< أعمال 22 >
«أَيُّهَا ٱلرِّجَالُ ٱلْإِخْوَةُ وَٱلْآبَاءُ، ٱسْمَعُوا ٱحْتِجَاجِي ٱلْآنَ لَدَيْكُمْ». | ١ 1 |
১ভাইয়েরা ও পিতারা, আমি এখন আপনাদের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করছি, শুনুন।
فَلَمَّا سَمِعُوا أَنَّهُ يُنَادِي لَهُمْ بِٱللُّغَةِ ٱلْعِبْرَانِيَّةِ أَعْطَوْا سُكُوتًا أَحْرَى. فَقَالَ: | ٢ 2 |
২তখন তিনি ইব্রীয় ভাষায় তাদের কাছে কথা বলছেন শুনে তারা সবাই শান্ত হলো।
«أَنَا رَجُلٌ يَهُودِيٌّ وُلِدْتُ فِي طَرْسُوسَ كِيلِيكِيَّةَ، وَلَكِنْ رَبَيْتُ فِي هَذِهِ ٱلْمَدِينَةِ مُؤَدَّبًا عِنْدَ رِجْلَيْ غَمَالَائِيلَ عَلَى تَحْقِيقِ ٱلنَّامُوسِ ٱلْأَبَوِيِّ. وَكُنْتُ غَيُورًا لِلهِ كَمَا أَنْتُمْ جَمِيعُكُمُ ٱلْيَوْمَ. | ٣ 3 |
৩আমি যিহূদী, কিলিকিয়ার তার্ষ শহরে আমার জন্ম; কিন্তু এই শহরে গমলীয়েলের কাছে মানুষ হয়েছি, পূর্বপুরুষদের আইন কানুনে নিপুণভাবে শিক্ষিত হয়েছি; আর আজ আপনারা সবাই যেমন আছেন, তেমনি আমিও ঈশ্বরের জন্য উদ্যোগী ছিলাম।
وَٱضْطَهَدْتُ هَذَا ٱلطَّرِيقَ حَتَّى ٱلْمَوْتِ، مُقَيِّدًا وَمُسَلِّمًا إِلَى ٱلسُّجُونِ رِجَالًا وَنِسَاءً، | ٤ 4 |
৪আমি এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত এই পথের লোকেদের অত্যাচার করতাম, পুরুষ ও মহিলাদের বেঁধে জেলে দিতাম।
كَمَا يَشْهَدُ لِي أَيْضًا رَئِيسُ ٱلْكَهَنَةِ وَجَمِيعُ ٱلْمَشْيَخَةِ، ٱلَّذِينَ إِذْ أَخَذْتُ أَيْضًا مِنْهُمْ رَسَائِلَ لِلْإِخْوَةِ إِلَى دِمَشْقَ، ذَهَبْتُ لِآتِيَ بِٱلَّذِينَ هُنَاكَ إِلَى أُورُشَلِيمَ مُقَيَّدِينَ لِكَيْ يُعَاقَبُوا. | ٥ 5 |
৫এই বিষয়ে মহাযাজক ও সমস্ত প্রাচীনেরা আমার সাক্ষী; তাঁদের কাছ থেকে আমি ভাইয়েদের জন্য চিঠি নিয়ে, দম্মেশকে গিয়েছিলাম; ও যারা সেখানে ছিল, তাদেরকেও বেঁধে যিরূশালেমে নিয়ে আসার জন্য গিয়েছিলাম, যেন তারা শাস্তি পায়।
فَحَدَثَ لِي وَأَنَا ذَاهِبٌ وَمُتَقَرِّبٌ إِلَى دِمَشْقَ أَنَّهُ نَحْوَ نِصْفِ ٱلنَّهَارِ، بَغْتَةً أَبْرَقَ حَوْلِي مِنَ ٱلسَّمَاءِ نُورٌ عَظِيمٌ. | ٦ 6 |
৬আর যেতে যেতে দম্মেশক শহরের কাছাকাছি এলে, দুপুর বেলায় হঠাৎ আকাশ থেকে তীব্র আলো আমার চারিদিকে চমকিয়ে উঠল।
فَسَقَطْتُ عَلَى ٱلْأَرْضِ، وَسَمِعْتُ صَوْتًا قَائِلًا لِي: شَاوُلُ، شَاوُلُ! لِمَاذَا تَضْطَهِدُنِي؟ | ٧ 7 |
৭তাতে আমি মাটিতে পড়ে গেলাম, ও শুনতে পেলাম, কেউ যেন আমাকে বলছে, শৌল, শৌল, কেন আমাকে অত্যাচার করছ?
