< أعمال 7 >
فَقَالَ رَئِيسُ ٱلْكَهَنَةِ: «أَتُرَى هَذِهِ ٱلْأُمُورُ هَكَذَا هِيَ؟». | ١ 1 |
১পরে মহাযাজক বললেন, এসব কথা কি সত্য? তিনি বললেন,
فَقَالَ: «أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ ٱلْإِخْوَةُ وَٱلْآبَاءُ، ٱسْمَعُوا! ظَهَرَ إِلَهُ ٱلْمَجْدِ لِأَبِينَا إِبْرَاهِيمَ وَهُوَ فِي مَا بَيْنَ ٱلنَّهْرَيْنِ، قَبْلَمَا سَكَنَ في حَارَانِ، | ٢ 2 |
২প্রিয় ভাইয়েরা ও পিতারা, শুনুন। আমাদের পিতা অব্রাহাম হারণ নগরে বাস করার আগে যেদিনের মিসপটেমিয়া দেশে ছিলেন, সেদিন মহিমার ঈশ্বর তাঁকে দর্শন দিয়েছিলেন,
وَقَالَ لَهُ: ٱخْرُجْ مِنْ أَرْضِكَ وَمِنْ عَشِيرَتِكَ، وَهَلُمَّ إِلَى ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي أُرِيكَ. | ٣ 3 |
৩তিনি বললেন, “তুমি নিজের দেশ থেকে ও সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে বাইরে বের হও এবং আমি যেদেশ তোমাকে দেখাই, সেদেশে চল।”
فَخَرَجَ حِينَئِذٍ مِنْ أَرْضِ ٱلْكَلْدَانِيِّينَ وَسَكَنَ فِي حَارَانَ. وَمِنْ هُنَاكَ نَقَلَهُ، بَعْدَ مَا مَاتَ أَبُوهُ، إِلَى هَذِهِ ٱلْأَرْضِ ٱلَّتِي أَنْتُمُ ٱلْآنَ سَاكِنُونَ فِيهَا. | ٤ 4 |
৪তখন তিনি কলদীয়দের দেশ থেকে বের হয়ে এসে হারণে বসবাস করলেন; আর তাঁর পিতার মৃত্যুর পর (ঈশ্বর) তাঁকে সেখান থেকে এদেশে আনলেন, যেদেশে আপনারা এখন বাস করছেন।
وَلَمْ يُعْطِهِ فِيهَا مِيرَاثًا وَلَا وَطْأَةَ قَدَمٍ، وَلَكِنْ وَعَدَ أَنْ يُعْطِيَهَا مُلْكًا لَهُ وَلِنَسْلِهِ مِنْ بَعْدِهِ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ بَعْدُ وَلَدٌ. | ٥ 5 |
৫কিন্তু এদেশে তাঁকে অধিকার দিলেন না, এক টুকরো জমিও না; আব্রাহাম প্রতিজ্ঞা করলেন যে, তিনি তাঁকে ও তাঁর পরে তাঁর বংশকে অধিকার দেবেন, যদিও তখন তাঁর কোনও সন্তান হয়নি।
وَتَكَلَّمَ ٱللهُ هَكَذَا: أَنْ يَكُونَ نَسْلُهُ مُتَغَرِّبًا فِي أَرْضٍ غَرِيبَةٍ، فَيَسْتَعْبِدُونَهُ وَيُسِيئُوا إِلَيْهِ أَرْبَعَ مِئَةِ سَنَةٍ، | ٦ 6 |
৬আর ঈশ্বর এমন বললেন যে, “তাঁর বংশ বিদেশে বাস করবে এবং লোকে তাদের দাস বানাবে ও তাদের প্রতি চারশো বছর পর্যন্ত অত্যাচার করবে;”
وَٱلْأُمَّةُ ٱلَّتِي يُسْتَعْبَدُونَ لَهَا سَأَدِينُهَا أَنَا، يَقُولُ ٱللهُ. وَبَعْدَ ذَلِكَ يَخْرُجُونَ وَيَعْبُدُونَنِي فِي هَذَا ٱلْمَكَانِ. | ٧ 7 |
