< গণনার বই 22 >

1 তারপর ইস্রায়েলীরা মোয়াব দেশের সমতলে যাত্রা করল এবং যিরীহোর অন্য পাশে, জর্ডন বরাবর ছাউনি স্থাপন করল।
ইস্রায়েল সন্তানরা যাত্রা করে যিরীহোর কাছে অবস্থিত যর্দ্দনের পরপারে মোয়াবের তলভূমিতে শিবির স্থাপন করল।
2 ইস্রায়েল ইমোরীয়দের প্রতি যা করেছিল, সিপ্পোরের ছেলে বালাক তা দেখলেন
ইস্রায়েল ইমোরীয়দের প্রতি যা যা করেছিল, সে সমস্ত সিপ্পোরের ছেলে বালাক দেখেছিলেন।
3 এবং বিশাল জনতা দেখে মোয়াব অত্যন্ত শঙ্কিত হল। প্রকৃতপক্ষে, মোয়াব ইস্রায়েলীদের জন্য ত্রাসে পূর্ণ হল।
মোয়াব তাদেরকে খুব ভয় পেল কারণ ইস্রায়েল সন্তানদের জন্য মোয়াব আতঙ্কিত ছিল।
4 মোয়াবীয়েরা, মিদিয়নের প্রবীণদের বলল, “যেমন ষাঁড় ক্ষেতের ঘাস চেটে খায়, তেমনি এই যাযাবর সম্প্রদায় আমাদের চতুর্দিকের সবকিছুই চেটে খাবে।” তাই সিপ্পোরের ছেলে বালাক, যিনি সেই সময় মোয়াবের রাজা ছিলেন,
মোয়াবের রাজা মিদিয়নের প্রাচীনদেরকে বলল, “গরু যেমন মাঠের কচি ঘাস চেঁটে খায়, তেমনি এই লোকজন আমাদের চারদিকের সব কিছুই চেঁটে খাবে।” সেই দিন সিপ্পোরের ছেলে বালাক মোয়াবের রাজা ছিলেন।
5 বিয়োরের ছেলে বিলিয়মের কাছে বার্তাবাহকদের পাঠালেন। তিনি সেই সময় ইউফ্রেটিস নদীর সন্নিকটে, তাঁর জন্মভূমি পথোর নগরে ছিলেন। বালাক বলে পাঠালেন, “এক জনসমাজ মিশর থেকে বের হয়ে এসেছে; তারা ভূপৃষ্ঠ ছেয়ে গেছে এবং আমার রাজ্যের পাশেই বসতি করছে।
তিনি বিয়োরের ছেলে বিলিয়মকে ডেকে আনতে তার জাতির লোকেদের দেশে [ফরাৎ] নদীর তীরে অবস্থিত পথোর শহরে দূত পাঠিয়ে তাকে বললেন, “দেখুন, মিশর থেকে একটি জাতি বের হয়ে এসেছে, দেখুন, তারা পৃথিবী ঢেকে আমার সামনে অবস্থান করছে।
6 আপনি এসে এই জনসমাজকে অভিশাপ দিন, কারণ তারা আমার থেকেও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। সম্ভবত তখন আমি তাদের পর্যুদস্ত করে দেশ থেকে বিতাড়ন করতে পারব। আমি জানি, আপনি যাদের আশীর্বাদ করেন, তারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হয় এবং যাদের অভিশাপ দেন তারা অভিশপ্ত হয়।”
এখন নিবেদন করি, আপনি এসে আমার জন্য সেই লোকেদেরকে অভিশাপ দিন; কারণ আমার থেকে তারা বলবান। হয় তো আমি তাদেরকে আঘাত করে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারব। আমি জানি যে, আপনি যাকে আশীর্বাদ করেন, সে আশীর্বাদ পায় ও যাকে অভিশাপ দেন, সে অভিশপ্ত হয়।”
7 মোয়াবের ও মিদিয়নের প্রবীণেরা প্রস্থান করলেন। তাঁরা প্রত্যাদেশের জন্য দেয় পারিশ্রমিক সঙ্গে নিয়ে গেলেন। তাঁরা বিলিয়মের কাছে গিয়ে, তাঁকে বালাকের বার্তা পৌঁছে দিলেন।
সুতরাং মোয়াবের প্রাচীনেরা ও মিদিয়নের প্রাচীনেরা মন্ত্রণার পুরষ্কার হাতে নিয়ে চলে গেল এবং বিলিয়মের কাছে উপস্থিত হয়ে বালাকের কথা তাকে বলল।
8 বিলিয়ম তাঁদের বলল, “রাতে এখানেই থাকুন সদাপ্রভু আমাকে যা উত্তর দেন, তা আমি আপনাদের জ্ঞাত করব।” অতএব মোয়াবীয় কর্মকর্তারা তার সঙ্গে থাকলেন।
সে তাদেরকে বলল, “তোমরা এখানে রাত কাটাও; পরে সদাপ্রভু আমাকে যা বলবেন, সেই অনুযায়ী কথা আমি তোমাদেরকে বলব।” তাতে মোয়াবের শাসনকর্তারা বিলিয়মের সঙ্গে রাত কাটাল।
9 ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, “তোমার সঙ্গী, এই সমস্ত ব্যক্তি কারা?”
