Ἰησοῦς Nαυῆ 22

1 τότε συνεκάλεσεν Ἰησοῦς τοὺς υἱοὺς Ρουβην καὶ τοὺς υἱοὺς Γαδ καὶ τὸ ἥμισυ φυλῆς Μανασση

১সেই দিনের যিহোশূয় রূবেণীয় ও গাদীয়দেরকে এবং মনঃশির অর্ধেক বংশকে ডেকে বললেন,

2 καὶ εἶπεν αὐτοῖς ὑμεῖς ἀκηκόατε πάντα ὅσα ἐνετείλατο ὑμῖν Μωυσῆς ὁ παῖς κυρίου καὶ ἐπηκούσατε τῆς φωνῆς μου κατὰ πάντα ὅσα ἐνετειλάμην ὑμῖν

২“সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদেরকে যে সমস্ত আদেশ দিয়েছিলেন, সে সমস্তই তোমরা পালন করেছ এবং আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত আদেশ দিয়েছি, সেই সমস্ত বিষয়ে আমার কথাও শুনেছ।

3 οὐκ ἐγκαταλελοίπατε τοὺς ἀδελφοὺς ὑμῶν ταύτας τὰς ἡμέρας καὶ πλείους ἕως τῆς σήμερον ἡμέρας ἐφυλάξασθε τὴν ἐντολὴν κυρίου τοῦ θεοῦ ὑμῶν

৩সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত তোমরা তোমাদের ভাইদেরকে ছেড়ে চলে যাও নি, কিন্তু তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ পালন করে চলেছ।

4 νῦν δὲ κατέπαυσεν κύριος ὁ θεὸς ἡμῶν τοὺς ἀδελφοὺς ἡμῶν ὃν τρόπον εἶπεν αὐτοῖς νῦν οὖν ἀποστραφέντες ἀπέλθατε εἰς τοὺς οἴκους ὑμῶν καὶ εἰς τὴν γῆν τῆς κατασχέσεως ὑμῶν ἣν ἔδωκεν ὑμῖν Μωυσῆς ἐν τῷ πέραν τοῦ Ιορδάνου

৪তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞা অনুসারে তোমাদের ভাইদেরকে বিশ্রাম দিয়েছেন; অতএব এখন তোমরা তোমাদের তাঁবুতে, অর্থাৎ সদাপ্রভুর দাস মোশি যর্দ্দনের অন্য পারে যে দেশ তোমাদেরকে দিয়েছেন, তোমাদের সেই অধিকার দেশে ফিরে যাও।

5 ἀλλὰ φυλάξασθε ποιεῖν σφόδρα τὰς ἐντολὰς καὶ τὸν νόμον ὃν ἐνετείλατο ἡμῖν ποιεῖν Μωυσῆς ὁ παῖς κυρίου ἀγαπᾶν κύριον τὸν θεὸν ὑμῶν πορεύεσθαι πάσαις ταῖς ὁδοῖς αὐτοῦ φυλάξασθαι τὰς ἐντολὰς αὐτοῦ καὶ προσκεῖσθαι αὐτῷ καὶ λατρεύειν αὐτῷ ἐξ ὅλης τῆς διανοίας ὑμῶν καὶ ἐξ ὅλης τῆς ψυχῆς ὑμῶν

৫শুধুমাত্র এই সমস্ত বিষয়ে খুব যত্নের সঙ্গে পালন করো, সদাপ্রভুর দাস মোশি তোমাদেরকে যে আদেশ ও ব্যবস্থা দিয়েছেন, তা পালন করো, তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করো, তাঁর সমস্ত পথকে অনুসরণ করো, তাঁর সমস্ত আদেশ পালন করো, তাঁতে আসক্ত থেকো এবং সমস্ত হৃদয় ও সমস্ত প্রাণের সঙ্গে তাঁর সেবা করো।”

6 καὶ ηὐλόγησεν αὐτοὺς Ἰησοῦς καὶ ἐξαπέστειλεν αὐτούς καὶ ἐπορεύθησαν εἰς τοὺς οἴκους αὐτῶν