৭আর তারা যে জাতির দাস হবে, আমিই তাদের বিচার করব, এটা ঈশ্বর আরও বললেন, “তারপরে তারা বাইরে বেরিয়ে আসবে এবং এই স্থানে আমার আরাধনা করবে।”
وَأَعْطَاهُ عَهْدَ ٱلْخِتَانِ، وَهَكَذَا وَلَدَ إِسْحَاقَ وَخَتَنَهُ فِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّامِنِ. وَإِسْحَاقُ وَلَدَ يَعْقُوبَ، وَيَعْقُوبُ وَلَدَ رُؤَسَاءَ ٱلْآبَاءِ ٱلِٱثْنَيْ عَشَرَ. | ٨ 8 |
৮আর তিনি অব্রাহামকে ত্বকছেদের প্রতিজ্ঞা দিলেন, আর এভাবে অব্রাহাম ইসাহাক কে জন্ম দিলেন এবং আটদিনের দিন তাঁর ত্বকছেদ করল: পরে ইসাহাক যাকোবের এবং যাকোব সেই বারো জন পিতৃকুলপতির জন্ম দিলেন।
وَرُؤَسَاءُ ٱلْآبَاءِ حَسَدُوا يُوسُفَ وَبَاعُوهُ إِلَى مِصْرَ، وَكَانَ ٱللهُ مَعَهُ، | ٩ 9 |
৯আর পিতৃকুলপতিরা যোষেফের উপর হিংসা করে তাঁকে বিক্রি করলে তিনি মিশরে যান এবং ঈশ্বর তাঁদের সঙ্গে ছিলেন।
وَأَنْقَذَهُ مِنْ جَمِيعِ ضِيقَاتِهِ، وَأَعْطَاهُ نِعْمَةً وَحِكْمَةً أَمَامَ فِرْعَوْنَ مَلِكِ مِصْرَ، فَأَقَامَهُ مُدَبِّرًا عَلَى مِصْرَ وَعَلَى كُلِّ بَيْتِهِ. | ١٠ 10 |
১০কিন্তু ঈশ্বর তাঁর সাথে সাথে ছিলেন এবং তাঁর সমস্ত দু: খকষ্ট থেকে তাঁকে উদ্ধার করলেন, আর মিশরের রাজা ফরৌনের কাছে অনুগ্রহ ও জ্ঞানীর পরিচয় দিলেন; এজন্য ফরৌণ তাঁকে মিশরের ও নিজের সমস্ত ঘরের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করলেন।
«ثُمَّ أَتَى جُوعٌ عَلَى كُلِّ أَرْضِ مِصْرَ وَكَنْعَانَ، وَضِيقٌ عَظِيمٌ، فَكَانَ آبَاؤُنَا لَا يَجِدُونَ قُوتًا. | ١١ 11 |
১১পরে সমস্ত মিশরে ও কনানে দূর্ভিক্ষ হল, লোকেরা খুব কষ্ট পেতে থাকল, আর আমাদের পূর্বপুরুষদের খাবারের অভাব হল।
وَلَمَّا سَمِعَ يَعْقُوبُ أَنَّ فِي مِصْرَ قَمْحًا، أَرْسَلَ آبَاءَنَا أَوَّلَ مَرَّةٍ. | ١٢ 12 |
১২কিন্তু মিশরে খাবার আছে শুনে যাকোব আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রথমবার পাঠালেন।
وَفِي ٱلْمَرَّةِ ٱلثَّانِيَةِ ٱسْتَعْرَفَ يُوسُفُ إِلَى إِخْوَتِهِ، وَٱسْتَعْلَنَتْ عَشِيرَةُ يُوسُفَ لِفِرْعَوْنَ. | ١٣ 13 |
১৩পরে দ্বিতীয়বারে যোষেফ নিজের ভাইদের সাথে পরিচিত হলেন এবং যোষেফের বংশ সম্পর্কে ফরৌণ জানতে পারলেন।
فَأَرْسَلَ يُوسُفُ وَٱسْتَدْعَى أَبَاهُ يَعْقُوبَ وَجَمِيعَ عَشِيرَتِهِ، خَمْسَةً وَسَبْعِينَ نَفْسًا. | ١٤ 14 |
১৪পরে যোষেফ নিজের পিতা যাকোবকে এবং নিজের সমস্ত বংশকে, পঁচাত্তর জন লোককে নিজের কাছে ডেকে পাঠালেন।
