< أعمال 5 >
وَرَجُلٌ ٱسْمُهُ حَنَانِيَّا، وَٱمْرَأَتُهُ سَفِّيرَةُ، بَاعَ مُلْكًا | ١ 1 |
১এখন অননিয় নামে একজন লোক ছিল এবং তার স্ত্রী সাফেরা একটি জমি বিক্রি করল,
وَٱخْتَلَسَ مِنَ ٱلثَّمَنِ، وَٱمْرَأَتُهُ لَهَا خَبَرُ ذَلِكَ، وَأَتَى بِجُزْءٍ وَوَضَعَهُ عِنْدَ أَرْجُلِ ٱلرُّسُلِ. | ٢ 2 |
২আর সে সেই বিক্রয়ের টাকার কিছু অংশ নিজের কাছে রাখল আর বাকি অংশ প্রেরিতদের কাছে দিয়ে দিল, এই বিষয়ে তার স্ত্রীও জানতো।
فَقَالَ بُطْرُسُ: «يَا حَنَانِيَّا، لِمَاذَا مَلَأَ ٱلشَّيْطَانُ قَلْبَكَ لِتَكْذِبَ عَلَى ٱلرُّوحِ ٱلْقُدُسِ وَتَخْتَلِسَ مِنْ ثَمَنِ ٱلْحَقْلِ؟ | ٣ 3 |
৩তখন পিতর তাকে বলল, অননিয় তোমার মনে কেন শয়তানকে কাজ করতে দিলে যে পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যে বললে আর জমির টাকা থেকে কিছুটা নিজের কাছে রেখে দিলে?
أَلَيْسَ وَهُوَ بَاقٍ كَانَ يَبْقَى لَكَ؟ وَلَمَّا بِيعَ، أَلَمْ يَكُنْ فِي سُلْطَانِكَ؟ فَمَا بَالُكَ وَضَعْتَ فِي قَلْبِكَ هَذَا ٱلْأَمْرَ؟ أَنْتَ لَمْ تَكْذِبْ عَلَى ٱلنَّاسِ بَلْ عَلَى ٱللهِ». | ٤ 4 |
৪জমিটা বিক্রির আগে এটা কি তোমার ছিল না? এবং বিক্রির পরও কি তোমার অধিকারে ছিল না? তবে তুমি কেমন করে এই জিনিসগুলি তোমার হৃদয়ে ভাবলে? তুমি মানুষের কাছে মিথ্যে বললে তা নয়, কিন্তু ঈশ্বরকেই বললে।
فَلَمَّا سَمِعَ حَنَانِيَّا هَذَا ٱلْكَلَامَ وَقَعَ وَمَاتَ. وَصَارَ خَوْفٌ عَظِيمٌ عَلَى جَمِيعِ ٱلَّذِينَ سَمِعُوا بِذَلِكَ. | ٥ 5 |
৫অননিয় এই সব শুনে পড়ে গিয়ে মারা গেল। এবং যারা শুনল তারা খুব ভয় পেয়ে গেল।
فَنَهَضَ ٱلْأَحْدَاثُ وَلَفُّوهُ وَحَمَلُوهُ خَارِجًا وَدَفَنُوهُ. | ٦ 6 |
৬কিছু যুবকেরা এগিয়ে এলো এবং তাকে কাপড়ে জড়ালো এবং বাইরে নিয়ে গিয়ে কবর দিল
ثُمَّ حَدَثَ بَعْدَ مُدَّةِ نَحْوِ ثَلَاثِ سَاعَاتٍ، أَنَّ ٱمْرَأَتَهُ دَخَلَتْ، وَلَيْسَ لَهَا خَبَرُ مَا جَرَى. | ٧ 7 |
৭প্রায় তিন ঘন্টা পরে, তার স্ত্রী এসেছিল কিন্তু সে জানতো না কি হয়েছে
فأَجَابَهَا بُطْرُسُ: «قُولِي لِي: أَبِهَذَا ٱلْمِقْدَارِ بِعْتُمَا ٱلْحَقْلَ؟». فَقَالَتْ: «نَعَمْ، بِهَذَا ٱلْمِقْدَارِ». | ٨ 8 |
৮পিতর তাকে বলল, “আমাকে বলত, তোমরা সেই জমি কি এত টাকাতে বিক্রি করেছিলে?” সে বলল, “হ্যাঁ, এত টাকাতেই।”