فَأَجَبْتُ: مَنْ أَنْتَ يَا سَيِّدُ؟ فَقَالَ لِي: أَنَا يَسُوعُ ٱلنَّاصِرِيُّ ٱلَّذِي أَنْتَ تَضْطَهِدُهُ. | ٨ 8 |
৮আমি জিজ্ঞাসা করলাম, প্রভু, আপনি কে? তিনি আমাকে বললেন, আমি নাসরতের যীশু, যাকে তুমি অত্যাচার করছ।
وَٱلَّذِينَ كَانُوا مَعِي نَظَرُوا ٱلنُّورَ وَٱرْتَعَبُوا، وَلَكِنَّهُمْ لَمْ يَسْمَعُوا صَوْتَ ٱلَّذِي كَلَّمَنِي. | ٩ 9 |
৯আর যারা আমার সঙ্গে ছিল, তারাও সেই আলো দেখতে পেল, কিন্তু যিনি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তাঁর কথা শুনতে পেল না।
فَقُلْتُ: مَاذَا أَفْعَلُ يَارَبُّ؟ فَقَالَ لِي ٱلرَّبُّ: قُمْ وَٱذْهَبْ إِلَى دِمَشْقَ، وَهُنَاكَ يُقَالُ لَكَ عَنْ جَمِيعِ مَا تَرَتَّبَ لَكَ أَنْ تَفْعَلَ. | ١٠ 10 |
১০পরে আমি বললাম, প্রভু, আমি কি করব? প্রভু আমাকে বললেন, উঠে দম্মেশকে যাও, তোমাকে যা যা করতে হবে বলে ঠিক করা আছে, তা সেখানেই তোমাকে বলা হবে।
وَإِذْ كُنْتُ لَا أُبْصِرُ مِنْ أَجْلِ بَهَاءِ ذَلِكَ ٱلنُّورِ، ٱقْتَادَنِي بِيَدِي ٱلَّذِينَ كَانُوا مَعِي، فَجِئْتُ إِلَى دِمَشْقَ. | ١١ 11 |
১১আর আমি সেই আলোর তেজে অন্ধ হয়ে গিয়ে কিছু দেখতে পেলাম না এবং আমার সঙ্গীরা আমার হাত ধরে দম্মেশকে নিয়ে গেল।
«ثُمَّ إِنَّ حَنَانِيَّا رَجُلًا تَقِيًّا حَسَبَ ٱلنَّامُوسِ، وَمَشْهُودًا لَهُ مِنْ جَمِيعِ ٱلْيَهُودِ ٱلسُّكَّانِ | ١٢ 12 |
১২পরে অননিয় নামে এক ব্যক্তি, যিনি ব্যবস্থা অনুযায়ী ধার্মিক ছিলেন এবং সেখানকার সমস্ত ইহুদীদের মধ্যে তাঁর সুনাম ছিল,
أَتَى إِلَيَّ، وَوَقَفَ وَقَالَ لِي: أَيُّهَا ٱلْأَخُ شَاوُلُ، أَبْصِرْ! فَفِي تِلْكَ ٱلسَّاعَةِ نَظَرْتُ إِلَيْهِ. | ١٣ 13 |
১৩তিনি আমার কাছে এসে পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, ভাই শৌল, তুমি দৃষ্টি শক্তি লাভ কর; আর তখনি আমি তাঁকে দেখতে পেলাম।
فَقَالَ: إِلَهُ آبَائِنَا ٱنْتَخَبَكَ لِتَعْلَمَ مَشِيئَتَهُ، وَتُبْصِرَ ٱلْبَارَّ، وَتَسْمَعَ صَوْتًا مِنْ فَمِهِ. | ١٤ 14 |
১৪এবং তিনি আমাকে বললেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের ঈশ্বর তোমাকে বেছে নিয়েছেন, যেন তুমি তাঁর ইচ্ছা জানতে পার এবং সেই ধার্ম্মিককে দেখতে ও তাঁর মুখের কথা শুনতে পাও;
لِأَنَّكَ سَتَكُونُ لَهُ شَاهِدًا لِجَمِيعِ ٱلنَّاسِ بِمَا رَأَيْتَ وَسَمِعْتَ. | ١٥ 15 |
১৫কারণ তুমি যা কিছু দেখেছ ও শুনেছ, সেই বিষয়ে সমস্ত মানুষের কাছে তাঁর সাক্ষী হবে।
وَٱلْآنَ لِمَاذَا تَتَوَانَى؟ قُمْ وَٱعْتَمِدْ وَٱغْسِلْ خَطَايَاكَ دَاعِيًا بِٱسْمِ ٱلرَّبِّ. | ١٦ 16 |
১৬তাই এখন কেন দেরী করছ? উঠে, তাঁর নামে বিশ্বাস করে বাপ্তিষ্ম নাও, ও তোমার পাপ ধুয়ে ফেল।
وَحَدَثَ لِي بَعْدَ مَا رَجَعْتُ إِلَى أُورُشَلِيمَ وَكُنْتُ أُصَلِّي فِي ٱلْهَيْكَلِ، أَنِّي حَصَلْتُ فِي غَيْبَةٍ، | ١٧ 17 |