فَنَزَلَ يَعْقُوبُ إِلَى مِصْرَ وَمَاتَ هُوَ وَآبَاؤُنَا، | ١٥ 15 |
১৫তাতে যাকোব মিশরে গেলেন, পরে তাঁর ও আমাদের পূর্বপুরুষদের মৃত্যু হল।
وَنُقِلُوا إِلَى شَكِيمَ وَوُضِعُوا فِي ٱلْقَبْرِ ٱلَّذِي ٱشْتَرَاهُ إِبْرَاهِيمُ بِثَمَنٍ فِضَّةٍ مِنْ بَنِي حَمُورَ أَبِي شَكِيمَ. | ١٦ 16 |
১৬আর তাঁদের শিখিমে এনে কবর দেওয়া হয়েছে এবং যে কবর অব্রাহাম রূপো দিয়ে শিখিমে হামোর সন্তানদের কাছ থেকে কিনেছিলেন, সেখানে কবরপ্রাপ্ত হয়েছে।
وَكَمَا كَانَ يَقْرُبُ وَقْتُ ٱلْمَوْعِدِ ٱلَّذِي أَقْسَمَ ٱللهُ عَلَيْهِ لِإِبْرَاهِيمَ، كَانَ يَنْمُو ٱلشَّعْبُ وَيَكْثُرُ فِي مِصْرَ، | ١٧ 17 |
১৭পরে, ঈশ্বর অব্রাহামের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হওয়ার দিন এগিয়ে আসলে, লোকেরা মিশরে বেড়ে সংখ্যায় অনেক হয়ে উঠল,
إِلَى أَنْ قَامَ مَلِكٌ آخَرُ لَمْ يَكُنْ يَعْرِفُ يُوسُفَ. | ١٨ 18 |
১৮শেষে মিশরের উপরে এমন আর একজন রাজা হলেন, যে যোষেফকে জানতেন না।
فَٱحْتَالَ هَذَا عَلَى جِنْسِنَا وَأَسَاءَ إِلَى آبَائِنَا، حَتَّى جَعَلُوا أَطْفَالَهُمْ مَنْبُوذِينَ لِكَيْ لَا يَعِيشُوا. | ١٩ 19 |
১৯তিনি আমাদের জাতির সাথে চালাকি করলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলেন, উদ্দেশ্যে এই যে, তাঁদের শিশুদের যেন বাইরে ফেলে দেওয়া হয়, যেন তারা বাঁচতে না পারে।
«وَفِي ذَلِكَ ٱلْوَقْتِ وُلِدَ مُوسَى وَكَانَ جَمِيلًا جِدًّا، فَرُبِّيَ هَذَا ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ فِي بَيْتِ أَبِيهِ. | ٢٠ 20 |
২০সেই দিন মোশির জন্ম হয়। তিনি ঈশ্বরের চোখে সুন্দর ছিলেন এবং তিনমাস পর্যন্ত পিতার বাড়িতে পালিত হন।
وَلَمَّا نُبِذَ، ٱتَّخَذَتْهُ ٱبْنَةُ فِرْعَوْنَ وَرَبَّتْهُ لِنَفْسِهَا ٱبْنًا. | ٢١ 21 |
২১পরে তাঁকে বাইরে ফেলে দিলে ফরৌণের মেয়ে তুলে নেয়, ও নিজের ছেলে করার জন্য লালন পালন করলেন।
فَتَهَذَّبَ مُوسَى بِكُلِّ حِكْمَةِ ٱلْمِصْرِيِّينَ، وَكَانَ مُقْتَدِرًا فِي ٱلْأَقْوَالِ وَٱلْأَعْمَالِ. | ٢٢ 22 |
২২আর মোশি মিশ্রীয়দের সমস্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হলেন এবং তিনি বাক্যে ও কাজে বলবান ছিলেন।
وَلَمَّا كَمِلَتْ لَهُ مُدَّةُ أَرْبَعِينَ سَنَةً، خَطَرَ عَلَى بَالِهِ أَنْ يَفْتَقِدَ إِخْوَتَهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ. | ٢٣ 23 |
