< أعمال 20 >

وَبَعْدَمَا ٱنْتَهَى ٱلشَّغَبُ، دَعَا بُولُسُ ٱلتَّلَامِيذَ وَوَدَّعَهُمْ، وَخَرَجَ لِيَذْهَبَ إِلَى مَكِدُونِيَّةَ. ١ 1
সেই গন্ডগোল শেষ হওয়ার পরে পৌল শিষ্যদের ডেকে পাঠালেন এবং উৎসাহ দিলেন ও শুভেচ্ছা সহ বিদায় নিয়ে মাকিদনিয়াতে যাবার জন্য বেরিয়ে পড়লেন।
وَلَمَّا كَانَ قَدِ ٱجْتَازَ فِي تِلْكَ ٱلنَّوَاحِي وَوَعَظَهُمْ بِكَلَامٍ كَثِيرٍ، جَاءَ إِلَى هَلَّاسَ، ٢ 2
পরে যখন সেই অঞ্চল দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন যেতে যেতে নানা কথার মধ্যে দিয়ে শিষ্যদের উৎসাহ দিতে দিতে গ্রীস দেশে এসে পৌঁছলেন।
فَصَرَفَ ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ. ثُمَّ إِذْ حَصَلَتْ مَكِيدَةٌ مِنَ ٱلْيَهُودِ عَلَيْهِ، وَهُوَ مُزْمِعٌ أَنْ يَصْعَدَ إِلَى سُورِيَّةَ، صَارَ رَأْيٌ أَنْ يَرْجِعَ عَلَى طَرِيقِ مَكِدُونِيَّةَ. ٣ 3
সেই জায়গায় তিনমাস কাটানোর পর যখন তিনি জলপথে সুরিয়া দেশে যাবার জন্য প্রস্তুত হলেন তখন ইহুদীরা তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করাতে তিনি ঠিক করলেন যে তিনি মাকিদনিয়া দিয়ে ফিরে যাবেন।
فَرَافَقَهُ إِلَى أَسِيَّا سُوبَاتَرُسُ ٱلْبِيرِيُّ، وَمِنْ أَهْلِ تَسَالُونِيكِي: أَرَسْتَرْخُسُ وَسَكُونْدُسُ وَغَايُوسُ ٱلدَّرْبِيُّ وَتِيمُوثَاوُسُ. وَمِنْ أَهْلِ أَسِيَّا: تِيخِيكُسُ وَتُرُوفِيمُسُ. ٤ 4
বিরয়া শহরের পুর্হের পুত্র সোপাত্র, থিষোলনীয় আরিষ্টার্খ ও সিকুন্দ, দার্ব্বী শহরের গায় তীমথিয় এবং এশিয়ার তুখিক ও ত্রফিম এঁরা সকলে তাঁর সঙ্গে গেলেন।
هَؤُلَاءِ سَبَقُوا وَٱنْتَظَرُونَا فِي تَرُوَاسَ. ٥ 5
কিন্তু এঁরা এগিয়ে গিয়েও আমাদের জন্য এোয়া শহরে অপেক্ষা করছিলেন।
وَأَمَّا نَحْنُ فَسَافَرْنَا فِي ٱلْبَحْرِ بَعْدَ أَيَّامِ ٱلْفَطِيرِ مِنْ فِيلِبِّي، وَوَافَيْنَاهُمْ فِي خَمْسَةِ أَيَّامٍ إِلَى تَرُوَاسَ، حَيْثُ صَرَفْنَا سَبْعَةَ أَيَّامٍ. ٦ 6
পরে তাড়ীশূন্য রুটি র অনুষ্ঠান শেষ হলে আমরা ফিলিপী থেকে জলপথে গিয়ে পাঁচ দিনের এোয়াতে তাঁদের কাছে উপস্থিত হলাম সেখানে সাত দিন ছিলাম।
وَفِي أَوَّلِ ٱلْأُسْبُوعِ إِذْ كَانَ ٱلتَّلَامِيذُ مُجْتَمِعِينَ لِيَكْسِرُوا خُبْزًا، خَاطَبَهُمْ بُولُسُ وَهُوَ مُزْمِعٌ أَنْ يَمْضِيَ فِي ٱلْغَدِ، وَأَطَالَ ٱلْكَلَامَ إِلَى نِصْفِ ٱللَّيْلِ. ٧ 7
সপ্তাহের প্রথম দিনের আমরা রুটি ভাঙার জন্য একত্রিত হলে পৌল পরদিন সেখান থেকে চলে যাবার জন্য পরিকল্পনা করায় তিনি শিষ্যদের কাছে মধ্যরাএি পর্যন্ত বক্তৃতা দিয়েছিলেন।
