< যিরমিয়ের বই 49 >

1 অম্মোনীয়দের সম্পর্কে: সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “ইস্রায়েলের কি কোনো পুত্র নেই? তার কি কোনো উত্তরাধিকারী নেই? তাহলে মোলক-দেবতা কেন গাদের এলাকা হস্তগত করেছে? কেন তার লোকেরা এর নগরগুলিতে বসবাস করে?
অম্মোনীয়দের বিষয়ে সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “ইস্রায়েলের কি কোন ছেলে নেই? ইস্রায়েলের উত্তরাধিকারী কি কেউ নেই? তাহলে মিলকম মূর্তির উপাসকরা কেন গাদের জায়গা অধিকার করে এবং মিলকমের লোকেরা সেখানকার শহরগুলিতে বাস করে?
2 কিন্তু সেই দিনগুলি আসছে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “যখন অম্মোনীয়দের রব্বা নগরের বিরুদ্ধে আমি রণহুঙ্কার শোনাব; তা তখন এক ধ্বংসস্তূপ হবে, আর চারপাশের গ্রামগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে। তখন ইস্রায়েল তাদের তাড়িয়ে দেবে, একদিন যারা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
তাই দেখ, সেই দিন আসছে” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “যখন আমি অম্মোনীয়দের রব্বা শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হাঁক দেব; তখন তা ধ্বংসস্তূপ হবে, আর তার মেয়েরা আগুনে পুড়ে যাবে। কারণ ইস্রায়েল তাদের দখল করবে, যারা তাকে দখল করে ছিল।” সদাপ্রভু বলেন।
3 “হে হিষ্‌বোন, বিলাপ করো, কারণ অয় নগর ধ্বংস হল! ওহে রব্বার অধিবাসীরা, তোমরা হাহাকার করো! শোকবস্ত্র পরে তোমরা শোকপ্রকাশ করো; প্রাচীরগুলির ভিতরে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করো, কারণ মোলক-দেবতা তার যাজক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাসনে যাবে।
“হে হিশবোন, বিলাপ কর, কারণ অয় শহর ধ্বংস হবে! হে রব্বা শহরের মেয়েরা, চিত্কার কর! চট পর। বিলাপ কর এবং দেয়ালগুলির মধ্যে দৌড়াদৌড়ি কর, কারণ মিলকম ও তার সঙ্গে তার যাজকরা ও নেতারা বন্দীদশায় যাবে।
4 কেন তোমরা তোমাদের উপত্যকাগুলির জন্য, তোমাদের উর্বর উপত্যকাগুলির জন্য গর্ব করো? হে অবিশ্বস্ত অম্মোন কন্যা, তুমি তোমার ঐশ্বর্যে নির্ভর করে বলো, ‘কে আমাকে আক্রমণ করবে?’
কেন তুমি তোমার শক্তি নিয়ে গর্ব করছ? তোমার শক্তি বিলীন হয়ে যাবে, অবিশ্বস্ত মেয়ে; তুমি তোমার সম্পত্তির উপর নির্ভর কর। তুমি বল, ‘কে আমার বিরুদ্ধে আসবে?’
5 তোমার চারপাশে যারা আছে, তাদের কাছ থেকে আমি তোমার উপরে আতঙ্ক সৃষ্টি করব,” প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “তোমাদের সবাইকেই তাড়িয়ে দেওয়া হবে, কেউই আর পলাতকদের সংগ্রহ করবে না।
দেখ, আমি তোমার উপরে বিপদ আনব” এটা প্রভু, বাহিনীগণের সদাপ্রভুর ঘোষণা। “তোমার চারদিকের সবার কাছ থেকে বিপদ আসবে। তোমাদের প্রত্যেককে তার সামনে ছড়িয়ে পড়বে, পালিয়ে যাওয়া লোকদের কেউ তোমাদের জড়ো করার জন্য থাকবে না।
6 “তবুও পরবর্তী সময়ে, আমি অম্মোনীয়দের দুর্দশার পরিবর্তন করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
কিন্তু পরে আমি অম্মোনীয়দের অবস্থা ফেরাব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
7 ইদোম সম্পর্কে: বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “তৈমনে কি আর প্রজ্ঞা নেই? বিচক্ষণেরা কি পরামর্শ দেওয়া শেষ করেছেন? তাদের প্রজ্ঞা কি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে?
ইদোমের বিষয়ে বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “তৈমনে কি জ্ঞান নেই? বুদ্ধিমানদের কাছে কি উপদেশ শেষ হয়ে গেছে? তাদের জ্ঞান কি চলে গেছে?
