< أعمال 27 >

فَلَمَّا ٱسْتَقَرَّ ٱلرَّأْيُ أَنْ نُسَافِرَ فِي ٱلْبَحْرِ إِلَى إِيطَالِيَا، سَلَّمُوا بُولُسَ وَأَسْرَى آخَرِينَ إِلَى قَائِدِ مِئَةٍ مِنْ كَتِيبَةِ أُوغُسْطُسَ ٱسْمُهُ يُولِيُوسُ. ١ 1
যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আমরা জাহাজে করে ইতালিয়াতে যাত্রা করব, তখন পৌল ও অন্য কয়েক জন বন্দী আগস্তীয় সৈন্যদলের যুলিয় নামে একজন শতপতির হাতে সমর্পিত হলেন।
فَصَعِدْنَا إِلَى سَفِينَةٍ أَدْرَامِيتِينِيَّةٍ، وَأَقْلَعْنَا مُزْمِعِينَ أَنْ نُسَافِرَ مَارِّينَ بِٱلْمَوَاضِعِ ٱلَّتِي فِي أَسِيَّا. وَكَانَ مَعَنَا أَرِسْتَرْخُسُ، رَجُلٌ مَكِدُونِيٌّ مِنْ تَسَالُونِيكِي. ٢ 2
পরে আমরা আদ্রামুত্তীয় থেকে জাহাজে উঠে যাত্রা করলাম, যে জাহাজটি এশিয়ার উপকূলের সমস্ত জায়গায় যাবে। মাকিদনিয়ার থিষলনীকীর অধিবাসী আরিষ্টার্খ আমাদের সঙ্গে ছিলেন।
وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلْآخَرِ أَقْبَلْنَا إِلَى صَيْدَاءَ، فَعَامَلَ يُولِيُوسُ بُولُسَ بِٱلرِّفْقِ، وَأَذِنَ أَنْ يَذْهَبَ إِلَى أَصْدِقَائِهِ لِيَحْصُلَ عَلَى عِنَايَةٍ مِنْهُمْ. ٣ 3
পরদিন আমরা সীদোনে পৌঁছলাম; যেখানে যুলিয় পৌলের প্রতি সম্মানের সাথে তাহাকে বন্ধুবান্ধবের কাছে নিয়ে গিয়ে যত্ন নেওয়ার অনুমতি দিলেন।
ثُمَّ أَقْلَعْنَا مِنْ هُنَاكَ وَسَافَرْنَا فِي ٱلْبَحْرِ مِنْ تَحْتِ قُبْرُسَ، لِأَنَّ ٱلرِّيَاحَ كَانَتْ مُضَادَّةً. ٤ 4
পরে সেখান হতে জাহাজ খুলে সামনের দিকে বাতাস হওয়ায় আমরা কুপ্র দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চললাম।
وَبَعْدَ مَا عَبَرْنَا ٱلْبَحْرَ ٱلَّذِي بِجَانِبِ كِيلِيكِيَّةَ وَبَمْفِيلِيَّةَ، نَزَلْنَا إِلَى مِيرَا لِيكِيَّةَ. ٥ 5
পরে কিলিকিয়ার ও পাম্ফুলিয়া শহরের সামনের সমুদ্র পার হয়ে লুকিয়া প্রদেশের মুরা শহরে উপস্থিত হলাম।
فَإِذْ وَجَدَ قَائِدُ ٱلْمِئَةِ هُنَاكَ سَفِينَةً إِسْكَنْدَرِيَّةً مُسَافِرَةً إِلَى إِيطَالِيَا أَدْخَلَنَا فِيهَا. ٦ 6
সেখানে শতপতি ইতালিয়াতে যাচ্ছিল একখানা আলেকজান্দ্রীয় জাহাজ দেখতে পেয়ে আমাদের সেই জাহাজে তুলে দিলেন।
وَلَمَّا كُنَّا نُسَافِرُ رُوَيْدًا أَيَّامًا كَثِيرَةً، وَبِٱلْجَهْدِ صِرْنَا بِقُرْبِ كِنِيدُسَ، وَلَمْ تُمَكِّنَّا ٱلرِّيحُ أَكْثَرَ، سَافَرْنَا مِنْ تَحْتِ كِرِيتَ بِقُرْبِ سَلْمُونِي. ٧ 7