وَكَانَتْ مَصَابِيحُ كَثِيرَةٌ فِي ٱلْعِلِّيَّةِ ٱلَّتِي كَانُوا مُجْتَمِعِينَ فِيهَا. ٨ 8
আমরা যে ওপরের ঘরেতে সবাই একত্রিত হয়েছিলাম সেখানে অনেক প্রদীপ ছিল।
وَكَانَ شَابٌّ ٱسْمُهُ أَفْتِيخُوسُ جَالِسًا فِي ٱلطَّاقَةِ مُتَثَقِّلًا بِنَوْمٍ عَمِيقٍ. وَإِذْ كَانَ بُولُسُ يُخَاطِبُ خِطَابًا طَوِيلًا، غَلَبَ عَلَيْهِ ٱلنَّوْمُ فَسَقَطَ مِنَ ٱلطَّبَقَةِ ٱلثَّالِثَةِ إِلَى أَسْفَلُ، وَحُمِلَ مَيِّتًا. ٩ 9
আর উতুখ নামে একজন যুবক জানালার ধারে বসেছিল, সে গভীর ঘুমে মগ্ন হয়ে পড়েছিল; এবং পৌল আরও অনেকক্ষণ ধরে বক্তৃতা দিলে সে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পড়ায় তিনতলা থেকে নীচে পড়ে গেলে, তাতে লোকেরা তাকে মৃত অবস্থায় তুলে নিয়ে গেল।
فَنَزَلَ بُولُسُ وَوَقَعَ عَلَيْهِ وَٱعْتَنَقَهُ قَائِلًا: «لَا تَضْطَرِبُوا! لِأَنَّ نَفْسَهُ فِيهِ!». ١٠ 10
১০তখন পৌল নেমে গিয়ে তার গায়ের ওপরে পড়লেন, ও তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন তোমরা চিৎকার করো না; কারণ এর মধ্যে এখনও প্রাণ আছে।
ثُمَّ صَعِدَ وَكَسَّرَ خُبْزًا وَأَكَلَ وَتَكَلَّمَ كَثِيرًا إِلَى ٱلْفَجْرِ. وَهَكَذَا خَرَجَ. ١١ 11
১১পরে তিনি ওপরে গিয়ে রুটি ভেঙে ভোজন করে অনেকক্ষণ, এমনকি, রাত্রি থেকে সকাল পর্যন্ত কথাবার্তা করলেন, তারপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন।
وَأَتَوْا بِٱلْفَتَى حَيًّا، وَتَعَزَّوْا تَعْزِيَةً لَيْسَتْ بِقَلِيلَةٍ. ١٢ 12
১২আর তারা সেই বালকটিকে জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়ে অসাধারণ বিশ্বাস অর্জন করলো।
وَأَمَّا نَحْنُ فَسَبَقْنَا إِلَى ٱلسَّفِينَةِ وَأَقْلَعْنَا إِلَى أَسُّوسَ، مُزْمِعِينَ أَنْ نَأْخُذَ بُولُسَ مِنْ هُنَاكَ، لِأَنَّهُ كَانَ قَدْ رَتَّبَ هَكَذَا مُزْمِعًا أَنْ يَمْشِيَ. ١٣ 13
১৩আর আমরা আগে গিয়ে জাহাজে উঠে, আসস শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলাম এবং সেখান থেকে পৌলকে তুলে নেওয়ার জন্য মন স্থির করলাম; এটা তিনি নিজেই ইচ্ছা করেছিলেন, কারণ তিনি স্থলপথে যাবেন বলে পরিকল্পনা করেছিলেন।
فَلَمَّا وَافَانَا إِلَى أَسُّوسَ أَخَذْنَاهُ وَأَتَيْنَا إِلَى مِيتِيلِينِي. ١٤ 14
১৪পরে তিনি আসে আমাদের সঙ্গে এলে আমরা তাঁকে তুলে নিয়ে মিতুলীনী শহরে এলাম।
ثُمَّ سَافَرْنَا مِنْ هُنَاكَ فِي ٱلْبَحْرِ وَأَقْبَلْنَا فِي ٱلْغَدِ إِلَى مُقَابِلِ خِيُوسَ. وَفِي ٱلْيَوْمِ ٱلْآخَرِ وَصَلْنَا إِلَى سَامُوسَ، وَأَقَمْنَا فِي تُرُوجِيلِيُّونَ، ثُمَّ فِي ٱلْيَوْمِ ٱلتَّالِي جِئْنَا إِلَى مِيلِيتُسَ، ١٥ 15