8 তোমরা যারা দদানে বসবাস করো, পিছন ফিরে পালাও, গভীর গুহায় গিয়ে লুকাও, কারণ আমি এষৌকে শাস্তি দেওয়ার সময়, তার কুলে বিপর্যয় নিয়ে আসব।
পালাও! ফিরে যাও! হে দদানের বাসিন্দারা, ভূমির গভীরে গিয়ে বাস কর। কারণ আমি এষৌর উপর তার বিপদ, তাকে শাস্তি দেবার দিন উপস্থিত করব।
9 যদি আঙুর চয়নকারীরা তোমার কাছে আসত, তারা কি কয়েকটি আঙুর রেখে যেত না? যদি চোরেরা রাত্রিবেলা আসত, তাদের যতটা প্রয়োজন, তারা ততটাই কি চুরি করত না?
যদি যারা আঙ্গুর তোলে, তারা তোমার কাছে আসে, তারা কি কিছু ফল অবশিষ্ট রাখবে না? চোরেরা যদি রাতে আসে, তবে তারা কি তাদের দরকার মত চুরি করবে না?
10 আমি কিন্তু এষৌর এলাকা জনমানবহীন করব; আমি তার লুকানোর জায়গাগুলি প্রকাশ করে দেব, যেন সে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে না পারে। তার সহযোগীরা ও প্রতিবেশীরা এবং তার সশস্ত্র পুরুষেরা বিনষ্ট হবে, আর তার বিষয় বলার আর কেউ থাকবে না।
১০কিন্তু আমি এষৌকে জনশূন্য করেছি। আমি তার গোপন জায়গাগুলি প্রকাশ করেছি, যাতে সে লুকাতে না পারে। তার বংশের লোকেরা, তার ভাইয়েরা ও তার প্রতিবেশীরা ধ্বংস হল, সেও চলে গেছে।
11 ‘তোমার অনাথ ছেলেমেয়েদের ছেড়ে যাও; আমি তাদের প্রাণরক্ষা করব। তোমার বিধবারাও আমার উপরে নির্ভর করতে পারে।’”
১১তুমি তোমার অনাথ ছেলে মেয়েদের ত্যাগ কর; আমি তাদের জীবন রক্ষা করব। তোমার বিধবারাও আমার উপর বিশ্বাস করুক।”
12 সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “যদি নির্দোষ মানুষরা কষ্টভোগ করে, তাহলে তোমরা অবশ্যই আরও কত না কষ্টভোগ করবে? বিচারদণ্ডের এই পেয়ালা তোমাদের নিশ্চয়ই পান করতে হবে।”
১২কারণ সদাপ্রভু বলেন, “দেখ, সেই পাত্রে পান করার যাদের নিয়ম ছিল না, তাদের সেই পাত্রে পান করতে হবে, তাদের তুমি কি শাস্তি না পেয়েই চলে যাবে? তুমি শাস্তিভোগ না করে যাবে না, অবশ্যই পান করবে।”
13 সদাপ্রভু বলেন, “আমি নিজের নামেই শপথ করে বলছি, বস্রা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। তা হবে বিভীষিকার, দুর্নামের ও অভিশাপের আস্পদ। এর সব নগর চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে পড়ে থাকবে।”
১৩কারণ সদাপ্রভু বলেন, “আমি নিজের নামে এই শপথ করছি যে, বস্রা আতঙ্ক, মর্যাদাহীন, ধ্বংস ও অভিশাপের পাত্র হবে। তার সমস্ত শহর চিরকালের জন্য ধ্বংস হয়ে থাকবে।”
14 আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে এক বাক্য শুনেছি: জাতিগুলির কাছে এক দূত একথা বলার জন্য প্রেরিত হয়েছে, “ইদোমের বিরুদ্ধে এক মিত্রবাহিনী গড়ে তোলো! তোমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও!”