পরে অনেকদিন ধীরে ধীরে জাহাজটি চলে অতিকষ্টে ক্লীদ শহরের নিকটে পৌঁছলো, বাতাসের সহযোগিতায় না এগোতে পেরে আমরা সলমোনির সম্মুখ দিয়ে ক্রীতী দ্বীপের আড়াল দিয়ে চললাম।
وَلَمَّا تَجَاوَزْنَاهَا بِٱلْجَهْدِ جِئْنَا إِلَى مَكَانٍ يُقَالُ لَهُ «ٱلْمَوَانِي ٱلْحَسَنَةُ» ٱلَّتِي بِقُرْبِهَا مَدِينَةُ لَسَائِيَةَ. ٨ 8
আমরা খুবই কষ্টের মধ্যে উপকূলের ধার ধরে যেতে যেতে সুন্দর পোতাশ্রয় নামে এক জায়গায় পৌঁছালাম যেটা লাসেয়া শহরের খুবই নিকটবর্তী জায়গা।
وَلَمَّا مَضَى زَمَانٌ طَوِيلٌ، وَصَارَ ٱلسَّفَرُ فِي ٱلْبَحْرِ خَطِرًا، إِذْ كَانَ ٱلصَّوْمُ أَيْضًا قَدْ مَضَى، جَعَلَ بُولُسُ يُنْذِرُهُمْ ٩ 9
এই ভাবে অনেকদিন চলে যাওয়ায় ইহুদীদের উপবাসপর্ব্ব পার হয়ে গিয়েছিল এবং জলযাত্রা খুবই সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় পৌল তাদের পরামর্শ দিলেন।
قَائِلًا: «أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ، أَنَا أَرَى أَنَّ هَذَا ٱلسَّفَرَ عَتِيدٌ أَنْ يَكُونَ بِضَرَرٍ وَخَسَارَةٍ كَثِيرَةٍ، لَيْسَ لِلشَّحْنِ وَٱلسَّفِينَةِ فَقَطْ، بَلْ لِأَنْفُسِنَا أَيْضًا». ١٠ 10
১০এবং বললেন, মহাশয়েরা, আমি দেখতে পাচ্ছি যে, এই জলযাত্রায় অনেক অনিষ্ট ও ক্ষতি হবে, তা শুধুমাত্র জিনিসপত্র ও জাহাজের নয়, আমাদেরও প্রাণহানি হবে।
وَلَكِنْ كَانَ قَائِدُ ٱلْمِئَةِ يَنْقَادُ إِلَى رُبَّانِ ٱلسَّفِينَةِ وَإِلَى صَاحِبِهَا أَكْثَرَ مِمَّا إِلَى قَوْلِ بُولُسَ. ١١ 11
১১কিন্তু শতপতি পৌলের কথা অপেক্ষা ক্যাপ্টেন ও জাহাজের মালিকের কথায় বেশি মনোযোগ দিলেন।
وَلِأَنَّ ٱلْمِينَا لَمْ يَكُنْ مَوْقِعُهَا صَالِحًا لِلْمَشْتَى، ٱسْتَقَرَّ رَأْيُ أَكْثَرِهِمْ أَنْ يُقْلِعُوا مِنْ هُنَاكَ أَيْضًا، عَسَى أَنْ يُمْكِنَهُمُ ٱلْإِقْبَالُ إِلَى فِينِكْسَ لِيَشْتُوا فِيهَا. وَهِيَ مِينَا فِي كِرِيتَ تَنْظُرُ نَحْوَ ٱلْجَنُوبِ وَٱلشَّمَالِ ٱلْغَرْبِيَّيْنِ. ١٢ 12
১২আর ঐ পোতাশ্রয়ে শীতকাল কাটাবার জন্য সুবিধা না হওয়ায় অধিকাংশ লোক সেখান থেকে অন্যত্র যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিল যেন কোনোও প্রকারে ফৈনীকা শহরে পৌঁছে সেখানে শীতকাল অতিবাহিত করতে পারে। এই জায়গা ক্রীতীর এক পোতাশ্রয়, এটা উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব অভিমুখী।
فَلَمَّا نَسَّمَتْ رِيحٌ جَنُوبٌ، ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ مَلَكُوا مَقْصَدَهُمْ، فَرَفَعُوا ٱلْمِرْسَاةَ وَطَفِقُوا يَتَجَاوَزُونَ كِرِيتَ عَلَى أَكْثَرِ قُرْبٍ. ١٣ 13