৬পরে যিহোশূয় তাদেরকে আশীর্বাদ করে বিদায় করলেন; তারা তাদের তাঁবুতে চলে গেল।

7 καὶ τῷ ἡμίσει φυλῆς Μανασση ἔδωκεν Μωυσῆς ἐν τῇ Βασανίτιδι καὶ τῷ ἡμίσει ἔδωκεν Ἰησοῦς μετὰ τῶν ἀδελφῶν αὐτοῦ ἐν τῷ πέραν τοῦ Ιορδάνου παρὰ θάλασσαν καὶ ἡνίκα ἐξαπέστειλεν αὐτοὺς Ἰησοῦς εἰς τοὺς οἴκους αὐτῶν καὶ εὐλόγησεν αὐτούς

৭মোশি মনঃশির অর্ধেক বংশকে বাশনে অধিকার দিয়েছিলেন এবং যিহোশূয় তার অন্য অর্ধেক বংশকে যর্দ্দনের পশ্চিম পারে তাদের ভাইদের মধ্যে অধিকার দিয়েছিলেন। আর তাদের তাঁবুতে বিদায় করার দিনের যিহোশূয় তাদেরকে আশীর্বাদ করলেন,

8 καὶ ἐν χρήμασιν πολλοῖς ἀπήλθοσαν εἰς τοὺς οἴκους αὐτῶν καὶ κτήνη πολλὰ σφόδρα καὶ ἀργύριον καὶ χρυσίον καὶ σίδηρον καὶ ἱματισμὸν πολύν καὶ διείλαντο τὴν προνομὴν τῶν ἐχθρῶν μετὰ τῶν ἀδελφῶν αὐτῶν

৮আর বললেন, “তোমরা প্রচুর সম্পত্তি, প্রচুর পশুপাল এবং রূপা, সোনা, পিতল, লোহা ও অনেক পোশাক সঙ্গে নিয়ে তোমাদের তাঁবুতে ফিরে যাও, তোমাদের শত্রুদের কাছ থেকে লুট করা জিনিসপত্র তোমাদের ভাইদের সঙ্গে ভাগ করে নাও।”

9 καὶ ἐπορεύθησαν οἱ υἱοὶ Ρουβην καὶ οἱ υἱοὶ Γαδ καὶ τὸ ἥμισυ φυλῆς υἱῶν Μανασση ἀπὸ τῶν υἱῶν Ισραηλ ἐκ Σηλω ἐν γῇ Χανααν ἀπελθεῖν εἰς γὴν Γαλααδ εἰς γῆν κατασχέσεως αὐτῶν ἣν ἐκληρονόμησαν αὐτὴν διὰ προστάγματος κυρίου ἐν χειρὶ Μωυσῆ

৯পরে রূবেণ-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ কনান দেশের শীলোতে ইস্রায়েল-সন্তানদের কাছ থেকে ফিরে গেল, মোশির মাধ্যমে সদাপ্রভুর যে বাক্য বলা হয়েছিল সেই বাক্য অনুসারে পাওয়া গিলিয়দ দেশের, তাদের অধিকার দেশের দিকে যাওয়ার জন্য যাত্রা করল।

10 καὶ ἦλθον εἰς Γαλγαλα τοῦ Ιορδάνου ἥ ἐστιν ἐν γῇ Χανααν καὶ ᾠκοδόμησαν οἱ υἱοὶ Γαδ καὶ οἱ υἱοὶ Ρουβην καὶ τὸ ἥμισυ φυλῆς Μανασση ἐκεῖ βωμὸν ἐπὶ τοῦ Ιορδάνου βωμὸν μέγαν τοῦ ἰδεῖν

১০আর কনান দেশের যর্দ্দন (নদীর পশ্চিম) অঞ্চলে উপস্থিত হলে রূবেণ-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ সেই স্থানে যর্দ্দনের (নদীর) পাশে এক যজ্ঞবেদি তৈরী করল, সেই বেদি দেখতে বড়।