১৪আমি সদাপ্রভুর কাছ থেকে এই খবর শুনেছি এবং একজন দূতকে জাতিদের কাছে পাঠানো হয়েছে, “জড়ো হও ও তাকে আক্রমণ কর। যুদ্ধ করার জন্য তৈরী হও।
15 “এবার আমি তোমাকে সব জাতির মধ্যে ক্ষুদ্র করব, তুমি মানবসমাজে অবজ্ঞাত হবে।
১৫কারণ দেখ, আমি জাতিদের মধ্যে তোমাকে সবচেয়ে ছোট করব এবং লোকদের মধ্যে ঘৃণার পাত্র করব।
16 তুমি যে বড়ো বড়ো পাথরের ফাটলে বসবাস করো, তোমরা যারা পাহাড়ের উঁচু উঁচু স্থানের অধিকারী, তোমরা অন্যদের মধ্যে যে আতঙ্ক ছড়িয়ে থাকো সেই কারণে ও তোমার অহংকারের জন্য, তুমি নিজেই প্রতারিত হয়েছ। যদিও তুমি ঈগলের মতো অনেক উঁচুতে তোমার বাসস্থান নির্মাণ করো, সেখান থেকে আমি তোমাকে নামিয়ে আনব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
১৬তোমার আতঙ্কের জন্য, তোমার অন্তরের গর্ব তোমাকে ছলনা করেছে; হে শিলার বাসিন্দা, যদিও তুমি ঈগলের মত উঁচু জায়গায় বাস কর, তবুও সেখান থেকে আমি তোমাকে নীচে নামিয়ে আনব।” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
17 “ইদোম হবে এক বিভীষিকার পাত্র; যারাই তার পাশ দিয়ে যাবে, তারা তার ক্ষতসকলের জন্য বিস্মিত হয়ে তার নিন্দা করবে।
১৭“ইদোমের প্রত্যেকের কাছে বিস্ময়ের পাত্র হবে, যারা তার পাশ দিয়ে যাবে তারা সবাই ভীষণ কাঁপবে এবং তার সব আঘাতের জন্য তাকে শিশ ধ্বনি দেবে।
18 যেমন সদোম ও ঘমোরা তাদের চারপাশের নগরগুলি সমেত উৎপাটিত হয়েছিল,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সেইরকম, ইদোমেও কেউ বেঁচে থাকবে না, কোনো মানুষই সেখানে বসবাস করবে না।
১৮তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে যেমন সদোম ও ঘমোরাকে ধ্বংস করা হয়েছিল” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা, “তেমনি ইদোমে কেউ বাস করবে না; তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।
19 “জর্ডনের জঙ্গলের মধ্য থেকে সিংহের মতো সে সমৃদ্ধ চারণভূমির উপরে আসবে। আমি ইদোমকে এক নিমেষে তারই দেশে তাড়া করব, কে সেই মনোনীত জন যাকে আমি তার উপরে নিযুক্ত করব? আমার মতো আর কে আছে? কে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে? কোনো মেষপালক আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে?”
১৯দেখ, সিংহের মত যর্দ্দনের জঙ্গল থেকে উঠে এসে ভাল চারণ ভূমিতে শিকার করবে। তেমনি করে আমি মুহূর্তের মধ্যে ইদোমকে তার দেশ থেকে তাড়া করব। আমি তার উপর আমার মনোনীত লোককে নিযুক্ত করব। কে আমার মত ও কে আমাকে ডাকতে পারে? কোন পালক আমার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারে?”
20 সেই কারণে শোনো, সদাপ্রভু ইদোমের বিরুদ্ধে কী পরিকল্পনা করেছেন, যারা তৈমনে বসবাস করে, তাদের জন্য তাঁর অভিপ্রায় কী: পালের শাবকদের টেনে নিয়ে যাওয়া হবে; তাদের কারণেই তিনি তাদের চারণভূমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হবে।
২০তাই ইদোমের বিরুদ্ধে সদাপ্রভু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তৈমনের বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে তিনি কি পরিকল্পনা করেছেন তা শোনো। লোকেরা অবশ্যই তাদের টেনে নিয়ে, এমনকি পালের বাচ্চাদেরও। তাদের কাজের জন্য তাদের চারণ ভূমি তিনি একেবারে ধ্বংস করে দেবেন।
21 তাদের পতনের কারণে সমস্ত পৃথিবী কম্পিত হবে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হবে।
২১তাদের পতনের শব্দে পৃথিবী কাঁপে; তাদের কান্না লোহিত সাগর পর্যন্ত শোনা যায়।