১৫সেখান থেকে জাহাজ খুলে পরদিন খীয়র দ্বীপের সামনে উপস্থিত হলাম; দ্বিতীয় দিনের সামস দ্বীপে গেলাম, পরদিন মিলিত শহরে এলাম।
لِأَنَّ بُولُسَ عَزَمَ أَنْ يَتَجَاوَزَ أَفَسُسَ فِي ٱلْبَحْرِ لِئَلَّا يَعْرِضَ لَهُ أَنْ يَصْرِفَ وَقْتًا فِي أَسِيَّا، لِأَنَّهُ كَانَ يُسْرِعُ حَتَّى إِذَا أَمْكَنَهُ يَكُونُ فِي أُورُشَلِيمَ فِي يَوْمِ ٱلْخَمْسِينَ. ١٦ 16
১৬কারণ পৌল ইফিষ ফেলে যেতে স্থির করেছিলেন, যাতে এশিয়াতে তাঁর বেশি দিন কাটাতে না হয়; তিনি তাড়াতাড়ি করছিলেন যেন সাধ্য হলে পঞ্চসপ্তমীর দিন যিরুশালেমে উপস্থিত থাকতে পারেন।
وَمِنْ مِيلِيتُسَ أَرْسَلَ إِلَى أَفَسُسَ وَٱسْتَدْعَى قُسُوسَ ٱلْكَنِيسَةِ. ١٧ 17
১৭মিলিত থেকে তিনি ইফিষে লোক পাঠিয়ে মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গকে ডেকে আনলেন।
فَلَمَّا جَاءُوا إِلَيْهِ قَالَ لَهُمْ: «أَنْتُمْ تَعْلَمُونَ مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ دَخَلْتُ أَسِيَّا، كَيْفَ كُنْتُ مَعَكُمْ كُلَّ ٱلزَّمَانِ، ١٨ 18
১৮তাঁরা সবাই তাঁর কাছে উপস্থিত হলে তিনি তাঁদেরকে বললেন, তোমরা জান, এশিয়া দেশে এসে, আমি প্রথম দিন পর্যন্ত তোমাদের সঙ্গে কীভাবে দিন কাটিয়েছি,
أَخْدِمُ ٱلرَّبَّ بِكُلِّ تَوَاضُعٍ وَدُمُوعٍ كَثِيرَةٍ، وَبِتَجَارِبَ أَصَابَتْنِي بِمَكَايِدِ ٱلْيَهُودِ. ١٩ 19
১৯পুরোপুরি নম্র মনে ও অশ্রুপাতের সাথে এবং ইহুদীদের ষড়যন্ত্র থেকে উৎপন্ন নানা পরীক্ষার মধ্যে থেকে প্রভুর সেবাকার্য্য করেছি;
كَيْفَ لَمْ أُؤَخِّرْ شَيْئًا مِنَ ٱلْفَوَائِدِ إِلَّا وَأَخْبَرْتُكُمْ وَعَلَّمْتُكُمْ بِهِ جَهْرًا وَفِي كُلِّ بَيْتٍ، ٢٠ 20
২০মঙ্গল জনক কোনও কথা গোপন না করে তোমাদের সকলকে জানাতে এবং সাধারনের মধ্যে ও ঘরে ঘরে শিক্ষা দিতে, দ্বিধাবোধ করিনি;
شَاهِدًا لِلْيَهُودِ وَٱلْيُونَانِيِّينَ بِٱلتَّوْبَةِ إِلَى ٱللهِ وَٱلْإِيمَانِ ٱلَّذِي بِرَبِّنَا يَسُوعَ ٱلْمَسِيحِ. ٢١ 21
২১ঈশ্বরের প্রতি মন ফেরানো এবং আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টের উপর বিশ্বাস বিষয়ে যিহূদী ও গ্রীকদের কাছে সাক্ষ্য দিয়ে আসছি।
وَٱلْآنَ هَا أَنَا أَذْهَبُ إِلَى أُورُشَلِيمَ مُقَيَّدًا بِٱلرُّوحِ، لَا أَعْلَمُ مَاذَا يُصَادِفُنِي هُنَاكَ. ٢٢ 22
২২আর এখন দেখ, আমি আত্মাতে বদ্ধ হয়ে যিরূশালেমে যাচ্ছি; সেখানে আমার প্রতি কি কি ঘটবে, তা জানি না।