فَقَالَ لَهَا بُطْرُسُ: «مَا بَالُكُمَا ٱتَّفَقْتُمَا عَلَى تَجْرِبَةِ رُوحِ ٱلرَّبِّ؟ هُوَذَا أَرْجُلُ ٱلَّذِينَ دَفَنُوا رَجُلَكِ عَلَى ٱلْبَابِ، وَسَيَحْمِلُونَكِ خَارِجًا». | ٩ 9 |
৯তারপর পিতর তাকে বললেন, “তোমরা প্রভুর আত্মাকে পরীক্ষা করার জন্য কেমন করে এক চিত্ত হলে? দেখ, যারা তোমার স্বামীর কবর দিয়েছে, তারা দরজায় এসেছে এবং তোমাকে নিয়ে যাবে।”
فَوَقَعَتْ فِي ٱلْحَالِ عِنْدَ رِجْلَيْهِ وَمَاتَتْ. فَدَخَلَ ٱلشَّبَابُ وَوَجَدُوهَا مَيْتَةً، فَحَمَلُوهَا خَارِجًا وَدَفَنُوهَا بِجَانِبِ رَجُلِهَا. | ١٠ 10 |
১০তখনই সাফেরা তার পায়ে পড়ে মারা যায়। এবং যুবকেরা ভিতরে এসে দেখল, সে মৃত; তারা তাকে বাইরে নিয়ে গেল এবং তার স্বামীর পাশে কবর দিল।
فَصَارَ خَوْفٌ عَظِيمٌ عَلَى جَمِيعِ ٱلْكَنِيسَةِ وَعَلَى جَمِيعِ ٱلَّذِينَ سَمِعُوا بِذَلِكَ. | ١١ 11 |
১১সমস্ত মণ্ডলী এবং যারা একথা শুনল সবাই খুব ভয় পেয়ে গেল
وَجَرَتْ عَلَى أَيْدِي ٱلرُّسُلِ آيَاتٌ وَعَجَائِبُ كَثِيرَةٌ فِي ٱلشَّعْبِ. وَكَانَ ٱلْجَمِيعُ بِنَفْسٍ وَاحِدَةٍ فِي رِوَاقِ سُلَيْمَانَ. | ١٢ 12 |
১২প্রেরিতদের মাধ্যমে অনেক চিহ্ন-কার্য্য ও অলৌকিক কাজ সম্পন্ন হতে লাগল। তারা সকলে একমনে শলোমনের বারান্দাতে একত্রিত হত।
وَأَمَّا ٱلْآخَرُونَ فَلَمْ يَكُنْ أَحَدٌ مِنْهُمْ يَجْسُرُ أَنْ يَلْتَصِقَ بِهِمْ، لَكِنْ كَانَ ٱلشَّعْبُ يُعَظِّمُهُمْ. | ١٣ 13 |
১৩যারা তাঁদের বিশ্বাস করত না সেই সব লোকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিতে সাহসও করত না, কিন্তু তা সত্বেও লোকেরা তাঁদের উচ্চমূল্য দিল।
وَكَانَ مُؤْمِنُونَ يَنْضَمُّونَ لِلرَّبِّ أَكْثَرَ، جَمَاهِيرُ مِنْ رِجَالٍ وَنِسَاءٍ، | ١٤ 14 |
১৪আর দলে দলে অনেক পুরুষ ও স্ত্রীলোক প্রভু যীশুতে বিশ্বাসী হয়ে তাঁদের সাথে সংযুক্ত হতে লাগল।
حَتَّى إِنَّهُمْ كَانُوا يَحْمِلُونَ ٱلْمَرْضَى خَارِجًا فِي ٱلشَّوَارِعِ وَيَضَعُونَهُمْ عَلَى فُرُشٍ وَأَسِرَّةٍ، حَتَّى إِذَا جَاءَ بُطْرُسُ يُخَيِّمُ وَلَوْ ظِلُّهُ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ. | ١٥ 15 |
১৫এমনকি লোকেরা অসুস্থ রোগীদের নিয়ে রাস্তার মাঝে বিছানায় এবং খাটে শুইয়ে রাখতো, যাতে পিতর যখন আসবে তখন তাঁর ছায়া তাদের ওপর পড়ে।
وَٱجْتَمَعَ جُمْهُورُ ٱلْمُدُنِ ٱلْمُحِيطَةِ إِلَى أُورُشَلِيمَ حَامِلِينَ مَرْضَى وَمُعَذَّبِينَ مِنْ أَرْوَاحٍ نَجِسَةٍ، وَكَانُوا يُبْرَأُونَ جَمِيعُهُمْ. | ١٦ 16 |