১৭তারপরে আমি যিরূশালেমে ফিরে এসে এক দিন মন্দিরে প্রার্থনা করছিলাম, এমন দিন অভিভূত (অবচেতন মন) হয়ে তাঁকে দেখলাম,
فَرَأَيْتُهُ قَائِلًا لِي: أَسْرِعْ! وَٱخْرُجْ عَاجِلًا مِنْ أُورُشَلِيمَ، لِأَنَّهُمْ لَا يَقْبَلُونَ شَهَادَتَكَ عَنِّي. | ١٨ 18 |
১৮তিনি আমাকে বললেন, তাড়াতাড়ি কর, এখুনি যিরূশালেম থেকে বের হও, কারণ এই লোকেরা আমার বিষয়ে তোমার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না।
فَقُلْتُ: يَارَبُّ، هُمْ يَعْلَمُونَ أَنِّي كُنْتُ أَحْبِسُ وَأَضْرِبُ فِي كُلِّ مَجْمَعٍ ٱلَّذِينَ يُؤْمِنُونَ بِكَ. | ١٩ 19 |
১৯আমি বললাম, প্রভু, তারা জানে যে, যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, আমি প্রত্যেক সমাজঘরে তাদের বন্দী করতাম ও মারতাম;
وَحِينَ سُفِكَ دَمُ ٱسْتِفَانُوسَ شَهِيدِكَ كُنْتُ أَنَا وَاقِفًا وَرَاضِيًا بِقَتْلِهِ، وَحَافِظًا ثِيَابَ ٱلَّذِينَ قَتَلُوهُ. | ٢٠ 20 |
২০আর যখন তোমার সাক্ষী স্তিফানকে রক্তপাত হচ্ছিল, তখন আমি নিজে সামনে দাঁড়িয়ে সায় দিচ্ছিলাম, ও যারা তাঁকে মারছিল তাদের পোশাক পাহারা দিচ্ছিলাম।
فَقَالَ لِي: ٱذْهَبْ، فَإِنِّي سَأُرْسِلُكَ إِلَى ٱلْأُمَمِ بَعِيدًا». | ٢١ 21 |
২১তিনি আমাকে বললেন, তুমি যাও, আমি তোমাকে দূরে অযিহুদিদের কাছে পাঠাব।
فَسَمِعُوا لَهُ حَتَّى هَذِهِ ٱلْكَلِمَةِ، ثُمَّ رَفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ قَائِلِينَ: «خُذْ مِثْلَ هَذَا مِنَ ٱلْأَرْضِ، لِأَنَّهُ كَانَ لَا يَجُوزُ أَنْ يَعِيشَ!». | ٢٢ 22 |
২২লোকেরা এই পর্যন্ত তাঁর কথা শুনল, পরে চিৎকার করে বলল, একে পৃথিবী থেকে দূর করে দাও, ওকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত হয়নি।
وَإِذْ كَانُوا يَصِيحُونَ وَيَطْرَحُونَ ثِيَابَهُمْ وَيَرْمُونَ غُبَارًا إِلَى ٱلْجَوِّ، | ٢٣ 23 |
২৩তখন তারা চিৎকার করে তাদের পোশাক খুলে, ধূলো ওড়াতে লাগল;
أَمَرَ ٱلْأَمِيرُ أَنْ يُذْهَبَ بِهِ إِلَى ٱلْمُعَسْكَرِ، قَائِلًا أَنْ يُفْحَصَ بِضَرَبَاتٍ، لِيَعْلَمَ لِأَيِّ سَبَبٍ كَانُوا يَصْرُخُونَ عَلَيْهِ هَكَذَا. | ٢٤ 24 |
২৪তখন সেনা প্রধান পৌলকে দুর্গের ভিতরে নিয়ে যেতে আদেশ দিলেন এবং বললেন চাবুক মেরে এর পরীক্ষা করতে হবে, যেন তিনি জানতে পারেন যে, কেন লোকেরা তাঁকে দোষ দিয়ে চিৎকার করছে।
فَلَمَّا مَدُّوهُ لِلسِّيَاطِ، قَالَ بُولُسُ لِقَائِدِ ٱلْمِئَةِ ٱلْوَاقِفِ: «أَيَجُوزُ لَكُمْ أَنْ تَجْلِدُوا إِنْسَانًا رُومَانِيًّا غَيْرَ مَقْضِيٍّ عَلَيْهِ؟». | ٢٥ 25 |
২৫পরে যখন তারা দড়ি দিয়ে তাঁকে বাঁধলো, তখন যে শতপতি কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন, পৌল তাঁকে বললেন, যে ব্যক্তি রোমীয় এবং বিচারে কোনো দোষ পাওয়া যায়নি, তাকে চাবুক মারা কি আপনাদের উচিত?