১৩পরে যখন দক্ষিণ বায়ু হালকা ভাবে বইতে লাগল তখন তারা ভাবলো যে, তারা যা চায় তা পেয়েছে সুতরাং তারা ক্রীতীর কূলের নিকট দিয়ে নোঙ্গর নামিয়ে জাহাজ চলতে লাগল।
وَلَكِنْ بَعْدَ قَلِيلٍ هَاجَتْ عَلَيْهَا رِيحٌ زَوْبَعِيَّةٌ يُقَالُ لَهَا «أُورُوكْلِيدُونُ». ١٤ 14
১৪কিন্তু অল্প দিন পর দীপের উপকূল হতে উরাকুলো (আইলা) নামে এক শক্তিশালী ঝড় আঘাত করতে লাগল।
فَلَمَّا خُطِفَتِ ٱلسَّفِينَةُ وَلَمْ يُمْكِنْهَا أَنْ تُقَابِلَ ٱلرِّيحَ، سَلَّمْنَا، فَصِرْنَا نُحْمَلُ. ١٥ 15
১৫তখন জাহাজ ঝড়ের মধ্যে পড়ে বায়ুর প্রতিরোধ করতে না পারায় আমরা জাহাজটি প্রতিকূলে ভেসে যেতে দিলাম।
فَجَرَيْنَا تَحْتَ جَزِيرَةٍ يُقَالُ لَهَا «كَلَوْدِي» وَبِٱلْجَهْدِ قَدِرْنَا أَنْ نَمْلِكَ ٱلْقَارِبَ. ١٦ 16
১৬পরে কৌদা নামে একটি ছোট দ্বীপের আড়ালে আড়ালে চলে অনেক কষ্টে নৌকাটি নিজেদের বশে আনতে পারলাম।
وَلَمَّا رَفَعُوهُ طَفِقُوا يَسْتَعْمِلُونَ مَعُونَاتٍ، حَازِمِينَ ٱلسَّفِينَةَ، وَإِذْ كَانُوا خَائِفِينَ أَنْ يَقَعُوا فِي ٱلسِّيرْتِسِ، أَنْزَلُوا ٱلْقُلُوعَ، وَهَكَذَا كَانُوا يُحْمَلُونَ. ١٧ 17
১৭তখন নাবিকরা সেটা তুলে নিয়ে নানা উপায়ে জাহাজের পাশে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখলো; আর সুতি নামক চড়াতে গিয়ে যেন না পড়ে তার ভয়ে নোঙ্গর নামিয়ে চলল।
وَإِذْ كُنَّا فِي نَوْءٍ عَنِيفٍ، جَعَلُوا يُفَرِّغُونَ فِي ٱلْغَدِ. ١٨ 18
১৮আমরা অতিশয় ঝড়ের মধ্যে পড়ায় পরদিন তারা মালপত্র জলে ফেলে দিতে লাগল।
وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلثَّالِثِ رَمَيْنَا بِأَيْدِينَا أَثَاثَ ٱلسَّفِينَةِ. ١٩ 19
১৯তৃতীয় দিনের নাবিকরা তাদের নিজেদের জিনিসপত্র ফেলে দিল।
وَإِذْ لَمْ تَكُنِ ٱلشَّمْسُ وَلَا ٱلنُّجُومُ تَظْهَرُ أَيَّامًا كَثِيرَةً، وَٱشْتَدَّ عَلَيْنَا نَوْءٌ لَيْسَ بِقَلِيلٍ، ٱنْتُزِعَ أَخِيرًا كُلُّ رَجَاءٍ فِي نَجَاتِنَا. ٢٠ 20
২০যখন অনেকদিন যাবৎ সূর্য্য এবং তারা না দেখতে পাওয়ায় এবং ভারী ঝড় ও বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমাদের রক্ষা পাওয়ার সমস্ত আশা ধীরে ধীরে চলে গেল।
فَلَمَّا حَصَلَ صَوْمٌ كَثِيرٌ، حِينَئِذٍ وَقَفَ بُولُسُ فِي وَسْطِهِمْ وَقَالَ: «كَانَ يَنْبَغِي أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ أَنْ تُذْعِنُوا لِي، وَلَا تُقْلِعُوا مِنْ كِرِيتَ، فَتَسْلَمُوا مِنْ هَذَا ٱلضَّرَرِ وَٱلْخَسَارَةِ. ٢١ 21