২৩পরে তাঁর প্রায় সম্পূর্ণ চল্লিশ বছর বয়স হওয়ার পর নিজের ভাইদের, ইস্রায়েল সন্তানদের, পরিচয় করার ইচ্ছা তার হৃদয়ে জাগলো।
وَإِذْ رَأَى وَاحِدًا مَظْلُومًا حَامَى عَنْهُ، وَأَنْصَفَ ٱلْمَغْلُوبَ، إِذْ قَتَلَ ٱلْمِصْرِيَّ. | ٢٤ 24 |
২৪তখন এক জনের উপর অন্যায় করা হচ্ছে দেখে, তিনি তার পক্ষ নিলেন, ঐ মিশ্রীয় লোককে মেরে অত্যাচার সহ্য করা লোকটিকে সুবিচার দিলেন।
فَظَنَّ أَنَّ إِخْوَتَهُ يَفْهَمُونَ أَنَّ ٱللهَ عَلَى يَدِهِ يُعْطِيهِمْ نَجَاةً، وَأَمَّا هُمْ فَلَمْ يَفْهَمُوا. | ٢٥ 25 |
২৫তিনি মনে করলেন তার ভাইয়েরা বুঝেছে যে, তাঁর হাতের দ্বারা ঈশ্বর তাদের মুক্তি দিচ্ছেন; কিন্তু তারা বুঝল না।
وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّانِي ظَهَرَ لَهُمْ وَهُمْ يَتَخَاصَمُونَ، فَسَاقَهُمْ إِلَى ٱلسَّلَامَةِ قَائِلًا: أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ، أَنْتُمْ إِخْوَةٌ. لِمَاذَا تَظْلِمُونَ بَعْضُكُمْ بَعْضًا؟ | ٢٦ 26 |
২৬আর পরের দিন তারা যখন মারামারি করছিল, তখন তিনি তাদের কাছে গিয়ে মিটমাট করে শান্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেন, বললেন, হে প্রিয়, তোমরা তো ভাই, একজন অন্য জনের সাথে অন্যায় করছ কেন?
فَٱلَّذِي كَانَ يَظْلِمُ قَرِيبَهُ دَفَعَهُ قَائِلًا: مَنْ أَقَامَكَ رَئِيسًا وَقَاضِيًا عَلَيْنَا؟ | ٢٧ 27 |
২৭কিন্তু প্রতিবেশীর প্রতি অন্যায় করেছিল যে ব্যক্তি, সে তাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে বলল, তোমাকে শাসনকর্ত্তা ও বিচারকর্ত্তা করে আমাদের উপরে কে নিযুক্ত করেছে?
أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ أَمْسِ ٱلْمِصْرِيَّ؟ | ٢٨ 28 |
২৮কালকে যেমন সেই মিশ্রীয়কে মেরে ফেলেছিলে, তেমনি কি আমাকেও মেরে ফেলতে চাও?
فَهَرَبَ مُوسَى بِسَبَبِ هَذِهِ ٱلْكَلِمَةِ، وَصَارَ غَرِيبًا فِي أَرْضِ مَدْيَانَ، حَيْثُ وَلَدَ ٱبْنَيْنِ. | ٢٩ 29 |
২৯এই কথায় মোশি পালিয়ে গেল, আর মিদিয়ণ দেশে বিদেশী হয়ে বসবাস করতে লাগল; সেখানে তার দুই ছেলের জন্ম হয়।
«وَلَمَّا كَمِلَتْ أَرْبَعُونَ سَنَةً، ظَهَرَ لَهُ مَلَاكُ ٱلرَّبِّ فِي بَرِّيَّةِ جَبَلِ سِينَاءَ فِي لَهِيبِ نَارِ عُلَّيْقَةٍ. | ٣٠ 30 |
