সবার ঈশ্বরও পিতা এক, তিনি সবার উপরে, সবার কাছে ও সবার মনে আছেন।
وَلَكِنْ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِنَّا أُعْطِيَتِ ٱلنِّعْمَةُ حَسَبَ قِيَاسِ هِبَةِ ٱلْمَسِيحِ. ٧ 7
কিন্তু খ্রীষ্টের দানের পরিমাণ অনুসারে আমাদের প্রত্যেক জনকে অনুগ্রহ দেওয়া হয়েছে।
لِذَلِكَ يَقُولُ: «إِذْ صَعِدَ إِلَى ٱلْعَلَاءِ سَبَى سَبْيًا وَأَعْطَى ٱلنَّاسَ عَطَايَا». ٨ 8
এই জন্য কথায় আছে, “তিনি স্বর্গে উঠে বন্দীদেরকে বন্দি করলেন, মানুষদেরকে নানা আশীর্বাদ দান করলেন।”
وَأَمَّا أَنَّهُ «صَعِدَ»، فَمَا هُوَ إِلَّا إِنَّهُ نَزَلَ أَيْضًا أَوَّلًا إِلَى أَقْسَامِ ٱلْأَرْضِ ٱلسُّفْلَى. ٩ 9
“তিনি উঠলেন” এর তাত্পর্য কি? না এই যে, তিনি পৃথিবীর গভীরে নেমেছিলেন।
اَلَّذِي نَزَلَ هُوَ ٱلَّذِي صَعِدَ أَيْضًا فَوْقَ جَمِيعِ ٱلسَّمَاوَاتِ، لِكَيْ يَمْلَأَ ٱلْكُلَّ. ١٠ 10
১০যিনি নেমেছিলেন সেই একই ব্যক্তি যিনি স্বর্গের উপর পর্যন্ত উঠেছেন, যাতে সব কিছুই তাঁর দ্বারা পূর্ণ করতে পারেন।
وَهُوَ أَعْطَى ٱلْبَعْضَ أَنْ يَكُونُوا رُسُلًا، وَٱلْبَعْضَ أَنْبِيَاءَ، وَٱلْبَعْضَ مُبَشِّرِينَ، وَٱلْبَعْضَ رُعَاةً وَمُعَلِّمِينَ، ١١ 11
১১আর তিনিই কয়েকজনকে প্রেরিত, ভাববাদী, সুসমাচার প্রচারক এবং কয়েকজনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করে দান করেছেন,
لِأَجْلِ تَكْمِيلِ ٱلْقِدِّيسِينَ لِعَمَلِ ٱلْخِدْمَةِ، لِبُنْيَانِ جَسَدِ ٱلْمَسِيحِ، ١٢ 12
১২পবিত্রদের তৈরী করার জন্য করেছেন, যেন সেবাকার্য্য সাধন হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গেঁথে তোলা হয়,
إِلَى أَنْ نَنْتَهِيَ جَمِيعُنَا إِلَى وَحْدَانِيَّةِ ٱلْإِيمَانِ وَمَعْرِفَةِ ٱبْنِ ٱللهِ. إِلَى إِنْسَانٍ كَامِلٍ. إِلَى قِيَاسِ قَامَةِ مِلْءِ ٱلْمَسِيحِ. ١٣ 13
১৩যতক্ষণ না আমরা সবাই ঈশ্বরের পুত্রের বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্যন্ত, সিদ্ধ পুরুষের অবস্থা পর্যন্ত, খ্রীষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত, না পৌঁছাই;
كَيْ لَا نَكُونَ فِي مَا بَعْدُ أَطْفَالًا مُضْطَرِبِينَ وَمَحْمُولِينَ بِكُلِّ رِيحِ تَعْلِيمٍ، بِحِيلَةِ ٱلنَّاسِ، بِمَكْرٍ إِلَى مَكِيدَةِ ٱلضَّلَالِ. ١٤ 14
১৪যেন আমরা আর বালক না থাকি, মানুষদের ঠকামিতে, চালাকিতে, ভুল পথে চালনায়, ঢেউয়ের আঘাতে এবং সে শিক্ষার বাতাসে ইতস্ততঃ পরিচালিত না হই;
