< যিরমিয়ের বই 51 >

1 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “দেখো, আমি এক ধ্বংসকারী আত্মাকে প্রেরণ করব ব্যাবিলনের ও লেব-কামাইয়ের লোকদের বিরুদ্ধে। 2 আমি ব্যাবিলনকে ঝাড়াই করা তুষের মতো উড়িয়ে দেওয়ার জন্য তার মধ্যে বিদেশিদের প্রেরণ করব; তার বিপর্যয়ের দিনে, তারা চারপাশ থেকেই তার বিরোধিতা করবে। 3 তিরন্দাজদের ধনুকে ছিলা পরাতে দিয়ো না, তারা যেন তাদের বর্ম পরতে না পারে। তাদের যুবকদের প্রতি মমতা কোরো না, তার সৈন্যদলকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ো। 4 তারা নিহত হয়ে ব্যাবিলনে পড়ে থাকবে, মারাত্মকরূপে আহত হয়ে পথে পথে পড়ে থাকবে। 5 কারণ ইস্রায়েল ও যিহূদাকে তাদের ঈশ্বর, বাহিনীগণের সদাপ্রভু পরিত্যাগ করেননি, যদিও তাদের দেশ ইস্রায়েলের পবিত্রজনের সামনে অপরাধে পরিপূর্ণ হয়েছিল। 6 “ব্যাবিলন থেকে পলায়ন করো! তোমাদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দৌড়াও! ব্যাবিলনের পাপের জন্য তোমরা ধ্বংস হোয়ো না। এ হল সদাপ্রভুর প্রতিশোধ গ্রহণের সময়; তার উপযুক্ত প্রাপ্য প্রতিফল তিনি তাকে দেবেন। 7 সদাপ্রভুর হাতে ব্যাবিলন ছিল সোনার পানপাত্রের মতো; এমন পানপাত্র, যার মধ্যে সমস্ত পৃথিবী পান করেছিল। জাতিগণ তার সুরা পান করেছিল; সেই কারণে, তারা এখন উন্মত্ত হয়ে গেছে। 8 ব্যাবিলনের হঠাৎই পতন হবে, সে ভগ্ন হবে। তার কারণে বিলাপ করো! তার ব্যথার জন্য মলম নিয়ে এসো, হয়তো তার ক্ষতের নিরাময় হবে। 9 “‘আমরা ব্যাবিলনকে সুস্থ করতে পারতাম, কিন্তু সে নিরাময়ের অযোগ্য হয়ে পড়েছে; এসো আমরা তাকে ত্যাগ করে প্রত্যেকে স্বদেশে ফিরে যাই, কারণ তার বিচার গগনস্পর্শী, তা মেঘ পর্যন্ত উঁচুতে উঠে যায়।’ 10 “‘সদাপ্রভু আমাদের নির্দোষিতা প্রকাশ করেছেন; সদাপ্রভু, আমাদের ঈশ্বর যা করেছেন, এসো, আমরা সিয়োনে গিয়ে তা বলি।’ 11 “তোমরা তিরের ফলায় ধার দাও, সব ঢাল হাতে তুলে নাও! সদাপ্রভু মাদীয় রাজাদের উত্তেজিত করেছেন, কারণ ব্যাবিলনকে ধ্বংস করাই হল তাঁর অভিপ্রায়। সদাপ্রভু প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন, তাঁর মন্দির ধ্বংসের জন্য প্রতিশোধ নেবেন। 12 ব্যাবিলনের প্রাচীরগুলির বিরুদ্ধে পতাকা তোলো! রক্ষীবাহিনীকে আরও মজবুত করো, স্থানে স্থানে প্রহরী নিযুক্ত করো, গোপনে ওত পাতা সৈন্যদের তৈরি রাখো! ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে তাঁর রায়, তাদের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু তাঁর অভিপ্রায় পূর্ণ করবেন। 13 তোমরা যারা জলরাশির তীরে বসবাস করো, আর যারা ধনসম্পদে ঐশ্বর্যবান, তোমাদের শেষের দিন এসে পড়েছে, সময় এসে গেছে তোমাদের উচ্ছিন্ন হওয়ার। 