Βασιλειῶν Βʹ 19
1 καὶ ἀνηγγέλη τῷ Ιωαβ λέγοντες ἰδοὺ ὁ βασιλεὺς κλαίει καὶ πενθεῖ ἐπὶ Αβεσσαλωμ
১পরে কেউ যোয়াবকে বলল, “দেখ, রাজা অবশালোমের জন্য কাঁদছেন ও শোক করছেন৷”
2 καὶ ἐγένετο ἡ σωτηρία ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ εἰς πένθος παντὶ τῷ λαῷ ὅτι ἤκουσεν ὁ λαὸς ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ λέγων ὅτι λυπεῖται ὁ βασιλεὺς ἐπὶ τῷ υἱῷ αὐτοῦ
২আর সেই দিনের সমস্ত লোকের জন্য বিজয় দুঃখের বিষয় হয়ে উঠলো, কারণ রাজা নিজের ছেলের বিষয়ে দুঃখিত ছিলেন, এটা লোকেরা সেই দিন শুনল৷
3 καὶ διεκλέπτετο ὁ λαὸς ἐν τῇ ἡμέρᾳ ἐκείνῃ τοῦ εἰσελθεῖν εἰς τὴν πόλιν καθὼς διακλέπτεται ὁ λαὸς οἱ αἰσχυνόμενοι ἐν τῷ αὐτοὺς φεύγειν ἐν τῷ πολέμῳ
৩আর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবার দিন লোকেরা যেমন বিষন্ন হয়ে চোরের মত চলে, তেমন লোকেরা ঐ দিনের চোরের মত নগরে ঢুকল৷
4 καὶ ὁ βασιλεὺς ἔκρυψεν τὸ πρόσωπον αὐτοῦ καὶ ἔκραξεν ὁ βασιλεὺς φωνῇ μεγάλῃ λέγων υἱέ μου Αβεσσαλωμ Αβεσσαλωμ υἱέ μου
৪আর রাজা নিজের মুখ ঢেকে চিত্কার করে কেঁদে বলতে লাগলেন, “হায়৷ আমার ছেলে অবশালোম! হায় অবশালোম! আমার ছেলে৷ আমার ছেলে৷”
5 καὶ εἰσῆλθεν Ιωαβ πρὸς τὸν βασιλέα εἰς τὸν οἶκον καὶ εἶπεν κατῄσχυνας σήμερον τὸ πρόσωπον πάντων τῶν δούλων σου τῶν ἐξαιρουμένων σε σήμερον καὶ τὴν ψυχὴν τῶν υἱῶν σου καὶ τῶν θυγατέρων σου καὶ τὴν ψυχὴν τῶν γυναικῶν σου καὶ τῶν παλλακῶν σου
৫পরে যোয়াব ঘরের মধ্যে রাজার কাছে এসে বললেন, “যারা আজ আপনার প্রাণ, আপনার ছেলে-মেয়েদের প্রাণ ও আপনার স্ত্রীদের প্রাণ ও আপনার উপপত্নীদের প্রাণ রক্ষা করেছে, আপনার সেই দাসদেরকে আপনি আজ দুঃখিত করলেন৷”
6 τοῦ ἀγαπᾶν τοὺς μισοῦντάς σε καὶ μισεῖν τοὺς ἀγαπῶντάς σε καὶ ἀνήγγειλας σήμερον ὅτι οὔκ εἰσιν οἱ ἄρχοντές σου οὐδὲ παῖδες ὅτι ἔγνωκα σήμερον ὅτι εἰ Αβεσσαλωμ ἔζη πάντες ἡμεῖς σήμερον νεκροί ὅτι τότε τὸ εὐθὲς ἦν ἐν ὀφθαλμοῖς σου
৬বাস্তবিক আপনি নিজের শত্রুদেরকে প্রেম ও নিজের প্রিয়জনকে ঘৃণা করছেন; ফলে আপনি আজ প্রকাশ করছেন যে, শাসনকর্তারা ও দাসেরা আপনার কাছে কিছুই নয়; কারণ আজ আমি দেখতে পাচ্ছি, যদি অবশালোম বেঁচে থাকত, আর আমরা আজ সকলে আজ মরতাম, তাহলে আপনি সন্তুষ্ট হতেন৷