১৬যিরুশালেমের চারপাশের বিভিন্ন নগর থেকে অনেক লোক অসুস্থ রোগী ও অশুচি আত্মায় পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে একত্রিত হত এবং তারা সুস্থ হয়ে যেত।
فَقَامَ رَئِيسُ ٱلْكَهَنَةِ وَجَمِيعُ ٱلَّذِينَ مَعَهُ، ٱلَّذِينَ هُمْ شِيعَةُ ٱلصَّدُّوقِيِّينَ، وَٱمْتَلَأُوا غَيْرَةً، | ١٧ 17 |
১৭পরে মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা অর্থাৎ সদ্দূকী সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রেরিতদের প্রতি ঈর্ষায় পরিপূর্ণ হলেন।
فَأَلْقَوْا أَيْدِيَهُمْ عَلَى ٱلرُّسُلِ وَوَضَعُوهُمْ فِي حَبْسِ ٱلْعَامَّةِ. | ١٨ 18 |
১৮এবং প্রেরিতদের গ্রেপ্তার করে সাধারণ কারাগারে বন্ধ করে দিলেন।
وَلَكِنَّ مَلَاكَ ٱلرَّبِّ فِي ٱللَّيْلِ فَتَحَ أَبْوَابَ ٱلسِّجْنِ وَأَخْرَجَهُمْ وَقَالَ: | ١٩ 19 |
১৯কিন্তু রাত্রিবেলায় প্রভুর এক দূত এসে জেলখানার দরজা খুলে দিলেন এবং প্রেরিতদের বাইরে নিয়ে আসলেন এবং বললেন,
«ٱذْهَبُوا قِفُوا وَكَلِّمُوا ٱلشَّعْبَ فِي ٱلْهَيْكَلِ بِجَمِيعِ كَلَامِ هَذِهِ ٱلْحَيَاةِ». | ٢٠ 20 |
২০“যাও, উপাসনা ঘরের মধ্যে দাঁড়িয়ে এই নতুন জীবনের সমস্ত কথা লোকদের বল।”
فَلَمَّا سَمِعُوا دَخَلُوا ٱلْهَيْكَلَ نَحْوَ ٱلصُّبْحِ وَجَعَلُوا يُعَلِّمُونَ. ثُمَّ جَاءَ رَئِيسُ ٱلْكَهَنَةِ وَٱلَّذِينَ مَعَهُ، وَدَعَوْا ٱلْمَجْمَعَ وَكُلَّ مَشْيَخَةِ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَأَرْسَلُوا إِلَى ٱلْحَبْسِ لِيُؤْتَى بِهِمْ. | ٢١ 21 |
২১এই সব শোনার পর প্রেরিতেরা ভোরবেলায় উপাসনা ঘরে গিয়ে উপদেশ দিতে লাগলেন। ইতিমধ্যে, মহাযাজক ও তার সঙ্গীরা, ইস্রায়েলের লোকেদের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক মহাসভা ডাকল এবং প্রেরিতদের আনার জন্য কারাগারে লোক পাঠালো।
وَلَكِنَّ ٱلْخُدَّامَ لَمَّا جَاءُوا لَمْ يَجِدُوهُمْ فِي ٱلسِّجْنِ، فَرَجَعُوا وَأَخْبَرُوا | ٢٢ 22 |
২২কিন্তু যখন সেই আধিকারিকরা কারাগারে পৌঁছলো, তারা দেখল প্রেরিতেরা সেখানে নেই, সুতরাং তারা ফিরে গেল এবং এই সংবাদ দিল,
قَائِلِينَ: «إِنَّنَا وَجَدْنَا ٱلْحَبْسَ مُغْلَقًا بِكُلِّ حِرْصٍ، وَٱلْحُرَّاسَ وَاقِفِينَ خَارِجًا أَمَامَ ٱلْأَبْوَابِ، وَلَكِنْ لَمَّا فَتَحْنَا لَمْ نَجِدْ فِي ٱلدَّاخِلِ أَحَدًا». | ٢٣ 23 |