22 দেখো! একটি ঈগল উঁচুতে উড়বে ও চকিতে আক্রমণ হানবে, সে তার ডানা বস্রার উপরে মেলে ধরবে। সেদিন, ইদোমের যোদ্ধাদের হৃদয়, প্রসববেদনাগ্রস্ত স্ত্রীর হৃদয়ের মতো হবে।
২২দেখ, কোনো একজন ঈগলের মত আক্রমণ করবে, ছোঁ মারবে এবং বস্রার উপরে তার ডানা মেলে দেবে। সেই দিন ইদোমের সৈনিকদের অন্তর প্রসবযন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের অন্তরের মত হবে।
23 দামাস্কাস সম্পর্কে: “হমাৎ ও অর্পদ ভয়ে ব্যাকুল হয়েছে, কারণ তারা মন্দ সংবাদ শুনেছে। তারা হতাশ হয়েছে, অশান্ত সমুদ্রের মতো তারা অধীর হয়েছে।
২৩দম্মেশকের বিষয়: “হমাৎ ও অর্পদ লজ্জিত হবে, কারণ তারা বিপদের খবর শুনেছে। তারা নরম হল! তারা অস্থির সাগরের মত, যা শান্ত হতে পারে না।
24 দামাস্কাস অক্ষম হয়েছে, সে পিছন ফিরে পালিয়েছে কারণ আতঙ্ক তাকে ঘিরে ধরেছে; মনস্তাপ ও মর্মবেদনায় সে আচ্ছন্ন হয়েছে যেমন কোনো প্রসববেদনাগ্রস্ত নারী হয়।
২৪দম্মেশক দুর্বল হয়েছে, সে পালাবার জন্য ফিরেছে এবং ভয় তাকে আঁকড়ে ধরেছে। প্রসব যন্ত্রণা ভোগকারিণী স্ত্রীলোকের মত যন্ত্রণা ও ব্যথা তাকে গ্রাস করেছে।
25 সুখ্যাতিপূর্ণ এই নগর, যে আমার আনন্দের কারণস্বরূপ, কেন এ পরিত্যক্ত হয়নি?
২৫যার লোকেরা বলে, ‘কেমন সেই বিখ্যাত শহর! যাকে নিয়ে আমি আনন্দ করেছি, কেন পরিত্যক্ত হয়নি’?”
26 নিশ্চয়ই, তার যুবকেরা পথে পথে পড়ে থাকবে, সেদিন তার সব সৈন্য নিথর পড়ে থাকবে,” বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
২৬বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “এই জন্য তার যুবকেরা তার চকে পতিত হবে এবং সেই দিন সমস্ত সৈন্যরা বিনষ্ট হবে।
27 “আমি দামাস্কাসের সব প্রাচীরে আগুন লাগাব; তা বিন্‌হদদের দুর্গগুলিকে গ্রাস করবে।”
২৭দম্মেশকের দেয়ালগুলিতে আমি আগুন লাগিয়ে দেব; তা বিনহদদের দুর্গগুলি পুড়িয়ে ফেলবে।”
28 ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার যাদের আক্রমণ করেছিলেন, সেই কেদর ও হাৎসোরের রাজ্যগুলি সম্পর্কে: সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “ওঠো, ও কেদরকে আক্রমণ করো এবং পূর্বদিকের সব লোককে ধ্বংস করো।
২৮কেদর ও হাৎসোর সম্মন্ধে বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসরকে সদাপ্রভু এই কথা বলেন (এখন বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর সেই স্থানকে আক্রমণ করে যাচ্ছিলেন): “ওঠো, কেদর আক্রমণ কর এবং পূর্বদেশের লোকদের ধ্বংস কর।
29 তাদের তাঁবুগুলি ও তাদের পশুপাল হরণ করা হবে; তাদের সব জিনিসপত্র ও উটগুলি সমেত তারা তাদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। লোকেরা চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকেই ভয়ের পরিবেশ!’
২৯লোকে তাদের তাঁবুগুলি ও পশুপাল, তাঁবুর পর্দা ও তাদের সমস্ত জিনিস নিয়ে যাবে। তারা কেদরের লোকেদের থেকে উট নিয়ে যাবে এবং চিৎকার করে তাদের বলবে, ‘চারদিকে আতঙ্ক!’
30 “তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাও! হাৎসোরে বসবাসকারী তোমরা দুর্গম গুহাগুলিতে গিয়ে থাকো,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “ব্যাবিলনের রাজা নেবুখাদনেজার তোমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে; সে তোমার বিরুদ্ধে এক পরিকল্পনা রচনা করেছে।
৩০পালাও! দূরে চলে যাও! হে হাৎসোরের বাসিন্দারা, ভূমির গর্তে বাস কর” এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। “কারণ বাবিলের রাজা নবূখদনিৎসর তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। পালাও! ফিরে যাও!