7 καὶ νῦν ἀναστὰς ἔξελθε καὶ λάλησον εἰς τὴν καρδίαν τῶν δούλων σου ὅτι ἐν κυρίῳ ὤμοσα ὅτι εἰ μὴ ἐκπορεύσῃ σήμερον εἰ αὐλισθήσεται ἀνὴρ μετὰ σοῦ τὴν νύκτα ταύτην καὶ ἐπίγνωθι σεαυτῷ καὶ κακόν σοι τοῦτο ὑπὲρ πᾶν τὸ κακὸν τὸ ἐπελθόν σοι ἐκ νεότητός σου ἕως τοῦ νῦν
৭অতএব আপনি এখন উঠে বাইরে গিয়ে নিজের দাসদের সাথে আনন্দদায়ক কথা বলুন৷ আমি সদাপ্রভুর নামে শপথ করছি, যদি আপনি বাইরে না যান, তবে এই রাতে আপনার সঙ্গে একজনও থাকবে না এবং আপনার যুবক অবস্থা থেকে এখন পর্যন্ত যত অমঙ্গল ঘটেছে, সে সব কিছু থেকেও আপনার এই অমঙ্গল বেশি হবে৷
8 καὶ ἀνέστη ὁ βασιλεὺς καὶ ἐκάθισεν ἐν τῇ πύλῃ καὶ πᾶς ὁ λαὸς ἀνήγγειλαν λέγοντες ἰδοὺ ὁ βασιλεὺς κάθηται ἐν τῇ πύλῃ καὶ εἰσῆλθεν πᾶς ὁ λαὸς κατὰ πρόσωπον τοῦ βασιλέως καὶ Ισραηλ ἔφυγεν ἀνὴρ εἰς τὰ σκηνώματα αὐτοῦ
৮তখন রাজা উঠে নগরের ফটকে বসলেন; আর সমস্ত লোককে বলা হল, “দেখ, রাজা ফটকের কাছে বসে আছেন৷” তাতে সমস্ত লোক রাজার সামনে আসল৷
9 καὶ ἦν πᾶς ὁ λαὸς κρινόμενος ἐν πάσαις φυλαῖς Ισραηλ λέγοντες ὁ βασιλεὺς Δαυιδ ἐρρύσατο ἡμᾶς ἀπὸ πάντων τῶν ἐχθρῶν ἡμῶν καὶ αὐτὸς ἐξείλατο ἡμᾶς ἐκ χειρὸς ἀλλοφύλων καὶ νῦν πέφευγεν ἀπὸ τῆς γῆς καὶ ἀπὸ τῆς βασιλείας αὐτοῦ ἀπὸ Αβεσσαλωμ
৯ইস্রায়েলের লোকরা প্রত্যেকে নিজের নিজের তাঁবুতে পালিয়ে গিয়েছিল৷ পরে ইস্রায়েলের সমস্ত বংশের মধ্যে সমস্ত লোক ঝগড়া করে বলতে লাগল, “রাজা শত্রুদের হাত থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছিলেন ও পলেষ্টীয়দের হাত থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করেছিলেন; সম্প্রতি তিনি অবশালোমের ভয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন৷
10 καὶ Αβεσσαλωμ ὃν ἐχρίσαμεν ἐφ’ ἡμῶν ἀπέθανεν ἐν τῷ πολέμῳ καὶ νῦν ἵνα τί ὑμεῖς κωφεύετε τοῦ ἐπιστρέψαι τὸν βασιλέα καὶ τὸ ῥῆμα παντὸς Ισραηλ ἦλθεν πρὸς τὸν βασιλέα
১০আর আমরা যে অবশালোমকে নিজেদের উপরে অভিষিক্ত করেছিলাম, তিনি যুদ্ধে মারা গেছেন; অতএব তোমরা এখন রাজাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে একটি কথাও বলছ না কেন?”