11 καὶ ἤκουσαν οἱ υἱοὶ Ισραηλ λεγόντων ἰδοὺ ᾠκοδόμησαν οἱ υἱοὶ Γαδ καὶ οἱ υἱοὶ Ρουβην καὶ τὸ ἥμισυ φυλῆς Μανασση βωμὸν ἐφ’ ὁρίων γῆς Χανααν ἐπὶ τοῦ Γαλααδ τοῦ Ιορδάνου ἐν τῷ πέραν υἱῶν Ισραηλ

১১তখন ইস্রায়েল-সন্তানেরা শুনতে পেল, দেখ, রূবেণ-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ কনান দেশের সামনে যর্দ্দন অঞ্চলে, ইস্রায়েল-সন্তানদের পারে, এক যজ্ঞবেদি তৈরী করেছে।

12 καὶ συνηθροίσθησαν πάντες οἱ υἱοὶ Ισραηλ εἰς Σηλω ὥστε ἀναβάντες ἐκπολεμῆσαι αὐτούς

১২ইস্রায়েল-সন্তানেরা যখন এই কথা শুনল, তখন ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য শীলোতে সমবেত হল।

13 καὶ ἀπέστειλαν οἱ υἱοὶ Ισραηλ πρὸς τοὺς υἱοὺς Ρουβην καὶ πρὸς τοὺς υἱοὺς Γαδ καὶ πρὸς τὸ ἥμισυ φυλῆς Μανασση εἰς γῆν Γαλααδ τόν τε Φινεες υἱὸν Ελεαζαρ υἱοῦ Ααρων τοῦ ἀρχιερέως

১৩পরে ইস্রায়েল-সন্তানেরা রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের ও মনঃশির অর্ধেক বংশের কাছে গিলিয়দ দেশে ইলীয়াসর যাজকের পুত্র পীনহসকে

14 καὶ δέκα τῶν ἀρχόντων μετ’ αὐτοῦ ἄρχων εἷς ἀπὸ οἴκου πατριᾶς ἀπὸ πασῶν φυλῶν Ισραηλ ἄρχοντες οἴκων πατριῶν εἰσιν χιλίαρχοι Ισραηλ

১৪এবং তাঁর সঙ্গে দশ জন নেতাকে, ইস্রায়েলের প্রত্যেক বংশ থেকে এক এক জন পিতৃকুলের প্রধানকে পাঠাল; তাঁরা এক এক জন ইস্রায়েলের হাজার জনের মধ্যে তাদের পিতৃকুলের প্রধান ছিলেন।

15 καὶ παρεγένοντο πρὸς τοὺς υἱοὺς Γαδ καὶ πρὸς τοὺς υἱοὺς Ρουβην καὶ πρὸς τοὺς ἡμίσεις φυλῆς Μανασση εἰς γῆν Γαλααδ καὶ ἐλάλησαν πρὸς αὐτοὺς λέγοντες

১৫তাঁরা গিলিয়দ দেশে রূবেণ-সন্তানদের গাদ-সন্তানদের ও মনঃশির অর্ধেক বংশের কাছে গিয়ে তাদেরকে এই কথা বললেন,

16 τάδε λέγει πᾶσα ἡ συναγωγὴ κυρίου τίς ἡ πλημμέλεια αὕτη ἣν ἐπλημμελήσατε ἐναντίον τοῦ θεοῦ Ισραηλ ἀποστραφῆναι σήμερον ἀπὸ κυρίου οἰκοδομήσαντες ὑμῖν ἑαυτοῖς βωμὸν ἀποστάτας ὑμᾶς γενέσθαι ἀπὸ κυρίου

১৬“সদাপ্রভুর সমস্ত মণ্ডলীকে এই কথা বলছেন, আজ সদাপ্রভুর বিপরীতে বিদ্রোহী হওয়ার জন্য তোমাদের জন্য এক যজ্ঞবেদি তৈরী করাতে তোমরা আজ সদাপ্রভুকে অনুসরণ করার থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য ইস্রায়েলের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে এই যে সত্যলঙ্ঘন করলে, এটা কি?

