< نحمیا 2 >
و در ماه نیسان، در سال بیستم ارتحشستاپادشاه، واقع شد که شراب پیش وی بود ومن شراب را گرفته، به پادشاه دادم و قبل از آن من در حضورش ملول نبودم. | ۱ 1 |
১অর্তক্ষস্ত রাজার রাজত্বের কুড়ি বছরের নীসন মাসে রাজার সামনে আঙ্গুর রস থাকাতে আমি সেই আঙ্গুর রস নিয়ে রাজাকে দিলাম। তার আগে আমি তাঁর সামনে কখনও দুঃখিত হইনি।
و پادشاه مرا گفت: «روی تو چرا ملول است با آنکه بیمار نیستی؟ این غیر از ملالت دل، چیزی نیست.» پس من بینهایت ترسان شدم. | ۲ 2 |
২রাজা আমাকে বললেন, “তোমার তো অসুখ হয়নি, তবে মুখ কেন দুঃখিত দেখাচ্ছে? এ তো মনের কষ্ট ছাড়া আর কিছু নয়।” তখন আমি খুব ভয় পেলাম।
و به پادشاه گفتم: «پادشاه تا به ابد زنده بماند، رویم چگونه ملول نباشد و حال آنکه شهری که موضع قبرهای پدرانم باشد، خراب است و دروازه هایش به آتش سوخته شده.» | ۳ 3 |
৩আর আমি রাজাকে বললাম, “মহারাজ দীর্ঘজীবী হোন। আমি কেন দুঃখিত হব না? যে শহর আমার পূর্বপুরুষদের কবরস্থান, তা ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে গেছে।”
پادشاه مرا گفت: «چه چیز میطلبی؟» آنگاه نزد خدای آسمانها دعا نمودم | ۴ 4 |
৪তখন রাজা আমাকে বললেন, “তুমি কি চাও?” তখন আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম।
و به پادشاه گفتم: «اگر پادشاه را پسند آید و اگر بنده ات درحضورش التفات یابد، مرا به یهودا و شهرمقبره های پدرانم بفرستی تا آن را تعمیر نمایم.» | ۵ 5 |
৫আর রাজাকে বললাম, “মহারাজ যদি খুশী হয়ে থাকেন এবং আপনার দাস যদি আপনার চোখে দয়া পেয়ে থাকে, তবে আপনি আমাকে যিহূদায়, আমার পূর্বপুরুষদের কবরের শহরে, যেতে অনুমতি দিন, যেন আমি তা তৈরী করি।”
پادشاه مرا گفت و ملکه به پهلوی او نشسته بود: «طول سفرت چه قدر خواهد بود و کی مراجعت خواهی نمود؟» پس پادشاه صواب دیدکه مرا بفرستد و زمانی برایش تعیین نمودم. | ۶ 6 |
৬তখন রাজা-রাণীও তাঁর পাশে বসে ছিলেন-আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার যেতে কতদিন লাগবে? আর কবে ফিরে আসবে?” এই ভাবে রাজা খুশি হয়ে আমাকে বিদায় দিলেন, আর আমি তার কাছে দিন জানালাম।
و به پادشاه عرض کردم، اگر پادشاه مصلحت بیندمکتوبات برای والیان ماورای نهر به من عطا شودتا مرا بدرقه نمایند و به یهودا برسانند. | ۷ 7 |
৭আর আমি রাজাকে বললাম, “যদি মহারাজ খুশী হয়, তবে নদীর পারের শাসনকর্তারা যেন যিহূদায় আমার না আসা পর্যন্ত আমার যাওয়ায় সাহায্য করেন, এই জন্য তাঁদের নামে আমাকে চিঠি দিতে আদেশ দিক।
ومکتوبی نیز به آساف که ناظر درختستانهای پادشاه است تا چوب برای سقف دروازه های قصر که متعلق به خانه است، به من داده شود و هم برای حصار شهر و خانهای که من در آن ساکن شوم. پس پادشاه برحسب دست مهربان خدایم که بر من بود، اینها را به من عطا فرمود. | ۸ 8 |
৮আর মন্দিরের পাশে অবস্থিত দুর্গের দরজার ও শহরের দেওয়ালের ও আমার ঘরে ঢোকার দরজার কড়িকাঠের জন্য রাজার বন রক্ষক আসফ যেন আমাকে কাঠ দেন, এই জন্য তাঁর নামেও একটি চিঠি দিতে আদেশ দিক।” তাতে আমার উপরে আমার ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাত থাকায় রাজা আমাকে সে সমস্ত দিলেন।
پس چون نزد والیان ماورای نهر رسیدم، مکتوبات پادشاه را به ایشان دادم و پادشاه، سرداران سپاه و سواران نیز همراه من فرستاده بود. | ۹ 9 |
৯পরে আমি নদীর পারে অবস্থিত শাসনকর্ত্তাদের কাছে এসে রাজার চিঠি তাঁদেরকে দিলাম। রাজা সেনাপতিদেরকে ও ঘোড়াচালকদেরকে আমার সঙ্গে পাঠিয়েছিলেন।
اما چون سنبلط حرونی و طوبیای غلام عمونیاین را شنیدند، ایشان را بسیار ناپسند آمدکه کسی به جهت طلبیدن نیکویی بنیاسرائیل آمده است. | ۱۰ 10 |
১০আর হোরোণীয় শহরবাসী সন্বল্লট ও অম্মোনীয় দাস টোবিয় যখন খবর পেল, তখন ইস্রায়েলীয়দের সাহায্যের জন্য একজন যে লোক এসেছে, এটা বুঝতে পেরে তারা খুব অসন্তুষ্ট হল।