২১যখন সকলে অনেকদিন অনাহারে থাকলো, পৌল তাদের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, মহাশয়েরা, আমার কথা মেনে যদি ক্রীতী হতে জাহাজ না ছেড়ে আসতেন তবে এই ক্ষতি এবং অনিষ্ট হতো না।
وَٱلْآنَ أُنْذِرُكُمْ أَنْ تُسَرُّوا، لِأَنَّهُ لَا تَكُونُ خَسَارَةُ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ مِنْكُمْ، إِلَّا ٱلسَّفِينَةَ. ٢٢ 22
২২এখন আপনাদের উৎসাহিত করি যে আপনারা সাহস করুন, কারণ আপনাদের কারও প্রাণহানি হবে না কিন্তু শুধুমাত্র জাহাজের ক্ষতি হবে।
لِأَنَّهُ وَقَفَ بِي هَذِهِ ٱللَّيْلَةَ مَلَاكُ ٱلْإِلَهِ ٱلَّذِي أَنَا لَهُ وَٱلَّذِي أَعْبُدُهُ، ٢٣ 23
২৩কারণ আমি যে ঈশ্বরের লোক এবং যাঁর আরাধনা করি, তাঁর এক দূত গত রাত্রিতে আমার কাছে দাঁড়িয়ে বললেন,
قَائِلًا: لَا تَخَفْ يَا بُولُسُ. يَنْبَغِي لَكَ أَنْ تَقِفَ أَمَامَ قَيْصَرَ. وَهُوَذَا قَدْ وَهَبَكَ ٱللهُ جَمِيعَ ٱلْمُسَافِرِينَ مَعَكَ. ٢٤ 24
২৪পৌল, ভয় করো না, কৈসরের সামনে তোমাকে দাঁড়াতে হবে। এবং দেখো, যারা তোমার সঙ্গে যাচ্ছে ঈশ্বর তাদের সবাইকেই তোমায় অনুগ্রহ করেছেন।
لِذَلِكَ سُرُّوا أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ، لِأَنِّي أُومِنُ بِٱللهِ أَنَّهُ يَكُونُ هَكَذَا كَمَا قِيلَ لِي. ٢٥ 25
২৫অতএব মহাশয়েরা সাহস করুন, কারণ ঈশ্বরে আমার এমন বিশ্বাস আছে যে, আমার নিকটে যেমন বলা হয়েছে তেমন হবে।
وَلَكِنْ لَا بُدَّ أَنْ نَقَعَ عَلَى جَزِيرَةٍ». ٢٦ 26
২৬কিন্তু কোনও দ্বীপে গিয়ে আমাদের পড়তে হবে।
فَلَمَّا كَانَتِ ٱللَّيْلَةُ ٱلرَّابِعَةَ عَشْرَةَ، وَنَحْنُ نُحْمَلُ تَائِهِينَ فِي بَحْرِ أَدْرِيَا، ظَنَّ ٱلنُّوتِيَّةُ، نَحْوَ نِصْفِ ٱللَّيْلِ، أَنَّهُمُ ٱقْتَرَبُوا إِلَى بَرٍّ. ٢٧ 27
২৭এই ভাবে আমরা আদ্রিয়া সমুদ্রে ধীরে ধীরে চলতে চলতে যখন চতুর্দ্দশ রাত্রি উপস্থিত হলো, তখন নাবিকরা অনুমান করতে লাগলো যে এখন প্রায় মধ্য রাত্রি এবং কোনও দেশের নিকট পৌঁছেছে।
فَقَاسُوا وَوَجَدُوا عِشْرِينَ قَامَةً. وَلَمَّا مَضَوْا قَلِيلًا قَاسُوا أَيْضًا فَوَجَدُوا خَمْسَ عَشْرَةَ قَامَةً. ٢٨ 28
২৮আর তারা জল মেপে বিশ বাঁউ জল পেলো; একটু পরে পুনরায় জল মেপে পনের বাঁউ পেলো।
وَإِذْ كَانُوا يَخَافُونَ أَنْ يَقَعُوا عَلَى مَوَاضِعَ صَعْبَةٍ، رَمَوْا مِنَ ٱلْمُؤَخَّرِ أَرْبَعَ مَرَاسٍ، وَكَانُوا يَطْلُبُونَ أَنْ يَصِيرَ ٱلنَّهَارُ. ٢٩ 29