بَلْ صَادِقِينَ فِي ٱلْمَحَبَّةِ، نَنْمُو فِي كُلِّ شَيْءٍ إِلَى ذَاكَ ٱلَّذِي هُوَ ٱلرَّأْسُ: ٱلْمَسِيحُ، ١٥ 15
১৫বরং আমরা প্রেমে সত্য বলি এবং সব দিনের তাঁর মধ্যে বেড়ে উঠি যিনি খ্রীষ্টের মস্তক,
ٱلَّذِي مِنْهُ كُلُّ ٱلْجَسَدِ مُرَكَّبًا مَعًا، وَمُقْتَرِنًا بِمُؤَازَرَةِ كُلِّ مَفْصِلٍ، حَسَبَ عَمَلٍ، عَلَى قِيَاسِ كُلِّ جُزْءٍ، يُحَصِّلُ نُمُوَّ ٱلْجَسَدِ لِبُنْيَانِهِ فِي ٱلْمَحَبَّةِ. ١٦ 16
১৬যিনি মস্তক, তিনি খ্রীষ্ট, তাঁর থেকে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায়, তাঁর দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগের নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী কাজ অনুসারে দেহের বৃদ্ধি সাধন করছে, নিজেকেই প্রেমে গেঁথে তোলার জন্য করছে।
فَأَقُولُ هَذَا وَأَشْهَدُ فِي ٱلرَّبِّ: أَنْ لَا تَسْلُكُوا فِي مَا بَعْدُ كَمَا يَسْلُكُ سَائِرُ ٱلْأُمَمِ أَيْضًا بِبُطْلِ ذِهْنِهِمْ، ١٧ 17
১৭অতএব আমি এই বলছি, ও প্রভুতে দৃঢ়রূপে আদেশ করছি, তোমরা আর অযিহুদিদের মত জীবন যাপন করো না; তারা নিজ নিজ মনের অসার ভাবে চলে;
إِذْ هُمْ مُظْلِمُو ٱلْفِكْرِ، وَمُتَجَنِّبُونَ عَنْ حَيَاةِ ٱللهِ لِسَبَبِ ٱلْجَهْلِ ٱلَّذِي فِيهِمْ بِسَبَبِ غِلَاظَةِ قُلُوبِهِمْ. ١٨ 18
১৮তাদের মনে অন্ধকার পড়ে আছে, ঈশ্বরের জীবনের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে, আন্তরিক অজ্ঞানতার কারণে, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হয়েছে।
اَلَّذِينَ -إِذْ هُمْ قَدْ فَقَدُوا ٱلْحِسَّ- أَسْلَمُوا نُفُوسَهُمْ لِلدَّعَارَةِ لِيَعْمَلُوا كُلَّ نَجَاسَةٍ فِي ٱلطَّمَعِ. ١٩ 19
১৯তারা অসাড় হয়ে নিজেদের লোভে সব রকম অশুচি কাজ করার জন্য নিজেদেরকে ব্যাভিচারে সমর্পণ করেছে।
وَأَمَّا أَنْتُمْ فَلَمْ تَتَعَلَّمُوا ٱلْمَسِيحَ هَكَذَا، ٢٠ 20
২০কিন্তু তোমরা খ্রীষ্টের সম্বন্ধে এই রকম শিক্ষা পাও নি;
إِنْ كُنْتُمْ قَدْ سَمِعْتُمُوهُ وَعُلِّمْتُمْ فِيهِ كَمَا هُوَ حَقٌّ فِي يَسُوعَ، ٢١ 21
২১তাঁরই বাক্য ত শুনেছ এবং যীশুতে যে সত্য আছে, সেই অনুসারে তাঁতেই শিক্ষিত হয়েছ;
أَنْ تَخْلَعُوا مِنْ جِهَةِ ٱلتَّصَرُّفِ ٱلسَّابِقِ ٱلْإِنْسَانَ ٱلْعَتِيقَ ٱلْفَاسِدَ بِحَسَبِ شَهَوَاتِ ٱلْغُرُورِ، ٢٢ 22
২২যেন তোমরা পুরানো আচরণ সম্বন্ধে সেই পুরানো মানুষকে ত্যাগ কর, যা প্রতারণার নানারকম অভিলাষ মতে ভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে;