২৩“আমরা দেখলাম জেলখানার দরজা সুদৃঢ়ভাবে বন্ধ আছে এবং দরজায় দরজায় পাহারাদাররা দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু যখন আমরা দরজা খুলে ভিতরে গেলাম কাউকে দেখতে পেলাম না।”
فَلَمَّا سَمِعَ ٱلْكَاهِنُ وَقَائِدُ جُنْدِ ٱلْهَيْكَلِ وَرُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ هَذِهِ ٱلْأَقْوَالَ، ٱرْتَابُوا مِنْ جِهَتِهِمْ: مَا عَسَى أَنْ يَصِيرَ هَذَا؟ | ٢٤ 24 |
২৪তখন উপাসনা ঘরের রক্ষী বাহিনীর প্রধান এবং প্রধান যাজকেরা এই কথা শুনে আশ্চর্য্য হয়ে ভাবতে লাগল, এর পরিণতি কি হবে।
ثُمَّ جَاءَ وَاحِدٌ وَأَخْبَرَهُمْ قَائِلًا: «هُوَذَا ٱلرِّجَالُ ٱلَّذِينَ وَضَعْتُمُوهُمْ فِي ٱلسِّجْنِ هُمْ فِي ٱلْهَيْكَلِ وَاقِفِينَ يُعَلِّمُونَ ٱلشَّعْبَ!». | ٢٥ 25 |
২৫তারপর কোনও একজন লোক এলো এবং তাদের বলল, “শুনুন, যে লোকেদের আপনারা কারাগারে রেখেছিলেন তারা মন্দিরে দাঁড়িয়ে লোকদের উপদেশ দিচ্ছেন”
حِينَئِذٍ مَضَى قَائِدُ ٱلْجُنْدِ مَعَ ٱلْخُدَّامِ، فَأَحْضَرَهُمْ لَا بِعُنْفٍ، لِأَنَّهُمْ كَانُوا يَخَافُونَ ٱلشَّعْبَ لِئَلَّا يُرْجَمُوا. | ٢٦ 26 |
২৬তখন উপাসনা ঘরের রক্ষী বাহিনীর প্রধান সেনাপতি তার সেনাদের নিয়ে সেখানে গেল ও প্রেরিতদের নিয়ে এল কিন্তু তারা কোনোরকম জোর করল না, কারণ তারা লোকদের ভয় করত যে লোকেরা হয়ত তাদের পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলবে।
فَلَمَّا أَحْضَرُوهُمْ أَوْقَفُوهُمْ فِي ٱلْمَجْمَعِ. فَسَأَلَهُمْ رَئِيسُ ٱلْكَهَنَةِ | ٢٧ 27 |
২৭পরে তারা প্রেরিতদের মহাসভায় এনে দাঁড় করালেন, মহাযাজক প্রেরিতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেন,
قَائِلًا: «أَمَا أَوْصَيْنَاكُمْ وَصِيَّةً أَنْ لَا تُعَلِّمُوا بِهَذَا ٱلِٱسْمِ؟ وَهَا أَنْتُمْ قَدْ مَلَأْتُمْ أُورُشَلِيمَ بِتَعْلِيمِكُمْ، وَتُرِيدُونَ أَنْ تَجْلِبُوا عَلَيْنَا دَمَ هَذَا ٱلْإِنْسَانِ». | ٢٨ 28 |
২৮বললেন, “আমরা যীশুর নামে শিক্ষা দিতে দৃঢ়ভাবে আদেশ দিয়েছিলাম, তা সত্বেও দেখ, তোমরা তোমাদের শিক্ষায় যিরূশালেম পূর্ণ করেছ এবং সেই ব্যক্তির রক্তের দায়ে আমাদের দোষী করতে চাইছ।”
فَأَجَابَ بُطْرُسُ وَٱلرُّسُلُ وَقَالُوا: «يَنْبَغِي أَنْ يُطَاعَ ٱللهُ أَكْثَرَ مِنَ ٱلنَّاسِ. | ٢٩ 29 |
২৯কিন্তু পিতর এবং অন্য প্রেরিতরা বলল, “আমাদের মানুষের থেকে বরং ঈশ্বরের আজ্ঞাকে মেনে চলতে হবে!