11 καὶ ὁ βασιλεὺς Δαυιδ ἀπέστειλεν πρὸς Σαδωκ καὶ πρὸς Αβιαθαρ τοὺς ἱερεῖς λέγων λαλήσατε πρὸς τοὺς πρεσβυτέρους Ιουδα λέγοντες ἵνα τί γίνεσθε ἔσχατοι τοῦ ἐπιστρέψαι τὸν βασιλέα εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ καὶ λόγος παντὸς Ισραηλ ἦλθεν πρὸς τὸν βασιλέα
১১পরে দায়ূদ রাজা সাদোক ও অবিয়াথর এই দুই যাজকের কাছে দূত পঠিয়ে বললেন, “তোমরা যিহূদার প্রাচীনদেরকে বল, ‘রাজাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে তোমরা কেন সকলের শেষে পড়ছ? রাজাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে আনবার জন্য সমস্ত ইস্রায়েলের প্রার্থনা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়েছে৷
12 ἀδελφοί μου ὑμεῖς ὀστᾶ μου καὶ σάρκες μου ὑμεῖς καὶ ἵνα τί γίνεσθε ἔσχατοι τοῦ ἐπιστρέψαι τὸν βασιλέα εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ
১২তোমরাই আমার ভাই, তোমরাই আমার হাড় ও আমার মাংস; অতএব রাজাকে ফিরিয়ে আনতে কেন সকলের শেষে পড়ছ?’
13 καὶ τῷ Αμεσσαϊ ἐρεῖτε οὐχὶ ὀστοῦν μου καὶ σάρξ μου σύ καὶ νῦν τάδε ποιήσαι μοι ὁ θεὸς καὶ τάδε προσθείη εἰ μὴ ἄρχων δυνάμεως ἔσῃ ἐνώπιον ἐμοῦ πάσας τὰς ἡμέρας ἀντὶ Ιωαβ
১৩তোমরা অমাসাকে বল, ‘তুমি কি আমার হাড় ও আমার মাংস নও? যদি তুমি সর্বদা আমার সামনে যোয়াবের পদে সৈন্যদলের সেনাপতি না হও, তবে ঈশ্বর আমাকে সেই রকম ও তার থেকে বেশি শাস্তি দিন ৷’”
14 καὶ ἔκλινεν τὴν καρδίαν παντὸς ἀνδρὸς Ιουδα ὡς ἀνδρὸς ἑνός καὶ ἀπέστειλαν πρὸς τὸν βασιλέα λέγοντες ἐπιστράφητι σὺ καὶ πάντες οἱ δοῦλοί σου
১৪এই ভাবে তিনি যিহূদার সমস্ত লোকের হৃদয়কে এক জনের হৃদয়ের মত নত করলেন, তাতে তারা লোক পাঠিয়ে রাজাকে বলল, “আপনি ও আপনার সব দাস পুনরায় ফিরে আসুন৷”
15 καὶ ἐπέστρεψεν ὁ βασιλεὺς καὶ ἦλθεν ἕως τοῦ Ιορδάνου καὶ ἄνδρες Ιουδα ἦλθαν εἰς Γαλγαλα τοῦ πορεύεσθαι εἰς ἀπαντὴν τοῦ βασιλέως διαβιβάσαι τὸν βασιλέα τὸν Ιορδάνην
১৫পরে রাজা পুনরায় ফিরে যর্দ্দন পর্যন্ত আসলেন৷ আর যিহূদার লোকেরা রাজার সঙ্গে দেখা করতে ও তাঁকে যর্দ্দন পার করে আনতে গিলগলে গেল৷
16 καὶ ἐτάχυνεν Σεμεϊ υἱὸς Γηρα υἱοῦ τοῦ Ιεμενι ἐκ Βαουριμ καὶ κατέβη μετὰ ἀνδρὸς Ιουδα εἰς ἀπαντὴν τοῦ βασιλέως Δαυιδ