پس به اورشلیم رسیدم و در آنجا سه روزماندم. | ۱۱ 11 |
১১আর আমি যিরূশালেমে এসে সেই জায়গায় তিন দিন থাকলাম।
و شبگاهان به اتفاق چند نفری که همراه من بودند، برخاستم و به کسی نگفته بودم که خدایم در دل من چه نهاده بود که برای اورشلیم بکنم؛ و چهارپایی به غیر از آن چهارپایی که بر آن سوار بودم با من نبود. | ۱۲ 12 |
১২পরে আমি ও আমার সঙ্গী কিছু লোক, আমরা রাতে উঠলাম; কিন্তু যিরূশালেমের জন্য যা করতে ঈশ্বর আমার মনে ইচ্ছা দিয়েছিলেন, তা কাউকেও বলিনি এবং আমি যে পশুর ওপরে চড়েছিলাম, সেটা ছাড়া আর কোনো পশু আমার সঙ্গে ছিল না।
پس شبگاهان از دروازه وادی در مقابل چشمه اژدها تا دروازه خاکروبه بیرون رفتم و حصار اورشلیم را که خراب شده بود و دروازه هایش را که به آتش سوخته شده بود، ملاحظه نمودم. | ۱۳ 13 |
১৩আমি রাতে উপত্যকার দরজা দিয়ে বের হয়ে নাগকুয়ো ও সার দরজা পর্যন্ত গেলাম এবং যিরূশালেমের ভাঙ্গা দেওয়াল ও আগুনে পুড়ে যাওয়া দরজা সব দেখলাম।
و از دروازه چشمه، نزدبرکه پادشاه گذشتم و برای عبور چهارپایی که زیرمن بود، راهی نبود. | ۱۴ 14 |
১৪আর উনুই দরজা ও রাজার পুকুর পর্যন্ত গেলাম, কিন্তু সেই জায়গায় আমার বাহন পশুর যাবার জায়গা ছিল না।
و در آن شب به کنار نهربرآمده، حصار را ملاحظه نمودم و برگشته، ازدروازه وادی داخل شده، مراجعت نمودم. | ۱۵ 15 |
১৫তখন আমি রাতে স্রোতের ধার দিয়ে উপরে উঠে দেওয়াল দেখলাম, আর ফিরে উপত্যকার দরজা দিয়ে ঢুকলাম, পরে ফিরে আসলাম।
وسروران ندانستند که کجا رفته یا چه کرده بودم، زیرا به یهودیان و به کاهنان و به شرفا و سروران وبه دیگر کسانی که در کار مشغول میبودند، هنوزخبر نداده بودم. | ۱۶ 16 |
১৬কিন্তু আমি কোন জায়গায় গেলাম, কি করলাম, তা শাসনকর্তারা জানত না এবং সেই দিন পর্যন্ত আমি ইহুদীদের কি যাজকদের কি প্রধান লোকদেরকে শাসনকর্তাদেরকে কি অন্য কর্মচারীদেরকে কাউকেও তা বলি নি।
پس به ایشان گفتم: «شما بلایی را که در آن هستیم که اورشلیم چگونه خراب و دروازه هایش به آتش سوخته شده است، میبینید. بیایید وحصار اورشلیم را تعمیر نماییم تا دیگر رسوانباشیم.» | ۱۷ 17 |
১৭পরে আমি তাদেরকে বললাম, “আমরা কেমন খারাপ অবস্থায় আছি, তা তোমরা দেখছ; যিরূশালেম ধ্বংস হয়ে গেছে ও তার দরজা সব আগুনে পুড়ে আছে; এস, আমরা যিরূশালেমের দেওয়াল তৈরী করি, যেন আর মর্যাদাহীন না থাকি।”
و ایشان را از دست خدای خود که بر من مهربان میبود و نیز از سخنانی که پادشاه به من گفته بود خبر دادم. آنگاه گفتند: «برخیزیم وتعمیر نماییم.» پس دستهای خود را برای کارخوب قوی ساختند. | ۱۸ 18 |
১৮পরে আমার উপরে বিস্তারিত ঈশ্বরের মঙ্গলময় হাতের কথা এবং আমার প্রতি বলা রাজার কথা তাদেরকে জানালাম। তাতে তারা বলল, “চল, আমরা উঠে গিয়ে গাঁথি।” এই ভাবে তারা সেই ভাল কাজের জন্য নিজের নিজের হাত শক্তিশালী করল।
اما چون سنبلط حرونی و طوبیای غلام عمونی و جشم عربی این راشنیدند، ما را استهزا نمودند و ما را حقیر شمرده، گفتند: «این چهکار است که شما میکنید؟ آیا برپادشاه فتنه میانگیزید؟» | ۱۹ 19 |
১৯কিন্তু হোরোণীয় সন্বল্লট, অম্মোনীয় দাস টোবিয় ও আরবীয় গেশম্ এই কথা শুনে আমাদের বিদ্রূপ ও উপহাস করে বলল, “তোমরা এ কি কাজ করছ? তোমরা কি রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে?”
من ایشان را جواب داده، گفتم: «خدای آسمانها ما را کامیاب خواهدساخت. پس ما که بندگان او هستیم برخاسته، تعمیر خواهیم نمود. اما شما را در اورشلیم، نه نصیبی و نه حقی و نه ذکری میباشد.» | ۲۰ 20 |
২০তখন আমি উত্তরে তাদেরকে বললাম, “যিনি স্বর্গের ঈশ্বর, তিনিই আমাদেরকে সফল করবেন; অতএব তাঁর দাস আমরা উঠে গাঁথব; কিন্তু যিরূশালেমে তোমাদের কোনো অংশ কি অধিকার কি স্মৃতিচিহ্ন নেই।”