৩০পরে চল্লিশ বছর পূর্ণ হলে সীনয় পর্বতের মরূপ্রান্তে এক দূত একটা ঝোপে অগ্নিশিখায় তাকে দেখা দিল।
فَلَمَّا رَأَى مُوسَى ذَلِكَ تَعَجَّبَ مِنَ ٱلْمَنْظَرِ. وَفِيمَا هُوَ يَتَقَدَّمُ لِيَتَطَلَّعَ، صَارَ إِلَيْهِ صَوْتُ ٱلرَّبِّ: | ٣١ 31 |
৩১মোশি সে দৃশ্য দেখে আশ্চর্য্য হয়ে উঠল, আরও ভালো করে দেখার জন্য কাছে যাচ্ছিল, এমন দিনের প্রভুর এক আওয়াজ শোনা গেল, বললেন,
أَنَا إِلَهُ آبَائِكَ، إِلَهُ إِبْرَاهِيمَ وَإِلَهُ إِسْحَاقَ وَإِلَهُ يَعْقُوبَ. فَٱرْتَعَدَ مُوسَى وَلَمْ يَجْسُرْ أَنْ يَتَطَلَّعَ. | ٣٢ 32 |
৩২“আমি তোমার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের, ইসহাকের ও যাকোবের ঈশ্বর।” তখন মোশি ভয় পেয়ে ভাল করে আর দেখার সাহস করলেন না।
فَقَالَ لَهُ ٱلرَّبُّ: ٱخْلَعْ نَعْلَ رِجْلَيْكَ، لِأَنَّ ٱلْمَوْضِعَ ٱلَّذِي أَنْتَ وَاقِفٌ عَلَيْهِ أَرْضٌ مُقَدَّسَةٌ. | ٣٣ 33 |
৩৩পরে প্রভু তাঁকে বললেন, “তোমার পা থেকে জুতো খুলে ফেল; কারণ যে জায়গাতে তুমি দাঁড়িয়ে আছ, ওটা পবিত্র স্থান।
إِنِّي لَقَدْ رَأَيْتُ مَشَقَّةَ شَعْبِي ٱلَّذِينَ فِي مِصْرَ، وَسَمِعْتُ أَنِينَهُمْ وَنَزَلْتُ لِأُنْقِذَهُمْ. فَهَلُمَّ ٱلْآنَ أُرْسِلُكَ إِلَى مِصْرَ. | ٣٤ 34 |
৩৪আমি মিশরের মধ্যে আমার প্রজাদের দুঃখ ভাল করে দেখেছি, তাদের কান্না শুনেছি, আর তাদের উদ্ধার করতে নেমে এসেছি, এখন এসো, আমি তোমাকে মিশরে পাঠাই।”
«هَذَا مُوسَى ٱلَّذِي أَنْكَرُوهُ قَائِلِينَ: مَنْ أَقَامَكَ رَئِيسًا وَقَاضِيًا؟ هَذَا أَرْسَلَهُ ٱللهُ رَئِيسًا وَفَادِيًا بِيَدِ ٱلْمَلَاكِ ٱلَّذِي ظَهَرَ لَهُ فِي ٱلْعُلَّيْقَةِ. | ٣٥ 35 |
৩৫এই যে মোশিকে তারা অস্বীকার করেছিল, বলেছিল, তোমাকে শাসনকর্ত্তা ও বিচারকর্ত্তা করে কে নিযুক্ত করেছে? তাঁকেই ঈশ্বর, যে দূত ঝোপে তাঁকে দেখা দিয়েছিল, সেই দূতের হাতের দ্বারা অধ্যক্ষ ও মুক্তিদাতা করে পাঠালেন।
هَذَا أَخْرَجَهُمْ صَانِعًا عَجَائِبَ وَآيَاتٍ فِي أَرْضِ مِصْرَ، وَفِي ٱلْبَحْرِ ٱلْأَحْمَرِ، وَفِي ٱلْبَرِّيَّةِ أَرْبَعِينَ سَنَةً. | ٣٦ 36 |
৩৬তিনি মিশরে, লোহিত সমুদ্রে ও মরূপ্রান্তে চল্লিশ বছর পর্যন্ত নানারকম অদ্ভুত লক্ষণ ও চিহ্ন-কাজ করে তাদের বের করে আনলেন।
«هَذَا هُوَ مُوسَى ٱلَّذِي قَالَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: نَبِيًّا مِثْلِي سَيُقِيمُ لَكُمُ ٱلرَّبُّ إِلَهُكُمْ مِنْ إِخْوَتِكُمْ. لَهُ تَسْمَعُونَ. | ٣٧ 37 |