إِلَهُ آبَائِنَا أَقَامَ يَسُوعَ ٱلَّذِي أَنْتُمْ قَتَلْتُمُوهُ مُعَلِّقِينَ إِيَّاهُ عَلَى خَشَبَةٍ. | ٣٠ 30 |
৩০আমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর সেই যীশুকে উত্থাপিত করেছেন, যাকে আপনারা ক্রুশে টাঙিয়ে হত্যা করেছেন।
هَذَا رَفَّعَهُ ٱللهُ بِيَمِينِهِ رَئِيسًا وَمُخَلِّصًا، لِيُعْطِيَ إِسْرَائِيلَ ٱلتَّوْبَةَ وَغُفْرَانَ ٱلْخَطَايَا. | ٣١ 31 |
৩১ঈশ্বর যীশুকেই রাজপুত্র ও ত্রাণকর্ত্তারূপে উন্নত করে তাঁর ডান হাত দিয়ে স্থাপন করেছেন, যেন ইস্রায়েলকে মন পরিবর্তন ও পাপের ক্ষমা দান করেন।
وَنَحْنُ شُهُودٌ لَهُ بِهَذِهِ ٱلْأُمُورِ، وَٱلرُّوحُ ٱلْقُدُسُ أَيْضًا، ٱلَّذِي أَعْطَاهُ ٱللهُ لِلَّذِينَ يُطِيعُونَهُ». | ٣٢ 32 |
৩২এসব বিষয়ের আমরাও সাক্ষী এবং পবিত্র আত্মাও সাক্ষী, যে আত্মা ঈশ্বর আপন আজ্ঞাবাহকদের দিয়েছেন”
فَلَمَّا سَمِعُوا حَنِقُوا، وَجَعَلُوا يَتَشَاوَرُونَ أَنْ يَقْتُلُوهُمْ. | ٣٣ 33 |
৩৩এই কথা শুনে তারা ক্রোধে উন্মত্ব হলেন ও প্রেরিতদের মেরে ফেলার জন্য মনস্থ করলেন।
فَقَامَ فِي ٱلْمَجْمَعِ رَجُلٌ فَرِّيسِيٌّ ٱسْمُهُ غَمَالَائِيلُ، مُعَلِّمٌ لِلنَّامُوسِ، مُكَرَّمٌ عِنْدَ جَمِيعِ ٱلشَّعْبِ، وَأَمَرَ أَنْ يُخْرَجَ ٱلرُّسُلُ قَلِيلًا. | ٣٤ 34 |
৩৪কিন্তু মহাসভায় গমলীয়েল নামে এক ফরীশী ছিলেন, ইনি ব্যবস্থা গুরু, যাকে লোকেরা মান্য করত, তিনি উঠলেন এবং প্রেরিতদের কিছুক্ষণের জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার আজ্ঞা দিলেন।
ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: «أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ ٱلْإِسْرَائِيلِيُّونَ، ٱحْتَرِزُوا لِأَنْفُسِكُمْ مِنْ جِهَةِ هَؤُلَاءِ ٱلنَّاسِ فِي مَا أَنْتُمْ مُزْمِعُونَ أَنْ تَفْعَلُوا. | ٣٥ 35 |
৩৫পরে প্রহরীরা প্রেরিতদের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পর, তিনি বললেন, “হে, ইস্রায়েলের লোকেরা, তোমরা সেই লোকেদের নিয়ে কি করতে উদ্যত হয়েছ, সে বিষয়ে মনোযোগী হও।”
لِأَنَّهُ قَبْلَ هَذِهِ ٱلْأَيَّامِ قَامَ ثُودَاسُ قَائِلًا عَنْ نَفْسِهِ: إِنَّهُ شَيْءٌ، ٱلَّذِي ٱلْتَصَقَ بِهِ عَدَدٌ مِنَ ٱلرِّجَالِ نَحْوُ أَرْبَعِمِئَةٍ، ٱلَّذِي قُتِلَ، وَجَمِيعُ ٱلَّذِينَ ٱنْقَادُوا إِلَيْهِ تَبَدَّدُوا وَصَارُوا لَا شَيْءَ. | ٣٦ 36 |