ঈশ্বর বিলিয়মের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন, “তোমার সঙ্গে এই লোকেরা কে?”
10 বিলিয়ম ঈশ্বরকে বললেন, “মোয়াবের রাজা, সিপ্পোরের ছেলে বালাক, আমার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছেন,
১০তাতে বিলিয়ম ঈশ্বরকে বলল, “মোয়াবের রাজা সিপ্পোরের ছেলে বালাক আমার কাছে বলে পাঠিয়েছেন;
11 ‘এক জনসমাজ মিশর থেকে বের হয়ে এসে সমস্ত দেশ ছেয়ে গেছে। এখন আপনি এসে আমার অনুকূলে তাদের অভিশাপ দিন। সম্ভবত তখন আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারব ও তাদের বিতাড়ন করব।’”
১১দেখ, মিশর থেকে বাইরের ঐ জাতি পৃথিবী ঢেকে আছে। এখন তুমি এসে আমার জন্য তাদের অভিশাপ দাও, হয় তো আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদেরকে তাড়িয়ে দিতে পারব।”
12 কিন্তু ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি তাদের সঙ্গে যাবে না। তুমি অবশ্যই ওই লোকদের অভিশাপ দেবে না, কারণ তারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত।”
১২তাতে ঈশ্বর বিলিয়মকে বললেন, “তুমি তাদের সঙ্গে যেও না, সেই জাতিকে অভিশাপ দিও না, কারণ তারা আশীর্বাদযুক্ত।”
13 পরদিন সকালে, বিলিয়ম উঠে বালাকের কর্মকর্তাদের বলল, “আপনাদের দেশে ফিরে যান, কারণ সদাপ্রভু আমাকে, আপনাদের সঙ্গে যেতে দিতে অস্বীকার করলেন।”
১৩বিলিয়ম সকালে উঠে বালাকের শাসনকর্তাদেরকে বলল, “তোমরা নিজেদের দেশে চলে যাও, কারণ তোমাদের সঙ্গে আমার যাওয়ায় অনুমতি দিতে সদাপ্রভু অস্বীকার করলেন।”
14 অতএব মোয়াবীয় কর্মকর্তারা বালাকের কাছে ফিরে গিয়ে বললেন, “বিলিয়ম আমাদের সঙ্গে আসতে অস্বীকার করেছেন।”
১৪তাতে মোয়াবের শাসনকর্তারা উঠে বালাকের কাছে গিয়ে বলল, “আমাদের সঙ্গে আসতে বিলিয়ম অস্বীকার করলেন।”
15 তখন বালাক, সংখ্যায় আরও বেশি ও প্রথম দল অপেক্ষা অধিকতর বিশিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠালেন।
১৫বালাক আবার তাদের থেকে বেশি সংখ্যক ও সম্মানীয় অন্য শাসনকর্তাদেরকে পাঠালেন।
16 তাঁরা বিলিয়মের কাছে এসে বলল, “সিপ্পোরের ছেলে বালাক এই কথা বলেছেন যে, আমার কাছে আসতে কোনো কিছুই যেন আপনাকে নিবারিত না করে,
১৬তারা বিলিয়মের কাছে এসে তাকে বলল, “সিপ্পোরের ছেলে বালাক এই কথা বলেন, ‘অনুরোধ করি, আমার কাছে আসা আপনি কিছুতেই বন্ধ করবেন না।
17 কেননা আমি উদারভাবে আপনাকে পুরস্কৃত করব এবং আপনি যা কিছু বলেন, সে সমস্তই করব। আসুন এবং আমার অনুকূলে এই লোকদের অভিশাপ দিন।”
১৭কারণ আমি আপনাকে খুব সম্মানিত করব; আপনি আমাকে যা যা বলবেন, আমি সব কিছুই করব। অতএব বিনয় করি, আপনি এসে আমার জন্য সেই লোকেদেরকে অভিশাপ দিন।’”
18 কিন্তু বিলিয়ম তাঁদের উত্তর দিল, “বালাক যদি তাঁর প্রাসাদের সমস্ত রুপো ও সোনা আমাকে দান করেন, আমার ঈশ্বর, সদাপ্রভু আমাকে যে আদেশ দেন, আমি তার থেকে বেশি বা অল্প কিছুই করতে পারব না।