২৯তখন আমরা যেন কোন পাথরময় স্থানে গিয়ে না পড়ি সেই ভয়ে তারা জাহাজের পিছন দিকে চারটি নোঙ্গর ফেলে প্রার্থনা করে দিনের র অপেক্ষায় থাকলো।
وَلَمَّا كَانَ ٱلنُّوتِيَّةُ يَطْلُبُونَ أَنْ يَهْرُبُوا مِنَ ٱلسَّفِينَةِ، وَأَنْزَلُوا ٱلْقَارِبَ إِلَى ٱلْبَحْرِ بِعِلَّةِ أَنَّهُمْ مُزْمِعُونَ أَنْ يَمُدُّوا مَرَاسِيَ مِنَ ٱلْمُقَدَّمِ، ٣٠ 30
৩০নাবিকরা জাহাজ থেকে পালাবার চেষ্টা করছিল এবং গলহীর কিছু আগে নোঙর ফেলবার ছল করে নৌকাটি সমুদ্রে নামিয়ে দিয়েছিল,
قَالَ بُولُسُ لِقَائِدِ ٱلْمِئَةِ وَٱلْعَسْكَرِ: «إِنْ لَمْ يَبْقَ هَؤُلَاءِ فِي ٱلسَّفِينَةِ فَأَنْتُمْ لَا تَقْدِرُونَ أَنْ تَنْجُوا». ٣١ 31
৩১কিন্তু পৌল শতপতিকে ও সেনাদের বললেন ওরা জাহাজে না থাকলে আপনারা রক্ষা পাবেন না।
حِينَئِذٍ قَطَعَ ٱلْعَسْكَرُ حِبَالَ ٱلْقَارِبِ وَتَرَكُوهُ يَسْقُطُ. ٣٢ 32
৩২তখন সেনারা নৌকার দড়ি কেটে সেটি জলে পড়তে দিল।
وَحَتَّى قَارَبَ أَنْ يَصِيرَ ٱلنَّهَارُ كَانَ بُولُسُ يَطْلُبُ إِلَى ٱلْجَمِيعِ أَنْ يَتَنَاوَلُوا طَعَامًا، قَائِلًا: «هَذَا هُوَ ٱلْيَوْمُ ٱلرَّابِعَ عَشَرَ، وَأَنْتُمْ مُنْتَظِرُونَ لَا تَزَالُونَ صَائِمِينَ، وَلَمْ تَأْخُذُوا شَيْئًا. ٣٣ 33
৩৩পরে দিন হয়ে আসছে এমন দিন পৌল সকল লোককে কিছু খাবার জন্য অনুরোধ করে বললেন, আজ চৌদ্দ দিন হলো, আপনারা অপেক্ষা করে আছেন এবং না খেয়ে আছেন, কিছুই না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
لِذَلِكَ أَلْتَمِسُ مِنْكُمْ أَنْ تَتَنَاوَلُوا طَعَامًا، لِأَنَّ هَذَا يَكُونُ مُفِيدًا لِنَجَاتِكُمْ، لِأَنَّهُ لَا تَسْقُطُ شَعْرَةٌ مِنْ رَأْسِ وَاحِدٍ مِنْكُمْ». ٣٤ 34
৩৪অতএব অনুরোধ করি, বেঁচে থাকার জন্য কিছু খান, আর আপনাদের কারও মাথার একটিও কেশ নষ্ট হবে না।
وَلَمَّا قَالَ هَذَا أَخَذَ خُبْزًا وَشَكَرَ ٱللهَ أَمَامَ ٱلْجَمِيعِ، وَكَسَّرَ، وَٱبْتَدَأَ يَأْكُلُ. ٣٥ 35
৩৫এই বলে পৌল রুটি নিয়ে সকলের সামনে ঈশ্বরের ধন্যবাদ দিলেন, পরে সেটি ভেঙে ভোজন করতে শুরু করলেন।
فَصَارَ ٱلْجَمِيعُ مَسْرُورِينَ وَأَخَذُوا هُمْ أَيْضًا طَعَامًا. ٣٦ 36
৩৬তখন সকলে সাহস পেলেন এবং নিজেরাও গেলেন।
وَكُنَّا فِي ٱلسَّفِينَةِ جَمِيعُ ٱلْأَنْفُسِ مِئَتَيْنِ وَسِتَّةً وَسَبْعِينَ. ٣٧ 37
৩৭সেই জাহাজে আমরা সবশুদ্ধ দুশো ছিয়াত্তর লোক ছিলাম।
وَلَمَّا شَبِعُوا مِنَ ٱلطَّعَامِ طَفِقُوا يُخَفِّفُونَ ٱلسَّفِينَةَ طَارِحِينَ ٱلْحِنْطَةَ فِي ٱلْبَحْرِ. ٣٨ 38
