< দ্বিতীয় বিবরণ 15 >

1 প্রতি সপ্তম বছরের শেষে তোমরা ঋণ মকুব করবে। 2 এইভাবে এটি করতে হবে প্রত্যেক ঋণদাতা অন্য ইস্রায়েলীকে দেওয়া ঋণ মকুব করে দেবে। ঋণ মকুব করার জন্য সদাপ্রভু যে সময় ঠিক করে দিয়েছেন তা ঘোষণা করা হয়েছে বলে তাদের নিজের লোকদের কাছ থেকে ঋণ শোধের দাবি করবে না। 3 বিদেশিদের কাছ থেকে ঋণ শোধের দাবি করতে পারো, কিন্তু তোমাদের ইস্রায়েলী ভাইদের ঋণ তোমাদের মকুব করে দিতে হবে। 4 তবে, তোমাদের মধ্যে কারোর গরিব থাকার কথা নয়, কারণ তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের অধিকার করার জন্য দিচ্ছেন, তিনি তোমাদের প্রচুর আশীর্বাদ করবেন, 5 কেবল আজ আমি তোমাদের যে সমস্ত আজ্ঞা দিচ্ছি সেগুলি যত্নের সঙ্গে পালন করার জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সম্পূর্ণ বাধ্য হোয়ো। 6 কেননা তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তাঁর প্রতিজ্ঞানুসারে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন, এবং তোমরা অনেক জাতিকে ঋণ দেবে কিন্তু কারোর কাছ থেকে ঋণ নেবে না। তোমরা বহু জাতির উপর রাজত্ব করবে কিন্তু কেউ তোমাদের উপরে রাজত্ব করবে না। 7 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু যে দেশ তোমাদের দিতে যাচ্ছেন সেই দেশের কোনো জায়গায় যদি তোমাদের কোনো ইস্রায়েলী ভাই গরিব হয়, তার প্রতি তোমাদের হৃদয় কঠিন কোরো না কিংবা তার জন্য তোমাদের হাত মুঠো কোরো না। 8 বরং, তোমরা হাত খোলা রেখো এবং তাদের প্রয়োজন অনুসারে তাদের ঋণ দিয়ো। 9 সাবধান, তোমাদের মনে এই মন্দ চিন্তাকে আমল দিয়ো না “সপ্তম বছর, ঋণ মকুবের বছর, প্রায় এসে গেছে,” সেইজন্য তোমাদের সেই অভাবী ইস্রায়েলী ভাইয়ের প্রতি এই মনোভাব নিয়ে তাকে খালি হাতে বিদায় কোরো না। সে তখন সদাপ্রভুর কাছে তোমাদের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে, এবং তোমরা এই পাপের জন্য দোষী হবে। 10 মনে অনিচ্ছা না রেখে খোলা হাতে তাকে দেবে; তাহলে এর জন্য তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের সব কাজে আশীর্বাদ করবেন এবং তোমরা যাতে হাত দেবে তাতেই আশীর্বাদ পাবে। 11 দেশের মধ্যে সবসময়ই গরিব মানুষজন থাকবে। সেইজন্য আমি তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি যে, তোমাদের দেশে যেসব ইস্রায়েলী ভাই গরিব এবং অভাবী তাদের প্রতি তোমাদের হাত খোলা রাখবে। 12 যদি তোমাদের কোনও মানুষ—হিব্রু পুরুষ কিংবা স্ত্রী—নিজেদেরকে তোমাদের কাছে বিক্রি করে এবং ছয় বছর তোমাদের সেবা করে, তাহলে সপ্তম বছরে তাকে অবশ্যই ছেড়ে দিতে হবে। 13 আর যখন তোমরা তাকে ছেড়ে দেবে, তাকে খালি হাতে বিদায় করবে না। 14 তোমাদের পাল, খামার ও আঙুর মাড়াইয়ের জায়গা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ তাকে দেবে। তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের যে পরিমাণ আশীর্বাদ করেছেন তোমরা সেই পরিমাণেই তাকে দেবে। 15 মনে রেখো, মিশরে তোমরাও দাস ছিলে এবং তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমাদের মুক্ত করেছেন। সেইজন্য আজ আমি তোমাদের এই আদেশ দিচ্ছি। 16 কিন্তু তোমার দাস যদি তোমাকে বলে, “আমি আপনাকে ছেড়ে যেতে চাই না,” কেননা সে তোমাকে ও তোমার পরিবারকে ভালোবাসে এবং সে তোমার কাছে ভালোই আছে, 17 তবে তুমি তার কানের লতি দরজার উপর রেখে তুরপুণ দিয়ে ফুটো করে দেবে, আর সে সারা জীবন তোমার দাস হয়ে থাকবে। তোমার দাসীর বেলায়ও তাই করবে। 18 দাস কিংবা দাসীকে মুক্ত করে দেওয়াটা তোমার কোনও কষ্টের ব্যাপার বলে মনে কোরো না, কারণ এই ছয় বছর সে তোমার জন্য যে কাজ করেছে তার দাম দুজন মজুরের মজুরির সমান। তাতে তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু তোমার সব কাজে তোমাকে আশীর্বাদ করবেন। 19 তোমাদের গরু, মেষ ও ছাগলের প্রত্যেকটি প্রথমজাত পুরুষ শাবক তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর জন্য আলাদা করে রাখবে। তোমাদের গরুর প্রথমজাত বাচ্চাকে কাজে লাগাবে না ও মেষের প্রথম শাবকের লোম ছাঁটবে না। 20 তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর মনোনীত জায়গায় প্রত্যেক বছর তোমরা তোমাদের পরিবার নিয়ে তাঁর সামনে সেগুলির মাংস খাবে। 21 যদি কোনো পশুর খুঁত থাকে, খোঁড়া কিংবা অন্ধ হয়, কিংবা কোনো বড়ো ধরনের দোষ থাকে, সেটি তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর উদ্দেশে উৎসর্গ করবে না। 22 সেটি তোমরা নিজেদের নগরেই খাবে। অশুচি এবং শুচি সকলেই সেটি গজলা হরিণ বা হরিণের মাংসের মতোই খেতে পারবে। 23 কিন্তু তোমরা রক্ত খাবে না; জলের মতো করে মাটিতে ঢেলে দেবে।

< দ্বিতীয় বিবরণ 15 >