১৬তখন দায়ূদ রাজার সঙ্গে দেখা করতে বহুরীমের অধিবাসী গেরার ছেলে বিন্যামীনীয় শিমিয়ি তাড়াতাড়ি করে যিহূদার লোকেদের সঙ্গে আসল৷
17 καὶ χίλιοι ἄνδρες μετ’ αὐτοῦ ἐκ τοῦ Βενιαμιν καὶ Σιβα τὸ παιδάριον τοῦ οἴκου Σαουλ καὶ δέκα πέντε υἱοὶ αὐτοῦ μετ’ αὐτοῦ καὶ εἴκοσι δοῦλοι αὐτοῦ μετ’ αὐτοῦ καὶ κατεύθυναν τὸν Ιορδάνην ἔμπροσθεν τοῦ βασιλέως
১৭আর বিন্যামীন বংশের এক হাজার লোক তার সঙ্গে ছিল এবং শৌলের বংশের দাস সীবঃ ও তার পনেরোটি ছেলে ও কুড়িটি দাস তার সঙ্গে ছিল, তারা রাজার সামনে জলের মধ্য দিয়ে যর্দ্দন পার হল৷
18 καὶ ἐλειτούργησαν τὴν λειτουργίαν τοῦ διαβιβάσαι τὸν βασιλέα καὶ διέβη ἡ διάβασις ἐξεγεῖραι τὸν οἶκον τοῦ βασιλέως καὶ τοῦ ποιῆσαι τὸ εὐθὲς ἐν ὀφθαλμοῖς αὐτοῦ καὶ Σεμεϊ υἱὸς Γηρα ἔπεσεν ἐπὶ πρόσωπον αὐτοῦ ἐνώπιον τοῦ βασιλέως διαβαίνοντος αὐτοῦ τὸν Ιορδάνην
১৮তখন ফেরির নৌকা রাজার আত্মীয়দেরকে পার করতে ও তাঁর ইচ্ছামত কাজ করতে অন্য পারে গিয়েছিল৷ রাজার যর্দ্দন পার হবার দিনের গেরার ছেলে শিমিয়ি রাজার সামনে উপুড় হয়ে পড়ল৷
19 καὶ εἶπεν πρὸς τὸν βασιλέα μὴ διαλογισάσθω ὁ κύριός μου ἀνομίαν καὶ μὴ μνησθῇς ὅσα ἠδίκησεν ὁ παῖς σου ἐν τῇ ἡμέρᾳ ᾗ ὁ κύριός μου ὁ βασιλεὺς ἐξεπορεύετο ἐξ Ιερουσαλημ τοῦ θέσθαι τὸν βασιλέα εἰς τὴν καρδίαν αὐτοῦ
১৯সে রাজাকে বলল, “আমার প্রভু আমার অপরাধ নেবেন না; যে দিন আমার প্রভু মহারাজ যিরূশালেম থেকে বের হন, সেই দিন আপনার দাস আমি যে খারাপ কাজ করেছিলাম, তা মনে রাখবেন না, মহারাজ কিছু মনে করবেন না৷
20 ὅτι ἔγνω ὁ δοῦλός σου ὅτι ἐγὼ ἥμαρτον καὶ ἰδοὺ ἐγὼ ἦλθον σήμερον πρότερος παντὸς οἴκου Ιωσηφ τοῦ καταβῆναι εἰς ἀπαντὴν τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως
২০আপনার দাস আমি জানি, আমি পাপ করেছি, এই জন্য দেখুন, যোষেফের সমস্ত বংশের মধ্যে প্রথমে আমিই আজ আমার প্রভু মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে নেমে এসেছি৷”
21 καὶ ἀπεκρίθη Αβεσσα υἱὸς Σαρουιας καὶ εἶπεν μὴ ἀντὶ τούτου οὐ θανατωθήσεται Σεμεϊ ὅτι κατηράσατο τὸν χριστὸν κυρίου
২১কিন্তু সরূয়ার ছেলে অবীশয় উত্তর করলেন, “এজন্য কি শিমিয়ির প্রাণদণ্ড হবে না যে, সে সদাপ্রভুর অভিষিক্তকে ব্যক্তিকে অভিশাপ দিয়েছিল?”