14 বাহিনীগণের সদাপ্রভু নিজের নামেই শপথ করেছেন: আমি নিশ্চয়ই ঝাঁক ঝাঁক পঙ্গপালের মতো তোমার দেশ লোকে পরিপূর্ণ করব, তারা তোমার বিরুদ্ধে সিংহনাদ করবে। 15 “সদাপ্রভু নিজের পরাক্রমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন; এবং তাঁরই বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল প্রসারিত করেছেন। তিনি নিজের প্রজ্ঞায় জগৎ স্থাপন করেছেন এবং তাঁরই বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল প্রসারিত করেছেন। 16 তিনি যখন বজ্রনাদ করেন, আকাশমণ্ডলের জলরাশি গর্জন করে; পৃথিবীর প্রান্তসীমা থেকে তিনি মেঘমালাকে উত্থিত করেন। তিনি বৃষ্টির জন্য বিদ্যুৎ গঠন করেন এবং তাঁর ভাণ্ডার-কক্ষ থেকে বাতাস বের করে আনেন। 17 “সব মানুষই জ্ঞানহীন ও বুদ্ধিরহিত; সব স্বর্ণকার তার প্রতিমাগুলির জন্য লজ্জিত হয়। তাদের মূর্তিগুলি তো প্রতারণা মাত্র; সেগুলির মধ্যে কোনো শ্বাসবায়ু নেই। 18 সেগুলি মূল্যহীন, বিদ্রুপের পাত্র; বিচারের সময় সেগুলি বিনষ্ট হবে। 19 যিনি যাকোবের অধিকারস্বরূপ, তিনি এরকম নন, কারণ তিনিই সব বিষয়ের স্রষ্টা, যার অন্তর্ভুক্ত হল তাঁর প্রজাবৃন্দ, তাঁর নিজস্ব বিশেষ অধিকার— সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু তাঁর নাম। 20 “তুমিই আমার যুদ্ধের মুগুর, যুদ্ধের জন্য আমার অস্ত্র। তোমাকে দিয়েই আমি জাতিগুলিকে চূর্ণ করি, তোমার দ্বারাই আমি রাজ্যগুলিকে ধ্বংস করি, 21 তোমার দ্বারা আমি অশ্ব ও অশ্বারোহীকে চূর্ণ করি, তোমার দ্বারা আমি রথ ও তার চালককে চূর্ণ করি, 22 তোমার দ্বারা আমি নারী ও পুরুষকে চূর্ণ করি, তোমাকে দিয়েই আমি বৃদ্ধ ও যুবকদের চূর্ণ করি, তোমাকে দিয়ে আমি যুবক ও যুবতীকে চূর্ণ করি। 23 তোমার দ্বারা আমি পালরক্ষক ও তার পালকে চূর্ণ করি তোমার দ্বারা আমি কৃষক ও বৃষদের চূর্ণ করি, তোমার দ্বারা আমি প্রদেশপাল ও রাজকর্মচারীদের চূর্ণ করি। 24 “সিয়োনে ব্যাবিলন ও ব্যাবিলনের নিবাসীরা যে অন্যায় করেছে, তার জন্য আমি তোমাদের চোখের সামনে তাদের সবাইকে প্রতিফল দেব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। 25 “হে ধ্বংসকারী পর্বত, তুমি যে সমস্ত পৃথিবীকে ধ্বংস করো, আমি তোমার বিপক্ষ,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “আমি তোমার উপরে আমার হাত প্রসারিত করব, খাড়া উঁচু পাথর থেকে তোমাকে গড়িয়ে দেব, তুমি একটি পুড়ে যাওয়া পর্বতের মতো হবে। 26 কোণের পাথর করার জন্য তোমার মধ্য থেকে কোনো পাথর আর কেউ নেবে না, কিংবা ভিত্তিমূলের জন্য তোমার কোনো পাথর নেওয়া হবে না, কারণ তুমি চিরকালের জন্য পরিত্যক্ত হবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। 