৩৭ইনি সেই মোশি, যে ইস্রায়েল সন্তানদের একথা বলেছিলেন, “ঈশ্বর তোমাদের জন্য তোমাদের ভাইদের মধ্যে থেকে আমার মতো একজন ভাববাদীকে উৎপন্ন করবে।”
هَذَا هُوَ ٱلَّذِي كَانَ فِي ٱلْكَنِيسَةِ فِي ٱلْبَرِّيَّةِ، مَعَ ٱلْمَلَاكِ ٱلَّذِي كَانَ يُكَلِّمُهُ فِي جَبَلِ سِينَاءَ، وَمَعَ آبَائِنَا. ٱلَّذِي قَبِلَ أَقْوَالًا حَيَّةً لِيُعْطِيَنَا إِيَّاهَا. | ٣٨ 38 |
৩৮তিনিই মরূপ্রান্তে ইহূদিদের সাথে সভাতে ছিলেন; যে দূত সীনয় পর্বতে তাঁর সাথে কথা বলেছিলেন, । তিনিই তাঁর এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে ছিলেন। তিনি আমাদের দেওয়ার জন্য জীবনদায়ী বাক্যসকল পেয়েছিলেন।
ٱلَّذِي لَمْ يَشَأْ آبَاؤُنَا أَنْ يَكُونُوا طَائِعِينَ لَهُ، بَلْ دَفَعُوهُ وَرَجَعُوا بِقُلُوبِهِمْ إِلَى مِصْرَ | ٣٩ 39 |
৩৯আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাঁর কথা মানতে চাইল না, বরং তাঁকে ঠেলে ফেলে দিলেন, আর মনে মনে আবার মিশরের দিকে ফিরলেন,
قَائِلِينَ لِهَارُونَ: ٱعْمَلْ لَنَا آلِهَةً تَتَقَدَّمُ أَمَامَنَا، لِأَنَّ هَذَا مُوسَى ٱلَّذِي أَخْرَجَنَا مِنْ أَرْضِ مِصْرَ لَا نَعْلَمُ مَاذَا أَصَابَهُ! | ٤٠ 40 |
৪০হারোণকে বললেন, “আমাদের জন্য দেবতা তৈরি কর, তাঁরাই আমাদের আগে আগে যাবেন, কারণ এই যে মোশি মিশর দেশ থেকে আমাদের বের করে আনলেন, তাঁর কি হল, আমরা জানি না।”
فَعَمِلُوا عِجْلًا فِي تِلْكَ ٱلْأَيَّامِ وَأَصْعَدُوا ذَبِيحَةً لِلصَّنَمِ، وَفَرِحُوا بِأَعْمَالِ أَيْدِيهِمْ. | ٤١ 41 |
৪১আর সেই দিন তারা একটা বাছুর তৈরি করলেন এবং সেই মূর্তির উদ্দেশ্যে বলি উৎসর্গ করলেন, ও নিজেদের হাতের তৈরি জিনিসে আনন্দ করতে লাগলেন।
فَرَجَعَ ٱللهُ وَأَسْلَمَهُمْ لِيَعْبُدُوا جُنْدَ ٱلسَّمَاءِ، كَمَا هُوَ مَكْتُوبٌ فِي كِتَابِ ٱلْأَنْبِيَاءِ: هَلْ قَرَّبْتُمْ لِي ذَبَائِحَ وَقَرَابِينَ أَرْبَعِينَ سَنَةً فِي ٱلْبَرِّيَّةِ يَا بَيْتَ إِسْرَائِيلَ؟ | ٤٢ 42 |
৪২কিন্তু ঈশ্বর খুশি হলেন না, তাঁদের আকাশের বাহিনী পূজো করার জন্য সমর্পণ করলেন; যেমন ভাববাদী গ্রন্থে লেখা আছে, প্রিয় ইস্রায়েল লোকেরা, মরূপ্রান্তে চল্লিশ বছর পর্যন্ত তোমরা কি আমার উদ্দেশ্যে পশুবলি ও বলিদান উপহার উৎসর্গ করেছিলে?