غَيْرَ أَنَّ ٱلرُّوحَ ٱلْقُدُسَ يَشْهَدُ فِي كُلِّ مَدِينَةٍ قَائِلًا: إِنَّ وُثُقًا وَشَدَائِدَ تَنْتَظِرُنِي. ٢٣ 23
২৩এইটুকু জানি, পবিত্র আত্মা প্রত্যেক শহরে আমার কাছে এই বলে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, বন্ধন ও ক্লেশ আমার অপেক্ষা করছে।
وَلَكِنَّنِي لَسْتُ أَحْتَسِبُ لِشَيْءٍ، وَلَا نَفْسِي ثَمِينَةٌ عِنْدِي، حَتَّى أُتَمِّمَ بِفَرَحٍ سَعْيِي وَٱلْخِدْمَةَ ٱلَّتِي أَخَذْتُهَا مِنَ ٱلرَّبِّ يَسُوعَ، لِأَشْهَدَ بِبِشَارَةِ نِعْمَةِ ٱللهِ. ٢٤ 24
২৪কিন্তু আমি নিজ প্রাণকেও কিছুর মধ্যে গণ্য করি না, আমার নিজের প্রাণকে মূল্যবান বলে মনে করি না, যেন আমি ঈশ্বরের দেওয়া পথে শেষ পর্যন্ত দৌড়োতে পারি এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহের সুসমাচারের জন্য সাক্ষ্য দেওয়ার যে সেবা কাজের দায়িত্ব প্রভু যীশুর থেকে পেয়েছি, তা শেষ করতে পারি।
وَٱلْآنَ هَا أَنَا أَعْلَمُ أَنَّكُمْ لَا تَرَوْنَ وَجْهِي أَيْضًا، أَنْتُمْ جَمِيعًا ٱلَّذِينَ مَرَرْتُ بَيْنَكُمْ كَارِزًا بِمَلَكُوتِ ٱللهِ. ٢٥ 25
২৫এবং দেখো, আমি জানি যে, যাদের মধ্যে আমি সেই রাজ্যের প্রচার করে বেড়িয়েছি, সেই তোমরা সবাই আমার মুখ আর দেখতে পাবে না;
لِذَلِكَ أُشْهِدُكُمُ ٱلْيَوْمَ هَذَا أَنِّي بَرِيءٌ مِنْ دَمِ ٱلْجَمِيعِ، ٢٦ 26
২৬এই জন্যে আজ তোমাদের কাছে এই সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, সবার রক্তের দায় থেকে আমি শুচি;
لِأَنِّي لَمْ أُؤَخِّرْ أَنْ أُخْبِرَكُمْ بِكُلِّ مَشُورَةِ ٱللهِ. ٢٧ 27
২৭কারণ আমি তোমাদের ঈশ্বরের সকল পরিকল্পনা জানাতে দ্বিধাবোধ করিনি।
اِحْتَرِزُوا إِذًا لِأَنْفُسِكُمْ وَلِجَمِيعِ ٱلرَّعِيَّةِ ٱلَّتِي أَقَامَكُمُ ٱلرُّوحُ ٱلْقُدُسُ فِيهَا أَسَاقِفَةً، لِتَرْعَوْا كَنِيسَةَ ٱللهِ ٱلَّتِي ٱقْتَنَاهَا بِدَمِهِ. ٢٨ 28
২৮তোমরা নিজেদের বিষয়ে সাবধান এবং পবিত্র আত্মা তোমাদের পরিচয় করার জন্য যাদের মধ্যে পালক করেছেন, সেই সমস্ত পালের বিষয়ে সাবধান হও, ঈশ্বরের সেই মণ্ডলীকে পরিচর্য্যা কর, যাকে তিনি নিজের রক্ত দিয়ে কিনেছেন।
لِأَنِّي أَعْلَمُ هَذَا: أَنَّهُ بَعْدَ ذَهَابِي سَيَدْخُلُ بَيْنَكُمْ ذِئَابٌ خَاطِفَةٌ لَا تُشْفِقُ عَلَى ٱلرَّعِيَّةِ. ٢٩ 29
২৯আমি জানি আমি চলে যাওয়ার পর দুরন্ত নেকড়ে তোমাদের মধ্যে আসবে এবং পালের প্রতি মমতা করবে না,
وَمِنْكُمْ أَنْتُمْ سَيَقُومُ رِجَالٌ يَتَكَلَّمُونَ بِأُمُورٍ مُلْتَوِيَةٍ لِيَجْتَذِبُوا ٱلتَّلَامِيذَ وَرَاءَهُمْ. ٣٠ 30