১৮তখন বিলিয়ম বালাকের দাসেদেরকে উত্তর দিল, “যদি বালাক রূপা ও সোনার ভর্তি নিজের বাড়িও আমাকে দেন, তবুও আমি কম কি বেশি কোনকিছুর করার জন্য আমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর আদেশ অমান্য করতে পারব না।
19 এখন অন্য দলের মতো আপনারাও আজ রাতে এখানে থাকুন যেন আমি চেষ্টা করে দেখি সদাপ্রভু আমাকে আর কিছু বলেন কি না।”
১৯এখন অনুরোধ করি, তোমরাও এখানে রাত কাটাও, সদাপ্রভু আমাকে আবার যা বলবেন, তা আমি জানাব।”
20 সেই রাতে সদাপ্রভু বিলিয়মের কাছে এসে বললেন, “যেহেতু এই ব্যক্তিরা তোমাকে ডাকতে এসেছে, তাদের সঙ্গে যাও; কিন্তু সেই কাজই করবে, যা আমি তোমাকে করতে বলব।”
২০ঈশ্বর রাতের বেলা বিলিয়মের কাছে এসে তাকে বললেন, “ঐ লোকেরা যদি তোমাকে ডাকতে এসে থাকে, তুমি ওঠ, তাদের সঙ্গে যাও; কিন্তু আমি তোমাকে যা বলব, তুমি শুধু তাই করবে।”
21 বিলিয়ম সকালে উঠে তাঁর গর্দভীর সজ্জা পরালো এবং মোয়াবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল।
২১বিলিয়ম সকালে উঠে তার গাধী সাজিয়ে মোয়াবের শাসনকর্ত্তাদের সঙ্গে গেল।
22 কিন্তু সে যখন গেল, ঈশ্বর ভয়ানক রুষ্ট হলেন, সদাপ্রভুর দূত তার বিরোধিতা করার উদ্দেশে পথের মধ্যে দাঁড়ালেন। বিলিয়ম তার গর্দভীতে আরোহণ করেছিল এবং তার দুই ভৃত্য তার সঙ্গে ছিল।
২২তার যাওয়ায় ঈশ্বরের রাগ জ্বলে উঠল এবং সদাপ্রভুর দূত তার বিপক্ষে পথের মধ্যে দাঁড়ালেন। সে তার গাধীতে চড়ে যাচ্ছিল এবং তার দুই দাস তার সঙ্গে ছিল।
23 যখন সেই গর্দভী, নিষ্কোষ তরোয়াল হাতে সদাপ্রভুর দূতকে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল, সে রাস্তা থেকে নেমে এক ক্ষেতের মধ্যে গেল। বিলিয়ম পথে ফিরানোর জন্য তাকে মারল।
২৩সেই গাধী দেখলে যে, সদাপ্রভুর দূত খোলা তরোয়াল হাতে নিয়ে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই গাধী পথ ছেড়ে ক্ষেতের দিকে চলে গেল। তাতে বিলিয়ম গাধীকে পথে আনার জন্য আঘাত করল।
24 তারপর সদাপ্রভুর দূত, সেই দ্রাক্ষাকুঞ্জের মধ্যবর্তী এক সংকীর্ণ স্থানে দাঁড়ালেন, যার দুই ধারে দেওয়াল ছিল।
২৪তখন সদাপ্রভুর দূত দুই আঙ্গুর ক্ষেতের গলির পথে দাঁড়ালেন, এ পাশে দেয়াল ওপাশে দেয়াল ছিল।
25 যখন সেই গর্দভী সদাপ্রভুর দূতকে দেখল, সে দেওয়ালের নিকট ঘেসে গেল এতে বিলিয়মের পা ঘষে গেল। সেইজন্য সে তাকে পুনরায় প্রহার করল।
২৫তখন গাধী সদাপ্রভুর দূতকে দেখে দেয়ালের গা ঘেঁষে গেল, আর দেয়ালে বিলিয়মের পায়ে ঘষে গেল; তাতে সে আবার তাকে আঘাত করল।
26 এরপর সদাপ্রভুর দূত অগ্রসর হয়ে এক সংকীর্ণ স্থানে গিয়ে দাঁড়ালেন, যেখান থেকে ডানদিকে বা বাঁদিকে কোনও পথে ফিরবার উপায় ছিল না।