22 καὶ εἶπεν Δαυιδ τί ἐμοὶ καὶ ὑμῖν υἱοὶ Σαρουιας ὅτι γίνεσθέ μοι σήμερον εἰς ἐπίβουλον σήμερον οὐ θανατωθήσεταί τις ἀνὴρ ἐξ Ισραηλ ὅτι οὐκ οἶδα εἰ σήμερον βασιλεύω ἐγὼ ἐπὶ τὸν Ισραηλ
২২দায়ূদ বললেন, “হে সরূয়ার ছেলেরা৷ তোমাদের সঙ্গে আমার বিষয় কি যে, তোমরা আজ আমার বিপক্ষ হচ্ছো? আজ কি ইস্রায়েলের মধ্যে কারও প্রাণদন্ড হতে পারে? কারণ আমি কি জানি না যে, আজ আমি ইস্রায়েলের উপরে রাজা?”
23 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς πρὸς Σεμεϊ οὐ μὴ ἀποθάνῃς καὶ ὤμοσεν αὐτῷ ὁ βασιλεύς
২৩পরে রাজা শিমিয়িকে বললেন, “তোমার প্রাণদন্ড হবে না;” তার ফলে রাজা তার কাছে শপথ করলেন৷
24 καὶ Μεμφιβοσθε υἱὸς Ιωναθαν υἱοῦ Σαουλ κατέβη εἰς ἀπαντὴν τοῦ βασιλέως καὶ οὐκ ἐθεράπευσεν τοὺς πόδας αὐτοῦ οὐδὲ ὠνυχίσατο οὐδὲ ἐποίησεν τὸν μύστακα αὐτοῦ καὶ τὰ ἱμάτια αὐτοῦ οὐκ ἔπλυνεν ἀπὸ τῆς ἡμέρας ἧς ἀπῆλθεν ὁ βασιλεύς ἕως τῆς ἡμέρας ἧς αὐτὸς παρεγένετο ἐν εἰρήνῃ
২৪পরে শৌলের নাতি মফীবোশৎ রাজার সঙ্গে দেখা করতে নেমে আসলেন; রাজার ভালো ভাবে ফিরে আসার দিন পর্যন্ত তিনি নিজের পায়ের প্রতি যত্ন নেননি, দাড়ি পরিষ্কার করেননি ও পোশাক পরিষ্কার করেননি৷
25 καὶ ἐγένετο ὅτε εἰσῆλθεν εἰς Ιερουσαλημ εἰς ἀπάντησιν τοῦ βασιλέως καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ βασιλεύς τί ὅτι οὐκ ἐπορεύθης μετ’ ἐμοῦ Μεμφιβοσθε
২৫আর যখন তিনি যিরূশালেমের রাজার সঙ্গে দেখা করতে আসলেন, তখন রাজা তাঁকে বললেন, “হে মফীবোশৎ, তুমি কেন আমার সঙ্গে যাও নি?”
26 καὶ εἶπεν πρὸς αὐτὸν Μεμφιβοσθε κύριέ μου βασιλεῦ ὁ δοῦλός μου παρελογίσατό με ὅτι εἶπεν ὁ παῖς σου αὐτῷ ἐπίσαξόν μοι τὴν ὄνον καὶ ἐπιβῶ ἐπ’ αὐτὴν καὶ πορεύσομαι μετὰ τοῦ βασιλέως ὅτι χωλὸς ὁ δοῦλός σου
২৬তিনি উত্তর দিলেন, “হে আমার প্রভু, হে রাজা, আমার দাস আমাকে ঠকিয়েছিল; কারণ আপনার দাস আমি বলেছিলাম, ‘আমি গাধা সাজিয়ে তার উপরে চড়ে মহারাজের সঙ্গে যাব,’ কারণ আপনার দাস আমি খোঁড়া৷
27 καὶ μεθώδευσεν ἐν τῷ δούλῳ σου πρὸς τὸν κύριόν μου τὸν βασιλέα καὶ ὁ κύριός μου ὁ βασιλεὺς ὡς ἄγγελος τοῦ θεοῦ καὶ ποίησον τὸ ἀγαθὸν ἐν ὀφθαλμοῖς σου
২৭সে আমার প্রভু মহারাজের কাছে আপনার এই দাসের নিন্দা করেছে; কিন্তু আমার প্রভু মহারাজ ঈশ্বরের দূতের সমান; অতএব আপনার চোখে যা ভাল মনে হয়, তাই করুন৷
28 ὅτι οὐκ ἦν πᾶς ὁ οἶκος τοῦ πατρός μου ἀλλ’ ἢ ὅτι ἄνδρες θανάτου τῷ κυρίῳ μου τῷ βασιλεῖ καὶ ἔθηκας τὸν δοῦλόν σου ἐν τοῖς ἐσθίουσιν τὴν τράπεζάν σου καὶ τί ἐστίν μοι ἔτι δικαίωμα καὶ τοῦ κεκραγέναι με ἔτι πρὸς τὸν βασιλέα
২৮আমার প্রভু মহারাজের সামনে আমার সমস্ত বাবার বংশ একদম মৃত্যুর যোগ্য ছিল, তবুও যারা আপনার টেবিলে আহার করে, আপনি তাদের সঙ্গে বসতে আপনার এই দাসকে জায়গা দিয়েছিলেন; অতএব আমার আর কি অধিকার আছে যে, মহারাজের কাছে পুনরায় কাঁদবো?”