بَلْ حَمَلْتُمْ خَيْمَةَ مُولُوكَ، وَنَجْمَ إِلَهِكُمْ رَمْفَانَ، ٱلتَّمَاثِيلَ ٱلَّتِي صَنَعْتُمُوهَا لِتَسْجُدُوا لَهَا. فَأَنْقُلُكُمْ إِلَى مَا وَرَاءَ بَابِلَ. | ٤٣ 43 |
৪৩তোমরা বরং মোলকের তাঁবু ও রিফন দেবতার তারা তুলে নিয়ে বহন করেছ, সেই মুর্ত্তিগুলো, যা তোমরা পূজো করার জন্য গড়েছিলে; আর আমি তোমাদের বাবিলের ওদিকে নির্বাসিত করব।
«وَأَمَّا خَيْمَةُ ٱلشَّهَادَةِ فَكَانَتْ مَعَ آبَائِنَا فِي ٱلْبَرِّيَّةِ، كَمَا أَمَرَ ٱلَّذِي كَلَّمَ مُوسَى أَنْ يَعْمَلَهَا عَلَى ٱلْمِثَالِ ٱلَّذِي كَانَ قَدْ رَآهُ، | ٤٤ 44 |
৪৪যেমন তিনি আদেশ করেছিলেন, সাক্ষ্য তাঁবু মরূপ্রান্তে আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে ছিল, যিনি মোশিকে বলেছিলেন, তুমি যেমন নমুনা দেখলে, সেরকম ওটা তৈরি কর।
ٱلَّتِي أَدْخَلَهَا أَيْضًا آبَاؤُنَا إِذْ تَخَلَّفُوا عَلَيْهَا مَعَ يَشُوعَ فِي مُلْكِ ٱلْأُمَمِ ٱلَّذِينَ طَرَدَهُمُ ٱللهُ مِنْ وَجْهِ آبَائِنَا، إِلَى أَيَّامِ دَاوُدَ | ٤٥ 45 |
৪৫আর আমাদের পূর্বপুরুষেরা তাদের দিনের ওটা পেয়ে যিহোশূয়ের কাছে আনলেন, যখন সেই জাতিগনের অধিকারে প্রবেশ করল, যাদের ঈশ্বর আমাদের পূর্বপুরুষের সামনে থেকে তাড়িয়ে দিলেন। সেই তাঁবু দায়ূদের দিন পর্যন্ত ছিল।
ٱلَّذِي وَجَدَ نِعْمَةً أَمَامَ ٱللهِ، وَٱلْتَمَسَ أَنْ يَجِدَ مَسْكَنًا لِإِلَهِ يَعْقُوبَ. | ٤٦ 46 |
৪৬ইনি ঈশ্বরের দৃষ্টিতে অনুগ্রহ পেলেন এবং যাকোবের ঈশ্বরের জন্য একটি ঘর নির্ম্মাণ করার জন্য অনুমতি চাইলেন;
وَلَكِنَّ سُلَيْمَانَ بَنَى لَهُ بَيْتًا. | ٤٧ 47 |
৪৭কিন্তু শলোমন তাঁর জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করলেন।
لَكِنَّ ٱلْعَلِيَّ لَا يَسْكُنُ فِي هَيَاكِلَ مَصْنُوعَاتِ ٱلْأَيَادِي، كَمَا يَقُولُ ٱلنَّبِيُّ: | ٤٨ 48 |
৪৮অথচ মহান সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হাতের তৈরি গৃহে বাস করেন না; যেমন ভাববাদী বলেন।
ٱلسَّمَاءُ كُرْسِيٌّ لِي، وَٱلْأَرْضُ مَوْطِئٌ لِقَدَمَيَّ. أَيَّ بَيْتٍ تَبْنُونَ لِي؟ يَقُولُ ٱلرَّبُّ، وَأَيٌّ هُوَ مَكَانُ رَاحَتِي؟ | ٤٩ 49 |
৪৯“স্বর্গ আমার সিংহাসন, পৃথিবী আমার পা রাখার স্থান; প্রভু বলেন, তোমরা আমার জন্য কেমন বাসস্থান বানাবে?”
أَلَيْسَتْ يَدِي صَنَعَتْ هَذِهِ ٱلْأَشْيَاءَ كُلَّهَا؟ | ٥٠ 50 |
৫০“অথবা আমার বিশ্রামের স্থান কোথায়? আমার হাতই কি এ সমস্ত তৈরী করে নি?”