27 “তোমরা দেশের মধ্যে পতাকা তোলো! জাতিগণের মধ্যে তূরী বাজাও! ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জাতিগণকে প্রস্তুত করো; আরারট, মিন্নি ও অস্কিনস্, এই রাজ্যগুলিকে তার বিরুদ্ধে ডেকে পাঠাও। তার বিরুদ্ধে এক সেনাপতিকে নিয়োগ করো, পঙ্গপালের ঝাঁকের মতো অশ্বদের পাঠিয়ে দাও। 28 তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জাতিগণকে প্রস্তুত করো— মাদীয় রাজাদের, তাদের প্রদেশপাল ও রাজকর্মচারীদের ও তাদের শাসনাধীনে থাকা যত দেশকে। 29 সেই দেশ কাঁপছে ও যন্ত্রণায় মোচড় খাচ্ছে, কারণ ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর অভিপ্রায়গুলি স্থির রয়েছে— যেন ব্যাবিলন পরিত্যক্ত পড়ে থাকে, আর কেউই তার মধ্যে বসবাস করবে না। 30 ব্যাবিলনের যোদ্ধারা যুদ্ধ করা থামিয়েছে; তারা নিজেদের দুর্গগুলির মধ্যে আছে। তাদের শক্তি নিঃশেষিত হয়েছে; তারা সব এক-একটি নারীর মতো হয়েছে। তাদের বাড়িগুলিতে আগুন দেওয়া হয়েছে; তাদের সব নগরদ্বারের স্তম্ভগুলি ভেঙে গেছে। 31 একের পর এক সংবাদদাতারা আসছে, এক দূতের পিছনে আর এক দূত আসছে, যেন ব্যাবিলনের রাজাকে সংবাদ দিতে পারে, যে তার সমগ্র রাজ্য অধিকৃত হয়েছে। 32 নদীর পারঘাটগুলি পরহস্তগত হয়েছে, নলখাগড়ার বনে আগুন ধরানো হয়েছে এবং সব সৈন্য আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছে।” 33 বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ইস্রায়েলের ঈশ্বর এই কথা বলেন: “ব্যাবিলন-কন্যা শস্য মাড়াই করা খামারের মতো হয়েছে, উপযুক্ত সময়ে সে পদদলিত হয়েছে; তার মধ্য থেকে ফসল কাটার সময় শীঘ্র উপস্থিত হবে।” 34 “ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার আমাদের গ্রাস করেছেন, তিনি আমাদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলেছেন, তিনি আমাদের শূন্য কলশির মতো করেছেন। সাপের মতো তিনি আমাদের গ্রাস করেছেন এবং আমাদের পুষ্টিকর আহারে নিজের উদরপূর্তি করেছেন, তারপর আমাদের বমন করেছেন। 35 আমাদের শরীরের উপরে যে অত্যাচার করা হয়েছে, তা ব্যাবিলনের প্রতিও করা হোক,” একথা সিয়োনের অধিবাসীরা বলুক। জেরুশালেম বলুক, “যারা ব্যাবিলনিয়ায় বসবাস করে, আমাদের রক্তের জন্য তারা দায়ী হোক।” 36 সেই কারণে, সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “দেখো, আমি তোমাদের পক্ষসমর্থন করব ও তোমাদের পক্ষে প্রতিশোধ নেব; আমি তার সমুদ্রকে জলশূন্য করব ও তার জলের উৎসগুলিকে শুকনো করব। 