فَإِذْ سَمِعَ قَائِدُ ٱلْمِئَةِ ذَهَبَ إِلَى ٱلْأَمِيرِ، وَأَخْبَرَهُ قَائِلًا: «ٱنْظُرْ مَاذَا أَنْتَ مُزْمِعٌ أَنْ تَفْعَلَ! لِأَنَّ هَذَا ٱلرَّجُلَ رُومَانِيٌّ». | ٢٦ 26 |
২৬এই কথা শুনে শতপতি সেনা প্রধানের কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, আপনি কি করতে যাচ্ছেন? এই লোকটি তো রোমীয়।
فَجَاءَ ٱلْأَمِيرُ وَقَالَ لَهُ: «قُلْ لِي: أَنْتَ رُومَانِيٌّ؟». فَقَالَ: «نَعَمْ». | ٢٧ 27 |
২৭তখন সেনা প্রধান কাছে গিয়ে তাঁকে বললেন, বল দেখি, তুমি কি রোমীয়ের নাগরিক? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
فَأَجَابَ ٱلْأَمِيرُ: «أَمَّا أَنَا فَبِمَبْلَغٍ كَبِيرٍ ٱقْتَنَيْتُ هَذِهِ ٱلرَّعَوِيَّةَ». فَقَالَ بُولُسُ: «أَمَّا أَنَا فَقَدْ وُلِدْتُ فِيهَا». | ٢٨ 28 |
২৮প্রধান সেনাপতি বললেন, এই নাগরিকত্ব আমি অনেক টাকা দিয়ে কিনেছি। পৌল বললেন, কিন্তু আমি জন্ম থেকেই রোমীয়।
وَلِلْوَقْتِ تَنَحَّى عَنْهُ ٱلَّذِينَ كَانُوا مُزْمِعِينَ أَنْ يَفْحَصُوهُ. وَٱخْتَشَى ٱلْأَمِيرُ لَمَّا عَلِمَ أَنَّهُ رُومَانِيٌّ، وَلِأَنَّهُ قَدْ قَيَّدَهُ. | ٢٩ 29 |
২৯তখন যারা তাঁকে প্রশ্ন করার জন্য তৈরী হচ্ছিলেন, তারা তখনি তাঁর কাছ থেকে চলে গেল; আর তিনি যে রোমীয় এই কথা জানতে পেরে, ও তাঁকে বেঁধে ছিল বলে, প্রধান সেনাপতিও ভয় পেলেন।
وَفِي ٱلْغَدِ إِذْ كَانَ يُرِيدُ أَنْ يَعْلَمَ ٱلْيَقِينَ: لِمَاذَا يَشْتَكِي ٱلْيَهُودُ عَلَيْهِ؟ حَلَّهُ مِنَ ٱلرِّبَاطِ، وَأَمَرَ أَنْ يَحْضُرَ رُؤَسَاءُ ٱلْكَهَنَةِ وَكُلُّ مَجْمَعِهِمْ. فَأَحْدَرَ بُولُسَ وَأَقَامَهُ لَدَيْهِمْ. | ٣٠ 30 |
৩০কিন্তু পরের দিন, ইহুদীরা তাঁর উপর কেন দোষ দিচ্ছে, সত্য জানার জন্য প্রধান সেনাপতি তাঁকে ছেড়ে দিলেন, ও প্রধান যাজকদের ও মহাসভার লোকেদের একসঙ্গে আসতে আদেশ দিলেন এবং পৌলকে নামিয়ে তাঁদের কাছে উপস্থিত করলেন।