৩৬ইতিপূর্বে থুদা নামে একজন নিজেকে মহান বলে দাবী করেছিল এবং কমবেশি চারশো জন লোক তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল; সে নিহত হলে পর তার অনুগামীরা সব ছড়িয়ে পড়ল, কেউই থাকলো না।
بَعْدَ هَذَا قَامَ يَهُوذَا ٱلْجَلِيلِيُّ فِي أَيَّامِ ٱلِٱكْتِتَابِ، وَأَزَاغَ وَرَاءَهُ شَعْبًا غَفِيرًا. فَذَاكَ أَيْضًا هَلَكَ، وَجَمِيعُ ٱلَّذِينَ ٱنْقَادُوا إِلَيْهِ تَشَتَّتُوا. | ٣٧ 37 |
৩৭সেই ব্যক্তির পর লোক গণনা করার দিন গালীলীয় যিহূদা উদয় হয় ও কতকগুলি লোককে নিজের দলে টানে, পরে সেও নিহত হয়, আর তার অনুগামীরাও ছড়িয়ে পড়ে
وَٱلْآنَ أَقُولُ لَكُمْ: تَنَحَّوْا عَنْ هَؤُلَاءِ ٱلنَّاسِ وَٱتْرُكُوهُمْ! لِأَنَّهُ إِنْ كَانَ هَذَا ٱلرَّأْيُ أَوْ هَذَا ٱلْعَمَلُ مِنَ ٱلنَّاسِ فَسَوْفَ يَنْتَقِضُ، | ٣٨ 38 |
৩৮এখন আমি তোমাদের বলছি, তোমরা ওই লোকদের থেকে দূরে থাক এবং তাদের ছেড়ে দাও, যদি এই মন্ত্রণা বা কাজ মানুষের থেকে হয়ে থাকে, তবে তা ব্যর্থ হবে।
وَإِنْ كَانَ مِنَ ٱللهِ فَلَا تَقْدِرُونَ أَنْ تَنْقُضُوهُ، لِئَلَّا تُوجَدُوا مُحَارِبِينَ لِلهِ أَيْضًا». | ٣٩ 39 |
৩৯কিন্তু যদি ঈশ্বর থেকে হয়ে থাকে, তবে তাদের বন্ধ করা তোমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, হয়তো দেখা যাবে যে, তোমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছ।
فَٱنْقَادُوا إِلَيْهِ. وَدَعَوْا ٱلرُّسُلَ وَجَلَدُوهُمْ، وَأَوْصَوْهُمْ أَنْ لَا يَتَكَلَّمُوا بِٱسْمِ يَسُوعَ، ثُمَّ أَطْلَقُوهُمْ. | ٤٠ 40 |
৪০তখন তারা গমলীয়েলের কথায় একমত হলেন, আর প্রেরিতদের ডেকে এনে প্রহার করলেন এবং যীশুর নামে কোনোও কথা না বলতে নির্দেশ দিলেন এবং তাদেরকে ছেড়ে দিলেন।
وَأَمَّا هُمْ فَذَهَبُوا فَرِحِينَ مِنْ أَمَامِ ٱلْمَجْمَعِ، لِأَنَّهُمْ حُسِبُوا مُسْتَأْهِلِينَ أَنْ يُهَانُوا مِنْ أَجْلِ ٱسْمِهِ. | ٤١ 41 |
৪১তখন প্রেরিতেরা মহাসভা থেকে আনন্দ করতে করতে চলে গেলেন, কারণ তারা যীশুর নামের জন্য অপমানিত হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল।
وَكَانُوا لَا يَزَالُونَ كُلَّ يَوْمٍ فِي ٱلْهَيْكَلِ وَفِي ٱلْبُيُوتِ مُعَلِّمِينَ وَمُبَشِّرِينَ بِيَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ. | ٤٢ 42 |
৪২তারপর প্রত্যেক দিন, প্রেরিতেরা উপাসনা ঘরে ও বাড়িতে বাড়িতে অনবরত যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করতে লাগলেন।