37 ব্যাবিলন হবে এক ধ্বংসের স্তূপ, শিয়ালদের থাকার আস্তানা, সে হবে এক বিভীষিকা ও বিদ্রুপের পাত্র, এমন স্থান, যেখানে কেউ বসবাস করবে না। 38 তার লোকেরা যুবসিংহদের মতো গর্জন করবে, তারা সিংহশাবকদের মতো তর্জন করবে। 39 কিন্তু যখন তারা উত্তেজিত হবে, আমি তাদের জন্য এক ভোজের ব্যবস্থা করব এবং তাদের মত্ত করব, যেন তারা হেসে হেসে চিৎকার করে, তারপর চিরনিদ্রায় শয়ন করে, কখনও জেগে না ওঠার জন্য,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। 40 “আমি তাদের নিচে টেনে নামাব, যেভাবে মেষশাবকদের, মেষ ও ছাগলদের ঘাতকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। 41 “শেশক কেমন অধিকৃত হবে, সমস্ত পৃথিবীর গর্ব পরহস্তগত হবে। জাতিগণের মধ্য ব্যাবিলন কত না বিভীষিকার পাত্র হবে! 42 সমুদ্র ব্যাবিলনকে আচ্ছন্ন করবে; তার গর্জনকারী তরঙ্গমালা ব্যাবিলনের উপরে এসে পড়বে। 43 তার নগরগুলি পরিত্যক্ত হবে, সেগুলি হবে শুকনো ও মরুপ্রান্তরের দেশ, এমন দেশ, যেখানে কেউ বসবাস করে না, যার মধ্য দিয়ে কেউ পথযাত্রা করে না। 44 আমি ব্যাবিলনের বেল-দেবতাকে শাস্তি দেব, সে যা গলার্ধঃকরণ করেছে, তা বমি করতে তাকে বাধ্য করব। জাতিগুলি আর তার দিকে স্রোতের মতো প্রবাহিত হবে না, আর ব্যাবিলনের প্রাচীর পতিত হবে। 45 “আমার প্রজারা, তোমরা ওর মধ্য থেকে বের হয়ে এসো! তোমরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য পালাও! সদাপ্রভুর প্রচণ্ড ক্রোধ থেকে পালাও। 46 দেশে যখন জনরব শোনা যাবে, তোমরা নিরুৎসাহ হোয়ো না বা ভয় পেয়ো না; এক ধরনের জনরব এই বছরে, পরের বছর অন্য জনরব উঠে আসবে, তা হবে দেশের মধ্যে দৌরাত্ম্যের গুজব, যা এক শাসক অন্য শাসকের প্রতি করছে। 47 কারণ সেই সময় নিশ্চিতরূপে আসবে, যখন আমি ব্যাবিলনের প্রতিমাগুলিকে শাস্তি দেব; তার সমস্ত দেশ অপমানগ্রস্ত হবে, তার সমস্ত নিহতেরা তারই এলাকায় পড়ে থাকবে। 48 তখন আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী এবং সেগুলির মধ্যস্থিত সবকিছু ব্যাবিলনের বিষয়ে আনন্দে চিৎকার করবে, কারণ উত্তর দিক থেকে বিনাশকেরা তাকে আক্রমণ করবে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। 49 “ইস্রায়েলকে হত্যা করার জন্য ব্যাবিলনের অবশ্যই পতন হবে, যেমন সমস্ত পৃথিবীর নিহতেরা ব্যাবিলনের কারণে পতিত হয়েছিল। 50 তোমরা যারা তরোয়ালের যন্ত্রণা এড়িয়ে গিয়েছ, তোমরা চলে এসো দেরি কোরো না! দূরদেশে সদাপ্রভুকে স্মরণ করো এবং জেরুশালেমের কথা ভাবো।” 51 লোকেরা বলছে, “আমরা লাঞ্ছিত হয়েছি, কারণ আমাদের অপমান করা হয়েছে এবং লজ্জা আমাদের মুখ আচ্ছন্ন করেছে, কারণ বিদেশিরা সদাপ্রভুর গৃহে, পবিত্র স্থানগুলিতে প্রবেশ করেছে।” 