29 καὶ εἶπεν αὐτῷ ὁ βασιλεύς ἵνα τί λαλεῖς ἔτι τοὺς λόγους σου εἶπον σὺ καὶ Σιβα διελεῖσθε τὸν ἀγρόν
২৯রাজা তাকে বললেন, “তোমার বিষয়ে বেশি কথার কি প্রয়োজন? আমি বলছি, তুমি ও সীবঃ উভয়ে সেই জমি ভাগ করে নাও৷”
30 καὶ εἶπεν Μεμφιβοσθε πρὸς τὸν βασιλέα καί γε τὰ πάντα λαβέτω μετὰ τὸ παραγενέσθαι τὸν κύριόν μου τὸν βασιλέα ἐν εἰρήνῃ εἰς τὸν οἶκον αὐτοῦ
৩০তখন মফীবোশৎ রাজাকে বললেন, “সে সমস্তই নিয়ে নিক, কারণ আমার প্রভু মহারাজ ভালো ভাবে নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন৷”
31 καὶ Βερζελλι ὁ Γαλααδίτης κατέβη ἐκ Ρωγελλιμ καὶ διέβη μετὰ τοῦ βασιλέως τὸν Ιορδάνην ἐκπέμψαι αὐτὸν τὸν Ιορδάνην
৩১আর গিলিয়দীয় বর্সিল্লয় রোগলীম থেকে নেমে এসেছিলেন, তিনি রাজাকে যর্দ্দনের পারে রেখে যাবার জন্য তাঁর সঙ্গে যর্দ্দন পার হয়েছিলেন৷
32 καὶ Βερζελλι ἀνὴρ πρεσβύτερος σφόδρα υἱὸς ὀγδοήκοντα ἐτῶν καὶ αὐτὸς διέθρεψεν τὸν βασιλέα ἐν τῷ οἰκεῖν αὐτὸν ἐν Μαναϊμ ὅτι ἀνὴρ μέγας ἐστὶν σφόδρα
৩২বর্সিল্লয় খুব বৃদ্ধ, তাঁর আশী বছর বয়স ছিল; আর মহনয়িমে রাজার থাকার দিনের তিনি রাজার খাদ্য যোগাচ্ছিলেন, কারণ তিনি একজন খুব বড় মানুষ ছিলেন৷
33 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεὺς πρὸς Βερζελλι σὺ διαβήσῃ μετ’ ἐμοῦ καὶ διαθρέψω τὸ γῆράς σου μετ’ ἐμοῦ ἐν Ιερουσαλημ
৩৩রাজা বর্সিল্লয়কে বললেন, “তুমি আমার সঙ্গে পার হয়ে এসো, আমি তোমাকে যিরূশালেমে আমার সঙ্গে লালনপালন করব৷”
34 καὶ εἶπεν Βερζελλι πρὸς τὸν βασιλέα πόσαι ἡμέραι ἐτῶν ζωῆς μου ὅτι ἀναβήσομαι μετὰ τοῦ βασιλέως εἰς Ιερουσαλημ
৩৪কিন্তু বর্সিল্লয় রাজাকে বললেন, “আমার আয়ুর আর কতদিন আছে যে, আমি মহারাজের সঙ্গে যিরূশালেমে উঠে যাব?
