< উপদেশক 10 >

1 মরা মাছি যেমন সুগন্ধি তেল দুর্গন্ধ করে তোলে, তেমনি একটু নির্বুদ্ধিতা প্রজ্ঞা ও সম্মানকে মুছে ফেলে। 2 জ্ঞানবানের হৃদয় তার ডানদিকে ফেরে, কিন্তু বোকাদের হৃদয় তার বাঁদিকে ফেরে, 3 এমনকি, বোকারা যখন পথ চলে, তাদের বুদ্ধির অভাব হয় এবং প্রকাশ করে যে সে কত বোকা। 4 শাসনকর্তা যদি তোমার উপর রেগে যান, তুমি তোমার পদ ত্যাগ কোরো না; শান্তভাব থাকলে বড়ো বড়ো অন্যায় অতিক্রম করা যায়। 5 আমি সূর্যের নিচে এক মন্দ বিষয় দেখেছি, শাসনকর্তারা এইরকম ভুল করে থাকে 6 বড়ো বড়ো পদে বুদ্ধিহীনেরা নিযুক্ত হয়, যেখানে ধনীরা নিচু পদে নিযুক্ত হয়। 7 আমি দাসেদের ঘোড়ার পিঠে দেখেছি, যেখানে উঁচু পদের কর্মচারীরা দাসের মতো পায়ে হেঁটে চলে। 8 যে গর্ত খোঁড়ে সে তার মধ্যে পড়তে পারে; যে দেয়াল ভাঙে তাকে সাপে কামড়াতে পারে। 9 যে পাথর কাটে সে তার দ্বারাই আঘাত পেতে পারে; যে কাঠ কাটে সে তার দ্বারাই বিপদে পড়তে পারে। 10 কুড়ুল যদি ভোঁতা হয় আর তাতে ধার দেওয়া না হয়, তা ব্যবহার করতে বেশি শক্তি লাগে, কিন্তু দক্ষতা সাফল্য আনে। 11 সাপকে মুগ্ধ করার আগেই যদি সে কামড় দেয়, সাপুড়ে কোনো পারিশ্রমিক পায় না। 12 জ্ঞানবানের মুখের কথা অনুগ্রহজনক, কিন্তু বোকারা তাদের মুখের কথা দিয়ে নিজেদের ধ্বংস করে। 13 মুখের কথার আরম্ভই মূর্খতা; শেষে তা হল দুষ্টদায়ক প্রলাপ— 14 এবং বুদ্ধিহীনেরা অনেক কথা বলে। ভবিষ্যতে কী হবে কেউ জানে না— তারপর কী হবে তা তাদের কে জানাতে পারে? 15 বোকাদের পরিশ্রম তাদের ক্লান্ত করে; তারা নগরে যাবার রাস্তা জানে না। 16 ধিক্ সেই দেশ যার রাজা আগে দাস ছিলেন এবং সেখানকার রাজপুরুষেরা সকাল বেলাতেই ভোজ খায়। 17 ধন্য সেই দেশ যার রাজা সম্ভ্রান্তবংশীয় এবং সেখানকার রাজপুরুষেরা সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করে—শক্তির জন্য, মাতলামির জন্য নয়। 18 আলস্যে ঘরের ছাদ ধসে যায়; অলসতার জন্য ঘরে জল পড়ে। 19 হাসিখুশির জন্য ভোজের ব্যবস্থা করা হয়, দ্রাক্ষারস জীবনে আনন্দ আনে, এবং অর্থ সবকিছু যোগায়। 20 মনে মনেও রাজাকে অভিশাপ দিয়ো না, কিংবা নিজের শোবার ঘরে ধনীকে অভিশাপ দিয়ো না, কারণ আকাশের পাখিও তোমার কথা বয়ে নিয়ে যেতে পারে, এবং পাখি উড়ে গিয়ে তোমার কথা বলে দিতে পারে।

< উপদেশক 10 >