52 সদাপ্রভু ঘোষণা করেন, “কিন্তু সেইসব দিন আসছে, যখন আমি ব্যাবিলনের প্রতিমাগুলিকে শাস্তি দেব। তার সমস্ত দেশ জুড়ে আহতেরা আর্তনাদ করবে। 53 ব্যাবিলন যদিও গগন স্পর্শ করে এবং তার শক্তিশালী দুর্গগুলিকে অগম্য করে, তবুও তার বিরুদ্ধে আমি বিনাশকদের প্রেরণ করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। 54 “কান্নার এক হাহাকার শব্দ ব্যাবিলন থেকে আসছে, তা এক মহাবিনাশের শব্দ, যা আসছে ব্যাবিলনীয়দের দেশ থেকে। 55 সদাপ্রভু ব্যাবিলনকে ধ্বংস করবেন; তিনি তার হৈ-হল্লাকে স্তব্ধ করে দেবেন। মহাজলরাশির মতো শত্রুদের গর্জনের ঢেউ আছড়ে পড়বে; তাদের গর্জনের শব্দ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হবে। 56 ব্যাবিলনের বিরুদ্ধে একজন বিনাশক আসবে; তার যোদ্ধারা সবাই বন্দি হবে, তাদের ধনুকগুলি ভেঙে ফেলা হবে। কারণ সদাপ্রভু হলেন প্রতিফলদাতা ঈশ্বর, তিনি পূর্ণরূপে প্রতিশোধ নেবেন। 57 আমি তাদের রাজকর্মচারী ও জ্ঞানী ব্যক্তিদের মত্ত করব, মত্ত করব তার প্রদেশপালদের, আধিকারিক ও যোদ্ধাদেরও; তারা চিরকালের জন্য নিদ্রিত হবে, কখনও উঠবে না,” রাজা এই কথা ঘোষণা করেন, যাঁর নাম বাহিনীগণের সদাপ্রভু। 58 বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “ব্যাবিলনের প্রশস্ত প্রাচীর ভেঙে সমান করে দেওয়া হবে এবং তার উঁচু তোরণদ্বারগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হবে; লোকেরা মিথ্যাই নিজেদের ক্লান্ত করে, জাতিগুলির পরিশ্রম কেবলমাত্র আগুনের শিখায় জ্বালানি দেওয়ার মতো।” 59 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের চতুর্থ বছরে, মাসেয়ের পৌত্র নেরিয়ের পুত্র সরায়, যে সময়ে রাজার সঙ্গে ব্যাবিলনে যান, সেই সময় ভাববাদী যিরমিয় সরাইকে এই বার্তা দেন। 60 যিরমিয় একটি পুঁথিতে সেই সমস্ত বিপর্যয়ের কথা লিখেছিলেন, যা ব্যাবিলনের উপরে নেমে আসতে চলেছিল, অর্থাৎ, ব্যাবিলন সম্পর্কে নথিভুক্ত সমস্ত কথা। 61 তিনি সরায়কে বললেন, “তুমি যখন ব্যাবিলনে পৌঁছাবে, তখন দেখো, এ সমস্তই যেন সেখানে জোরে জোরে পাঠ করা হয়। 62 তারপরে বোলো, ‘হে সদাপ্রভু, তুমি তো বলেছিলে যে, তুমি এই স্থান ধ্বংস করবে, যেন কোনো মানুষ বা পশু এখানে থাকতে না পারে; এ চিরকালের জন্য পরিত্যক্ত থাকবে।’ 63 তুমি যখন এই পুঁথিতে লেখা কথাগুলি পড়ে শেষ করবে, তখন এর সঙ্গে একটি পাথর বেঁধে, এটি ইউফ্রেটিস নদীতে ডুবিয়ে দেবে। 64 তারপর বলবে, ‘আমি যে সমস্ত বিপর্যয় ব্যাবিলনের উপরে নিয়ে আসব, সেই কারণে ব্যাবিলন এভাবে ডুবে যাবে, আর কখনও উঠতে পারবে না। আর তার সমস্ত অধিবাসীর পতন হবে।’” যিরমিয়ের সমস্ত কথার সমাপ্তি এখানেই।

< যিরমিয়ের বই 51 >