35 υἱὸς ὀγδοήκοντα ἐτῶν ἐγώ εἰμι σήμερον μὴ γνώσομαι ἀνὰ μέσον ἀγαθοῦ καὶ κακοῦ ἢ γεύσεται ὁ δοῦλός σου ἔτι ὃ φάγομαι ἢ πίομαι ἢ ἀκούσομαι ἔτι φωνὴν ᾀδόντων καὶ ᾀδουσῶν ἵνα τί ἔσται ἔτι ὁ δοῦλός σου εἰς φορτίον ἐπὶ τὸν κύριόν μου τὸν βασιλέα
৩৫আজ আমার বয়স আশী বছর; এখন কি ভাল মন্দের বিশেষ বুঝতে পারি? যা খাই বা যা পান করি, আপনার দাস আমি কি তার স্বাদ বুঝতে পারি? এখন কি আর গায়ক ও গায়িকাদের গানের শব্দ শুনতে পাই? তবে কেন আপনার এই দাস আমার প্রভু মহারাজের বোঝা হবে?
36 ὡς βραχὺ διαβήσεται ὁ δοῦλός σου τὸν Ιορδάνην μετὰ τοῦ βασιλέως καὶ ἵνα τί ἀνταποδίδωσίν μοι ὁ βασιλεὺς τὴν ἀνταπόδοσιν ταύτην
৩৬আপনার দাস মহারাজের সঙ্গে কেবল যর্দ্দন পার হয়ে যাব, এই মাত্র; মহারাজ কেন এমন পুরস্কারে আমাকে পুরষ্কৃত করবেন?
37 καθισάτω δὴ ὁ δοῦλός σου καὶ ἀποθανοῦμαι ἐν τῇ πόλει μου παρὰ τῷ τάφῳ τοῦ πατρός μου καὶ τῆς μητρός μου καὶ ἰδοὺ ὁ δοῦλός σου Χαμααμ διαβήσεται μετὰ τοῦ κυρίου μου τοῦ βασιλέως καὶ ποίησον αὐτῷ τὸ ἀγαθὸν ἐν ὀφθαλμοῖς σου
৩৭অনুগ্রহ করে আপনার এই দাসকে ফিরে যেতে দিন; আমি নিজের নগরে নিজের বাবা মার কবরের কাছে মরব৷ কিন্তু দেখুন, এই আপনার দাস কিমহম; এ আমার প্রভু মহারাজের সঙ্গে পার হয়ে যাক; আপনার যা ভাল বোধ হয়, এর প্রতি করবেন৷”
38 καὶ εἶπεν ὁ βασιλεύς μετ’ ἐμοῦ διαβήτω Χαμααμ κἀγὼ ποιήσω αὐτῷ τὸ ἀγαθὸν ἐν ὀφθαλμοῖς σου καὶ πάντα ὅσα ἐκλέξῃ ἐπ’ ἐμοί ποιήσω σοι
৩৮রাজা উত্তর দিলেন, কিমহম আমার সঙ্গে পার হয়ে যাবে; তোমার যা ভাল মনে হয়, আমি তার প্রতি তাই করব এবং তুমি আমাকে যা করতে বলবে, তোমার জন্য আমি তাই করব৷
39 καὶ διέβη πᾶς ὁ λαὸς τὸν Ιορδάνην καὶ ὁ βασιλεὺς διέβη καὶ κατεφίλησεν ὁ βασιλεὺς τὸν Βερζελλι καὶ εὐλόγησεν αὐτόν καὶ ἐπέστρεψεν εἰς τὸν τόπον αὐτοῦ
৩৯পরে সমস্ত লোক যর্দ্দন পার হল, রাজাও পার হলেন এবং রাজা বর্সিল্লয়কে চুমু করলেন ও আশীর্বাদ করলেন; পরে তিনি নিজের জায়গায় ফিরে গেলেন৷