২৬পরে সদাপ্রভুর দূত আরও কিছুটা এগিয়ে গেল, ডানে কি বামে ফেরার পথ নেই, এমন একটি সরু জায়গায় দাঁড়ালেন।
27 যখন গর্দভী সদাপ্রভুর দূতকে দেখল, সে বিলিয়মের নিচে বসে পড়ল। এতে সে ক্রুদ্ধ হল ও লাঠি দিয়ে সেই গর্দভীকে মারল।
২৭তখন গাধী সদাপ্রভুর দূতকে দেখে বিলিয়মের নীচে ভূমিতে বসে পড়ল; তাতে বিলিয়ম রাগে জ্বলে উঠলো, সে গাধীকে লাঠি দিয়ে আঘাত করল।
28 তখন সদাপ্রভু গর্দভীটির মুখ খুলে দিলেন এবং সে বিলিয়মকে বলল, “আমি আপনার প্রতি কী করেছি যে এই তিনবার আপনি আমাকে মারলেন?”
২৮তখন সদাপ্রভু গাধীর মুখ খুলে দিলেন এবং সে বিলিয়মকে বলল, “আমি তোমার কি করলাম যে তুমি এই তিনবার আমাকে আঘাত করলে?”
29 বিলিয়ম গর্দভীকে উত্তর দিল, “তুমি আমাকে কি নির্বোধ পেয়েছ! যদি আমার হাতে তরোয়াল থাকত, তাহলে আমি এখনই তোমাকে বধ করতাম।”
২৯বিলিয়ম গাধীকে বলল, “তুমি আমাকে বিদ্রূপ করেছ; আমার হাতে যদি তরোয়াল থাকত, তবে আমি এখনই তোমাকে হত্যা করতাম।”
30 গর্দভী বিলিয়মকে বলল, “আমি কি আপনার ব্যক্তিগত গর্দভী নই, যার উপরে আজ পর্যন্ত আপনি আরোহণ করে এসেছেন? আমি কি অনুরূপ আচরণ কখনও আপনার প্রতি করেছি?” সে বলল, “না।”
৩০পরে গাধী বিলিয়মকে বলল, “তুমি জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত যার উপরে চড়ে থাক, আমি কি তোমার সেই গাধী নই? আমি কি তোমার প্রতি এমন ব্যবহার করে থাকি?” সে বলল, “না।”
31 তখন সদাপ্রভু বিলিয়মের চোখ খুলে দিলেন, আর সে দেখল সদাপ্রভুর দূত, পথের মধ্যে তাঁর তরোয়াল উন্মুক্ত করে দাঁড়িয়ে আছেন। তাই তিনি মাথা নত করে উপুড় হয়ে পড়লেন।
৩১তখন সদাপ্রভু বিলিয়মের চোখ খুলে দিলেন, তাতে সে দেখল, সদাপ্রভুর দূত খোলা তরোয়াল হাতে পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন; তখন সে মাথা নিচু করে উপুড় হয়ে পড়ল।
32 সদাপ্রভুর দূত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তোমার গর্দভীকে তুমি এই তিনবার কেন মারলে? আমি তোমার বিপক্ষতা করতে এসেছি, কারণ তোমার কর্মপন্থা আমার দৃষ্টিতে অবিবেচকের মতো প্রতিপন্ন হয়েছে।
৩২তখন সদাপ্রভুর দূত তাকে বললেন, “তুমি এই তিন বার তোমার গাধীকে কেন আঘাত করলে? দেখ, আমি তোমার বিপক্ষে বের হয়েছি, কারণ আমার সাক্ষাৎে তুমি বিপথে যাচ্ছ।
33 গর্দভীটি আমাকে দেখতে পেয়ে এই তিনবার আমার কাছ থেকে সরে গিয়েছিল। যদি সে না সরে যেত, আমি অবশ্যই এতক্ষণে তোমাকে বধ করতাম, কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে রাখতাম।”
৩৩গাধী আমাকে দেখে এই তিনবার আমার সামনে থেকে চলে গেল। সে যদি আমার সামনে থেকে চলে না যেত, তবে আমি নিশ্চয়ই তোমাকে হত্যা করতাম, আর ওটাকে জীবিত রাখতাম।”