31 “ওঠো ও সেই নিশ্চিন্ত জাতিকে আক্রমণ করো, যে নির্ভয়ে বসবাস করে,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন, “সেই জাতির নগরে কোনো ফটক নেই, অর্গলও নেই, তার লোকেরা নিরিবিলিতে বসবাস করে।
৩১জেগে ওঠো! সেই নিরাপদে থাকা জাতিকে আক্রমণ কর” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন। “তাদের কোনো ফটকও নেই, খিলও নেই; তারা একা বাস করে।
32 তাদের উটগুলি হবে লুটের বস্তু, তাদের বিশাল পশুপাল লুট করা হবে। দূরবর্তী স্থানে থাকা লোকেদের আমি চারপাশে ছড়িয়ে দেব, সবদিক থেকে আমি তাদের উপরে বিপর্যয় নিয়ে আসব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
৩২কারণ তাদের উটগুলি লুটিত মাল হবে এবং তাদের অনেক পশুপাল লুট হবে। যারা চুলের কোন কাটে, তাদের আমি সমস্ত বায়ুর দিকে ছড়িয়ে দেব এবং সব দিক থেকেই তাদের উপর বিপদ আনব” সদাপ্রভু ঘোষণা করেন।
33 “হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান, চিরকালের জন্য পরিত্যক্ত এক স্থান। কেউ সেখানে থাকবে না; কোনো মানুষই সেখানে বসবাস করবে না।”
৩৩“হাৎসোর হবে শিয়ালদের বাসস্থান ও চিরস্থায়ী জনশূন্য জায়গা। কেউ সেখানে বাস করবে না, তার মধ্যে কোন মানুষ থাকবে না।”
34 যিহূদার রাজা সিদিকিয়ের রাজত্বের প্রথমদিকে, এলম সম্পর্কে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে উপস্থিত হল।
৩৪এলম সম্বন্ধে সদাপ্রভুর এই বাক্য ভাববাদী যিরমিয়ের কাছে এল। এটা ঘটেছে, যখন যিহূদার রাজা সিদিকিয় রাজত্ব শুরু করেন। এটা হল,
35 সর্বশক্তিমান সদাপ্রভু এই কথা বলেন: “দেখো, আমি এলমের শক্তির মুখ্য অবলম্বন, তাদের ধনুক ভেঙে ফেলব।
৩৫“বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, ‘দেখ, আমি এলমের ধনুক, তাদের শক্তির প্রধান খুঁটি ভেঙে ফেলব।
36 আমি আকাশমণ্ডলের চার প্রান্ত থেকে এলমের বিরুদ্ধে চার বায়ু প্রেরণ করব; আমি চার বায়ুর উদ্দেশে তাদের ছড়িয়ে ফেলব, এমন কোনো জাতি থাকবে না, যেখানে এলমের নির্বাসিত কেউ যাবে না।
৩৬কারণ আমি আকাশের চার কোন থেকে এলমের বিরুদ্ধে বাতাস আনব এবং সেই বাতাসে আমি এলমের লোকেদের ছড়িয়ে দেব; এমন কোন জাতি নেই, যেখান এলমের দূর করে দেওয়া লোকেরা যাবে।
37 আমি এলমের শত্রুদের সামনে, যারা তাদের প্রাণনাশ করতে চায়, তাদের সামনে আমি তাদের চূর্ণ করব; আমি তাদের উপরে বিপর্যয়, এমনকি, আমার ভয়ংকর ক্রোধ বর্ষণ করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন। “আমি তরোয়াল নিয়ে তাদের পিছনে তাড়া করে যাব, যতক্ষণ না আমি তাদের শেষ করে দিই।
৩৭তাই আমি এলমকে তাদের শত্রুদের সামনে ও যারা তাদের প্রাণের খোঁজ করে তাদের সামনে ছড়িয়ে দেব। কারণ আমি তাদের বিরুদ্ধে বিপদ, আমার জ্বলন্ত রোষ নিয়ে আসব’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা। ‘আমি তাদের বিরুদ্ধে তরোয়াল পাঠাব, যতক্ষণ না আমি তাদের বিলুপ্ত করি।
38 আমি এলমে আমার সিংহাসন স্থাপন করব, তাদের রাজা ও সব কর্মচারীকে ধ্বংস করব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
৩৮তখন আমি এলমে আমার সিংহাসন স্থাপন করব এবং তার রাজা ও নেতাদের ধ্বংস করব’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।
39 “তবুও, ভবিষ্যৎকালে আমি এলমের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাব,” সদাপ্রভু এই কথা বলেন।
৩৯‘এটা আগামীদিনের ঘটবে, আমি এলমের অবস্থা ফিরিয়ে আনব’ এটা সদাপ্রভুর ঘোষণা।”

< যিরমিয়ের বই 49 >