17 μὴ μικρὸν ἡμῖν τὸ ἁμάρτημα Φογωρ ὅτι οὐκ ἐκαθαρίσθημεν ἀπ’ αὐτοῦ ἕως τῆς ἡμέρας ταύτης καὶ ἐγενήθη πληγὴ ἐν τῇ συναγωγῇ κυρίου

১৭যে অপরাধের জন্য সদাপ্রভুর মণ্ডলীর মধ্যে মহামারী হয়েছিল এবং যা থেকে আমরা এখনও পবিত্র হয়নি, পিয়োর-বিষয়ে সেই অপরাধ কি আমাদের কাছে খুবই ছোট?

18 καὶ ὑμεῖς ἀποστραφήσεσθε σήμερον ἀπὸ κυρίου καὶ ἔσται ἐὰν ἀποστῆτε σήμερον ἀπὸ κυρίου καὶ αὔριον ἐπὶ πάντα Ισραηλ ἔσται ἡ ὀργή

১৮এই জন্যই কি আজ সদাপ্রভুকে অনুসরণ করার থেকে ফিরে যেতে চাও? তোমরা আজ সদাপ্রভুর বিদ্রোহী হলে তিনি কাল ইস্রায়েলের সমস্ত মণ্ডলীর প্রতি ক্রুদ্ধ হবেন।

19 καὶ νῦν εἰ μικρὰ ὑμῖν ἡ γῆ τῆς κατασχέσεως ὑμῶν διάβητε εἰς τὴν γῆν τῆς κατασχέσεως κυρίου οὗ κατασκηνοῖ ἐκεῖ ἡ σκηνὴ κυρίου καὶ κατακληρονομήσατε ἐν ἡμῖν καὶ μὴ ἀποστάται ἀπὸ θεοῦ γενήθητε καὶ μὴ ἀπόστητε ἀπὸ κυρίου διὰ τὸ οἰκοδομῆσαι ὑμᾶς βωμὸν ἔξω τοῦ θυσιαστηρίου κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν

১৯যাই হোক, তোমাদের অধিকার-দেশ যদি অশুচি হয়, তবে পার হয়ে সদাপ্রভুর অধিকার দেশে, যেখানে সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবু আছে, সেখানে গিয়ে আমাদেরই মধ্যে অধিকার গ্রহণ কর; কিন্তু আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদি ছাড়া তোমাদের জন্য আর অন্য কোন যজ্ঞবেদি তৈরী করার মাধ্যমে সদাপ্রভুর বিদ্রোহী ও আমাদের বিদ্রোহী হয়ো না।

20 οὐκ ἰδοὺ Αχαρ ὁ τοῦ Ζαρα πλημμελείᾳ ἐπλημμέλησεν ἀπὸ τοῦ ἀναθέματος καὶ ἐπὶ πᾶσαν συναγωγὴν Ισραηλ ἐγενήθη ὀργή καὶ οὗτος εἷς μόνος ἦν μὴ μόνος οὗτος ἀπέθανεν τῇ ἑαυτοῦ ἁμαρτίᾳ

২০সেরহের ছেলে আখন বর্জিত বস্তু সম্বন্ধে আজ্ঞার অবাধ্য হলে ঈশ্বরের ক্রোধ কি ইস্রায়েলের সমস্ত মণ্ডলীর প্রতি উপস্থিত হয়নি? সে ব্যক্তি তো তার অপরাধে একা বিনষ্ট হয়নি।”

21 καὶ ἀπεκρίθησαν οἱ υἱοὶ Ρουβην καὶ οἱ υἱοὶ Γαδ καὶ τὸ ἥμισυ φυλῆς Μανασση καὶ ἐλάλησαν τοῖς χιλιάρχοις Ισραηλ λέγοντες

২১তখন রূবেন-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা ও মনঃশির অর্ধেক বংশ ইস্রায়েলের সেই সহস্রপতিদেরকে এই উত্তর দিল;