34 বিলিয়ম সদাপ্রভুর দূতকে বলল, “আমি পাপ করেছি। আমি উপলব্ধি করিনি যে আপনি আমার বিপক্ষতা করার জন্য পথের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন। এখন আপনি যদি অসন্তুষ্ট হয়ে থাকেন, তাহলে আমি ফিরে যাব।”
৩৪তাতে বিলিয়ম সদাপ্রভুর দূতকে বলল, “আমি পাপ করেছি; কারণ আপনি যে আমার বিপরীতে পথে দাঁড়িয়ে আছেন, তা আমি জানি না; কিন্তু এখন যদি এটাতে আপনি বিরক্ত হন, তবে আমি ফিরে যাই।”
35 সদাপ্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “তুমি ওই লোকদের সঙ্গে যাও, কিন্তু আমি তোমাকে যে কথা বলি, তুমি ঠিক তাই বলবে।” বিলিয়ম এরপর বালাকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গেল।
৩৫তাতে সদাপ্রভুর দূত বিলিয়মকে বললেন, “ঐ লোকদের সঙ্গে যাও, কিন্তু আমি যে কথা তোমাকে বলব, তুমি শুধু সেই কথাই বলবে।” পরে বিলিয়ম বালাকের শাসনকর্ত্তাদের সঙ্গে চলে গেল।
36 বালাক যখন বিলিয়মের আগমনের সংবাদ পেলেন, তিনি তার সঙ্গে মিলিত হতে তাঁর অঞ্চলের প্রান্তস্থিত অর্ণোনের সীমায় অবস্থিত মোয়াবীয় এক নগরে গেলেন।
৩৬বিলিয়ম এসেছে শুনে বালাক তার সঙ্গে দেখা করতে মোয়াবের শহরে গেলেন। সেটা দেশের সীমানার শেষে অবস্থিত অর্ণোনের সীমানায় অবস্থিত।
37 বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমি কি আপনাকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠাইনি? আপনি কেন আমার কাছে আসেননি? আমি কি বাস্তবিকই আপনাকে পুরস্কৃত করতে অক্ষম?”
৩৭বালাক বিলিয়মকে বললেন, “আমি আপনাকে ডেকে আনতে কি অনেক যত্ন করে লোক পাঠাইনি? আপনি আমার কাছে কেন আসেন নি? আপনাকে সম্মানিত করতে আমি কি সত্যিই ব্যর্থ?”
38 বিলিয়ম উত্তর দিলেন, “বেশ, এখন আমি তো আপনার কাছে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু আমি আমার ইচ্ছা মতন কথা বলতে পারি না। সদাপ্রভু আমার মুখে যে ভাষ্য দেবেন, আমি শুধু সেকথাই বলতে পারব।”
৩৮তখন বিলিয়ম বালাককে বলল, “দেখুন, আমি আপনার কাছে এলাম, কিন্তু এখনও কোন কথা বলতে কি আমার ক্ষমতা আছে? ঈশ্বর আমার মুখে যে কথা দেন, আমি সেটাই বলতে পারি।”
39 তারপর বিলিয়ম, বালাকের সঙ্গে কিরিয়ৎ-হুষোতে গেল।
৩৯বিলিয়ম বালাকের সঙ্গে গেল এবং তাঁরা কিরিয়ৎ হুষোতে উপস্থিত হলেন।
40 বালাক গবাদি পশু ও মেষ বলিদান করলেন এবং তাদের কয়েকটি নিয়ে বিলিয়ম ও তার সঙ্গী সেই কর্মকর্তাদের দান করলেন।
৪০তখন বালাক কতকগুলি গরু ও ভেড়া বলিদান করে বিলিয়মের ও তার সঙ্গী শাসনকর্ত্তাদের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।
41 পরদিন সকালে বালাক, বিলিয়মকে নিয়ে বামোৎ বায়ালে আরোহণ করলেন এবং সেই স্থান থেকে তিনি ইস্রায়েলীদের শিবিরের প্রান্তদেশ দেখতে পেলেন।
৪১সকাল বেলায়, বালাক বিলিয়মকে বামোৎ বাল দেবতার উঁচুস্থানে নিয়ে গেল৷ সেই জায়গা থেকে বিলিয়ম ইস্রায়েলীয়দের শিবিরের একটি অংশ দেখতে পেলেন৷

< গণনার বই 22 >