৩০এবং তোমাদের মধ্যে থেকে কোনো কোনো লোক উঠে শিষ্যদের নিজেদের কাছে টেনে নেওয়ার জন্য বিপরীত কথা বলবে।
لِذَلِكَ ٱسْهَرُوا، مُتَذَكِّرِينَ أَنِّي ثَلَاثَ سِنِينَ لَيْلًا وَنَهَارًا، لَمْ أَفْتُرْ عَنْ أَنْ أُنْذِرَ بِدُمُوعٍ كُلَّ وَاحِدٍ. ٣١ 31
৩১সুতরাং জেগে থাকো, মনে রাখবে আমি তিন বৎসর ধরে রাত দিন চোখের জলের সাথে প্রত্যেককে চেতনা দিতে বন্ধ করে নি।
وَٱلْآنَ أَسْتَوْدِعُكُمْ يَا إِخْوَتِي لِلهِ وَلِكَلِمَةِ نِعْمَتِهِ، ٱلْقَادِرَةِ أَنْ تَبْنِيَكُمْ وَتُعْطِيَكُمْ مِيرَاثًا مَعَ جَمِيعِ ٱلْمُقَدَّسِينَ. ٣٢ 32
৩২এবং এখন ঈশ্বরের কাছে ও তাঁর অনুগ্রহের বাক্যের কাছে তোমাদের সমর্পণ করলাম, তিনি তোমাদের গেঁথে তুলতে ও পবিত্রীকৃত সকলের মধ্যে দায়াধিকার দিতে সক্ষম।
فِضَّةَ أَوْ ذَهَبَ أَوْ لِبَاسَ أَحَدٍ لَمْ أَشْتَهِ. ٣٣ 33
৩৩আমি কারও রূপা বা সোনা বা কাপড়ের উপরে লোভ করিনি।
أَنْتُمْ تَعْلَمُونَ أَنَّ حَاجَاتِي وَحَاجَاتِ ٱلَّذِينَ مَعِي خَدَمَتْهَا هَاتَانِ ٱلْيَدَانِ. ٣٤ 34
৩৪তোমরা নিজেরাও জানো, আমার নিজের এবং আমার সাথীদের অভাব দূর করার জন্য এই দুই হাত দিয়ে পরিষেবা করেছি।
فِي كُلِّ شَيْءٍ أَرَيْتُكُمْ أَنَّهُ هَكَذَا يَنْبَغِي أَنَّكُمْ تَتْعَبُونَ وَتَعْضُدُونَ ٱلضُّعَفَاءَ، مُتَذَكِّرِينَ كَلِمَاتِ ٱلرَّبِّ يَسُوعَ أَنَّهُ قَالَ: مَغْبُوطٌ هُوَ ٱلْعَطَاءُ أَكْثَرُ مِنَ ٱلْأَخْذِ». ٣٥ 35
৩৫সমস্ত বিষয়ে আমি তোমাদেরকে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছি যে, এই ভাবে পরিশ্রম করে দুর্বলদের সাহায্য করতে হবে এবং প্রভু যীশুর বাক্য স্মরণ করা উচিত এবং তিনি নিজে বলেছেন, গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হওয়ার বিষয়।
وَلَمَّا قَالَ هَذَا جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ مَعَ جَمِيعِهِمْ وَصَلَّى. ٣٦ 36
৩৬এই কথা বলে তিনি হাঁটু পেতে সকলের সঙ্গে প্রার্থনা করলেন।
وَكَانَ بُكَاءٌ عَظِيمٌ مِنَ ٱلْجَمِيعِ، وَوَقَعُوا عَلَى عُنُقِ بُولُسَ يُقَبِّلُونَهُ ٣٧ 37
৩৭তাতে সকলে খুবই কাঁদলেন এবং পৌলের গলা ধরে তাঁকে চুম্বন করতে লাগলেন;
مُتَوَجِّعِينَ، وَلَا سِيَّمَا مِنَ ٱلْكَلِمَةِ ٱلَّتِي قَالَهَا: إِنَّهُمْ لَنْ يَرَوْا وَجْهَهُ أَيْضًا. ثُمَّ شَيَّعُوهُ إِلَى ٱلسَّفِينَةِ. ٣٨ 38
৩৮সর্বাপেক্ষা তাঁর উক্ত এই কথার জন্য অধিক দুঃখ করলেন যে, তারা তাঁর মুখ আর দেখতে পাবে না। পরে জাহাজ পর্যন্ত তাঁকে ছেড়ে আসতে গেলেন।

< أعمال 20 >