22 ὁ θεὸς θεός ἐστιν κύριος καὶ ὁ θεὸς θεὸς κύριος αὐτὸς οἶδεν καὶ Ισραηλ αὐτὸς γνώσεται εἰ ἐν ἀποστασίᾳ ἐπλημμελήσαμεν ἔναντι τοῦ κυρίου μὴ ῥύσαιτο ἡμᾶς ἐν ταύτῃ

২২“ঈশ্বরদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, ঈশ্বরদের ঈশ্বর সদাপ্রভু, তিনিই জানেন এবং ইস্রায়েল, সেও জানবে; যদি আমরা সদাপ্রভুর বিপরীতে বিদ্রোহ-ভাবে কিম্বা আজ্ঞার অবাধ্য হয়ে এটি করে থাকি, তবে আজ আমাদের রক্ষা করো না।”

23 καὶ εἰ ᾠκοδομήσαμεν αὑτοῖς βωμὸν ὥστε ἀποστῆναι ἀπὸ κυρίου τοῦ θεοῦ ἡμῶν ὥστε ἀναβιβάσαι ἐπ’ αὐτὸν θυσίαν ὁλοκαυτωμάτων ἢ ὥστε ποιῆσαι ἐπ’ αὐτοῦ θυσίαν σωτηρίου κύριος ἐκζητήσει

২৩আমরা আমাদের জন্য যে যজ্ঞবেদি তৈরী করেছি, তা যদি সদাপ্রভুকে অনুসরণ করার থেকে ফিরে যাওয়ার জন্য, কিম্বা তার উপরে হোম বা ভক্ষ্য-নৈবেদ্য উৎসর্গ করার জন্য অথবা মঙ্গলার্থক বলিদান উৎসর্গ করার জন্য তৈরী করে থাকি, তবে সদাপ্রভু নিজেই তার প্রতিফল দিন।

24 ἀλλ’ ἕνεκεν εὐλαβείας ῥήματος ἐποιήσαμεν τοῦτο λέγοντες ἵνα μὴ εἴπωσιν αὔριον τὰ τέκνα ὑμῶν τοῖς τέκνοις ἡμῶν τί ὑμῖν κυρίῳ τῷ θεῷ Ισραηλ

২৪আমরা বরং ভয় করে, একটি বিশেষ উদ্দেশ্যর জন্য এটি করেছি, হয়তো কি জানি, ভবিষ্যতে তোমাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের এই কথা বলবে, “ইস্রায়েলের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক কি?

25 καὶ ὅρια ἔθηκεν κύριος ἀνὰ μέσον ἡμῶν καὶ ὑμῶν τὸν Ιορδάνην καὶ οὐκ ἔστιν ὑμῖν μερὶς κυρίου καὶ ἀπαλλοτριώσουσιν οἱ υἱοὶ ὑμῶν τοὺς υἱοὺς ἡμῶν ἵνα μὴ σέβωνται κύριον

২৫হে রূবেন-সন্তানেরা, গাদ-সন্তানেরা, তোমাদের ও আমাদের উভয়ের মধ্যে সদাপ্রভু যর্দনকে সীমা করে রেখেছেন; সদাপ্রভুতে তোমাদের কোন অধিকার নেই।” এই ভাবে যদি তোমাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের সদাপ্রভুর ভয় ত্যাগ করায়।

26 καὶ εἴπαμεν ποιῆσαι οὕτως τοῦ οἰκοδομῆσαι τὸν βωμὸν τοῦτον οὐχ ἕνεκεν καρπωμάτων οὐδὲ ἕνεκεν θυσιῶν

২৬এই জন্য আমরা বললাম, “এস, আমরা এক বেদি তৈরীর উদ্যোগ নিই, হোমের বা বলিদানের জন্য নয়;”