«يَا قُسَاةَ ٱلرِّقَابِ، وَغَيْرَ ٱلْمَخْتُونِينَ بِٱلْقُلُوبِ وَٱلْآذَانِ! أَنْتُمْ دَائِمًا تُقَاوِمُونَ ٱلرُّوحَ ٱلْقُدُسَ. كَمَا كَانَ آبَاؤُكُمْ كَذَلِكَ أَنْتُمْ! | ٥١ 51 |
৫১হে জেদী লোকেরা এবং হৃদয়ে ও কানে অচ্ছিন্নত্বকেরা (অবাধ্য), তোমরা সবদিন পবিত্র আত্মার প্রতিরোধ করে থাক; তোমাদের পূর্বপুরুষেরা যেমন, তোমরাও ঠিক তেমন।
أَيُّ ٱلْأَنْبِيَاءِ لَمْ يَضْطَهِدْهُ آبَاؤُكُمْ؟ وَقَدْ قَتَلُوا ٱلَّذِينَ سَبَقُوا فَأَنْبَأُوا بِمَجِيءِ ٱلْبَارِّ، ٱلَّذِي أَنْتُمُ ٱلْآنَ صِرْتُمْ مُسَلِّمِيهِ وَقَاتِلِيهِ، | ٥٢ 52 |
৫২তোমাদের পূর্বপুরুষেরা কোন ভাববাদীকে তাড়না না করেছে? তারা তাঁদের মেরে ফেলেছিল, যাঁরা আগেই সেই ধার্ম্মিকের আসার কথা জানত, যাকে কিছুদিন আগে তোমরা শত্রুর হাতে তুলে দিলে ও মেরে ফেলেছিলে;
ٱلَّذِينَ أَخَذْتُمُ ٱلنَّامُوسَ بِتَرْتِيبِ مَلَائِكَةٍ وَلَمْ تَحْفَظُوهُ». | ٥٣ 53 |
৫৩তোমরা সকলে দূতদের দ্বারা মোশির আদেশ পেয়েছিলে, কিন্তু পালন করনি।
فَلَمَّا سَمِعُوا هَذَا حَنِقُوا بِقُلُوبِهِمْ وَصَرُّوا بِأَسْنَانِهِمْ عَلَيْهِ. | ٥٤ 54 |
৫৪এই কথা শুনে মহাসভার সদস্যরা আঘাতগ্রস্ত হলো, স্তিফানের দিকে চেয়ে দাঁতে দাঁত ঘষতে লাগল।
وَأَمَّا هُوَ فَشَخَصَ إِلَى ٱلسَّمَاءِ وَهُوَ مُمْتَلِئٌ مِنَ ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ، فَرَأَى مَجْدَ ٱللهِ، وَيَسُوعَ قَائِمًا عَنْ يَمِينِ ٱللهِ. | ٥٥ 55 |
৫৫কিন্তু তিনি পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে স্বর্গের দিকে এক নজরে চেয়ে ঈশ্বরের মহিমা দেখলেন এবং যীশু ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন,
فَقَالَ: «هَا أَنَا أَنْظُرُ ٱلسَّمَاوَاتِ مَفْتُوحَةً، وَٱبْنَ ٱلْإِنْسَانِ قَائِمًا عَنْ يَمِينِ ٱللهِ». | ٥٦ 56 |
৫৬আর তিনি বললেন, দেখ, আমি দেখছি, স্বর্গ খোলা রয়েছে, মনুষ্যপুত্র ঈশ্বরের ডানদিকে দাঁড়িয়ে আছেন।
فَصَاحُوا بِصَوْتٍ عَظِيمٍ وَسَدُّوا آذَانَهُمْ، وَهَجَمُوا عَلَيْهِ بِنَفْسٍ وَاحِدَةٍ، | ٥٧ 57 |
৫৭কিন্তু তারা খুব জোরে চিৎকার করে উঠল, নিজে নিজের কান চেপে ধরল এবং একসাথে তাঁর উপরে গিয়ে পড়ল;
وَأَخْرَجُوهُ خَارِجَ ٱلْمَدِينَةِ وَرَجَمُوهُ. وَٱلشُّهُودُ خَلَعُوا ثِيَابَهُمْ عِنْدَ رِجْلَيْ شَابٍّ يُقَالُ لَهُ شَاوُلُ. | ٥٨ 58 |
৫৮আর তাঁকে শহর থেকে বের করে পাথর মারতে লাগল; এবং সাক্ষীরা নিজে নিজের কাপড় খুলে শৌল নামের একজন যুবকের পায়ের কাছে রাখল।
فَكَانُوا يَرْجُمُونَ ٱسْتِفَانُوسَ وَهُوَ يَدْعُو وَيَقُولُ: «أَيُّهَا ٱلرَّبُّ يَسُوعُ، ٱقْبَلْ رُوحِي». | ٥٩ 59 |
৫৯এদিকে তারা স্তিফানকে পাথর মারছিল, আর তিনি তাঁর নাম ডেকে প্রার্থনা করলেন, হে প্রভু যীশু আমার আত্মাকে গ্রহণ করো।
ثُمَّ جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَصَرَخَ بِصَوْتٍ عَظِيمٍ: «يَارَبُّ، لَا تُقِمْ لَهُمْ هَذِهِ ٱلْخَطِيَّةَ». وَإِذْ قَالَ هَذَا رَقَدَ. | ٦٠ 60 |
৬০পরে তিনি হাঁটু পেতে জোরে জোরে বললেন, প্রভু, এদের বিরুদ্ধে এই পাপ ধর না। এই বলে তিনি মারা গেলেন। আর শৌল তার হত্যার আদেশ দিচ্ছিলেন।