40 καὶ διέβη ὁ βασιλεὺς εἰς Γαλγαλα καὶ Χαμααμ διέβη μετ’ αὐτοῦ καὶ πᾶς ὁ λαὸς Ιουδα διαβαίνοντες μετὰ τοῦ βασιλέως καί γε τὸ ἥμισυ τοῦ λαοῦ Ισραηλ
৪০আর রাজা পার হয়ে গিলগলে গেলেন এবং কিমহম তাঁর সঙ্গে গেল৷ এবং যিহূদার সমস্ত লোক ও ইস্রায়েলের অর্ধেক লোক গিয়ে রাজাকে পার করে নিয়ে এসেছিল৷
41 καὶ ἰδοὺ πᾶς ἀνὴρ Ισραηλ παρεγένοντο πρὸς τὸν βασιλέα καὶ εἶπον πρὸς τὸν βασιλέα τί ὅτι ἔκλεψάν σε οἱ ἀδελφοὶ ἡμῶν ἀνὴρ Ιουδα καὶ διεβίβασαν τὸν βασιλέα καὶ τὸν οἶκον αὐτοῦ τὸν Ιορδάνην καὶ πάντες ἄνδρες Δαυιδ μετ’ αὐτοῦ
৪১আর দেখ, ইস্রায়েলের সব লোক রাজার কাছে এসে রাজাকে বলল, “আমাদের ভাই যিহূদার লোকেরা কেন আপনাকে চুরি করে আনল? মহারাজাকে, তাঁর আত্মীয়দেরকে ও দায়ূদের সঙ্গে তাঁর সমস্ত লোককে, যর্দ্দন পার করে কেন আনল?”
42 καὶ ἀπεκρίθη πᾶς ἀνὴρ Ιουδα πρὸς ἄνδρα Ισραηλ καὶ εἶπαν διότι ἐγγίζει πρός με ὁ βασιλεύς καὶ ἵνα τί οὕτως ἐθυμώθης περὶ τοῦ λόγου τούτου μὴ βρώσει ἐφάγαμεν ἐκ τοῦ βασιλέως ἢ δόμα ἔδωκεν ἢ ἄρσιν ἦρεν ἡμῖν
৪২তখন যিহূদার সব লোক ইস্রায়েলের লোকদেরকে উত্তর করল, “রাজা তো আমাদের কাছে আত্মীয়, তবে তোমরা এ বিষয়ে কেন রেগে যাও? আমরা কি রাজার কিছু খেয়েছি? অথবা তিনি কি আমাদেরকে কিছু উপহার দিয়েছেন?”
43 καὶ ἀπεκρίθη ἀνὴρ Ισραηλ τῷ ἀνδρὶ Ιουδα καὶ εἶπεν δέκα χεῖρές μοι ἐν τῷ βασιλεῖ καὶ πρωτότοκος ἐγὼ ἢ σύ καί γε ἐν τῷ Δαυιδ εἰμὶ ὑπὲρ σέ καὶ ἵνα τί τοῦτο ὕβρισάς με καὶ οὐκ ἐλογίσθη ὁ λόγος μου πρῶτός μοι τοῦ ἐπιστρέψαι τὸν βασιλέα ἐμοί καὶ ἐσκληρύνθη ὁ λόγος ἀνδρὸς Ιουδα ὑπὲρ τὸν λόγον ἀνδρὸς Ισραηλ
৪৩তখন ইস্রায়েলের লোকেরা উত্তর দিয়ে যিহূদার লোকদেরকে বলল, “রাজার ওপর আমাদের দশ ভাগ অধিকার আছে, আরও দায়ূদের ওপর তোমাদের থেকে আমাদের অধিকার বেশি৷ অতএব আমাদেরকে কেন তুচ্ছ মনে করলে? আর আমাদের রাজাকে ফিরিয়ে আনবার প্রস্তাব কি প্রথমে আমরাই করি নি?” তখন ইস্রায়েল লোকেদের কথার থেকে যিহূদার লোকেদের কথা বেশি কঠিন হল৷