27 ἀλλ’ ἵνα ᾖ τοῦτο μαρτύριον ἀνὰ μέσον ἡμῶν καὶ ὑμῶν καὶ ἀνὰ μέσον τῶν γενεῶν ἡμῶν μεθ’ ἡμᾶς τοῦ λατρεύειν λατρείαν κυρίῳ ἐναντίον αὐτοῦ ἐν τοῖς καρπώμασιν ἡμῶν καὶ ἐν ταῖς θυσίαις ἡμῶν καὶ ἐν ταῖς θυσίαις τῶν σωτηρίων ἡμῶν καὶ οὐκ ἐροῦσιν τὰ τέκνα ὑμῶν τοῖς τέκνοις ἡμῶν αὔριον οὐκ ἔστιν ὑμῖν μερὶς κυρίου

২৭কিন্তু আমাদের হোম, আমাদের বলি ও আমাদের মঙ্গলার্থক উপহারের মাধ্যমে সদাপ্রভুর সামনে তাঁকে সেবা করার অধিকার আমাদের আছে, এর প্রমাণের জন্য তা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে এবং আমাদের পরে আমাদের ভাবী বংশের মধ্যে সাক্ষী হবে; তাতে ভবিষ্যতে তোমাদের সন্তানেরা আমাদের সন্তানদের বলতে পারবে না যে, সদাপ্রভুতে তোমাদের কোন অংশ নেই।

28 καὶ εἴπαμεν ἐὰν γένηταί ποτε καὶ λαλήσωσιν πρὸς ἡμᾶς καὶ ταῖς γενεαῖς ἡμῶν αὔριον καὶ ἐροῦσιν ἴδετε ὁμοίωμα τοῦ θυσιαστηρίου κυρίου ὃ ἐποίησαν οἱ πατέρες ἡμῶν οὐχ ἕνεκεν καρπωμάτων οὐδὲ ἕνεκεν θυσιῶν ἀλλὰ μαρτύριόν ἐστιν ἀνὰ μέσον ὑμῶν καὶ ἀνὰ μέσον ἡμῶν καὶ ἀνὰ μέσον τῶν υἱῶν ἡμῶν

২৮আমরা বলেছিলাম, “তারা যদি ভবিষ্যতে আমাদের কিম্বা আমাদের বংশকে এই কথা বলে, তখন আমরা বলব, তোমরা সদাপ্রভুর যজ্ঞবেদির ঐ প্রতিরূপ দেখ, আমাদের পূর্বপুরুষরা এটি তৈরী করেছিলেন; হোমের বা বলিদানের জন্য নয়, কিন্তু তা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষীস্বরূপ।

29 μὴ γένοιτο οὖν ἡμᾶς ἀποστραφῆναι ἀπὸ κυρίου ἐν ταῖς σήμερον ἡμέραις ἀποστῆναι ἀπὸ κυρίου ὥστε οἰκοδομῆσαι ἡμᾶς θυσιαστήριον τοῖς καρπώμασιν καὶ ταῖς θυσίαις σαλαμιν καὶ τῇ θυσίᾳ τοῦ σωτηρίου πλὴν τοῦ θυσιαστηρίου κυρίου ὅ ἐστιν ἐναντίον τῆς σκηνῆς αὐτοῦ

২৯আমরা যে হোমের, ভক্ষ্য নৈবেদ্যের কিম্বা বলিদানের জন্য আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সমাগম তাঁবুর সামনে অবস্থিত তাঁর যজ্ঞবেদি ছাড়া অন্য যজ্ঞবেদি তৈরী করার মাধ্যমে সদাপ্রভুর বিদ্রোহী হব, বা আমরা যে সদাপ্রভুকে অনুসরণ করার থেকে আজ ফিরে যাব, তা দূরে থাকুক।”

30 καὶ ἀκούσας Φινεες ὁ ἱερεὺς καὶ πάντες οἱ ἄρχοντες τῆς συναγωγῆς Ισραηλ οἳ ἦσαν μετ’ αὐτοῦ τοὺς λόγους οὓς ἐλάλησαν οἱ υἱοὶ Ρουβην καὶ οἱ υἱοὶ Γαδ καὶ τὸ ἥμισυ φυλῆς Μανασση καὶ ἤρεσεν αὐτοῖς