৩৮সকলে খেয়ে তৃপ্ত হলে, পরে তারা সমস্ত গম সমুদ্রে ফেলে দিয়ে জাহাজের ভার হালকা করলো।
وَلَمَّا صَارَ ٱلنَّهَارُ لَمْ يَكُونُوا يَعْرِفُونَ ٱلْأَرْضَ، وَلَكِنَّهُمْ أَبْصَرُوا خَلِيجًا لَهُ شَاطِئٌ، فَأَجْمَعُوا أَنْ يَدْفَعُوا إِلَيْهِ ٱلسَّفِينَةَ إِنْ أَمْكَنَهُمْ. ٣٩ 39
৩৯দিন হলে তারা সেই ডাঙা জায়গা চিনতে পারল না। কিন্তু এমন এক খাড়ি দেখতে পেল, যার বালিময় চর ছিল; তারা তখন আলোচনা করলো যদি পারে, তবে সেই চরের উপরে যেন জাহাজ তুলে দেয়।
فَلَمَّا نَزَعُوا ٱلْمَرَاسِيَ تَارِكِينَ إِيَّاهَا فِي ٱلْبَحْرِ، وَحَلُّوا رُبُطَ ٱلدَّفَّةِ أَيْضًا، رَفَعُوا قِلْعًا لِلرِّيحِ ٱلْهَابَّةِ، وَأَقْبَلُوا إِلَى ٱلشَّاطِئِ. ٤٠ 40
৪০তারা নোঙ্গর সকল কেটে সমুদ্রে ত্যাগ করলো এবং সঙ্গে সঙ্গে হালের বাঁধন খুলে দিল; পরে বাতাসের সামনে সামনের দিকের পাল তুলে সেই বালিময় তীরের দিকে চলতে লাগলো।
وَإِذْ وَقَعُوا عَلَى مَوْضِعٍ بَيْنَ بَحْرَيْنِ، شَطَّطُوا ٱلسَّفِينَةَ، فَٱرْتَكَزَ ٱلْمُقَدَّمُ وَلَبِثَ لَا يَتَحَرَّكُ. وَأَمَّا ٱلْمُؤَخَّرُ فَكَانَ يَنْحَلُّ مِنْ عُنْفِ ٱلْأَمْوَاجِ. ٤١ 41
৪১কিন্তু দুই দিকে উত্তাল জল আছে এমন জায়গায় গিয়ে পড়াতে চড়ার উপর জাহাজ আটকে গেল, তাতে জাহাজের সামনের দিকটা বেঁধে গিয়ে অচল হয়ে গেল, কিন্তু পিছন দিকটা প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে যেতে লাগলো।
فَكَانَ رَأْيُ ٱلْعَسْكَرِ أَنْ يَقْتُلُوا ٱلْأَسْرَى لِئَلَّا يَسْبَحَ أَحَدٌ مِنْهُمْ فَيَهْرُبَ. ٤٢ 42
৪২তখন সেনারা বন্দিদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করলো, যাতে কেউ সাঁতার দিয়ে পালিয়ে না যায়।
وَلَكِنَّ قَائِدَ ٱلْمِئَةِ، إِذْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يُخَلِّصَ بُولُسَ، مَنَعَهُمْ مِنْ هَذَا ٱلرَّأْيِ، وَأَمَرَ أَنَّ ٱلْقَادِرِينَ عَلَى ٱلسِّبَاحَةِ يَرْمُونَ أَنْفُسَهُمْ أَوَّلًا فَيَخْرُجُونَ إِلَى ٱلْبَرِّ، ٤٣ 43
৪৩কিন্তু শতপতি পৌলকে রক্ষা করবার জন্য তাদের সেই পরিকল্পনা বন্ধ করলেন এবং আদেশ দিলেন, যারা সাঁতার জানে, তারা আগে লাফ দিয়ে ডাঙায় উঠুক;
وَٱلْبَاقِينَ بَعْضُهُمْ عَلَى أَلْوَاحٍ وَبَعْضُهُمْ عَلَى قِطَعٍ مِنَ ٱلسَّفِينَةِ. فَهَكَذَا حَدَثَ أَنَّ ٱلْجَمِيعَ نَجَوْا إِلَى ٱلْبَرِّ. ٤٤ 44
৪৪আর বাকি সকলে তক্তা বা জাহাজের যা পায়, তা ধরে ডাঙায় উঠুক। এই ভাবে সবাই ডাঙায় উঠে রক্ষা পেলো।

< أعمال 27 >