وَتَتَجَدَّدُوا بِرُوحِ ذِهْنِكُمْ، ٢٣ 23
২৩নিজ নিজ মনের আত্মা যেন ক্রমশঃ নতুন হয়ে ওঠ,
وَتَلْبَسُوا ٱلْإِنْسَانَ ٱلْجَدِيدَ ٱلْمَخْلُوقَ بِحَسَبِ ٱللهِ فِي ٱلْبِرِّ وَقَدَاسَةِ ٱلْحَقِّ. ٢٤ 24
২৪সেই নতুন মানুষকে নির্ধারণ কর, যা সত্যের পবিত্রতায় ও ধার্ম্মিকতায় ঈশ্বরের সাদৃশ্যে সৃষ্ট হয়েছে।
لِذَلِكَ ٱطْرَحُوا عَنْكُمُ ٱلْكَذِبَ، وَتَكَلَّمُوا بِٱلصِّدْقِ كُلُّ وَاحِدٍ مَعَ قَرِيبِهِ، لِأَنَّنَا بَعْضَنَا أَعْضَاءُ ٱلْبَعْضِ. ٢٥ 25
২৫অতএব তোমরা, যা মিথ্যে, তা ছেড়ে প্রত্যেকে নিজ নিজ প্রতিবেশীর সঙ্গে সত্যি কথা বলো; কারণ আমরা একে অন্যের অঙ্গ।
اِغْضَبُوا وَلَا تُخْطِئُوا. لَا تَغْرُبِ ٱلشَّمْسُ عَلَى غَيْظِكُمْ، ٢٦ 26
২৬রেগে গেলেও পাপ করো না; সূর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে তোমাদের রাগ শান্ত হোক;
وَلَا تُعْطُوا إِبْلِيسَ مَكَانًا. ٢٧ 27
২৭আর শয়তানকে জায়গা দিও না।
لَا يَسْرِقِ ٱلسَّارِقُ فِي مَا بَعْدُ، بَلْ بِٱلْحَرِيِّ يَتْعَبُ عَامِلًا ٱلصَّالِحَ بِيَدَيْهِ، لِيَكُونَ لَهُ أَنْ يُعْطِيَ مَنْ لَهُ ٱحْتِيَاجٌ. ٢٨ 28
২৮চোর আর চুরি না করুক, বরং নিজ হাত ব্যবহার করে সৎ ভাবে পরিশ্রম করুক, যেন গরিবকে দেবার জন্য তার হাতে কিছু থাকে।
لَا تَخْرُجْ كَلِمَةٌ رَدِيَّةٌ مِنْ أَفْوَاهِكُمْ، بَلْ كُلُّ مَا كَانَ صَالِحًا لِلْبُنْيَانِ حَسَبَ ٱلْحَاجَةِ، كَيْ يُعْطِيَ نِعْمَةً لِلسَّامِعِينَ. ٢٩ 29
২৯তোমাদের মুখ থেকে কোন রকম বাজে কথা বের না হোক, কিন্তু দরকারে গেঁথে তোলার জন্য ভালো কথা বের হোক, যেন যারা শোনে, তাদেরকে আশীর্বাদ দান করা হয়।
وَلَا تُحْزِنُوا رُوحَ ٱللهِ ٱلْقُدُّوسَ ٱلَّذِي بِهِ خُتِمْتُمْ لِيَوْمِ ٱلْفِدَاءِ. ٣٠ 30
৩০আর ঈশ্বরের সেই পবিত্র আত্মাকে দুঃখিত করো না, যার দ্বারা তোমার মুক্তির দিনের র অপেক্ষায় মুদ্রাঙ্কিত হয়েছ।
لِيُرْفَعْ مِنْ بَيْنِكُمْ كُلُّ مَرَارَةٍ وَسَخَطٍ وَغَضَبٍ وَصِيَاحٍ وَتَجْدِيفٍ مَعَ كُلِّ خُبْثٍ. ٣١ 31
৩১সব রকম বাজে কথা, রোষ, রাগ, ঝগড়া, ঈশ্বরনিন্দা এবং সব রকম হিংসা তোমাদের মধ্যে থেকে দুর হোক।
وَكُونُوا لُطَفَاءَ بَعْضُكُمْ نَحْوَ بَعْضٍ، شَفُوقِينَ، مُتَسَامِحِينَ كَمَا سَامَحَكُمُ ٱللهُ أَيْضًا فِي ٱلْمَسِيحِ. ٣٢ 32
৩২তোমরা একে অপরে মধুর স্বভাব ও কমল মনের হও, একে অপরকে ক্ষমা কর, যেমন ঈশ্বরও খ্রীষ্টে তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন।

< أفَسُس 4 >