৩০তখন পীনহস যাজক, তাঁর সঙ্গে মণ্ডলীর নেতারা ও ইস্রায়েলের সহস্রপতিরা রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের ও মনঃশি-সন্তানদের এই কথা শুনে সন্তুষ্ট হলেন।

31 καὶ εἶπεν Φινεες ὁ ἱερεὺς τοῖς υἱοῖς Ρουβην καὶ τοῖς υἱοῖς Γαδ καὶ τῷ ἡμίσει φυλῆς Μανασση σήμερον ἐγνώκαμεν ὅτι μεθ’ ἡμῶν κύριος διότι οὐκ ἐπλημμελήσατε ἐναντίον κυρίου πλημμέλειαν καὶ ὅτι ἐρρύσασθε τοὺς υἱοὺς Ισραηλ ἐκ χειρὸς κυρίου

৩১আর ইলীয়াসর যাজকের পুত্র পীনহস রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের ও মনঃশি-সন্তানদের বললেন, “আজ আমরা জানতে পারলাম যে, সদাপ্রভু আমাদের মধ্যে আছেন, কারণ তোমরা সদাপ্রভুর বিরুদ্ধে এই আদেশের অবাধ্য হও নি; এখন তোমরা ইস্রায়েল-সন্তানদেরকে সদাপ্রভুর হাত থেকে উদ্ধার করলে।”

32 καὶ ἀπέστρεψεν Φινεες ὁ ἱερεὺς καὶ οἱ ἄρχοντες ἀπὸ τῶν υἱῶν Ρουβην καὶ ἀπὸ τῶν υἱῶν Γαδ καὶ ἀπὸ τοῦ ἡμίσους φυλῆς Μανασση ἐκ γῆς Γαλααδ εἰς γῆν Χανααν πρὸς τοὺς υἱοὺς Ισραηλ καὶ ἀπεκρίθησαν αὐτοῖς τοὺς λόγους

৩২পরে ইলীয়াসর যাজকের পুত্র পীনহস ও অধ্যক্ষগণ রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের কাছ থেকে, গিলিয়দ দেশ থেকে, কনান দেশে ইস্রায়েল-সন্তানদের কাছে ফিরে এসে তাদেরকে সংবাদ দিলেন।

33 καὶ ἤρεσεν τοῖς υἱοῖς Ισραηλ καὶ ἐλάλησαν πρὸς τοὺς υἱοὺς Ισραηλ καὶ εὐλόγησαν τὸν θεὸν υἱῶν Ισραηλ καὶ εἶπαν μηκέτι ἀναβῆναι πρὸς αὐτοὺς εἰς πόλεμον ἐξολεθρεῦσαι τὴν γῆν τῶν υἱῶν Ρουβην καὶ τῶν υἱῶν Γαδ καὶ τοῦ ἡμίσους φυλῆς Μανασση καὶ κατῴκησαν ἐπ’ αὐτῆς

৩৩তখন ইস্রায়েল-সন্তানেরা ঐ বিষয়ে সন্তুষ্ট হল; আর ইস্রায়েল-সন্তানেরা ঈশ্বরের ধন্যবাদ করল এবং রূবেণ-সন্তানদের, গাদ-সন্তানদের বসবাসের স্থান ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধে যাওয়ার বিষয়ে আর কিছু বলল না।

34 καὶ ἐπωνόμασεν Ἰησοῦς τὸν βωμὸν τῶν Ρουβην καὶ τῶν Γαδ καὶ τοῦ ἡμίσους φυλῆς Μανασση καὶ εἶπεν ὅτι μαρτύριόν ἐστιν ἀνὰ μέσον αὐτῶν ὅτι κύριος ὁ θεὸς αὐτῶν ἐστιν

৩৪পরে রূবেণ-সন্তানেরা ও গাদ-সন্তানেরা সেই বেদির নাম [এদ] রাখল, কারণ [তারা বলল], “সদাপ্রভুই যে ঈশ্বর, তা আমাদের মধ্যে তাঁর সাক্ষী [এদ] হবে।”